ভারতের একপেশে তিস্তা চুক্তির খসড়া

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৯/২০১০ - ৭:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কালের কন্ঠে আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ আবেদ খানের "চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নে মনমোহনের নির্দেশ" শীর্ষক প্রতিবেদনটি বিশদ পড়ে যার পর নাই বিষ্মিত হয়েছি। শিরোনামটি ভারত বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও এর ভেতরে তিস্তা নদীর পানিবন্টন নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য বাংলাদেশের জন্য চরম হতাশা এবং তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের জন্য অপরিনাম দূর্গতি নিয়ে আসতে পারে ভবিষতে।প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য মতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার তিস্তার পানিবন্টন নিয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছে যাতে তিস্তার পানির ৮৩ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গে রেখে ১৭ শতাংশ বাংলাদেশে ছাড়ার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।  সবচেয়ে হাস্যকরে হচ্ছে নিচের লাইনটিঃ

"তবে দুই দেশের 'বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের' ইতিহাস টেনে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের মন্ত্রী সুভাষ নস্কর ওই খসড়ার নোটে লিখেছেন, যেহেতু বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেশ, তাই শুকনো মৌসুমে তিস্তার পানির ২৫ শতাংশ বাংলাদেশকে দিলেও রাজ্যের কোনো ক্ষতি নেই।"
 
চমৎকার বন্ধুত্বের নমুনা দেখানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এরকম নমুনা  বন্ধুত্বের নতুন সংগায়নের দাবী রাখে। ঠিক জানিনা বাংলাদেশে সরকারের এই মূহুর্তে প্রতিক্রিয়া কি। তবে নিঃসন্দেহে ভারতের এই অবস্থানের পেছনে সর্বশেষ যুক্ত নদী কমিশনের সভায় ব্যাপারে কূটনীতিতে আমাদের কিছু দৌর্বল্যকে দায়ী করা যেতে পারে।
 
 
তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার ইতিহাস অনেক পুরোনো হলেও ( ১৯৭২ সাল থেকে) এই বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা শুরু হয় আসলে গঙ্গাচুক্তির পর থেকে (১৯৯৬)। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সচিবপর্যায়ের বৈঠকে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয় এবং যৌথ নদী কমিশনের নির্দেশক্রমে এই কমিটির কাজ ছিল মূলত তিস্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অন্যান্য অভিন্ন নদীর ক্ষেত্র স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি পানি বণ্টন ফর্মুলা প্রণয়ন করা। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তার পানি বণ্টন (প্রতিবছর ১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ এপ্রিল) নিয়ে তিনটি প্রস্তাব আলোচিত হয়েছে।
 
 
প্রস্তাব ১ : ভারতের গজলডোবায় লব্ধ পানির শতকরা ২০ ভাগ নদীখাত সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে, আর বাকি শতকরা ৮০ ভাগ পানি বাংলাদেশ ও ভারত সমভাবে ভাগ করে নেবে।
 
প্রস্তাব ২ : ভারতের গজলডোবায় লব্ধ পানির শতকরা ২০ ভাগ নদীখাত সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে, আর বাকি শতকরা ৮০ ভাগ পানি ১৯৮৩ সালে প্রস্তাবিত এডহক চুক্তি অনুযায়ী ৩৬:৩৯ অনুপাতে বাংলাদেশ ও ভারত ভাগ করে নেবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ পাবে ৩৮ শতাংশ আর ভারত পাবে ৪২ শতাংশ।
 
প্রস্তাব ৩ : ভারতের গজলডোবায় লব্ধ পানির শতকরা ১০ ভাগ নদীখাত সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকবে, আর বাকি শতকরা ৯০ ভাগ পানি ১৯৮৩ সালের এডহক চুক্তি অনুযায়ী ৩৬:৩৯ অনুপাতে বাংলাদেশ ও ভারত ভাগ করে নেবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ পাবে ৪৩ শতাংশ আর ভারত পাবে ৪৭ শতাংশ।
 
এর বিপরীতে ভারতের প্রস্তাব ছিল অতিমাত্রায় একপেশে; যাতে উল্লেখ করা হয়, শতকরা ১০ ভাগ পানি নদীর জন্য রেখে ভারতের গজলডোবা ও বাংলাদেশের দোয়ানীতে সেচ প্রকল্পের কমান্ড এরিয়ার অনুপাতে পানি বণ্টন করা হবে। গজলডোবায় সেচ প্রকল্পের কমান্ড এরিয়া ৫.৪৬ লাখ হেক্টর আর দোয়ানীতে ১.১১ লাখ হেক্টর_সেই বিচারে ১০ শতাংশ পানি নদীর জন্য রেখে বাকি ৯০ শতাংশ পানি ৫:১ অনুপাতে বণ্টন করার প্রস্তাব করে ভারত, যাতে বাংলাদশের ভাগে জুটবে মাত্র ১৫ শতাংশ আর ভারতের ভাগে ৭৫ শতাংশ।
 
 
এই সুদীর্ঘ সময়ে যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন তিস্তা ছাড়াও ইছামতি ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়েও আলোচনা করেছে। যদিও প্রায় এক যুগ ধরে চলা আপস আলোচনায় ইছামতি ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সব সময় ছিল যে,
 
'একমাত্র তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারত সম্মত হলেই এই দুই নদীর বিষয়ে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছবে।' 
 
অথচ প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভারত সফরে যুক্ত নদী কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইছামতি ও ফেনী নদী নিয়ে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছে তিস্তার পানিবন্টনকে বাদ দিয়েই। ইছামতি নদীতে পলি সমস্যার কারনে উজানে বিশেষ করে ভারতীয় অংশে বন্যা সমস্যা দেখা দিত আর মৌসুমে প্রবাহ কমে যেত সুতরাং বাংলাদেশ ভারত যৌথ উদোগে ইছমতি মদী খনন করলে ভারতের বন্যা সমস্যা দূর হবে, অন্যদিকে ফেনী নদী থেকে ভারত ১.৮ কিউমেক পানি উত্তোলন করবে খাবার পানি প্রকল্পের জন্য এবং এই দুই সেই বিষয়েই ঐক্যমতে পৌঁছেছে ভারত ও বাংলাদেশ।
 
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বশেষ খসড়ায় ( বাংলাদেশ ১৭%, ভারত ৮৩%) আমরা ভারতের আগের অবস্থানেরই ( বাংলাদেশ ১৫%, ভারত ৭৫%, নদীর জন্য ১০%) পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি উপরন্তু  নদীর জন্য রেখে দেয়া ১০% থেকে ভারত নিয়েছে ৮% আর বাংলাদেশকে দিতে চাচ্ছে ২%। তাহলে আলোচনা করে কি অগ্রগতি হলো অথচ মাঝখান দিয়ে ভারতকে ইছামতি আর ফেনি নদীর ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়া হলো।
 
 
এক্ষেত্রে একটি আইনগত বাধ্যবাধকতার কথা বলা প্রয়োজন। গঙ্গাচুক্তির অনুচ্ছেদ ৯ অনুযায়ী, 'পক্ষপাতবিহীন ও সাম্যতাপ্রসূত এবং কোনো পক্ষেরই ক্ষতি না করে দুই সরকারই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহমান অন্যান্য আন্তসীমান্ত নদীসমূহের চুক্তির ব্যাপারে একক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার ব্যাপারে একমত'। অর্থাৎ গঙ্গাচুক্তি মেনে নিলে এই ধারা অনুযায়ী অন্য নদীগুলো নিয়ে আলোচনার বাধ্যবাধকতা দুই দেশের ওপরেই চলে আসে।  সেই সাথে  'পক্ষপাতবিহীন ও সাম্যতাপ্রসূত এবং কোনো পক্ষেরই ক্ষতি না করে' কথাটি মেনে নিলে ভারতের ৭৫:১৫ কিংবা ১৭:৮৩ অনুপাতের বণ্টনের যুক্তি ভিত্তিহীন এবং প্রকারান্তরে তা গঙ্গাচুক্তি লঙ্ঘনের শামিল।
 
আশা করি বাংলাদেশ সরকার সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে আলোচনার নামে তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণেরও ইতি ঘটবে।
 
আগ্রহী পাঠক ইচ্ছে করলে এই বিষয়ে ইতিপূর্বে প্রকাশিত আমার লেখা দুটি নিবন্ধ পড়ে দেখতে পারেনঃ
 
সচলায়তনেঃ  
 
দৈনিক কালের কন্ঠেঃ
 

 

 


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার লেখা বস! সেইসাথে মুখটা তীব্র কটূস্বাদে তিক্ত করে দেয়া লেখাও বটে!!

চমৎকার বন্ধুত্বের নমুনা দেখানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এরকম নমুনা বন্ধুত্বের নতুন সংগায়নের দাবী রাখে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বশেষ খসড়ায় ( বাংলাদেশ ১৭%, ভারত ৮৩%) আমরা ভারতের আগের অবস্থানেরই ( বাংলাদেশ ১৫%, ভারত ৭৫%, নদীর জন্য ১০%) পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি উপরন্তু নদীর জন্য রেখে দেয়া ১০% থেকে ভারত নিয়েছে ৮% আর বাংলাদেশকে দিতে চাচ্ছে ২%।

ঠিক কোনধরনের বন্ধু হলে এইরকম 'উদার'হৃদয়ের পরিচয় দেয়া সম্ভব? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন আপনারা---- বাংলাদেশ-ভারতের মত 'বন্ধুত্বপূর্ণ' সম্পর্ক থাকলে পরেই এইরকম গভীর ভালবাসার প্রকাশ দেখানো সম্ভব!

প্রবল পরাক্রমশালী প্রতিবেশী (ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্র বিবেচনা করেই) ক্ষ্যামাঘেন্না করে দুই ফোঁটা জল যে দিচ্ছেন---এতেই তো আমাদের বর্তে যাওয়া উচিত। গরীবের বউ নাকি সবার ভাবী। যাক শেষ পর্যন্ত আমরা ভারতের 'ভাবী' হতে পেরেছি!!

এই আনন্দে আজ রাতে ঘুম আসে কি না সন্দেহ---

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেতদা। তবে এক্ষেত্রে আমি বাংলাদেশের ভুমিকার সমালোচনা করব ভারতের পাশাপাশি। আমি লেখায় উল্লেখ করেছি বাংলাদেশের কূটনৈতিক দূর্বলতার কথা। আলোচনায় ইছামতি আর ফেনী নদীর ক্ষেত্রে সমঝোতা আসার পুর্বশর্ত ছিল তিস্তার বিষয়ে একটি মতৈক্যে পৌঁছানো। কিন্তু ত আনা করেই বাংলাদেশ ইছামতি আর ফেনীর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তে এসেছে। এখন তিস্তা নিয়ে আবার ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

...
... আনন্দের আর সীমা নাই।

সচল জাহিদ এর ছবি

চিন্তিত

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দয়া করে যা দিয়েছে তাতেই সন্তষ্ট থাকি। এটুকুও না দিলে কি নিতে পারতেন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সবকিছুর জন্য আমি দায়ী করবো আমাদের নতজানু পররাস্ট্র নীতিকেই। শুধু পানিচুক্তি কেনো, সীমান্তে অনবরত মার খেয়েও আমাদের কর্তারা কেবল পতাকা বৈঠক ডাকা পর্যন্তই দৌড় লাগাতে পারে। সেখানে কর্তার মুখে 'শালার ভাই' শুনে খুশিতে বগল বাজাতে বাজাতে চলে আসে। সমস্যার সমাধান আর হয় না। পানি চুক্তির ব্যাপারেও তাই। সুভাষ নস্করের কাছ থেকে "ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেশ" আখ্যা পেয়ে আমাদের নপুংশক নীতিনির্ধারকেরা আহ্লাদে আটখানা হয়ে ফিরে এসে নিজের পশ্চাৎদেশের কাপড় খুলে দাঁড়িয়ে গেছে লাইন ধরে। সুভাষ নস্করদের প্রত্যাশায়।

এগুলারে ধরে বিড়ালের খাঁচায় রেখে দেওয়া উচিৎ। একটা বিড়ালও এদের চেয়ে অনেক শক্ত করে ম্যাও ম্যাও করতে পারে।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুকচলুকচলুক

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তুহিন [অতিথি] এর ছবি

দিবে দিবে এক বছরের সব পানি এক বারে বর্ষাকালে দিয়ে দিবে। কনো চিন্তা নাই।

সচল জাহিদ এর ছবি

হুম

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

দুর্দান্ত এর ছবি

এখানে কি আওয়ামী লীগকে আলাদা করে দোষ দেবার কোন অবকাশ আছে?

সচল জাহিদ এর ছবি

আসলে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ১৯৭২ সাল থেকে। সুতরাং সব সরকারের আমলেই আলোচনা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক কালে তিস্তা চুক্তি ব্যাতিরেকেই বাংলাদেশ ভারত পানি বিষয়ক কিছু চুক্তির অবতারণা ( ইছামতি আর ফেনী নদীর ক্ষেত্রে) বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক দৌর্বল্য প্রকাশ করে বৈকি।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শেখ নজরুল এর ছবি

ভালো পাইছে।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

শিমুল এর ছবি

ধুগোদা, শুধু সরকারের দোষ দিয়ে লাভ নাই।কোন দেশের সরকার আসলেই ঐ দেশের মানুষের কমবেশি অর্থে সামষ্টিক মতামতকেই ধারণ করে।বাংলাদেশের মানুষের ভারত সম্পর্কে মনোভাবটাই সরকারের মধ্যদিয়ে পুরোটা না হলেও অনেকটা বোঝা যায়।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত এবং উঠতি বুদ্ধিজীবিদের কখনো ভারতের যৌক্তিক সমালোচনা করতে দেখছেন! পাছে গায়ে "মৌলবাদী"র তকমা লাগে কিংবা কলকাতায় স্বরচিত কবিতাপাঠের আসরে নেমন্তন্নটা হাতছাড়া হয়ে যায়।

ভারতের সাম্রাজ্যবাদি আচরণ নিয়ে লেখে কে "ফর্হাদ মজহার"। পুরোটাই গার্বেজ না হলেও বড় অংশজুড়ে "ভারত নয় থাকে মালাউন বিরোধিতা"।

ভারতের ১বিলিয়ন ডলারের মারা খাওয়া ঋনকে বৈধতা দিতে মতি আর মাহফুজ মিয়া সদলবলে মাঠে নামে বলে অন্য সরকার চীনের কাছ থেকে এরচেয়ে কঠিন শর্তে ঋন নিছে।যেন চিংকুরা আগা দিয়ে মারলে, ভারতীয়দের পাছা দিয়ে মারা যায়েজ।

বাংলাদেশের ভারতের সাম্রাজ্যবাদী আচরনের বিরোধিতা করে ঐ "বেইল" না পাওয়া বামপন্থিরা আর মালাউন হিসেবে গালিগালাজ করে মোল্লা-মুন্সি-নয়াদিগন্তিরা।

মুলধারা বলতে যা বুঝি কোন শালাই কিছু ছাপায় না।

সচল জাহিদ এর ছবি

ডঃ আকবর আলী টিপাইমুখ ইস্যু নিয়ে প্রথম আলোতে লিখেছিলেন,

বিধাতা মাত্র দুই ধরনের বাংলাদেশি বানিয়েছেন। এক ধরনের বাংলাদেশিরা হচ্ছেন ভারত বান্ধব। দোসরা কিসিমের বাংলাদেশিরা হচ্ছেন ভারত বিদ্বেষী। যারা ভারতবান্ধব তারা বিশ্বাস করেন যে মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা ও আমাদের আত্মার আত্মীয় ভারত বাংলাদেশের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। যারা ভারতবিদ্বেষী তারা মনে করেন চাঁদের বুড়ি যেমন চব্বিশ ঘন্টা চরকায় সুতা কাটছে, তেমনি নয়াদিল্লীতে ভারত ভাগ্যবিধাতারা অষ্ট প্রহর বাংলাদেশের অনিষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

কথাগুলো আমাদের জন্য নির্মন সত্য।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ভাইরে, সরকারের দোষ দিচ্ছি না। দিচ্ছি গোটা সিস্টেমটার দোষ। আমাদের পররাস্ট্রনীতি যদি সামষ্টিক মতামতকে ধারণ করেই তবে নতজানু হয়ে থাকে তাহলে সেই সামষ্টিক মতামতকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সময় চলে গেছে অনেক আগেই। মতামতকে পাশ কাটিয়েও যদি সিস্টেমটাকে একটা স্টিডি আকার দেয়া যায়, তবে তাই সই। বার বার থাবাড়া দিয়া আগাড়া ভাগ আইসা আরেকজন লইয়া যাইবো, এইটা আর কতো দেখবো আমরা? আমাদেরও তো মেরুদণ্ড আছে, কেঁচো তো না।

ভারত বিরোধী কিংবা বিদ্বেষী হওয়ার দরকার নেই। কেবল নিজের অধিকারটুকু বুঝে নেয়ার মতো আত্মবিশ্বাসটাই জরুরী। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমাদের নীতিনির্ধারকদের সেই ন্যুনতম আত্মবিশ্বাসটুকুই নেই। কেনো নেই কে জানে! এর পিছনে ব্যক্তি স্বার্থই বা কতো বড় রোল প্লে করে, সেটাও একটা প্রশ্ন বটে!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অতিথি লেখক এর ছবি

জাহিদ ভাই, এটা এখনো ভারতের তৈরি করা খসড়া। এর অন্য মানে হল, বাংলাদেশকে এখান থেকে দর কষাকষি শুরু করতে হবে। তাই এটা নিয়ে আমি চিন্তিত না। আমরা যদি শক্তিশালী কুটনৈতিক প্রচেষ্টা নিই আমাদের ভাল একটা মুল্য পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমার চিন্তা এখানেই। আমরা কুটনৈতিক ভাবে খুবই দুর্বল। আজ পর্যন্ত কোথাও আমাদের অর্জন ভাল না।

এখন যে ব্যাপারটা করা যায় তা হল, একটা জোরদার সচেতনতামুলক আন্দোলন। এটা ব্লগ থেকেও শুরু যেতে পারে। এক সময় এই ধরনের সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন সে সুযোগ আছে। তাই উচিত হবে না মানসিক দৈর্বল্যে ভোগা কুটনৈতিক ও রাজনিতিকদের আশায় বসে থাকা।

অনন্ত

সচল জাহিদ এর ছবি

এটা এখনো ভারতের তৈরি করা খসড়া। এর অন্য মানে হল, বাংলাদেশকে এখান থেকে দর কষাকষি শুরু করতে হবে

অনন্ত তুমি তিস্তা চুক্তির আলোচনার ইতিহাস পড়লে দেখবা এই খসড়া নিয়ে ওরা গত ১৩ বছর ধরে (৯৭ থেকে) আলোচনা করতাছে, এই ১৩ বছরে ওদের হিস্যা বন্টনের কোন নড়চড় হয় নাই। এইবার বোঝ কেন চিন্তিত।

প্রচারণা চালানো যেতে পারে কিন্তু আসল কাজ সরকারকেই করতে হবে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তোমার প্রতিটা ব্লগই বান্ধায়ে রাখার মতো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ নজু।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

সচল জাহিদ ব্লগস্পট


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।