সম্প্রতি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা নিয়মিতভাবে সচলায়তন থেকে সচলদের লেখা তাদের অনুমতি ছাড়া নিয়ে প্রকাশ করছে। পত্রিকায় প্রকাশিত লেখায় তাদের পরিচয় ত্রুটিপূর্ণভাবে প্রকাশিত হচ্ছে, লেখাগুলো অপ্রাসঙ্গিক বিভাগে ছাপা হচ্ছে।
পত্রিকাটির নাম বিচিন্তা, এর সম্পাদকের নাম মিনার মাহমুদ।
বিচিন্তা তৃতীয় বারের মত প্রকাশের শুরু থেকেই সচলায়তনের লেখা দিয়ে পত্রিকা ভরে লেখা ছাপিয়েছে। এটি আমাদের গোচরে প্রথমে আসে প্রায় মাসখানেক আগে। সচলায়তনের পক্ষ থেকে একজন মডারেটর এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বিচিন্তা থেকে জানানো হয় তারা লেখা অনুমতি নিয়ে প্রকাশে আগ্রহী, কিন্তু অনুমতির ফ্রেইমওয়ার্ক কি হবে সেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। বিচিন্তা থেকে লেখায় মন্তব্যের মাধ্যমে অনুমতি চাওয়া শুরু হলে দেখা যায় এতো বেশী লেখায় মন্তব্যটি করা হয়েছে যে সেটা একপ্রকার বিজ্ঞাপনে পরিণত হয়। উপরন্তু এই চর্চাটি সীমিত সংখ্যক লেখার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হলেও পুরো পত্রিকা চালানোর ম্যাটেরিয়াল সংগ্রহটা কতটা গ্রহণযোগ্য, তা প্রশ্নের সম্মুখীন। তাই মন্তব্যের মাধ্যমে লেখা চাইবার পদ্ধতি নিরুৎসাহিত করা হয়।
কিন্তু মিনার মাহমুদ এতে দমে যাননি। প্রতি সংখ্যায় অধিকাংশ লেখাই সচলায়তন থেকে সংগৃহীত। কিন্তু কোথাও সচলায়তনের নাম নেই। কোথাও কোথাও লেখকের নাম ভুল করা হয়েছে। এ পর্যন্ত হিমু, এস এম মাহবুব মুর্শেদ, সুহান রিজওয়ান, কৌস্তভ, শুভাশীষ দাশ, হাসান মুর্শেদ, সচল জাহিদ, তানভীর, অচ্ছুৎ বলাই, মুখফোড় এবং মিথুন কায়সারের লেখা শনাক্ত করা হয়েছে।
ন্যূনতম ভদ্রতাবোধ ও সম্পাদকীয় রীতিজ্ঞান থাকলে কেউ একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা পর্ষদে বসে এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। এটি শুধু অশিষ্ট আচরণই নয়, সুস্পষ্টভাবে লেখকদের অধিকার লঙ্ঘন।
একজন লেখকের অজান্তে তার লেখা কোনো পত্রিকায় ছাপা হয়ে যাবে, এমনটি চলতে পারে না।
সচলায়তন এই চৌর্যবৃত্তির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট লেখকেরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিচিন্তার ওয়েসাইটে গত দুই সংখ্যা আপলোড করা হয়েছে। সেখান থেকে নিচের লেখাগুলো শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও যাদের লেখা তাদের অনুমতি ব্যতীত বিচিন্তায় ছাপা হয়েছে, তারা অনুগ্রহ করে সচলায়তনে লেখাটির লিঙ্ক এবং বিচিন্তায় লেখাটির লিঙ্ক মন্তব্যের পাতায় যোগ করে যান।
গতসংখ্যা
পৃষ্ঠা ৬ - শুভাশীষ ও মুর্শেদ |
পৃষ্ঠা ১১-১২ মুর্শেদ |
পৃষ্ঠা ১৬-১৭ অছ্যুৎ বলাই |
পৃষ্ঠা ১৮-১৯ তানভীর |
পৃষ্ঠা ২২-২৩ সচল জাহিদ |
বর্তমানসংখ্যা
পৃষ্ঠা ১৩-১৪ শুভাশীষ |
পৃষ্ঠা ২৩ হাসান মোরশেদ |
পৃষ্ঠা ২৪-২৫ মিথুন কায়সার |
আপডেট
বিচিন্তার ১৯শে ডিসেম্বর, ২০১০ সংখ্যার সম্পাদকীয়তে সচলায়তন থেকে বিনা অনুমতিতে, বিনা পারিশ্রমিকে কপিরাইটের তোয়াক্কা না করে লেখা তুলে নিয়ে প্রকাশের ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে। উপরন্তু এই পোস্টটি, বেশ কিছু মন্তব্য সহ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা এবং সম্মানী প্রদানের বিষয়টিকে স্বাগতম জানালেও প্রকারান্তরে সচলায়তনের সদস্যদের 'মাস্তান' এবং সচলায়তনকে 'আন্তঃজেলা মাস্তান সিন্ডিকেট' বলাটা আমরা সমীচীন মনে করছি না। ভুলটা শুরু থেকেই বিচিন্তার ছিল এবং কোন রকম খোঁচা সচলায়তনের প্রাপ্য নয় বলে আমরা মনে করি।
এই ঘটনা থেকে একটি শিক্ষা আমরা লাভ করেছি। ব্লগের শক্তি কম না হলেও, সব ব্লগ সমন্বয়ে একটি আইনী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারলে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে। সচলায়তন থেকে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যে একটি উদ্যোগ অচিরেই নেয়া হবে।
মন্তব্য
মিনার মাহমুদ আসলে চোরের চেয়েও বড় অপরাধী!চৌর্যবৃত্তির চর্চা করে উনি কিভাবে একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে অবাক হচ্ছি...এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি তিব্রভাবে।কারণ আমার লেখা যদি কেউ এভাবে চুরি করতো আমি অবশ্যয় আইনগত ব্যবস্থা নিতাম...কারন আমার সৃষ্টি লেখা আমার সন্তানের মতো...আর সন্তানকে চুরি করলে তার পরিনতি...... অনুমান করুন(!) >
শুভাশীষ দা'র প্রফেসর ইউনূস, গ্রামীণ ও সাম্প্রতিক তথ্যচিত্র লেখাটি ছাপা হয়েছে বিচিন্তায়। আর কোন লেখা ছাপা হয়েছে কিনা জানিনা। অনুমতি না নিয়ে থাকলে এটা সুস্পষ্ট চুরি।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বেশি কথা বলতে ভালো লাগছে না। শুধু বলি, জনাব মিনার মাহমুদ, অন্যের অনুমতি ছাড়া লেখা ছাপার সংস্কৃতি থেকে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে, দয়াকরে সেই কাজে অংশ নিন।
আপনি এবং আপনার চোরদলের বাকিরা দয়াকরে ক্ষান্ত দিন।
মিনার মাহমুদকে ভালো দেখে এক শিশি সরিষার তেল আর একটা স্টেইনলেস স্টিলের সিঁদকাটি কিনে উপহার দেয়া হোক। ঐ ক্যারিয়ারে উনি ভালো করবেন।
হিমু ভাই, আপনার লেখার মতো আপনার বুদ্ধিরও জবাব নেই! কিন্তু মামা বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?
---থাবা বাবা!
এতো যা ভেবেছিলাম তার চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা। রীতিমত সচলের ভালো লেখাগুলো নিয়ে তিনি পত্রিকা সাজিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন, তাও আবার চুরি করে। দেশে কপিরাইট সংক্রান্ত কোন আইন কি নেই? আইনে কি বলে কেউ কি এখানে দিতে পারবেন? আমার মতে একে আইনের হাতে সোপর্দ করে একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক যেন এই চুরির অভ্যেস এখানেই শেষ হয়। মুক্তমনার একটি লেখাও কালের কন্ঠে ছাপানো হয়েছিল। তবে সেই লোক ভুল স্বীকার করেছেন। কিন্তু এই লোক তো চুরিকে রীতিমত শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।
ছাগোলটা আমার লেখা শুধু চুরিই করে নাই, এডিট করে সুশীল ভাষা দিতে গিয়ে লেখাটাকেও ইন্নালিল্লাহ করে ফেলেছে। সুতরাং, মামলা একবার চুরির, আরেকবার লেখা খুনের। ফাউলগুলা জানে না, ওপেন সোর্স জিনিসও ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের জন্য না। আর অনলাইনে লেখা মানে তাদের মামাবাড়ির সম্পত্তি, যেভাবে ইচ্ছা কাটিংপেস্টিং মারবে আবার তার ওপর এডিটরগিরিও করবে। পুরা ফাউল!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এতো একেবারে চুরির মিনার দাড় করিয়ে ফেলেছেন মাহমুদ সাহেব!
যাক এতোদিনে ধুগোর উপযুক্ত একজন ভায়রা পাওয়া গেলো।
বাধাই হো, মুবারক হো মিনার মাহমুদ। অরে কে কুতায় আচিশ, আমার নয়া ভায়রা ভাইকে পান্তামুক দে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার লেখা দুটির লিংক:
http://www.sachalayatan.com/mahbub/35118
http://www.sachalayatan.com/mahbub/35024
এছাড়াও আরো কিছু লেখা এর আগেও বিনা অনুমতিতে প্রকাশিত হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু কোন কপি হাতে আসেনি। এহেন দুষ্কর্মের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি আইনী সাহায্যের আশ্রয় নিবো শিঘ্রী।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই পাব্লিক তো পুরান পাপীদলের আদি সদস্যদের একজন... নাইখা-মিমা-তনা
উঁহু...হলো না! একটা বাদ গেছে। এটা হবে নাইখা-মিমা-মোহবা-তনা। সমস্যা হলো বাকিগুলান 'এ্যাংরি ইয়াং' তুবড়ি-মার্কা ইমেজের খোলস ছেড়ে বহু আগেই আখের গুছায়ে বেশ জমিয়ে বসেছেন মধ্য বয়সে ইতিমধ্যে। এইডাই শুধু সন্দেহ হচ্ছে এখনো কিছু পারে নাই - তাই এখনো গায়ে তেল মেখে পথে পথে সিঁদ-কাঠি নিয়ে ঘুরতেসে ।
'মোহবা' আর ''তনা টা যদি একটু বিস্তারিত বলতেন তাইলে চিনতে পারতাম...
-
বঙ্গসন্তান
আয় হায়! এই চোরকে তো জেলের ভাত খাওয়ানো উচিত।
এখানে ছাপা হয়েছে এইটা আর এখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুখফোড়
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আশা করব অন্য লেখাগুলোর মত এই লেখাটাও মিনার মাহমুদ বিচিন্তায় ছাপিয়ে দেবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্যে লাইকাইলাম।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমার সাজেশন মিনার মাহমুদ সাহেব গ্রহন করেছেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কপিরাইট আইন দেশে আছে... তবে ঠিক কতোটা প্রয়োগ হয় সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা যায় না। আর ইন্টারনেট বগিং আবার কি??? ওদের আবার কোন বেইল আছে নাকি??? নেট থেকে মারতে আবার অনুমতি!!! খেক!
এই হল আমাদের প্রিন্ট মিডিয়ার চিন্তা ভাবনা! আজকে বিচিন্তার বিচি ধরা পরছে, দুই দিন পরে দেখেন পেত্থম আলুও ধরা খাবে! খালি চোখ কান খোলা রাখেন!
--- থাবা বাবা!
ভয়াবহ ব্যাপার। আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে কোনরকম অনুমতি ছাড়া। এতে লেখকের অধিকার সম্পূর্ণ ভাবে অবহেলা করা হয়েছে। সচলায়তনের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এর প্রতিরোধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি নির্ধারন করা প্রয়োজন।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচলের সব লেখা পাবলিশ করার আগে সেগুলো ইমেজ করে সচলের ট্যাগ লাগিয়ে নিলে কিছুটা কাজ হতে পারে!
--- থাবা বাবা!
পুরোনো দুটি সংখ্যা:
http://bichinta.com/21_nov/current.html
http://bichinta.com/28_nov/current.html
ফাঁকতালে ভালোই হিট পাচ্ছে বিচিন্তা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই মিনার মাহমুদ নামক মূর্খ তস্করটিকে কানে ধরাইয়া বাংলা মোটর চৌরাস্তায় উঠবস করানো উচিত। হতভাগা আমার লেখাটি শুধু চুরিই করে নাই, লেখকের নাম দিয়াছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
মিনার গর্দভ, শুনিয়া রাখ, তুমি যদি আবার আমার কোনো লেখা কদাপি তোমার তৃতীয়বার প্রকাশিত তৃতীয় শ্রেণীর গর্ভস্রাব পত্রিকায় প্রকাশ কর, হয় থাবড়াইয়া তোমার গণ্ডপ্রদেশ লাল করিব, অথবা তোমার নামে মামলা করিয়া ক্ষতিপূরণ আদায় করিব।
ফেসবুকে মিনার মাহমুদের তস্করবৃত্তির খবর দলে দলে শেয়ার করুন। হতচ্ছাড়াটির পরিচয় কী? তাহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিতে চাই।
আর আমার লেখাটির জন্য ৫০ ইউএস ডলার পরিশোধ করিতে হইবে, মনে রাখিও। এই অর্থ আমি তোমার গলায় গামছা দিয়া আদায় করিব, প্রস্রাবের ফেনা কোথাকার!
দুগ্ধপানের জন্য গাভীক্রয়, মোটেও ভাল কাজ নয়
দুগ্ধপানের জন্য গাভীক্রয়, মোটেও ভাল কাজ নয়
ধণ্য আশা কুহকিণী ! কান থাকিলে তো 'কানে ধরাইয়া' উঠবস করাইবেন !! ঐ বস্তুটি সে বহু আগেই টিকটিকির লেজের মত পরিত্যাগ করিয়া ভারমুক্ত হইয়াছে। সুতরাং, আপনার এই মহৎ আশা কস্মিনকালেও পূরণ হইবার নহে।
মিনার ছাগলের চাইতে বড় গাধা। রিটন ভাই ভালো বলতে পারবেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
বিচিন্তা এবং মিনার মাহমুদ কে নিয়ে আপনাদের এইসব অশ্লীল এবং কুরুচিকর লেখাগুলো পরেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে আপনারা বিচিন্তা বা মিনার মাহমুদ শব্দগুলো আগে কখনো শোনেন নি। লুতফর রহমান রিটনের মত মাপের মানুষ অতি অবশ্যই বিচিন্তা এবং মিনার মাহমুদকে জানবেন। আশা করি জনাব লুতফর রহমান রিটনই এখানে বলবেন বিচিন্তা বা মিনার মাহমুদের জন্যে এতো নিচু স্তরের ভাষা খাটে কিনা।
এ যে দেখি চোরের বাপের বড় গলা!!!!!!!!!!!!!!!!
চোর ধরে আগে ঘাড়ে গর্দানে দু-চার ঘা দিতে হয়। তারপর কথাবার্তা। নিচু স্তরের ভাষাকে সেই তুলনায় রাজভোগ বলা যেতে পারে।
চোরের উকিল হিসাবে আপনাকে দু-চার ঘা লাগিয়ে উদ্বোধন করা উচিত বলে মনে হচ্ছে।
কাকস্য পরিবেদনা
ঠিকই ধরেছেন, বিচিন্তা বা মিনার মাহমুদ কী বস্তু জানা নেই। এবার আপনি একটু আলোকপাত করুন দেখি! কী কী মহান কার্য করে ঐ মহৎ ব্যক্তি এমন স্বর্গে পার্মানেন্ট জায়গা বানিয়েছে যাতে সে চুরি-ছ্যাঁচড়ামো করলেও তাকে গালি দেয়া যাবে না?
নাকি সে আপনার মাসতুতো ভাই হয়?
চিনবো না কেন, খুব ভালো করে চিনি
মিনার মাহমুদ আগেও লেখা চোর ছিলো, এখনো একই কাজ করে যাচ্ছে... এখানে দেখুন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কত অজানা রে। পত্রিকাটা একসময় ভালই লাগতো, মাঝে মাঝে পড়াও হতো। কিন্তু সেসব এখন ইতিহাস। লেখা চুরি বিষয়ে এনার বক্তব্য জানতে মন চাইছে।
ইটিং অ্যানিমেলস্ নামের টুকুন গল্প ছাপানো হয়েছে চিঠিপত্র বিভাগে। আমার নামের নিচে লেখা ঢাকা।
ইউনূসের লেখাটা কিছু কিছু অংশ বাদ দিয়ে দিয়ে ছাপছে।
বিচিন্তা নতুন করে চালু হয়েছে অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে। আপাতত চারটা সংখ্যা পাওয়া গেছে।
নভেম্বর ২১
নভেম্বর ২৮
ডিসেম্বর ৫
ডিসেম্বর ১২
অক্টোবরের ১০, ১৭, ২৪, ৩১ আর নভেম্বরের ৭, ১৪ দর্কার। তাহলে কার কার লেখা টুকেছে পুরা বোঝা যাবে।
মিনার মাহমুদ আহসানুল হাকিমেরা সচলায়তনের পাতায় নিয়মিত চোখ রাখেন। আশা করি আপনাদের বক্তব্য দিয়ে যাবেন।
এ ধরনের চুরির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা কীভাবে নেওয়া হচ্ছে এবং হলে চোরের কী জাতীয় সাজা সম্ভাব্য এ নিয়ে কেউ লিখলে ভালো হয়। কপিরাইট বিষয়ে বাংলাদেশের আইন কী এবং এ জাতীয় মামলার কোনো প্রিসেডেন্স থাকলে তার কথাও জানতে আগ্রহী। শুধু নৈতিকতার যুক্তি দেখিয়ে এই অসভ্যতা থামানো যাবে না, কাজেই এদের চাই প্রহারেণ ধনঞ্জয় বন্দোবস্ত।
সহমত জানালাম।
বিচিন্তার পুরোনো এক সংখ্যার প্রচ্ছদ-প্রতিবেদন দেখেছিলাম, "জরুরি ছিনতাইকাজে নিয়োজিত"। এখন বোঝা যাচ্ছে, খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ ছিল।
হাহা। এখনকার ট্যাগলাইন 'সভ্যতার পথে'। এটাও বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ!
ন্যূনতম ভদ্রতাবোধ ও সম্পাদকীয় রীতিজ্ঞান থাকলে কেউ একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা পর্ষদে বসে এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। এটি শুধু অশিষ্ট আচরণই নয়, সুস্পষ্টভাবে লেখকদের অধিকার লঙ্ঘন।
শুধু সচলায়তনের লেখাই নয় মুক্তমনার লেখাও এভাবে তারা প্রকাশ করেছে। আমার ধারণা ভালভাবে খুজলে দেখা যাবে এই পত্রিকার সবগুলো লেখাই অন্তর্জাল হতে নেওয়া। এখানে আমি মুক্তমনার লীনা রহমানের ইভটিজিং নিয়ে একটি লেখার লিঙ্ক দিলাম যেটা বিচিন্তার এই সংখ্যায় রয়েছে। আমার ধারণা এই ক্ষেত্রেও মূল লেখকের অনুমতি নেয়নি তারা। আমি অবশ্য এর মধ্যেই লীনা রহমানের ব্লগে জানিয়েছি ব্যাপারটি।
পাগল মনের একটি লেখাঃ এটিকে সচলে প্রকাশ হয়েছিল কিনা জানি না। পাগল মন কনফার্ম করতে পারবে।
http://bichinta.com/28_nov/page_24_32.html
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/36274
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হায় হায়! আমার লেখাও ছাপছে? আমিতো জানতামই না। ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই, জানানোর জন্য।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আমার এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিলো বিনা অনুমতিতে। ছাপা হবার খবর জানতে পেরেছিলাম পরিচিত একজন মারফত।
লেখকের বিনা অনুমতিতে কোন লেখা প্রকাশ করা আইনত অপরাধ নিশ্চয়ই, সেই সাথে নৈতিক অপরাধও বোধকরি। আশা করি, সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্টেরা পত্রিকার বিশ্বাসযোগ্যতার স্বার্থেই নৈতিকতা বজায় রাখবেন।
_________________________________________
সেরিওজা
একাধিক লেখায় দেখলাম মন্তব্যটি করা হয়েছে লেখা প্রকাশ হয়ে যাবার পরে, যখন অনুমতি চাওয়ার কোনো মূল্যই থাকে না। লেখককে কেবল চটে না যাবার অনুরোধ করা হয়েছে মাত্র। এই যেমন-
বাহবা বাহবা! ব্যাপারটা এমন হয়ে গেলো না, "আমার কিছু টাকার প্রয়োজন পড়েছিলো, আপনাকে জিজ্ঞেস করার সাহস করতে না পেরে আপনার মানিব্যাগটা তুলে নিয়ে গেলাম, আশা করি মার্জনা করবেন এবং যোগাযোগ রাখবেন"!
এইসব রামছাগলদের কি কোন শেষ নেই নাকি? আইনী সাহায্য নিতে গিয়ে না আবার দেখতে হয় "ইন্টারনেট ব্লগ বস্তুটা আইনের বইয়ে সংজ্ঞায়িত নয়, কাজেই সেখানে কিছু থাকাটা ঠিক স্বত্ত্ব থাকা বলা যায় না"!!!
এদের ভাষাপ্রয়োগ দেখে হাসি চেপে রাখা দায়: "সুযোগ বের করতে পারা" শুনলে মনে হয় চুরির সুযোগ, অমাবস্যা রাত চাই নাকি? অনেক লেখকই অনুমতি চাইলে হয়তো দিয়ে দিতেন, কিন্তু সৌজন্য এদের স্বভাবে নেই। আর "লেখা ছাপা হয়ে গিয়েছে" মানেটাই বা কী! যেন অভ্যেসবশে চুরি করে ফেলেছি, এখন আর কী করা, আপনি কিছু মনে করবেন না যেন!
ওই, 'অভিমানাহত' না হয়ে 'ক্ষমাসুন্দর' হওয়ার ব্যাপার আর কি!
