মহিউদ্দিন আহমদ ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোতে “টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি করা কেন জরুরি” শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। বলতে দ্বিধা নেই তথ্যগত ও ভাষাগত বিচারে নিবন্ধটিকে আমার অত্যন্ত একপেশে মনে হয়েছে। আমি এই নিবন্ধে তার বক্তব্যের অযৌক্তিক দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে তার নিবন্ধে উল্লেখকৃত তথ্য কানাডীয় উন্নয়ন সংস্থার (সিডা) অর্থায়নে বাংলাদেশ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নব্বইয়ের দশকে সম্পাদিত একটি বিশেষ সমীক্ষার অংশবিশেষ। যদিও তিনি ঐ সমীক্ষার নাম উল্লেখ করেননি তবে ধারনা করা যায় উল্লেখ্য গবেষনাটি বাংলাদেশের ‘উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাঃ ফ্লাড একশন প্ল্যান-৬ (NERP-FAP 6)’ এর অধীনে ‘ইনিশিয়াল এনভায়রন্মেন্টাল ইভ্যাল্যুয়েশন১’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে টিপাইমুখ প্রকল্পে এটিই একমাত্র একমাত্র উল্লেখ্যযোগ্য গবেষণা যা মূলত কিছু ধারনা বা এসাম্পশনের উপর ভিত্তি করে সংগঠিত হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেছেন যে এর চেয়ে মানসম্মত তথ্য ও উপাত্ত যদি আর কারও কাছে থেকে থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অথচ ঐ রিপোর্টেই উল্লেখ আছে যে,
‘যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে এই প্রকল্পের একটি ন্যুনতম ধারনা পাওয়া যায় যা কিনা ঐ প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রাথমিক প্রভাব যাচাইয়ে ব্যবহৃত হয়েছে।...ভারত কতটুকু পানি এই প্রকল্প থেকে প্রত্যাহার করবে সে সম্পর্কে কোন তথ্য জানা নেই। এই গবেষনার জন্য ধরে নেয়া হয়েছে যে সেচের জন্য ১ মিটার সমপরিমান পানি অপসারন করা হবে পানি অপসারন ক্রমাগত ভাবে শুষ্ক মৌসুম (নভেম্বর থেকে এপ্রিল)পর্যন্ত চলবে।’
উক্ত গবেষনায় উল্লেখ আছে যে,
এছাড়া সেপ্টেম্বর ২০০৫ এ কেনিয়ার নাইরবি তে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রাম’ কতৃক আয়োজিত ‘ড্যামস এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় মোঃ গোলাম কিববিয়ার একটি উপস্থাপিত প্রবন্ধের২ তথ্যসুত্র অনুযায়ী ‘ইন্সটিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং’ এর পক্ষ থেকে টিপাইমুখ এর উপর একটি অপ্রকাশিত স্টাডির খবর জানা যায় যাতে । উক্ত গবেষনা অনুযায়ী টিপাইমুখ বাঁধ পূর্ন ভাবে এর কার্যক্রম শুরু করলে,
বর্ষা মৌসুমে পানিপ্রবাহ হ্রাসের কথা উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেছেন যে এই হ্রাসকৃত প্রবাহ বন্যা নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা রাখবে। সেই সাথে শুকনো মৌসুমে বর্ধিত প্রবাহও ইতিবাচক।কিন্তু এই তথাকথিত বন্যামুক্ত হওয়া কতটা ইতিবাচক। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের একটি অনন্য বৌশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রয়েছে বিশাল জলাভুমি ও অসংখ্য হাওড়। এর একটি নিজস্ব বাস্তুসংস্থান রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে এখানে বর্ষার সময় পানি বাড়বে, বন্যা হবে ও শুষ্ক মৌসুমে অনেক এলাকা শুকিয়ে যাবে, এর উপর ভিত্তি করেই সেখানকার বাস্তুসংস্থান গড়ে উঠেছে। ফলে বন্যার পানি কমা বা শুষ্ক মৌসুমে পানি বেশী পাওয়ার যে আশ্বাস ভারত দিচ্ছে তা এই এলাকার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
হাওড় এলাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন যে, বর্ষাকালে হাওড়গুলি জলে টইটুম্বর থাকে কোনো ফসল হয় না, কিন্তু তিনি বিস্তীর্ন এই হাওড় এলাকার মৎস্য সম্পদ ও জীববৈচিত্রের কথা এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি ভুলে গিয়েছেন বর্তমান সময়ে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মূলনীতির কথা। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, হাওড় অঞ্চলের সমস্যা দু’টিঃ এক, আগাম বন্যা, যার ফলে ফেব্রুয়ারি-মার্চে উঠতি ফসল মাঠেই তলিয়ে যায়, এবং দুই, দেরিতে পানি নিষ্কাশন, যার ফলে বোরো ধান রোপণ করতে দেরি হয়ে যায় এবং তা আগাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়ে। তিনি মন্তব্য করেছেন যে বর্ষাকালে বরাক দিয়ে পানিপ্রবাহ হ্রাস পেলে এই দুটো সমস্যাই কমে যাবে। কিন্তু এখানে লক্ষ্যনীয় যে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মানের পর বর্ষার শুরুতে রিজার্ভারে পানি ধরে রাখার প্রয়োজন পড়বে আবার বর্ষার শেষের দিকে পানি ছেড়ে দেয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। এর ফলে বর্ষার শুরুতে বন্যা কমে আসতে পারে আবার বর্ষার শেষে বন্যার প্রকোপ বাড়তে পারে।এর প্রভাব এই অঞ্চলের বোরো ধান আবাদের উপর পড়তে পারে।
এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের হাওড়গুলি শুষ্ক মৌসুমে যখন শুকিয়ে যায় তখন কৃষকরা সেখানে বোরো ধান বপন করে যা এই অঞ্চলের একমাত্র ফসল। এই ধান বর্ষা আসার আগেই ঘরে উঠে যা এই লোক গুলির বছরের একমাত্র শর্করার যোগান দেয়। শুকনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি এবং তার ফলে সেচের জন্য সুফল বয়ে আনা প্রসংগে জনাব আহমদের মন্তব্যের প্রতি উত্তরে বলতে চাই, প্রাথমিক গবেষনা অনুযায়ী টিপাইমুখ প্রকল্পের কারনে শুষ্ক মৌসুমে অমলসিদের আরো ভাটিতে সুরমা কুশিয়ারা অববাহিকায় নদী তীরবর্তী অঞ্চলে প্রবাহ শতকরা ৮০ ভাগ বৃদ্ধি পাবে যা কিনা পানির উচ্চতা ২ মিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে সেচের সুবিধা নয় বরং এই বিস্তীর্ন অঞ্চলের ফসল পানিতেই নিমজ্জিত হবে। তাই বাঁধের কারনে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ বেড়ে গেলে এই এলাকার চাষাবাদ ব্যহত হবার আশঙ্কা আছে।
নদীর উজানে বাঁধ তৈরি ও জলাধার নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেছেন যে ‘এ ধরনের জলাধার নেপাল কিংবা ভুটানে হলে আপত্তি নেই কিন্তু ভারতে হলেই অনেকের আপত্তি।’ এখানে বলে রাখা ভাল যে বাংলাদেশের বিশেষোজ্ঞদের সেই প্রস্তাব ভারত সমর্থন করলে হয়ত গঙ্গাচুক্তি ১৯৭৪/৭৫ সালেই সংগঠিত হতো। গঙ্গা চুক্তির আপস আলোচনার দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৯৭৪-১৯৭৬) যেহেতু শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি বন্টন নিয়ের সমস্যার উৎপত্তি হয় তাই এই পর্যায়ে ‘গঙ্গায় পানি বৃদ্ধির’ বিষয়টি সামনে আনা হয়। বাংলাদেশ প্রস্তাব করে যে ভারত বর্ষা মৌসুমের বিপুল পরিমান পানিকে উজানের জলাধারে (ভারতে না নেপালে) সঞ্চিত করে তা শুস্ক মৌসুমে ব্যাবহার করতে পারে, অন্যদিকে ভারত একটি সংযোগ খালের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র থেকে বিপুল পরিমান পানি গঙ্গায় নিয়ে আসার প্রস্তাব করে।বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা উজানে বাঁধ করতে প্রস্তাব করেছিল কারন তারা চেয়েছিল যেন তাতে শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গায় পানি বৃদ্ধি পায় এবং সেই বর্ধিত পানি ভারত প্রত্যাহার করতে পারে ফলে বাংলাদেশকে আর পানিবিহীন থাকতে হয়না শীতকালে।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে অনেকেই আছেন সরাসরি বাঁধের বিরুদ্ধে বলেলেও ভূমিকম্পের জুজুর ভয় দেখান। কিন্তু আসলেই কি এটি জুজুর ভয়? এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ভারতীয় ও বার্মা প্লেটের মিথস্ক্রিয়ার ফলে ভারত ও বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত।ভূতাত্ত্বিকভাবে টিপাইমুখ বাঁধ এলাকা এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চল আসলে অসংখ্য 'ফোল্ড ও ফল্ট' বিশিষ্ট এবং এই অঞ্চলে গত ১৫০ বছরে রিক্টার স্কেলে ৭ এর অধিক মাত্রার দু'টি ভূমিকম্প হয়েছে যার মধ্যে শেষটি ছিল ১৯৫৭ সালে যা কিনা টিপাইমুখ প্রকল্প থেকে পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে মাত্র ৭৫ কিমি দূরে।
তিনি মন্তব্য করেছেন ‘এ বাঁধ শুধু ভারতের তৈরি করাই উচিত নয়, বাংলাদেশের উচিত ভারতকে চাপ দেওয়া, যাতে বাঁধটি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়।’ আবেগ বর্জিত হয়েই তার উক্তির প্রতিউত্তরে বলছি আমাদের আগে প্রয়োজন এই প্রকল্পের নিজস্ব বা যৌথ সমীক্ষা করে জেনে নেয়া বাংলাদেশের কতটুকু ক্ষতি হচ্ছে। যদি বাঁধের ফলে সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য এর ডিজাইনে কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন সম্ভব থাকে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।আর যদি এই ক্ষতি সহনীয় মাত্রায় আনা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার প্রস্তাব ভারতের কাছে উত্থাপন করতে হবে।
টিপাইমুখ বাঁধের বাংলাদেশে প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত জানতে সচলায়তন থেকে প্রকাশিত টিপাইমুখ বাঁধ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট ইবুকটি পড়তে পারেন। ইবুকটি ডাওনলোড করা যাবে এখান থেকে।
মন্তব্য
শেয়ার দিলাম। শেয়ারে কাজ হয়। অনেক ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
দেখা যাক, প্র আলো ছাপে কিনা।
পিপিদা, প্রথম আলো কেন এই ডিবেট শুরু করল জানিনা। ডঃ গওহর রিজভীর নিবন্ধ ছাপা হবার দুই দিন পরেই একজন বন্ধুর মাধ্যমে বিভাগীয় সম্পাদকের কাছে তার প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছিল। লেখাটি ছাপানোর সম্ভাব্যতা থেকেই প্রকাশের উপযোগী করে ছোট করার অনুরোধ আসে, তা করেও পাঠানো হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি তা এখনো ছাপানো হয়নি যদিও দুই সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। ইতিপূর্বে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান নিয়েও লেখা পাঠিয়েছিলাম, প্রকাশ করেনি, এমনকি অনলাইনে মন্তব্য আকারে কিছু তথ্য দিলেও সেটা মডারেশন পার হয়নি। এজন্য আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তবে অন্যত্র প্রকাশের চেষ্টা থাকবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মহিউদ্দিন সাবরে টিপাইমুখ বাঁধের কামলা নিয়োগ দেওয়া হউক। উনি মুফতে মাটি টাটি টেনে দিবেন।
আপনার সাথে একমত
আমার বক্তব্য হচ্ছে ভিন্ন মত থাকতেই পারে কিন্তু সেটা এত বায়াসড কেন? সবচেয়ে দুঃখ পেয়েছি তার এই মন্তব্যে
"এ বাঁধ শুধু ভারতের তৈরি করাই উচিত নয়, বাংলাদেশের উচিত ভারতকে চাপ দেওয়া, যাতে বাঁধটি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়।"
এরকম উক্তি আমি ভারতীয় কতৃপক্ষের কাছ থেকেও শুনিনি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কী আর বলবো! মহিউদ্দিন আহমদ সাহেবের কলাম পড়ার পর খালি থুতু আসতেছে মুখে। এই লোক বলে কী!!!...
আমাদের এই এক জ্বালা। দেশের মানুষই দেশের কোনটা ভালো সেইটা বোঝে না।
এত দুঃখের মাঝেও এই মন্তব্য পড়ার পর থেকেই হাসতাছি,
ওরা ভাবে দেশের সব লোক আবুল। অবশ্য পাগলে কি না বলে !
facebook
আসলেই দুঃখজনক এবং হতাশাব্যাঞ্জকও বটে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
রাজাকারেরও অধম!!
শেয়ার দিলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মহিউদ্দিন আহমদ এর লেখা দেখে একটা কথাই মাথায় আসছে- রাজাকাররা যুগে যুগে জন্মায়, খালি তাদের আকৃতি পরিবর্তন হয় মাত্র।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমার মনে হয় আপনি এই লেখাটি প্রথম আলোতে পাঠাতে পারেন। লেখার জন্য ধন্যবাদ।
বি স কি ফারুখ ওয়াসিফ? নাকি আনিসুল হক?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই পাতার হেডু সম্ভবত জাকারিয়া সাহেব।
প্রথম আলো কেন এই ডিবেট শুরু করল জানিনা। ডঃ গওহর রিজভীর নিবন্ধ ছাপা হবার দুই দিন পরেই একজন বন্ধুর মাধ্যমে বিভাগীয় সম্পাদকের কাছে তার প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছিল। লেখাটি ছাপানোর সম্ভাব্যতা থেকেই প্রকাশের উপযোগী করে ছোট করার অনুরোধ আসে, তা করেও পাঠানো হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি তা এখনো ছাপানো হয়নি যদিও দুই সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। ইতিপূর্বে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান নিয়েও লেখা পাঠিয়েছিলাম, প্রকাশ করেনি, এমনকি অনলাইনে মন্তব্য আকারে কিছু তথ্য দিলেও সেটা মডারেশন পার হয়নি। এজন্য আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তবে অন্যত্র প্রকাশের চেষ্টা থাকবে।
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
উনি ত আগেই বলেচেন জে উনি আগে একতি লেখার প্রতিক্রিয়া দিএচিলেন কিনতু প্রথম আলোতে ছাপানো হয়নি। প্রথম আলোর অন্ন উদ্দেশ্শ আছে
ইনি সম্ভবত ঢ়ৈষূর একটু সফিস্টিকেটেড সংস্করণ। কাণ্ডজ্ঞানের বিপরীতে কথা বলে আমোদ পান। স্মৃতি প্রতারণা না করে থাকলে, ইনি অনেক আগে একবার ঢাকা আর লাহোরের মধ্যে রেলসংযোগ স্থাপনের গুরুত্ব নিয়ে কান্নাকাটি করেছিলেন। কিছুদিন আগে লিখেছেন, তার পিতা ভারত ভেঙেছিলেন, তিনি পাকিস্তান ভেঙেছিলেন, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি, তার সন্তান এসে বাংলাদেশ ভেঙে যদি কাজের কাজ কিছু করতে পারে। মনে হয় এই লেখাটাও ঐ লাইনে ভেবেই লিখেছেন।
জাহিদ ভাই, আপনি হাওরাঞ্চলে পানি সরবরাহের ব্যাপারটা কি দুটো কার্ভ দিয়ে বোঝাতে পারেন? তাহলে ব্যাপারটা সহজে চোখের সামনে আনা যায়।
মহিউদ্দিন আহমেদের ঢাকা-লাহোর রেল সংযোগের জন্য হাপুস কান্নার লিঙ্ক।
চেষ্টা করব হিমু।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সবচেয়ে বিরক্ত লাগলো শেষটা পড়ে, "ভারত এই বাঁধ তৈরি করবেই। আমাদের কৌশল হওয়া উচিত এ থেকে আমরা কী সুবিধা নিতে পারব, সেই চেষ্টা করা। বিরোধিতা করে এই বাঁধ তৈরি আমরা ঠেকাতে পারব না। আর বিরোধিতা করবই বা কেন?"
বাঁধ তৈরি করবেই মানে কী? নিজেদের দুর্বল মেনে নিয়ে ভিক্ষে হিসাবে যতটুকু পাচ্ছি সেটাতেই সন্তুষ্ট থাকতে বলছেন?
বলতে দ্বিধা নেই টিপাইমুখ নিয়ে পড়া এযাবতকালের সবচাইতে একপেশে লেখা এটি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দারুণ একটা কাজ করেছেন ভাই। অভিনন্দন নিন। আমি মনে করি আপনার এই লেখাটি অবশ্যই প্রথম আলোতে আসা উচিত।
ধন্যবাদ। আগেও মন্তব্যে বলেছি, প্রথম আলো কেন এই ডিবেট শুরু করল জানিনা। ডঃ গওহর রিজভীর নিবন্ধ ছাপা হবার দুই দিন পরেই একজন বন্ধুর মাধ্যমে বিভাগীয় সম্পাদকের কাছে তার প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছিল। লেখাটি ছাপানোর সম্ভাব্যতা থেকেই প্রকাশের উপযোগী করে ছোট করার অনুরোধ আসে, তা করেও পাঠানো হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি তা এখনো ছাপানো হয়নি যদিও দুই সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। ইতিপূর্বে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান নিয়েও লেখা পাঠিয়েছিলাম, প্রকাশ করেনি, এমনকি অনলাইনে মন্তব্য আকারে কিছু তথ্য দিলেও সেটা মডারেশন পার হয়নি। এজন্য আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তবে অন্যত্র প্রকাশের চেষ্টা থাকবে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমার মনে হয় আপনি এই লেখাটি প্রথম আলোতে পাঠাতে পারেন। লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। আগেও মন্তব্যে বলেছি, প্রথম আলো কেন এই ডিবেট শুরু করল জানিনা। ডঃ গওহর রিজভীর নিবন্ধ ছাপা হবার দুই দিন পরেই একজন বন্ধুর মাধ্যমে বিভাগীয় সম্পাদকের কাছে তার প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছিল। লেখাটি ছাপানোর সম্ভাব্যতা থেকেই প্রকাশের উপযোগী করে ছোট করার অনুরোধ আসে, তা করেও পাঠানো হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি তা এখনো ছাপানো হয়নি যদিও দুই সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। ইতিপূর্বে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান নিয়েও লেখা পাঠিয়েছিলাম, প্রকাশ করেনি, এমনকি অনলাইনে মন্তব্য আকারে কিছু তথ্য দিলেও সেটা মডারেশন পার হয়নি। এজন্য আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তবে অন্যত্র প্রকাশের চেষ্টা থাকবে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মহিউদ্দিন গাধাটা বলে কি, // ভারত তো বাঁধ তৈরি করবেই... আমাদের বরঞ্চ উচিত এর পুরো সুযোগটা নেয়া..//
অনেকটা শোনালো কোনো বদমাইশ শলা দিচ্ছে নারীকে.... // আরে ধর্ষন তো তোমাকে করবেই... এটাকে বাধা না দিয়ে বরঞ্চ এনজয় করো না কেন? ///
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চলুক
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
মহিউদ্দিন ভায়া, হীরা কত নিলে শুনি?
সেটাই, হীরা কত নিলে শুনি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
৪০ দিনের কথা বলে যে ফারাক্কা বাধ দেয়া হয়েছিল সেটাই উত্তরাঞ্চলে শীতে মরুভুমি বর্ষায় বন্যার মুল কারণ। জনাব মহিউদ্দিন হয়তো কোন কারনে ভুলে গেছেন যে বৃষ্টি ভারতেও হয় আর প্রতিবার বর্ষায় তারা কিছু না বলেই বাধ ছেড়ে দেয়। এমন দালালিপূর্ণ লেখা অনেকদিন পরিনি।
ফারাক্কা ব্যারেজের পরীক্ষামূলক চালুকরন আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অলওয়েজ... ।
আসলে আন্তর্জাতিক এই দ্বিচারিতার অবসান হওয়া খুব জরুরী।
জাহিদ ভাই টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আপনার এতগুলো লেখা পড়ে আমিও একটি লেখার কথা ভাবছি। যদিও আমি আপনার মতো এর ইনার কারণ গুলি নিয়ে লিখতে পারব না , কারণ আমি এর বিশেষজ্ঞ নই, তবে দেখি আন্তর্জাতিক ব্যাপার গুলির দিকে আলোকপাত করে কিছু একটা লেখা যায় কিনা। যদি কোন পরামর্শ থাকে তাহলে দিয়েন।
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপস দা, আপনি কি ভারতের দিক থেকে কোন বিশ্লেষন বা মানুষের মতামর নিয়ে লেখা দিতে পারেন? বিশেষত আদৌ বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যান্ন বিকল্প পদ্ধতির বদলে বিতর্কিত এই প্রকল্প নিয়ে আর সেই সাথে বাঁধের কারনে উজানে জলাধারের ফলে জীব-বৈচিত্র আর মানুষের সমস্যা নিয়ে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
একটা চেষ্টা করে দেখতে পারি। তবে এখানকার মানুষ এই বিষয়টা নিয়ে বেশী সচেতন নয়। বাঙলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বাইরে বাংলাদেশ নিয়ে এতটা মাথাব্যথা মানুষের নাই ( ত্রিপুরা সহ গোটা নর্থইস্ট/ পশ্চিমবঙ্গ বাদে আমি রেস্ট অফ দ্য ইন্ডিয়ার কথা বলছি ) । এটা কিন্তু একটা ফ্যাক্ট। আর ভারত বরাবরই বাংলাদেশের সাথে বৈদেশিক চুক্তির ব্যাপারে উদাসীন। এবং বর্তমান পর্যায়ে এটা বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে। মুনাফার এই রাজনীতি আমি বুঝেও বুঝে উঠতে পারিনা।
ডাকঘর | ছবিঘর
দালালের দল গর্ত থেকে মাথা বের করা শুরু করেছে... আর প্রখর রোদের প্রকোপ থেকে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে প্রথম আলো।
ধন্যবাদ
ইশতি মহিউদ্দিন আহমদের এই লেখার ভাষা দেখে আমি এতটাই অবাক হয়েছি যে প্রথম আলোতে আদৌ এই লেখাটির কন্টেন্ট মডারেট করা হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ হয়েছে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শেয়ার করলাম।
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় একটি লেখা। জনসাধারনের মাঝে প্রচারিত হওয়া আবশ্যক বিবেচনা করছি।
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাই কে ধন্যবাদ দ্রুত প্রতিক্রিয়াটি দেয়ার জন্য।
ভাদা মহিউদ্দিন রে থুথু..................। আরেকটা কথা প্রথম আলো এইডা ছাপাইল কেম্নে?
আলু অনেক "লেখক ও গবেষক"-এর অভয়ারণ্য রে ভাইডি। ঐ পাতায় আরেক "লেখক ও গবেষক" শ্রীমান দ্দীণূ একবার সিনেমা না দেখেই সিনেমা রিভিউ লিখে বসছিলো। ফাকমিদুল নামে আরেক জ্ঞানপাপী ঐ পাতাতেই মেহেরযৌবনের সপক্ষে কাঁঠালকাঠের কলম ধরেছিলো। আমাদের জীবদ্দশায় আরো অনেক ছাগলবলদকে ঐ পাতায় হাগতেমুততে দেখতে পাবো হয়তো। পাতাটা কনসালট্যান্সির খ্যাপ মারতে হাপিত্যেশ করতে থাকা অনেক হাভাতে "লেখক ও গবেষক"-এর ঊরু প্রদর্শনীর জায়গা। খদ্দেররা এইসব লেখা পড়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে নেড়েচেড়ে দেখে, বুদ্ধিবেশ্যামোর কাজে এদের কেমন কাজে লাগাতে পারবে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ধন্যবাদ শ্যামল।মহিউদ্দিন আহমদের এই লেখার ভাষা দেখে আমি এতটাই অবাক হয়েছি যে প্রথম আলোতে আদৌ এই লেখাটির কন্টেন্ট মডারেট করা হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ হয়েছে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কী বলব বুঝতে পারছি না! আমরা একটা বেঈমানের জাতি! এতো বেঈমান এই দেশে! মাটির দোষ বলব একে?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কিভাবে একজন বাংলাদেশি বলতে পারে ‘এ বাঁধ শুধু ভারতের তৈরি করাই উচিত নয়, বাংলাদেশের উচিত ভারতকে চাপ দেওয়া, যাতে বাঁধটি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়।’ একথা একজন ভারতীয়কেও বলতে শুনিনি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মহিউদ্দিন কে? ড্যাম বিশেষজ্ঞ? নাকি পোষ্য আমলা? প্রথম আলোর উদ্দেশ্য কোনদিকে ধাবিত?
এই প্রশ্নগুলো ক্রমাগত ঘুরপাক খাচ্ছে মাথার ভেতরে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ওলন্দাজসমর্থিত আইসিজেডএম প্রকল্পের সহদলনেতা, পানিসম্পদ মন্ত্রক, ২০০২-২০০৬
জটিল তো! আইসিজেডএমপির সাথে তো আমরা কাজ করেছি, এই লোকের নাম তো শুনিনি! রফিকুল ইসলামকে চিনতাম, দলনেতা ছিলেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হয়তো ওনার নাম তখন হিজবিজবিজ ছিলো
এখানে কিছু পেলাম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এখানে তো দেখছি রফিক ভাই সহ চেনাজানা অনেকেই আছেন, বাবু ভাই (মোজাহারুল আলম), ড. সলিমুল হক, ড. আতিক রহমান। ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে এদের সাথে চেনাজানা হয়েছিলো। কিন্ত মহিউদ্দিন আহমেদ ............ কি জানি, মনে পড়ছে না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মহিউদ্দিন এইডা কি কইল? হেরে জিগাইতে ইচ্ছা হইতাসে বেটা কয়বার হাওরে ধান চাষ করছে ?
এই লেখাটি প্রথম আলো বরাবর পাঠাতে পারেন! দেখা যাক আর পরিক্ষাও হয়ে যাক!
আগেও মন্তব্যে বলেছি, প্রথম আলো কেন এই ডিবেট শুরু করল জানিনা। ডঃ গওহর রিজভীর নিবন্ধ ছাপা হবার দুই দিন পরেই একজন বন্ধুর মাধ্যমে বিভাগীয় সম্পাদকের কাছে তার প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছিল। লেখাটি ছাপানোর সম্ভাব্যতা থেকেই প্রকাশের উপযোগী করে ছোট করার অনুরোধ আসে, তা করেও পাঠানো হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি তা এখনো ছাপানো হয়নি যদিও দুই সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। ইতিপূর্বে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান নিয়েও লেখা পাঠিয়েছিলাম, প্রকাশ করেনি, এমনকি অনলাইনে মন্তব্য আকারে কিছু তথ্য দিলেও সেটা মডারেশন পার হয়নি। এজন্য আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তবে অন্যত্র প্রকাশের চেষ্টা থাকবে
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মহিউদ্দিন আহমদ এবং এই শ্রেণীর ইডিয়েট-জ্ঞানীদের ধারণা, দেশবাসীর জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার লেভেল হাঁটুর নিচে।
আপনার লেখাটা শেয়ার করছি এক্ষুনি।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাংলাদেশী সত্যি একটি বিশ্বাস ঘাতক জাতি. বাংলাদেশির চেয়ে অধিক স্বার্থপর জাতি আর পৃথিবীতে অন্য একটা খুঁজে পাবেননা, দিজেন্দ্রলাল এর ভাষাতে "এমন দেশটি কথাও খুঁজে পাবেনা কো তুমি". কিভাবে আমরা আশা করি যে শুধু ভারত আমাদের এক তরফা ভাবে দিয়ে ই যাবে. ৪৭ এ ভারত মাতার অঙ্গ হানি করে পাকিস্তানের জন্ম হলো, সেটাকি ভারতের মহানুভবতা ছিলনা. বন্দে মাতরম বলতে সম্প্রদায়ক মুসলিম সমাজের খুব কষ্ট হত, এই মীরজাফর এর বংশধর, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, মাথা মোটা বাঙালি মুসলিমরাই ভারত বিভাজনের পরিকল্পনা করে আর মহাত্মা গান্ধী মহানুভবতা দেখাতে গিয়ে তাতে সায় দেয়. সেই থেকে ভারত মাতার অভিশাপ বাঙালি মুসলিম দের উপর. ৭১ এ যখন মুসলিম জাত ভাই পাকিরা কচুকাটা করছিল, তখন ভারত ছাড়া আর কোনো বন্ধু ছিলনা যে পাশে দাড়াবে. এক কোটি বাঙালি কে আশ্রয় দেয়, খাবার দেয়. মুক্তিযোধাদের প্রশিক্ষণ দেয়, অস্ত্র দেয় সমগ্র বিশ্ব জনমতের বিপক্ষে গিয়ে. সর্বপরি ভারতীয় বাহিনী আপন রক্ত দিয়ে বাঙালদেশ স্বাধীন করে. প্রথম সীকৃতি দেয়, যুদ্ধ বিধস্ত দেশ গঠনে ভারত একাই বাংলাদেশের পাশে দাড়ায়. এই সকল আর বিনিময়ে শুধু ফারাক্কা শুরু করে, তাও আবার সুষম চুক্তির মাধমে. যে মা সন্তান জন্ম দেয় তার উপর সারা জীবনের অধিকার থাকে. ভারত তো আমাদের জন্মদাত্রী, সে কি এতটুকু আশা করতে পারেনা. বন্ধুত্ব মানে কি শুধু দিয়া. কিছু চাইলেই বন্ধুত্ব শেষ. ভারত যেভাবে আমাদের সর্বপ্রকারে সাহায্য করে, আমরা কি ভারতকে এই সামান্য সাহায্য করে বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে পারিনা? সর্বপরি সারা বাংলাদেশের জনগণ নিজের রক্ত উত্সর্গ করেও ভারত এর ঋণ কখনো শোধ করতে পারবেনা. কিন্তু তারপর ও আমরা স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বিরোধী অবস্থান নেই, কারণ একটাই আমরা পুরো ভারত বর্ষের সবচেয়ে পিছিয়ে পরা জাতি ছিলাম এবং এখনো আছি. আমাদের মাথা মোটা এবং শিক্ষার অভাবের কারণে চিন্তা শক্তি সীমিত. ৭২ এর ১০ এ জানুয়ারী মুজিব বলেছিলেন রবি ঠাকুর এর কবিতা থেকে, যে বাঙালি মানুষ হে গেছে. কিন্তু না আজ ও বাঙালি মানুষ হই নি তবে পাকিস্তানি হবার পথে আছে.
আপনার জ্বালাময়ী বক্তৃতা শুনে বেশ ভাল লাগল। কিছু বিষয় পরিষ্কার করে নিচ্ছিঃ
১) এখানে কেউ ভারত প্রীতি বা ভারত বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে আসেনি। এসেছে একটি প্রকল্পে বাংলাদেশের ঠিক কতটুকু ক্ষতি বা লাভ হচ্ছে সেটা জানতে বা জানাতে। খুব সহজ কথা, টিপাইমুখ প্রকল্পে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে সেটা সচেতন কোন নাগরিক মেনে নিবেনা, নেয়া উচিৎ নয়। বাংলাদেশ সরকার যেন বন্ধুত্ত্বের বিনিময়ে নিজের স্বার্থ বিঘ্নিত না করে সেজন্যই সরকারের প্রতি অনুরোধ বা পরামর্শ সুলভ বক্তব্য রয়েছে এই লেখাতে।
২) একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান এক বাক্যে সবাই স্বীকার করে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে নিজেদের স্বার্থ বিকিয়ে সব ক্ষেত্রে ভারতের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে সেই অবদানের প্রতিদান দিতে হবে।
৩) আপনি বলেছেন একাত্তর সালে যুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্যের বিনিময়ে ভারত 'শুধু ফারাক্কা শুরু করে'। এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? ফারাক্কা ব্যারেজ নিয়ে পরিকল্পনা ও সেই সাথে আপস আলোচনা শুরু হয়েছে ৫০ এর দশক থেকে। তবে পরিক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে ৭৪/৭৫ সালে তাও সেটা বাংলাদেশের সম্মতিতে। তবে জেনে রাখবেন সেটা ছিল ভারতের শঠকারীতা। তারা বলেছিল মাত্র ১১০০০ কিউসেক পানি অপসারন করবে। মাত্র ৪০ দিন সেই কথা রেখেছিল এর পর থেকে ৪০০০০ কিউসেক করে পানি অপসারন শুরু করে। জেনে রাখবেন, আপনার এই 'শুধু ফারাক্কা' বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল আর দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের পানিসম্পদ, জীববৈচিত্র নিঃশেষ করে দিয়েছে।
৪)
বুঝলামনা ভারত আবার বাংলা মাতা হলো কবে? বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে এদেশের অগনিত মেহনতি মানুষ আর বীর যোদ্ধারা।আমরা হারিয়েছি আমাদের ত্রিশ লক্ষ ভাই বীর যোদ্ধাদের। সেখানে ভারতকে সাহায্যদাতা ছাড়া অন্য কোন আসনে বসাবার উপায় বা অভিরুচি কোনটাই বাংলাদেশিদের নেই।
একটা উপদেশ দেই, ভবিষ্যতে ব্লগে মন্তব্য করতে আসলে একটু জেনে শুনে আসবেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
"বাংলাদেশ সরকার যেন বন্ধুত্ত্বের বিনিময়ে নিজের স্বার্থ বিঘ্নিত না করে সেজন্যই সরকারের প্রতি অনুরোধ বা পরামর্শ সুলভ বক্তব্য রয়েছে এই লেখাতে। এ কেমন স্বার্থপর বন্ধুত্ব যাতে নিজের স্বার্থ বিঘ্নিত করা যাবেনা বন্ধুর স্বার্থে. আপন স্বার্থ বিকিয়ে দেবার নাম ই হছে বন্ধুত্ব, আর যেখানে নিজের স্বার্থ মুখ্য সেটা তো ব্যবসা. একাত্তরে ভারতের অবস্থান অনেক ভারতীয় নাগরিক এবং সুশীল সমাজ সমর্থন করেনি, ভারত যদি তখন বলত কোনো ভারতীয় সচেতন নাগরিক টা মেনে নেবেনা, সুতরাং পূর্ব বঙ্গী দের মরতে দাও, বর্ডার বন্ধ করে দাও, ওরা মরে মরুক ভারতের তাতে কি? আপনারা কি ভারত কে তারপর ও বন্ধু বলতেন.আপনি বাংলাদেশের স্বার্থ দেখছেন, ভারতের স্বার্থ দেখার মত নিরপেক্ষ দৃষ্টি শক্তি তো আপনাদের নাই, কিন্তু দৃষ্টি ভঙ্গি কি এমন করা যায়না যাতে উভয়ের স্বার্থ উদ্ধার হয? ২. সব ক্ষেত্রে ভারতকে মানতে কেউ বলেনি, শুধু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্ধু হিসেবে তারা আমাদের সাহায্য আশা করে, এটা ৭১ এর প্রতিদান না কারণ তা কখনো সম্ভব না. ৩. ৫০ এর দশক থেকে আলোচনা শুরু হলেও পাকিস্তানি সামরিক জান্তা কখনো এটা বাস্তবায়ন হতে দিতনা. তাই বাঙ্গলাদেশ হবার পর বন্ধুর অনুরোধে বন্ধু সারা দেয় এবং ফারাক্কা চালু করার অনুমতি দেয়. আর ফারাক্কার সাথে টিপাই মুখ এর অনেক বড় পার্থক্য যেটা নিয়ে আমি আলোচনা করবনা, কারণ আপনি বিশেষজ্ঞ মানুষ হলে আপনি আমার চেয়ে অবশই ভালো জানেন, জেনেও না জানার ভান করেন তাহলে তো কিছু করার নেই কারণ সমসসা হছে শিকড়ে. ৪. সারা বিশের কাছে ১৯৭১ এর যুদ্ধ পাক-ভারত যুদ্ধ বলে খ্যাত, কথাও কি পেয়েছেন যে এটাকে পাক- বাংলাদেশ যুদ্ধ বলা হযেছে. আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বলতে চাই তারা বাংলা মাতার সেরা সন্তান, কিন্তু শুধু গেরিলা যুদ্ধ দিয়ে নয় মাসে একটা সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনীকে + বিমান বাহিনী + নৌ বাহিনী কে পরাজিত করা সম্ভব না, যাদের সামান্য তম সমর জ্ঞান আছে তারা এই সত্য স্বীকার করতে দ্বিধা করবেনা. আপনি যে বললেন আমাকে জেনে শুনে ব্লগ ই আসতে, আসলে আমি বিশাস করি ব্লগ এ সবাই মতামত জানাবার এবং জানার জন্য আসে. আর আপনার মত অতি বিজ্ঞ জন কিভাবে বললেন যে ত্রিশ লক্ষ বীর যোদ্ধা জীবন দিল? বাংলাদেশের ত্রিশ লক্ষ বীর যোদ্ধা যদি যুদ্ধেই মারা যায় তাহলে তো মুক্তিযোদ্ধার সংখা ছিল কোটির উপরে, তাই না? আর নিশ্চয় ৬/৭ কোটি সাধারণ জনগণ মারা গেছে, কারণ পাকিরা সাধারণ নিরস্ত্র জনগনের কেই বেশি হত্যা করে, তাই নই কি? আপনি কি জানেন কতজন ভারতীয় সেনা প্রাণ বিসর্জন দেন? আপনি টিপাইমুখ বাধ বিশেষগ্য, সেই খান পর্যন্ত থাকেন. অনুগ্রহ করে ইতিহাস আর বিকৃত করবেননা? আর আপনার বিরোধিতা তে ভারতের অগ্রগতি থেমে যাবেনা.
নমস্কার khudiram bose বাবু...... এত ভয়ানক বক্তৃতা শুনে আমোদ পেলাম। তাই একটা সংযোজন না করে থাকতে পারলাম না। যদিও এটা এই পোষ্টের সঙ্গে যায়না, (জাহিদ ভাই স্যরি) তবুও এই সব বালছাল কথা শুনে কিছু বলতে ইচ্ছে করে।
তয় ঘটনা হল khudiram bose আপনি একটি বিশেষ কথা বলেছেন
- এইটা আসলে কী ? আপনি যে কত মুক্ত চিন্তার মানুষ তা এই এক কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গেলো। 'বাঙালি' আবার হিন্দু বাঙালি - মুসলিম বাঙালি কি করে হয় ? বাঙাল কথার মানে জানেন ? শালা ভাষার মধ্যেও জাতের জুজু ঢুকিয়ে দেন? মাইরি বলছি আপনি শালা এক্সট্রিম মৌলবাদীদের চেয়েও আরও বড় মৌলবাদী।
- এর রেফারেন্স যদি দিতে পারেন তাহলে একটা দেশ আপনার জন্য কিন্যা দেমু......
আজ বাংলা যা ভাবে কাল সমগ্র ভারত তা ভাবে... এই কথাটা কখন বলা হতো শুনেছেন ?
৭১ এ হেল্প করেছে বলে বাংলাদেশের মানুষরা ভারতের কাছে মাথা বিক্রি করে দেবে নাকি ? বাংলাদেশ কী ভারতের উপনিবেশ ? পররাষ্ট্রীয় নীতি এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ক্ষেত্রে ভারত এর অবস্থান সম্বন্ধে আপনি জানেন?
এই পোষ্টের লেখক টিপাই বাঁধ নিয়ে এর আগে আরও কত গুলি পোস্ট দিয়েছে তা জানেন? আলবাল ব্লগ, ছাগুভূমি, কিংবা আলু ভালু কত জায়গায় টিপাই বাঁধ নিয়ে সব উৎকট আলোচনা দেখেছি। তাদের কাছে কোন যুক্তি নাই। কিন্তু এই লেখক প্রত্যেকটা ব্লগে টিপাই বাঁধ নিয়ে যুক্তি সহ কথা বলেছেন। স্বপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন। দেশের কথা চিন্তা করে যুক্তি সহ কোন তথ্য প্রেজেন্ট করা কী আপনার ভাষায় "ঘাতক জাতি" লক্ষন ? কোথায় সাম্প্রদায়িকতা আছে লেখায় ?
এই সবের পর জনাব khudiram bose আপনাকে বলতে হচ্ছে - আপনি কি মানুষ না ছাগল। আর খান কী । বাঙালি হিসেবে তো বোধ হয় নিজেকে ঘৃনা করেন, তো খান কি ঘাস?
ডাকঘর | ছবিঘর
আমি কেন বাঙালি মুসলিম বলছি? কারণ বাংলো মুসলিমরা সত্যিকার অর্থে পরিপূর্ণ বাঙাল না. কেন, ০১. কতিপয় বাঙালি মুসলামনদের পূর্বপুরুষরা আরব, তুর্কি, পারস্য, মঙ্গোলিয়া থেকে আগত আর বাকিরা ছিল অতি নিচু জাতের হিন্দু যারা ছিল অস্পৃশ্য. যদিও এই অছুত জাত বাঙালি ছিল কিন্তু বহিরাগত মুসলানদের প্রভাবে তারা তাদের বাঙালি স্বকীয়তা হারায় (আসলে তাদের স্বকীয়তা বলতে কিছু ছিল ও না).
আমি শিকার করছি "আমরা ভারতবর্ষে সবচেয়ে পিছিয়ে পরা জাতি" এটা আসলে পুরোপুরি সত্য নয়. জাতি হিসেবে বাংলো সৌর্জে বির্জে সেরা ছিল, কিন্তু এখন যেখানে বাংলাদেশ সেই অংশের লোকজন সব সমযে পিছিয়ে পরা অংশ. বাংলায় হিসেবে গর্ব বোধ করা যায় তবে পূর্ব বাঙালি বা বাংলাদেশী হিসেবে নয়. ঢাকা, চাটগা, সিলেট এর কিছু বহিরাগত ধনী মুসলিম বা জমিদার ব্যতিত, পূর্ব বাংলার লোকজন জমিদার দের অধীনস্ত দিনমজুর ছিল. আর শিখ্যা দিখ্যাই পিছিয়ে পরা একটা জাত ছিল. হাতে গোনা কতিপয় ছাড়া এই পূর্ব বাংলার মুসলমান দের প্রশাসন কিংবা সেনাবাহিনীতে কোনো অবস্থান ছিলনা. অশিক্ষিত এবং নিম্ন বর্ণের হিন্দু বলে এদের কোনো বাঙালি আভিজাত্য বা অহংকার ছিলনা, তাই খুব সহজেই এরা ধর্মান্তরিত হয় এবং নিজেকে বহিরাগত তাবেদার দের হাতে বিকিয়ে দেয়. আমার মনে হয় এই সত্য উপলব্ধি করবার জন্য কোনো রেফারন্স লাগবেনা, বাংলাদেশের বর্তমান শিখ্যা, অর্থনীতি এবং সমাজ বেবসার সাথে, পাঞ্জাব, কেরালা, মহারাষ্ট্র তুলনা করলেই বুঝবেন আমরা কতটা পিছনে. তারপর ও যদি রেফেরেন্চে প্রয়োজন হই আমি দিতে প্রস্তুত. আজ বাংলা যা ভাবে কাল সমগ্র ভারত তা ভাবে, এই বাংলা বলতে আপনাদের পূর্বপুরুষদের বোঝাইনি. কাদের বুঝিয়েছে টা আগেই বলেছি.
মাথা বিক্রির কথা আমি বলিনি, না বাংলাদেশ কখনই ভারত মাতার উপনিবেশ না. কিন্তু বন্ধুত্ব প্রমান হই কিন্তু ত্যাগ এ. আমরা যদি ভারত এর জন্য এতটুকু ত্যাগ করি তবে তারা ও আমাদের অন্য ভাবে অনেক উপকার করবে.
আমি মানুষ. আমি আপনাদের মতই মাছ ভাত খাই, আমি বাঙালি হিসেবে গর্ব বোধ করি কারণ বাঙালি উদার, কিন্তু বাংলাদেশী হিসেবে একটু লজ্জা পাই, কারণ বাংলাদেশী মুসলিমরা শুধু নিতে জানে, দিতে জানেনা. এতে তাদের কোনো দোষ নাই, কারণ তাদের নিম্ন বর্ণের রক্ত বহিরাগতদের মুসলমানদের দ্বারা কলুষিত.
কিভাবে উপকার করবে?
আপনি নিজে বাঙালি হিসেবে গর্ব বোধ করলে কি হবে, আপনার মন্তব্য পড়ে আমার নিজেরই বাঙালি হিসেবে লজ্জ্বা লাগছে। এক কাজ করুন, বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে এক্টু হাঁটাহাটি করে না হয় বিএসএফ-এর বন্ধুদের প্রতি হাত নেড়ে আসুন।
তাপস ভাই, আপনার মনে হয় একটু সংযত হয়ে কথা বলা দরকার। সচলায়তনে এভাবে কাউকে মন্তব্য করতে দেখিনা।
স্যরি পিপিদা। আসলে ভদ্রলোকের প্রথম মন্তব্যটা আমার মনে এতটাই বীভৎস এক্সপ্রেশন সৃষ্টি করেছিল যে কি বলব। কিন্তু এখন উনার পরবর্তী মন্তব্য গুলি দেখে মনে হচ্ছে যে উনি হয়তো উনার মতো করে কিছু একটা বলতে চাইছেন। এন্ড হি হেভ ডেট রাইট। সচলায়তনেই সবাই উন্মোক্ত ভাবে প্রকাশ করতে পারে।
ক্ষুদিরাম বোসকে বলব - কিছু মনে নিয়েন না। নিজের মনের কিছু কথা থাকলে যুক্তি দিয়ে অবশ্যই লিখুন।
ডাকঘর | ছবিঘর
সিরিয়াস পোস্টে সিরিকাস বিনোদন।
পাগলা গারদের রোগীদের ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয় জানা ছিলো না। অবশ্য শেয়ানা পাগলদের জন্যে এখনও কোনও গারদ তৈরী হয়েছে বলে শুনিনি। তবে এর খুব প্রয়োজন বোধ করি মাঝে মাঝে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হাহাহা
দিজেন্দ্রলাল রায় কি বলেছেন আর আপ্নি কি বলেন?? যে বইগুলা পড়েছেন সে গুলার মিশন ব্যার্থ, আপ্নার কোন কাজে লাগেনিকো। অযথা দিজেন্দ্রলাল বল্লেই হল?
শাফি।
আমি বোঝাতে চেয়েছি যে, সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ, তার চেয়ে বিচিত্র এই দেশের মানুষ. আমি বেন্গার্থে দিজেন্দ্রলালের উধৃতি দেই.
khudiram bose দাদা, আপনি তো প্যাথেটিক। আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করার জোড় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মানসিক রোগও একটি রোগ, এটা নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক না।
আপ্নারে একবার দেখতে মুঞ্চায়। তা দাদা আপনার দেশের বাড়ি কোথায়??
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে আমি আমার পরিচয় প্রকাশ করতে অতিশয় ভিত. কারণ আমি মানুষ, মৃত্যুঞ্জয়ী জিহাদী না, আমার মৃত্ত ভয় আছে. আপনাদের মধে অধিকাংশ মুখে মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন কিন্তু অন্তরে গোপন জিহাদী চেতনা লালন করেন.
বাঁধ নিয়ে এই বাঁদরামির সমাপ্তি চাই। কর্পোরেট-সরকারগুলোর বেবুশ্যেপনার শিকার হতে দেওয়া যায় না নদীমাতৃক গোটা অঞ্চলকে। ভারতের বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তটি জনমুখী নয়।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
প্রথমালোর লেখা পড়ে আপ্নার কাছ থেকে লেখা আশা করছিলাম। দেশটা আজ 'গবেষক ও লেখক' দিয়ে ভরতি।
শাফি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
গত রবিবার নেপালের কোশি তীরবর্তী বিহার শাসিত নেপালি এলাকা ঘুরে এলাম। কোশি নদীর উপরে নির্মিত সেই বিশাল ব্যারাজটির উপর দিয়ে দু'বার যাতায়ত করলাম যেটার ১৩টা গেটের মধ্যে ১১টা ইনডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে নিজস্ব কর্মীবাহিনী মোতায়েন করে। আপনার লেখাগুলো পড়ি আর ভাবি এসবের সমাধান কোথায়!
ভাই, পানি নিয়ে মানুষের দু:খ-কষ্ট অবর্ণনীয়। কোশি তীরবর্তী মানুষদের নিয়ে দু-কলম লেখার কথা ভাবছি একটু সময় পেলেই। শুধু কোশির তীরে বসে নিত্য বিহার পুলিশের ধাওয়া খাওয়া এই মানুষটার ছবিই আপাতত শেয়ার করি। নিজেরা খেতে পায়না কিন্তু আমাকে পরম যত্নে দুধ চা খাওয়ালো ওরা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ডাকঘর | ছবিঘর
বস একটা লেখা দেন। আপনি প্রকল্প পর্যায় থেকে দেখে এসেছেন, সেই দায় থেকেই লেখা দিবেন আশা করি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পাঠক বৃন্দঃ এই প্রতিক্রিয়া নিবন্ধটি আজ ( ৩ জানুয়ারী) কালের কন্ঠে প্রকাশিত হয়েছে।
লিঙ্ক এখানে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
গুড! একটা ভালো কাজ হয়েছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
প্রথম-আলো আজকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্রতিক্রিয়া ছেপেছে, এখানে
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-05/news/214064
জরুরী এই লেখাটা অনেক দেরিতে পড়লাম। ছড়িয়ে পড়ুক লেখাটা, ব্লগ এবং ফেসবুকের শক্তি আমরা টের পাচ্ছি।
ধন্যবাদ জাহিদ এই বিষয়ে ক্লান্তিহীনভাবে যুক্তিপূর্ণ লেখা লিখে যাওয়ার জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন