জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের একটি বহুল পরিচিত বিষয় যা বিজ্ঞানীদের গবেষনাগার থেকে শুরু করে চায়ের টেবিলে আড্ডা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে বিবৃতি, কিংবা রাজনীতিবিদদের বক্তৃতায় আলোচিত হয়ে আসছে। তবে বলতে দ্বিধা নেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আমরা যতটা ওয়াকেবহাল এর কারন বা এর পেছনের সুনির্দীষ্ট বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে আমরা ঠিক ততটাই উদাসীন বা অজ্ঞ। এমনকি প্রায়শই আমরা শুনে থাকি বা পড়ে থাকি যে বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানী বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একমত নয়। কিন্তু আসলেই কি তাই?
একটি জরিপের গল্প তাহলে শোনা যাক [১]। জলবায়ু পরিবর্তন প্রসংগে এই সময়ের ভূ-বিজ্ঞানীরা(Geo-Scientists)কি ভাবছেন সেটি জানার জন্য একটি জরিপের ব্যবস্থা করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০,২৫৭ জন ভূ-বিজ্ঞানীদের কাছে দুটি প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় ঐ জরিপে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক এবং বিভিন্ন সংস্থায় (যেমন NASA, ইউএস জিওলোজিক সার্ভে, NOAA ইতাদি) কর্মরত গবেষকবৃন্দ। জরিপে প্রশ্ন দুটি ছিলঃ
যাই হোক মোট ৩,১৪৬ জন ( প্রায় ৩০ শতাংশ) এই দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। প্রশ্নগুলোর উত্তর বিশ্লেষন করে দেখা গেল ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৮২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন বৈশ্বিক তাপমাত্রা পরিবর্তনে মানুষের কার্য্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
কিন্তু এতো গেলো বিশেষজ্ঞদের মতামত। সাধারন মানুষ কি মনে করে? গ্যাল্লাপ (The Gallup Organization) থেকে এই বিষয়ক একটি জরিপের ব্যবস্থা করা হয় যাতে সাধারণ জনগনের মতামত পাওয়া যেতে পারে [১, ২]। সেখানে মূলত উপরের জরিপের দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর চাওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এটি একটি চলমান জরিপ এবং সর্বশেষ ২০১১ সালের মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী মাত্র ৫২ শতাংশ সাধারন মানুষ মনে করেন বৈশ্বিক তাপমাত্রা পরিবর্তনে মানুষের কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে [২]।
এই মতের পার্থক্য ( ৮২% বনাম ৫২%) আমাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আসে তা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে সেই সাথে রয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের সাথে সাধারণ মানুষের মিথস্ক্রিয়ার অভাব। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর মানুষ হিসেবে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সাম্যক জ্ঞান থাকা উচিৎ, সেই প্রয়াসেই এই সিরিজের সূচনা। এই সিরিজের লেখাগুলো মূলত কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ভিক্টোরিয়ার Pacific Institute for Climate Solutions (PICS) কতৃক প্রনীত অনলাইন কোর্স Climate Insights 101 এর উপর ভিত্তি করে তৈরী। এই সিরিজে আমাদের আলোচনা শুরু হবে জলবায়ু বিজ্ঞানের মৌলিক জ্ঞান দিয়ে। এর পরে ক্রমান্বয়ে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব; জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া; জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির নিবৃত্তিকরন; ও পরিশেষে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু পূর্বে আগে জেনে নেয়া যাক আসলে জলবায়ু কি ? আবহাওয়ার সাথে জলবায়ুর আদৌ কোন পার্থক্য আছে কিনা ? জলবায়ুর পরিবর্তন বলতেইবা আমরা কি বুঝি?
একটি উদাহরণ দিয়েই শুরু করা যাক। ধরুন কয়েকজন বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করেছেন সেন্টমার্টিন যাবেন। সফরের সব পরিকল্পনা শেষ কিন্তু শেষ মূহুর্তে বাঁধ সাধল নিরস টিভি সংবাদ, জানানো হলে যে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে, সতর্কতা বিপদসংকেত ৬, আগামী দুই তিন দিনে ঐ এলাকায় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ব্যাস, মন খারাপ করে বসে থাকলেন সারাদিন। ভেবে দেখুন যখন পরিকল্পনা করছিলেন তখন কিন্তু এই পরিস্থিতি হবে জানতেননা।
আরেকটি উদাহরন দেই। আমি থাকি কানাডার এডমন্টন শহরে। এখানে শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত নামে। সুতরাং এই দেশে বাইরে বের হবার আগে টিভিতে বাইরের অবস্থা জেনে বের হতে হয়; যেমনঃ বাইরে তাপমাত্রা কেমন, বাতাস আছে কিনা ( বাতাস থাকলে তাপমাত্রা আরো কমে যায়, এটাকে উইন্ড চিল বলে), তুষার পড়বে কিনা ইত্যাদি। তাপমাত্রার সীমার উপর ভিত্তি করে পোষাক পড়তে হয়। হয়ত পরিষ্কার রৌদ্দজ্বল আকাশ দেখে ভাবলেন, আহা আজ একটি টি শার্টের সাথে পাতলা জ্যাকেট পড়েই বের হই, আসলে তাপমাত্রা তখন হয়ত -৩০ ডিগ্রি, সাথে উইন্ড চিল যোগ করলে সেটা দাঁড়াবে -৪০ ডিগ্রিতে। হলফ করে বলে দিতে পারি, যদি এইভাবে ঘন্টাখানেক থাকতে হয় বাইরে একেবারে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হবে আপনার।
উপরের দুটি উদাহরনেই দেখুন আমরা আমাদের বাইরের স্থানীয় জগতের তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ( বা তুষারপাত) ইত্যাদির দৈনন্দিন অবস্থা জানার বা বোঝার বা অনুভবের চেষ্টা করেছি। এই যে স্বল্প সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বায়ুমন্ডলের অবস্থা, যা কিনা তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইদ্যাতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, সেটাই হচ্ছে আবহাওয়া। সুতরাং আপনি যদি বলেন যে ঢাকাতে আজকে ঠান্ডা কিন্তু কালকে তুলনামূলক ভাবে আজকের থেকে গরম তাহলে ধরে নেব যে আপনি ঢাকার আবহাওয়ার কথা বলছেন।
তাহলে জলবায়ু কি ? আরেকটি উদাহরন দিয়ে শুরু করা যাক। ধরুন আপনার এক ভিনদেশী বন্ধু আছেন যিনি ইউরোপে থাকেন। ইউরোপে গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি একবার চিন্তা করলেন বাংলাদেশ ঘুরে আসবেন। আপনাকে ফেইসবুকে জানালেন যে, বন্ধু আমি বাংলাদেশ আসছি, তোমার সাথে দেখা করতে সেই সাথে বাংলাদেশ ঘুরে দেখতে, এখন আমাকে বলো আমি কি ধরনের কাপড়-চোপড় নিয়ে আসব। আপনি চিন্তা করে দেখলেন বন্ধু আসছে মে মাসে, তখনতো প্রচন্ড গরম পড়বে, বৃষ্টিবাদলা হবারও সম্ভাবনা আছে। সুতরাং ফিরতি মেসেজে জানালেন, বন্ধু তুমি বেশি করে শর্টস আর টি-শার্ট নিয়ে আসো, আর পারলে একটা রেইনকোট। গরম কাপড় আনার দরকার নেই একেবারেই।
এই যে বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল মানে গরম সেই ধারনা কিন্তু আপনার একদিনেই হয়নি। আপনি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন যে মে জুন মাসে বাংলাদেশে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের উপরে ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি থাকে, সেই সাথে থাকে অত্যাধিক আর্দ্রতা যা সৃষ্টি করে ভ্যাপসা গরম। ফলশ্রুতিতে আপনি যে তথ্য আপনার বন্ধুকে দিয়েছেন সেটা মূলত অনেক বছরের ভিত্তিতে আপনি যে স্থানে থাকেন সেই স্থানের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত বা আরো ভাল করে বললে আবহাওয়ার গড় অবস্থা। এভাবে কোন নির্দিষ্ট স্থানের দীর্ঘ সময়ের, সাধারণত ৩০ বছরের (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সংগা অনুযায়ী) আবহাওয়ার বিভিন্ন অবস্থার গড় হিসাবই ঐ স্থানের জলবায়ু। সুতরাং আপনি যদি বলেন যে আপনি যেখানে থাকেন সেখানে গ্রীষ্ম কাল গরম আর শীতকাল ঠান্ডা তাহলে ধরে নেব আপনি সেই স্থানের জলবায়ুর কথা বলছেন। এই একই আলোকে এক কথায় আমরা বলি বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ, মরু অঞ্চলের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন, কিংবা কানাডা শীতপ্রধান দেশ।
এবারে আসি জলবায়ু পরিবর্তন প্রসংগে। জলবায়ু পরিবর্তন কি? কীবা তার সরূপ? এটা কি এরকম একটি বিষয় যে একদিন ঘুম ভেঙে দেখলেন যে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সমুদ্রের জলে ডূবে গিয়েছে, কিংবা মেরু অঞ্চলের সব বরফ গলে গিয়েছে? অবশ্যই না । জলবায়ু পরিবর্তন মূলত কোন জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন, আরো ভাল করে বললে প্রায় ৩০ বছরের (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সংগা অনুযায়ী) জলবায়ুর গড় পরিবর্তন। সুতরাং যদি বলি যে গত একশ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে, অথবা যদি বলি প্রাপ্ত তথ্য মতে এভাবে চলতে থাককে আগামী একশ বছর পরে পৃথিবীর তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে ১ থেকে ২ ডিগ্রি বেড়ে যাবে সেটা হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তন। অর্থাৎ এই আলোকে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রতল প্রতি বছর একটু করে বেড়ে গিয়ে আজ থেকে একশ বছর পরে কিছু অঞ্চলের ডুবে যাওয়া কিংবা মেরু অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য পরিমান বরফ আগামী একশ বছরে গলে যাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের উদাহরন হতে পারে।
আজকের পর্বে জানা হলো আবহাওয়া কি? জলবায়ু কি ? আর জলবায়ু পরিবর্তনই বা কি? সেই সাথে আমরা আরো জানলাম যে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানুষের কার্যক্রমের অবদানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী ও সাধারন মানুষের বোধের অমিল রয়েছে যা নিরসনে আমাদের প্রয়োজন জলবায়ু বিজ্ঞানের মৌলিক ধারনাগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া। আগামী পর্ব থেকে আমরা জলবায়ু বিজ্ঞানের মৌলিক জ্ঞান অর্জনের পথে একটু একটু করে পা বাড়াব।
পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছি গত কয়েক বছর ধরে। ফলশ্রুতিতে আবহাওয়া, জলবায়ু ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বেশ পড়াশুনা করতে হয়েছে। কিন্তু এত সহজ করে এই জিনিসগুলোকে সাধারন পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করা যায় তা ইউনিভার্সিটি অফ ভিক্টোরিয়ার Pacific Institute for Climate Solutions (PICS) কতৃক প্রনীত অনলাইন কোর্স Climate Insights 101 না দেখতে বোঝা যেতোনা। তাই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এই কোর্সের একটি ট্রেইলার নিচে দেয়া হলো। আগ্রহী পাঠক এই সিরিজ পড়াকালীন সময়ে কোর্সটিও ঘুরে আসতে পারেন অনলাইনে।
সেই সাথে চমৎকার এই অনলাইন কোর্সের খোঁজ দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি স্বাধীন ভাইকে।
মন্তব্য
আরেকটা চমৎকার সিরিজের পূর্বাভাষ পাওয়া গেল।
সাথে আছি।
ধন্যবাদ শমশের ভাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সন্দেহ নেই, চমৎকার আরেকটা সিরিজ হতে যাচ্ছে এটাও। একটা প্রশ্ন, কোন সিদ্ধান্তে আসার জন্য তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে যেই গড়টা করা হয়, সেই গড়ের ব্যাপ্তিকাল কত বড়?
ধন্যবাদ সাফি। ব্যাপ্তিকাল WMO (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা) এর সংগামতে ৩০ বছর ধরা হয়ে থাকে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ চরম উদাস।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ক্লাসের এই ছাত্রীটি নিয়মিত ক্লাসে থাকবে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ উচ্ছলা
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ রূপম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এইটা আরেকটা দারুন কাজ হবে নিঃসন্দেহে। তুমি পানি নিয়ে লিখে আমার অনেক কষ্ট বাঁচিয়ে দাও, যার ফলে আমি একটু অন্য বিষয় নিয়ে লিখতে পারি ।, তোমার এই উদ্যম কখনো যেন হারিয়ে না যায় সেই কামনা করি।
হা হা হা, ধন্যবাদ বস।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক কিছু জানতে পারবো আশা করছি। চমৎকার এই সিরিজ শুরু করার জন্যে স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
-অতীত
ধন্যবাদ অতীত
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাই। আপনি অনেক মূল্যবান কাজ করে যাচ্ছেন। শুভকামনা নিয়েন। দুইবার পড়লাম। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা। পরের পর্বের জন্য আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছি।
ধন্যবাদ তাপস দা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক তথ্যসমৃদ্ধ সুপাঠ্য একটি লেখার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। একটু পিছনের ফিরে যাই, ২০০২ সালে বাংলাদেশে (এবং সম্ভবত এশিয়ায়) প্রথম সিসিসিডিএফ-এর অর্থায়নে সম্পূর্ণ ক্লাইমেট চেঞ্চ এ্যাডাপটেশন এবং এ্যাডভোকেসীর প্রকল্প (অন্য কোনও কর্মসূচীর লেজুড় হিসেবে নয়) "দ্য রিডিউসিং ভালনারেবিলিটি টগ ক্লাইমেট চেঞ্চ" বা সংক্ষেপে আরভিসিসি (এই নামেই বহুল পরিচিত এবং আলোচিত) প্রকল্প শুরু হয়, আমি সেই প্রকল্পের একজন প্রকল্প উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে শুরু থেকেই কাজ করতাম। সেই সময়কার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ক্লাইমটে চেঞ্চ ইস্যুটায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সেইসময় মোটামুটি কিছুই জানতো না কিন্তু এর ইমপ্যাক্টগুলো ভালোই উপলব্ধি করতো। কিন্তু গত এক দশকে যে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে তা আশাব্যাঞ্জক। এখন মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন শুনলে আর আশ্চর্য হয় না। কিসের কারনে কি ইমপ্যাক্ট, তা'ও মানুষ বোঝার জন্যে সিরিয়াস হয়।
এই লেখাটিতে বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো যেভাবে সহজ ভাষায় বোধগম্য করে লেখা হয়েছে, তা সাধারন পাঠকদের বোঝার জন্যে খুবই উপযোগি। এই ধরনের আলোচনা আরও হওয়া প্রয়োজন যাতে করে মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আরও জ্ঞ্যাত হতে পারে, সজাগ হতে পারে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতামত ব্যাক্ত করতে পারে।
এখানে সেই প্রকল্পের দুটো ছোট প্রেজেন্টেশনের লিংক জুড়ে দিচ্ছি। কেউ আগ্রহী হলে একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারবেন।
১. The Reducing Vulnerability to Climate Change Project: Successes and Lessons
২. Adaptation to Climate Change in Bangladesh: Learning by Doing
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ বস। আশাকরি এই সিরিজের শেষের দিকে বাংলাদেশ নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হবে তখন আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করবেন। প্রেজেন্টেশন দু'টির জন্য আবারো ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দারুণ উদ্যোগ!
