সভ্যতার সাথে পানির সম্পর্ক অকৃত্রিম এবং অপরিহার্য। সেকারনেই পৃথিবীর অধিকাংশ সভ্যতার সূচনা ঘটেছে কোন না কোন নদীকে কেন্দ্র করে। সেসময় জীবন ধারনের জন্য পানির অপরিহার্যতার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যব্যস্থাও ছিল আসলে নদী নির্ভর। বর্তমান কালে স্থল ও আকাশ পথে যোগাযোগ ব্যব্যস্থায় অভূত উন্নতি সাধন নৌযোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা হয়ত কমিয়ে দিয়েছে কিন্তু এখনো জীবন ধারন এবং নগর জীবনের প্রাত্যাহিক কাজের জন্য পানির কোন বিকল্প নেই।
নদীভিত্তিক পানি সরবরাহঃ
শুরুতেই একটি গতানুগতিক নদী ভিত্তিক নগরের কথা বিবেচনা করা যাক। নিচের ছবিটি তার একটি সহজ ধারণা দিবে আশা রাখিঃ
ছবিঃ একটি নদীভিত্তিক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।
সাধারনত একটি শহর যে নদীকে ভিত্তি করে গড়ে উঠে তার উজান থেকে পানি সংগ্রহ করে তাকে পরিশোধন করে নগরের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করা হয় যেমন গৃহস্থালী, বানিজ্যিক ভবন, কল কারখানা ইত্যাদি। এসব থেকে নিষ্কাশিত পানি আবার দূষিত পানি পরিশোধন কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে পরিশোধিত পানি আবার নদীর ভাটিতে ফেলে দেয়া হয়।
এই ব্যবস্থা কাজ করবে যদি ঐ শহরে প্রবাহমান নদীর পানির গুনগত মান একটি নির্দীষ্ট সীমার মধ্যে থাকে। এই সব মান সাধারণতঃ পানিতে ভাসমান কঠিন পদার্থের পরিমান, পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন লবণ ও ভারী ধাতুর পরিমান, পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমান, পানির পি এইচ, ইত্যাদি। একটি নির্দীষ্ট সীমান মধ্যে থাকা বলতে বুঝাতে চাইছি এর বেশি হলে নদীর পানিকে পরিশোধন করা অর্থনৈতিক ভাবে সিদ্ধ হবেনা। এছাড়া গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পানি পরিশোধন করার মত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা শহরে থাকতে হবে। এই জাতীয় পরিশোধন কেন্দ্রের প্রাথমিক খরচ অনেক। সুতরাং নদীভিত্তিক পানি সরবরাহ করতে হলে একটি শহরকে সেই খরচ বহন করতে হবে।
ধরা যাক একটি শহর যার নদী ভিত্তিক পানি সরবরাহ করার মত পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই বা যা আছে তা দিয়ে পুরো শহরে পানি সরবরাহ করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানি গভীর নলকূপের মাধ্যমে তুলে তা সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে একটি সুবিধা হচ্ছে যেহেতু ভুগর্ভস্থ পানির গুনগত মান নদীর পানির চেয়ে ভাল সুতরাং অনেক ক্ষেত্রেই পানির পরিশোধন আর করতে হয়না।
ভূগর্ভস্থ পানিঃ
এবারে ভূগর্ভস্থ পানির কিছুটা ব্যবচ্ছেদ করা যাক। সাধারনত মাটির নিচে একটি নির্দীষ্ট গভীরতার পরে মাটির কণার ফাঁকে পানির পরিমান বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে শতভাগ ফাঁকা জায়গা পানি দ্বারা পূর্ণ থাকে। যদি সেই পানি সহজে পরিবহণ যোগ্য হয় ( সাধারণত সেখানে বালি মাটি থাকে সেখানে পানি সহজে পরিবাহিত হয়) তাহলে তাকে এক্যুইফার বলে। এই এক্যুইফার সাধারণত দুই ধরনের একঃ আন-কনফাইন্ড এক্যুইফার যা কিনা মাটির উপরের দিকে থাকে আর কনফাইন্ড এক্যুইফার যা আসলে মাটির অনেক নিচে দুটি অপরিবহনযোগ্য স্তরের মাঝামাঝি অবস্থান করে (নিচের ছবিটি দেখুন)। আন-কনফাইন্ড এক্যুইফার সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ বর্ষা কালে যেহেতু বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করে তাই সেসময় এই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উপরে উঠে আর শুষ্ক মৌসুমে তা আবার নিচে নামে। অন্যদিকে কনফাইন্ড এক্যুইফারে এই উঠানামা অনেক ধীর গতির।
এবারে আসি এই এক্যুইফারে পানির বাজেট নিয়ে। এক্যুইফারে পানি আসে মূলত দুই উৎস থেকে। একঃ বৃষ্টির পানি যা কিনা উলম্ব ভাবে মাটির উপর থেকে , দুইঃ আশে পাশের নদী বা জলাভূমি থেকে পানি যা মাটির কণার ফাঁক দিয়ে প্রবাহিত হয়। এখন এই এক্যুইফারের পানির ব্যবহার হচ্ছে নগরের জন্য প্রয়োজনের পানির যোগান। এবারে একটি সহজ সমীকরণ দেখা যাকঃ
এক্যুইফারের পানির স্তরের পরিবর্তন= পানির ইনপুট –পানির আউটপুট
এক্ষেত্রে ইনপুট যদি আউটপুট থেকে বেশি হয় তাহলে পানির স্তর উপরে উঠবে আর ইনপুট যদি আউটপুট থেকে কম হয় সেক্ষেত্রে পানির স্তর নিচে নামবে।
ঢাকার পানি সরবরাহ ব্যব্যস্থাঃ
ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের একমাত্র বৈধ প্রতিষ্ঠাণ ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসার ২০০৩ এর রিপোর্ট অনুসারে ঢাকা শহরের ৮৪% ভাগ পানি সরবরাহ হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানি থেকে আর বাকী ১৬% হচ্ছে নদী থেকে। তবে ২০০২ এ সায়েদাবাদ পানি পরিশোধন কেন্দ্র চালুর আগে এই পরিসংখ্যান ছিল ৯৫% ভূগর্ভস্থ থেকে আর বাকী ৫% নদী থেকে [১] অর্থাৎ ঢাকা শহরের এক্যুইফার থেকে আমরা অনবরত পানি উত্তোলন করে চলেছি। ২০০৩ সালের হিসেবমতে ঢাকা ওয়াসা দিনে ১১৬০ মিলিয়ন লিটার পানি উত্তলন করে থাকে এর ৩৮৯ টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে।
ঢাকার ক্রমহ্রাসমান এক্যুইফারঃ
উপরে যে পানির চাহিদার হিসাব দিলাম এগুলো সবই ঢাকার নিচে অবস্থিরত ‘ডুপিটিলা’ এক্যুইফারের পানির আউটপুট। এখন দেখি ইনপুটের কি অবস্থা। ঢাকা শহরের অধিকাংশ এলাকা হয় পীচ নয় সিমেন্টের অচ্ছাদনে ঢাকা। কিছু যৎসামান্য পার্ক বা মাঠ আছে যেখানে মাটির অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায়। সুতরাং বলাই বাহুল্য ঢাকার বৃষ্টির পানির অধিকাংশই যায় খালে বা নালআর সেখান থেকে গড়িয়ে নদীতে। সুতরাং বৃষ্টির পানি থেকে এক্যুইফারে ইনপুট অনেক কম। এবারে আসি ঢাকার আশেপাশের নিম্নাঞ্চল প্রসংগে। বর্ষাকালে নিম্নাচলে পানি জমে থেকে তার একটি বিশেষ অংশ এক্যুইফারে প্রবেশ করে। কিন্তু এই নিম্নাঞ্চল ভরাট করে নগরায়ন করা হচ্ছে ফলে তার পরিমান দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। সুতরাং সামষ্টিক ভাবে ঢাকায় এক্যুইফারে পানির ইনপুট যৎসামান্য।
উপরে সহজ সমীকরনে দেখানো হয়েছে কিভাবে এক্যুইফারে পানির স্তর উঠানামা করে। এখন যেহেতু ঢাকার এক্যুইফারে ইনপুট আউটপুট থেকে অনেক অনেক কম সেজন্য ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে। কিন্তু এই নেমে যাওয়ার হার আশঙ্কাজনক। এক গবেষণা প্রবন্ধে [১] ১৯৮৫ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে পানির স্তর কিভাবে দ্রুত নেমে যাচ্ছে তার একটি নমুনা দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ওয়াসার পর্বেক্ষণ নলকূপের উপাত্তের ভিত্তিতে এই ফলাফল বেরিয়ে এসেছে। নিচের গ্রাফটি লক্ষ্য করুন,বছরে প্রায় ৩ মিটার করে নেমে যাচ্ছে ঢাকা শহরের পানির স্তর।
চিত্রঃ ঢাকার ক্রম হ্রাসমান এক্যুইফার[১]
একই ধরনের ফলাফল দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন সংস্থার গবেষনায়ও [২]। নিচে ছবিতে সেটি স্পষ্টঃ
ছবিঃ ঢাকার ক্রম হ্রাসমান এক্যুইফার[২]
সার্বিক পরিস্থিতি ও সমাধানঃ
উপরের আলোচনায় একথা প্রমানিত যে ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমে নিচে নেমে যাচ্ছে। ২০০৩ সালেও ঢাকা ওয়াসার ৮৪% পানি সরবরাহ যেহেতু এই ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল এখনই ব্যবস্থা না নিলে এই স্তর আরো নিচে নেমে যাবে এবং ঢাকা শহর ভয়াবহ পানিসংকটে পড়বে। এক্ষেত্রে করণীয়ঃ
প্রথমতঃ ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমানো। কিন্তু এটি সহজসাধ্য নয়। আগেই ব্যাখ্যা করেছি নদী ভিত্তিক পানি সরবরাহের কথা। ঢাকাতে পানি সরবরাহ নদী ভিত্তিক করতে গেলে তা হতে হবে বুড়িগঙ্গা ভিত্তিক কিন্তু ইতিমধ্যে বুড়িগঙ্গার পানির গুনগত মান এতটাই নিচে নেমেছে যে তা পরিশোধনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে হয়ত মেঘনা থেকে পানি নিয়ে আসতে হবে। সেটি অর্থনৈতিক ভাবে কতটা সিদ্ধ তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
দ্বিতীয়তঃ ভূগর্ভস্থ পানির আয়তন বাড়ানো। আগেই ব্যাখ্যা করেছি যে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উপরে তুলতে গেলে এক্যুইফারে পানির ইনপুট বাড়াতে হবে। সেটি করা যাবে দুইভাবে।
একঃ প্রাকৃতিক ভাবে নিম্নাঞ্চল বা জলাভুমিকে সংরক্ষণ করে।
দুইঃ কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করিয়ে যাকে বলা হয় ‘রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং’। রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং এর মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন আচ্ছাদিত স্থান ( পীচ বা সিমেন্টের নিচে আচ্ছাদিত এলাকা) ও বিল্ডিং এর ছাদ থেকে সংগ্রহীত পানি পাইপ দিয়ে প্রবাহিত করে শহরের উন্মুক্ত মাঠ বা পার্কে কূপ খনন করে তা ভূওভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হবে। বছর পাঁচেক আগে ওয়াসার ব্যব্যস্থাপনা পরিচালক আ ন হ আখতার হোসেন কে একটি কর্মশালায় জিজ্ঞেস করেছিলাম ঢাকা ওয়াসার ‘রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং’ এর কোন প্রকল্প আছে কিনা। উত্তরে তিনি বলেছিলেন তাদের পরিকল্পনায় আছে। ঠিক জানিনা পরবর্তীতে এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা।
সার্বিক ভাবে ঢাকা শহরের আসন্ন পানিসংকট নিয়ে শীঘ্রই কোন উদ্যোগ না নিলে তা আস্তে আস্তে ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। কথায় আছে দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে আমরা সচেতন হইনা। আমার ধারণা দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও ইদানিং আমরা সচেতন হইনা, ঢাকার পানিসমস্যার সাথে সরকারের পদক্ষেপ দেখে কিন্তু তারই প্রামাণ মেলে।
====
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
সচলায়তনে এটি আমার শততম পোষ্ট। আমার মত নগণ্য লেখকের জন্য এটি একটি মাইলফলক। সচলায়তনেই আমার লেখালেখির হাতেখড়ি তাই আমার এই পথচলায় আমি সচলের প্রতি কৃতজ্ঞ। সেই সাথে সচলের সকল সদস্য, অতিথি সচল, অতিথি লেখক এবং অগণিত পাঠককে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি তাদের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও সমালোচকের দৃষ্টি নিয়ে আমার পোষ্টগুলি পড়ার জন্য।
তথ্যসুত্রঃ
[১] Mohammad A. Hoque, M. Mozzammel Hoque, Kazi Matin Ahmed "Declining groundwater level and aquifer dewatering in Dhaka metropolitan area, Bangladesh: causes and quantification", Hydrogeology Journal (2007) 15: 1523–1534
[২] Dhaka's groundwater level at the lowest in 11 yrs
মন্তব্য
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ মুর্শেদ।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অভিনন্দন। আমার আগেই শতক পূর্ণ করলেন বলে হিংসে হচ্ছে।
ধন্যবাদ বস। হিংসা গ্রহণ করলাম!! কিন্তু আপনার প্রোফাইলে যে দেখলাম পোষ্টের সংখ্যা ১০২ !!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অভিনন্দন! লেখা চলুক।
ঐ ব্যক্তির নাম আ ন হ আখতার হোসেন না?
বৃষ্টির পানি পুনরায় ভূগর্ভে প্রবেশ করানো না গেলে ঢাকা কি শুধুই সুপেয় পানির সঙ্কটে পড়বে, নাকি কোনো ধরনের ধ্বসেরও সম্ভাবনা আছে? গুয়াতেমালা সিটিতে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
ধন্যবাদ হিমু।
নামের সংশোধনের জন্য ধন্যবাদ আবারো। সম্পাদনা করে দিলাম।
আসলে ওয়াটার মাইনিং বলে একটি টার্ম আছে। যদি ভূগর্ভ থেকে অনবরত পানি উত্তোলন করা হয় সেক্ষেত্রে মাটির অভ্যন্তরে ফাঁকা স্থান বেড়ে যাবে। সাধারনত একটি স্থাপনা মাটির উপরে যে চাপ দেয় তা মাটি ও মাটির অভন্তরস্থ পানির উপরে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পানি যদি অপসারণ করা হয় তাহলে যেই চাপ পুরো পুরি মাটির উপরে বিস্তৃত হবে। সেক্ষেত্রে ওয়াটার মাইনিং এর ফলে ভূমিধ্বস কিংবা বিশেষ করে ভুমিকম্পের ফলে ভুমিধ্বস এর আশঙ্কা বেড়ে যাবার কথা তত্ত্বীয় ভাবে।
উপরের ছবিতে [১] একটি একটি ইঙ্গিত কিন্তু আছে। এতে বিভিন্ন সময়ে ঢাকার এক্যুইফারের কন্টোর ম্যাপ দেয়া আছে। লক্ষ্য করে দেখবে ওয়াটার মাইনিং এর ফলে আস্তে আস্তে একুইফারে একটি শঙ্কুর মত ফাঁকা জায়গা ডেভেলপ করছে ( বায়ে নিচের দিকে) এবং ২০০২ সালের ম্যাপে তা স্পষ্ট। সুতরাং এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায়না।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
গুয়েতেমালার মত অমন কিছু হবে না (৩৩০ ফুট খাড়া!!)। কারণ আমাদের নিচে সব পাললিক বা অন্য ধরণের মাটি। গলে গায়েব হয়ে যাওয়ার মত কোনো পাথর/খনিজ লবন নাই।
তবে কিছুটা সেটেলমেন্ট হতে পারে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সেঞ্চুরী পূর্ণ করায় শুভেচ্ছা জাহিদ।
এই ব্যাপারটা জানার ইচ্ছে ছিল, অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। আমাদের এক্যুইফারের পানি আর কত দিন টিকবে? আমেরিকাতে দেখি শহরের পাশে বাঁধ দিয়ে লেক তৈরি করে সেখান থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পগুলো হয়ত বাংলাদেশের জন্য অনেক ব্যয়বহুল। এত বৃষ্টির দেশের পানির সংকটটা দুঃখজনক।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। ঢাকার এক্যুইফারে পানি আরো কতদিন টিকে থাকবে তা বলার জন্য আসলে ক্যলকুলেশন দরকার। সামগ্রিক একুইফার ভলিউম বের করে পানি উত্তোলনের হার থেকে সেটা পাওয়া যাবে। সমস্যা হচ্ছে পানি উত্তোলনের হাত সরল রৈখিক না। একটি উদাহরণ দেই,
১৯৯৮ সালে ঢাকার এক্যুইফার থেকে পানি কমে যাবার পরিমান (পানি উত্তোলন- পানি প্রবেশ) পরিমান ছিল ৪১ মিলিয়ন ঘনমিটার অথচ ২০০২ সালেই তা গিয়ে দাঁড়াল ২২৭২ মিলিয়ন ঘনমিটারএ।
ঢাকার জন্য নদীভিত্তিক পানি সরবরাহ করার চেয়ে ভাল কোন অপশন আপাতত দেখা যাচ্ছেনা বড় স্কেলে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পদ্মা থেকে পানি এনে ঢাকার পানি সমস্যা সমাধানের একটা প্রকল্প বর্তমানে সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে আছে। স্যার এর সাথে একমত যে এটা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক মানদন্ডে কতটা বাস্তব সম্মত সেটা আগে গভীর ভাবে ভেবে দেখতে হবে।
কৃত্রিম রিচার্জ এর মাধ্যমে ‘রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং’ একটা উপায় কিন্তু এটা ঢাকার সার্বিক পানি সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমাধান দিতে পারবেনা বলে আমার মনে হয়। ঢাকার সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে আরো বৃহৎ আকারে ভাবনা চিন্তা করা প্রয়োজন। টেকনিক্যাল দিক গুলোর সাথে সাথে সামাজিক ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে চিন্তাভাবনা করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা উচিত। পানির ইনপুট বাড়ানোর সাথে সাথে তাই আঊটপুট কমানো টাও একটা কার্যকরী উপায় হতে পারে। রাজধানীর ডিসেন্ট্রালাইজেশন তাই এখন সময়ের দাবী। গার্মেন্টস, বিশ্ববিদ্যালয় সহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। পানির অপচয় কমানোর জন্য জনগনকে সচেতন করতে হবে। সরকার বেশ ঘটা করে আয়কর দিবস পালন করল, পানি ব্যবহারে পরিমিতবোধ বিষয়ক দিবস পালন করা যেতে পারে।
ধন্যবাদ ইশতিয়াক।
কৃত্রিম রিচার্জ দীর্ঘমেয়াদী কোন সমাধান নয় কিন্তু এই প্রাকটিসগুলো ইতিবাচক পানি সংকট সমাধানের দিকে। রাজধানীর ডিসেন্টালাইজেশন নিয়ে তোমার মতামত একদম সত্য। ঢাকার উপরে চাপ না কমলে কোন পরিকল্পনাই পুরোপুরি সফল হবেনা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচল জাহিদ, আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন শততম পোস্টে। আপনার লেখা গুলো খুবই তথ্য নির্ভর এবং সময়োপোযোগী। আপনাকে আবারো অভিনন্দন।
পুরো পৃথিবী
মনযোগ দিয়ে আমার লেখাগুলি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ 'পুরো পৃথিবী'।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শতকের অভিনন্দন...
গুরুত্বপূর্ণ লেখা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজু।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শতকের জন্য শুভেচ্ছা।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে লিখেছো। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে কোন সন্দেহ নেই। আর বন্ধ না করলে সেটা আর কয়েক দশক পর এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে পানির লেয়ার নেমে যাওয়ার জন্য। তাই নদীর পানির ব্যবহারের পরিকল্পনা সরকারের হাতে নেওয়া উচিত অতিশীঘ্রই। এই ক্ষেত্রে বুড়িগঙ্গাকেই ব্যবহার করতে হবে, শুধু প্রথমে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত উপরে যমুনা নদী হতে একটা ক্যানালে করে বুড়িগঙ্গায় ভাল পানির প্রবাহ বাড়ালে বুড়িগঙ্গার পানি পরিষ্কার হয়ে যাবে, প্লাস বাড়তি প্রবাহ পাওয়া যাবে ঢাকার ব্যবহারের জন্য। সমস্যাতো সেখানে নয়, পরিকল্পনা যারা গ্রহন করবে তারাই যে ব্যস্ত হাজার কোটি টাকা গড়ার কাজে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানলে একটা লেখা দেন বস।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হেপি সেঞ্চুরি
আপনার পোস্টগুলো পড়ে অনেক কিছুই জানছি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ সিমন ভাই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দারুণ তথ্যবহুল একটা লেখা। আপনার অন্যগুলোর মতই।
আর শততম লেখার শুভেচ্ছা!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ বস।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা। বড়ই চিন্তার বিষয় - কিন্তু যাদের চিন্তা করার কথা তারা কি করছে?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ধন্যবাদ বস। আশা করি ঢাকা ওয়াসা কিছু কার্যকরী পদপক্ষেপ নিবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমার প্রশ্নটা একদম প্রাইমারি লেভেলের, শুনে হাসবেন না যেন...
নিম্নাঞ্চল ভরাট করার ফলে যে পানিটুকু একুইফারে প্রবেশ করতে পারে না, সেটা যায় কোথায় ?? মানে ঐ হারানো পানিটুকু হারাচ্ছে ঠিক কোন পর্যায়ে ?? আর পানির ইনপুটের ব্যাপারটা, এটা কি অনেকটা কার্যকরী দক্ষতার মতন- যেখানে কখনোই ১০০% সম্ভব নয় ?? ...
