আগেই বলে রাখি, লেখাটা বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নিয়ে নয়। যদি ভাবেন এখানে লেখা হবে আইনস্টাইন তার রিলেটিভিটির অঙ্ক করার আগে বা হাতের আঙ্গুল কবার মটকাতেন, বা ফাইনম্যান নিউক্লিয়ার বোমার অঙ্ক কষার আগে ক’বার ডিগবাজি দিয়ে নিতেন, তাহলে আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। এই গল্পের বিজ্ঞানীরা এখনো নিতান্তই সাদামাটা, পিএইচডি ধারী, বা পিএইচডি করনেওয়ালা ছাত্র (ভবিষ্যতের ফাইনম্যান-ম্যাক্সওয়েল আরকি!)।
চলমান ছাত্রজীবনে নানা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে , এটা তারই একটা খিচুড়ি মিক্স। যথারীতি, ঘটনা-তথ্য সত্য, নামগুলো বদলে দিয়েছি।
১।
শুরুটা হয়েছিল অদ্ভুত এক বিষয়ে ক্লাস করতে গিয়ে। নাম – আন্ডারস্ট্যান্ডিং কোয়ান্টাম উইয়ার্ডনেস । কোয়ান্টাম বলতেই আপনারা নিশ্চই ‘কোয়ান্টাম মেথড’ নামক আবর্জনার কথা ভাবছেন। না, মডিউলটা ছিল সত্যিকারের কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে। তো শ্রোডিংগার হাইজেনবার্গ এর নানা রকম অঙ্ক-থিওরির পিন্ডি চটকে প্রফেসর হঠাত করে বলে ফেললেন,
জানো, এই জন্যই কোয়ান্টাম ফিজিক্সের অর্ধেক বিজ্ঞানীরা আস্তিক হয়।
ক্লাসভর্তি পদার্থবিদ্যার ছাত্র। স্বাভাবিকভাবেই একটা শোরগোল উঠলো - হ তরে কৈসে, তুই বেশি জানোস।
প্রফেসর খোলসা করলেন। আসলে এক্সপেরিমেন্টের হিজিবিজি ডাটাগুলো খালি কাগজে কলমে বোঝা যায়না। কম্পিউটারে দিয়ে দেখতে হয় ডাটাগুলো থিওরির সাথে মিলল কিনা।
তাই কম্পিউটারে ডাটা ঢুকিয়ে স্টার্ট দেয়ার পর ঈশ্বরকে ডাকা ছাড়া কিছু করার থাকে না , যাতে থিওরির সাথে ফলগুলো মিলে যায়। নয়তো আবার প্রথম থেকে করো অংক, আবার শুরু করো এক্সপেরিমেন্ট।
আমরা বললাম, অ।
নিজের এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে বুঝলাম তার কথার মর্ম, যদিও সেটাতে (প্রথমদিকে) কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কিছু ছিল না।
টাইটানিয়াম কাঁচে ফেলি
তাহাতে ফটোরেজিস্ট ঢালি,
ইলেক্ট্রন বিম মারিয়া তাহাতে,
ওভেনে কর সিদ্ধ,
প্রোব দিয়া কর বিদ্ধ,
ওয়েভগাইড সৃষ্টি হয় তাহাতে।
এই হচ্ছে সোজা কোথায় আমার কাজ। কিন্তু বানাতে গিয়ে দেখলাম নানা রকম সমস্যা। ওভেনের তাপমাত্রা দুয়েক ডিগ্রী সরে গেলেই কাঁচ ভেঙ্গে দফা রফা হয়ে যাচ্ছে।
প্রফেসর পাগলা মানুষ। ক্যালটেকের প্রডাক্ট। কোনো ইন্টিগ্র্যাল করতে দিলে মুখে মুখে করতে পারেন, কিন্তু এক্সপেরিমেন্টে তার অবস্থা ক-অক্ষর গোমাংস।
তার কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করলে বলছেন , এই তো রিসার্চ। তুমি যদি জানো কোন তাপমাত্রায় এই জিনিস সেদ্ধ হবে, তা হলে এক্সপেরিমেন্ট করা লাগত নাকি?
তো একজন বুদ্ধিমান বিজ্ঞানী এই প্যাড়ায় পড়লে যা করে আমিও তাই করলাম। ওভেনের নানারকম প্যারামিটার বদলাতে থাকলাম একটা একটা করে, আর মনে মনে ভগবানের নাম জপতে থাকলাম, যদি লাইগা যায়।
২.
মাসখানেক পরেও কোনো কাজ না হওয়ায় এক সিনিয়রকে ধরলাম উপায় বের করার জন্য। উনি সব্যসাচী মানুষ। একদিকে ডিনস লিস্টার, অন্য দিকে হেফাজতি। ওনার ফায়ারফক্সে পর পর বুকমার্ক করা থাকে সানি লীওনির পেজ, আর তারিক মুনাওয়ারের ওয়াজ। ছাত্র ভালো, কিন্তু মানুষ সেই লেভেলের ত্যাড়া। নিজের রেজাল্ট না মিললে কাউকে জীবনেও সাহায্য করবে না।
যাই হোক, চেনাজানার মধ্যে এই ভদ্রলোকই এক্সপেরিমেন্ট করে।
তার কাছে গিয়ে বললাম, ‘ভাই, আপনারও তো যন্ত্র কাজ করে না, আপনি কেমনে চালান?’
‘যন্ত্র কাজ করে না মানে ?’ উনি খেঁকিয়ে উঠলেন।
‘মানে ল্যাবে ডিভাইস বানানোর সময় কি করেন?’
‘লিটারেচার পড়, দেখ অন্যরা কি করে ।‘
‘পড়া শেষ। লাভ হয় না।‘
‘আমারও হয়নি।‘ উনি মাথা নেড়ে বললেন। ‘ যন্ত্র সার্ভিসিং করাও।‘
‘শেষ, যন্ত্র ঠিকই আছে। খালি রেজাল্ট পাই না। ‘
‘হুম, আমারও একই সমস্যা। আমি আর সোয়ামিনাথান একসাথে এক্সপেরিমেন্ট করি, একসাথে রেজাল্ট পাইনা।‘
বুঝলাম, এখানে কাজ হবে না। তাও জিগ্যেস করলাম,
‘সোয়ামিনাথান কি করে?’
‘সে প্রতিদিন সকালে পূজা করে কপালে তিলক লাগিয়ে আসে।‘
‘আর আপনি কি করেন?’
‘আমি যন্ত্র চালায় দিয়ে সুরা ইউনুস পড়ি?’
‘সুরা ইউনুস কেন?’
‘কারণ আমি ওই একটা সুরাই পারি।‘
‘কাজ হয়?’
‘প্রতিদিন স্যাম্পল তিন টুকরা হয়ে বের হয়ে আসে। না পড়লে হয়ত সাত টুকরা হতো।‘
‘সোয়ামিনাথান কিসের পূজা করে ?’
‘শিবের।’
‘শিব তো ধংসের দেবতা, বলেন ব্রহ্মার পূজা করতে, কাজ দিতে পারে।‘ বলে চলে আসলাম ল্যাবে।
৩।
আমার পাসের সিটে বসত রসিকলাল। আইআইটিতে গ্রাজুয়েট, নর্থওয়েস্টার্নে পিএইচডি, এমআইটিতে পোস্ট ডক করে আমাদের কলেজে এসেছে মোটা বেতনে ছুটি কাটাতে। কিছুদিন পরে মুম্বাই চলে যাবে এসোসিয়েট প্রফেসর হয়ে। বয়স আমার থেকে বছর দশেক বড় হলেও গল্প গুজব হয় বেশ। সিঙ্গেল মানুষ, সারাদিন অঙ্ক নিয়েই থাকে। আজকে ফিজিক্যাল রিভিউয়ে পাবলিশ করে, তো কালকে এপ্লাইড ফিজিক্স লেটারস।
সপ্তাহ দুয়েকের জন্য দেশে বেড়াতে গিয়েছিল, ফিরে এসে বলল অদ্ভূত ব্যাপার হয়েছে। আমি ভাবলাম মঙ্গল্গ্রহে রকেট পাঠানোর কথা বলছে। এই প্রসঙ্গে একটা মজার ঘটনা, ভারত যখন মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে রকেট ছাড়ছিল, সেই মুহূর্তে পাকিস্তানও একটা রকেট ছাড়ে প্রমান করতে, যে তারাও পিছিয়ে নেই। রেঞ্জ – ৬০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের জাতীয় পশু যে ছাগল, তার জন্য এর চেয়ে ভাল প্রমান নেই।
গল্পে ফিরে আসি,
রসিকলালের কথা শুনে বললাম, ‘বিয়ে করিয়ে দিয়েছে তোমার?’
‘না, কিন্তু কাছাকাছি। একজন বিরাট জ্যোতিষীর সাথে দেখা হয়ে গেলো। সে মানুষের চেহারা দেখে ভাগ্য বলে দিতে পারে।‘
‘তোমার চেহারা দেখে কি বললো?’
‘বলল যে আমার একটা থিতু চাকরি করা উচিত।‘
‘সেটা তো আমি তোমাকে দু’দিন পরপর বলি. বয়স পয়ত্রিশ পার, বিয়ে করবে কবে, আর প্রফেসর হবে কবে ?’
‘ধ্যাত। যাই হোক , সেও বলল বিয়ে করতে।‘
‘চমত্কার, এক্সপেরিমেন্ট তো কাজ করে না, আমিও ভারতবর্ষে গিয়ে জ্যোতিষী হয়ে যাই।‘
‘ফাজলামো কোরো না , এই লোক হিসেব করে অনেক কিছু বলে দিতে পারে।‘
‘যেমন?’
‘যেমন আমার মাসির একটা কানের দুল হারিয়ে গেছিলো, সে খুঁজে দিয়েছিল।‘
কল্পনা করলাম যে একটা খালিগা পেটমোটা দাড়িওয়ালা লোক সারাঘরে হামাগুড়ি দিয়ে কানের দুল খুজছে। ঠিক ভরসা পেলাম না।
‘কিভাবে পেল?’
‘বলে দিয়েছিল কোথায় আছে। বলেছিল, যে কাঠের কাছে পাওয়া যাবে। পাওয়া গেছে খাটের নিচে।‘
‘কাঠের কাছে পাওয়া যাবে বলেছে? এরকম ভবিষ্যতবাণী তো আমিও করতে পারি। যেকোনো বাড়ির অর্ধেক জিনিসই কাঠের তৈরী। যেখানেই পাওয়া যায়, কোনো না কোনো কাঠের জিনিসের কাছে তো থাকবেই। হয় টেবিলের নিচে, নয় খাটের নিচে। যদি বাইরে পাওয়া যায়, তাহলেও আশেপাশে কোথাও একটা গাছ থাকবে। তোমার দুল যদি আমার অফিসে পাওয়া যায়, তাহলেও তো কাঠের কাছেই পাওয়া যাবে। আর যদি কোনদিন পাওয়া নাও যায়, তাহলেও তো প্রমান হবে না যে ওটা কাঠের কাছে নেই। যদিনা সেটা মঙ্গল গ্রহে না পাওয়া যায়।‘
অকাঠ্য যুক্তি। রসিকলাল মেনে নিল।
‘তবে আরো আছে। তোমাকে গত মাসে বলেছিলাম না, যে আমার ভাইয়ে জমজ বাচ্চা হবে ?’
মনে করলাম। তার ভাই ইউঅফসির অধ্যাপক, এবং বৌদিও প্রফেসর একই জায়গায়। অনেকদিন বাচ্চা হয়না। এখন জমজ বাচ্চা হবে। এ ধরনের কথা সাধারনত পারিবারিক এবং গোপন হবার কথা। তাই আঠার গুষ্টির সবাই জেনে যায়।
‘তো? এখন কি ত্রিমজ বানিয়ে দিয়েছে ?’
‘না , বলেছে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে হবে। যদি ভুয়া হয় , তাহলে এমন ভবিষ্যতবাণী দেবে কেন ? মাত্র এক তৃতীয়াংশ সম্ভাবনা ঠিক হওয়ার। হয় দুটো ছেলে হবে, নয় ছেলে-মেয়ে, আর নয়তো হবে দুটো মেয়ে।
এবার আমার জ্যোতিষীর ওপর একটু শ্রদ্ধা এলো। ব্যাটা আর যাই হোক প্রব্যাবিলিটি পারে।
‘দ্যাখো রসিকলাল, ছেলে মেয়ে হবার সম্ভাবনা মাত্র ১/৩ মনে হলেও, আসলে কিন্তু সম্ভাবনা ১/২।‘
‘কিভাবে?’
‘হয় হবে দুটি ছেলে , বা দুটি মেয়ে, নয়তো হবে আগে ছেলে পরে মেয়ে, নয়তো পরে ছেলে আগে মেয়ে। যদি দুটো ছেলে বা দুটো মেয়ে বলত তাহলে ১/৪ সম্ভাবনা হত। ব্যাটা সবচেযে বেশি সম্ভাবনা যেটার সেটাই বলেছে। ছেলে-মেয়ে হবার সম্ভাবনা ১/২ -১/২।
‘আরে তাই তো ?’
রসিকলাল স্ট্যাটিস্টিকসের মানুষ। ক্লাস সেভেনের অঙ্ক বুঝতে পারছেনা ভাবতে কেমন যেন খারাপ লাগছিল। পড়ে কথাপ্রসঙ্গে জানতে পাড়লাম, জ্যোতিষী নানাবিধ ভবিষ্যতবাণীর সাথে এও বলেছে, যে রসিকলাল তার দাদার চেয়েও আরও ভাল কোথাও চাকরি পাবে। তাই তার এই জ্যোতিষীর অপর এমন আস্থা।
কিছুদিন পরে রসিকলাল বলল , ‘জ্যোতিষীর ভবিষ্যতবাণী ভুল।‘
‘কেন?’
‘দুটো মেয়ে হয়েছে।‘
শুনে বেশ ভালো লাগলো। একটা লোকের জীবনে কুসংস্কারের ছায়া একটু কমবে।
‘কিন্তু জমজ হবে বলেছিল, এটা তো ফলেছে।‘
টেবিলে কিছুক্ষণ মাথা ঠুকলাম। তারপর বললাম, জয় বিরিঞ্চি বাবার জয়।
---
মন্তব্য
বাহ, ভাল লাগল, আরও লিখুন
[পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি করছেন কি?]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং - কিন্তু সব (প্রকৌশলবিদ্যার) পিএইচ্ডিই তো ঘুরেফিরে পদার্থবিদ্যায় ফিরে আসে।
হা হা হা। অসাধারন লেখা। হাসির মোরকে শাণিত ভাব ধারা।
----------------------
ইচ্ছে মত লিখি।
http://icchemotolikhi.blogspot.in/
পড়ে মজা পেলাম।
ও হ্যাঁ,
আপনার যুক্তিটা মোটেই 'অকাঠ্য' নয়, বরং অতিমাত্রায় 'কাঠ্য' যুক্তি হয়তো বলা যেতে পারে।
তবে 'অকাট্য' বৈকি!
****************************************
পান ইন্টেন্ডেড ছিল ঃ)
মজা পাইলাম! লেখা চলুক অবিরাম
চল্ছে চলবে।
দিতেই হবে এবং দিলাম ৫টি তারা
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ভালো লেগেছে।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
কই, কই, আর কই ? পপ্পন নিয়ে বসলাম।
____________________________
মানুষ এত পপ্প্ন কই পায়?
অনেকদিন পর একটা রসগোল্লা লেখা পড়লাম। সুস্বাদু। আরো নামান।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
চমৎকার লেখা বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে পরিমাণ কুসংস্কার দেখি, বাকিদের মধ্যে তেমন আর দেখি না, দেশি-বিদেশি যেখানের শিক্ষার্থীর কথাই যখন মনে করি না কেন।
কন কী? আমি তো দেখি উল্টা। গল্পগুলা এক্সেপশনাল কেস দেখে লিখলাম। এইটার থেকে একটানে বিজ্ঞান পড়নেওয়ালা/বিজ্ঞানীদেরকে বেশি কুসংস্কারী পাপী বানাইলে হপে ?
উপ্রে গল্পের মতন এক্সট্রিম ছাগলামি কেইসেও সংস্কার সংস্কারের জায়গায়, আর বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায় (মানে সবখানে) রাখলে সায়েন্টিফিক কমিউনিটিতে বাঁশ খাওয়ার সম্ভাবনা নাই। ডিভাইস তৈরী হবার পরে কিন্তু আয়াতুল কুরসী পরে ফু দিলো, না পূজা করে যন্ত্রে একটা টিপ পরায় দিলো এইগুলা কিন্তু পেপারে যাবে না, যাবে যেই প্যারামিটার কাজ করসে সেইগুলাই। আর ঠিকঠাক কাজ করলে অন্যখানে সূরা/মন্ত্র ছাড়াই এক্সপেরিমেন্ট কাজ করবে। বিজ্ঞান পাবলিক যাতে মাতাল হইলেও, তালে ঠিক আছে।
মজা লাগলো পড়তে।
নিয়মিত লিখুন সিরিজটা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নিয়মিত লেখারই তো ইচ্ছা ছিল, কিন্তু হঠাত্ করে মাথার থেকে বাকি গল্পগুলা বের হয়ে গেল।
আপনার সেন্স অফ হিউমার ভালো। আরো লিখুন।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমার এখানেও দুয়েকজন মিলে যায় পাড় আস্তিক বিজ্ঞানী। সম্ভবত নিজের গবেষণার বিষয় ছাড়া দুনিয়ার আর কিছু নিয়েই ক্রিটিক্যালি চিন্তা না করার কারণে এই অবস্থা হয়। আপনার লেখা মজার হয়েছে। আরো লিখুন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন মন্তব্য করুন