দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য ভোট দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হলো। ভোটের বিশ্লেষণ এবং প্রথম রাউন্ডের বিজয়ীদের নাম সংযুক্ত।
এই রাউন্ডের ভোটের বিশ্লেষণঃ
এই রাউন্ডে মোট ভোট দিয়েছেন ৭৭ জন
* অস্ট্রেলিয়া ৬৯ -- ৮ নিউজিল্যান্ড
* বাংলাদেশ ৭৮ -- ১ আয়ারল্যান্ড
* শ্রীলংকা ৭০ -- ৭ পাকিস্তান
* ভারত ৬৪ -- ১৩ ইংল্যান্ড
* কানাডা ৬ -- ৭১ জিম্বাবুয়ে
* হল্যান্ড ৬ -- ওয়েস্ট ইন্ডিজ
* শ্রীলংকা ৭৬ -- ১ কেনিয়া
* মোহাম্মদ আশরাফুল খেলবেন কি? হ্যাঁ ৫০ -- ২৭ না
* বাংলাদেশ দল ৮৭ রান বা তুল্য ব্যবধানে জিতবে? হ্যাঁ ২৬ -- ৫১ না
* এই রাউন্ডে মোট কয়টি সেঞ্চুরি হবে? ০-৩ > ২৯, ৪-৬ > ৪৩, ৭-৯ > ২, ৯+ > ২
প্রথম রাউন্ডের বিজয়ীদের তালিকাঃ
ron, জ্বীনের বাদশা, কাজী তাসনীফ ইসলাম, অদ্রোহ, Guru Vai, Wahiduzzaman, debashish, zuko, হিমু, ষষ্ঠ পাণ্ডব, hasan, prodip, Sazid Raihan, upal, মাহমুদ হাসান সানি, ওসিরিস, রাসেল কবীর, অবাঞ্ছিত, godhuli_1985, salman, শান্তনু বণিক, আহসান, কাঠপুতুল, nsaimun, onnajagat, Anup Talukder, kaktarua, আনোয়ার সাদাত শিমুল, A. H. M. Shaqlain, Naren, পুরুজিত
আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন।
---------------------------------------------------------------------------------
সময় হয়ে এলো বিশ্বকাপ প্রেডিকশন গেম-এর ২য় রাউন্ড শুরু করার। বরাবরের মতো এই রাউন্ডেও ৭টি খেলার ফলাফল আন্দাজ করতে হবে। খেলার নিয়ম পূর্বের মতোই আছে, তবে এই রাউন্ডে যোগ হয়েছে কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্ন।
নিয়মাবলিঃ
এই রাউন্ডে খেলার ফলাফল অনুমানের পাশাপাশি বাড়তি ৩টি প্রশ্ন রাখা হয়েছে আপনাদের কাছে। প্রথম প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যেকোনো আলোচনার অপরিহার্য অংশ -- মোহাম্মদ আশরাফুল প্রথম একাদশে স্থান পাবেন কি না? কেউ বলছেন বড় আসরে বড় মাপের খেলোয়াড়কে দলে না রাখে ঝুঁকির। কেউ বলছেন আশরাফুলের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ সামগ্রিক ভাবে অনেক ভালো খেলে। এই প্রসঙ্গে আপনার মতামত কী?
দ্বিতীয় প্রশ্নটিও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ঘিরেই। ভারতের দাপুটে ব্যাটিং-এর ফলে বাংলাদেশ নেট রানরেট বিচারে বেশ নাজুক অবস্থায় আছে। আপাতদৃষ্টে দুর্বল প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে কি? বাংলাদেশ কি টুর্নামেন্টে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে দ্রুত রান তুলবে, নাকি গত বিশ্বকাপের অঘটনের পুনরাবৃত্তি এড়াতে রয়েসয়ে খেলবে?
তৃতীয় প্রশ্নটির সাথে পিচ ও প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা জড়িত। ব্যাটিং সহায়ক পিচ ও অন্য যেকোনো আসরের চেয়ে বেশি অ্যাসোসিয়েট সদস্যের উপস্থিতি বিবেচনায় এই রাউন্ডে কয়টি সেঞ্চুরি হবে বলে আপনি অনুমান করেন? কোনো বিশেষ খেলায় রানের ফুলঝুড়ি প্রত্যাশা করছেন কি?
প্রথম রাউন্ডে মোট ১২২ জন অংশ গ্রহণ করেছেন। রাউন্ড শেষে প্রথম রাউন্ডের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে সচলের পাতায়। প্রতি রাউন্ডে নতুন করে বিজয়ীর ক্রম হিসাব করা হবে। অতএব, দেরিতে হলেও অংশ নিতে কুণ্ঠিত হবেন না :)।
সচল থাকুন, সচল রাখুন।
মন্তব্য
নাহ, সন্দেশের ভাবমূর্তি খ্রাপ। সবাই দেখি চুপচাপ নিজের মতো ভোট দিয়ে সারা। ভাবলাম ক্রিকেট নিয়ে মজার আলাপ পড়বো কিছু...
এই রাউন্ডে অবশেষে কিছু ভালো/সুষম খেলা দেখতে পাচ্ছি। হুদাই ভারতের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সাড়ে তিন হালি দল নিলো টুর্নামেন্টে। এবারে আর "বড় দল এক খেলায় হেরে গেলে" ধরা খাওয়ার অবস্থা নাই। একদিন ভোর সাড়ে তিনটা থেকে খেলা দেখেই কি পরের দিন আবার ১২টায় ঘুমিয়ে যাওয়া যায়? বাংলাদেশ-ভারত খেলা দেখার পর টানা ৩টা এক-তরফা খেলা গেল। আগামী দুই দিনও একই অবস্থা। সপ্তাহে গড়ে আড়াইটা ভালো খেলা দেখার জন্য ঘুমের উপর এমন অত্যাচার পোষায় না।
খেলার ফলাফলের অংশে ভোট দিলাম -- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ইংল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা। স্রেফ আগের খেলার ক্ষোভ থেকেই ইংল্যান্ড দাগালাম।
এবারে আসল(!) প্রশ্ন। আমি মনে করি আশরাফুলকে খেলানো উচিত, তবে মনে হয় না আগের ম্যাচের ভালো ব্যাটিং-এর পর এই পরিবর্তন আনা হবে। সবাই পোলাটারে অনেক গালি দেয়। খেলা জিতলে দলের বাইরে থাকার জন্য সাধুবাদ দেয়। তবু আমি চাই দলে আশরাফুল থাকুক। "কনসিস্টেন্সি" নেই, ঠিক। কিন্তু বিশ্বকাপে তো আর কনসিসটেন্সি দরকার নাই। প্রয়োজনের দিন জ্বলে উঠতে পারাটুকুই আসল। তামিম আর সাকিব বাদে আর কাউকে দেখলে মনে হয় না যেকোনো মুহূর্তে একটা বড় ইনিংস খেলতে পারে। ইমরুল, জুনায়েদ, রকিবুল, মুশফিক, রিয়াদ, নাঈম... এদের কারও মধ্যেই "এলিমেন্ট-অফ-ফিয়ার" দেখি না। এরা খেলতে এলে বাউন্ডারির প্রত্যাশা মন থেকে চলে যায় একদম। তামিম-সাকিবের বাজে দিন গেলে আর কোনো ম্যাচ-উইনার নেই। না আছে মাশরাফি, না আছে আশরাফুল।
যেদিন দলের সবাই ভালো খেলবে, সেদিন আশরাফুলকে প্রয়োজন পড়বে না। তাকে ছাড়াও দল ভালো ভাবেই উৎরে যাবে। তবে খেলাটা মিডিওকার খেলোয়াড়ের সামর্থ্যের বাইরে চলে গেলেই আর আশা করতে পারি না। ফুটবল বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মতো অবস্থা হয় কি না, সেটাই বড় ভয়। একদল মিডিওকার সামষ্টিক ভাবে ভালো পারফর্ম করছিলো দেখে রোনালদিনহোকে স্কোয়াডেই রাখলেন না ডুঙ্গা। ক্রাঞ্চ ম্যাচে এরকম একজন ম্যাচ-উইনারের অভাব খুব স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো। একমাত্রিক খেলা হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় বেশ কাজে দিবে, কিন্তু ১১ জনের দলে মাত্র দুই জন ম্যাচ-উইনার রাখাটা একটু ঝুঁকির। যাক, জানি এই প্রসঙ্গে আমি স্রোতের বিপরীতে।
আমি মনে করি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত রানরেট তুলে আনার। তবে ৮৭ রানের ব্যবধান রাতারাতি ঠিক হবে না। বরং রয়েসয়ে খেলে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় অর্জন করাটাই গুরুত্বপূর্ণ বেশি। আয়ারল্যান্ড আমাদের জন্য বরাবরই একটা ট্র্যাপ দল।
মমমম... মনে হয় না ৩টার বেশি সেঞ্চুরি হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলায় একটা হতে পারে, কিন্তু বাকি খেলাগুলোর দল খুব সুষম।
আপনি নকল সাপ্লাই দিচ্ছেন কেন? -রু
লোকে পত্রিকায় "চোতা" বিলাচ্ছে, অধম অনলাইনে লিখলেই যত দোষ... :'( ধুরো, খেলুম না আর!
আশরাফুল প্রশ্নে আপনার সাথে আছি। নাইম, মাহমুদুল্লাহ দুইজন খেলানোর চেয়ে একজনরে বাদ দিয়ে অবশ্যই আশরাফুলরে খেলানো উচিত। নাইম/মাহমুদুল্লাহ সম্পর্কে আমার অভিমতঃ এরা নামে ৭/৮ এ, কিন্তু শট খেলতেও পারে না, সিঙ্গেলসও নিতে পারে না।
বাংলাদেশ জিতুক আগে। তারপর রানরেট এর চিন্তা। আমি এই খেলায় টস এ জিতলে ফিল্ডিং করতাম, টার্গেট আয়ারল্যান্ডরে ২২০ এ আটকানো। বোলারদের উপর আগের খেলায় যে ঝড় গেছে, এখনই তাদেরকে ২৫০/২৬০ এর মত রান ডিফেন্ড করতে দিতে সাহস হয় না। পোর্টারফিল্ড একটা কী-ফ্যাক্টর। ওর জন্য আলাদা হোমওয়ার্ক দরকার। আর ভারতের জন্য এখন শুধু দোয়া যাতে তারা বাকি দলগুলারেও ১০০-১৫০ রানে হারায়।
সেঞ্চুরি হইব মনে হয় বেশ কয়েকটা। তামিমের একটা আশা করতেছি। দেখা যাক।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
শুধু পোর্টারফিল্ড না, আমি এড জয়েস-কে নিয়েও চিন্তিত। ভালো ব্যাটসম্যান। নাঈম-রিয়াদ দুই জনেই ইউটিলিট প্লেয়ার। দুই জনকেই একই সাথে নেওয়ার অর্থ দেখি না। আমি ভাবছিলাম আশরাফুল বাদ গেলেও এদের একজন খেলবে, সাথে খেলবে শুভ্র। ৩ জন বাম হাতি বোলার থাকলেও তাদের বোলিং-এর ধরণ ভিন্ন। নাঈম-রিয়াদ অনেকটা একই রকম।
টস নিয়ে এত দ্বিমত... মনে হয় আগামী খেলার আগে সবাইকে অন-রেকর্ড রাখতে হবে কে টস জিতলে কী করতো তা বলে রাখতে। বিশেষ করে উৎপাত শুভ্রর মতো ছাগলদের।
গ্রুপের অন্য দলগুলোর ফলাফল কী চাবো তা এখনও বুঝতে পারছি না। কোনো একটা দল নিরংকুশ ভাবে ভালো করে অন্য সবাইকে হারাক, নাকি সবাই সবাইকে হারাক -- কোনটা ভালো জানি না এখনও। আরও কিছু খেলা গেলে বুঝা যাবে...
আশরাফুলকে নিয়ে যে রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের সুস্থ চিন্তার প্রকাশ ঘটছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রথম আলোর এই রিপোর্টটিতে। বোঝাই যাচ্ছে উৎপাত শুভ্রর আশুপ্রীতি এখন একটা অনিরাময়যোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। দলে কখন কাকে সুযোগ দেয়া হবে সে সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর ছেড়ে দেয়াটাই মনে হয় সবার জন্য মঙ্গল হতো।
ইশতি ভাইয়ের সাথে পূর্ণ সহমত।
কুটুমবাড়ি
উৎপল শুভ্রের অতি-সাংবাদিকতা নিয়ে বিরক্তি তো আজ নতুন না। তবে, যা অসহনীয় লাগছে তা হলো বিশ্বকাপের মাঝখানে অধিনায়কের বিরুদ্ধে এমন জিহাদ ঘোষণা করা। এই আহাম্মকের বিরুদ্ধে জোরে-শোরে প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।
এই নাটকের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আশরাফুল। যে যেমনই খেলুক না কেন, লাল-সবুজ জার্সির প্রতিটা খেলোয়াড় আমাদের পূর্ণ সমর্থন পাবে। বিশ্ব আসরে আমাদের দলের ঘাটতিগুলো গ্যালারি থেকে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে সমর্থকরা। সাকিব নিজেই বলছিলেন দর্শকদের অভূতপূর্ব সমর্থনের কথা। আশরাফুলও খেলতে নামলে দর্শকদের সমর্থন পাবেন। উৎপল শুভ্রদের কারণে অহেতুক আশরাফুলকে সতীর্থ ও সমর্থকদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। আলু পেপারের উপরের রাগ অনেকেই গিয়ে ঝাড়ছে আশরাফুলের উপর।
দূর্নীতি করলাম! পত্রিকায় এসেছে বাঁশরাফুল পরের ম্যাচে খেলবে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সাবধান। আলুর মনগড়া রিপোর্টও হইতে পারে শুধুমাত্র টিম ম্যানেজমেন্টরে চাপে ফেলানোর জন্য।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আশরাফুল প্রসঙ্গে সহমত জানানোর জন্য লগাইলাম ... মাহমুদুল্লার বদলে আমি আশরাফুলকে নেয়ার পক্ষে ... লাভ হবে কিনা জানি না, কিন্তু লস নাই ...
আশরাফুল একটা ম্যাচ জিতাইলেও সেটা গোটা টিমের লাভ ... আর খারাপ করলে ওয়ার্ল্ডকাপের পর আশুকে বহিষ্কার করে আবার ফ্রেশ স্টার্ট দেয়া যাইতে পারে ...
আমি আশরাফুলকে দলে নিবার সাথে একমত না।
ভাই যে বছরে একদিন খেলে তারে দলে না নেওয়াই ভাল। কারন বাকি ৫ তা ম্যাচ আশরাফুল এর ভাল না খেলার সম্ভাবনা বেশি। তাহলে কেন পরীক্ষীত খেলোয়ার বাদ দিয়ে আশরাফুলকে নিব?
আমি আশরাফুলকে দলে রাখতে চাই। তবে এই শর্তে যে সে যেদিন একটা ভালো/ম্যাচ-উইনিং ইনিংস খেলবে তার পরের ম্যাচে তাকে বাদ দিতে হবে।
তাহলে তার পাছাভারী হবার কোন চান্স থাকবে না
প্রথম রাউন্ডে আমার প্রত্যেকটা ভোটই মিলে গেছিল, তাও লিস্টে নাম দেখি না ক্যান? ভোটগুলান শেষমেষ জমা পড়ে নাই নাকি?
হুররে... আমি জিতছি...জীবনে প্রথম ফ্যান্টাসি গেমে জিতলাম...
prodip
খেলুম না! আমার নাম কৈ?
পোস্ট প্রকাশের পর একবার ডেটাবেজ রিসেট করা হয়। সেই সময়ে কারও ভোট মুছে গিয়ে থাকলে দুঃখিত। সচলায়তনে পোস্ট করার আগের সব ভোট মুছে দেওয়া হয়েছিলো টেস্ট-কেস বিবেচনা করে।
নতুন মন্তব্য করুন