বাংলাদেশ ভারত প্রটোকল নৌপথের ব্যবহার দিক দিয়ে একচেটিয়া এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।১ চিত্র ৪-এ ২০০৬-২০১০ এই চার বছরের একটি পরিসংখ্যানগত তুলনা দেখানো হলো। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে এই নৌপথ দিয়ে মোট ২৫৪০টি পণ্যবাহী নৌযান পরিবাহিত হয়েছে যার সবকটিই বাংলাদেশের। ২০০৭-২০০৮ সালে মোট পরিবাহিত ২৯৮০ টি নৌযানের মধ্যে ভারতের রয়েছে মাত্র ২টি। ২০০৮-২০০৯ সালে মোট ১০৪২ টি পরিবাহিত নৌযানের মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ১০৩১ টি আর ভারতের ১১ টি। সর্বশেষ ২০০৯-২০১০ সালে ১৩০৮ টি পরিবাহিত নৌযানের মধ্যে ভারতের ৭টি আর বাংলাদেশের ১৩০১ টি [১]। অর্থাৎ, সামগ্রিক বিচারে ভারত গত চার বছরে (২০০৬-২০১০)এই নৌপথের শতকরা মাত্র ০. ২৫ ভাগ ব্যবহার করেছে।
পণ্য পরিবহনের পরিমানের বিচারেও বাংলাদেশ একচেটিয়া এগিয়ে আছে। ২০০৬-০৭, ২০০৭-০৮, ২০০৮-০৯ এবং ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রটোকল নৌপথ দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত পণ্য পরিবহনের পরিমানের তুলনামূলক হার হচ্ছে যথাক্রমে - ১০০ বনাম ০, ৯৯.৮ বনাম ০.২, ৯৮.৪৮ বনাম ১.৫২, এবং ৯৯.৬২ বনাম ০.৩৮।
২০০৭ থেকে ২০১০ এর মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় নৌযান দ্বারা আটটি প্রটোকল নৌপথের মধ্যে মাত্র তিনটিতে পন্য পরিবহন সংঘটিত হয়েছে। চিত্র ৫ এ একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যান দেখানো হলো। কলকাতা থেকে পান্ডু পথে পরিবাহিত হয়েছে শতকরা ৪৩ ভাগ পণ্য, কলকাতা থেকে করিমগঞ্জ পথে পরিবাহিত হয়েছে শতকতা ৫৬ ভাগ এবং করিমগঞ্জ থেকে কলকাতা পথে পরিবাহিত হয়েছে শতকরা মাত্র ১ ভাগ [১]।
যদিও প্রটোকল অন্যযায়ী বাংলাদেশ-ভারত কার্গো পরিবহন ৫০:৫০ অনুপাতে হওয়ার কথা কিন্তু বাস্তবিক ভাবে এই অনুপাত একচেটিয়া বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকে পড়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছেঃ
বাংলাদেশের নদীসমূহে নৌপরিবহন নিশ্চিত করার জন্য, অর্থাৎ শ্রেনীভেদে ( Class I-IV) প্রয়োজনীয় ন্যুনতম সম্ভাব্য গভীরতা (LAD)৩ বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (BIWTA) কাজ করে থাকে। তাদের একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ এই নৌপথসমুহের নাব্যতা রক্ষা করা যা অনেক সময় ড্রেজিং এর মাধ্যমে করতে হয়। কিন্তু অর্থাভাবে তা সবসময় নিশ্চিত করা যায়না। এছাড়া দেখা গেছে, মূল প্রাধান্য থাকে পদ্মা, যমুনা এবং মেঘনা ফেরী ক্রসিং এর নৌপথ নিশ্চিত করা; ফলে মূল নদীপথ রক্ষণাবেক্ষণ থাকে অর্থাভাবে অবহেলিত [১]।
বাংলাদেশের নদীসমুহের মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা ফারাক্কা ব্যারেজের কারনে চুক্তি অনু্যায়ী সীমিত পরিমান পানি পায় শুষ্ক মৌসুমে, এর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের নদীসমুহের পানিপ্রবাহ সম্পর্কিত। যমুনাতে পানির পরিমানের সমস্যা না থাকলেও পলি সমস্যা প্রকট। অন্যদিকে সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনাতে নাব্যতা সমস্যা অন্য নদীসমূহের তুলনায় কম।
প্রটোকল নৌপথ সরকারী-বেসরকারী উভয়ক্ষেত্রে ভাবে সঠিক ও অর্থনৈতিক ভাবে মুনাফা অর্জনকারী পণ্য পরিবহন কাজে ব্যবহার করতে পারলে দুই দেশের স্বার্থ সংরক্ষিত হতে পারে।
ভারত তার জাতীয় নৌপথ-১ এর সাথে জাতীয় নৌপথ -২ এর সংযোগ স্থাপন করতে পারে এবং সেটা প্রটোকল মেনেই। তবে এখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রটোকলের আওতায় ভারতকে তার আভ্যন্তরীন পণ্য পরিবহন করতে দেয়া যেতে পারে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এর সাথে জড়িত রয়েছে বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতের আয় এবং ভারতের প্রটোকল নৌপথ ব্যবহারের হার। নিঃসন্দেহে এই সুবিধা ভারতকে দিলে প্রটোকল নৌপথে ভারতীয় নৌযানের চলাচল বাড়ার কথা যা প্রকারান্তরে পরবর্তী অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। আবার এর ফলে বাংলাদেশি নৌযানগুলি প্রটোকল নৌপথে এখন যে সুবিধা পাচ্ছে তা হ্রাস পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করে নেয়া ভাল আর তা হলো জাতীয় নৌপথ-১ এর সাথে জাতীয় নৌপথ -২ এর সংযোগ আর ভারতের ‘আন্তঃনদী সংযোগ’ এক জিনিস নয়। জাতীয় নৌপথ-১ এর সাথে জাতীয় নৌপথ -২ সংযোগ বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক ভাবে এই সংযোগ আছে কিন্তু মাঝখানে বাংলাদেশের ভূখন্ড থাকায় নৌচলাচলের অনুমতি নেই, সেটা হতে হবে প্রটোকল নৌপথ মেনে নিয়ে। অর্থাৎ গঙ্গা-ভাগিরথী-হুগলী, ব্রহ্মপুত্র এবং বারাকের নৌপথ সংযোগ। অন্যদিকে আন্তঃনদী সংযোগের একটি উদাহরণ হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহের সাথে গঙ্গার প্রবাহকে সংযোগ খালের মাধ্যমে যুক্ত করা এবং গঙ্গায় পানি বৃদ্ধি করা। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে বাংলাদেশের জন্য আন্তঃনদী সংযোগ মেনে নেয়া আত্মঘাতী একটা সিদ্ধান্ত হবে।
ভারত তার জাতীয় নৌপথ-১ এর সাথে জাতীয় নৌপথ -২ এর সংযোগ স্থাপন করলে কলকাতা বন্দর থেকে পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্বাংশে (আসাম, মনিপুর, মিজোরাম বা ত্রিপুরা) পরিবহনে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে। উদাহরণসরূপঃ সম্প্রতি ত্রিপুরা সরকারের কেনা ৭২৬ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ জেনারেটর কলকাতা বন্দর থেকে আশুগঞ্জ হয়ে ত্রিপুরায় পরিবহন এক্ষেত্রে ইতিবাচক হিসেবে দেখা যেতে পারে [৯]।
তবে এক্ষেত্রে যে বিষটি লক্ষ্যনীয় তা হচ্ছে কোনটি অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনকঃ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে বাংলাদেশের সড়ক পথে ট্রানজিট নিয়ে ভারতে পরিবহন করা নাকি ভারতের কলকাতা বন্দরে পণ্য খালাস করে বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল নৌপথ দিয়ে ভারতে পরিবহণ করা। দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংরক্ষণ করে এই বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ এই প্রটোকল নৌপথের মাধ্যমে এর নদীসমুহের নাব্যতা রক্ষণ করার জন্য ভারতের সহযোগীতা নিশ্চিত করতে পারে। সেটি হতে পারে কয়েক ভাবেভাবেঃ
তবে পরিবেশগত কিছু সমস্যা এক্ষেত্রে বিশদ বিশ্লেষনের দাবী রাখেঃ
এখানে চুক্তিটির একটি মাত্র অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করায় এটি শেষ কথা এমন বলা যাচ্ছে না। চুক্তিটি নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করে সেটিকে বাংলাদেশের পক্ষে লাভজনক করে তোলাটা সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব। তাছাড়া স্বাক্ষরিত চুক্তির ক্ষেত্রে সেটি সংশোধন-সংযোজন-পরিবর্তন-পরিবর্ধণের সুযোগ ও সীমা নিয়েও আলোচনা হওয়া দরকার। বস্তুতঃ এই ধরনের বিষয়ে হুটহাট করে চুক্তি না করে পাবলিক ফোরামে আলোচনা করা, সংসদে আলোচনা করা, বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহন করা উচিত ছিলো। কিন্তু তা না করে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় এটি নিয়ে এখনই আলোচনা করে এর ত্রুটিগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে।
এই পোষ্টটি একটি যৌথ প্রচেষ্টা। প্রাথমিক ভাবনা হিমুর। তথ্য সংগ্রহে সহযোগীতা করেছেন ষষ্ঠ পান্ডব ও হিমু। প্রাথমিক লেখাটি বিভিন্ন আঙ্গিকে রিভিউ করেছেন ইশতিয়াক রউফ, স্বাধীন ও ষষ্ঠ পান্ডব। LAD এর ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে পানিসম্পদ কৌশলী সুপ্রিয়া পালের থিসিস থেকে। এদের সবার সহযোগীতা ছাড়া এই লেখা সম্ভব হতোনা। এই পোষ্টের মাধ্যমে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করছি।
[১] Bangladesh Inland Water Transport Authority: Website
[২] People's Republic of Bangladesh Revival of Inland Water Transport: Options and Strategies. Bangladesh Development Series, Paper No. 20, The World Bank Office, Dhaka, September 2007.
[৩] Water Transport, Banglapedia.
[৪] Inland Waterways Authority of India: Website
[৫] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১০ এ ভারত সফরের সময় স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার
[৬] ‘India proposes comprehensive shipping deal with Bangladesh’ The Financial Express, VOL 18 NO -196 REGD NO DA 1589, Dhaka, Wednesday February 16 2011
[৭] Narayan Rangaraj and G. Raghuram , 2007. “Viability of Inland Water Transport (IWT) in India”, INRM Policy Brief No. 13, Asian Development Bank.
[৮] ‘Bangladeshi vessels take lead in India, Bangladesh protocol’, The Economic Times, January 17, 2007
[৯] ‘India set for transit in Bangladesh’, The Telegraph, Calcutta, India, Tuesday, January 11 , 2011.
[১০] জাহিদুল ইসলাম, ‘তিস্তা চুক্তিতে বাংলাদেশের লক্ষণীয় বিষয়গুলো’, কালের কন্ঠ, ১৭ মার্চ, ২০১০।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পুরো লেখাটি এক পর্বে ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত।
মন্তব্য
এতো খেটেখুটে লেখেন। পড়ে শান্তি শান্তি লাগে। অসম্ভব ভালো এবং প্রয়োজনীয় লেখা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত। পাঠকের উৎসাহ পেলে খুব ভাল লাগে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
গুরুত্বপূর্ণ লেখা।
১. প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারেজ় নির্মান হলে এই প্রটোকলে কোনো বাধা সৃষ্টি হতে পারে। কারন ব্যারেজ় এ নেভিগেশন লক থাকলেও তা কার্গোর মত বড় কিছুর জন্য যথেষ্ট হবে কিনা তা ভাবার দরকার।
২. চিত্র-৪ এ পন্যবাহী নৌযান এর সংখ্যাগত উপাত্ত দেয়া আছে। সাথে সাথে কি পরিমান পন্য পরিবহন হয় (এই উপাত্ত কোনো সরকারের কাছে আছে কিনা সন্দিহান) সেটা থাকলে আরো ভালোভাবে বুঝা যেতো।
৩. টিপাইমুখ বাধ নির্মান হলে সুরমা-কুশিয়ারার নাব্যতা থাকবে কিনা বলা মুশকিল।
৪. নৌযান গুলোর নিরাপত্তা আর সম্ভাব্য মানব পাচার এর দিকগুলোও ভেবে দেখা দরকার।
ধন্যবাদ ইশতিয়াক।
১. আসলে প্রটোকল নৌপথের রাজশাহী ঠেকে ধুলিয়ান পর্যন্ত অংশ একেবারেই ব্যবহৃত হয়না। আমার ধারণা মতে গঙ্গা ব্যারেজ হলে এই অংশটি বিঘ্নিত হবার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে সার্বিক প্রটোকল নৌপথের উপর প্রভাব পড়বেনা।
২. চিত্র ৪ এর ঠিক নিচের প্যারায় যে অনুপাতগুলি দেয়া আছে তা পণ্য পরিবহনের মাপের উপরে অর্থাৎ পরিমাণের উপরে (মেট্রিক টন)।
৩. টিপাইমুখ নির্মান হলে শুধু নাব্যতা না আরো অনেক সমস্যা হবে। যদিও ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মানের উৎসাহের পেছনে একটি কারন হিসেবে তারা বলে,
৪. এই পয়েন্টটি গুরুত্ত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লেখাটার কোনো অংশ কপি করতে পারছিনা। তাই কোন অংশের উপর কথা বলছি সেটা একটু কষ্ট করে বুঝে নিও।
১. "প্রটোকলের আওতায় .......... পিছিয়ে পড়ে [৭]।"
এর মানে কি এই যে, পশ্চিমবঙ্গের বিক্রেতা তার পণ্য বাংলাদেশের নৌপথ ব্যবহার করে আসামের ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারবেনা? এটা হলে ভারত কোন দুঃখে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে?
২. "বাংলাদেশের নদীসমূহের ............ তুলনায় কম।"
এইখানে বাংলাদেশ একটা ক্লজ যোগ করার কথা বলতে পারে যে, যেসব নৌপথ পদ্মা-গঙ্গার অংশ বা পদ্মা-গঙ্গা যেসব নৌপথের কনট্রিবিউটরি হিসাবে কাজ করে সেগুলোতে সারা বছর LAD (ক্লাস-১ মানের) বজায় রাখার জন্য ভারত ফারাক্কা ব্যারাজ থেকে প্রয়োজনীয় জলপ্রবাহ সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু এই কথা বলার মতো মেরুদণ্ড বাংলাদেশ সরকারের আছে কি?
৩. ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও সশস্ত্র বিদ্রোহ থাকায় এই নৌ-ট্রানজিট সামরিক কাজে ব্যবহৃত হবার আশংকা থেকে যাচ্ছে। চুক্তিটিতে এই ব্যাপারে স্পষ্ট ভাষায় ব্যাখ্যা থাকা দরকার। তাছাড়া ট্রানজিট ফি, পোর্ট চার্জ, ট্রান্স হ্যান্ডেলিং চার্জ, রিফুয়েলিং চার্জ ইত্যাদি বিষয়গুলোতে সাময়িক লাভের কথা বিবেচনা না করে দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের জন্য লাভজনক হয় এমন নীতি থাকা দরকার। বাস্তবে সেগুলো কী আকারে আছে সেটা সবার জানা দরকার।
এই পরিশ্রমী কাজের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তোমার বিভাগের অনেক রথী-মহারথী বাংলাদেশে আছেন। কিন্তু তারা এতো ব্যস্ত থাকেন যে এইসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষদের জন্য কিছু লেখার তাদের সময় হয়না। বিশ্বাস করি, তোমার ক্ষেত্রে অমনটা কখনো হবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পান্ডবদা।
১) আমার কাছে প্রথমে খটকা লেগেছিল কিন্তু তথ্যসুত্র ৭ সহ আরো অনেক উৎস থেকে এই বিষয়টি পরিষ্কার করা আছে,
