এবারে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের উপর মনুষ্যসৃষ্ট গ্রীন হাউস গ্যাসসমুহের তুলনামূলক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা যাক। নিচের চার্টটিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্রীন হাউস গ্যাসগুলোর এই প্রক্রিয়ায় কতটুকু অবদান আছে তা শতকরা হিসেবে দেখানো হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে কার্বন ডাইঅক্সাইড এক্ষেত্রে শতকরা ৬০ ভাগের চেয়ে বেশি দায়ী। অন্যান্ন গ্রীন হাউস গ্যাসের মধ্যে মিথেন শতকরা প্রায় ২০ ভাগ, কৃত্রিম গ্যাস ( যেমন সিএফসি) প্রায় শতকরা ১৫ ভাগ ও নাইট্রাস অক্সাইড শতকরা প্রায় ৫ ভাগ দায়ী। এই চার্টটিতে জলীয়বাষ্পকে হিসেবে আনা হয়নি কারন সেটি সরাসরি মানুষের কার্যক্রম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।
গত শতাব্দী ধরেই বায়ুমন্ডলে এই গ্রীন হাউস গ্যাসসুমহ উল্লেখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আসলেই কি এই গ্যাস সমূহের বর্ধিত পরিমান আমাদের বায়ুমন্ডলের প্রাকৃতিক ভাবে সংঘটিত বিভিন্ন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার উপর গুরুত্ত্বপূর্ন কোন প্রভাব ফেলছে? যেমন উদাহরন সরূপ বলা প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, যতটুকু পরিমানে কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমন্ডলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বা পেয়েছে তা কি আদতেই বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের প্রাকৃতিক চক্রের তুলনায় খুব বেশি গুরুত্ত্বপূর্ন কিছু ? সেই সাথে এই পরিবর্তন কি আসলেই পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য কোন প্রভাব ফেলছে ? সেই উত্তর জানতে আগে কার্বন চক্র সম্পর্কে একটি মৌলিক ধারনা নেয়া যাক।
আমরা জানি কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমন্ডলে গ্যাস আকারে ও জলে দ্রবীভূত অবস্থায় অবস্থান করে। উদ্ভিদ উৎপাদক হিসেবে সালোক সংশ্লেষনের জন্য এই কার্বন গ্রহণ করে। খাদ্যস্তর অনুযায়ী বিভিন্ন খাদক খাদ্য হিসেবে এই কার্বন গ্রহণ করে। গৃহীত কার্বনের অধিকাংশ জীবের শ্বাস-প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড হয়ে প্রকৃতিতে ফিরে যায়। এছাড়া মৃত জীবের পচন, বিভিন্ন দহন ও শিল্প প্রক্রিয়াতে তৈরী কার্বন ডাইঅক্সাইড আবার বায়ুমন্ডলে ফিরে আসে। এভাবে চক্রাকারে কার্বনের আদান প্রদান বা কার্বন চক্র প্রকৃতিতে চলতে থাকে।উপরের চিত্রটিতে এই কার্বন চক্র দেখানো হয়েছে।
অনেকেই ধারণা পোষন করে থাকে যে মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে বায়ুমন্ডলে গ্রীন হাউস গ্যাস, বিশেষত কার্বন ডাইঅক্সাইডের যে পরিবর্তন ঘটছে সেটি আসলে খুব বেশি গুরুত্ত্বপূর্ন নয়। এই ধারনার পেছনে তাদের যুক্তি হচ্ছে মনুষ্য সৃষ্ট কার্বন ডাইঅক্সাইড আসলে পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভাবে বিভিন্ন উৎসের মধ্যে চক্রাকারে আদান-প্রদানকৃত কার্বন ডাইঅক্সাইডের তুলনায় অতি নগন্য যা আসলে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তেমন গুরুত্ত্বপূর্ন কোন প্রভাব ফেলবেনা। কিন্তু আসলেই কি তাই ?
উপরের চিত্রটিতে খুব সহজ করে কার্বন চক্র দেখানো হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৩৩৮ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমন্ডল থেকে সমুদ্রের জলরাশিতে দ্রবীভূত হয় যার মধ্যে থেকে ৩৩২ বিলিয়ন টন আবার বায়ুমন্ডলে ফিরে আসে। মূলত ঠান্ডা পানি যখন সমুদ্রতলে এসে উত্তপ্ত হয় তখন তা দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমন্ডলে ছেড়ে দেয়, যদিও এটি নির্ভর করে ঋতু পরিবর্তন, সমুদ্রস্রোত, পানির তাপমাত্রা জলীয় উদ্ভিদের বৃদ্ধির উপর। একই সময়ে বছরে প্রায় ৪৫০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমন্ডল থেকে গাছপালা ও মাটিতে প্রবেশ করে যার মধ্যে প্রায় ৪৩৯ বিলিয়ন টন আমার বায়ুমন্ডলে ফিরে আসে মূলত জীবদেহের পচনের মাধ্যমে।অর্থাৎ প্রতিবছর প্রায় ৮০০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রাকৃতিক ভাবেই চক্রের মাধ্যমেই পৃথিবীতে বিভিন্ন উৎসের মধ্যে (বায়ুমন্ডল, সমুদ্র, মাটি, জীব) আদান-প্রদান হয়ে থাকে। অন্যদিকে প্রতিবছর প্রায় ২৯ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে বায়ুমন্ডলে নিঃসরিত হয় যার অধিকাংশই আসে জীবাশ্ম জ্বালানী দহন এবং অরণ্যবিনাশের মাধ্যমে।
আপাতদৃষ্টিতে প্রাকৃতিক ভাবে চক্রাকারে আবর্তিত ৮০০ বিলিয়ন টনের সাথে তুলনা করলে মানুষের কার্যক্রমের ফলে সৃষ্ট ২৯ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইডকে নগন্য মনে হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে গুরুত্ত্বপূর্ন হচ্ছে এই নগন্য পরিমান অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড কিন্তু প্রাকৃতিক সাম্যাবস্থাকে বিনষ্ট করছে। কিভাবে এটি ঘটছে তা বোঝার জন্য নিচের এনিমেশন দুটি (পাঠক ইচ্ছে করলে পুরো এনিমেশনটি অডিওসহ এই লিঙ্ক থেকে দেখতে পারেন)বিশ্লেষণ করা যাকঃ
উপরের এনিমেশনটিতে দেখানো হয়েছে যে একটি বাথটাবে ট্যাপের মাধ্যমে পানি আসছে এবং একই সাথে নিচে অবস্থিত একটি পাইপ দিয়ে বাথটাব থেকে পানি চলে যাচ্ছে। ট্যাপের প্রবাহ এবং নির্গমন পাইপের প্রবাহ এমন ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে যেন যে পরিমান পানি প্রবেশ করে ঠিক তার সমপরিমান পানিই যেন চলে যায়। এর ফলে বাথটাবের পানির পরিমানের আদতে কিন্তু কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা। এই নমুনাটিকে তুলনা করা যেতে পারে শিল্প বিপ্লবের আগে পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভাবে সংঘটির কার্বন চক্রের সাথে। অর্থাৎ যে পরিমান কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুমন্ডল থেকে গাছাপলা, মাটি ও সমুদ্রে শোষিত হচ্ছে ঠিক সেই পরিমানই আবার বায়ুমন্ডলে ফিরে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সবসময় একটি সাম্যাবস্থা বিরাজ করছে।
এখন ধরা যাক কেউ একজন এসে ট্যাপের প্রবাহ সামান্য পরিমানে বাড়িয়ে দিল যেমন করে আমরা শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানী পুড়িয়ে এবং অরণ্যবিনাশের মাধ্যমে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের আগমন একটু করে বাড়িয়ে দিয়েছি। এবারে নিচের এনিমেশনটি লক্ষ্য করুন। যেহেতু নির্গমন পাইপের প্রবাহ আগের মতই রাখা হয়েছে তাই ট্যাপের সামান্য বর্ধিত প্রবাহ আসলে একটু একটু করে সঞ্চিত হয়ে বাথটাবের পানির স্তর একটু একটু করে বাড়িয়ে দিচ্ছে, ঠিক যেমন করে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। যতক্ষন পর্যন্ত এই ট্যাপ দিয়ে বাড়তি পানি বাথটাবে আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত পানির স্তর বাড়তেই থাকবে। ঠিক তেমনি যতক্ষন আমরা অধিক জীবাশ্ম জ্বালানী পুড়িয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপাদন করব ঠক ততদিন ধরেই বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের এই বর্ধন প্রক্রিয়া চলতে থাকবে যা প্রাকৃতিক সাম্যাবস্থাকে করবে বিনষ্ট।
সুতরাং, ‘মনুষ্য সৃষ্ট কার্বন ডাইঅক্সাইড পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভাবে বিভিন্ন উৎসের মধ্যে চক্রাকারে আদান-প্রদানকৃত কার্বনডাই অক্সাইডের তুলনায় অতি নগন্য’ - এই যুক্তিতে যারা বিশ্বাস বা দাবী করে যে আসলে মানুষের বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে বায়ুমন্ডলে গ্রীন হাউস গ্যাসের যতটুকু পরিবর্তন ঘটছে সেটি আসলে খুব বেশি গুরুত্ত্বপূর্ন নয়, বা জলবায়ু পরিবর্তবের জন্য দায়ী নয়, তাদের সেই বিশ্বাস বা দাবী আসলে ভ্রান্ত এবং ভিত্তিহীন। মানুষের কার্যক্রম পৃথিবীতে হাজার বছর ধরে বিরাজমান প্রকৃতিক সামাবস্থা বিনষ্ট করেছে এবং এর ফলে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমান বেড়েই চলেছে।
জলবায়ু বিজ্ঞান নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার পর দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং আজকের পর্বে (চতুর্থ পর্ব) আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর উপর মূলত গ্রীন হাউস গ্যাসের প্রভাব নিয়য়েই আলোচনা করেছি। কিন্তু পৃথিবীতে আরো অনেক প্রাকৃতিক কারন রয়েছে যারা জলবায়ুকে উল্লেখযোগ্য পরিমানে পরিবর্তন করে থাকে। উদাহরন সরূপ বলা যেতে পারে, আগ্নেয়গিরির উদগীরন, সময়ের সাথে সূর্য্যের বিকিরনের পরিবর্তন এবং গুরুত্ত্বপূর্ন দুটি জলবায়ু ব্যাত্যয় (Climate Anomaly)- এল নিনু (El Nino) আর লা নিনা (La Nina)। আগামী পর্ব থেকে ধারাবাহিক ভাবে আমরা এগুলো সম্পর্কে বিশদ জানার চেষ্টা করব।
আগের পর্বগুলোর লিঙ্কঃ ।পর্ব-১।পর্ব-২।পর্ব-৩।
[২] GALLUP POLL: And from what you have heard or read, do you believe increases in the Earth's temperature over the last century are due more to -- [ROTATED: the effects of pollution from human activities (or) natural changes in the environment that are not due to human activities]?
[৩] GISS Surface Temperature Analysis, NASA
[৪] Frequently Asked Question 1.3, What is the Greenhouse Effect? IPCC
[৫] Keeling Curve Lesson, Scripps Institution of Oceanography, La Jolla, CA
[৬] Keeling Curve, Climate Central
[৭] Chlorofluorcarbon-11 (CCl3F) — Combined Data Set, NOAA
[৮] Nitrous Oxide (N2O) — Combined Data Set, NOAA
[৯] IPCC Fourth Assessment Report, 2007
[১০] Carbon Cycle, NOAA
[১১] Climate Change 2007: The Physical Science Basis, IPCC fourth assessment report (Working Group I)
১) এই সিরিজের লেখাগুলো মূলত কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ভিক্টোরিয়ার Pacific Institute for Climate Solutions (PICS) কতৃক প্রনীত অনলাইন কোর্স Climate Insights 101 এর উপর ভিত্তি করে তৈরী। আগ্রহী পাঠক এই সিরিজ পড়াকালীন সময়ে কোর্সটিও ঘুরে আসতে পারেন অনলাইনে।
২) ব্যাক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত।
মন্তব্য
দারুন! আমি বাংলাদেশের উপর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রভাব নিয়ে আলোচনা খুঁজছিলাম। চাহিদা খানিকটা হলেও পূরণ হলো।
ক'দিন আগে এটা পড়ছিলাম। আলাস্কায় মিথেন বাবল আকারে বেরোতে দেখা গেছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে বরফের স্তর পাতলা হয়ে প্রাচীন পঁচে যাওয়া গাছ পালা থেকে উদ্ভুত মিথেন বেরোতে শুরু করেছে। সমস্যা হোলো বড় আকারে এটা শুরু হলে সূর্যের আলো এই গ্যাসগুলোতে অতিরিক্ত পরিমান তাপ সৃষ্টি করবে এবং আর দ্রুত গতিতে পৃথিবীর তাপমাত্রা বদলাতে শুরু করবে।
মিথেন কি সাধারণ তাপমাত্রায় বায়ুমণ্ডলে টিকে থাকতে পারে? ভেঙে যায় না?
আমার খুব বেশি ধারনা নেই এই বিষয়ে। রসায়নবিদ কেউ আছেন নাকি?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মিথেন ভাঙ্গবে কেন? ভাঙ্গবে না।
বায়ুমণ্ডলের সাধারণ তাপমাত্রায় ও চাপে মিথেন গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান তো এই মিথেনই। এতে >৯৫% মিথেন। মিথেনের রাসায়নিক গঠনও বেশ শক্ত, কোনো দ্বি বা ত্রি-বন্ধন নেই।
himu ভাই, মিথেন খুবই স্টেবল যৌগ, ভেংগে যায় না ।
রনি , বুয়েট কেমি. student.
ধন্যবাদ মুর্শেদ। উদ্বেগজনক সংবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
যথারীতি
ধন্যবাদ শমশের ভাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাই, একটা ট্যাগ ব্যবহার করেন যাতে সিরিজের সব পোস্ট এক পেইজে রেখে শেয়ার করা যায়। "জলবায়ু পরিবর্তন" বা "বৈশ্বিক উষ্ণায়ন" মাঝে মধ্যেই অন্য ব্লগাররাও ব্যবহার করেন, তাই আনকমন কিছু দিয়েন।
ধন্যবাদ হিমু। যেহেতু এই সিরিজ ইউনিভার্সিটি অফ ভিক্টোরিয়ার 'Climate Insights' কোর্সের অনুকরনে তৈরী সেক্ষেত্রে এই ট্যাগ ব্যবহার করতে চাচ্ছি। Climate Insights এর ভাল বাংলা কি হতে পারে? আমি পাচ্ছি 'জলবায়ু অন্তর্জ্ঞান' বা 'জলবায়ু পরিজ্ঞান' অথবা 'জলবায়ু অন্তর্দৃষ্টি' । কোন মতামত?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সেটা ঠিক আছে, কিন্তু বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোও ট্যাগ হিসেবে রাখা উচিত।
ফারুক ট্যাগ এখন যা আছে তাতো থাকবেই শুধু 'জলবায়ু অন্তর্জ্ঞান ১০১' যুক্ত হবে এস সাথে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সাথেই আছি স্যার।
অতীত
ধন্যবাদ অতীত।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
"কার্বন ডাইঅক্সাইড", "কার্বন ডাই অক্সাইড" নয়
বৈশ্বিক উষ্ণায়নে প্রতিটা মিথেন অণুর অবদান প্রতিটা কার্বন ডাইঅক্সাইড অণুর চেয়ে এমনকি ২২ গুণ পর্যন্ত বেশি হতে পারে। ভাগ্য ভালো যে বায়ুমণ্ডলে মিথেনের পরিমাণ খুবই নগণ্য, শতকরা ০.০০০১৭ ভাগ। অন্যদিকে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ শতকরা ০.০৪ ভাগ।
বর্তমান বিশ্বে যে গতিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে যে এভাবে চলতে থাকলে এই শতাব্দিতে আমাদের কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃস্বরণের পরিমাণ হবে ২৯৮৬ থেকে ৭৪০২ গিগাটন। আর এর ফলে যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হবে তাতে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ২.৪° থেকে ৪.৬° সেন্টিগ্রেড। যদি আমরা আর কোনো নতুন কয়লা কিংবা প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার নাও শুরু করি, তাহলেও এখন যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আছে তা থেকেই এই শতাব্দিতে আমরা বাতাসে ছাড়বো প্রায় ৪৯৬ গিগাটন কার্বন ডাইঅক্সাইড। (Davis et al., Science, 2010)।
পৃথিবীর মোট কার্বনের মজুদ ৭৫ মিলিয়ন বিলিয়ন মেট্রিক টনের চেয়েও বেশি। পৃথিবীর জল, মাটি, আর বায়ুমণ্ডলে নিয়ত চলছে এক বিপুল কার্বন লন্ডারিং প্রক্রিয়া। কার্বন চক্রে প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটা স্থান আছে। বাতাস এবং পানি, ব্যাকটেরিয়া, গাছপালা এবং জীবজন্তু কার্বন চক্রে একে অপরের মধ্যে পথ খুঁজে নেয়, অনাদিকাল ধরে। অথচ, আমাদের এই যুগে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কারণে ভূতাত্ত্বিক সময় মাত্র এক জীবনে এসে ঠেকেছে। কীভাবে শুধুমাত্র গত ১৫০ বছরে বৈজ্ঞানীক, শিল্পপতি, এবং ভোক্তার দল এক শিল্পঘটিত কার্বন চক্রের জন্ম দিলো – মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের জমে থাকা ভূতাত্ত্বিক তলানিকে হঠাৎ উড়িয়ে দিলো বায়ুমণ্ডলে - সে এক বিষ্ময়!
****
সময়ের অভাবে কার্বন যুগ বইটার অনুবাদ শেষ করতে পারছি না। আপনার এই সিরিজ পড়ে ইচ্ছেটা আবার মাথাচাড়া দিলো - এবার বাকিটুকু করতেই হবে।
ধন্যবাদ ফারুক, আমি সম্পাদনা করে দিব।
তোমার কার্বন যুগ আবার শুরু করো।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস দা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এই পর্বও যথারীতি দারুণ। আর অ্যানিমশনটা যোগ করেছেন দেখে বুঝতে আরও সহজ হল। এত সহজে বোঝার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দীপ্ত।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কি করা যায় ! সবাই , সব মানুষ, সব রাষ্ট্র পাগল হয়ে ছুটছে ধ্বংসের দিকে।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন