কালবৈশাখী

সো এর ছবি
লিখেছেন সো [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবা মা চলে গেলে কিচ্ছু ভাল্লাগেনা বৈশাখীর। কত করে বলল, ভালো হয়ে থাকবে। তাও ওরা শুনলো না? তিনতলার জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। চারদিক কি সুন্দর হালকা ছাইরঙে ছেয়ে আছে , গাছের পাতাগুলো নড়ছেনা একদম। এমন একটা দিনে ঘরে থাকা যায়?

ফুলিটাও একটা ফাজিল। ওকে কতবার মা বলেছে যে বৈশাখী সবজি শেষ করলেই যেন ওকে ফ্রিজ থেকে কোক বের করে দেয়। কিসের কি? ফুলি এখন মহা আনন্দে বোতল থেকে চুমুক দিয়ে কোক খাচ্ছে। ঘর মোছারও কোনো লক্ষণ নেই। ওই মুখ দেয়া বোতল থেকে কি আর কোক খাওয়া যাবে ?

ইচ্ছে করে মাকে বলে দেবে। কিন্তু ফুলি তো তাও মাঝে মাঝে বাইরে মুদির দোকানে ওকে নিয়ে যায়। ফুলির চাকরি চলে গেলে কে ওকে নিয়ে যাবে? একা একাই কিছুক্ষণ কম্পিউটারে ফ্রোজেন দেখল সে। তারপর হেটে নিচতলায় কলাপসিবল গেট তার কাছে গেল. ইশ, গ্যারেজের সামনে উঠোনটায় কি সুন্দর ঘাস ফুল ফুটে আছে. মা বাবা ওখানে বসে পিকনিক করতে পারে না ? না, শুক্রবার এলেই কিসের পার্টিতে সাজুগুজু করে বৈশাখীকে ঘরে ফেলে চলে যায়।

বশীর কাকুও শুক্রবারে আসে না। কালকে সে স্কুল থেকে ফেরার পথে গাড়ি থামিয়ে ওকে রং আইসক্রিম খেতে দিয়েছিল। বলেছিল মা কে না বলতে। মা শুনলে যা মারটা দেবে না। রং আইসক্রিম নাকি ড্রেনের জল দিয়ে বানায়। দোকানদারেরা কি গাধা যে এত নোংরা জল ধরবে?

ইস, যদি গেটের বাইরে যাব যেত! আগে কোয়ার্টারে থাকতে সুন্দর একটা মাঠ ছিল সামনে। এখন খালি এক চিলতে উঠান, আর তাও কলাপসিবল গেট দিয়ে তালা মারা। স্কুলও এর থেকে ভালো।

কিন্তু স্কুলেও সুমনটা এত জালায়। এত পাঁজি, বলে কি, ওর বাবা নাকি ঘুষ খেয়ে এই বাড়িটা বানিয়েছে। সুমনের বাবা আসলে নিজেই ঘুষ খায় রুগীদের থেকে। তাই সুমন এরকম মিথ্যা কথা বলে। বাবা তিতাস গ্যাসে কাজ করে। সারা ঢাকায় যত বাড়িতে গ্যাস যায়, সব গ্যাস বাবার।

বসুন্ধরার এই বাড়িটা বেশ বড়। তিনতলা। তার নিজের একটা রুম। সেই রুম মা আবার পিঙ্ক রং করে দিয়েছে। চারদিকে ডিজনি প্রিন্সেসদের ছবি। কিন্তু স্কুল থেকে বাসা এত দূরে, যে কেউ আসতে চায়না। আবার মাও বাইরে খেলতে দিতে দেয়না। ওর নাকি খেললেই অ্যাজমা বেড়ে যাবে। মাঝে মাঝে মনে হয় বড় গেটের বাইরে রাস্তায় যেই ছেলেমেয়েগুলো নেংটু হয়ে দৌড়াদৌড়ি করে, ওরাই অনেক আনন্দে থাকে। একটা ছেলেকে দেখল কি সুন্দর একটা সাইকেলের টায়ার নিয়ে সেটার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছে। বাবাকে বলতেই আস্ত একটা সাইকেল কিনে দিল। বাবা কোনো কথাই ঠিকমত শোনেনা। এইজন্যই বাবার সব চুল সাদা। সাইকেল কোথায় চালাবে ও? আর সাইকেল থেকে এখন টায়ারটা খুলবেই বা কিভাবে? স্ক্রু ড্রাইভার কোথায় পাবে?

তিনতলার বারান্দায় উঠে বৈশাখী কিছুক্ষণ দুরের রাস্তাটা দেখতে থাকলো। ওই তো, মা আর বাবা যাচ্ছে। আর একটা ছোট মেয়ে একটা চটের বস্তা হাতে রাস্তার পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে।

কালীর মন খারাপ। হাশেমকে ওর বড় ভাই খামাখা ইবলিশের বাচচা বলে না। কাগজ কুড়ানোর জন্য সেই সক্কালে বের হয়েছে। হাশেম বলল তুই উত্তরে যা, ঐখানে বড়লোকরা থাকে, ম্যালা কাগজ। সেজন্যই সে কাগজ কুড়াতে এদিকে এলো। আর এতক্ষণ পর্যন্ত এক টুকরা টিনও তার চোখে পড়ল না. আর এখন ফিরবেই বা কোন দিক দিয়ে সেটাও সে জানে না। একবার মনে হলো চিত্কার করে বড় ভাইরে ডাক দেয়। কিন্তু সে তো দিব্বি একটা বিড়ি ফুকতে ফুকতে হাশেমের পেছন পেছন গেল। সবগুলাই আসলে কুত্তার বাচ্চা। কালী মনে মনে গালি দিল।

বাতাসটা কেমন যেন থম থম করে. মুন্নার মা বলছিল বস্তিতে, ঝড়ের আলামত। মুন্নার বাপ মরার পর থেকে মুন্নার মা এইসব বলতে পারে। ডাইনি হয়ে গেছে মনে হয়।

ঝড় হইলে বাইরে থাকা ঠিক না। টিনের চাল কোত্থেকে উড়ে এসে দুই ভাগ করে দিয়ে যাবে। এখন যদিও একটু বাতাস আছে. দুরে একটা বটগাছের মত. অন্য গাছের পাতা চুপ থাকলেও বটগাছের পাতা অল্প বাতাসেই নড়ে। বাতাস থাকলে ভয় নাই। বন্ধ হইলেই ভয়।

'এই মেয়ে, ভাগ।'
একটা সুন্দর করে সাজুগুজু করা আপা আর একজন কালোমতন বুড়া সাহেব যাচ্ছে। আপাটা সিনেমার নায়িকাদের চেয়েও সুন্দর।

'ইসস, কি নোংরা, ছি। এই, ওকে পাঁচ টাকা দিয়ে বের করে দাও তো।'

'আজকে টাকা দিলে কালকে আরও দশটা আসবে।'

'আসুক। বের করে দাও এটাকে। এখানে কোনো রিক্সা পাওয়া যায় না ক্যানো ? আর তুমিও বা বশীরকে আজকে ছুটি দিলে কেন?
ভালো ড্রাইভার পাওয়া যায় কোই? এ তেল চুরি করে, ও ভাড়ায় লোক ওঠায়। বশীর অনেস্ট। আর কমিটির লোকজন এই এলাকা থেকে রিক্সা নিষেধ করে দিয়েছে।'

'কী ঝামেলা।'

কালী সাহেবটার দিকে আগায়। এই বড়লোকরা ওকে মেরে হাত গন্ধ করবে না। দারোয়ান বা চৌকিদার হইলে আলাদা হিসাব। বড়লোকেরা পিটায় বাসার কাজের বুয়াদের। আর গরিবরা পিটায় টোকাই।

সাহেবটা ওকে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট দিয়ে ভাগতে ইশারা করে।

কী মজা! হাশেমের চেহারাটা হবে দেখার মত। পঞ্চাশ টাকা দিয়ে এক প্লেট বিরিয়ানি খাওয়া যাবে সোনারগাঁ হোটেলের পিছনে। কিন্তু সোনারগাঁ হোটেলটা কোনদিকে? এই বড়লোকদের বাসাগুলার আশেপাশের সব গলিগুলা একরকম।

নিজের অজান্তেই কালী রেড সিটির আরও ভেতরে ঢুকে যায়।

ফুলি অনেক মনোযোগ দিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে মুখে লিপস্টিক মাখছে। আপার লিপস্টিক গুলা দিয়ে রং বের হয়না বেশি, কিন্তু গন্ধ সুন্দর। আর চিকচিক করে। চটচটা না একদম। কিন্তু আপায় খালি হালকা লিপস্টিক কিনে। ফুলির পছন্দ গাঢ লাল রং।

'ফুলি, তুমি আবার আমার মায়ের লিপস্টিক মুখে দিচ্ছ?'

'না এই আরকি, দেখতাসি একটু। আমারও আসে এইরকম বাসায়।'

'আর দেবে না।'

'আচ্ছা।'

বাচ্চা মেয়েটা বড় যন্ত্রণা করে মাঝে মাঝে। তবে মনটা ভালো। নালিস ফালিস করে না। আগের বাসাতে বদমাইশ দুইটা ছেলে ছিল। কিছু করলেও নালিশ, না করলেও নালিশ। ইচ্ছা হইত তুলে আছাড় মারতে। একদিন একটাকে দুইগালে দুইটা থাপ্পড় দিলে ফুলি বাসা ছেড়ে বের হয়ে গেছিল। সোজা গ্রামের বাড়ি। কিন্তু কপার খারাপ। সৎ মা। আবার চলে আসতে হলো।

এই বাসায় তেমন যন্ত্রণা নাই. সবার ব্যবহার ভালো। ড্রাইভার তার সাথেও ব্যবহার ভালো। বাচ্চা মানুষ। দায়ভারটা এখনো বদ নজর দেয়নি ফুলির দিকে। আরও কয়দিন যাক। তলে তলে সব পুরুষ মানুষই এক।

চারটা বাজে। এখন সে তারা বঙ্গ চ্যানেলটা খুলে সোফায় একটু জুত করে বসে। দোতলায় টিভি রুম। ধরা পরার ঝামেলা নাই। সুলেখার সামি আজকে ধরা খাবে তার বোনের হাতে। তবে বোনটাও অনেক শয়তান। কি করে কে জানে। এত ভালো ভালো নাটক বানায় কেমনে এরা ?

ফুলিকে ধমক দিয়ে বৈশাখী চুপি চুপি খাওয়ার রুমে গেল। ফ্রিজের ওপরেই চাবি। ফুলি এখন টিভি দেখছে আর একটু পরে পরে মাথা নেড়ে কি যেন বিড়বিড় করছে। সে টের পাবে না। বাইরের ঘাসগুলো কী সুন্দর! কয়েকটার ওপরে আবার ফুল ফুটেছে। একটা চেয়ার ঠেলে ফ্রিজের নিচে নিয়ে গেল. তারপর আসতে করে ওপরে উঠলো। চাবি ধরে টান দিতেই ওপরে রাখা একটা বিস্কিটের বয়াম ঝন ঝন করে পরে গেল। ফুলি চলে আসার আগেই চাবিটা পকেটে পুরে ফেলল সে।

'হায় হায় , বিস্কিট নিতে গেসিলা? আমাকে বললেই তো হইতো। পুরা মাটিতে এখন কাঁচ ছড়ায় গেসে। নামবা না খবরদার। আমি ঝাড়ু নিয়ে আসি।'
চেয়ারের ওপর দাড়িয়েও হাফ চলল বৈশাখি । যাক, বুঝতে পারেনি।

সব রাস্তা গুলাই একরকম ক্যান?

হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গেলে এই গোলকধাঁধার মধ্যে থেকে বের হতে পারেনা কালী। লাল বাড়ি, নীল বাড়ি, গোলাপি বাড়ি, তারপর শিশুগাছ, তারপর আবার লাল বাড়ি। একটা বটগাছ এই নিয়ে তিনবার পার হলো কালী। আশেপাশে কোনো বাতাস নেই। কিন্তু বটগাছের পাতা তাও নড়ে। বাবা বলত, বটগাছের হাওয়ায় বিষ।

কালীর মনে কিছু একটা কু-ডাক দিল।

বটগাছের পাতা নড়া বন্ধ হয়ে গেছে। কালী একটা খোলা গেটের দিকে প্রাণপণে দৌড় দিলো।

'এই নাও বিস্কুট। হরলিক্স বানায় দেই।'

ঘর টর মুছে সে আবার টিভি দেখতে গেল। তার কিছুক্ষণ পর বৈশাখী নিচতলায় নামল চাবিটা নিয়ে। ও মা , গেটের বাইরে মেয়েটা বসে আছে।

'এই মেয়ে, তুমি ভেতরে ঢুকলে কিভাবে?'

'গেট খোলা ছিল। ঝড় আইতাসে। তুমি ভিতরে যাও।'

'ধ্যাত। কোনো বাতাস নেই। ঝড় কেন আসবে?'

'বাইরে থাকোনাই তো কখনো, তাই জানো না। বাইরে আসো, তাইলে বুঝবা ঝড় কারে কয়।'

'এমনিতেই বাইরে যাবার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু মেয়েটার কথা শুনে কেমন যেন একটু ভয় লাগলো। কেন এসেছে মেয়েটা? যদি ওই বস্তার মধ্যে ওকে ভরে দৌড় দেয়?' মা বলেছে ছেলেধরারা এমন বসতা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

'এই তো ভয় পাইয়া গেলা। মেয়েটা সাদা সাদা দাঁত বের করে হাসলো।'

চাবি দিয়ে কলাপসিবল গেট এর তালাটা খোলে বৈশাখী। খুলতেই কেমন যেন একটা হাওয়া বয়। বেশ ভালো লাগে তার।

বৈশাখী ঘাসের উপর বসলো। হাওয়ার তীবতা আসতে আসতে বাড়ছে।

'হাওয়া আরও অনেক বাড়বে। সব উড়ে যাবে। আমি ভিতরে ঢুকি একটু?' মেয়েটা জিগে্যস করে।

'যাও। কোনো কিছুতে হাত দিও না। ফুলি বকবে।'

বড়লোকদের বাড়ি এমন হয়, কালী স্বপ্নেও ভাবেনি। মাটিতে নরম চাদর, টেবিলে দামী দামী শো-পিস। একটা বুয়া টিভি দেখে।

ফুলির পেছন দিয়ে একটু হেটে যেতে ফুলি না তাকিয়েই বলল, 'টেবিল থেকে বিস্কিট আর হরলিক্স খাইয়া নাও।'

টেবিলে কয়েকটা ওভালটিন বিস্কিট, আর ঠাণ্ডা একটা হরলিক্স। এর নাম খাওয়া? কালী ভাবতো বড়লোকরা চার-বেলা ভাত খায়। কিন্তু খায় এত্ত কম? এই বিস্কিটে তো পেটের এক কোনাও ভরবে না। খাওয়া বাঁচায় বাঁচায় এত বড়লোক হইসে এরা?

বিছানাটা কি নরম! চাপ দিয়ে দেখল কালী। তারপর একটু বসলো।

ঘাস টা কি নরম। নীল ফুলগুলোকে আলতো করে চুল বৈশাখী। কোনো গন্ধ নেই, কিন্তু কি সুন্দর।

হঠাত হওয়াটা তীব্র হয়ে কাঁপিয়ে দিল বৈশাখীকে। মুহূর্তের মধ্যেই আকাশটা কালো হয়ে ঢেকে ফেলল চারদিক। এমন ঝড় সে কখনো দেখেনি। এ সেই ঘরের বারানদায় বসে দেখা শো শো হাওয়ার ঝড় নয়। এ ঝড় কালীর কালবৈশাখী ।

কাছেই কথাও একটা বাজ পড়ল। এত কাছে যে মনে হলো তার সামনেই জেন পড়ল।

এতক্ষণ যেই এডভেঞ্চার এর সাহস নিয়ে বৈশাখী ঘোরাফেরা করছিল তার একটুও আর নেই। এখনি ঘরে যেতে হবে।

চারদিকে প্রচণ্ড ধুলা উড়ছে।

'বল ছেমড়ি, কিভাবে ঘরে ঢুকলি? বল?'

কালীকে ধরে প্রচন্ডভাবে ঝাঁকাচ্ছে ফুলি। ঘটনার আকস্মিকতায় কালী এতটাই ভয় পেয়েছে যে তার গলা থেকে কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না। বলেই বা কি লাভ। বিশ্বাস করবে?

বৈশাখী কই? কি চুরি করসিশ। কোন দিক দিয়ে ঢুকলি? গেট তো আমি নিজের হাতে বন্ধ করলাম। মিথ্যা কথা বলবি না একদম। হারামজাদী। চোর? কি চুরি করসিশ বল!

বস্তাটা ঝাড়তেই অনেকগুলো ময়লা কাগজপত্র মাটিতে ছড়িয়ে পড়ল।
ইস। ঘরটা একটু আগে মুছলাম।

ঝাঁকুনির চোটে কালীর জামার ফাঁক থেকে পঞ্চাশ টাকার নোটটা বেরিয়ে আসে।

এইতো। কোত্থেকে চুরি করসিশ। বল, কোত্থেকে। না বললে আজ তোকে ছাড়ুম না।

১০

'ফুলি! ফুলি!' কলাপসিবল গেটটা নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে। চাবিটাও কথাও পড়ে গেছে। ধুলোয় কিছু দেখা যাচ্ছে না। 'দরজা খোল।'

ধুলা আর প্রচণ্ড বাতাসে বৈশাখীর নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ফুলি, ফুলি।

কিন্তু কালীকে ঝাঁকুনিরত ফুলির কানে সে চিত্কার পৌছায় না।

ঝড় বয়ে যায়, নিজের মত।


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সো এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক

দেবদ্যুতি

সো এর ছবি

হাসি :)

সো এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ, হিজিবিজবিজদা।
কয়েকটা টাইপো; আর কয়েকটা বানান আমি আসলেই জানি না বা কনফিউজড (যেমন: পাজি/পাঁজি, পরা/পড়া,কি/কী)। প্রথমে একবার অভ্র স্পেল চেকার দিয়ে চেক করে, তারপর আরেকবার পড়েছিলাম তাড়াহুড়ো করে। তার পরেও অনেকগুলো বাদ গেছে। লেখা আর পড়ার মাঝখানে আরেকটু গ্যাপ দিলে মনে হয় ভালো হত।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চমৎকার গল্প। বেশ সুন্দর গুছিয়ে এনেছেন শুরু থেকে, চরিত্রগুলোর গড়ে তোলাও ভাল লেগেছে। কিন্তু শেষটায় এসে একটু তাড়াহুড়ো মনে হলো। আর মনে হলো আরো একটু গল্প বোধ হয় ছিল!

এবার ভিন্ন প্রসঙ্গ - টাইপো। হেটে->হেঁটে। বাইরে যাব যেত-> বাইরে যাওয়া যেত। জালায় -> জ্বালায়। এত পাঁজি ->এত পাজি। দায়ভারটা -> ড্রাইভারটা ইত্যাদি ইত্যাদি॥ একটা পরামর্শ - লেখা শেষ হওয়ার পর একটা গ্যাপ দিয়ে একবার পড়ে নেবেন।

শুভেচ্ছা।

____________________________

গৌতম হালদার এর ছবি

বলা যায় কিছু মুদ্রন্ভ্রান্তি আছে, তবে অনবদ্য। একেবারে জীবন থেকে নেয়া ........... হাততালি

গৌতম হালদার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।