এই নৌপথ আসলে আন্তঃদেশীয় পণ্য পরিবহনের জন্য, অন্তঃদেশীয় নয়।
২) আমার লেখার বাংলাদেশের স্বার্থ অংশে প্রথম দ্বিতীয় পয়েন্টে এটি উল্লেখ করেছি,
৩) পূর্ন সহমত।
ধন্যবাদ উৎসাহ প্রদানের জন্য। চেষ্টা থাকবে সবসময়।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাংলাদেশ-ভারত নৌপথ ব্যবহারের যে পরিসংখ্যান সে অনুযায়ী ভারত কী তাহলে এই নৌপথ নিয়ে ততটা উৎসাহী হবে যতটা বাংলাদেশ? না হলে কিভাবে তাদেরকে উৎসাহী করা যায় সে ব্যাপারটা ভেবে দেখতে হবে আমাদের।
এছাড়া নাব্যতা সমস্যা বাংলাদেশের জন্যতো বিরাটা একটা ইস্যু। এটা নিয়ে নেগোশিয়েশন করার জন্য বাংলাদেশ কী কোন উদ্যোগ নিয়েছে?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ মামুন। কথা সত্যি, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতীয় নৌযানের ব্যবহার কম। তবে ভারতের প্রয়োজন নেই বা কমে গেছে সেকথা সত্য নয়। এই নৌপথের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতকে উৎসাহী করে তোলার সাথে সাথে সার্বিক নৌট্রানজিট নিয়ে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি ভাল করে খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই এই পোষ্টের অবতারনা। এজন্যই একে প্রারম্ভিক আলোচনা বলেছি।
নাব্যতা সমস্যা নিয়ে নেগোশিয়েশন সহজ কোন কাজ নয়। এখন সময় এসেছে সার্বিক ভাবে অববাহিকা ভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা করতে হলে শুধু ভারত নয়, নেপাল, চীন, মিয়ানমার সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা কতটুকু সম্ভব সেটা বিবেচ্য। আমার ধারনা সবচেয়ে বড় বাঁধা ভারত, তারপরে চীন। কেননা এদুটি দেশ উজানে থাকায় ওরা নদী অব্যবস্থাপনার খারাপ দিকগুলোতে খুব বেশি প্রভাবিত হচ্ছে না। আর আমাদের তেমন টাকাও নেই যে আমরা বলব আমরা তোমাদের এখানে (যেমন নেপালে বাঁধ নির্মাণ) কিছু করব, কিন্তু তোমাদের আমাদের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। এ প্রসংগে কানাডা-আমেরিকার কলাম্বিয়া নদীচুক্তি লক্ষনীয়।
সেদিক থেকে বলতে গেলে আমি তেমন আশাবাদী হতে পারছি না। আর পান্ডবদা যেমন বলেছেন, আমাদের দেশের নামীদামী পানি বিশেষজ্ঞরাতো এবিষয় নিয়ে তেমন কিছু করছে বলে মনে হচ্ছে না, সেসাথে আমাদের রাজনীতিবিদদের এসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর সময়ও নেই, তারা ব্যস্ত তাদের নিজেদের আখের গোছানোর তালে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
স্যালুট বন্ধু...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ বন্ধু।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। সরকার কী করে!!!!!
খুবই উদ্বেগজনক দেখছি।
বাধ্য করা অত্যন্ত দরকার!!!
ভারতের এই একরোখা নীতি যে তারা কবে পরিবর্তন করবে!!!!!
আসলেই দরকার সে ক্ষেত্রে আপনার এই শ্রমসাধ্য পোস্টটি বেশ সাহায্য করবে।
(অ.ট.: এখন কোট করা যায় না দেখে বেশ কয়েকবার এসেও মন্তব্য করতে পারি নি-ফিরে গেছি। কোট না করে কীভাবে মন্তব্য করব বুঝি না। শেষ পর্যন্ত জাভাস্ক্রিপ্ট আন্মার্ক করে মন্তব্য করলাম। এই সমস্যাটি নিয়ে সচলের আরো বিশদ চিন্তা করা উচিৎ!!!)
নতুন মন্তব্য করুন