• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

সম্পর্ক

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শুক্র, ০৫/০৩/২০১০ - ৯:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লাবলুকে যখন খানসেনারা ধরে নিয়ে যায় রাহেলা সেসময় দুই মাসের পোয়াতি। সেদিনের কথা এখনও মনে আছে তার, বিকেল থেকেই ঝুম ঝুম বৃষ্টি হচ্ছিল।একেতো আষাঢ় মাস তার উপর যুদ্ধের কারনে বাজারে তেমন কিছু পাওয়া যায়না বলে ডাল চাল দিয়ে খিচুড়ী রান্না করছিল রাহেলা। লাবলু বেরিয়েছে সেই সকালে, যাবার আগে বলে গিয়েছিল যে রসুলপুর স্কুলে খানসেনাদের ক্যাম্পের বিস্তারিত খবর গোপনে শামীমদের পৌঁছে দিয়েই ফিরে আসবে সে। সেই ফিরে আসা আর হয়নি, তার দুদিন পরে পুংলী নদীর পাড়ে স্কুলঘরটার পেছনে বটগাছের নিচে লাবলুর লাশ পাওয়া যায়, শিয়াল শকুনে ছিড়ে কুড়ে খেয়েছে, গ্রামের একটা লোকও সাহস পায়নি লাশটিকে গোসল করিয়ে দাফন করতে।

শামীমরা ক্যাম্প করেছিল রসুলপুর গ্রাম পেরিয়ে পুংলী নদীর ঐ ধারে। পুংলী ব্রিজটাতে গিজ গিজ করছে পাকবাহিনী আর রাজাকারের দল, ব্রিজ পেরিয়ে এপারে আসার চেষ্টা করা বোকামী, তাই পরিকল্পনা ছিল সুযোগ মত নদী পেরিয়ে এসে পাকবাহিনীর ঘাঁটিতে আক্রমন করবে। শামীমরা যখন ভারতে ট্রেনিংয়ে যায় তখন ওদের সাথে লাবলুরও যোগ দেবার কথা ছিল, কিন্তু ঘরে নতুন অতিথি আসছে, বাবা মাও বেঁচে নেই, তাই খালি বাড়িতে অন্তস্বত্তা বউকে রেখে যেতে বিবেকে বাঁধছিল লাবলুর। যুদ্ধে না যেতে পারার কারনে কিছুটা হলেও অনুশোচনায় ভুগত সে, তাই এবার যখন শামীমদেরকে সাহায্য করার সুযোগ আসল লাবলু আর কিছু ভাবার সময় নেয়নি। সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নদী সাতরিয়ে সে উপারে পৌঁছল। শামীমদের ক্যাম্পে যেয়ে ওদেরকে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে নিরাপদেই ফিরে আসছিল সে, মাঝপথে বিপত্তি ঘটাল হারুন। লাবলু সবে নদী পেরিয়ে এইপারে এসেছে, সামনে দেখে পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে হারুন, সাথে অস্ত্রধারী দুই সৈন্য। হারুন সম্পর্কে লাবলুর চাচাত ভাই, ছোটবেলা থেকে প্রায় একই সাথে বেড়ে উঠেছে দুইজন। খানসেনারা যখন রসুলপুরে ঘাঁটি গাড়ে, যে কয়জন মানুষ তাদেরকে পাকিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছিল তার মধ্যে হারুনের বাবা একজন। লাবলুকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাবার পর রাহেলা পাগলের মত ছুটে গিয়েছিল হারুন আর ওর বাবার কাছে, হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করেছিল লাবলুকে ছেড়ে দেয়ার জন্য, কিন্তু তাতে ওদের মন গলেনি। পাকসেনাদের ক্যাম্পে অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করে একবারের জন্যও লাবলু মুখ ফুটে বলেনি শামীমদের কথা। শেষের দিকে কথা বের করতে না পেরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলে লাবলুকে।

লাবলু মারা যাবার ঠিক দুই দিন পরে রাহেলার ঘরে আসে হারুন, চোখের চাহনি দেখে বুঝার বাকী ছিলনা কি চায় সে। পায়ে পড়ে কেঁদে কেটেও যখন হারুনকে থামাতে পারছিলনা, তখন একটাই আকুতি ছিল তার আর তা হলো তাকে যেন সে স্ত্রীর সম্মানটুকু দেয়, তার পেটে সে সন্তান আছে সে যেন জারজ হিসেবে এই পৃথিবীতে পরিচিত না হয়। যুদ্ধ হারুনকে অমানুষ করলেও কেন জানি রাহেলায় কথায় সে রাজী হয়, সেই সাথে রাজী করাতে পারে তার বাবাকে এখলাস মিঞাকেও। শুরু হয় রাহেলার দ্বিতীয় জীবন। রসুলপুর পাক সেনামুক্ত হতে সময় লেগেছিল অনেক, শামীমরা দুই দুইবার আক্রমন করেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছিল। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তারা অবশেষে সফল হয়।যে রাতে শামীমরা পাকসেনাদের ঘাটি আক্রমন করে সেই রাতে এখলাস মিঞাও ধরা পড়ে, কোনমতে রাহেলাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে হারুন।

সারা দেশ যখন বিজয়ের উল্লাসে মাতম করছে হারুন তখন অন্যত্র যেয়ে গা ঢাকা দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে, কেমন করে যেন সে বেঁচেও যায়। পালাবার সময় লুট করা টাকা পয়সা সাথে নিয়ে এসেছিল, তাই দিয়ে ময়মনসিংহ শহরে একটা ব্যাবসা শুরু করে। যুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতিতে একসময় ফুলে ফেঁপে উঠে তার ব্যবসা। নিজের বেশভুষা পরিবর্তন করে একসময় পূর্বইতিহাসটা প্রায় ঝেড়ে ফেলে দেয় শরীর থেকে। তবে এসবের একমাত্র সাক্ষী রাহেলা, মনের মধ্যে পুষে রাখা অসম্ভব ঘৃনা নিয়েও রাহেলা হারুনের সাথে ঘর করে যাচ্ছিল শুধুমাত্র তার সন্তান কৌশিকের কথা ভেবে। একথা ঠিক যে স্ত্রী হিসেবে তার কোন অমর্যাদা কখনো করেনি হারুন কিন্তু মনের পুঞ্জীভূত ক্রোধ ভেতরে ভেতরে কুঁড়ে খাচ্ছিল তাকে। সে জানত এর থেকে তার মুক্তি নেই তাই সুখ না থাকলেও সন্তানের কথা ভেবে স্বস্তিকে পুঁজি করে কেটে যাচ্ছিল তার জীবন।

সময় গড়িয়ে যায়, আস্তে আস্তে বড় হয় কৌশিক। হারুনকেই বাবা বলে জানে সে আর হারুনও কৌশিককে নিজের সন্তানের মতই স্নেহ আর আদরে বড় করে। মফস্বলের স্কুল কলেজের গন্ডি পেরিয়ে কৌশিক একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেয়। হলে উঠে কৌশিকের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয় আবীর। দুইজনেই সাংবাদিকতায় পড়ে, ভাল আবৃত্তি করে, নিয়মিত নাটকের মহড়ায় যায়। তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় কৌশিকদের বিভাগের জাফর স্যার সব ছাত্রকে একটি এসাইনমেন্ট দেয় আর তা হলো সবাইকে নিজ নিজ গ্রামে যেয়ে একাত্তরের অন্তত একজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলে একটি রিপোর্ট তৈরী করতে হবে। নিজের গ্রামের প্রসঙ্গে কৌশিক কিঞ্চিত বিব্রত হয় কারন জন্মের পর থেকে সে শুধু শুনেছে যে রসুলপুর তার গ্রামের নাম, কিন্তু কোন এক অজানা কারনে তার বাবা মা তাকে কখনই গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়নি। স্কুল ছুটিতে সবাই যখন দাদাবাড়ি নানাবাড়িতে যেত কৌশিক তখন সময় কাটাত গল্পের বই পড়ে। একটা বয়সের পর সে তাই কখনো তার বাবা মাকে নিজের গ্রামের কথা আর জিজ্ঞেস করতনা। জাফর স্যারের এসাইনমেন্ট পেয়ে কোন এক শীতের সকালে কৌশিক তার বাবা মাকে না জানিয়েই আবীরকে সাথে নিয়ে আসে রসুলপুরে।