মনযোগী পাঠকের দলে যোগ দিলাম।
ধন্যবাদ বস।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনি আসলেই দারুণ একটা উদ্যোগ নিয়েছেন।
ধন্যবাদ শাকিব।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ডেভিড অ্যাটেনবোরোর এক তথ্যচিত্রে রীতিমত গ্রাফ এঁকে বোঝানো হয়েছে গত কয়শ বছরে তাপমাত্রা কি হারে বেড়েছে, এবং মানুষ কিভাবে এর জন্য দায়ী।
আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা বড়ই করুণ, উত্তর মেরুতে যেখানে বরফ স্তর অনেক অনেক মিটার পুরু হবার কথা সেখানে আমরা দেখেছিলাম দেড় কি দুই মিটার! তিব্বতে দেখি হিমালয়ের তুষার গলে হ্রদ সৃষ্টি হচ্ছে, আল্পসে এখন অনেক চূড়াতেই শীত ছাড়া আরোহণ নিষিদ্ধ!
facebook
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ অনু। আগামী পর্বেই গ্রাফ ট্রাফ আসছে। সেখানেই দেখা যাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন আসলে বাস্তবিক নাকি কল্পনাপ্রসূত।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দারুন লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ আশালতা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বস, ভাল জিনিস শুরু করছেন। প্রতি পর্বের জন্য আপ্নের নামে অর্ধেক কইরা বিড়ি বরাদ্দ করা হইল। সিরিজ শেষ হইলে কফি উইথ গোটা বিড়ি।
বাঊল ভাইডি, অবশেষে তুই যে সচলে অন্তত মন্তব্য করা শুরু করেছিস সেইজন্য বুইড়া আঙ্গুল। সুদীর্ঘ সময় ধরে সচলের একজন নিরব পাঠকের অন্তত মন্তব্যে সচল হওয়া দেখে ভালো লাগছে। আশা করি লেখালেখিতেও তোর জড়তা কাটবে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ তানভীর ভাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ মাহবুব রানা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার লেখাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর পড়েও আরাম পাওয়া যায়
সিরিজের সাথে আছি
কয়েকদিন আগে বিবিসিতে এই খবরটা দেখলাম যেখানে কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রভাব আগে যা ভাবা হত তার চাইতে কম মনে করা হচ্ছে
http://www.bbc.co.uk/news/science-environment-15858603
ধন্যবাদ রব্বানী ভাই। লিঙ্কটার জন্য আরো ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আগ্রহোদ্দীপক শুরু। দারুণ সব উপকারী লেখা তোমার কাছ থেকে পাচ্ছি - এই সুযোগে ধন্যবাদটা দিয়ে গেলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। সচলায়তনের আগ্রহী পাঠকই আমার অনুপ্রেরণা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পড়ছি। নিয়মিত পড়ার সুযোগ পাবো ধরে নিয়ে এই বেলা জানিয়ে যাই যে আমার দুপয়সা ক্মেন্টে যোগ করতে ভুলবো না।
ধন্যবাদ ফারুক।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সহজ কথায় সবাই সব বঝাতে পারে না। কিন্তু এখানে সহজ করে অনেক কিছুই বলা হয়েছে, আশা করি সামনে অনেক ভাল কিছু পাব।
ধন্যবাদ ডাঁশপোকা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দারুণ। আরেকটা ই-বুক হবে এই সিরিজ শেষ হলে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হা হা হা দেখা যাক। এই সিরিজটা অবশ্য হাতি সাইজ হবার সম্ভাবনা আছে
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লেখেন। ই-বুকের কাগজ কেনার পয়সা আমার!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নতুন মন্তব্য করুন