অসুরের সাথে 'রাগসুন্দর', ক্ষমা নয়...
কুটুমবাড়ি
সচলে পড়া লেখাগুলো পত্রিকার পাতায় দেখতে পেয়ে ভালোই লাগল, কিন্তু তার পেছনের কাহিনি শুনে একেবারেই ভালো লাগল না। এ যে রীতিমতো বুদ্ধিহত্যার খবর, তাও আবার বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসে!!
কুটুমবাড়ি
বিচিন্তার সার্ভার থেকে ছবিগুলো সরিয়ে ফেলার আগে, সচলের সার্ভারের ছবিগুলো হোস্ট করা প্রয়োজন। নইলে পরে পোস্টটি গুরুত্ব হারাবে
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কী কান্ড!
জরুরী ছিনতাইকার্যই তো দেখা যাচ্ছে!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এ তো রীতিমত দিনেদুপুরে জোচ্চোরি। এখন যেটা দরকার, চৌর্যবৃত্তির শিকার হওয়া সব লেখা একসাথে একত্র করা এবং সেগুলো আশু সংরক্ষণ করা। তাতে পরে আইনী ব্যবস্থা নিতে সুবিধেই হবে।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
সচলায়তনের লেখকদের পক্ষ থেকে আইনী ব্যবস্থা তো নেওয়াই উচিত, এবং যথাশীঘ্র। কারণ এই ব্যাপারে দেরী করলে অ্যাডভান্টেজ নষ্ট হয়। তবে কোন দেশের আইন এক্ষেত্রে ফলবতী হবে, সেটা একটু দেখে নেওয়া দরকার।
কিছুদিন আগে এরকমই একটি ঘটনার দরুণ ইন্টারনেটে ঝড় বয়ে গেছে। তাই সেটিকে প্রিসিডেণ্ট হিসেবে ব্যবহার করা যেতেই পারে। প্লেজিয়ারিসম লীডস টু ইন্টারনেট ব্যাকল্যাশ - এই টার্ম দিয়ে গুগল-এ সার্চ করলেই বেরিয়ে আসবে।
লেখকদের আরও একটি ব্যাপারে খোঁজ নিতে আহ্বান করি, সেটি হল ক্রিয়েটিভ কমন্স্। তাদের ওয়েবসাইটে ভাল তথ্য আছে।
দেশের বর্তমান আইনে এর শাস্তি কী??
___________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
ইয়া রাহমানুর রাহীম, মিনার ব্যাডায় করছে কী?!!
সচলরা কি ব্যাবস্থা নেয় দেখি, নাইলে...আমরাও একটা মাসিক চালাই...
এরকম পুকুরচুরি করে এরা পত্রিকা চালাচ্ছে কী করে? এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আর যেসব লেখা ওরা চুরি করে ছেপেছে, সেগুলো ওরা সার্ভার থেকে সরিয়ে ফেলার আগেই সচলায়তন এবং ভুক্তভোগী লেখকদের সংরক্ষন করা উচিত যাতে পরে ওরা সরিয়ে ফেললেও প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
আরিফ জেবতিক ভাইকে ধন্যবাদ এরকম একটি বিষয় আমাদের দৃষ্টিগোচর করার জন্য।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মি-মা বদনাম হুয়ি, বিচিন্তাল্লিং ত্যারে লিয়ে...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এরকম কেস অনেক পত্রিকা করে থাকে। মর্নিং সান, ডেইলী ষ্টার, ফিনানশিয়াল এক্সপ্রেসের মতো পত্রিকার সাথেও এটা নিয়ে দুয়েকবার ছোটখাট তর্ক হয়েছিল।
বিচিন্তা সম্পাদকের বেশী তাড়া থাকলে, পূর্ব অনুমতি নেয়ার সময়/সুযোগ না থাকলে, প্রাক-অনুমতি নেয়া হোক। এবং প্রাক-অনুমতিপত্রের খামের ভেতর যথাযথ সেলামীটা নগদে ভরে দেয়া হোক। নাথিং ইজ ফ্রী। নিবা দিবা!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখার পাশাপাশি ঢাকার যেসব সচলের লেখা প্রকাশিত হয়েছে, তাদের একবার সশরীরে গিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত (যদি তারা সে সময় করতে পারেন)।
আমার লেখা ছাপায় নাই ( ( (। মানে, আমি জাতের লেখক হৈতে পারি নাই।
যাগগে, একটা সাম্প্রতিক ঘটনা মনে পড়ে গেলো।
আমার একটা ছোট কাগজে ছাপা একটা অনুবাদ একটা বাম-ঘেঁষা মিডিয়া (যথারীতি) বিনানুমতিতে ছেপে দিয়েছে। জানতে পারি প্রাক্তন এক বামকর্মী থেকেই। পরে, সে সম্পাদককে জানালে তিনি আমায় ফোন করে আমার ভদ্রজনোচিত চাপে অবশেষে স্বীকার করেন যে, কাজটা ঠিক সাংবাদিকতার নৈতিকতানুসারী হয় নি। তিনি আমায় অবশ্য তাঁদের কাগজে নিয়মিত লেখার অনুরোধ জানান, যা সময় ও সুযোগাভাবে প্রত্যাখ্যান করতে হয়।
ইয়ে...আগের লেখার জন্যেও কোন সম্মানী পাই নি। পাবোও না আর।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ইন্টারনেটে প্রকাশিত লেখা বিনা অনুমতিতে ছাপার মাধ্যমে প্রকাশ করার সংস্কৃতি পুরাতন। প্রায় সব দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক এই চর্চার সাথে নিয়মিত জড়িত। আপনারা লক্ষ করলেই অনেক পত্রিকাতে (যে কোন সংখ্যায়) "ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত" বা "সূত্রঃ ইন্টারনেট" এমন খবর বা ফিচার দেখতে পাবেন। এই লেখাগুলো মূল লেখক বা সাইটের অনুমতি ছাড়াই প্রকাশিত হয়। এটি প্রিন্ট মিডিয়ার এক ধরনের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে। এই চর্চা বন্ধ করার জন্য লাঠ্যৌষধি প্রয়োগ ছাড়া উপায় নেই। লাঠিটা হবে আইনের। বিচিন্তা বা আর যারা এই কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেই এই অপচর্চা রোধ করা যাবে। অন্য কোন সুশীল উপায়ে এটা বন্ধ হবেনা।
১. বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলা পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই দেশগুলোতে সংশ্লিষ্ট দেশের কপিরাইট আইন অনুযায়ী আগেভাগেই (anticipatory) ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর জন্য কিছু মামলা করলে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা হুঁশিয়ার হবে।
৩. বাংলাদেশের আইনে কী করা যায় সেটা নিয়ে আমি কয়েকজন আইনজীবির সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যে কী করা যাবে সেটা নিয়ে ওখানে যারা আছেন একটু চেষ্টা করুন।
৪. যেহেতু প্রত্যেকটি লেখার কপিরাইট নিবন্ধন করা জটিল ব্যাপার তাই কোন সাইটে কোন লেখকের নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হতে থাকলে সেই লেখকের বিদ্যমান ও প্রকাশিতব্য সকল লেখার কপিরাইট কীভাবে রক্ষা করা যাবে সেটা সংক্রান্ত কোন আইন কোন দেশে আছে কিনা একটু খুঁজে বের করুন। তাহলে বাংলাদেশে সে আইন না থাকলে তা তৈরি করার জন্য সামাজিক উদ্যোগ গ্রহন করা সম্ভব হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
মিনার ঘরে সিঁদ কেটেছে
এখন উপায় কি?
চল ধোলাই দিয়ে দি!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এহেন নির্লজ্জ চৌর্যবৃত্তির তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সচলদের অনেক লেখাই পত্রিকা প্রকাশ করলে আরো অনেক পাঠক তা পড়তে পারবে - এটা ঠিক। কিন্তু যথাযথ অনুমতি ছাড়া তা করা অনুচিত।
____
রুদ্র
এরকম নির্লজ্জ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিনার মাহমুদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
--শাহেদ সেলিম
বিনা অনুমতিতে লেখাগুলো প্রকাশ করে মিনার মাহমুদ নিজের সীমাবদ্ধতা পরিস্কার করেছেন। মিনার মাহমুদের এমন কর্মের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
-ধিক্কার
অবাক কান্ড হচ্ছে মিনার মাহমুদ এই পোস্টের জবাবে কোনো উত্তর বা ইমেইল দেবার প্রয়োজন বোধ করলেন না! ভাবখানা এমন যেন, আমাদের লেখা প্রকাশ করে আমাদের উদ্ধার করেছেন। এখন আবার প্রতিবাদ কিসের?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমার মন্তব্যের জন্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী সাবের ভাই। সাপ্তাহিক ২০০০ সম্পর্কিত আমি যা বলেছি তা পুরোপুরি একধরনের ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। আমি দুঃখিত এবং আবারও ক্ষমাপ্রার্থী।
২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ তথা তৃতীয় বিশ্বে ‘সফটওয়্যার’ চুরি করা জায়েজ। আমরা সকলেই এই চুরি করি কোনরকম আত্মগ্লানি ছাড়াই। এটা তো আর আলাদা কিছু নয়। ইন্টারনেটে সকল লেখাগুলোও সফট-ওয়্যার।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
তাও তো ভাল, বিচিন্তা পত্রিকা সচলায়তনের লেখকের নাম বিকৃত করে নাই, সঠিক নামেই ছাপাইসে। আমি আরেকটা লেখার কাহিনি জানি যেখানে একজনের লেখা হবহু কপি করে আরেকজনের নামে চালানো হইসে। দেখেন -
দিগন্ত সরকারের 'ডারউইন থেকে ডবল হেলিক্স' লেখাটা পুরাটা চুরি করে নিজের নামে 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' পত্রিকায় ছাপায় দিসে রনক ইকরাম
যারা মিনার মাহমুদ, নাইমুল ইসলাম খান -- ইত্যাদিদের অতীত কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে চান তারা এই লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন। বলাই বাহুল্য চিত্রটা আংশিক ও খন্ডিত, সম্পূর্ণ নয়। তাছাড়া অতীতের কিছু ক্রিয়াকলাপ দিয়ে বর্তমান কর্মকান্ডকে কোনভাবেই জাস্টিফাই করা যায় না। তবে বর্তমানের সাথে মেলালে এই লেখায় যে চিত্রটা ফুটে উঠে তা এক হিসেবে শিক্ষনীয়ও হয়তো।
সাপ্তাহিক 'বিচিন্তা' কর্তৃপক্ষ দেখলাম অবশেষে তাদের কুম্ভীলকবৃত্তির জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন 'বিচিন্তার' ১৯শে ডিসেম্বর, ২০১০ - সঙ্খ্যার সম্পাদকীয়তে।
সচলায়তনের সন্দেশের এই জনসচেতনতামূলক পোস্টটিও এর অনেকগুলি মন্তব্যসহ ভেতরে আলাদাভাবে ছেপে দিয়েছেন।
অনেক বিলম্বে হলেও, এই ব্যতিক্রমী বিস্তারিত ও দৃশ্যমান ক্ষমাপ্রার্থনার সৎসাহসের জন্য নিঃসন্দেহে বিচিন্তা কর্তৃপক্ষের প্রশংসা প্রাপ্য হতো - যদি ব্যাপক নির্ভেজাল চৌর্যবৃত্তির প্রমানিত অভিযোগের জবাবে তাদের ক্ষমাপ্রার্থনাটাও নিঃশর্ত ও চোরাকাঁটা-বিহীণ হতো। সবচেয়ে বড় কথা, তাদের তথাকথিত ক্ষমাপ্রার্থনা থেকে একথা যদি স্পষ্ট হতো যে তারা তাদের ভুল, অন্যায় ও অপরাধকে নিঃসংশয়ে ও দ্ব্যর্থহীণ ভাবে উপলব্ধি ও স্বীকার করছেন। কিন্তু ঐ সম্পাদকীয়টা পড়ে আমার কাছে সেরকম মনে হচ্ছে না। সুতরাং তাদের প্রতিও আমার পক্ষ থেকে শর্তযুক্ত, সসংশয় এবং দ্ব্যর্থবোধক প্রশংসা রইলো।
এখানে ঐ সম্পাদকীয়র কয়েকটা লাইন আমার মন্তব্যসহ উল্লেখ না করে পারছি না --
১। নিজেদের চৌর্যবৃত্তির বর্ণনা দেয়ার পর সম্পাদক এক জায়গায় লিখছেন - "সচলায়তনের তরুণ বন্ধুরা কোন এক অজ্ঞাত কারনে বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন বিচিন্তার উপরে।"
=> অপূর্ব! একেই বলে সাত কান্ড রামায়ন পড়ে সীতা কার বাপ !
২। "পাঠকদের জন্যে সচলায়তনের পুরো আক্রমন বিভাগটি আমরা শেষবারের মতো সচলায়তন থেকে মুদ্রণ করছি, অবশ্যই শেষবারের মতো।"
=> এর মানে কি? সচলায়তন থেকে এটাই বিচিন্তার সর্বশেষ চৌর্যবৃত্তি? নাকি চৌর্যবৃত্তি এর পরেও চলবে, কিন্তু কোন প্রতিবাদ আর ছাপা হবে না ?
৩। "অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিচিন্তা জড়িয়ে গেছে আন্তঃজেলা কোন মাস্তান সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরাসরি বিরোধে।"
=> উরিব্বাবা ! আমার কিন্তু "অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে" -- চোরের মা'র বড় গলা !
৪। "ওয়েব থেকে লেখা পুণঃপ্রকাশ করে বিচিন্তা কোন ভুমি-দস্যুতা কিংবা অপরের সম্পদ দখল করেনি..."
=> এতো দেখি বহ্বারম্ভে বহ্বাড়ম্বরের অশ্বডিম্ব প্রসব !! 'অপরের সম্পদ' দখল করেছেন কি করেননি - এই একেবারে ফান্ডামেন্টাল ইস্যু ও সব কথার সার কথাটাই - যদি মিনার মাহমুদের গণ্ডারচর্মতুল্য বোধশক্তির পরিসীমার ভেতরে আসতে না পারে, তাহলে আর ওনার এত কথার ফুলঝুরি বা ধানাই-পানাইয়ের কি মানে ? নাকি 'অশ্বত্থামা হত'-র মত জোর গলায় মাফ চেয়ে, পরে 'ইতি গজ'-এর মত আস্তে করে 'আসলে মাফ চাওয়ার কিছুই নাই' বলার এ এক চতুর কৌশল ?
৫। "উল্লেখ্য, বিচিন্তায় এযাবৎকাল প্রকাশিত.... যেকোন লেখা পুনর্মুদ্রণ করা যাবে।"
=> "বিচিন্তায় এযাবৎকাল প্রকাশিত" লেখার বেশির ভাগই চুরির মাল। এগুলি অন্যকে পুনর্মুদ্রণের অনুমতি দেয়ার উনারা কে ?
৬। "এমন মেধা-চোর পত্রিকার কোন প্রয়োজন নেই বাংলাদেশে।"
=> এতক্ষনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে--
বুঝিনু কেমনে মেধা-চোরের স্থান নাই বাংলাদেশে।
ইস্কাপনকে ইস্কাপন বলে চেনা, মানা, বলা ও সেইমত আচরণ করার মতই চৌর্যবৃত্তিকে চৌর্যবৃত্তি বলে সর্বক্ষেত্রেই একান্ত বিশ্বাসে এবং প্রকাশ্য বাচনে ও আচরণে নিঃসংশয়ে, নির্দ্বিধায়, নিঃশর্ত ও দ্ব্যর্থহীণ ভাবে উপলব্ধি করা, স্বীকার করা ও সেইমত সংশোধিত আচরণ করার উপরই নির্ভর করবে কোন পত্রিকার কোন প্রয়োজন বাংলাদেশে আছে কি নেই। তবে সবার আগে অতি-অবশ্যই মিনার মাহমুদ সাহেবের "অপরের সম্পদ" কাহাকে বলে ইহা চিনিতে হইবেক, নচেৎ সকলই গরল ভেল !
বিষয়টি তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বিচিন্তায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত লেখার সম্মানী পাবার এবং বিনা অনুমতীতে লেখা প্রকাশিত না হবার আশ্বাস পেয়ে খুশী হলাম। এই খুশী কতদিন বহাল থাকে সেটাই ভাবছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
জিরাফ ও ব্রন্টোসরাসের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে এই সম্পাদকীয়তে।
এই পোস্টে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে, সচলায়তনের পক্ষ থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এই অননুমোদিত লেখাপ্রকাশের চর্চায় ক্ষান্ত দেয়ার জন্যে। তারা সেই মৌখিক অনুরোধের কোনো মূল্যই দিলেন না। এরপর যখন মামলা আর "হামলা"র কথা এলো, তখন তাদের ব্রন্টোসরাসের মতো পুরু চামড়ার নিচে যেই ক্ষীণ বোধশক্তি ধুকপুক করছে, সেইখানে মর্মে পশিল বাণী, যে চুরিচামারি বন্ধ করতে হবে। আমার প্রশ্ন, কেন? এই ব্রন্টোজিরাফ সম্পাদক মহোদয় কেন মৌখিক অনুরোধকে কোনো মূল্যই দিলেন না? কেন চুরিচামারি চালিয়ে গেলেন? মামলা আর "হামলা"র কথা না উঠলে তো তিনি চুরি করেই যেতেন। চোরকে ধর্মের কাহিনী শুনিয়ে যখন ফল হয় না, তখনই তো মামলা আর "হামলা"র ভয় দেখাতে হয়। লাত্থির ঢেঁকি মন্ত্রে নড়ে না।
লেখাচোর মিনার মাহমুদের প্রতি আরেকবার ধিক্কার জানাই। সেইসাথে সচলের প্রত্যেকের লেখার জন্যে উপযুক্ত সম্মানী [অঙ্ক লেখক নির্ধারণ করবেন] পরিশোধ করার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সচলায়তনের পক্ষ থেকে কে কবে সেই টাকা আনতে যাবেন, তা আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে মেইল মারফত বিচিন্তা কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
হিমু ভাই,
সচলে নাম না আসলে এই পত্রিকার নামটাই জানতাম না। এই নাম না জানা পত্রিকা দেবে সচলের লেখকদের টাকা ?? তার উপর সেই টাকার অঙ্ক যদি সচলের লেখকেরা বসায়...মিনার সাহেব খালের কিনারে বসে নিজের সর্বশেষ সম্পদটুকু বিক্রি করেও দিতে পারবে না। একটু রহম করেন ভাই...নায়ক মান্নার মতো বলতে ইচ্ছা করতেছে... অয় মইড়া যায়বো...মইড়া যায়বো ভায়...
বিচিন্তার সম্পাদকীয় পুরোটা পড়া সম্ভব হলো না, দুঃখিত। অল্প কিছুদূর পড়ার পরেই জনাব মিনার মাহমুদের উদ্দেশে একটা কথাই বেরিয়ে এলো, একেবারে মন থেকে। "চোরের হলো বড় গলা!"
ছেলেবেলায় স্কুলে পড়া বাগধারার যথাযথ ব্যবহার শেখানোর জন্য মিনার মাহমুদ এখানে ধন্যবাদ পাবেন বৈকি একটা। তবে ছোট্ট একটা অনুরোধ করি, আগে নীতি ঠিক করুন জনাব মিনার মাহমুদ। তারপর সম্পাদকের মতো মহান দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবেন নাহয়। কোনো নীতিহীন চোর যদি নিজেকে সম্পাদক বলে পরিচয় দেয়, তাহলে সম্পাদক নামক বিশেষ্যটির যথেষ্ট অপমান হয়। এটা বুঝার মতো জ্ঞান আপনার এতোদিনে অর্জন করা উচিৎ। ধন্যবাদ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার যে দৃষ্টান্ত উনি স্থাপন করলেন সেজন্য আমি সাধুবাদ জানাই।
সম্পাদকীয় ভালমতো পড়তে পারলাম না, কারণ ইমেজ-পাতাটি যথেষ্ট বড় করা গেলনা।
ইমেজ ডাউনলোড করে জুম করলে পড়তে পারবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার উপরের মন্তব্যে দেয়া 'সম্পাদকীয়'-র লিঙ্কে এই মন্তব্যে উল্লেখিত ১৯শে ডিসেম্বরের সম্পাদকীয়টি বিচিন্তা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলেছেন এবং সেটা ২৬শে ডিসেম্বরের নতুন সম্পাদকীয় দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। যদিও ওয়েব-পেইজে ১৯শে ডিসেম্বর তারিখটাই দেয়া আছে। এতে করে কেউ কেউ বিভ্রান্ত হতে পারেন। অন্য লিঙ্কটি (সন্দেশের এই পোস্টের এডিটেড কাট-পেস্ট) এখনো পর্যন্ত অন্ততঃ ঠিকঠাক আছে।
তাদের সম্পাদকীয়টা পড়লাম। পড়ে কিন্তু আমার মনে হলো না যে তারা মন থেকে বলছে তারা যা করেছে ভুল করেছে। বরং কয়েক জায়গায় সচল আর সচলের লেখক/লেখিকাদের খোঁচা দিয়েছে যেটা তারা একদমই দিতে পারেনা। উপরন্তু তারা সন্দেশের এই পোস্টটি মন্তব্যসহ ছাপিয়েছে কিন্তু এটার জন্য কী তারা সচলের অনুমতি নিয়েছে?
আর লেখার সম্মানীর ব্যাপারে আমার মনে হয়, এটা সচলের-ই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এবং যদি তারা কোন সম্মানী (!) দেয় তাহলে সচলের আলাদা একটি ফান্ড করে তাতে সেটা রাখা যেতে পারে।
আর অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এতে আরো যারা লেখাচোর আছে তারা সাবধান হবে।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মিনার মাহমুদ এবং বিচিন্তা ...যতই সাফাই দিন না কেন... দিন শেষে আপনাদের পরিচয় শুধুমাত্র চোর ছাড়া আর কিছু নয়।
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর অন্য কোথাও অন্য কোনভাবে না হয় তার জন্য আইনি ব্যবস্হা নেওয়া একটা খুব ভাল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ক্ষমা প্রার্থনার যা ছিড়ি! মনে হল যেন, উনি লেখাগুলা পাব্লিশ করে সচলের লেখকদের জাতে তুলেছেন। এখন আবার পয়সা দিয়ে ভুখানাঙ্গা লেখকদের মুখ বন্ধ করানোর ধান্দায় আছেন!
আমার ১২ নং কমেন্ট ছাপায় নাই...খেলুম না
গোটা পোস্টটা মন্তব্য সহ তুলে দিল। কিন্তু লেখা আর মন্তব্যের মাঝে যে বিজ্ঞপ্তি ঝুলছে:
সেটা যে ছাপলো না। তাইলে কি হইলো?
মিনার মাহমুদকে ব্লগে হাতেখড়ির আহ্বান জানাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আগে তো হাতকড়ি পড়ুক হাতে, তারপর না হয় হাতেখড়ির প্রশ্ন আসপে...
কুটুমবাড়ি
সাহিত্য চুরি করে সচলদের অচল করে দেবার ঘটনায় বিস্মিত। তবে যে দেশে কোনো PROPERTY RIGHTS নেই, সে দেশে INTELLECTUAL PROPERTY RIGHTS কামনা করাটা, ফকির মহোদয়দের Grameen Mobile telephone ব্যবহার করার মতই। যেখানে কো্নো গাছ নেই, সেখানে কলা গাছ ও একটি গাছ। যে দেশে কো্নো আইন কিংবা তার কোনো প্রয়োগ নেই, সেখানে ডাকাতদের আইনি একমাত্র আইন। সাহিত্য চুরি এর কোনো ব্যতিক্রম নয়।
শুনেছি বলদিয়ায় নাকি প্রচুর কলাবৃক্ষ।
আমার ধারনা প্রচুর কাঁঠালবৃক্ষ, তবে কোনোটাতেই পত্র অবশিষ্ট নেই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খুবই স্বাভাবিক! এই কদলীবৃক্ষগুলি কে লাগিয়েছিল জানেন ? এগুলি লাগিয়েছিলেন বিখ্যাত সোভিয়েত বায়োলজিস্ট ইলিয়া আইভানোভিচ আইভানভ তাঁর দীর্ঘ গবেষনায় অবশেষে সাফল্য লাভের পর গবেষনার ফসলদের খাওয়ানোর জন্য। সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া সোভিয়েত যুগের এক অতি-গোপন নথি থেকে জানা যায় বলদিয়া ও বলদিয়ার জমিদার বংশের এই প্রকৃত ও গোপন গৌরবোজ্বল ইতিহাস ! ইলিয়ার গবেষনার পটভূমি সাধারন ভাবে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি দেখুন। ঐ সোভিয়েত নথির গোপন তথ্য বেশি অফ টপিক হয়ে যাবে বিবেচনায় এখানে আর দিলাম না। তবে উপরের উইকি আর্টিকেলটা ভালো করে পড়লেও অনেকটা বুঝতে পারবেন।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গীটা এমন যে ক্ষমা চাওয়ার কিছু নাই তবুও তোমাদের আবদারের মুখে চাইলাম।
এই লোকগুলির ব্লগোফোবিয়া যে কবে কাটবে!
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বিচিন্তার সম্পাদক বলেছেন:
আহারে বেচারা সম্পাদক! সচলদের ক্ষিপ্ত হবার কারণটাও জানেন না।
কাকস্য পরিবেদনা
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
কাকস্য পরিবেদনা
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বিএনপি/খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রাজাকার তানভীর সিদ্দিকী-র ছেলে এবং জামাত-বিএনপি থেকে ঢাকা-র মেয়র পদে আগ্রহী ইরাদ সিদ্দিকী যখন সংগ্রাম, আমার দেশ রেখে এইখানে "সচল" হয়েছেন, তখন প্রশ্ন এসে যায়। কেবলমাত্র লেখা পুণপ্রকাশ করার মতো অপরাধে বিচিন্তার মতো রাজাকার-সৈরাচার বিরোধী পত্রিকাকে যেই ভাষায় তুলোধুনা করা হচ্ছে, ইরাদের মতো এদের পারিবারিক পরিচয় জানা গেলেই কারণতা আর অজ্ঞাত থাকবে না।
ফারিয়া নিকের আড়ালে হে অন্ধ লেখাচোরমিনারমাহমুদেরঅ্যাপলজিস্ট, ভালো করে তাকিয়ে দেখুন, বলদিয়ার জমিন্দারনন্দন সচল নয়। সচলে যে কেউ মন্তব্য করতে পারে, আপনি যেমন করেছেন।
বিচিন্তা কবে কোন আমলে রাজাকার স্বৈরাচার বিরোধী ছিলো, সেইটা ধুয়ে এখনও পানি খেতে চাইলে খাক, কিন্তু অন্যের লেখা চুরি করে নয়। আর সাহস থাকলে নিজের নামে এসে মন্তব্য করেন, কখনো ইউনুস আজাদ, কখনো ফারিয়া, এইসব বিটলামি ছাড়েন।
লেখাচোর মিনার মাহমুদের স্বনামে মন্তব্যের সাহস হোক, এই কামনা করি।
আপনারা একটা ওয়েব সাইট চালাচ্ছেন। দয়া করে এইভাবে একজোট হয়ে কোনো মন্তব্যকারীকে আক্রআক্রমন না করে বরং ইমেইল ঠিকানা ধরে প্রোফাইল দেখুন, কে, কোন জায়গা থেকে লগ করছেন, তাও নাকি জানা সম্ভব, সেইটা দেখুন। এই ধরণের আক্রমন করার আগে ঠিকানা, ফোন নাম্বার চেয়ে দেখুন-তারপর সারচ করে মিলিয়ে দেখুন। আপনাদের সাথে দিমত পোশনকে কোনোভাবেই আপনারা মেনে নেবেন না, তা যতো শোভন ভাষাতেই হোক না কেন?
লেখা চুরিকে লেখা পুনঃপ্রকাশ বলে চালাতে চাওয়া গর্দভের সাথে আসলে একমত-দ্বিমত-ত্রিমত চলে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ফারিয়া আপ্পু গো,
'স্বৈরাচার বিরোধী' মিনার মাহমুদকে দেখলাম নব্য বিচি পত্রিকায় এরশাদকে স্যার স্যার বলে মুখে এমন ফেনা তুলেছেন, সেই ফেনা বোতলে ভরে ফায়ার সার্ভিসকে দান করলে তারা ফোম হিসেবে ব্যবহার করে অনেক আগুন নিভিয়ে ফেলতে পারবে।
দেশে ক্লাউন সঙ্কট নাই, নতুন ক্লাউনবাজির মজমা তেমন জমবে না।
মিনার মাহমুদ ভাইরে আমার সালাম জানাইয়েন।
আপত্তিকর মন্তব্যঃ
সুপ্রিয় দেশবাসী ও আমার বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,
বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী বলিয়াদীর জমিদার পরিবারের উত্তরসুরী ও তার সুযোগ্য কর্ণধারকে "রাজাকার" মন্তব্যে অপমানিত করায় আপত্তি প্রকাশ করছি।
চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী BNP অথবা জামাতের সাথে কোনো ভাবে জড়িত নন। তিনি একজন স্বাধীন, নির্দলীয়, সৎসাহসী ও দেশপ্রেমিক ঢাকা-মেয়র প্রার্থী। ধন্যবাদ।
জনাব ঢাকার মেয়র সাহেব,
৭১ সালে আপনার বাবা কোথায় ছিলেন, জানতে ইচ্ছা করছে।
বলদইয়ার জমিদার নন্দনরা বাকিরা কে কোথায় কী ভুমিকা রেখেছেন, সুযোগ্য উত্তরসূরী মহোদয় জানাবেন কি?
আপনি কি আবু নাসের খানের আত্মীয় হন?
কুচিন্তা ওরফে বিচিন্তার সম্পাদকগুলি কি এতটাই বুদ্ধি-প্রুফ আর্মার্ড-প্লেটে-ঢাকা মগজবিহীণ বায়ুপুর্ণ -শূণ্যখুলিবিশিষ্ট অকাট গর্দভ যাদের মাথায় বিস্ফোরিত-বোমার-মতই-প্রকট সদবুদ্ধি-বোধবুদ্ধি- আর ন্যুনতম চক্ষুলজ্জাবোধ ঢুকে না, তাদের আইকিউ কি এতটাই পার্মানেন্টলি অপরিবর্তনীয়রূপে শূন্যাঙ্কের নীচে, তাদের বোধশক্তি কি এতটাই মৃতঅসাড়-ফসিলে জড়ীভূত, ৯০-এ "বিশ্ববেহায়ার" বিরুদ্ধে একদা-কলমটাউট কি নিজেই এখন তারচেয়েও বহু বড় এক বিশ্বচশমখোর বিশ্ববেহায়ায় রূপান্তরিত, যে এত এত প্রতিবাদ - এত এত ব্যাখ্যা/বিশ্লেষন/মন্তব্য - এত এত অভিধান ও রেফারেন্স-গ্রন্থে সংজ্ঞা, অর্থ ও অর্থের ব্যাখ্যা প্রকটতমভাবে জাজ্বল্যমান থাকা সত্ত্বেও -- তাদের মাথা দিয়ে অপরের সম্পদ আর চুরি কাহাকে বলে তা ঢুকে না ??? অবিশ্বাস্য ! এদের কি নামে অভিহিত করবো বুঝে উঠতে পারছি না, শুধু আবারো মনে পড়ছে নেপোলিয়নের সেই উক্তিটা -- "বজ্জাতিরও একটা সীমা আছে, কিন্তু গাধামি সত্যি অসীম !" মিনার আর হাকিমরা অবশেষে প্রমান করে ছেড়েছেন যে নেপোলিয়ন আসলে ভুল ছিলেন। নিদেনপক্ষে তাদের ক্ষেত্রে। কারন তাদের ক্ষেত্রে নেপোলিয়নের উক্তির শেষাংশটা যদিও পুরোপুরি খাটে, কিন্তু তাদের সাম্প্রতিকতম আচরণে প্রথমাংশটা কিন্তু মোটেই খাটে বলে মনে হচ্ছে না। তারা ঐ প্রথম ক্ষেত্রেও 'অসীম'। তো এই দুই অসীম গুনের সমন্বয় ঘটালে যে কিম্ভুতুড়ে অসীম হাইব্রীডটা দাঁড়ায় -- তার নাম হচ্ছে বিচিন্তা, ওরফে দুর্বুদ্ধির মিনার ও আসামী হাকিম, ওরফে বিশ্বচশমখোর বিশ্ববেহায়া ।
হ্যাঁ, এত কিছুর পর আবারো তারা তাদের "চৌর্যবৃত্তি"-কে জাস্টিফাই করার অপচেষ্টা করছেন। এবার তাদের দাবী - তাদের চুরিকে নাকি "চুরি" বলা যাবে না !!! অবিরাম পুকুরচুরি করলেও না। কুম্ভীলকও না, চোরও না।
১৯শে ডিসেম্বর সঙ্খ্যায় একদফা মাফ-চাওয়াচাওয়ির ভড়ং করে এবার ২৬শে ডিসেম্বর সংখ্যায় "বাহ! সচলায়তন" শিরোনামে আবারো খোঁচা মার্কা আস্ত একটা কলাম লিখেছেন নির্বাহী সম্পাদক আহসানুল হাকিম। এই কলামটার মধ্যে অনেকগুলি চোরা-উদ্দেশ্য নিহিত আছে বলে মনে হচ্ছে প্রথম দৃষ্টিতে। যেমনঃ ১। চালবাজি ও চোখে ধুলো দেয়া কথাবার্তা ও অপ-ইন্টারপ্রিটেশনের মাধ্যমে, বা অন্যভাবে বললে ম্যাজিশিয়ানের মতো -- চুরিকে “চুরি না” বলে প্রতিপন্ন করা, ২। ইচ্ছাকৃতভাবে দেয়া সুকৌশলী অসম্পূর্ণ তথ্য এবং সেই অসম্পূর্ণ তথ্যের রেড-হেরিং মার্কা সঠিক-ব্যাখ্যা-থেকে-দৃষ্টি বিপথে-চালনাকারী (ম্যাজিশিয়ান্স ট্রিক) অপব্যাখ্যা দিয়ে ১মতঃ নিজেদের বেমালুম নির্দোষ ও মহৎ প্রতিপন্ন করা, ২য়তঃ উলটো সচলায়তন কর্তৃপক্ষের উপরই সবকিছুর দায় ও দোষ চাপানো (অর্থাৎ তাদের চুরির দোষ তাদের নয়, বরং সচলায়তনের), ৩য়তঃ সচলায়তন কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য সচলদের মধ্যে সন্দেহের বীজ বুনে ডিভাইড এ্যান্ড রুল পদ্ধতিতে সচলায়তনে অন্তর্কলহ ঘটানোর হাস্যকর অপপ্রয়াস নেওয়া, এবং ৪র্থতঃ ঐ অন্তর্কলহের মাধ্যমে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করা।
এখানে বলে রাখি, আমি সচলায়তনের কর্তৃ-পক্ষ, ‘সচল’-অভিধাযুক্ত লেখকপক্ষ, এমনকি তথাকথিত ‘হাচল’ কিম্বা ‘সেমি-সচল’-পক্ষের সাথেও – কোনপক্ষেই যুক্ত না। ফলে সচলায়তনের বিরুদ্ধে বিচিন্তার করা অভিযোগগুলির (মূলত সচলায়তন কর্তৃপক্ষ/মডারেটর ও চৌর্যবৃত্তির শিকার লেখকদের সাথে বিচিন্তার যোগাযোগের প্রসঙ্গে তাদের উপরে কিছু কালিমা লেপনের অপপ্রয়াস; তবে একজন ব্যক্তি সচল সম্পর্কেও কিছু ধানাই-পানাই মার্কা কথা আছে) বিষয়ে সচল কর্তৃপক্ষ ও বিচিন্তার বক্তব্য ছাড়া আর কোন ফ্যাক্টস কিছুই জানিনা। কিন্তু ঘটনাচক্রে, বিচিন্তার তথাকথিত অভিযোগগুলি এতই ফাকফোঁকর-বহুল, অসঙ্গতিপূর্ণ, শাক-দিয়ে-মাছ-ঢাকার চিহ্ণবিশিষ্ট কাঁচা হাতের স্টুপিড কাজ যে ঐগুলির মধ্য থেকেই কিছু বেসিক ভাইটাল ফ্যাক্টস এবং বিচিন্তার অসদুদ্দেশ্য একদম বাইরের বা আনইনফর্মড লোকের সযত্ন পাঠের কাছেও পানির মতো স্পষ্ট হয়ে উঠে এবং ঐ অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ গুরুত্বহীণ ফাত্রামিতে পরিণত হয় । তাছাড়া এত অভিযোগ, অথচ এবার কিন্তু তারা এই সর্বশেষ ইস্যুর এই লেখাটা ওয়েবে আপ করার সাহস করেনি এখনো - শুধু প্রিন্টেই রেখেছে। মনে হচ্ছে এই লেখাটা তারা শুধু নিজেদের প্রিন্ট-মাধ্যমের দেশি পাঠকদের যাদের বেশির ভাগই মনে হয় সচলের সাইটে এসে সচলের পূর্ণ বা পাল্টা বক্তব্য দেখে উঠতে পারবেন না -- প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে সম্যক অবহিত বা আলোকিত হতে পারবেন না -- তাদেরকে নিজেদের মতো করে বিভ্রান্ত করার জন্য রেখেছে। যদিও অন্য লেখাগুলি ঠিকই আপ করেছে। তারা বোধহয় চায় না এই লেখাটাও অনলাইনে দেয়ার ফলে সচলদের হাতে ফর্দাফাই হোক। তবে এই বিতর্কটা যেহেতু আমি অন এবং অফলাইনে ফলো করছি, এবং যেহেতু মহামান্য আহসানুল হাকিমের এই অসাধারন এল-ক্লাসিকো “রাইনো-শিয়াল” মার্কা (হিমু বিচিন্তার আগের সংখ্যার সম্পাদকীয়কে “ব্রন্টোজিরাফ” বলেছিলেন, আমি এবারেরটাকে হিমু সাহেবের মত প্রতিভার অভাবে অত সুন্দর বিশেষণ দিতে পারছি না বলে দুঃখিত) কলামটা পড়ে আমি রীতিমত মুগ্ধ ও অভিভূত – সেহেতু আমার এই দীর্ঘ ফিলিবাস্টারিং মন্তব্য। দৈর্ঘ্যের কারনে বিরক্তি উৎপাদন করে থাকলে দু;খিত - আর ভাষাপ্রয়োগে কারো রুচিবোধ আহত হলেও দু;খিত, তবে শেষটির জন্য আমি ঐ বারংবার আত্নসাফাই গাওয়া এবং নিজদোষ অপরাধের -শিকার ও ভুক্তভোগীদের ঘাড়ে চাপানোতে সিদ্ধহস্ত ঐ পারভার্টগুলিকেই দায়ী করব। আসলে হেকিমের মূল বক্তব্য ও তার বিশ্লেষণসহ তার হেকমতি ফাঁস করে আলাদা একটা বড় পোস্ট দেয়ারই ইচ্ছা ছিল - কিন্তু এই বিরক্তিকর বুদ্ধির ঢেঁকিগুলারে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া হয়ে যাবে কিনা চিন্তা করে আর দিলাম না।
সাপ্তাহিক বিচিন্তার ২৬শে ডিসেম্বরের সংখ্যাটিতে আমায় নিয়ে লেখা একটি নাতিদীর্ঘ অনুচ্ছেদ দেখে জবাব দিতে এলাম।
'বাহ!সচলায়তন' শীর্ষক এই প্রবন্ধে সচলায়তনের প্রতি নিজেদের আচরণের ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করেছেন জনাব আহসানুল হাকিম।
উল্লেখ্য, ১৭ অক্টোবরের বিচিন্তায় আমার একটি লেখা অনুমতিহীন ভাবে ছাপানোর প্রেক্ষিতে আমি স্বয়ং এবং সচল নিবিড় গিয়েছিলাম ইস্কাটনস্থ বিচিন্তার অফিসে। সে সংখ্যায় সচল মাহবুব মুর্শেদ, সচল হিমু, সচল কৌস্তুভের আরো কিছু লেখা ছাপা হয়েছিলো। পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিজের পরিচয় প্রমাণ করবার পরে আমি জিজ্ঞেস করি এই লেখা অনুমতি বিহীন ভাবে ছাপানোর কারণ কী। বলাই বাহুল্য, আমি কেবল নিজের লেখাটির সত্ব সাপেক্ষেই এ প্রশ্ন করি কারণ সচলায়তনের অন্যান্য ব্লগারদের লেখার সত্ব আমি বহন করি না। সচলায়তনের প্রতি পাতায় যে কথাটির স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, তা আরেকবার উল্লেখ করে দিই-
সরাসরি সে সাক্ষাতে, বিচিন্তা পত্রিকায় আরো লেখা দেবার জন্যে আমায় এবং সচল নিবিড়কে অনুরোধ জানানো হয়েছিলো। এবং আমরাও ভেবে দেখবো বলে জানিয়ে আসি। 'বাহ! সচলায়তন' প্রবন্ধে এ বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে আপাত দৃষ্টিতে আমরা সম্মতি জানিয়ে আসি বলে।
প্রবন্ধে আরো লেখা হয়েছে, সুহান রিজওয়ান যদি তাঁর বা সচলায়তনের অবস্থান পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতেন,তবে বিচিন্তা আর সচলদের লেখা প্রকাশ করতো না। এই তথ্যটি সত্য নয়। উল্লেখ্য, আমি এবং সচল নিবিড় একাধিক বার তাদের জানিয়ে এসেছি সচলায়তনে প্রতিটি লেখার সত্ব কেবলমাত্র সেই লেখক বহন করেন এবং কারো অনুমতি ব্যতীত সেই লেখাটি ছাপানো অনুচিৎ। উত্তরে তারাও বারবার বলেন- তারা 'যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন'।
আহসানুল হাকিম লেখার শেষ পর্যায়ে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে অপারগতা জানিয়েছেন। আমি সামান্য তরুণ ব্লগার- আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু অনুগ্রহ করে সত্যিমিথ্যা মিশিয়ে এইরুপ নিন্দামন্দ করবেন না।
প্রবন্ধে আপনারা এটিও লিখেছেন, আপনাদের কার্যকর্মকে কেন সচলায়তনের পক্ষ হতে চৌর্যবৃত্তি বলা হচ্ছে- তা আপনাদের অগম্য। এই কথার উত্তরে আর কিছু বলবার নেই।
_________________________________________
সেরিওজা
এই 'বাহ! সচলায়তন' লেখাটা কি অনলাইনে প্রকাশ করেছে বিচিন্তা? তাহলে একটু লিঙ্ক দেবেন পিলিজ?
আর, ইয়ে, সুহান ভাই, এই অধম এখনও হাচল...
অনলাইনে প্রতিবেদনটি পেয়ে যাওয়ায় পূর্বের মন্তব্য এডিট করলাম।
... সচল হতে কতক্ষণ ?? আগাম বলে দিলাম আরকি।
_________________________________________
সেরিওজা
বাহ! সচলায়তন
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
লিঙ্কটা দিলাম। কিন্তু ইটস্ বিয়ন্ড স্টুপিডিটি। এদের চৌর্যবৃত্তির চেয়ে এদের গাধামি আর মুর্খতা দেখেই বরং এখন রাগ বেশি হচ্ছে ! গল্পে যাই থাক, গাধাকে হাজার পিটালেও আসলে মানুষ হয় না। নিজের উপরেও রাগ হচ্ছে - এই গাধার পত্রিকাই অল্পবয়সে এককালে পয়সা খরচ করে পড়তাম বলে!
লেখাচোর মিনার মাহমুদের নির্বাহী জনাব আহসানুল হাকিম,
সুহান রিজওয়ানকে কোনো কিছু স্পষ্ট করার কষ্ট কেন করতে হবে? আপনারা কি অন্ধ? সচলায়তনে প্রতিটি লেখার নিচে একটা নোটিশ দেয়া আছে, সেখানে স্বত্ব আর অনুমতির ব্যাপারটা স্পষ্ট বাংলায় লেখা আছে, ঐটা পড়তে পারেন না?
লেখাচোর মিনার মাহমুদ,
আপনার ফালতু পত্রিকা এই চুরির অজুহাত দিয়েই মনে হচ্ছে বাকি জনম ভরাট করতে হবে। সম্পাদনার কাজ ছেড়ে এইবার দোলাই খালে একটা গাড়ির পার্টসের দোকান দেন, সেখানে গাড়ির মালিকদের সাথে "যোগাযোগের চেষ্টা" করে পার্টস খুলে এনে বেচবেন।
"কেন সুহান রিজওয়ান বাদে?"
সুহান তো এশ্টার হইয়া গেলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নিজের কথা বলতে পারি, আমার লেখা প্রকাশিত হবার আগে কিংবা পরে, অনুমতি জ্ঞাপণ বা দুঃখ প্রকাশ কোনটাই করা হয়নি।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পুরো ব্যাপারটাতে আইওয়াশের একটা বালখিল্য প্রবণতা হাস্যকরভাবে লক্ষণীয়। তারা জানেন কাজটা তারা মোটেই ভাল কিছু করেননি, কিন্তু সেটার ব্যাপারে কোনোরকম অনুতাপ তো দূরে থাক বরং প্রকারান্তরে সর্বত্র সাফাই গাওয়া এবং নিজেদের ফাটা ঢোল পেটানোর ব্যাপারে তাদের উতসাহের কোন খামতি দেখলামনা। এখন ব্যাপারটার আশু বিহিত না হলেই না।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
কোথা থেকে শুরু করা যায়!
সুহান রিজওয়ান বাদে
যে সচল লেখকদের লেখা ১৭ই অক্টোবর থেকে ১২ই ডিসেম্বর ২০১০ সময়ের মধ্যে বিচিন্তায় প্রকাশ করা হয়েছে তার জন্য সুহান রিজওয়ান বাদে বাকি লেখকদের কাছে পু্নর্বার ক্ষমাপ্রার্থনা করে শুরু হোক এই লেখা। এই লেখকদের কাছে বারবার মাফ চাইব আমরা। কারণ যত ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই কাজটা করে থাকি না কেন, এ-কথা তো সত্য, অনুমতি পাওয়ার আগে তাঁদের লেখা ছাপানোটা মোটেও ভাল কাজ হয়নি।
আর, সুহান রিজওয়ানের কাছে কেন ক্ষমাপ্রার্থনা নয়, পরে আসা হবে সেই আলোচনায়।
সচলদের লেখায় বিচিন্তা কেন আগ্রহী
এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সহজ; এককথায় বললে বলতে হয়– সচলেরা ভাল লেখেন। একটু বিস্তৃত করলে– অধিকাংশ সচলের লেখা খুবই ভাল, তাঁদের দেখবার ভঙ্গিটি গতানুগতিক থেকে আলাদা, তাঁদের চিন্তা-ভাবনা ও অবস্থান বিশিষ্ট, বিচিন্তা যেরকম লেখা ছাপাতে চায় তাঁদের লেখা সেইরকম। এসব কথা গত ১২ই ডিসেম্বর ২০১০ সংখ্যা বিচিন্তার সম্পাদকীয়তেও বলা হয়েছে।
আন্তর্জালে ভাল কিছু দেখতে পেলে তা কি আমরা আরও অনেককে জানাতে চেষ্টা করি না? সচলেরাও এর ব্যতিক্রম নন বলে ধারণা করি। অভ্র বা সচলায়তনের লিংক কি আমরা আত্মীয়, বন্ধু, চেনা, এমনকি অচেনা মানুষের মাঝেও ছড়িয়ে দিইনি?
অবস্থান, দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনায় সচলায়তনের সঙ্গে বিচিন্তা অনেক সাযুজ্য খুঁজে পেয়েছে; তাই সচলায়তন এবং এর সচল লেখকদেরকে নিকটজন মনে করেছে, ভেবেছে আমরা একে অপরের মিত্র হতে পারি।
একে ঠিক চুরি বলা যায় কি
সেই মনোভাব থেকেই বিচিন্তায় লেখাগুলো ছাপানো শুরু হয় আর তা সচলদের নামেই, বিচিন্তায় কাজ করেন এমন কারুর নামে বা অন্য কোনও লোকের নামেও নয়। অনুমতি চেয়ে তা পাওয়ার আগেই বিচিন্তার পাতায় লেখা ছাপা হয়েছে, তাতে করে লেখকের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে– বিচিন্তা কিংবা এর সম্পাদক এবং/কিংবা এই বক্তব্য যিনি লিখছেন তার অপরাধ এটাই। এই অপরাধও গুরুতর কিন্তু একে কি সেই অর্থে ঠিক চুরি বলা যায়?
লেখায় চৌর্যবৃত্তি বা Plagiarism কাকে বলে তা খুঁজতে গিয়ে উইকিপিডিয়াতে পাওয়া গেল : Plagiarism, as defined in the 1995 Random House Compact Unabridged Dictionary, is the "use or close imitation of the language and thoughts of another author and the representation of them as one's own original work."
অন্যান্য অভিধানের ভাষ্যও একইরকম। মূলকথা/মোদ্দাকথা অন্যের লেখা নিজের নামে প্রকাশ করলে তা হবে চৌর্যবৃত্তি। লেখক নিজেই কখনও কোনও কারণে অন্যের নামে লেখা ছাপাতে পারেন, তাকেও চৌর্যবৃত্তি বলা যায় না।
সচলায়তন কর্তৃপক্ষ কেন একে চৌর্যবৃত্তি বলে বর্ণনা করলেন– "সচলায়তন এই চৌর্যবৃত্তির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে"– তা আমাদের বোধের অগম্য! কেবল তাঁরা নিজেরা তাঁদের অনুভূতি খুলে বললে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে ভেতরের একান্ত অনুভূতি অন্যের কাছে প্রকাশ করা কখনও কখনও খুব কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াতে পারে! সেরকম ক্ষেত্রে নিরব থাকাই শ্রেয়।
লেখার সম্মাননা
বিচিন্তা লেখককে সম্মাননা দেওয়ার বিষয়টি বরাবরই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আসছে। লেখা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সাধ্যমত সম্মাননা প্রদান করেছে সেই ১৯৮৭ সালে যেমন, তেমনি ১৯৯১ সালেও। আর এই ২০১০ সালে এসে তৃতীয়বার প্রকাশের পরিকল্পনার সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়– লেখা প্রকাশের জন্য মনোনীত হলেই সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের। সেইমত লেখা মনোনীত হওয়ার পরপরই এবং বিচিন্তায় ছাপা হওয়ার আগেই কোন কোন লেখকের হাতে তাঁর লেখার সম্মাননা তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ওই সময়ে সব লেখককে পাওয়া যায়নি। না-গেলেও রোববার বিচিন্তা-দিবস; সপ্তাহের এইদিনে বিচিন্তা প্রকাশিত হয় এবং লেখকেরা বিচিন্তা অফিসে এসে থাকেন, তখন তাঁরা সদ্যপ্রকাশিত এককপি পত্রিকা আর সম্মাননা পেয়ে যান।
সচলদের লেখার সম্মাননা মেইলে যোগাযোগ করলেই হবে।'
বিচিন্তা সচল লেখকদেরকেও সম্মাননা দিতে চায়, যদিও তা প্রথম-প্রকাশিত লেখা নয়। শুরু থেকেই তা জানিয়ে আসছি। আমরা যার মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলাম, তাঁর ২০ ইউরো (কথাচ্ছলে রসিকতাও হতে পারে) সম্মাননা দাবির উত্তরে আমাদের ই-মেইলে সেকথা জানিয়ে লেখা হয়, '২০ হয়ত পারব না, তবে বিচিন্তা সাধ্যমত আপনাকে এবং বাকিদেরকেও সম্মাননা দিতে চায়, তারা চাইলেই পাবেন, আপনিও।
উক্ত বার্তা পাঠানো হয়েছিল ১৬ বা ১৭ই অক্টোবর ২০১০-এ। উল্লেখ্য, বিচিন্তার ১৭ই অক্টোবর সংখ্যায় সচলদের লেখা প্রথম ছাপানো হয়।
১৮ই অক্টোবর ২০১০ তারিখে আমাদের তরফ থেকে আর-একটি ই-মেইলে জানান হয়, 'বিচিন্তা তো কোন কর্পোরেট হাউস নয়, এর পক্ষে ২০ ইউরো সম্ভব নয়, ৫ ইউরোর মত করে সক্কলকে দিতে পারবে, ভবিষ্যতে কোন কোন লেখার জন্য ১০ ইউরো পর্যন্ত যাওয়া যাবে– টাকায় ৫০০ থেকে ১০০০।'
সচল লেখকেরা যখন এই ডিসেম্বরে এসেও সম্মাননা দাবি করছেন তখন বুঝে নিতে বেগ পেতে হয় না যে আমাদের বার্তা তাঁদের কাছে পৌঁছেনি। ই-মেইলগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে আদান-প্রদান হলেও এর বক্তব্য ছিল সচলায়তনের সকলের জন্য; বিশেষ করে এস. এম. মাহবুব মুর্শেদ, কৌস্তুভ, হিমু, সুহান রিজওয়ান– এই যে চারজন সচলের লেখা ১৭ই অক্টোবর সংখ্যায় ছাপা হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের জন্য। তাঁরা সেই বার্তা পেয়েছিলেন কি না তাঁদের কাছ থেকে তা জানবার অপেক্ষায় রইলাম।
তাহলে বিচিন্তা অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করেছে
অভিযোগের তৃতীয় অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, "বিচিন্তা তৃতীয় বারের মত প্রকাশের শুরু থেকেই সচলায়তনের লেখা দিয়ে পত্রিকার ভরে লেখা ছাপিয়েছে। এটা আমাদের প্রথমে গোচরীভূত হয় প্রায় মাসখানেক আগে।" কথাটা ঠিক নয়। ১৪ই ডিসেম্বরের মাসখানেক আগে মানে তো নভেম্বরের ১৪? না, জনাব, তারও অন্তত একমাস আগে অর্থাৎ অভিযোগ পোস্ট করবার কমপক্ষে দু্ইমাস আগে, তৃতীয়বার বিচিন্তা প্রকাশের প্রায় শুরু থেকেই আপনাদের তা জানা ছিল। এমনকি একজন সচল ২০শে অক্টোবর ২০১০-এ আমাদের ৮/২ নিউ ইস্কাটন (গাউসনগর) অফিসে এসে আলোচনা করে গেছেন।
তার পরের বাক্য, "সচলায়তনের পক্ষ থেকে একজন মডারেটর এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বিচিন্তা থেকে জানানো হয় তারা লেখা অনুমতি নিয়ে প্রকাশে আগ্রহী কিন্তু অনুমতির ফ্রেইমওয়ার্ক কি হবে সেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।" তাহলে সচলায়তনের অভিযোগের মধ্যেও বর্ণিত রয়েছে বিচিন্তা অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং এই চেষ্টাও সেই দু'মাস আগে মধ্য-অক্টোবরের। "অনুমতির ফ্রেইমওয়ার্ক" কী হবে সেই বিষয়ে সচলায়তন কর্তৃপক্ষ কিংবা কোনও একজন বা একাধিকজন মডারেটর সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি! সে তো সচলায়তন কর্তৃপক্ষের সমস্যা; সচল লেখকদের কিংবা বিচিন্তার নয়।
কেন সুহান রিজওয়ান বাদে
বিচিন্তার ১৭ই অক্টোবর ২০১০ সংখ্যায় এস. এম. মাহবুব মুর্শেদ, কৌস্তুভ, হিমু, সুহান রিজওয়ান- এই চারজন সচলের লেখা প্রকাশিত হয়। সবার লেখা অসাধারণ! অনুমতি পাওয়ার আগেই লেখা ছেপে এই লেখকদের সকলের সঙ্গেই অন্যায় করা হয়েছে কিন্তু লেখক হিমুর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি অন্যায় করা হয়েছে! আমরা পরে জানতে পেরেছি "হিমু" নামের আড়ালে প্রতিভাবান তো বটেই, রয়েছেন উল্লেখযোগ্য পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন লেখক। তাঁর লেখাটি ছিল ব্লগে পোস্ট করা সংক্ষিপ্ত ও তাক্ষণিক মন্তব্য ধরণের, ওই লেখা ছেপে সত্যিই তাঁর লেখকসত্ত্বার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
উক্ত সংখ্যাটি প্রকাশের তিনদিন পরে ২০শে অক্টোবরে একজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সুহান রিজওয়ান এলেন বিচিন্তার দপ্তরে। এসে 'দায়িত্ববান' অর্থাৎ কর্তৃপক্ষীয় কারুর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন। কী বিষয়ে কথা প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে খুলেই জানালেন তাঁদের কয়েকজনের লেখা বিচিন্তায় ছাপা হয়েছে, সেই বিষয়ে কথা বলতে চান। নামটি যে তাঁর সেটি তিনি প্রমাণ করতে পারেন কি না জিগ্গেস করলে তিনি খুব স্মার্ট যুবকের মত ঝটপট পকেট থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র বের করে দেখান।
সম্পাদকের সঙ্গে আন্তরিক আলোচনা করলেন। বিচিন্তার দুধ-চিনি ছাড়া চা কষ্ট করে হলেও বেশ অনেকটা পান করলেন। সম্পাদক আরও লেখা দিতে বললেন। সুহান সম্মতিও জানালেন বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হল। বিদায় নেওয়ার আগে আগে তাঁর জন্য ঠিক করা সম্মাননার অর্থ একটি ব্যবহৃত খামে ভরে দেওয়ার সময়ে জানানো হল, "আমরা রিসাইক্লিংয়ের চেষ্টা করি।" এ-কথায় সকলেই হেসে উঠলেন, সুহান নিজে, এমনকি সুহানের বন্ধুটিও।
সুহান রিজওয়ান যদি অর্থ প্রত্যাখ্যান করতেন কিংবা গ্রহণ করেও পরিষ্কার ভাষায় তাঁর বা সচলায়তনের অবস্থান জানিয়ে বিদায় নিতেন, তাহলে বিচিন্তা সচলদের লেখা আর প্রকাশ করতো না, সেখানেই শেষ হতো আর অল্পতেই মিটে যেত। তারপরেও সুহান বিচিন্তার অনুমতি চাওয়া এবং লেখা ছাপা হওয়ার পরে সম্মাননা প্রদানের খবরটুকু জানাতে পারতেন অন্য সচলদেরকে! সম্ভবত কখনোই তিনি তা করেননি।
এর পরে সুহান রিজওয়ানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কিছু থাকে কি?
আহসানুল হাকিম,
প্রিয় আহসানুল হাকিম,
আপনার এই লেখাটা আমরা পড়েছি। এবং একই লেখা আমরা মেসেজ আকারে মডারেটরদের ফেইসবুক ইনবক্সে পেয়েছি। যারা জেগে থাকে তাদের জাগানো যায় না বলে আমরা আর কথা বাড়াইনি। আপনাদের কখনই প্ল্যাজারিজমের দায় দেয়া হয়নি। দেয়া হয়েছে অনুমতি না নিয়ে লেখা প্রকাশের দায়।
একটা উদাহরণ দেবার চেষ্টা করা যাক। ধরুণ আমার একটা সেল ফোন আমি একটা টেবিলে রাখলাম। যাতে লোকে সেল ফোনটা ঘেঁটে দেখতে পারে। এখন যদি একজন সেটা নিয়ে যান এবং নিজের বলে দাবী করেন তাহলে সেটা প্ল্যাজারিজমের সমতুল্য হতে পারে। কিন্তু একজন যদি সেটা নিয়ে যান এবং সকলকে জানান যে এটা সন্দেশেরই মোবাইল তাহলে সেটা প্ল্যাজারিজম নয়, শুধুই চুরি। অর্থাৎ
প্ল্যাজারিজম = চুরি + নিজের বলে চালানো
চুরি = শুধুই চুরি
প্রাথমিকভাবে আপনাদের ক্ষমা প্রার্থনা আমাদের আহত মনটা খানিকটা হলেও শান্ত করছিল। কিন্তু একটা উষ্মা সেই ক্ষমা প্রার্থনাতেও থেকেই যায়। সেটা বেরিয়ে আসে যখন আপনারা বলেন সচলায়তন "আন্তঃজেলা মাস্তান সিন্ডিকেট"। এবং সেটা আরো পাকাপোক্ত হয় আপনার এই লেখাটিতে। আপনার এতো ঘাঁটাঘাটি করে কি বলতে চাচ্ছেন আমাদের বোধগম্য নয়। সচলায়তনের সাথে বিচিন্তার আইডিওলজির মিল আছে তাই বিচিন্তা অনুমতি না নিয়েই সচলায়তনের লেখা প্রকাশ করতে পারে? তাহলে সচলায়তনও কি বিচিন্তার লেখা কপি পেস্ট করতে পারে? লেখার সম্মানী নিয়ে বক্তব্যও বেশ অপ্রয়োজনীয় ঠেকেছে।
উপরন্তু সুহান রিজওয়ানকে এভাবে আলাদা করে এর মাঝে নিয়ে আসার কি দরকার ছিল সেটাও বোধগম্য নয়। আমাদের প্রতিটি সচলদের প্রতি আমাদের আস্থা এতটাই দৃঢ় যে আমরা প্রায় শতভাগ নিশ্চিত সুহান সচলের মূলনীতি পরিপন্থী কিছু করেনি। একজন ব্যক্তির নাম একটা জাতীয় পত্রিকায় নিয়ে আসার আগে আরো ভালোভাবে চিন্তা করার উচিৎ ছিল বলে আমরা মনে করি।
আপনি/আপনারা বারবার লেখাটা আমাদের বরাবর প্রেরণ করে কিংবা পত্রিকার পাতা নষ্ট না করে খুব সহজে ব্যাপারটা সমাধান করতে পারতেন। প্রথমতঃ সন্দেশের প্রথম লেখায় খোলাখুলি ক্ষমা চাইতে পারতেন। দ্বিতীয়তঃ সচলায়তন কর্তৃপক্ষের সাথে এবং/অথবা লেখকদের সাথে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে আলোচনা করে একটা মিটমাটে আসতে পারতেন। সেটা না করে beating around the bush কেন করছেন সেটা বোধগম্য নয়।
বিচিন্তা এবং সচলায়তনের আদর্শগত মিল থাকতে পারে এবং আমরা বিচিন্তার মিত্র হতেও আগ্রহী। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, বোকা বন্ধুর চেয়ে, বুদ্ধিমান শত্রু ভালো। আমরা আশা করি আপনাদের বোধদয় হবে এবং আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আরো সুচিন্তিত হবে।
ধন্যবাদ।
সুহানের নামে আপনি সুকৌশলে একটা অভিযোগের গুলি ছুড়তে চাইলেন তাও অন্য সচলদের কাঁধে বন্দুক রেখে! এতোটা কাঁচা হলে কী করে হবে? আপনার অভিযোগটা হালে পানি পেতো যদি এমনটা বলতে পারতেন যে সুহান অন্যান্য সচলের সম্মানীর টাকা বিচিন্তা থেকে নিয়ে মেরে দিয়েছে! এটা যখন বলতে পারছেন না, তখন লেখা চুরি করার অপরাধে সুহানের কাছে আপনি, আপনারা পুরো বিচিন্তা গ্রুপ একবার না, বারবার ক্ষমা চাইতে বাধ্য। কেনো বলেন তো! চুরির জন্য। আপনি সুহানকে তার প্রাপ্য সম্মানী দিয়েছেন বলেই আপনাদের করা চুরিটা জায়েজ হয়ে যায় না!
এই চুরির সাফাই গেয়ে আপনাদের কথাবার্তা, বিচিন্তায় লেখা চিন্তাকর্ষক কলাম এখন বিরক্তির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ভাঁড়ের ভাঁড়ামির মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে যেমন বিরক্তি জাগে, অনেকটা সেরকম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধু-র, এই ফাউলগুলোর সঙ্গে এতো কথা বাড়িয়ে সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয়?
বাংলাব্লগে আমরা একসময় ছাগু অভিহিত একদল মূর্খকে নূন্যতম আইকিউ প্রদান করার চেষ্টা করেছি, এতে আমাদের কারোই লাভ হয় নি, মাঝখান থেকে সময় নষ্ট হয়েছে।
আমি প্রস্তাব করছি, এ ব্যাপারে কথাবার্তা এখানেই ইতি টানা হোক। বিচিন্তার সার্কুলেশন সচলায়তনের একদশমাংশও হবে কি না সন্দেহ, এসব বিগত যৌবনা আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় কে কী লিখল, এসব বিষয়ে আর সময় নষ্ট না করাই উচিত।
বিচিন্তা যদি আর লেখা চুরি না করে তাহলে ভালো, আর লেখা চুরি করলে তাঁদের সঙ্গে আদালতে কপিরাইট বিষয়ক কথাবার্তা বলাটাই যৌক্তিক হবে।
আহসানুল হাকিমরে কপিরাইট শেখানোর চাইতে চিড়িয়াখানার বান্দরদের সাক্ষরজ্ঞান শেখানো সহজ হবে, সেটার সংবাদ মূল্যও বেশি।
সুহান রিজওয়ান যদি মানহানির মামলা করতে চান, তাহলে সচলায়তনের পক্ষ থেকে তাকে সাহায্য করা হোক। আমার নামে এই নিউজ হলে আমি বিষয়টা আদালতে নিয়ে যেতাম।
নতুন মন্তব্য করুন