ঢাকা থেকে বাসে করে দুই বন্ধু রসুলপুর স্টেশনে নেমে চা বিস্কিট খায়। আসার আগে তেমন কোন খোঁজ খবর নিয়ে আসেনি, তাই তাদেরকে নির্ভর করতে হয় চায়ের দোকানদার ছাত্তারের উপর। আবীর আর কৌশিকের কথা শুনে ছাত্তার ওদেরকে শামীমের সাথে দেখা করতে বলে। কৌশিক এতকাল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনেছে, টিভিতে দেখেছে, গল্পে উপন্যাসে পড়েছে, কিন্তু নিজের চোখে এই প্রথম। শামীমকে দেখে তাই সে পুলকিত হয়। শামীমের অনুরোধে দুই বন্ধু সেদিনের মত তার বাড়িতেই থেকে যায়। রাতে খাওয়া দাওয়ার পরে বৈঠকখানায় বসে শামীম পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন শুরু করে। এক পর্যায়ে কৌশিকের গ্রামের বাড়ি রসুলপুর শুনে সে তার বাবার নাম জিজ্ঞেস করে। এর উত্তরে হারুনের নাম শুনে শামীমের ভ্রু কুঞ্চিত হয়, নামটি একবার দুইবার নিজের মনে আওড়ায় সে। আরো নিশ্চিত হবার জন্য তার জন্মসাল জিজ্ঞেস করে সে। এক নিমিষে তেইশ বছর পেছনে চলে যায় সে, তার মনে পড়ে যার লাবলুর সাথে তার শেষ মূহুর্তগুলি। যুদ্ধ শেষে ফিরে এসে অনেকবার সে হারুন ও রাহেলার খোজ করেছে কিন্তু পায়নি তাই এত বছর পরে বোধকরি এরকম একটি ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলনা শামীম। চোখের সামনে লাবলুর সন্তানের মুখে বাবা হিসেবে হারুনের নাম শুনে শামীম নিজেকে স্থির রাখতে পারেনা, তার সমস্ত ক্রোধ গিয়ে পড়ে রাহেলার উপর। আবীর আর কৌশিক দুই জনই শামীমের হঠাৎ বদলে যাওয়া মুখ দেখে অবাক হয়, এর কারন জিজ্ঞেস করলে শামীম অনেকক্ষন নিশ্চুপ থেকে সবকিছু খুলে বলে কৌশিককে।

পরদিন আবীর চলে যায় ঢাকায় কিন্তু কৌশিক যায়না, আরো ভাল করে বললে সে যেতে পারেনা। নিজের শেকড়কে নতুন করে জানতে পেরে তার কষ্ট বা আনন্দ কোনটাই হয়না, শুধু অভিমান হয় মায়ের উপর। সন্ধ্যায় দিকে হাঁটতে হাঁটতে সে এসে দাঁড়ায় পুংলী নদীর ধারে। যেমনটা বলেছিলেন শামীম চাচা সেরকম বড় সড় কোন নদী বলে মনে হয়না তার, তবে স্কুলঘরটার পেছনে বটগাছের পাশে শুকিয়ে যাওয়া নদীর তীরটাতে বসে যে মানুষটিকে সে কখনই দেখেনি, যার স্পর্শ সে কখনো পায়নি, অথচ যার রক্ত তার দেহে বহমান তার কথা ভেবে কৌশিকের চোখের কোণে কয়েক বিন্দু পানি জমে। আঙুলের ডগা দিয়ে তা মুছে দেয় কৌশিক, কিন্তু আবার ভিজে আসে। এবার কৌশিক আর মুছার চেষ্টা করেনা বরং হঠাৎ করে তার মাথায় যেন বিদ্যুৎ খেলে। সে দ্রুত স্টেশনে যেয়ে ময়মনসিংহের বাস ধরে।

মাঝরাত্রিরে ছেলেকে দেখে যতটা অবাক হয় রাহেলা তার থেকেও সে বেশি বিচলিত হয় কৌশিকের চোখ দেখে। কোত্থেকে এল, কিভাবে এলো সেরকম কিছুই জিজ্ঞেস করা হয়না রাহেলার শুধু হাতমুখ ধুয়ে খেতে আসতে বলে সে। চুপচাপ কিছু একটা মুখে দিয়ে কৌশিক তার ঘরে যায়। একসময় রাহেলা ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু কৌশিক পারেনা, বিছানায় শুয়ে আশপাশ করে, তার কল্পনায় বার বার ফিরে আসে রসুলপুর গ্রাম, পুংলী নদী, পেছনের স্কুলঘর আর তার পাশে নদী তীরের বটগাছটা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তার চোখে একটা মানুষের অবয়ব ফুটে উঠতে চায় যাকে সে কখনো দেখেনি। কৌশিক বলতে গেলে নিজের অজান্তেই আস্তে আস্তে হারুনের ঘরের দিকে এগোয়। বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে তাকায় বহুদিনের পরিচিত মানুষটির দিকে, জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে আসা বাইরের আবছা আলোতে সেই মুখটা দেখে তার ঘৃনা জন্মে, ভুলে যায় তার প্রথম ঘুড়ি উড়ানো এই লোকটাকে সাথে নিয়ে, তার প্রথম সাইকেলে চড়া এর হাত ধরে, বৈশাখী মেলায় টমটম গাড়ির বায়নাও করতো সে এর কাছে। হঠাৎ কি যেন হয় তার, মুখ থেকে একদলা থুতু সে ছিটিয়ে হারুনের মুখে আর দুই হাত দিয়ে গলাটা চেপে ধরে। হঠাৎ গোঙ্গানীর আর পা ছোড়ার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় রাহেলার, চোখের সামনে আলো আঁধারিতে কৌশিককে হারুনের গলা চেপে ধরে থাকতে দেখে সে অবাক হয়, মূহুর্তের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় তাকে। কৌশিক আর দাঁড়ায়না, এক দৌড়ে বের হয়ে আসে বাসা থেকে, পাশের মাঠটাতে এসে হাটু গেড়ে বসে হাউ হাউ করে কেঁদে উঠে সে। রাতের নিঃশব্দতা ছাপিয়ে কৈশিকের কান্না চলে যায় অনেক দূর, হয়তবা রসুলপুর স্কুলের পেছনটাতে সেই বটগাছের নিচে পুংলী নদীর তীরেও তার রেশ পাওয়া যায়।


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

জাহিদ বস,
তোমার এই গুনের খবর তো জানা ছিল না!!
আমাদের সচলায়তনের সবচাইতে সিরিয়াস লেখকদের মাঝে তুমি অন্যতম। সচরাচর তুমি যা যা নিয়ে লেখ, এই লেখা সেগুলোর চেয়ে সম্পূর্ণ রকমের ভিন্ন।শুধু তাই নয়---লেখাটাও আমার খুব মনে ধরেছে।

চমৎকার গল্প। ভাষাটা স্বচ্ছ,নির্ভার,নির্মেদ। গল্পের গাঁথুনীটাও বেশ লাগল।তবে আমার মনে হয়েছে, তুমি কাহিনীতে পুত্রের মনে যে দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছ, সেইখানে আরো একটু বেশি সময় খরচ করতে পারতে। এটা কেবল আমার একটা অভিমত।

আরো চমৎকার চমৎকার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

শুভেচ্ছা নিরন্তর

সচল জাহিদ এর ছবি

ভাইয়া, আপনার মন্তব্য পড়ে ভাল লাগল। এই লেখাটি নিয়ে সময় দিয়েছি, তবে আপনার সাথে সহমত দ্বন্দের বিষয়টাতে। আমি আসলে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছিলামনা। এরকম পরিস্থিতিতে একটি ছেলের মনের অস্থির অবস্থা প্রকাশের খুব বেশি উপমা আমি খুঁজে পাচ্ছিলামনা। আমার ধারনা এটা গল্প লেখার অনভ্যাস থেকে হতে পারে।

বস, সাহস কইরা একটা গল্প লেইখা ফালাইছিলাম সেইদিন। সবাই বাহবা দিল কইল আরো লিখতে আর আমিও গাছে চইড়া বসলাম। এখন দেখি মই সরিয়ে নেয়ার আগ পর্যন্ত কিছু লেখে যাই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

গল্প ভাল্লাগছে। আগেরটা ও ভাল্লাগছে। আরো লিখ।

সচল জাহিদ এর ছবি

গল্পকারদের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে ভাল লাগছে, ধন্যবাদ বন্ধু।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

খুবই ভাল হয়েছে গল্পটা বস। প্লটটা অসাধারন। তুমি আরেকটু বড় করতে পারতা। ছোটগল্পে যেমন কিছু কথোপকথন থাকে, সেটা একটু মিস করেছি। কিছু কথোপকথন থাকলে পড়তে বেশী মজা লাগে।
চালিয়ে যাও গুরু। আগেই বলেছি, আমরা মই সরিয়ে নেবনা।

(একটু টাইপোর কথা বলি, কিছু মনে কইরো না। প্রথম আর দ্বিতীয় প্যারাতে 'লাবলু'র বদলে দুবার তুমি 'শামীম' লিখেছ - একবার শামীমের লাশ, ও আরকবার নদী পার হওয়ার সময়! একটু সংশোধন করে দিও। )

======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

সচল জাহিদ এর ছবি

কায়েশ গুরু, আসলে এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি। কথোপকথন দেবার কিছু সুযোগ ছিল বিশেষ করে বাসায় ফিরে মায়ের সাথে, কিন্তু আসলে লাবলুর আবেগটাতে তাতে কতটুকু ফুটবে সেটা নিয়ে সদ্বিধায় ছিলাম।

চিন্তা করে দেখ আমি এতবার দেখলাম পোষ্ট করার আগে , কম করে হলেও তিন বার সম্পাদনা করেছি, অথচ ঠিকই এই জাতীয় ভয়াবহ টাইপো ভুল রয়ে গেছে। এজন্যই মনে হয় কাউকে না কাউকে প্রুফ দেখতে হয় , একটা পর্যায়ে নিজের ভুল নিজের চোখে পড়েনা। যাই হোক সচলে গুনী পাঠকরা এইগুলো ধরিয়ে দেয় বলে আমরা সবসময় তা প্রত্যাশ করিও। তোমাকে ধন্যবাদ আবারো।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

বাউলিয়ানা এর ছবি

গল্প খুব ভাল লাগছে জাহিদ ভাই।
(Y)

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ বাইল ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

বোহেমিয়ান এর ছবি

গল্প ভাল্লাগ্লো ।
তবে কথোপকথন মিস করলাম । শুধু বর্ণনার চেয়ে সাথে কথোপকথন থাকলে আরো ভালো লাগত ।
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

সচল জাহিদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বোহেমিয়ান। কথোপকথনের বিষয়ে উপরে কাকুল কায়েশের মন্তব্যের উত্তরে কিছুটা আলোকপাত করেছি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

দুইটাই খুব ভালো লাগলো। ৫তারার বেশি দিতে পারলাম না।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

বইখাতা এর ছবি

আমার মনে হয়, গল্পটা আরো বড় ক্যানভাস দাবী করে। গল্পে ঘটনা কিন্তু কম না। শামীমদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে গিয়ে লাবলুর হারুনের কাছে ধরা পড়া, নির্যাতন এবং মৃত্যু, রাহেলার কাছে হারুনের আগমন, তাদের বিয়ে, ঘৃণা পুষে রাহেলার দ্বিতীয় জীবন, হারুনের পুনর্বাসন, কৌশিকের নিজের বাবার পরিচয় খুঁজে পাওয়া, তার অন্তর্দ্বন্দ্ব, হারুনকে খুন করতে যাওয়া - এ সবকিছু ছোট পরিসরে একটানে বলে দিয়েছেন। হয়তো এজন্যেই চরিত্রগুলি তাদের অনুভূতির জোরাল প্রকাশ ঘটাতে পারেনি। তবে গল্পটা পড়তে ভাল লেগেছে। আরো ভালো করতে পারতেন, আপনার লেখা পড়লে কিন্তু সেটা বোঝা যায়।

সচল জাহিদ এর ছবি

চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইল। আপনার সাথে পুরোপুরি একমত, ক্যানভাস আসলেই বড়। লেখাটা শেষ করার পরে আমার নিজেরও মনে হচ্ছিল যেন আমি বড় কোন গল্পের কাহিনী সংক্ষেপ করে কাওকে শোনাচ্ছি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

আমিও ঠিক একথাই বলতে চাচ্ছিলাম জাহিদ বস্।
আমি শুধু বলেছিলাম যে, প্লটটা অসাধারন। কিন্তু বইখাতা ভাই খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যাটা দিয়েছেন। চরিত্রগুলো আসলেই আরো মনোযোগের দাবী রাখে, তোমার আরেকটু আশীর্বাদ পেলে চরিত্রগুলোর আরো স্বতঃস্ফুর্ত বহিপ্রকাশ ঘটতো।
যাই হোক, সবচে' বড় কথা হল, এধরনের বাস্তবধর্মী অসাধারণ প্লট তোমার মাথা থেকে বের হয়েছে। তুমি চালিয়ে যাও গুরু।

=====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার গল্প বেশ ভাল লাগল। সিরিয়াস কিছু বিষয় নিয়ে লিখছেন আপনি, যার আসলেই প্রয়োজন ছিল। আরো লিখুন অবশ্যই।

কথোপকথন ছাড়া শুধু ন্যারেটিভ দিয়েই ভাল গল্প লেখা যায়। অতএব সে নিয়ে অভিযোগ করছি না। আপনি ভাল লেখেন, অতএব সে বিষয়ে দক্ষতাও আপনার দ্রুত চলে আসবে নিশ্চয়ই।

একটা কথা, "হাউ মাউ করে কেঁদে উঠে সে" এটা হাউ হাউ হবে না?

কৌস্তুভ

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তভ আপনার মন্তব্যের জন্য।

একটু খুঁজে দেখলাম ( উইকি লিঙ্ক এবং রবীন্দ্র রচনাবলী লিঙ্ক) , রবীন্দ্রনাথ তার ঘরে বাইরে উপন্যাসে হাউ হাউ এবং হাউ মাউ দুটোই ব্যবহার করেছেন। তবে হাউ মাউ এর মাঝখানে হাইফেন দিয়েছেন অর্থ্যাৎ হাউ-মাউ অন্যদিকে 'হাউ হাউ' এর মাঝখানে কিছু নেই। সেই বিচারে এটাকে আমি হাউ-মাউ হিসেবে সম্পাদনা করে দিলাম। ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্য।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার দৃষ্টিভঙ্গি বলছি এখানে। আপনি একমত নাই হতে পারেন।

হাউ-মাউ করা'র অর্থ হাল্লাগুল্লা বা গন্ডগোল করা। যখন রবীন্দ্রনাথ সিরিয়াস ভাবে কান্নার কথা লিখেছেন, তখন উনি হাউ হাউ ব্যবহার করেছেন, যেমন "মেরে অনুতাপে হাউ হাউ করে কাঁদত"। আর যখন উনি রসিকতার সুরে লিখছেন, "এমন সময়ে হাউ-মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে আমার ঘরের ক্ষেমাদাসী এসে উপস্থিত", অর্থাৎ তার কান্নাটা তার করা হট্টগোলের একটা অংশ মাত্র, তখন হাউ-মাউ ব্যবহার করেছেন।

এটা নিয়ে এতটা তলিয়ে দেখার জন্য ধন্যবাদ। আরিফ ভাইয়ের লেখাটার সুর ধরে বলি, এই যে পাঠকের মন্তব্য লেখক সরাসরি পাচ্ছেন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা এমনকি লেখা সম্পাদনাও করছেন, এটাই ব্লগকে সাধারণ মুদ্রণ মাধ্যমের থেকে আলাদা করে দেয়।

কৌস্তুভ

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনার ব্যখ্যায় যুক্তি আছে, বিষয়টা এই ভাবে ভেবে দেখিনি। আমি হাউ হাউ ই সম্পাদনা করে দিলাম। ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- (চলুক)

সকল সামাজিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে হারুনদেরকে প্রথম সুযোগেই তাদের প্রাপ্য দণ্ডটা দেয়া গেলেই সঠিক কাজ হতো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সচল জাহিদ এর ছবি

সেটাই আসল কথা ধুগোদা ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জাহিদ ভাই, এতোদিন গল্প লেখেননি কেন! আপনার লেখার হাত ভীষণ ভালো। এই গল্পটাও দারুণ। বিশেষ করে প্লট। চমৎকার বর্ণনার পাশাপাশি আমার কাছে মনে হলো গল্পের বেশ অনেক জায়গা আরও ব্যাপ্তি দাবি করে। বিশেষ করে মাঝে এবং শেষদিকে। একটা লম্বা সময়কাল অল্প কয়েক লাইনে লেখা, মনে হলো।

স্রেফ ব্যক্তিগত একটা চিন্তা শেয়ার করি। অনেক সময়ই আমাদের মনে হয় যে লেখা বড়ো হয়ে গেলে হয়তো পাঠকরা পড়বেন না। সেই চিন্তা লেখার উপরও প্রভাব ফেলে। জানি না আপনার মাথায় এই চিন্তা আসছে নাকি, আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে, গল্পের আকার না, বরং প্রয়োজন অনুযায়ী লিখে যান। (আপনি এমনটা নাও ভেবে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিছু মনে করবেন না।) :-)

সচল জাহিদ এর ছবি

প্রহরী চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। এতদিন গল্প লিখিনি আসলে ভয়ে, ভেবেছি পারবনা আবার সাহস করে লিখে ফেললাম। প্লটটি নিয়েই বেশি চিন্তা করেছি কিন্তু সেইভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি হয়ত।

আসলে একথা ঠিক, সচলে লেখার সময় পাঠকদের কথা চিন্তায় আসে, সেটা যে মাঝে মাঝে লেখাকে প্রভাবিত করে সেকথা অস্বীকার করবনা, তবে এক্ষেত্রে আমার গল্পটাকে খুব বেশি বড় করার পরিকল্পনা ছিলনা। পাঠকদের মন্তব্য দেখে এখন মনে হচ্ছে আরেকটি বিস্তৃত করা যেত।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

প্রথম কথা হচ্ছে, জাহিদ ভাইয়ের গল্প লেখা শুরু করে আমাকে প্রথমে বিস্মিত ও পরে ঈর্ষান্বিত করছেন। আরেকজন গল্পকার আসলেন সচলে। আহা, যদি আমাদের সব স্যারেরাই এরকম হতেন... :p

দ্বিতীয় কথা, একদম ফ্রাঙ্কলি বলি- আপনি আসলেই 'বড় গল্পকার' বা ঔপন্যাসিকের বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন। এই লেখাটা পড়ে আমার বারবার মনে হচ্ছিলো উপন্যাস বা বড় গল্প পড়ছি, যেটা লেখক একটু দ্রুততায় শেষ করেছেন...। বইখাতাপু'র মন্তব্যটায় সহমত।

শেষ কথা, কথোপকথনটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ না খুব একটা- আপনার বর্ণনায় যেভাবে সুবিধা/স্বাচ্ছন্দ্য, সেটাতেই আপনার লেখা উচিৎ...

_________________________________________

সেরিওজা

সচল জাহিদ এর ছবি

সচলে আমার প্রিয় গল্পকারদের একজনের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে ভাল লাগছে। তোমাদের সবার ফিডব্যাক আমার লেখাকে যাতে আরো সমৃদ্ধ করুক সেই প্রচেষ্টা থাকবে অহর্নিশ। কথোপকথান এর বিষয়ে তোমার সাথে একমত।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনন্ত [অতিথি] এর ছবি

জাহিদ ভাই, এই গল্পের বিষয়বস্তুটা অসাধারণ। আর আপনাত বর্ণনাভঙ্গীও চমৎকার। আপনারা আলবার্টার মানুষেরা দেখি সব সাহিত্যিক হয়ে যাচ্ছেন। :)

এই গল্পে আমার পর্যবেক্ষণ আগেই আলোচনা হয়ে গেছে। যেমন, কথোপকথন, গল্পের ব্যাপ্তি। আমি আর এই নিয়ে কিছু বলছি না, শুধু চাইব এই থিমকে আপনি উপন্যাসে নিয়ে যাবেন।

===অনন্ত===

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ অনন্ত।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।