• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আমাদের অসচেতনতার বলি আরেকটি মৃত্যু

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৫/২০১০ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সালটা মনে নেই, তবে ২০০২ বা তার আগে হবে কারন তখনো আমি বুয়েটে পড়ি। পলাশী বাজার থেকে সোনালী ব্যাঙ্ক বুয়েট শাখার সামনের রাস্তা দিয়ে বকশী বাজারে যাবার রাস্তাটায় রাস্তা পার হবার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মারা যায়। মূহুর্তের মধ্যেই বুয়েট আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ঐ এলাকায় যানবাহন ভাংচুর থেকে শুরু করে আন্দোলন, রাস্তা অবরোধ শুরু করে। ঐ দলে আমিও ছিলাম, মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছিল। এমনিতেই বুয়েটের সামনের এই রাস্তাটায় বেপরোয়া গাড়ি চলাচল করে, কোন গতিসীমাতো দূরের কথা সামান্যতম সাবধানতাও অবলম্বন করেনা তারা। ঐ ঘটনার পর ছাত্ররা পলাশী বাজার থেকে শুরু করে ফজলে রাব্বী হল পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় বাঁশ দিয়ে বেরিকেড করে। আমি তখন 'বুয়েট সেফটি মুভমেন্ট' করতাম। মনে পড়ে দুর্ঘটনার দিন বা তার পরের দিন বুয়েটের তৎকালীন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক জয়নুল আবেদীন সারের সাথে আমাদের একটি মিটিং ছিল যেখানে আমরা দাবি জানাই বুয়েটের সামনের এই রাস্তায় যেন গাড়ি না চলে তার ব্যবস্থা করতে। উনি বলেছিলেন সেটা আসলে বুয়েট কতৃপক্ষ করতে পারেনা কারন তাদের সেই আইনগত ক্ষমতা নেই, এটি একমাত্র পুলিশ কমিশনার( ট্রাফিক) করতে পারে। আমরা বলেছিলাম, বুয়েট কতৃপক্ষের কিছু করতে হবেনা, আমরা ছাত্ররা রাস্তা বন্ধ করে রাখব, আপনারা শুধু আমাদের বিরুদ্ধে কিছু করবেননা। যাই হোক পরবর্তীতে বুয়েটের সামনের রাস্তায় দুই দিকে দুটি গেইট হয় যা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত যানবাহন চালনা করা শুরু হয়। একটি গেইট পলাশী বাজারে আরেকটি ফজলে রাব্বি হলের কাছে চৌরাস্তায়।

ট্রাফিক কতৃপক্ষ বাসগুলিকে সাময়িক ভাবে আজিমপুর থেকে ঢাকেশ্বরী হয়ে বকশীবাজার দিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে। এর পরে নির্মিত হয় বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে এযাবতকালের সবচেয়ে বর কৌতুক ফুট-উভারব্রিজ। ত্রিশ ফুট একটি রাস্তা পার হবার জন্য বিশ ফিট উপরে উঠে ত্রিশ ফিট পার হয়ে আবার বিশ ফিট নেমে তবেই রাস্তার উপার। প্রথম কয়েকমাস কাউয়ারা আরামে ত্যাগ করল সেখানে বসে, পরে কিছু পোলাপান ব্যাচের র‌্যাগের বা লেভেল পূর্তির সিনেমা বা নাটক বা মিউজিক ভিডিও নির্মানের সুটিং স্পট হিসেবে সেটাকে ব্যবহার করতে লাগল। মাঝে সাঝে বিড়ি ফোঁকার জন্য কিংবা শহীদ মিনারের সামনে থেকে চানাচুর কিনে সেখানে যেয়ে কাওকে কাওকে খেতে দেখতাম। এর বাইরে সেই ওভারব্রিজের কোন ব্যবহার দেখিনি, দেখার কথাও না। শেষবার দেশে গিয়ে দেখেছিলাম আবার পুরোদমে ঐ রাস্তা দিয়ে দূর্বার গতিতে বাস চলছে।

আজিমপুর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে অসংখ্য বাস চলে। এই এলাকায় আছে গার্হস্থ অর্থনীতি কলেজ, ইডেন কলেজ, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বদরুন্নেসা কলেজ। ক্যাম্পাসের সাথেই হলগুলি থাকায় এই রাস্তাগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের অনবরত রাস্তা পার হতে হয় অথচ এখানে নেই কোন গতিসীমা না মানার জন্য কঠোর শাস্তি কিংবা জরিমানা। একেক ড্রাইভার বিদ্যুৎ গতিতে গাড়ি চালিয়ে যায় এবং এর মধ্য দিয়েই ছাত্র ছাত্রীরা ঝুকি নিয়ে রাস্তা পার হয় ফলে ঘটে দুর্ঘটনা যার শেষ শিকার খান জাহান সম্রাট। এই মৃত্যুকে ঘিরে আবার হয়ত কিছু বাস ভাংচুর হবে, ক্যাম্পাস অশান্ত থাকবে, বেরিকেড পড়বে তারপর কিছুদিন গেলে সব আগের মত হয়ে যাবে। যেকোন দিন আবার যেকেউ নতুন শিকার হবে। কিন্তু এর সমাধান কি? সেটা নিয়ে ভাবতে হবে বুয়েট কতৃপক্ষ সহ এই আলাকার অন্যান্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ট্রাফিক কতৃপক্ষকে।

বলা হয় বুয়েটের সামনের এই রাস্তাটি অত্যাধিক গুরুত্ত্বপূর্ন তথাকথিত 'এশিয়ান হাইওয়ে', সুতরাং এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করলে সমস্যা হবে। তাহলে বিডিআরের মধ্য দিয়ে সাত মসজিদে যাবার রাস্তাটা খুলে দেননা ভাই দেখি কেমন পারেন। শুনেছিলাম ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা সমাধানে দুটি পরামর্শ ছিলঃ সেনানিবাস আর সচিবালয় ঢাকার বাইরে নেয়া, মন্তব্য এসেছিল এই পরিকল্পনার পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু সেনানিবাস ঢাকাতেই থাকবে। সুতরাং সেনানিবাস বা বিডিআর এর মধ্যে দিয়ে সোজা রাস্তা থাকলেও তার ভেতর দিয়ে যাওয়া যাবেনা কিন্তু ঠিকই ক্যাম্পাসের মধ্যে দিয়ে বাস চলাচল করবে। কারন দুই চারটা ছাত্র দুই তিন বছর পর পর মরলে কি বা এসে যায়!

মেনে নিলাম তালগাছ আপনাদের, ক্যাম্পাসে গাড়ির রাস্তা রাখবেনই, তাহলে সাবধানতা বাড়ান, গতিবেগ ৩০ ঘন্টায় কিমি এ নিয়ে আসেন, যদি তা থেকে থাকে তাহলে তা মানানোর জন্য ব্যবস্থা করেন, যদি তাও না পারেন তাহলে সেই সেনা অফিসারের মত ( এক সেনা অফিসার ঢাকার রাস্তা ঘাটের দেখাশোনার দ্বায়িত্ব পেয়ে সেনানিবাসের সংস্কৃতি রাজপথে খাটাতে গিয়েছিলেন) চার পাঁচ ঢেউয়ের গতিরোধক একটু পর পর বসান, দেখি কেমনে বেগ তুলে। আর তাও যদি না পারেন আমাদের ক্যাম্পাসই বাইরে পাঠিয়ে দেন। তাতেও অন্তত সম্রাটরা বেঁচে থাকবে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক সমস্যার কথা লিখেছেন,আবার তার প্রতিকারের উপায় ও বলে দিয়েছেন।আমরা আশায় থাকি,কি প্রতিকার হয় দেখার জন্য।এই খবর পড়ে সাময়িক লোক জন বড় বড় কথা বলবে,আলোচনা হবে,তারপর এক সময় ভুলে যাবে।যার সন্তান গেছে ,সে আর কোন দিন ফিরে আসবেনা।আমরা শুধু তার বেদনায় সমব্যাথী হতে পারি,কিন্তু তার অপূন্রতা কখনো পূরণ করতে পারবো কি?

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

স্বাধীন এর ছবি

খুবই দুঃখজনক এবং খুবই হতাশাজনক ঘটনা। এ রকম অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমি জানি না কিভাবে বুয়েট, মেডিকেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এরকম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। শ্রেনীকক্ষ এবং ছাত্রাবাসের মাঝ খান দিয়ে পাবলিক পরিবহনের জন্য রাস্তা, কতটা হাস্যকর ব্যবস্থা। কিন্তু আমরা এমনই অভ্যস্ত জাতি যে যুগের পর যুগ অনিয়মকেই নিয়ম মেনে চলে আসছি। এই রাস্তাগুলো সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ চাইলে রিক্সা ব্যাতীত অন্যান্য যানবাহনের জন্য বন্ধ করে দিতে পারে। ওভারব্রীজ কোন কার্যকরী সমাধান নয়। আমার মতে সমাধান একমাত্র বিডিয়ারের মত বুয়েট, মেডিকেল এবং ঢাবিকে ঘিরে একটি বলয় করে দিতে হবে যার ভেতর দিয়ে কোন প্রকার গাড়ী চলাচল করতে পারবে না, এক মাত্র অনুমদিত (বিশ্বাবিদ্যালয়ের নিজস্ব এবং সেখানে বসবাসরত কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের গাড়ী) গাড়ী ও রিক্সা ব্যাতীত। এবং এই লক্ষ্যে এই তিন বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও শিক্ষক সকলে মিলে একত্রে সরকারকে তাঁদের এই দাবী আদায়ে বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজন ঐক্য।

সম্রাটের শোকসপ্ত পরিবারকে কোন প্রকার সমবেদনা জানাবার মত ভাষা আমার নেই। যার হারায় কেবল সেই বুঝে হারাবার আসল বেদনা। আমার পক্ষে সেটা ধারণ করা, কল্পনা করা অসম্ভব। ক্ষমা প্রার্থী সম্রাট তোমার কাছে। হতে পারতে একজন অনেক বড় একজন মানুষ, হতে পারতে মূসার মত বিজয়ী তোমার কর্মক্ষেত্রে, কিন্তু আজ তুমি অতীত, যার জন্য তুমি দায়ী নও মোটেও। তাই মাঝে মাঝি ভাবি পূণর্জন্মটা সত্যি হলে খারাপ হতো না। অন্তত তোমার মত অকালে ঝরে যাওয়া ফুলগুলো আবার বিকশিত হতে পারতো। হয়তো নুতন এক জগত পেতেও পারতাম। হয়তো বা। যে ভুবনেই থাকো, ভাল থেকো, সুখে থেকো, শান্তিতে থেকো।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

........................................................
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রায়হান আবীর এর ছবি

(Y)

পলাশীর মোড়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। চারদিকে ধরে যানবাহন আসা যাওয়া করে। রাস্তা পারাপার হতে হয় অন্ধের মতো, কোন সিগনাল নেই, কিছুই নেই।

আজিমপুর হয়ে ঢাকেশ্বরীর যাওয়ার রুট ছাড়াও এখন মিরপুর-আজিমপুর, আজিমপুর- উত্তরা এবং মিরপুর- যাত্রাবাড়ির বিকল্প পরিবহণ পলাশীর রাস্তায় চলাচল করে। প্রথম দুইটা বাস সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে বাস ঘুরায়, এই জায়গাটাও বেশ বিপদজনক।

বিডিয়ারের গেট তো তারা খুলবেনা এইটা জানা কথা, সরবেনা সচিবালয়ও। তবে এই মুহূর্তে বুয়েটিয়ানদের উচিত পুরো রাস্তাজুড়ে ঢেউ এর মতো স্পিড ব্রেকার বসানো। এইটা কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে এক্ষুনি করে ফেলা উচিত।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- (চলুক)
ঠিকাছে, চলুক গাড়ি। কিন্তু স্পিড ব্রেকার তৈরী হোক রাস্তায় প্রতি কুড়ি মিটার পর পর।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুরেন এর ছবি

যানবাহন এর গতিবেগ সীমাবদ্ধ রাখার জন্য শুধু পুরনো আমলের গতিরোধক এখন আর কাজে আসবেনা, বুয়েট এর এবং এর আশে পাশের রাস্তা তে তো আরো নয়...Traffic Calming বলে একটা ব্যপার আছে...হাস্যকর কিছু ফুটওভার ব্রিজ না বানিয়ে সেটার দিকে নজর দিলে এই মেধাবি প্রাণগুলো অকালে ঝরে পড়ত না...

আর স্যার সেনানিবাস বা সচিবালয় থেকেও যানযট creation এ বড় ভূমিকা রাখছে গার্মেন্টস গুলো...সমীক্ষাতে দেখা গেছে যে গার্মেন্টস গুলো কে relocate করলে কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু ঢাকা-র অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী-দের কারনে এবং তাদের জন্য যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যাবস্থার অপ্রতুলতার জন্য ক্যাম্পাস কে বাইরে নেয়া সম্ভব নয়...

সম্রাট এর জন্য খুব খারাপ লাগলো...সে তার জীবন দিয়ে আরো অনেকগুলো প্রাণ হয়তো বাঁচিয়ে দিয়ে গেলো...

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

খবরটা শুনে রাগে-দুঃখে অনেকক্ষণ কোন কথা বলতে পারিনি। বুয়েট ছেড়ে এসেছি প্রায় ২ বছর, কিছুদিন আগে গিয়ে দেখি হলের আর শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে ৭ নম্বর বাসগুলো বিপুল গতিতে চলাচল করছে। তখন কাকে যেন বলেছিলাম ২-১ জন না মরলে কর্তৃপক্ষ কখনো নড়াচড়া করে না, আরো ২-১ জন মেধাবীর জীবনের দাম দিয়ে মনে হয় এই রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ করতে হবে। আফসোস হলো, এবারও কয়দিন বাস চলাচল বন্ধ থাকবে, তারপর আবারো শুরু হবে, পরিবহন মালিকদের বিপুল ক্ষমতার সামেন এদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের দাম আর কয় পয়সা? কোন উদ্যোগ নিলেই তারা ধর্মঘট করবে, তারপর সরকারের উপর মহলে হয়তো কয়েকটা প্যাকেট যাব, ব্যস, হয়ে গেল, আরেকটা মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা।

মোমেনুল ইসলাম [অতিথি] এর ছবি

মন খারাপ হয়, হাসিও পায় এদেশের পরিকল্পনাবিদদের কাজকর্ম নিয়ে। আমি প্রফেশনাল Planner দের কথা বলছিনা, কেননা দেশের সামগ্রিক পরিকল্পনায় তাদের ভূমিকাকে সব সময়ই গৌণ করে রাখা হয়। কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও কিছু মাথামোটা আমলার বুদ্ধি / সিদ্ধান্তে এই দেশের সবকিছু চলে। সবকিছু দেখেশুনে খুব কষ্ট হয়, কেননা আমি এই নষ্ট দেশের একজন সরকারী কর্মকর্তা।
জাহিদ, আমাদের হাহাকারে একদিন সবকিছু বদলে যাবে এমনটা মনে না করলেও আমাদের সম্মিলিত চিন্তা-চেতনাকে যদি ওই দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও মাথামোটা আমলাদের মাঝে সঞ্চারিত করতে পারি, তাতেও বিরাট সার্থকতা নিহিত আছে।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুবই দুঃখজনক।

স্পিড ব্রেকার প্রয়োজন পুরো রাস্তাটা জুড়েই। নইলে এরকম বেপরোয়া গাড়ি চালনা আরও প্রাণ কেড়ে নিবে হয়তো।

অতিথি লেখক এর ছবি

জাহিদ ভাই খুব গুরুত্বপূ্র্ণ কিছু কথা বলেছেন, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো শুনার মত গুরুত্বপূর্ণ লোক পুলিশ ট্রাফিক বিভাগে আছে কিনা সন্দেহ। ওরা টাকার বিনিময়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করে,ওরা টাকার কাছে নিজিকে বিক্রি করে অনায়াসে। ওদের দিয়ে কিছু হবে না। ড্রাইভার মানুষ মারলে মালিকের খরচ হয় সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা, আর ড্রাইভার ৭দিন পরেই নতুন গাড়ি চালায়।

বুয়েট কর্তৃপক্ষ কেন যে ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয় সেটাই বুঝি না। সেনানিবাস আর বিডিআরের ভেতর দিয়ে যদি গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকে তাহলে দেশের সর্বোচ্চ কয়েকটি বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর ভেতর দিয়ে কেন চলবে?

আমরা আর কোন সম্রাটের মৃত্যু দেখতে চাইনা। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, নিরাপদ জীবন চাই।

কামরুজ্জামান স্বাধীন

সুকর্ন এর ছবি

বাইরের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কেম্পাস এর গাড়ি চলাচল সম্পুর্নভাবে নিয়নত্রন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত্রিপক্ষ। সেখানে অতিমাত্রায় হর্ন বাজানো, ৪০ কিমির উপরে গাড়ি চালানো, ওভারটেক সব নিষিদ্ধ।পাশাপাশি ক্যাম্পাস এর ভিতরে গাড়ি প্রবেশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি সংবলিতো ষ্টিকার লাগাতে হয়। এর জন্যে আবার বিশ্ববিদ্যালয়কে পে করতে হয়।তাহলে আমাদের দেশে কেন সেটা পুলিশ কমিশনারের হাতে সেই খমতা থাকে?

অতিথি লেখক এর ছবি

একটি স্বপ্ন এবং সম্ভাবনাময় জীবন-এর অকাল মৃত্যু ! আরেকজন মায়ের বুক খালি হলো বেপরোয়া গাড়িচালকের হাতে !

মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাই এবং এমন ঘটনার পূনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে-তার জন্য সবার সম্মিলিত উদ্যোগ কামনা করি।

- মুক্ত বিহঙ্গ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।