সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হয়েছে [৫]। এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে, তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। শুরুতেই পরিষ্কার করে নেয়া ভাল, এই চুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। এই পোষ্টের আলোচনা মূলত চুক্তিটির একটি অনুচ্ছেদ নিয়ে (ধারা ২২) যেখানে বাংলাদেশ-ভারত এই মর্মে একমত হয়েছে যে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ ও ভারতের শীলঘাট নতুন ‘পোর্ট অফ কল’ স্বীকৃতি পাবে। এই চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সম্প্রতি বাংলাদেশ ভারত ‘Inland Water and Transit and Trade (IWTT)’ নবায়ন করা হয়েছে। এই পোষ্টে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হবে যে বাংলাদেশ ভারত বর্তমান প্রটোকল নৌপথ সংরক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের নদীসমূহের নাব্যতা সংরক্ষণ করা যায় কিনা। একই সাথে বলে রাখা ভাল যে এটি অবশ্যই প্রারম্ভিক আলোচনা, বিশদ বিশ্লেষণ এক্ষেত্রে আবশ্যক এবং তা অবশ্যই কারিগরী ভাবে করতে হবে।
লেখাটি কয়েকটি অংশে বিভক্ত এবং দুটি পর্বে সমাপ্য। প্রথমে সংক্ষেপে এতে বাংলাদেশ ও ভারতের আভ্যন্তরীণ নৌপথ নিয়ে আলোচনা করা হবে; এর পরে আলোচনা করা হবে বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথ নিয়ে; প্রটোকল নৌপথের ব্যবহারের সাম্প্রতিক উপাত্ত নিয়ে পরিসংখ্যানগত কিছু আলোচনা থাকবে তার পরের অংশে; এবং সর্বশেষে বাংলাদেশের নাব্যতা সমস্যা ও বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথের আলোকে তার সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্যতা নিয়ে একটি আলোচনা থাকবে।
আগেই বলা হয়েছে, এটি প্রারম্ভিক আলোচনা। সুতরাং এই পোষ্টে সবার আলোচনা, সমালোচনা প্রত্যাশা করছি তবে তা অবশ্যই যুক্তি এবং উপাত্তভিত্তিক হতে হবে। ভারত-বাংলাদেশে সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা কিংবা একতরফা ভারত প্রীতি বা একতরফা ভারতবিদ্বেষী বক্তব্য এক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
আজ প্রথম পর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথ নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিমূলক আলোচনা থাকছে।
বাংলাদেশে মোট নৌপথের দৈর্ঘ্য ২৪,০০০ কিমি হলেও নৌপরিবহনযোগ্য নৌপথের দৈর্ঘ্য মাত্র ৫৯৬৮ কিমি তাও সেটি আবার শুষ্ক মৌসুমে কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৩,৮৬৫ কিমি এ। নৌপথের সম্ভাব্য ন্যুনতম গভীরতার (Least Available Depth, LAD) উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের এই আভ্যন্তরীন নৌচলাচল গতিপথকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ ক্লাস ১, ক্লাস ২, ক্লাস ৩ এবং ক্লাস ৪, যাদের সম্ভাব্য ন্যূনতম গভীরতা যথাক্রমে ৩.৬৬ মিটার, ২.১৩ মিটার, ১.৫২ মিটার এবং ১.৫২ মিটারের কম [১,৩]। এই চার ধরনের নৌপথের মধ্যে একমাত্র ক্লাস ৪ নৌপথগুলি মূলত মৌসুমী, বাকী নৌপথগুলি সারা বছর ধরে চালু থাকে। চিত্র ১ এ চার ধরনের নৌপথগুলি দেখানো হলো।
বাংলাদেশে ক্লাস ১ নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৯৩ কিমি যা দেশের সর্বমোট পরিহনযোগ্য নৌপথের মাত্র ১১ শতাংশ। চারটি প্রধান নদীপথের সমন্বয়ের ক্লাস ১ নৌপথ গঠিতঃ চট্টগ্রাম থেকে চৈকিঘাটা, চাঁদপুর ও শম্ভুপুরা হয়ে নারায়নগঞ্জ (বা ঢাকা); শম্ভুপুরা থেকে ডেমরা; শম্ভুপুরা থেকে ভৈরববাজার (বা আশুগঞ্জ); চৈকিঘাটা থেকে বরিশাল, মংলা, খুলনা হয়ে মহেশ্বরপাড়া।[৩]
ক্লাস ১ নদীপথগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপনকারী নৌপথ হচ্ছে ক্লাস ২। প্রায় ১০০০ কিমি দীর্ঘ এই নৌপথগুলোকে আটটি অংশে ভাগ করা যায়ঃ মোহনপুর থেকে ডাইখাওয়া; ভৈরববাজার থেকে ছাতক; চালনা থেকে রায়মঙ্গল, হিজলা থেকে শায়েস্তাবাদ; চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার; দায়রা থেকে নন্দীরবাজার হয়ে বরিশাল এবং চাঁদপুর থেকে ইঁচুলি।[৩]
ক্লাস ৩ নৌপথগুলিও মূলত সংযোগ স্থাপনকারী। প্রায় ১৯০০ কিমি দীর্ঘ এই নৌপথ মোট ১২টি অংশে বিভক্তঃ দিলালপুর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে জকিগঞ্জ; চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই, কাপ্তাই থেকে বিলাইছড়ি; রামগতি থেকে ছোটহরিনা; রামগতি থেকে মহালছড়ি; রামগতি থেকে মরিশ্যা; শ্রীপুর (ভোলা) থেকে নাজিরপুর হয়ে চর মন্তাজ; ঝালকাঠি থেকে বরগুনা হয়ে পাথরঘাটা; চরপাওয়ার থেকে পটুয়াখালি, গলাচিপা হয়ে মহিপূর; এবং খুলনা থেকে বরদা হয়ে মানিকদাহ।[৩]
ভারতের আভ্যন্তরীন নৌপথ মোট পাঁচটি জাতীয় নৌপথের (National Water Ways, NW) সমন্বয়ে গঠিত। গঙ্গা-ভাগিরথী-হুগলী নদী ব্যবস্থার সমন্বয়ে জাতীয় নৌপথ-১ (NW-1), যার মোট চারটি অংশ রয়েছেঃ হালদিয়া থেকে ফারাক্কা (৫৬০ কিমি), ফারাক্কা থেকে পাটনা (৪৬০ কিমি), পাটনা থেকে বারানসী (৩৬৩ কিমি) এবং বারানসী থেকে এলাহাবাদ (২৩৭ কিমি)। ব্রহ্মপুত্র নদের সাদিয়া থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমারেখা পর্যন্ত অংশ নিয়ে জাতীয় নৌপথ-২ (NW-2) যার চারটি অংশ রয়েছেঃ বাংলাদেশ-ভারত সীমারেখা থেকে পান্ডু (২৫৫ কিমি), পান্ডু থেকে নিয়ামতি (৩৭৪ কিমি), নিয়ামতি থেকে ডিব্রুগড় (১৩৯ কিমি), এবং ডিব্রুগড় থেকে সাদিয়া (১২৩ কিমি)। পশ্চিম উপকূলীয় খাল (West Coast Khal) , উদয়গমন্ডল খাল এবং চম্পাকরা খাল নিয়ে জাতীয় নৌপথ-৩ (NW-3) গঠিত। গোদাবরী ও কৃষ্ণা নদী এবং কাঁকিনাড়া ও পন্ডিচেরীর মধ্যকার সংযোগ খাল নিয়ে জাতীয় নৌপথ-৪ (NW-4); এবং সর্বশেষে ব্রাহ্মণী নদী ও মহানন্দা বদ্বীপ এবং পশ্চিম উপকূলীয় খাল (West Coast Khal) নিয়ে জাতীয় নৌপথ-৫ (NW-5 ), যা মোট ৫৮৮ কিমি দীর্ঘ, এর মধ্যে নদীপথ ৩৭১ কিমি আর কৃত্রিম খাল ২১৭ কিমি।[৪]
বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথের ইতিহাস বেশ পুরোনো। কথিত আছে ব্রিটিশ আমলে কলকাতা বন্দর থেকে আসাম পর্যন্ত পণ্য পরিবাহিত হতো। ১৯৫০ সালে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে স্ব স্ব নৌপথ অন্যদের দ্বারা ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের জন্য ‘Protocol on Inland Water Transit and Trade’ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা কিনা ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত বলবত ছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মার্চ বাংলাদেশ এবং ভারত আগের চুক্তিটি পুনরায় বলবত করে এবং আটটি প্রটোকল নৌপথ নির্ধারিত করে। এগুলো হচ্ছেঃ কলকাতা থেকে রায়মঙ্গল, চালনা, খুলনা, মংলা, কাউখালি, বরিশাল, নন্দির বাজার, চাঁদপুর, আরিচা, সিরাজগঞ্জ, বাহাদুরাবাদ, চিলমারি, ধুব্ড়ি হয়ে পান্ডু; বিপরীতক্রমে পান্ডু থেকে কলকাতা; কলকাতা থেকে রায়মঙ্গল, মংলা, কাউখালি, শ্রীপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ, জকিগঞ্জ হয়ে করিমগঞ্জ; বিপরীতক্রমে করিমগঞ্জ থেকে কলকাতা; রাজশাহী থেকে গোদাগারি হয়ে ধুলিয়ান; বিপরীতক্রমে ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী; ভৌরববাজার থেকে মিঠামইন, ইটনা, লালপুর, সুনামগঞ্জ হয়ে ছাতক; এবং বিপরীতক্রমে ছাতক থেকে ভৈরববাজার।[৩]
বাংলাদেশে ভারত প্রটোকল নৌপথের ‘পোর্ট অফ কল’ (যেখানে পণ্য বা যাত্রীবাহী নৌযান লোডিং-আনলোডিং এর কাজ করে থাকে) মোট আটটি। বাংলাদেশে পোর্ট অফ কল হচ্ছেঃ নারায়নগঞ্জ, খুলনা, মংলা, ও সিরাজগঞ্জ; ভারতে হচ্ছেঃ কলকাতা হালদিয়া, পান্ডু, ও করিমগঞ্জ। সারসংক্ষেপ বললে, এই প্রটোকল নৌপথের গুরুত্ত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছেঃ কলকাতা থেকে পান্ডু, কলকাতা থেকে করিমগঞ্জ, এবং করিমগঞ্জ থেকে পান্ডু[১]। সুতরাং বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথের সাথে সংশ্লিষ্ট হচ্ছে ভারতের জাতীয় নৌপথ-১ ও জাতীয় নৌপথ-২। নদীব্যবস্থার আলোকে বললে এই প্রটোকলের সাথে জড়িয়ে আছে ভারতের গঙ্গা-ভাগিরথী-হুগলী, ব্রহ্মপুত্র, বারাক নদীব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা, গঙ্গা-পদ্মা, যমুনা, কচা, পশুর নদীব্যবস্থা।
বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথ এর চুক্তি ২০০৯ এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল যা সম্প্রতি ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নবায়ন করা হয়েছে [৬]। এই চুক্তির নবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত মূলত গৃহীত হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১০ এর ভারত সফর কালে। ঐ সফরে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশে ভারত যৌথ ইশতেহারের ধারা ২২ অনুযায়ী, দুই দেশ এই মর্মে একমত হয় যে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ ও ভারতের শীলঘাট নতুন ‘পোর্ট অফ কল’ স্বীকৃতি পাবে; বাংলাদেশ ভারত ‘Inland Water and Transit and Trade (IWTT)’ নবায়ন করা হবে; বিশাল আকারের কার্গো পরিবহনের জন্য যাবতীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ-ভারত যৌথ দল সম্ভাব্যতা যাচাই করবে; ভারত সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করবে এবং দুই দেশই তা বাস্তবায়ন করবে; এবং দুই দেশেরই ঠিকাদাররা এই কাজ করার জন্য বৈধ বলে বিবেচিত হবে[৫]। এই যৌথ ইশতেহারার ধারা ২৩ ও এক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন ভাবে সংশ্লিষ্ট যাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত এই মর্মে একমত হচ্ছে যে বাংলাদেশ তার মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ভারতকে সড়ক ও রেলপথে পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করতে দেবে। বাংলাদেশ একই সাথে নেপাল ও ভুটানকেও একই সুবিধা অর্থাৎ চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সম্মতি দেবার বিষয়ে তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করছে।
এই পোষ্টটি একটি যৌথ প্রচেষ্টা। প্রাথমিক ভাবনা হিমুর। তথ্য সংগ্রহে সহযোগীতা করেছেন ষষ্ঠ পান্ডব ও হিমু। প্রাথমিক লেখাটি বিভিন্ন আঙ্গিকে রিভিউ করেছেন ইশতিয়াক রউফ, স্বাধীন ও ষষ্ঠ পান্ডব। এদের সবার সহযোগীতা ছাড়া এই লেখা সম্ভব হতোনা। এই পোষ্টের মাধ্যমে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি।
[১] Bangladesh Inland Water Transport Authority: Website
[২] People's Republic of Bangladesh Revival of Inland Water Transport: Options and Strategies. Bangladesh Development Series, Paper No. 20, The World Bank Office, Dhaka, September 2007.
[৩] Water Transport, Banglapedia.
[৪] Inland Waterways Authority of India: Website
[৫] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১০ এ ভারত সফরের সময় স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার
[৬] ‘India proposes comprehensive shipping deal with Bangladesh’ The Financial Express, VOL 18 NO -196 REGD NO DA 1589, Dhaka, Wednesday February 16 2011
[৭] Narayan Rangaraj and G. Raghuram , 2007. “Viability of Inland Water Transport (IWT) in India”, INRM Policy Brief No. 13, Asian Development Bank.
[৮] ‘Bangladeshi vessels take lead in India, Bangladesh protocol’, The Economic Times, January 17, 2007
[৯] ‘India set for transit in Bangladesh’, The Telegraph, Calcutta, India, Tuesday, January 11 , 2011.
[১০] জাহিদুল ইসলাম, ‘তিস্তা চুক্তিতে বাংলাদেশের লক্ষণীয় বিষয়গুলো’, কালের কন্ঠ, ১৭ মার্চ, ২০১০।
মন্তব্য
চমৎকার উদ্যোগ। দু দেশের আভ্যন্তরীন নৌপথের সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য পেলাম। আমার কাছে মনে হল মূল অংশ 'সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্যতা' টি আসলে পরবর্তি পর্বে আসবে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
শীঘ্রই আসবে- অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ কবি-মৃত্যুময়। আপনার ধারনা ঠিক। এই পর্বে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ভারত নদীপথের একটি সুষ্পষ্ট ধারণা দেবার প্রয়াস ছিল যা আগামী পর্বের মূল আলোচনায় রসদ যোগাবে। আশা করি আগামী পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অবশ্যই অংশগ্রহণ করব- অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
ভালো উদ্যোগ স্যার। আশা করছি দুই পর্ব মিলিয়ে বেশ ভালো আলোচনা দেখতে পাবো। আর এ চুক্তির ভালো-মন্দ দুই দিকই আলোচনায় আসবে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ মামুন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অসাধারণ লেখা জাহিদ ভাই। এইসব লেখার গুণেই সচলায়তন অনন্য।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
Informative post. But for some reason I can see the maps.
ধন্যবাদ। আপনি কোন এক্সপ্লোরার এবং কি ভার্শন ব্যবহার করেন জানা থাকলে সুবিধে হত।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তথ্যবহুল ও পরিশ্রমী এই পোস্ট পড়ে রীতিমত রহস্য গল্পের মত আনন্দ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ একটা লেখার জন্য। কিছু কথা-
১। ট্যাগে আশুগঞ্জ দিলেন না?
২। ভারতের আভ্যন্তরীন নৌপরিবহন ব্যবস্থা অনুচ্ছেদে জাতীয় নৌপথ-১ এর চারটি অংশ পয়েন্ট আকারে দিন। পড়তে সুবিধা হবে।
৩। আপনার লেখার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু জার্গান আমার বুঝতে একটু সমস্যা হয়। (যেমন বাঁধ ও ব্যারাজের পার্থক্য) আপনার আগের পোস্ট থেকে কিছু জিনিস পরিষ্কার হয়েছে। আপনি যদি পরবর্তীতে কখনো সময় পান তাহলে সাধারণ কিছু শব্দবন্ধ/পারিভাষিক শব্দের তালিকা করে একটি পোস্ট দিতে পারেন। যেহেতু আপনি এই বিষয়ে নিয়মিত লিখেন, সেগুলোকে মূল রচনার সাথে লিঙ্ক করে দিতে পারেন। ভেবে দেখবেন।
পরের পর্বের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম।
১) আলাদা করে আশুগঞ্জ ট্যাগে দেইনি কারন আমার আলোচনা সার্বিক প্রটোকল নৌপথ নিয়ে। আলাদা করে আশুগঞ্জ তাতে কোন গুরুত্ত্ব বহন করেনা।
২) প্রথমে ভেবেছিলাম ভারতের এবং বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন নৌপরিবহন ব্যবস্থা পয়েন্ট আকারে দিব। কিন্তু তাতে ঐ যে আপনি বললেন 'রহস্য গল্পের মত আনন্দ' সেটা বিঘ্নিত হতে পারে সেই চিন্তা করে দিলামনা।
৩) সহমত। আসলে চেষ্টা করি সহজ করে লিখতে তারপরেও পানিসম্পদ বিষয়ক কিছু শব্দের সার্বিক ব্যখ্যার পোষ্ট সবসময়ই প্রয়োজনের দাবী রাখে। চেষ্টা করব এরকম একটি লেখা দিতে।
আপাতত বাঁধ ও ব্যারেজের পার্থক্যের জন্য আমার সম্প্রতি প্রকাশিত 'টিপাইমুখ বাঁধ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট' ইবুকের চ্যাপ্টার ১ এ চমৎকার ভাবে দেয়া হয়েছে। ইচ্ছে করলে দেখতে পারেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এইখানে বাংলাদেশ ভারতকে তার সমূদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে, কিন্তু নেপাল-ভুটানের জন্য বাংলাদেশের সমূদ্র বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিতে বাংলাদেশ আশাবাদী আর ভারত নিশ্চুপ। অর্থাৎ ভারত বাংলাদেশকে এই ব্যাপারে চাপ দিয়ে নিজের সুবিধা আদায় করে নিলো, কিন্তু বাংলাদেশের সুবিধা হয় বা কোলকাতা বন্দরের ব্যবহার কমে যেতে পারে এমন বিষয়ে তারা নিশ্চুপ রইলো। এই পোস্টের সীমার বাইরে চলে যায় বলে ভারত কর্তৃক এই সমূদ্র বন্দর ব্যবহারের বিষয়ের সাথে জড়িত কৌশলগত সমস্যার কথা এখানে আর বললাম না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডবদা, এই প্রসংগ নিয়ে একটি লেখা আশা করতে পারি আপনার কাছ থেকে। কোন সাহায্য লাগলে আমাকে বলবেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার এই প্রচেষ্টা সব সময় চালু থাকুক।
ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই। অহর্নিশ চেষ্টা থাকবে। আশা করি আপনাদের সহযোগীতা পাব সমসময়।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক ধন্যবাদ তথ্যবহুল ও পরিশ্রমী লেখাটার জন্য। পরবর্তী পর্বগুলো এবং এই বিষয়ে আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ। আগামী পর্বেই আলোচনা শেষ করব আশা রাখি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দ্বিতীয় পর্ব সমেত আপনার লেখাটি খুব মন লাগিয়ে পড়লাম। আপনার সবচেয়ে বড় সাফল্য আমার মতো অর্বাচীন পাঠকের মনে এ বিষয়ে আরো খুঁটিনাটি জানার আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারা। সে আশায় পথ চেয়ে থাকলাম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন