খুব অদ্ভুত একটা নাম “ভ্লাদিমির সুতেয়েভ”, কঠিনও বটে সে বয়সে ঠিক বুঝতে পারতামনা উচ্চারনটা ঠিক হলো কি না। ভ এর সাথে ল এর যুক্ত রূপটা এই প্রথম দেখা সুতরাং ধন্দ লাগতো। বইটার বিশেষত্ব ছিলো বইটায় ছবি বেশি লেখা কম আর ছবি গুলোও ভারি সুন্দর। এই বইটার আমার সব চেয়ে প্রিয় গল্পটা ছিলো একটা ব্যাঙের ছাতা নিয়ে। এক বৃষ্টির দিনে একটা পিপড়া বৃষ্টির তোড় থেকে বাঁচবার জন্য আশ্রয় নেয় একটা ব্যাঙের ছাতার তলে। তারপর আসে একটা প্রজাপতি, সে বেচারাও বৃষ্টিতে ভিজে একেবারে কাহিল। তারপর একে একে একটা নেংটি ইঁদুর এলো, একটা চড়ুই পাখিও এলো। নেকড়ের তাড়া খেয়ে একটা খরগোসও এসে আশ্রয় নিলো সেই ব্যাঙের ছাতার তলে। আমার খুব ভালো লাগতো এই সবার জুবুথুবু হয়ে ছোট্ট একটা ব্যাঙের ছাতার নিচে গা ঘেসাঘেসি করে বসে থাকার দৃশ্যটা দেখতে। পরের দৃশ্যটায় ছিলো বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় সবাই আনন্দে ব্যাঙের ছাতার তলা থেকে বেরিয়ে আনন্দ করছে, সবারই হাসি হাসি মুখ। কিন্তু এই ছবিটা আমার সে সময় বিশেষ ভালো লাগেনি। আমার মনে হতো বেশতো ছিলো ওরা সবাই একসাথে চাপাচাপি ঠাসাঠাসি করে ছোট্ট একটা ব্যাঙের ছাতার নিচে এটাইতো মহা আনন্দের। ওদের এই ব্যাঙের ছাতার তল থেকে বেরিয়ে আসার মধ্যে আমি কোন আনন্দ খুঁজে পেতামনা। তাই শেষ দৃশ্যটা না, আমার ভালো লাগতো তার আগের ছবিটা যেখানে সবাই একসাথে বসে আছে আর বাইরে তুমুল বৃষ্টি পড়ছে। সে ছবিটাতে কারো মুখে হাসি নেই খরগোসের চেহারায়তো রীতিমত আতঙ্ক কিন্তু আমার ছোটবেলার মনটায় এই বিপন্ন চেহারাগুলো আমল পেতোনা আমার মনে হতো ওরাও বেশ মজা পাচ্ছে এরকম একসাথে জুবথুব হয়ে বসে থেকে।
সেই সময় থেকেই ছবিটা মনের মধ্যে একেবারে পাকাপাকি ভাবে বসে গিয়েছিলো। সারা জীবন এই ছবিটাকেই আমার মনে হতো সবচেয়ে সুখের একটা দৃশ্য। বইটা কিভাবে আমার হাতছাড়া হয়ে যায় সে স্মৃতিটাও নেই। কিন্তু ছবিটা রয়েই গেলো আর শুধু রয়ে গেলো না বরং বারে বারেই ছবিটা মনের মধ্যে হানা দিতো। আমার মনে আছে আরো একটু বড় হয়েছি আর নানির বাড়িতে কোন এক বৃষ্টির সন্ধ্যায় খালাতো ভাইবোনেরা সব বিছানায় বসে গল্প করছি। বিদ্যুৎ চলে গেছে, ঘরের এক কোণে একটা কেরোসিনের লন্ঠন জ্বলছে তার আলো ঘরের সবখানে ছড়াচ্ছেনা। আধো অন্ধকারের ভেতর আমাদের জোর জ্বীনের গল্প চলছে। আমার মনে হচ্ছিলো বিদ্যুৎটা যেন আর না আসে, এই তো বেশ চলছে। আর সেই ফাঁকেই সেই ব্যাঙের ছাতার গল্পের ছবিটা মনে উঁকি দেয়।
ছবিটা যেন মুছে যাবার নয় তাই বারে বারেই মনে উঁকি দিয়ে যায়। বৃষ্টির রাতে চায়ের স্টলে বসে আড্ডা চলছে ওদিকে রাত বাড়ছে কিন্তু বৃষ্টি থামার নামই নেই। কয়েকজন বন্ধু মিলে বেঞ্চে ঠাসাঠাসি করে বসেছি। বৃষ্টির ছাঁট থেকে বাঁচতে আরো ঘন হয়ে এসেছে সবাই। এই যে বৃষ্টিবন্দি অবস্থা সেদিকে কিন্তু কারো খেয়ালই নেই সবাই জোর গুলগল্পে মশগুল। আমি মাথার উপর ব্যাঙের ছাতাটা দেখার চেষ্টা করি পিপড়ে, প্রজাপতি, ইঁদুর আর চড়ুইয়ের গায়ের ওমটাও টের পাই। আড্ডা প্রায়ই হয়, কোন কোন দিন কি যে হয় কেউ বাড়ি যাবার নামই করেনা। বৃষ্টি হয়তো নেই, খোলা আকাশের নিচে বসে আড্ডা চলছে ঘড়ির কাঁটার দিকে কারোরই খেয়াল নেই। এই যে প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গটাকে এভাবে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগের মুহূর্ত গুলো এই সময়েও আমার সেই ছবিটার কথাই মনে হয়েছে। একবার না বার বার। কোন কোন সময় মনে হতো বইটা আরেকবার কোন দোকানে পেলে কিনে ফেলবো। সেই বই পাওয়াও দুস্কর। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রকাশিত বই, এখন সোভিয়েতই আর নেই। ও বই আর পাওয়া যাবেনা। তবে এ নিয়ে বিশেষ আফশোস ছিলোনা। ছবিটা ছিলো মনের মধ্যে, মাঝে মাঝেই উঁকি দিয়ে জানান দিতো আমি আছি, আমরা আছি। সেই ব্যাঙের ছাতা, পিপড়ে আর তার দলবল।
করোনা আক্রান্ত এই সময়ে অনেকদিনই হলো বাইরে আড্ডা হয়না। ফোনে ফোনে বন্ধুদের সাথে কথা হয়। কিন্তু সে কথায় মন ভরে কই! আবার জমিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেবার সময়টা আবার কবে আসবে কে জানে। বয়সটাও বসে নেই। বন্ধুদের সবারই কোন না কোন শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে শুরু করেছে। কেউ ডায়বেটিসে ভুগছে, আবার কেউ প্রেসারের রোগী। এই সময়ে বুড়িয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তাও তো কম নেই। মনে আছে এরশাদের আমলে কারফিউয়ের মধ্যেও আমরা চুপচুপ করে বেরিয়েছি আড্ডা মারতে। হরতাল হোক কিংবা অন্য কিছু, রাস্তায় লোক নেই কিন্তু আমরা আছি। সেই আমরাও গৃহবন্দি। অনেক অনেক দিন পর আড্ডা ছাড়াই দিন গুলোকে চালিয়ে নিতে হচ্ছে। ব্যাঙের ছাতাটাকে স্বপ্নে দেখি। পিপড়ে আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা করোনা ভাইরাসের ভয়ে যে যার গর্তে।
এই সময়ই সোভিয়েত ইউনিয়নের বাংলা বইগুলোর একটা ওয়েবসাইট পেয়েই ভ্লাদিমির সুতেয়েভের বইটা খুঁজলাম। বইটার নাম “গল্প আর ছবি”। ডাউনলোড করে আমার আড়াইবছরের মেয়েটাকে ল্যাপটপের সামনে বসিয়ে আবার গল্পটা পড়লাম। ব্যাঙের ছাতার গল্প। আড়াই বছরের টুকটুকি কি বুঝছে কে জানে। তবে গল্পটা যে ওর মনে ধরেছে (কিংবা ছবি গুলো) তা টের পাওয়া গেলো যখন রাতে শোবার সময় আবার ব্যাঙের ছাতার গল্পটা শুনতে চাইলো। আমি গল্পটা বলতে শুরু করি। টুকটুকির মাও কাছে সরে আসে গল্প শুনতে। ব্যাঙের ছাতাটা আমাদের তিনজনের মাথার উপর বিস্তৃত হয়। বাইরে দুর্যোগের সময়। কিন্তু আমরা তিনজন জুবুথুবু হয়ে গল্পের মধ্যে বসে থাকি।
মন্তব্য
আপনার এ লেখাটা পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো। কষ্টেসৃষ্টে জনান্তরণের দিনগুলো পার করে দিন। টুকটুকির জন্যে শুভেচ্ছা। সে আরেকটু বড় হয়ে অনেক ঝলমলে ছবি এঁকে সচলায়তনের পাতা ভরাক।
"গুলো" জুড়ে বহুবচন করতে গেলে মাঝখানে ফাঁক রাখা হয় না। যেমন, "চেহারা গুলো" নয়, "চেহারাগুলো"।
ধন্যবাদ হিমু ভাই। “গুলো”গুলোকে খেয়াল রাখবো এবার থেকে।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
আমার হয়ে গেলো মন খারাপ। এমন বৃষ্টি আর কোনোদিন হবেনা, এভাবে কায়মনবাক্যে বিদ্যুৎ ফিরে না আসার প্রার্থনা করবো না আর কোনোদিন। যে বইগুলোতে আমি আমার আত্মার কিছু অংশ রেখে এসেছিলাম সে বইগুলোর ঘ্রাণ নেয়া হবেনা কক্ষনো আর।
ওরকম একটা ওয়েবসাইট আমিও পেয়েছিলাম, কিন্তু পড়তে গিয়ে বাস্তবের বইগুলোর জন্য এমন একটা হাহাকার জেগে উঠলো যে আর পড়তেই পারিনি।
আপনি একটা খারাপ লোক সোহেল ইমাম। তিন বছর আগে পাওয়া কষ্টটাকে আবার জাগিয়ে দিলেন।
--মোখলেস হোসেন।
কষ্টটা আমারও মোখলেস ভাই। একবার বিদেশে চলে যাওয়া আমাদের আড্ডার একটা বন্ধুকে এরকম বৃষ্টির রাতের আড্ডার কথা মনে করিয়ে দিতেই সে ফোনের অপর প্রান্তে কাঁদতে শুরু করলো, হারিয়ে ফেলেছি মোখলেস ভাই আমরাও করোনাকাল আসার আগেই হারিয়ে ফেলেছি অনেক কিছু। আপনার কষ্টটা লাঘব করতে পারবোনা, তাই হাত বাড়িয়ে আপনার মন খারাপটা ছুঁয়ে থাকলাম।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
একসময় ভাবতাম যদিও দুষ্টু লোকজন আছে কিছু, ইগ্নাৎ বা ডাইনি বুড়ি বাবায়েগার মতো। কিন্তু মোটের ওপর পৃথিবী বেশ ভালোই একটা জায়গা।
এরপর এক বছর থেকে আরেক বছরে, এক জীবন থেকে আরেকজীবনে ঘুরতে ঘুরতে বোঝা হয়ে যায়, পৃথিবীকে যেমন ভাবতাম..সে মোটেই তেমন কোমল কিছু নয়, যে মানুষগুলো সেখানে ঘুরে বেড়ায়.. তারাও, দেখতে যেমন কিংবা যেমন কায়দায় নিজেদের দেখায়, আদতে মোটেই তা নয়।
কিন্তু আক্ষেপ পুষে রাখার মতো ততোটা দীর্ঘজীবনও তো মানুষের হাতে নেই। সেজন্য ক্লান্তিময়, কুৎসিত দিনের শেষে বাড়ি ফিরে বুকশেলফে হাত ছুঁইয়ে কিংবা ল্যাপটপটা একটু হাতড়ালেই খুঁজে পাওয়া যায় একটা রঙ ঝলমলে সবজে মালাকাইটের ঝাঁপি। তাতে আছে নীল নাগ, আছে তামাপাহাড়ের ঠাকরুন আর খনিমজুরের দল।
দাগ-ভাণ-মিথ্যে সবকিছুর ওপরে থাকা স্বপ্নে আঁকা রূপকথায়ময় সে গোটা এক অন্য জগত-- যেখানে থাকে সার্কাসের ছেলেটা, চুক আর গেক, তিমুর, জোরকা, ঝলমলে বাজ ফিনিক্স, পাভেল, মিশকা ভালুকটি, বুদ্ধিমতী মাশা, সেয়ানা চাষী, সিভকা বুর্কা; সেই জাদুর ঘোড়া.. এক হাজার একশ রঙের রূপের খোলা ডালি নিয়ে!
কী এসে যায় সেই মণির পাহাড়ের জগৎ একবার খুলে ফেলার পর, সেই জগতে একবার ফিরে যাওয়ার পর, সেই জগতের খোঁজ জানে না, জানেই নি কখনো, এমন অভাগাদের কথা বেমালুম ভুলে যাওয়ার পর?
I see skies of blue and clouds of white...
The bright blessed day, the dark sacred nights,
And I think to myself what a wonderful world!
The colors of the rainbow so pretty in the sky
Are also on the faces of people going by..
And I think to myself what a wonderful world
Yes I think to myself, what a wonderful world!
গল্প আর ছবি, ছবিতে ছবিতে গল্প, রূপের ডালি খেলা, সাগরতীরে, পেন্সিল আর সর্বকর্মার অভিযান-- রাদুগার এক একটা বই মানে আমাদের এক এক টুকরো ছেলেবেলা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঝলমলে সবুজ রঙের মালাকাইটের ঝাঁপি বইটা কতবার যে বইয়ের দোকানে দেখেছি। কিনবো কিনবো করেও কেনা হয়ে ওঠেনি। প্রতিবার অন্য কোন একটা বই কিনে ভাবতাম পরের বার কিনবো। তখন এতো এতো সোভিয়েত বই, কিনে শেষ করা যেতোনা। বইটা কিন্তু সেই অদ্ভুত সবুজ প্রচ্ছদ নিয়ে এখনও হাতছানি দেয়। সোভিয়েত বাংলা বইয়ের ওয়েবসাইটটা থেকে ডাউনলোড করলেও এখনও পড়া হয়নি। ভাবছি, আর দেরি করবোনা। ধন্যবাদ তিথীডোর একটা অদ্ভুত ছোটবেলার রঙিন ছবিটা তুলে ধরার জন্য।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
কত আগের বই জানিনা, সম্ভবত অক্ষর জ্ঞান হবার আগে বইটা আয়ত্বে আসে - স্মৃতিতে এখনও জ্বলজ্বলে।
লাল কাপড়ে বাঁধাই করা – উপরে একটা কুকুর ছানা, ফুলগাছ, প্রজাপতির ছবি। অনুবাদে ননী ভৌমিক। আহ।
ঠিক লাল কাপড়ে বাঁধাই করা বইটা। আচ্ছা ওটার কোন ডাষ্ট জ্যাকেট ছিলো কি? আমার কাছে যে বইটা ছিলো সেটার ছিলো কিনা মনে নেই।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
ব্যাঙের ছাতার তলে বেগুনি পিঁয়াজু ভাজলাম গতকাল। রোজা না রাখি ইফতার তো করতেই হয়! কালকে হালিম করব ভাবতেছি।
টুকটুকির গল্প ছাড়েন কয়টা শুনি।
..................................................................
#Banshibir.
আহ!! আমারও রোজা নাই খালি ইফতার আছে।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
খুবই ভাল লাগলো
আসলেই মন ভাল করা লেখা
বাইরে মেঘ জমছে। বৃষ্টি নামবে।।
সেই রকম সুন্দর
ধন্যবাদ কর্ণজয়
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
দারুণ মন ভাল করা একটা লেখা। ইদানীং, এ বইটিসহ অনেকগুলো রুশ বইয়ের পুনর্মুদ্রণ করেছে দ্যু-প্রকাশন। এখানে টিপি দিয়ে দেখতে পারেন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ সাক্ষী সত্যানন্দ, আরো একটা ধন্যবাদ লিঙ্কটার জন্য। ভালো থাকবেন।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
'গল্প আর ছবি' বিরাট স্মৃতি হয়ে আছে আমাদের কাছে। কী একেকটা গল্প!
লেখাটা দেখে এটাই জানাতে এসেছিলাম যে দ্যু প্রকাশ আবার বের করেছে, এখন পাওয়া যায়- নরম বইয়ের চেয়ে ভাল সমাধান বিদ্যমান।
তার আগে মনে হচ্ছিল, একতু মন্তব্যগুলো দেখেই নেই একটু- কেউ দিয়েও থাকতে পারে- পেয়েই গেলাম একটু স্ক্রল কর্তেই!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
চমৎকার লাগল। ৫ তারা। ওয়েবসাইটটা থেকে বই পড়তে হবে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেক ধন্যবাদ এক লহমা। এইখানে লিঙ্ক
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
ধন্যবাদ সোহেল। পড়তে শুরু করে দিয়েছি। কতকাল বাদে যে এদের কতজনকে আবার দেখলাম!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
গ্রামে অবস্থিত নানা বাড়িতে কাটানো মধুর শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। বিদ্যুৎ সংযোগ বিহীন সেই জনপদে জোনাকি জ্বলা সন্ধ্যায় আকাশ জুড়ে থাকা লক্ষ তারার নিচে জুবুথুবু হয়ে বসে কতশত গল্প শুনেছি। কত হৈ হুল্লোড়ে মিইয়ে গেছে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
অন্ধকার কেমন যেন চুম্বকের মতন কাছে টেনে আনতো একে অপরের শরীরকে। নিকষ কালো সেই পটভূমিতে একটু বেশি আপন মনে হত সবাইকে।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
ঠিক তাই।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
আহা রাদুগা
দুর্দান্ত পোস্ট
অজ্ঞাতবাস
হ্যাঁ, রাদুগা আর প্রগতি প্রকাশন। লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
রাদুগার স্মৃতি নিয়ে লিখবেন নাকি? আপনার তো সরাসরি অভিজ্ঞতা।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ছবিটা দেখে লেখাটা না পড়ে পারলাম না, কি ভীষণ ভাল লাগল!
আহা সেই লাল বইটা!
আমারও গল্পের শেষ ছবিটার আগের ছবিটা বেশি ভাল লাগত, অনেকদিন পর মনে করিয়ে দিলেন।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
জেনে ভালো লাগলো ।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন