• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশঃ সিইজিআইএস এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট ও মিডিয়া

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বুধ, ১২/০৫/২০১০ - ১২:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভুত জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে যেসব দেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বলে ধারণা করা হয় বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের বড় বড় জিসিএম ( General Circulation Model বা Global Climate Model) গুলো আগামী শতকে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার কারণে সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর কোন কোন স্থানগুলো সমুদ্রতলে বিলীন হয়ে যাবে তার একটা ধারণা দিচ্ছে যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত। তবে যেকথা সত্য তা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত যেকোন ভবিষ্যৎবাণীই অমেঘ সত্য নয়, বরং বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তিকে ভিত্তি করে সেটা একটা সম্ভাবনা মাত্র। আরো ভাল করে বলতে গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যপট আসলে ভবিষ্যতের জলবায়ুর বাস্তব রূপায়ণ নয় বরং তা বর্তমানের প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমন বা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্ন নিয়ামক একটি নির্দীষ্ট হারে বাড়লে তার কি কি প্রভাব জলবায়ুর উপর পড়বে সেই জাতীয় একটি ধারণা মাত্র।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে নদীপ্রবাহের কিরূপ সম্পর্ক তা নিয়ে আগের একটি লেখায় কিছু সহজ ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম।খুব সহজে বললে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাধারণ প্রভাব নিম্নরূপঃ

  • বিপুল জলরাশির তাপমাত্রার ফলে প্রসারণ ( ছোটবেলায় পড়েছি সবাই যে তাপমাত্রা বাড়লে আয়তন বাড়ে) আর সেই সাথে মেরু অঞ্চলের বরফের একটা বিশেষ অংশ গলে গিয়ে সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি।

  • তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অধিক পানি স্বতঃবাষ্পীভুত হবে ফলে বৃষ্টিপাত বাড়বে ফলশ্রুতিতে বর্ষা মৌসুমে নদীতে প্রবাহ বাড়বে।

  • যেহেতু অধিক হারে পানি স্বতঃবাষ্পীভুত হবে তাই শুষ্ক মৌসুমে মাটিতে পানির পরিমান কমে যাবে এবং খরা দেখা দিবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ ডুববে নাকি ডুববে না? সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আইপিসিসির রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী শতকের শেষে ( ২১০০ সালে ) সমুদ্র সমতলের উচ্চতা ০.৬ মিটার বাড়বে আর মৌসুমী বৃষ্টিপাত ২৬% বাড়বে সুতরাং বাংলাদেশের মত একটি ব-দ্বীপের পক্ষে এই উপাত্তের ভিত্তিতে বেঁচে থাকা খুব কষ্টকর।

এই যখন প্রেক্ষাপট ঠিক সেই সময় গত ২৩ এপ্রিল ২০১০ দেশের সংবাদ মাধ্যমের (প্রথম আলো , ডেইলী ষ্টার) বরাতে আমরা একটি আশার বাণী শুনতে পেলাম,

বাংলাদেশের ডুবে যাবার সম্ভাবনা নেই বরং নতুন কিছু এলাকা বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

কয়েকদিনের মধ্যে সেই আশা বিস্ফোরিত হলো সাংবাদিকের কলামে, ব্লগারের হাত ধরে ব্লগে, চায়ের টেবিলে কিংবা ড্রয়িং রুমের আড্ডা থেকে ফেইসবুকের পাতায় পাতায়। বলতে দ্বিধা নেই পানিসম্পদ প্রকৌশল নিয়ে দুপাতা পড়া থাকায় বোধহয় মিডিয়ার সংবাদে খুব বেশি আশান্বিত হতে পারিনি। চেষ্টা ছিল যে প্রতিষ্ঠানটি গবেষণাটি করেছে তাদের মূল রিপোর্টটি হাতে পাবার। সেটি অবশ্য হাতে মিলল তবে বিস্তারিত রিপোর্ট নয় বরং তার একটি সংক্ষেপিত রূপ। ইতিমধ্যে অবশ্য ঐ গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের প্রতিক্রিয়ায় তাদের ব্যাখ্যা প্রদান করে ২৬ এপ্রিল ২০১০ এ ( প্রথম আলো ) যার মূল বক্তব্য ছিল,

'বাংলাদেশ ডুববে না শিরোনামটি আমরা যা বলিনি এবং গবেষণা থেকে পাইনি এমন একটি বার্তা দিতে পারে।'

একথা অমেঘ সত্যি যে রিপোর্টে যা ছিল তাকে সংবাদপত্র ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছে কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় এমন কি ছিল যা কিনা দেশের প্রধান সংবাদ মাধ্যমের কাছে ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রকাশ করতে হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পাবার আগে চলুন ঐ রিপোর্টের ছোট খাট একটি ব্যবচ্ছেদ করা যাক। চেষ্টা করেছি সহজভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত জিনিসগুলোকে সাধারণ পাঠকের উপযোগী করে তুলতে তার পরেও কোন কিছু বুঝতে না পারলে লেখক হিসেবে মন্তব্যে তা ব্যখ্যা করার আশ্বাস দিয়ে রাখছি শুরুতেই।

কি আছে সিইজিআইএস এর রিপোর্টেঃ

'‌Brief note on the findings of Field Based Research on the Impact of Climate Change on Bangladesh Rivers' শিরোনামে সিইজিআইএস এর ঐ রিপোর্টে মূলত করেকটি জিনিস তুলে ধরা হয়েছে,

  • ১০০ বছর পরে অর্থাৎ ২১০০ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভুত মৌসুমী বৃষ্টিপাত ২৬ ভাগ বেড়ে যাওয়া আর সমুদ্র সমতল ০.৬ মিটার উপরে উঠার সাথে বাংলাদেশের নদীগুলোর অভিযোজন।

  • বর্ধিত মৌসুমী বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর বর্ষাকালীন পানি প্রবাহ সমানুপাতে বেড়ে যাওয়া এবং তার ফলে নদীর গভীরতা ও প্রস্থ পরিবর্তিত হওয়া।

  • বর্ধিত প্রবাহের কারনে নদীর পাড় ভাঙ্গার পরিমান ও তলদেশ থেকে মাটি সরে যাবার ( Scour) পরিমান নির্নয় করা।

  • সর্বোপরি বর্ধিত পানি প্রবাহের সাথে বর্ধিত পলি প্রবাহ উপরের প্রক্রিয়াগুলোর উপর কতটুকু ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তা বের করা।

পুরো রিপোর্টিতে মূলত অতীতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় প্রকাশিত বেশ কিছু গবেষণা কাজের ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখানো হয়েছে। যে বিষয়টি বার বার এসেছে তা হচ্ছে অভিযোজন। রিপোর্টের উপসংহারে যাবার পূর্বে তাই অভিযোজন বিষয়টা একটু ব্যাখা করা প্রয়োজন।

ধরে নেয়া যাক মেঘনা নদীর প্রবাহ যা আছে তাই থাকল কিন্তু হঠাৎ করে বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে গেল। এই বর্ধিত সমুদ্রতলের ফলে নদীর পানি সাগরে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হবে, ফলে তার বেগ কমে যাবে। পানি প্রবাহের বেগ কমে গেলে এর সাথে আসা পলি নিচে পড়ে যাবে ফলে নদীর তলদেশ উচু হবে। নদীর তলদেশে উঁচু হলে নদীর পানির উপরিতলও উঁচু হবে।

এবারে একটু জটিলে যাই। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মেঘনা নদীর বর্ষাকালীন প্রবাহ আগের মত থাকবেনা, বাড়বে, আর সেই সাথে বেড়ে যাবে পলির পরিমান। বর্ধিত পানি প্রবাহ নদীর গভীরতাকে বাড়াবে আর অন্যদিকে সমুদ্রতলের বৃদ্ধি ও বর্ধিত পলি মিলে নদীর গভীরতাকে কমাতে চেষ্টা করবে। এই প্রক্রিয়াগুলো মিলে যদি নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যায় তাহলে নতুন এলাকা ডুবে যাবে আর যদি না বেড়ে যায় তাহলে নতুন এলাকা ডুববেনা। ধরে নেই নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে, এখন নদীর পাড়ের উচ্চতাও যদি বাড়িয়ে দেই তাহলে বেড়ে যাওয়া নদীর পানি কিন্তু আটকে থাকবে, বাইরে যেতে পারবেনা।

ঠিক এই সম্ভাবনাগুলিই বিশ্লেষণ করা হয়েছে ঐ রিপোর্টে, কারন জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে বর্ধিত বৃষ্টিপাত অববাহিকা থেকে অধিক পলিকে নদীতে নিয়ে আসবে, সেই পলি বর্ষাতে উপচে পড়বে নদীর পাড়ে। সুতরাং সিইজিআইএস এর গবেষণায় ধরে নেয়া হয়েছে সবকিছু মিলিয়ে নদীর তলদেশ যতটুকু উপরে উঠবে নদীর পাড় ঠিক ততটুকুই উপরে উঠবে ফলে বর্ধিত পানি নদী থেকে বাইরে আসবেনা এবং বাংলাদেশের ডুবে যাবার সম্ভাবনা কম এর ফলে। এই যে বর্ধিত সমুদ্র সমতল আর পানি ও পলি প্রবাহের নিজেদের মধ্যে মধ্যস্থতা একেই বলা যায় 'অভিযোজন' যা নিচের উপসংহারে বার বার চলে এসেছে।

এবারে সিইজিআইএস এর গবেষণার উপসংহার দেখা যাক,

  • বাংলাদেশের নদীসমুহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্ধিত সমুদ্র সমতলের উচ্চতা আর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পানি ও পলিপ্রবাহের সাথে দ্রুত অভিযোজিত হবে।

  • দীর্ঘমেয়াদী বর্ধিত পানি প্রবাহের ফলে নদী তার প্রস্থ ও গভীরতা পরিবর্তন করবে বা অভিযোজিত হবে সুতরাং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিপুল এলাকা ডুবে যাবার সম্ভাবনা যে আশঙ্কা এখন করা হচ্ছে তা ততটা আশঙ্কাজনক হবেনা।

  • আগামী ১০০ বছরে সমুদ্রসমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি যদি ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকে তাহলে মেঘনা মোহনায় এই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সমুদ্রতলের সাথে নদীর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পানি ও পলির অভিযোজন দ্রুত হবে।

  • ইতিপূর্বে বিভিন্ন গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে বর্ধিত জোয়ারের ফলে লবনাক্ততা বৃদ্ধির যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা কম হবে।

সিইজিআইএস এর রিপোর্টের দূর্বল দিকগুলোঃ

আমার বিচারে এই গবেষণার দূর্বল দিকগুলো নিম্নরূপঃ

  • যেকোন বৈজ্ঞানিক গবেষণাই বেশ কিছু ধারনার উপরে ভিত্তি করে শুরু করতে হয় যাকে আমরা Assumption বলে থাকি। আমার বিচারে এই গবেষণার সবচেয়ে দূর্বল দিক হচ্ছে নদীর তলদেশ যতটকু বাড়বে নদীর পাড় ঠিক ততটুকু বাড়বে এই এসাম্পশনটা।

  • এই গবেষণায় শুধু বর্ষা মৌসুমে বর্ধিত পানির ফলে লবনাক্ততা বাড়বেনা বলে নিয়ে উপসংহার টানা হয়েছে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ আগের থেকে কমবে, ফলে তখন অধিক লবনাক্ত পানি উপকূলীয় নদীগুলোর ভেতরে মোহনায় ঢুকবে। এই বিষয়গুলি বিবেচনায় নিয়ে আসা উচিৎ।

  • যেকোন জলবায়ু পরিবর্তনের গবেষনাতেই যেসব গানিতিক মডেল ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে একটি বেইজ পিরিয়ড ( অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৯৬১-১৯৯০) সালের প্রাপ্ত উপাত্ত দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হয়। অর্থাৎ আগেই জানা উপাত্ত দিয়ে পরীক্ষা করে নেয়া যে ঐ গানিতিক সুত্র সঠিক ফলাফল দিচ্ছে কিনা। আমি এই রিপোর্টে সেরকম কোন সিদ্ধকরণের নমুনা পাইনি।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও মিডিয়াঃ

একজন গবেষক হিসেবে আমি সিইজিআইএস এই গবেষনার সাধুবাদ জানাই এই জন্য যে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তিত নদী প্রবাহের সাথে পলি কতটা গুরুত্ত্বপূর্ণ সেই বিষয়টি তারা সামনে নিয়ে এসেছে। বিশেষত বাংলাদেশের মত পললভূমির ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অতীব গুরুত্ত্বপূর্ন। কিন্তু তাদের গবেষনার এই রিপোর্ট আসলে একটি প্রাথমিক অনুসন্ধান, ভাল করে বললে এই বিষয়টি নিয়ে যে গবেষণা প্রয়োজন তা অনুধাবনের একটি নির্নায়ক। সুতরাং কোন মতেই তা আশা বা নিরাশা কোনটারই দাবী রাখেনা। সেই বিচারে এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে জাতীয় গনমাধ্যমে বিশাল প্রচারের কোন যৌক্তিকতা অন্ততপক্ষে আমার বোধগম্য নয়। সংবাদিকরা প্রযুক্তিবিদ বা গবেষক নয়, তাদের দায়িত্ত্ব গবেষকদের গবেষনা লব্ধ ফলাফলের সারমর্ম মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। সুতরাং দেশের প্রধান দুটি সংবাদপত্রে 'বাংলাদেশ ডুববেনা' বা 'বাংলাদেশ নতুন ভূমি পাচ্ছে' জাতীয় সংবাদ, আর তা দেখে পনের কোটি মানুষের আশায় বুক বাধা, এবং পরে গবেষণা সংস্থার ব্যাখ্যায় পুনরায় নিরাশ হওয়া, এই কোন কিছুই হতোনা যদিনা পরিপূর্ন গবেষণা শেষ করে তার ফলাফল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হতো।

আরো যে জিনিসটি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে শেষ হয়ে যাওয়া ২০০৯ কোপেনহেগেন সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোকে আগামী সময়গুলোতে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কি কি পদক্ষেপ নিবে সেই বিষয়ে নির্দীষ্ট প্রকল্প জাতিসংঘের কাছে পেশ করতে বলা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সুনির্দীষ্ট গবেষণা না শেষ করে তার যাত্রাপথে বা মাঝপথেই মিডিয়ায় ঢাক ঢোল পিটিয়ে বাংলাদেশে ডুববেনা, আমাদের কিছু হবেনা জাতীয় খবর প্রকাশ করাটা কতটা কূটনৈতিকভাবে সিদ্ধ সেই প্রশ্নও রয়ে যায়।

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ

রাজিব কামাল
স্বাধীন
হাসান জোবায়ের


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমরা যারা এসব বুঝি কম, তারা পেন্ডুলাম হয়ে যাচ্ছি... :(
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

আসলে এক্ষেত্রে মিডিয়ার অবদানই বেশি। যেকোন গবেষণার ফলাফলকে সিদ্ধকরণের আগেই অনেক সময় তা মিডিয়ায় হিট খবর হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ গবেষণা প্রবন্ধ পড়েনা, তারা পড়ে সংবাদপত্র বা ব্লগ বা শুনে খবর। এখন গবেষণার ফলাফল পরিপূর্ন ভাবে পাবার আগেই যদি আমরা ঢাক ঢোল পিটিয়ে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেই তাতে তাদের পেন্ডুলাম না হয়ে আর উপায় থাকেনা।

সম্প্রতি এই ডুবে যাওয়া বা না যাওয়া নিয়ে মিডিয়ার খবরের উপর ভিত্তি করে অনেক কলাম লেখা হয়েছে, ব্লগেও লেখালেখি দেখেছি কিন্তু সবই ঐ মিডিয়ার খবরের পূনঃ বিশ্লেষণ। সুতরাং একটি অসম্পূর্ণ বিশ্লেষনকে কেন্দ্র করে আলোচনার পর আলোচনা হয়েছে কিন্তু আসল রিপোর্টটি কেউ খুঁজে দেখার প্রয়োজন বোধ করেনি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রাফি এর ছবি

আসলে এক্ষেত্রে মিডিয়ার অবদানই বেশি। যেকোন গবেষণার ফলাফলকে সিদ্ধকরণের আগেই অনেক সময় তা মিডিয়ায় হিট খবর হয়ে যায়।

ঠিক এটাই বলতে চাচ্ছিলাম। তবে এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিষয়ে চলমান গবেষণার ফলাফলও কিন্তু পরস্পরবিরোধী; অনেকেই অনেক কিছু বলছেন, শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকে কোনটা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

হিমু এর ছবি

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে উত্তর মেরুর পোলার ক্যাপ আইস গলে গেলে কিন্তু সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে না, কারণ ওটা ভাসমান বরফ। বাড়বে যদি গ্রীনল্যান্ড আর অ্যান্টার্কটিকার প্যাক আইস গলে যায়।

ঐদিন পত্রিকায় পড়লাম, মধুমতী নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে সেখানকার ফ্লোরা আর ফনা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। লোনা পানিতে জন্মায় এমনসব ঘাস জন্মাচ্ছে, শুশুকসহ আরো অনেক মাছ এখন নদীর বিরাট অঞ্চলে আর পাওয়া যায় না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অমিত এর ছবি

সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে না, কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়বে দ্রুত হারে, যেটা আবার গ্রীনল্যান্ড আর অ্যান্টার্কটিকার আইস শিট গলার জন্য প্রভাবক হিসাবে কাজ করবে।

সচল জাহিদ এর ছবি

আমি একটু যোগ করি। বরফ সূর্যের তাপের অধিকাংশ প্রতিফলিত করে ফলে কম অংশ শোষিত হয়। সেই বরফ যখন গলে পানি হয় তখন তা সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে খুব সামান্যই অধিক অংশ শোষন করে। সাধারন ভাবে বরফ মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ সূর্যালোক শোষন করে অন্যদিকে পানি করে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ। সুতরাং সামান্য বরফ গলে পানি হলে তা এই গলন প্রক্রিয়াকে আরো বেশি বাড়িয়ে দেয় যা প্রকারান্তরে পৃথিবীতে তাপ শোষনের হার বাড়িয়ে দেয়।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

হিমু এর ছবি

তা ঠিক। আমি বলছি না যে উত্তর মেরুর বরফ গলে গেলে সামগ্রিক উষ্ণায়ন প্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়বে না। শুধু বলছি যে ভাসমান বরফ গলে গেলে শুধু সে কারণে সাগরসমতলে পরিবর্তন হবে না। বরং খুব সামান্য পরিমাণ নিচে নেমে যাবে, কারণ বরফের ঘনত্ব পানির চেয়ে কম।

পড়েছিলাম যে উত্তর মেরুর বরফ গলতে শুরু করলে সেই পানি নিচে নেমে বিষুবীয় ও ক্রান্তীয় আটলান্টিক থেকে যে লোনা পানির স্রোত উত্তর দিকে তাপ বহন করে নিয়ে যায়, তাকে ব্যাহত করবে (পানির আপেক্ষিক স্যালিনিটি কমিয়ে দিয়ে)। ফলে উত্তর গোলার্ধের উত্তরাংশে আবার হিমায়ন শুরু হবে নতুন করে। এটার সত্যাসত্য জানি না অবশ্য।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শরতশিশির এর ছবি

জাহিদ, (তুমি করেই বলি, আমরা একই ব্যাচের), সিইজিআইএস-এর এই রিপোর্টটার ব্যাপারে আমি এখানকার এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন যে এই রিপোর্টটা কনক্লুসিভ না, আর রিপোর্টটা ''ফাঁস'' করে দেওয়া হয়েছে (এখানে পড়ো, পলিটিক্স আর ফান্ডিং-এর ব্যাপার-স্যাপার)। সো, দিস হ্যাজ আ ডিফেরেন্ট মিনিং টু পিপল হু আর ওয়ার্কিং অন ইট।

ডঃ আইনুন নিশাত-এর সাথে যোগাযোগ করেছো? ওঁনার মতামত কী এই বিষয়ে, যেহেতু ক'দিন আগ পর্যন্ত তিনি আইইউসিএন-এর প্রধান ছিলেন বাংলাদেশে?

সহজভাবে বিষয়টি বুঝিয়ে তোলার জন্যে অনেক ধন্যবাদ রইলো। :)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সচল জাহিদ এর ছবি

শরতশিশির ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আসলে সিইজিআইএস এর রিপোর্ট ফাঁস করার কিছু নেই। তারা রীতিমত সেমিনার ডেকে ফলাফল প্রদর্শন করেছে। সেখানে বাংলাদেশের পানিসম্পদের বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন। আমার আজকের পোষ্টের যে মূল তথ্যসুত্র তাও কিন্তু সেই সেমিনারে ছিলেন এমন একজনের কাছ থেকেই সংগ্রহ করা। সুতরাং এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। এই গবেষণাটি এডিবির অর্থায়নে একটি প্রকল্প ছিল। তবে সেমিনারে দেয়া হয়েছে রিপোর্টির সারমর্ম, মূল রিপোর্টটিতে বাড়তি কোন তথ্য ছিল কিনা সেটা নিয়ে নিশ্চিত নই। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার আর তা হলো এই রিপোর্টের সারমর্ম ভবিষ্যৎ প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য একটি পথ বটে।

নিশাত স্যার আজকাল সব কিছুতেই ভাসা ভাসা মন্তব্য করে, এটি নিয়েও করেছে সংবাদ মাধ্যমে। কারন আমার ধারণা একটি নির্দীষ্ট বিষয় নিয়ে সার্বিক মন্তব্য করার মত সময় এখন স্যারের খুব কম জোটে। আমি গঙ্গা সিরিজ লেখার সময় স্যারের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম ইমেইলে ও ফোনে। স্যার সাধুবাদ জানিয়েছিল। এরপর আর যোগাযোগ করা হয়নি। টিপাইমুখ নিয়েও স্যারকে বেশ অন্তরালেই রাখ হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে।

পুনশ্চঃ তুমি আমাদের ব্যাচের জেনে ভাল লাগল। ফেইবুকের লিঙ্ক দিও ইমেইলে (zahidripon@gmail.com)।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

রিপোর্ট ছাপা হবার পরদিন আমার ফেসবুক নোট টা ছিল এ রকম:

--------
'বাংলাদেশ ডুববে না'।

আমি ঠিক ঠাহর করতে পারছিনা এটা পরে আমার খুশী না দুঃখিত হওয়া উচিত। না বুজতে পেরে আপাতত এক বুঝা না বুঝার চিপায় আমার অবস্থান। গতকাল 'বাংলাদেশ ডুববে না' এটা ছিল দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের প্রধান হেডলাইন। একটি হেডলাইন যে কতটা বেকুবি মার্কা হতে পারে সেটা সাংবাদিকতার ছাত্রদের বুঝানোর জন্য স্যাম্পল হিসাবে স্নাতক শ্রেনীগুলোতে নির্দ্বিধায় ব্যাবহার করা যেতে পারে বলে আমার মনে হয়েছে।

সাংবাদিক নিজেও পরিস্কার করেন নি তার অবস্থান। ধরে নিচ্ছি যেহেতু প্রানপ্রিয় মাতৃভুমি আমরা কেউই চাইবনা এই দেশ ডুবে যাক। উনি চাননা অবশ্যই। কিন্তু সেটার এরকম দ্বীধান্নিত প্রকাশ দেখলে সাংবাদিকতার মৌলিক জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা অসম্ভব কিছু না।হেডলাইনটা পরেই আমার মনে হয়েছে এইমাত্র বাংলাদেশ ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পেল। দেশ ও জাতি রুদ্ধশ্বাসে ডুবে যাবার অপেক্ষায় ছিল ঠিক সিনেমার মত, অকস্মাত নায়কবেশে খবরের আগমন ঘটলো আর বাংলাদেশ রক্ষা পেল। অতঃপর সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগিল।

কিন্তু আসলে বাস্তবতা কি ছিল? আইপিসিসি যারা এই ডুবে যাবে না জেগে থাকবে এই নিয়া গবেষনা করে তারা কখনই বলেনি বাংলাদেশ ডুবে যাবে। তারা তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছিলো জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা অব্যহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উপুকুলের ১৭ ভাগ এলাকা প্লাবিত হতে পারে এবং ৩ কোটি লোক বাস্তুচ্যুত হতে পারে। হিমালয়ের গ্লেসিয়ার গুলো ২০৩৫ সালের মধ্যো গলে যাবে এটাকে হিসাবে নিয়ে এই হিসাব তৈরি করা এবং আইপিসিসি নাকে খত দিয়ে বলেছে তাদের ওই হিসাবে ভুল ছিল ওটা আসলে হবে ২৩৫০ সাল !!!! তদুপরি সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা হলো তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে। গত ১৫০ বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে 0.৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর এই শতাব্দীর মধ্যোই নাকি সে্টা ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যাবে !!!! হ্যা, পরিবর্তন হবে তবে তার বেশিরভাগই আর্থসামাজিক, কৃষি এবং জীবনযাত্রার উপরে। কিন্তু খবরটার পরিবেশন ধরন দেখে মনে হল বাংলাদেশের ডুবে যাওয়া একরকম নিশ্চিতই ছিল কোন ক্রমে সিইজিআইএস এর গবেষনা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে।

সিইজিআইএস এর গবেষনা দির্ঘদীন ধরে দেখিয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূলভাগ ক্রমাগত ভাবে বর্ধিত হচ্ছে পলি পড়ার কারনে এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। এটা নতুন কোন আবিস্কার নয় বরং তাদের পুরোনো কাযের আরেকটু বিস্তারন। প্রধান দৈনিকের প্রধান হেডলাইন প্রনেতা যদি এই ব্যপারটা না জানেন তবে কিঞ্ছিত শঙ্কিত হতে হয় বৈকি। আমি অবাক হচ্ছি সিইজিআইএস এর যে উদ্ভট পরিকল্পনা আছে স্টি শুনলে এই রিপোর্টার কি বলবেন। পরিকল্পনাটা হল দেশের সব নদীর তলায় একটা ঝাকুনি দিয়ে পলি তৈরি করে উপকুলে জমা করে ২৫ বছরের মধ্যো বাংলাদেশের আয়তন দ্বিগুন করে দেয়া। যাই হোক এইসব বিষয় না জেনে রিপোর্ট না করার ক্রমবর্ধ্মান প্রবনতা বাংলাদেশ এর প্রিন্ট মিডিয়াকে ব্রিটিশ মিডিয়ার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। অবশ্য খুব স্বাভাবিক। ২০০ বছর তো আমদের পিঠে পা রেখেই সাহেবরা ঘোড়ায় চড়তেন।তারা যেদিকে যাবে সেদিকে যাওয়াটাই আমাদের নিয়তি।

কিন্তু রিপোর্টার কি টের পেয়েছেন উনি ইতিমধ্য কত মানুষের রুটি রোজগারে হাত দিয়েছেন। বাংলাদেশ ডুবে যাবে এই বেচেই না আমরা দুটো পয়সা পাচ্ছি সাহেবদের কাছ থেকে। এখন তো ফিরিঙ্গিরা আর পয়সা দিবেনা। HIV/AIDS ভিত্তিক NGO গুলোও কেবল কায শুরু করেছিল 'জলবায়ু পরিবর্তন এবং HIV/AIDS বিস্তার' এই শিরোনামে। দিলো সব তো উল্টা পালটা করে। ক্লাইমেট চেঞ্জ ছিল বাংলার তামাম এনজিও, গবেষক, শিক্ষক, কর্মি সবার জন্য আশির্বাদ। সেই সোনার ডিমপারা হাসটিকে এভাবে মেরে ফেলার কোন যুক্তি নাই।

---------------

নোটের উত্তরে অনেক কমেন্ট এসেছে, দু একটা পাব্লিক প্লেসে শেয়ার করে ফলে একটা ইন্টেরেস্টিং লিঙ্কও পেয়েছি। নিচে দেখেন

কমেন্ট ১:
চুথা দেখে লেখা এইসব রিপোর্ট এর ফজিলত অনেক :
এক. যাদের চুথা, তারা রিপোর্টারকে মালকড়ি দেয়, বিদেশ পাঠায়, সভা-সমিতিতে নিয়ে যায়...।
দুই :বছর শেষে মহান দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার জন্য 'পদক' প্রাপ্তির যোগ বেড়ে যায়।
তিন. চুথার মালিকদের স্বার্থ হাসিল হয়। সেটা ইতি-নেতি যেকোন অর্থেই হতে পারে। নির্ভর করছে এর পেছনের রাজনীতির সাথে (ষড়যন্ত্র তত্ত্ব??)
চার : বিরাট জ্ঞানের কথা জাতিকে জানিয়ে দিয়ে দেশ-উদ্ধার হয়। পত্রিকার পাতাও ভরে, দেশের কাজও হয়। কথায় আছে না, যেখানেই আলু...সেখানেই...?
পাঁচ : কারো সর্বনাশ, কারো পৌষপার্বণ শুরু হয়। দুই পক্ষেরই কায়েমী স্বার্থ আছে বৈকি।
(দিগন্তে কেউ গলা হাঁকিয়ে গেয়ে উঠল : আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে...)

কমেন্ট ২
http://www.google.com/hostednews/afp/article/ALeqM5jxWAlO7hpr2AXkrZMWswKyK39gOA

ইফতি জাস্ট এই লিঙ্ক থেকে লেখাটা চোথা মারছে।।

সচল জাহিদ এর ছবি

রাসেল, ধন্যবাদ আপনার নোট শেয়ার করার জন্য। আপনার নোটের ভিত্তিতেই বলি,

এখানে ভুল দুই পক্ষেরঃ

প্রথমতঃ সিইজিআইএস এই গবেষণায় পেয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের গবেষণায় পলির ভুমিকা কোনমতেই হেলাফেলার জিনিস নয় বরং তা অতীব গুরুত্ত্বপূর্ণ এবং তার কিছু নমুনা তারা তাদের গবেষণা প্রারম্ভিক ফলাফলে পেয়েছে। প্রকল্পটি এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ছিল। কিন্তু তাদের এই ফলাফল এমন কিছু নয় যা মিডিয়ায় ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করা যায়।

দ্বিতীয়তঃ সাংবাদিকরা পুরো ফলাফলটি না বুঝে মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে ফলাও করে তাও আবার প্রথম পাতায় দেশের প্রধান দুটি সংবাদপত্রে।

হিমালয়ান গ্লেসিয়ার নিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। আমার একটি পোষ্ট আছে ইচ্ছে করলে পড়তে পারেন এইখান থেকে
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

দ্রোহী এর ছবি

১.
চমৎকার বিশ্লেষণ।

২.
পানি ছাড়াও আরো অনেকভাবেই একটা দেশ ডুবতে পারে। সেই অর্থে বাংলাদেশের ডোবার কতটুকু বাকি আছে কে বলতে পারে!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একেকটা সরকার আসে নতুন নতুন ফন্দি নিয়ে। সেই সাথে একদিন একদিন করে আমরা শুধু ডুবেই চলি।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ।

---------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ বস। পানি ছাড়াও বাংলাদেশ ডুবা নিয়ে আনিসুল হকের এই গদ্যকার্টুনটি জম্পেশ ছিল।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী লেখা। ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।

কৌস্তুভ

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তভ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

খবরটা পড়ার পরে সত্যিই আঁশায় বুক বেধে ছিলাম। যাই হোক একটি বিষয় আমি আপনার কাছে জানতে চাইব। পত্র পত্রিকায় এবং ব্লগে বিভিন্ন সময় পড়েছি নেদারল্যান্ডের কথা। ওই দেশের প্রকৌশলীরা কিভাবে জানি সাগরে বাঁধ দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভূমি সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেছে। বাংলাদেশে কি কোনভাবে এটা করা সম্ভব? সম্ভব হলে ঠিক কি কি সমস্যার মাঝে আমাদের পড়তে হতে পারে? এই ধরণের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মত দক্ষ বাংলাদেশি প্রকৌশলী যে আছেন এটি আমি হলপ করে বলতে পারি। কারিগরী দিকের সমস্যাগুলো একটু আপনার কাছ থেকে জানতে চাই।
তার্কিক

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ তার্কিক।

বুয়েটে শিক্ষকতাকালীন সময়ে নিজের মাষ্টার্সের কাজের একটি প্রকল্পে আমার নেদারল্যান্ডসে মাস দেড়েক থাকার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেখানে উপকূলীয় প্রকল্পগুলি নিজে ঘুরে দেখে এসেছিলাম সেইসময়। নেদারল্যান্ডসের মোট ভুখন্ডের একটি বিশেষ অংশ ( বোধকরি ৪০ শতাংশ বা এরকম কিছু একটা হবে) আসলে সমুদ্র সমতলের নিচে অবস্থিত। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বাঁধ সমুদ্র না নদীর পানিকে সমুদ্র সমতলের নিচের ভুখন্ডে আসতে বাঁধা দেয়। কিন্তু উচ্চ জোয়ার বা সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস হলে তা আর রক্ষা পায়না। যেমনটা ঘটেছিল ১৯৫৩ সালের বন্যায়

auto

ছবিঃ প্রাকৃতিক বাঁধ

যদিও এই সমুদ্র সমতলের নিচে অবস্থান করায় নেদারল্যান্ডসের মানুষেরা যুগ যুগ ধরেই প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করছিল কৃত্রিম কিছু বাঁধ দিয়ে কিন্তু ঐ ১৯৫৩ সালের বন্যার পর থেকেই এটি নিয়ে প্রচুর গবেষণা শুরু হয় যার ফলে তারা জিল্যান্ড ডেল্টা প্রকল্প সহ আরো অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। আমি নিজে জিল্যান্ড প্রকল্প ঘুরে দেখেছি। ওরা মোহনার কাছে অনেক ছোট ছোট চ্যানেল গুলো বাঁধ দিয়ে পরিপূর্নভাবে বন্ধ করে দিয়েছে আর উপকূল বরাবর উঁচু বাঁধ দিয়েছে। প্রধান মোহনায় গেইট দিয়ে জোয়ার ভাটা ও উঁচু জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রন করেছে।

তবে পরিবেশ বাদীদের আন্দোলনের মুখে নেদারল্যান্ডস কিছু কিছু চ্যানেল খুলে দিয়েছে কারন সেখানকার জলজ বাস্তুসংস্থান নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।

বাংলাদেশে ভুমি বাড়ানো নিয়ে মূল আলোচনা ছিল ক্রস ড্যাম নিয়ে। নোয়াখালি আর উরির চরের মধ্যে বামনি চ্যানেলে একটি ক্রস ড্যাম আর উরির চর ও স্বন্দীপের মধ্যে স্বন্দীপ চ্যানেল ক্রস ড্যাম নিয়ে বেশ আলোচনা গবেষণা হয়েছে। অর্থায়ন এক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা। সময় করে একটি পোষ্ট দেবার আশা আছে এই প্রসঙ্গে।


----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

দিগন্ত এর ছবি

কৃত্রিম উপায়ে বন্যা বা সমুদ্র থেকে জমি উদ্ধার করলে তা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, এবং অবশ্যই প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। নেদারল্যান্ডসের একতরফা বাঁধের ফলে রাইন নদীতে এখন আর কোনো স্যামন মাছ ঢোকে না। নিচু জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে, অগভীর সমুদ্রের মাছ পাওয়া যায় না এখন আর। তবে এর বিপরীতে লাভও আছে। নেদারল্যান্ডস প্রকৃতির সাথে লড়াই করা ছেড়ে সেবা ভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলেছে সফলভাবে। খাদ্য উৎপাদনেও উন্নতি করেছে। এখন অনেকেই মনে করে প্রকৃতি বাঁচিয়ে রেখেও উন্নতি করা সম্ভব ছিল। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার সময় মাথায় রাখা উচিত যে উন্নতি দুদিকের ব্যাপার - লাভও আছে ক্ষতিও। বাংলাদেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত তা নিয়েও বিতর্কের প্রয়োজন আছে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সহজ ভাষায় বলে টেকনিক্যাল আলোচনা মোটামুটি বুঝলাম। আমার কাছেও কিন্তু মনে হলো উনাদের এসাম্পশন বেশ প্রাথমিক স্তরের।

...তাহলে নিকট ভবিষ্যতে ক্ষতি যদি নাও হয়, মোটামুটি আশঙ্কাজনক স্তরে এই ব-দ্বীপ টাইপ রাষ্ট্রগুলোর আবাস আর চাষযোগ্য ভূমির অংশবিশেষ ডুবে যাবে তাপমাত্রা কতটুকু বাড়লে ?? বর্তমান হারে তাপমাত্রা বাড়লে তাতে সময় কদ্দিন লাগবে ??
_________________________________________

সেরিওজা

সচল জাহিদ এর ছবি

সুহান, আসলে এত সহজে সেটা বলা যায়না। যেটা করা হয় তা হলো একটা ধারণাকে ভিত্তি করে একটা সম্ভাবনা বের করা।

আইপিসিসি ভবিষ্যতে জনসংখ্যা কিরূপ হবে, উন্নয়ন কি ফসিল ফুয়েল পুড়িয়ে হবে নাকি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি দিয়ে হবে ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস বিবেচনা করে গ্রীণ হাউস গ্যাসের নির্গমন হিসেব করে বেশ কিছু জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যপট ( সিনারিও) উপস্থাপন করেছে তাদের তৃতীয় এসেসমেন্ট রিপোর্টে। এর মধ্যে A1Fl একটি দৃশ্যপট যার মানে হচ্ছে ভবিষ্যৎ পৃথিবী দ্রুত উন্নয়নশীল এবং তার পুরোটাই হবে ফসিল ফুয়েল পুড়িয়ে। এটিই সবচেয়ে ক্রুশিয়াল দৃশ্যপট। এই দৃশ্যপটের ফলে আগামী শতকে (২১০০ সালের শুরুতে) তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি বাড়তে পারে যাতে সমুদ্র সমতল ০.৬ মিটার বাড়বে। এখন ০.৬ মিটার সমুদ্র সমতল বাড়লে ডিজিটাল এলিভিশন মডেল দিয়ে দেখা যাবে কতটুকু এলাকা প্লাবিত হবে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

দিগন্ত এর ছবি

আমিও ঠিক এরকমটাই ভাবছিলাম, প্রাথমিক স্তরের কোনো গবেষণার ভিত্তিতেই কাগজে বড়সড় রিপোর্ট - যত না বিজ্ঞান তার থেকে বেশী বাণিজ্য। অবশ্য সংস্থাকেও দোষ দেওয়া যায় না খুব বেশী, যুগটাই এমন - যা করবেন সেটা বাজারে চললে তবেই আপনার কাজ এগোবে, নতুবা নয়।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সচল জাহিদ এর ছবি

যত না বিজ্ঞান তার থেকে বেশী বাণিজ্য

এই মন্তব্যটিতে ১০০ ভাগ সহমত।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

জল আর কদ্দূর গড়াবে ???

সচল জাহিদ এর ছবি

যদ্দিন জল আসবে ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অফ টপিকঃ ড. আইনুন নিশাত শুনলাম এখন বন-এ আছেন কী একটা কনফারেন্সে।

মোটামুটি অন টপিকঃ যশোরের এদিকে কী একটা বাঁধ (বা স্লাইস গেইট) আছে না জাহিদ ভাই! কী যেন নাম জায়গাটার, ধবলপুর না কী যেনো! ঐটা নির্মাণের পর আর রক্ষণাবেক্ষণ হয় নি। ফলে সেখানে বছরের পর বছর ধরে পলি পড়ে এখন তৈরী হয় জলাবদ্ধতা। বিশাল পয়সা খরচ করে নির্মিত স্লাইস গেইটটাও অকেজো। এটা তৈরীর সময় ড. নিশাত এর সাথে কোনোভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন কি? এই স্লাইস গেইট তৈরীর প্রায় দুদশক পর তিনি সম্ভবত মত দিচ্ছেন না যে ঐ স্লাইস গেইট তৈরী ভুল ছিলো!

এ ধরণের ব্যাপারগুলো থেকেই কি ওয়াটার রিসোর্স করাপশনের সৃষ্টি? এ রকম দুর্নীতি যদি চলতেই থাকে, তবে আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আসলেই কি নির্ভরযোগ্য রিপোর্ট পাওয়া যাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণে বাংলাদেশের পানি সম্পদের ওপর প্রতিক্রিয়া নিয়ে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

যশোরের ওই জায়গাটার নাম ভবদহ। স্লুইস গেইটটার নাম 'ভবদহ স্লুইস গেইট'।

-শুকনো পাতা

সচল জাহিদ এর ছবি

ধুগো,

তুমি সম্ভবত যশোর খুলনা এবং আশেপাশের এলাকা নিয়ে খুলনা উপকূলীয় বাঁধ প্রকল্প (KJCERP) বা উপকূলীয় বাঁধ প্রকল্প (CEP, CEP-2) এর কথা বলছ। বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রকল্পের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে এই প্রকল্পগুলির নাম আসবে সবার শুরুতে। এগুলো ছিল পোল্ডার ভিত্তিক প্রকল্প। অর্থাৎ একটি এলাকাকে ঘিরে বাঁধ থাকবে যাতে জোয়ারের পানি সেখানে না আসতে পারে। মূল লক্ষ্য ছিল ৭০ ও ৮০ দশকের 'অধিক খাদ্য ফলাও' কর্মসূচির অধীনে 'উন্নত জাতের ধান' ফলানো। সেটা অবশ্য সফল হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু জোয়ারের পানি আগে নিম্নভূমিতে যেত সুতরাং নদীর পলি নদী ও নিচুভূমি সব জায়গাতেই বিস্তৃত হত। কিন্তু নিচুভূমিগুলোকে পোল্ডর বানানোর ফলে জোয়ারের পানি আর সেখানে যেতে পারতনা ফলে নদীর পলি নদীতেই জমতে লাগল এবং পরিশেষে নদী তার নাব্যতা হারালো। ফলে নদীর পানি ঐ সব পোল্ডারে যেয়ে এবং সেই সাথে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হলো এক ভয়াবহ জলাবদ্ধতা যার ফল বিল ডাকাতিয়া আর ভবদেহ বিল। সে এক করুণ কাহিনী, সময় পেলে একসময় লিখব সেটা নিয়ে। এখনো বুঝতে পারিনা কেন এরকম একটি মারাত্মক ভুল বিশেষজ্ঞরা করেছিল।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লিখুন জাহিদ ভাই। এটা সামনে আসার দরকার আছে। বিশেষ করে আমাদের বিশেষজ্ঞরা একটা প্রজেক্টে সংশ্লিষ্ট থাকার পরেও কয়েক দশক চলে গেলে পরে সেই প্রজেক্ট নিয়েই নেতিবাচক কথা বলেন! এই নেতিবাচকতাটা শুরুতে আসে না কেনো তাঁদের?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

সরকার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলো জল্বায়ু জনিত প্রভাবের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য। দিন কয়েক আগে সেই টাকা ভাগের উতসব মহাসমারোহে শেষ হল। কিছু এনজিও এর এখন নতুন বিল্ডিং উঠবে, কারো একাউন্ট ভারী হবে আর শ্যাম্নগরের লোকজন সেই বাধের উপরেই আরো কয়েক বছর কাটিয়ে দিবে। ব্যাপার না।

নিশাত স্যার হাঙ্গর কেন সময় মত দিম দেয়না থেকে শুরু করে কলাপাতার রঙ লাল কেন না সব ব্যাপারেই একজন এক্সপার্ট। উনার এখন বন থাকার কথা জলবায়ু বিষয়ক কমিটির জুন এ যে রেগুলার মিটিং হয় সেটায় যোগ দেবার জন্য।

আমরা কি পারতাম না ওই ১০০ কোটি টাকার অন্তত কিছু টাকা গবেষনার জন্য বরাদ্দ দিতে। তাহলে অন্তত একজন লোক হাঙ্গর কেন দিম দেয়না সেটা ভালো বলতে পারতো আরেক জন কলাপাতার রঙ কেন লাল না। একজনের উপরে এত প্রেসার পরত না।

গৌতম এর ছবি

১. গবেষণা প্রতিবেদন থেকে কীভাবে সংবাদপত্রের প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়, সে বিষয়ে একটা প্রশিক্ষণকেন্দ্র খোলা যেতে পারে! ;)

২. আমার একটা গবেষণা প্রতিবেদনকে খবর বানাতে যেয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা বানিয়ে ফেলেছিলেন একজন। পরে এটার ব্যাখ্যা দিতে দিতে আমার জান কাহিল। আমি যতই বলি, আমরা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার কথা এখানে বলি নাই, ততই মানুষজন আরও জটিল জটিল কুয়েশ্চেন করে। :( ওইটারে পাইলে আমি পিটামু।

৩. আইনুন নিশাত এবং জামিলুর রেজা চৌধুরী- দুজনই সর্ববিশেষজ্ঞ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সচল জাহিদ এর ছবি

মন্তব্যে (জাঝা)

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।