এই প্রকল্প নিয়ে চীন যা বলছে বা ভাল করে বললে সংবাদ মাধ্যম থেকে যতটুকু জানা যাচ্ছে তার সারাংশ নিম্নরূপঃ
শুরুতেই পানিবিদ্যুতের 'রান অফ দি রিভার' পদ্ধতি একটু ব্যাখ্যা করি। সাধারণত পানিবিদ্যুৎ বলতেই আমাদের চোখে ভাসে কাপ্তাইয়ের কথা, অর্থাৎ একটি বাঁধ তার উজানে বিশাল একটি জলাধার আর বাঁধের ধারে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। কথা সত্য, সাধারণ পদ্ধতিতে পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন বিষয়টা সেরকমই। যেহেতু নদীতে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর পানি আসে আর শুষ্ক মৌসুমে ন্যূনতম পানি থাকে সুতরাং পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি স্থির ধারায় পানির প্রবাহ নিশ্চিৎ করার জন্য প্রকল্পের উজানে বিশাল জলাধার নির্মাণ করা যায় যাতে বর্ষা মৌসুমের উদ্বৃত্ত পানি ধরে রাখা হয় আর শুষ্ক মৌসুমে তা ব্যবহার করা করা হয় ফলে সারা বছর একটি মোটামুটি স্থির মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সবচাইতে দুর্বল দিক হচ্ছে উজানের জলাধার নির্মাণের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয় আর ভাটি অঞ্চলের নদীতে বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রবাহের কোন তারতম্য না হওয়া যা কিনা নদীর ঐ অংশের জলজ বাস্তুসংস্থান নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।সেই সাথে ভাটিতে নদী ক্ষয় এবং সেই ক্ষয়িত পলির আরো ভাটিতে পরিবাহিত হওয়াও এর মধ্যে পড়ে। এর বিপরীতে 'রান অফ থে রিভার' পদ্ধতিতে যা করা হয় তা হচ্ছে, নদীতে আড়াআড়ি বরাবর বাঁধ দিয়ে প্রবাহকে ঢালু টানেলে (Penstock) করে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়া হয় তার পর সেই ঢালু টানেলের উচ্চতার ব্যবধানকে কাজে লাগিয়ে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
চিত্র ১- ঢালু টানেল বা Penstock [সুত্র উইকিমিডিয়া কমনস]
চিত্র ২- ঢালু টানেল বা Penstock [সুত্র উইকিমিডিয়া কমনস]
এই পদ্ধতির সুবিধে হিসেবে বলা হয়ে থাকে উজানে পানি ধরে রাখার দরকার নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যেহেতু বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে প্রাকৃতিক প্রবাহের কারণে তাই উৎপাদনে হার পরিবর্তনশীল এবং অপেক্ষাকৃত কম।
এবারে আসি চীনের গৃহীত প্রকল্প বিশ্লেষণে। প্রকল্পটি 'রান অফ দি রিভার প্রকল্প' হবে সেকথা আমরা জানতে পেরেছি চীনের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে, সুতরাং ধরে নেয়া যায় তা কূটনৈতিক ভাবে বর্তমানের প্রেক্ষাপটে তা সঠিক, তবে মেনে নেয়া বেশ কঠিন অন্ততপক্ষে প্রযুক্তিগত দিক থেকে। আশঙ্কা কেন আসে সেটা ব্যাখ্যা করছিঃ
প্রথমতঃ হিমালয়ের পাদদেশে তিব্বত বা চীনে বছরের শতকরা ৮০ ভাগ বৃষ্টিপাত হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর বাকি আট মাসে মাত্র শতকরা ২০ ভাগ বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট সবসময়ই প্রকট। সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলে 'রান অফ দি রিভার' পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প অর্থনৈতিক ভাবে ফিজিবল হবার কথা নয়।
দ্বিতীয়ত চীনের উত্তর-দক্ষিণ পানি স্থানান্তরের পরিকল্পনা এই প্রকল্পের সাথে সম্পর্কযুক্ত সেক্ষেত্রে মাত্র ৫১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘোষণা সন্দেহ আরো বাড়িয়ে দেয় যেখানে চীনের আগের পরিকল্পনা ছিল ৪০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পানিকে ইয়ারলুং সাংপু নদী থেকে স্থানান্তর করে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শিনজিয়াঙ ও গানসু (Xinjiang and Gansu) প্রদেশে নিয়ে যাওয়া। যদিও চীন অদ্যবধি এই প্রকল্পকে অস্বীকার করে আসছে। ২০০৯ এর নভেম্বরে ভারতের তথ্য প্রমাণের বিপরীতে সেসময় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালর এই প্রকল্পের কথা অস্বীকার করেছিল। অথচ আজ মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে আমরা এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরুর ঘোষণা দেখছি। সুতরাং চীন আজকে যা বলছে যা আগামীকালের জন্য যে কতভাগ সত্য তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
তৃতীয়ত আন্তর্জাতিক নদী আইন স্বাক্ষর করি আর নাই করি পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য হলেও চীনের উচিৎ ছিল এই প্রকল্পের কথা এই ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশকে পরিকল্পনা বা নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই অবহিত করা অথচ চীন তা করেনি, অবশেষে তখন করেছে যখন হাতেনাতে ধরা পড়েছে। সুতরাং এর ভেতরে আরো কত কথা আছে তা আমাদের জানার কোন মাধ্যম নেই আপাতত।
আমি জানিনা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে চীনের সাথে কোন কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে কি না। সেই সাথে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমও খুব বেশি তৎপর নয় বলে আমার ধারণা কারণ এটি নিয়ে বিশেষ কোন সংবাদ অন্তত আমার চোখে পড়েনি গতকাল বা আজকে। অথচ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ত্ব বহন করে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্যই।
পাদটীকা
১) চীনের ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ নির্মাণের ঘোষণার খবরের লিঙ্কঃ
| লিঙ্ক-১ | লিঙ্ক-২ | লিঙ্ক-৩ |
২) এই প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে আমার 'দক্ষিণ এশিয়ার পানিবিরোধঃ চীনের ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রত্যাহার প্রকল্প' সিরিজটি থেকে। আমি নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি, আগ্রহী পাঠক পড়তে পারেনঃ
| প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব | চতুর্থ পর্ব | শেষ পর্ব |
৩) এই প্রকল্পের উপরে একটি লেখা গত ২৭ জানুয়ারী ২০১০ এ দৈনিক কালের কন্ঠের রাজকূট ফিচার পাতায় প্রকাশিত হয়। লেখাটি উপরোক্ত সিরিজের সংক্ষেপিত রূপ বা সারমর্ম। আমি নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি, আগ্রহী পাঠক পড়তে পারেনঃ
এবার ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহার করবে চীন
অথবা সচলায়তনের এই লিঙ্ক থেকেঃ
মন্তব্য
ধন্যবাদ ব্যাপারটা আলোচনা করার জন্য। অন্ততপক্ষে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ভারতও এতে সমানভাবে এফেক্টেড হবে, সুতরাং কূটনৈতিক আলোচনাটা দুই পক্ষ থেকেই হবে।
ধন্যবাদ নৈষাদ। হ্যাঁ এক্ষেত্রে ভারত থাকায় চীনের সাথে কূটনৈতিক আলোচনা ইতিবাচক হবে আশা রাখি। তবে বাংলাদেশকেও আলোচনার জন্য উদ্যোগী হতে হবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চমৎকার আলোচনা। এর পরের ঘটনাবলি জানার অপেক্ষায় রইলাম।
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ বুনোহাঁস। এর পরে কি হয় সেটা জানার জন্য আমরা সবাই উদ্গ্রীব। বানান সম্পাদনা করে দিলাম, ধন্যবাদ আবারো।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অবগত হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ। দেখা যাক আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় কিনা।
ধন্যবাদ পিপিদা। আশা করব বাংলাদেশের কূটনৈতিক মহল বিষয়টি গুরুত্ত্বের সাথে নেবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নদীর মাছগুলো টারবাইনে পড়লে কি দশা হবে ? নদীতে তো মাছ থাকবে না তাহলে !
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নদীতে বাঁধ দেয়া মানে ভাটির বিস্তীর্ণ এলাকার মৎস্য সম্পদ সহ বাকি জলজ বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করে দেয়া।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তার মানে দাড়ালো বাংলাদেশে ব্যাপক হারে জলবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মান অর্থ মৎস সম্পদ ধ্বংস করা ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কিছুটা সেরকম। হিমু নিচে কিছু লিখেছে এর প্রতিকার নিয়ে। আলোচনাটা ওর মন্তব্যেই করি।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জলশক্তিপ্রযুক্তির ওপর একটা কোর্স ছিলো আমার। জার্মানিতে বহু আগে থেকেই নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে পানির স্থিতিশক্তি আর গতিশক্তি দুটোই কাজে লাগিয়ে দুই ধরনের বাঁধ থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়ে আসছে। নদীর ওপর কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করলে ফিশপাস বলে একটি ব্যবস্থা নির্মাণ এখানে বাধ্যতামূলক। ফিশপাস মানে মাছের রাস্তা। জলাধার হোক বা না হোক, মাছের জন্যে যেন অবাধ বিকল্প পথ থাকে, সেটাই নিশ্চিত করা হয়। অবকাঠামো নির্মাণের আগে নদীতে মাছের চলাচলের জন্যে যে পথ ছিলো, সেটির জলীয় বৈশিষ্ট্য [বিশেষ করে স্রোতের বেগ] ফিশপাসে বজায় রাখা হয়।
পেনস্টক বসিয়ে বাঁধ নির্মাণ করলেও দেখেছি, একটা পৃথক চ্যানেল থাকে নদীর বায়ো-ফ্লোয়ের জন্যে। গোটা নদীতে বাঁধ দেয়ার অর্থ, বায়োস্ফিয়ারকে ভৌগলিকভাবে খণ্ডিত করা, এবং কিছু কিছু প্রজাতির প্রজননকে পুরোপুরি স্থগিত করা।
হিমু ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নদীতে বাঁধ কিংবা ব্যারেজ বা অন্য যেকোন কাঠামো যা নদীর গতিপথকে বাধাঁর সৃষ্টি করে তার সমাধান হিসেবে ফিশপাস একটি সহায়ক বিকল্প পদ্ধতি মাত্র। এখনো এটি নিয়ে বিস্তর গবেষণা হচ্ছে। ফিশপাস দিয়ে উজান থেকে মৎস্য ভাটিতে যাওয়ার জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতি হলেও মাছের প্রজননের সময় ভাটি থেকে উজনে যাবার ক্ষেত্রে এটির ব্যবহারিতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। বাঁধ যদি হেডওয়াটার জোনে ( নদীর উৎপত্তির কাছাকাছি পাহাড়ি এলাকা) হয় সেক্ষেত্রে মাছের উপর বাঁধের প্রভাব এই প্রভাব অনেক কম কিন্তু যদি তা বাংলাদেশের মত মোহনায় কাছাকাছি অঞ্চলে হয় সেক্ষেত্রে এর প্রভাব অনেক বেশি।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দেখা যাক বাংলাদেশের মরুভূমি হওয়া ঠেকায় কে!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তথ্যবহুল লেখা। ধন্যবাদ।
______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি
______________________________________
লীন
ধন্যবাদ আপনাকেও।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
স্যার, লেখাটা অনেক তথ্যসমৃদ্ধ তবে "রান অফ দি রিভার" জিনিসটা আসলে খারাপ না। এটা নদীর উজানে তেমন উল্লেখযোগ্য জলাবদ্ধতা তৈরী করে না, মাছেরও তেমন একটা ক্ষতি করে না। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া(কানাডা) য় বড় বড় হাইড্রো-পাওয়ার প্লান্ট এখন আর তেমন হচ্ছে না কিন্তু এইসব ছোট ছোট "রান অফ রিভার" প্রজেক্ট ঠিকই হচ্ছে। তবে এখানে বড় সুবিধা হল এখানকার টপোগ্রাফি। চীনও এসুবিধাটা পাবে বলে আমার মনে হয়। তবে আপনার আশংকাটা সত্যি হলে বাংলাদেশের জন্য সেটা বিশাল সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশ সরকার আসলে কতটুকু কি করতে পারবে সেটা নিয়ে আমার বিস্তর সন্দেহ আছে। তারা ভারতকেই কিছু বলতে পারে না (টিপাইমুখ, তিস্তা ইত্যাদি) আর চীনকে তো প্রশ্নই আসে না।
পাগল মন
মামুন 'রান অফ দি রিভার' পদ্ধতি নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ নেই। আমার আশঙ্কা হিমালয়ের দূর্গম গিরিপথ অঞ্চলে মাত্র ৫১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য চীন এই প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা নয়, হয়ত এর পেছনে বড় কোন প্রকল্প লুকিয়ে আছে যা আমি আমার সিরিজে উল্লেখ করেছি।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তথ্যবহুল প্রয়োজনীয় পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জাহিদ। রান অফ দি রিভার' কি সেটা জানতাম না, চীনের বাঁধের ব্যাপারটাও অজানা ছিল। যেহেতু ভারত এবং বাংলাদেশের অভিন্ন স্বার্থ এই বিষয়ে, আশাকরি ফেভারেভল একটা সমাধান আসবে আমাদের জন্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। আমারো সেই আশা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার প্রথম পয়েন্টটা নিয়ে একটু আলোচনা করি। তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের জল মৌসুমী বৃষ্টিপাতের দ্বারা ততটা প্রভাবিত হয়না যতটা ভারত ও বাংলাদেশে হয়। আমি মনে হয় একটা স্টেশনের (লাসার কাছে, YANGCUN) তথ্য দেখেছিলাম জিআরডিসি র ডেটাবেসে যেখানে মনে পড়ে চীনের অংশে ব্রহ্মপুত্র শুখা মরসুমেও ভারতের (পান্ডু) তুলনায় প্রায় দশভাগের একভাগ জল বহন করে। শুধু তাই নয়, চীনের সাংপো থেকে ব্রহ্মপুত্রের জলের মাত্র এক তৃতীয়াংশ আসে। তাই চীনে জল জমা করে রিজার্ভার বানিয়ে প্রজেক্ট করলেও বাংলাদেশে তা কতটা প্রভাব ফেলবে তা আমি নিশ্চিত নই। অবশ্যই জল সরানোর কথা হলে সেটা আলাদা ব্যাপার।
তাছাড়া, রান অব দ্য রিভার প্রকল্পের সাফল্য অনেকটা স্লোপের ওপরও নির্ভর করে বলা আমার ধারণা, অর্থাৎ নদী যেখানে হঠাৎ করে অনেকটা নেমে গেছে (যেমন নায়াগ্রা জলপ্রপাত), সেই অঞ্চলে রান-অব-দ্য-রিভার প্রকল্প সফল হতেই পারে। ফিসেবিলিটি নিয়ে আপনার সন্দেহের কারণ বুঝলাম না।
তবে এবারের সফরের পরে ভারতের সরকারী ও বিরোধী পক্ষ অনেক চুপচাপ। সন্দেহ হতে পারে চীন হয়ত ভারতের সাথে তাদের গ্র্যান্ড প্রকল্প নিয়ে সমঝোতায় আসতে চাইছে ও গোপনে তা নিয়ে কথাবার্তাও চলছে। ভারতের সাথে বিদ্যুত ভাগাভাগির সমঝোতায় এসে চীন প্রকল্প হাতে নিতেও পারে, তবে আমার সন্দেহ প্রোজেক্টের ফিসেবিলিটি নিয়ে। চীনের জনসংখ্যা যেহেতু একটা সময়ের পরে কমতে থাকবে, জলের প্রয়োজনীয়তা তাদের কমেও যেতে পারে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নতুন মন্তব্য করুন