শততম পোস্টের শুভেচ্ছা !! গবেষণাধর্মী লেখাগুলোর জন্য কলম চালু রেখে যান।
_________________________________________
সেরিওজা
তোমার প্রশ্ন যুক্তিসংগত। নিচে উত্তর দেবার চেষ্টা করছিঃ
আসলে একটি নদী অববাহিকায় যে পরিমান বৃষ্টিপাত হয় তার একটি অংশ স্বতবাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যায়, একটি অংশ মাটি বেয়ে আসার সময় নিচে চলে যায় আর বাকী অংশ নদীতে যায়। এখন ধরা যাক একটি নিম্নাঞ্চল বা জলাভুমি আছে। বৃষ্টির পানি ঢালু বেয়ে নদীতে আসার পথে যদি কোন জলাভূমি বা নিম্নাঞ্চল পায় তবে সেখানে স্থির হয়ে জমা হয়। এই জমে থাকা পানির একটি বড় অংশ উলম্ব ভাবে নিচে চলে যেয়ে এক্যুইফারে জমা হয় আর কিছু অংশ স্বতবাষ্পীভূত হয়ে উপরে চলে যায়। এখন এই নিম্নাঞ্চল ভরাট করে যদি আবাসন করা হয় তাহলে পানির সেখানে জমে থাকায় সুযোগ নেই ফলে তা সরাসরি ঢালু বেয়ে নদীতে চলে যায়। আর নদীর পানির বেগ যেহেতু বেশি তা নদী বেয়ে ভাটিতে চলে যায়। সুতরাং যে এলাক্য বৃষ্টিপাত হলো সে এলাকায় পানি নিচে যাবার সুযোগ পেলনা। আরেকটি কারন হচ্ছে যেহেতু নিম্নাঞ্চল ভরাট করে আবাসন করলে আচ্ছাদিত অংশের পরিমান বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে পানির মাটির নিচে যাবার জায়গা কমে যায়।
আশা করি ইনপুটের বিষয়টাও উপরের আলোচনায় বুঝতে পেরেছ।
শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। এরকম উৎসাহ থাকলে কলম চলবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সেঞ্চুরি করছেন বইলা হাততালি, শুভেচ্ছা।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
ধন্যবাদ আপনাকে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সেঞ্চুরিতে অভিনন্দন
এই ক্ষেত্রে সিলেটে আমরা বেশ সুখেই আছি, সুরমা নদীর পানি এখনও তেমন দূষিত হয় নাই, সাপ্লাইর পানি ঝকঝকে পরিষ্কার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বহুতল ভবনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে।
সত্যান্বেষী
ধন্যবাদ সত্যান্বেষী। আসলে সব শহরেই যেহারে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ দিনে দিনেই বাড়বে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শততমের শুভেচ্ছা!
বাংলাদেশে নাগরিক জীবনে ন্যুনতম সুযোগ সুবিধার (বিদ্যুৎ, পানি কিংবা বিশুদ্ধ বাতাস, এমন কী জ্বালানী গ্যাসও নাকি ফুরিয়ে আসছে) এতটুকু নিশ্চয়তা নেই! ভাবতেই গা হিম হয়ে আসে! এভাবে আর কত দিন! কেষ্টুবিষ্টুদের কবে বোধোদয় হবে?
ধন্যবাদ অগ্নিবীণা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভাইয়া, খুব ভাল লাগলো লেখাটা...একটা প্রশ্ন ছিল...যদি বুড়িগঙ্গা থেকে পানি সরবরাহ করার কোন প্লান থাকে সরকারের, তাহলে কি পানি শোধনের খরচ অনেক বেশি হবেনা?
বুড়িগঙ্গার দূষণ মাত্রা তো মনে হয় অনেক বেশি...
ধন্যবাদ তুরেন।
বুড়িগঙ্গা থেকে পানি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে পরিশোধন খরচ একটি চ্যালেঞ্জ বটে। সেক্ষেত্রে বুড়িগঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করারা পরিকল্পনা নিয়ে আসা উচিৎ। তাতে পরিবেশ বাঁচবে আর পানি সমস্যাও কমে আসবে। তবে পাশা পাশি শীতলক্ষা বা মেঘনা থেকে পানি সংগ্রহের কষ্ট বেনিফিট এনালাইসিস করা যেতে পারে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটাকে এত প্রাঞ্জল ভাষায় আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।আশা করি আমরা জনগণ এবং সরকার এটা নিয়ে আরো সচেতন হবো।
ধন্যবাদ মামুন।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শতকাভিনন্দন! একটা (গুড়) ল।
আর ঐ বইটা তুই এখনো অনুবাদ ধর্লি না।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
বেশ মিডা (গুড়)
অনুবাদ শুরু কর্সি কিন্তু আগায়না। বড়ই কঠিন ইংরেজী। বড়ই সরমিন্দার ( জিব্বায় কামড় দেওয়নের ইমো হইবো)
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আন-কনফাইন্ড এক্যুইফার আর কনফাইন্ড এক্যুইফার-এই দুইটার বাংলা কী করা যায়?
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
অনবরুদ্ধ ভূজলাধার আর অবরুদ্ধ ভূজলাধার।
ইশ্ কি কঠিন!
আবদ্ধ ভূজলস্তর আর অনাবদ্ধ ভূজলস্তর
(জলকে পানি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে)
আরো কঠিন হয়ে গেল নাকি?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শামীম ভাই কোমল সম্ভার ( Software) আর কঠিন সম্ভারের (Hardware) থিকা কিন্তু ভালা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অভিনন্দন শততম পোস্টে। চমৎকার সব তথ্যবহুল লেখা উপহার পেলাম।
ধন্যবাদ বস।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এই প্রসঙ্গে বলি: ১৬ই মে ২০০৮ তারিখে ভূগর্ভে পানি সঞ্চয় করার উপায় নিয়ে আমার একটা পোস্ট ছিল। তবে সেটা এখানে সর্বপ্রথম পোস্ট না হওয়ার কারণে প্রথম পাতায় দেইনি।
ইদানিং এ নিয়ে আরো কিছু বাস্তব এক্সপেরিমেন্টে সফল হয়েছি। সেই কাহিনী লেখার ইচ্ছা আছে একসময়ে।
এবার একটা বিষয়ে মতামত জানতে চাই:
ঢাকার নিচে পানির স্তর যত নেমে যাচ্ছে ততই আশেপাশের অঞ্চল থেকে এর ওয়াটার টেবলের পার্থক্য বাড়ছে। ফলে এই দুইয়ের মধ্যে বাড়ছে হাইড্রলিক/এনার্জি গ্রেডিয়েন্ট। ফলশ্রুতিতে থিওরিটিকালী একসময় এই অতিরিক্ত উত্তোলনের ফলে নতুন ওয়াটার টেবলও একটা নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি নামতে পারবে না বলে মনে হয়। কারণ অতিরিক্ত এনার্জি গ্রেডিয়েন্টের কারণে তখন পাশের এলাকা থেকে প্রবাহ বেড়ে সেটাকে রিচার্জ করবে। (V = Ki .... Darcy's law?)
বোঝার সুবিধার্থে কল্পনা করুন:
একটা নলকূপ থেকে Q পরিমান পানি তোলা হচ্ছে (yield)। এর ফলে সেখানে পানির টেবল কিছুটা নেমে যাবে। টেকনিক্যালি যেটাকে ড্র-ডাউন (draw down) বলা হয়। এখন যদি সেখান থেকে Q এর বদলে বেশি (ধরুন, 2Q) পরিমান পানি তোলা হয় তবে শুধু ড্র-ডাউনের পরিমান বেড়ে যাবে। এবং সেটা একটা নতুন সাম্যাবস্থায় স্থায়ী হবে। এখানে ধরে নেয়া হচ্ছে যে চারপাশ থেকে ভূ-স্তর দিয়ে সর্বদা পানি আসতে থাকবে।
এখনকার পরিস্থিতি হচ্ছে, পুরা ঢাকা-ই একটা কূপ। এখানে কোনো রিচার্জ হয়না শুধুই ডিসচার্জ হয়।
(জাহিদ স্যারের পোস্টে মন্তব্য করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই মন্তব্য করা হইলো)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শামীম ভাই হিম্নুর কাছ থেকে লিঙ্ক পেয়ে একবার আপনার লেখাটি দেখেছিলাম। আপনার সফল বাস্তব এক্সপেরিমেন্ট গুলোর লেখা আশা করছি। সেই সাথে একটা খোঁজ নিয়ে নিয়েন যে ঢাকা ওয়াসা এই নিয়ে কিছু ভাবছে কিনা। এখান থেকে খোজ নেয়া বেশ কঠিন। ওয়াসাতে আমার পরিচিত কেউ নাই। হয়ত দেশে থাকলে পরিচিত বের করা যেত।
এনার্জি গ্রেডিয়েন্ট নিয়ে তত্ত্বীয় কথাগুলো যুক্তিযংগত। তবে এখানে আরো কিছু বিষয় আনতে হবেঃ
১) রেডিয়াস অফ ইনফ্লুয়েন্স ( অর্থাৎকূপ থেকে যে ব্যাসার্থে ড্রডাউন তত্ত্বীয় ভাবে শুন্য) যা কিনা আবার নির্ভর করে পারমিয়াবিলিটির উপর।
২) এক্যুইফারে কূপগুলির ডিস্ট্রিবিউশন। কারণ আমরা তত্ত্ব যখন পড়ি অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা একটি একক কূপের জন্য পড়ি। একটি এক্যুইফারে অসংখ্য কূপ থাককে গ্রাউন্ডওয়াটার মডেল দিয়া স্টাডি না করলে কি হচ্ছে বলা মুশকিল।
৩) আকুইফারের বিস্তৃতি
এবারে একটা মজার তত্ত্বীয় উদাহরন দেই। ধরুন পানি তুলতে তুলতে একেবারে আনকনফাইন্ড একুইফারের শেষ পৌছে গেলেন। এক্ষেত্রে কূপের পিযোমেট্রিক হেড (hw)=০ শুরুতে এর মান ছিল ধরেন h0 যা কিনা দ্রুবক। তাইলে ডুপুইটসের তত্ত্ব মতে,
রেডিয়াস অফ ইনফ্লুএন্স= ধ্রুব ( ধরে নেই পারমিয়াবিলিটি =ধ্রুব)
তাইলে নিচের সমীকরণ মেনে দেখানো যায় কূপের ডিসচার্জও ধ্রুব !! তার মানে অনন্ত কাল পানি আসতে থাকবে !!
বস শেষের লাইনটা মাথায় উপর দিয়া গেল ( মন্তব্য লইয়া) !!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এক্যুইফারের বিস্তৃতিটাই এখানে ফ্যাক্টর বলে মনে হয়। কারণ তত্ত্বীয় ভাবে ধরে নেয়া হয় যে এটা চারদিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত। ক্ষুদ্র স্কেলে এটা ঠিক ফলাফল দিলেও বড় ক্ষেত্রে বাস্তবতা ভিন্ন।
ঢাকার মধ্যে যতগুলো পাম্প চলে তাতে পরষ্পর পরষ্পরের উপর প্রভাব বিস্তার করছে (ওয়াটার টেবল, ড্র-ডাউন)। পুরা ঢাকার ওয়াটার টেবলই নেমে যাচ্ছে। ঠিক যেন ঢাকা একটা ১০ কি.মি. ব্যাসের কূপ (ম্যাক্রো লেভেলে চিন্তা করলে)।
শেষ লাইনের শানে নযুল:
আমার বউ WRE অ্যালামনাই, আপনার ছাত্রী ছিলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এইবার বুজলাম। আপনার ঠিকুজি দেখিলাম। অধমকে তুমি বলিবেন।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনাদের লেখা গুলো খুবই ত্বাত্তিক এবং যৌক্তিক, কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনাদের লেখা থেকে আমার যে বিষয়টি মনে হয়েছে তা হল আপনারা এই এলাকার ভুতাত্তিক বিষয়টিতে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এখানে যে সমস্ত তত্ত্ব এবং সমীকরন (equations) দেয়া হয়েছে সেগুলো কতগুলো বিশেষ কন্ডিশন ধরে নিয়ে প্রতিষ্টা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে হমোজেনিটি এবং অন্যটি হচ্ছে একুইফারের সীমাহীন বিস্তৃতি। বাস্তবিক পক্ষে যার কোন্টাই সত্যি নয়। আর গ্রাউন্ড ওয়াটার ফ্লো এই বিশয়গুলির উপর খুবই নির্ভরশীল। আরো একটি গুরুত্ত্বপুর্ণ বিশয় হল এনাইছোট্রপি। গ্রাউন্ড ওয়াটার ফ্লো Kx এবং Kz এর অনুপাতের উপরো নির্ভরশীল।
যাইহোক ঢাকার পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ার ফলে আরো একটি বিশয় যেটা হতে পারে তা হল এর আশে পাশের (নারায়নগঞ্জ) এলাকায় ভার্টিকেল চাপীয় গ্রেডিয়েন্ট সৃষ্টি; যা কিনা উপরের আর্সেনিক দুষিত পানি নীচের গভীর স্তরে প্রবেশের পরিবেশ তৈরি করবে।
সেই মিরজাহান স্যারের ক্লাসে পড়েছি। কনফাইন্ড আর আন-কনফাইন্ড অ্যাক্যুফার! টার্ম গুলো মনে পড়ল।
লেখাটা খুবই সময়োপযোগী। যদিও ঢাকা ওয়াসার কাছে না। প্রায় তিন কি চার বছর আগে টিভিতে কোনো এক খবরের রিপোর্টে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেছিলেন পানিস্তর নেমে যাওয়ার দরুন ভুমিধ্বসের যে সম্ভাবনা তা ২০১১ এর আগে নাই। অর্থাৎ ২০১১ এর পর থেকেই এটা নিয়ে আমরা ভাবা শুরু করব। সেই হিসেবে আপনি এই লেখাটা একটু আগে দিলেন। আরো চার মাস অপেক্ষা করতে পারতেন ওই কর্মকর্তার মত। এখনযে কয়েকশ মিটার নিচ থেকে পানি তোলা হয় এটাই আমার কাছে অ্যাবসার্ড মনে হয়। যদিও এর চেয়ে ভাল অপশন নাই এই মুহুর্তে।
শীতলক্ষ্যার একটু উজান থেকে অথবা মেঘনা থেকে পানি আনাটা কতটূকু ফিজিবল হবে? উপরে স্বাধীন ভাইয়ের একটা প্রস্তাব পছন্দ হয়েছে। যমুনা নদী থেকে ক্যানালের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গাতে ভাল পানি সরবরাহ করা। ওনার কাছ থেকে এই ব্যাপারে একটা লেখা আশা করছি। আরেকটা ব্যাপার রেইন হার্ভেস্টিং কতটুকু ফিজিবল ঢাকা শহরের জন্য? আর সবশেষে ঢাকা শহরের বিকেন্দ্রিককরণ না করলে কোনো অপশনই ঢাকাকে রক্ষা করতে পারবে না।
সেঞ্চুরি তে অভিনন্দন। নেন আমার তরফ থেকে একটা (গুড়)
অনন্ত
মন্তব্যে (গুড়) দেয়া হইল।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পোস্টে (গুড়)
থিঙ্কু থিঙ্কু আর লগে (গুড়)
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দারুন লেখা বস! খুবই সময়োপযোগী বিষয়।
আচ্ছা, ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের ২০০৩ সালের যে পরিসংখানটা দিলে তার আপডেট নাই? ওয়াসার কোন লেটেষ্ট রিপোর্ট বেরোয়নি এ বিষয়ে? দেখা যাচ্ছে যে, সায়েদাবাদ পানি বিশোধন কেন্দ্র চালু করার পরের বছরেই বেশ উন্নতি হয়েছে নদী থেকে পানি সরবরাহে। গত সাত বছরে কি আরো একটু উন্নতি হওয়ার কথা না যাতে করে গ্রাউন্ডওয়াটার ব্যবহারে চাপ কমতে পারে কিছুটা?
আরেকটা জিনিস একটু জানতে চাচ্ছি - গ্রাউন্ডওয়াটার টেবল উপরে-নীচে নামা মানে হচ্ছে তো শুধু আনকনফাইন্ড অ্যাকুইফারের লেভেল উপরে-নীচে নামা, তাই না? কনফাইন্ড অ্যাকুইফারের লেভেল কি উঠা-নামা করে?
সর্বশেষে জানতে ইচ্ছা করছে - ঢাকার আনকনফাইন্ড অ্যাকুইফারের বিস্তৃতি বা ডেপথ কতটুকু জানো নাকি?
যাই হোক গুরু, শততম পোস্টের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
অবশেষ কায়েশ মিয়ার পদধূলি। কই ছিলা বস এতদিন?
ঢাকা ওয়াসার পরিসংখ্যানটা একটি প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী থেকে নেয়া ( Hudrogeology Journal) । আসলে সঠিক তথ্যসুত্র না পেলে পরিসংখ্যান অনেক সময় বিভ্রান্তি ছড়ায়। দেশে না থাকায় ওয়াসার কারো সাথে যোগাযোগ নেই ফলে হালনাগাদ রিপোর্ট নেই। তুমি একটু চেষ্টা করে দেখ কিছু আনতে পার কিনা। পেলে আমাকে পাঠিও।
গত সাত বছরে নতুন কোন প্যান্ট হবার খবর শুনিনি পত্রিকা মারফত। সেক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমার কথা হয় বরং উল্টোটা হবার কথা।
যতটুক তত্ত্ব জানি তাতে কনফাইন্ড এক্যুফারের ভেতর পানি আসলে বায়ুচাপের চেয়ে অধিক চাপে থাকে ফলে এমনিতেই কনফাইন্ড এক্যুইফারে নলকূপ স্থাপন করলে তার পানির লেভেল অনেক উপরে উঠার করা প্রাকৃতিক ভাবেই। তাই ওয়াটার লেভেল উঠানামা আসলে আনকনফাইন্ড এক্যুইফারের সাথেই বেশি সম্পর্কিত।
ঢাকার এক্যুইফারের বিস্তৃতির জন্য তথ্যসুত্র খূজছি। আসলে এই দিকটা ভূতাত্ত্বিক দের কাছ থেকে জানা উচিৎ। সচলে কেউ থাকলে আওয়াজ দেন !!
অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ রইল।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ঢাকা শহরে অনেকগুলো বৃষ্টির পানির চার্জিং স্টেশন তৈরি করা যাবে না? চার্জিং স্টেশনগুলোতে যদি ঢাকার তথাকথিত লেকগুলোর কাছে নির্মাণ করা হয়, তাহলে সেগুলোকে বাফার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, পাম্প খরচও বাঁচবে। প্রয়োজনে সেই পানিকে একটা টারবাইন ফেজ পার করিয়ে মাটির নিচে পাঠানো যায়, যাতে করে পাম্পের শক্তিব্যয়টাও অফসেট করা যায়।
@হিমু
বৃষ্টির পানি দিয়ে টারবাইন ঘুরাতে হলে সেটা বাফার লেক থেকে হবে না বলে মনে হয়। কারণ মাটির ভেতরে পানি প্রবেশের হার অভিকর্ষের বলে পতনশীল পানির চেয়ে অ-নে-ক কম।
বৃষ্টির পানি চার্জিং করার যেই পদ্ধতি আগের পোস্টে দেখিয়েছিলাম সেটার কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা আছে, যা ঐ পোস্টেই উল্লেখ করেছি। অপর সহজ, সস্তা এবং ঝামেলামুক্ত উপায় হল ওরকম একটা কূপ খনন করে সেটা মোটাবালু দিয়ে ভরে দেয়া। এতে চারপাশ থেকে মাটি ভেঙ্গে এটা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। কিন্তু সহজেই এর মধ্যে দিয়ে নিচের বালুর স্তরে পানি প্রবাহিত হতে পারবে। প্রতিবছর শুধু উপরে জমে থাকা পলি কেটে সামান্য বালু রিফিল করলেই এটা পূর্ণমাত্রায় সচল থাকবে।
এই ধরণের চার্জিং স্টেশনের সীমানা কোনো বিল্ডিঙের ভিত থেকে অন্তত ৫ মিটার দুরে হওয়া বাঞ্চনীয় (থাম্ব রুল)। কারণ চার্জিংএর সময়ে এর আশে পাশের ওয়াটার টেবল উঁচু হয়ে যাবে যা (ড্র ডাউনের ঠিক উল্টা ঘটনা) বিল্ডিং-এর ফাউন্ডেশনের জন্য হুমকী হতে পারে।
==
বড় বড় খেলার মাঠ, মেলার মাঠ, হাটের মাঠ, স্কুল/কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠগুলোকে এই কাজে ব্যবহার করা যায়।
মাঠগুলোর মাঝে বিল্ডিং করার সময়ে বেজমেন্ট তৈরীর সময়ে করা গর্তের মত বড় গর্ত করতে হবে। তারপর এটা বালু দিয়ে ভরাট করে বালুর উপরে বেশিরভাগ অংশ সামান্য মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া যেতে পারে যেন বালু উড়ে না যায়। এরপর আশেপাশের যত বৃষ্টির পানি, সব এই মাঠের দিকে প্রবাহিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বৃষ্টির সময়ে পানি মাঠে এসেই বালুর মধ্যে প্রবেশ করবে।
এই গর্তের মধ্যে একটা রিচার্জ ওয়েল ... অর্থাৎ গর্তের তলা থেকে একুইফার পর্যন্ত বালুভর্তি ইন্দিরা/কূপ দিলে রিচার্জ তাড়াতাড়ি হবে।
শুকনা বালুর মধ্যে ৩০ - ৪০% ফাঁকা থাকে। (একটা ১ লিটারের বিকার শুকনা বালু ভরিয়ে এতে পানি ঢাললে মোটামুটি ভাবে ৩০০-৪০০ সিসি পানি দেয়ার পর উপরে পানি দেখা যায়।) কাজেই যদি একটা মাঝে মাত্র ১০মি.×১০মি.×৪মি. বালু ভরাট গর্ত থাকে তবে এতে ৪০০ কিউবিক মিটারের কমপক্ষে ৩০% পানি অর্থাৎ ১২০,০০০ লিটার পানি এঁটে যাবে। যা ধীরে ধীরে একুইফারে প্রবেশ করবে।
দেশে গড়ে বছরে কম-বেশি ১৫০০ মি.মি. বৃষ্টি হয়। গত বছর একদিন ঢাকায় অতিবৃষ্টিতে ৩৩০ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছিলো। কাজেই এরকম (৩৩০মি.মি.) বৃষ্টিতে ১২০,০০০ লিটার বা ১২০ মিটার কিউব পানি হতে হলে ৩৬৩ বর্গমিটার (৩৯১০ বর্গফুট) জায়গার সম্পুর্ন রানঅফ লাগবে (এইটা কিন্তু এক্সট্রিম কেস)। আর পানি তো ঐ গর্তে জমে থাকবে না, ওটা হল বাফার, তাই আরো অনেক বেশি জায়গার রান-অফ বা পানি ওটা দিয়েই নিরাপদে ড্রেইন করা যাবে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতা এড়ানোর পাশাপাশি এতে গ্রাউন্ডওয়াটার রিচার্জ হবে।
অর্থাৎ বাফার হিসেবে জলাশয়-ই লাগবে এমন কোনো কথা নাই। বালু ভর্তি গর্তকেই (বিবিধ মাঠ/বাগানের নিচে অবস্থিত) বাফার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
সচিত্র আলাদা পোস্ট দেয়া লাগবে মনে হচ্ছে। সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতাটুকু।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ভাইয়া পোষ্ট আশা করছি শীঘ্রই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জলদি পোস্ট দেন।
লেখাটি আজ (৬ ডিসেম্বর ২০১০) ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছে। লিঙ্ক এখানে
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সেঞ্চুরির অভিনন্দন।
নতুন মন্তব্য করুন