সচলায়তনের কয়েকজন সদস্য অতীতে তাঁদের রচিত গ্রন্থের ইলেকট্রনিক সংস্করণ সচলায়তনে হোস্ট করতে চেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে সচলায়তনে স্পষ্ট কোন রূপরেখা গৃহীত হয়নি, ফলে একাধিক সচলকে হতাশ করতে হয়েছে। সম্প্রতি আমরা এ ব্যাপারটিকে পুনর্বিবেচনা করছি, এবং নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। সচলায়তন তার নিজস্ব সংকলিত/সম্পাদিত ই-বুকগুলির পাশাপাশি পুস্তকাকারে প্রকাশিত গ্রন্থের ইলেকট্রনিক সংস্করণও হোস্ট করার সময় এ সিদ্ধান্তগুলিকে নীতিমালা হিসেবে অনুসরণ করবে।
- বইটির লেখক বা লেখকগণকে সচলায়তনের পূর্ণ সদস্য হতে হবে।
- বইটির ইলেকট্রনিক সংস্করণের কপিরাইট লেখক বা লেখকগণ ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক সংরক্ষিত হওয়া যাবে না।
- হোস্টিঙের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবার পর সচলায়তনকে বইটির ইলেকট্রনিক সংস্করণ প্রকাশ ও হোস্টিঙের অনুমোদন দিয়ে লেখক বা লেখকগণকে একটি বিবৃতিমূলক পোস্ট সচলায়তনে দিতে হবে।
- বইটির ইলেকট্রনিক সংস্করণ সচলায়তন ভিন্ন অন্য কোথাও হোস্টেড হতে পারবে না।
- বইটির ইলেকট্রনিক সংস্করণ হোস্ট করার জন্যে সচলায়তন এবং লেখক বা লেখকগণ পরস্পরের কাছ থেকে কোন অর্থ গ্রহণ করবেন না।
- বইটিতে প্রকাশিত বক্তব্যের দায় একান্ত লেখক বা লেখকগণের, সচলায়তনকে এর জন্যে দায়ী করা চলবে না।
- পুনর্প্রকাশের জন্যে বই নির্বাচনের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব সচলায়তন কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করবেন।
এই নীতিমালা ভবিষ্যতে ঈষৎ পরিবর্ধিত/পরিমার্জিত/পরিবর্তিত হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য
সন্দেশ,
এখানে ইলেক্ট্রনিক সংস্করণ বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে? সচলায়তনে ব-e বলে একটি বিভাগ আছে যেখানে পোস্টের মতো করেই বিভিন্ন চ্যাপ্টার রাখা হয়। আরেকটি হচ্ছে, ই-বুক, যার বেশিরভাগ পিডিএফ সংস্করণ।
পিডিএফ ই-বুকের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা থাকে-
এ ব্যাপারটি বইয়ের লেখক কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন সেটি খুব কঠিন। আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতায় দেখেছি আমার একটি ই-উপন্যাস বিভিন্ন সাইটে সীল-ছাপ্পর মেরে, ভূমিকা পৃষ্ঠা ছেঁটে হোস্ট করা হয়েছে। এমনকি আমাদের 'দিয়াশলাই' ই-বুকটিও নানান সাইটে দেখা যায়। এসব কি আসলেই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব?
আমার মাথায়ও ঠিক এই প্রশ্নটাই এসেছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
উদ্যোগটা খুবই ভালো এবং দরকারি
তবে এক্ষেত্রে দুটো কেটাগরি করা যেতে পারে
এক. সচলায়তন প্রকাশিত বই। দুই. সদস্যদের বই
সচলায়তন প্রকাশিত বইয়ের নিয়ম এখন যেমন আছে তেমনি থাকতে পারে
সদস্যদের বইয়ের ক্ষেত্রে বইগুলো প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশিত হবার আগে কিংবা পরে; দুটো অপশনই থাকতে পারে
কেউ আগে ই ভার্সন করে পরে ছাপতে পারেন আবার কেউ আগে ছেপে পরে ই ভার্সন করতে পারেন
(এটা মৌলিক বই এবং সম্পাদনা/সংকলন দুক্ষেত্রেই প্রযোজ্য)
০২
প্রক্রিয়াটাকে একটু সহজ করা যেতে পারে এইভাবে
ক. সচলায়তনে সদস্যদের জন্য নিজের বইয়ের ইবুক তৈরির জন্য একটা ফিচার যোগ করা যেতে পারে প্রস্তাবনা এবং ডিক্লারেশন পেজ সহ
খ. এই প্রক্রিয়ায় লেখক ধীরে ধীরে তার বইটা তৈরি করেবন (চ্যাপ্টার ওয়াইজ আপলোড- প্রচ্ছদ- ভূমিকা- ইনফরমেশন- পিডিএফ- প্রুফ) কিন্তু চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হ্ওয়ার আগে পর্যন্ত লেখক এবং মডারেটর ছাড়া কেউ বইটি দেখতে পারবেন না)
গ. বইটি চূড়ান্ত হয়ে গেলে লেখক বইটি প্রকাশের জন্য (দরকারি ডিক্লারেশনসহ) মডারেটরদের জানাবেন (এটার একটা বাই ডিফল্ট অপশন থাকতে পারে)
ঘ. মডারেটররা বইটির টেকনিক্যাল দিক এবং কনটেন্ট দেখে বইটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেবেন (এক্ষেত্রে তারা অন্য সচলদের সাহায্য্ও নিতে পারেন; প্রয়োজন মনে করলে)
ঙ. বইটা প্রকাশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকাশিত হবে
চ. বইটাতে লেখকের সম্পাদনা/সংশোধন/সংযোজনের সুযোগ থাকবে। তবে এক্ষেত্রে মডারেশন প্যানেল পার হয়ে আসতে হবে সম্পাদনাগুলো
এভাবে করলে বই তৈরির জন্য মডারেটরদের উপর থেকে চাপ অনেক কমে যাবে
০৩
পিডিএফে ইবুক করায় আমার কিছু অস্বস্তি আছে। বিশেষ করে বইয়ের একচুয়েল সাইজকে যখন পিডিএফ করা হয়। তখন স্ক্রিনে পড়তে গেলে জুম করতে হয় আর পাতাগুলো চলে যায় পিসির স্ক্রিনের বাইরে। বিশেষ করে দুই কলামের পাতাওয়ালা পিডিএফ (বুক সাইজ)। বারবার ডানে বামে উপরে নিচে স্ক্রল করতে হয় পড়ার সময়
প্রচণ্ড বিরক্তিকর বিষয়টা
স্ক্রিনে পড়ার জন্য সচলের পোস্ট আকারের পাতাগুলো সবচে উপযোগী
আবার পিন্ট নেয়ার জন্য পিডিএফ ভালো
এক্ষেত্রে দুটো অপশনই থাকতে পারে
কেউ স্ক্রিনে পড়তে চাইলে পোস্ট আকারের টানা লেখা পড়বেন (চ্যাপ্টারওয়াইজ) আর প্রিন্ট নিতে চাইলে পিডিএফ
০৪
ইবুকের সংস্করণ অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে কি না এটা নিয়ে আরেকটু ভাবা দরকার (নীতিমালার ৪ নম্বর পয়েন্ট)
এই নিয়ম বইটির প্রকাশ অধিকার খর্ব করছে কি না তাও বিবেচনার বিষয়
তবে একান্ত না হলে অবশ্যই প্রকাশনাটার লিংক অন্য কোথাও প্রকাশ করার কিংবা ইমেইল করার সুযোগ থাকা উচিত (অবশ্যই ক্রেডিটলাইনসহ)
০৫
পুরো কাজটা কতটুকু কঠিন আমি জানি না তবে এই উদ্যোগটা আমাদেরকে বাংলা বইয়ের একটা বিশাল ওয়ানস্টপ আর্কাইভ দিতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি
এই আর্কাইভটা মেনটেন করার জন্য আমি মনে করি সচলায়তন লেখক/প্রকাশকদের কাছ থেকে কিছু টাকাও নিতে পারে
আর ভবিষ্যতে ইপ্রকাশক হিসেবে বিক্রিও মিডিয়েট করতে পারে
যতদূর জানি, ডেভুরা বোধহয় খুব শিগগীরই বড় মাপের কোন নতুন ফিচার যোগ করছে না। সচলের একটা বড়সড় আপগ্রেড করা প্রয়োজন, সেটার আগে নতুন কিছুই যোগ হচ্ছে না। ই-বুকের জন্যে যে ফিচারটার কথা বলছেন, সেটা খুবই জটিল হবে।
সহজ প্রক্রিয়া হচ্ছে, লেখক নিজে কী চেহারায় বইটা দেখতে চান, সেভাবে নিজেই পিডিএফ করে বা ওয়ার্ড ফাইলে গুছিয়ে হস্তান্তর করলে। প্রয়োজন মনে করলে তিনি সম্পাদনার জন্যে অন্য কাউকে অনুরোধ করতে পারেন। মডারেটররা মনে হয় বইয়ের ভেতরে হাত দেবে না, যেভাবে তারা কোন পোস্টেও হাত দেয় না।
আর বইয়ের ইলেকট্রনিক সংস্করণ প্রকাশনার অধিকার মনে হয় সচলায়তন এককভাবে চাইছে। লিঙ্ক তো অতি অবশ্যই শেয়ার করা যাবে, লিঙ্ক নিয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা কখনোই ছিলো না। বইয়ের লিঙ্ক লেখকরা পোস্টের লিঙ্কের মতোই যেখানে খুশি জুড়ে দেবেন, কোন সমস্যা নেই।
আর্কাইভ ব্যাপারটা অনেক খরুচে হবে। ভবিষ্যতে হয়তো আর্কাইভ নিয়ে কোন পরিকল্পনা আমাদের সবাইকে মিলে করতে হতে পারে। ফ্যাসিস্ট মডুদের পক্ষে এখন একটা আর্কাইভ সামলানো মনে হয় না সম্ভব। উহারা গির্জামূষিকের ন্যায় দীনহীন ও দ্বীনহীন ।
এইখানে একটা কথা হল এখন যে সিস্টেম আছে তাতে লীলেন ভাইয়ের অবজেক্টিভ ৯০% কাজ হয়ে যাবার কথা। কিভাবে লীলেন ভাইয়ের মতো করে পোস্ট করতে হয় সেটা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়া যায়। দেখি সিস্টেম আপডেটের কাজটা আবার শুরু করতে হবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ই-বুকের নীতিমালা ঠিকই আছে। তবে সচলে প্রকাশিত ই-বুকের লিঙ্ক ফেসবুক বা অন্যব্লগে দেয়ার বিষয়ে নীতিমালাটি কী খানিকটা শিথিল করা যায়? এটি করা গেলে সচলায়তন তথা ই-বুকের পাঠকপ্রিয়তা বাড়বে।
জয় হোক!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বিপ্লব ভাই, নীতিমালা অনুযায়ি অন্য কোথাও হোস্ট করা যাবেনা। সচলায়তনে হোস্ট করে তার লিংক ফেসবুক বা অন্য কোথাও পোস্ট করতে অসুবিধা নাই মনে হয়।
আমার মনে হয় প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই ঠিকই বলেছেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন