প্রিয় সচল, অতিথি ও পাঠকবৃন্দ,
যদিও সচলায়তনের যাবতীয় সুযোগ এর পূর্ণ ও অতিথি সদস্যদের জন্যে নিবেদিত, আলোচনার বিস্তার ও মিথষ্ক্রিয়ার বৈচিত্র্যের কথা ভেবে আমরা সচলায়তনের দীর্ঘ পরিক্রমায় বরাবরই অসদস্যদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করেছি। এর ধারাবাহিকতায় আমরা অসদস্যদের জন্যে "অতিথি লেখক" নামে একটি উন্মুক্ত অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছি, এবং কোনো ধরনের নিবন্ধন ছাড়াই সচলে মন্তব্যের সুযোগ রেখেছি।
সচলের সদস্যরা তাঁদের নিজ পরিচয় নিয়েই সচলায়তনে লেখেন। তাঁদের লেখা প্রায়ই বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আকর্ষণ করে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই প্রতিকর্তাদের অনেকেই নিজ পরিচয় প্রকাশে আগ্রহী কিংবা সাহসী নন। তবে পরিচয়হীনতার আড়ালের সুযোগ নিয়ে তাঁদের অনেককেই অত্যুৎসাহী আচরণ করতে দেখি আমরা। আমরা মনে করি, সচলায়তনে কোনো কিছুর সপক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলার জন্যে পরিচয় গোপনের কোনো প্রয়োজন নেই। যদি প্রয়োজন দেখা দেয়, মডারেটরদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সে সুযোগ সীমিতভাবে প্রদান করা যেতে পারে। কিন্তু নামহীন বা অসত্য পরিচয়ে সচলায়তনে আলোচনার সুযোগ আমরা রহিত করতে চাই। সে সাথে আমরা এ-ও পরিষ্কার করতে চাই, সচলায়তনে নিবন্ধিত নিককে আমরা নামহীন বা অসত্য পরিচয় বিবেচনা করছি না। একটি সুনির্দিষ্ট পরিচয় (সেটি নাম বা নিককেন্দ্রিক হতে পারে) এবং একটি কার্যক্ষম ইমেইল ঠিকানার বিপরীতে একজন বাস্তব ব্যক্তির অস্তিত্ব আমরা নিশ্চিত করতে চাই শুধু।
এখন থেকে সচলায়তনে কোনো অনামা মন্তব্য বা লেখা প্রকাশিত হবে না। অনামা মন্তব্য প্রকাশের প্রবণতা রোধ করার জন্য "অতিথি লেখক" অ্যাকাউন্টে মন্তব্যের সুযোগ রহিত করা হলো। কোনো অ্যাকাউন্টে লগ-ইন না করেই সচলায়তনে মন্তব্য করা সম্ভব, সেই সুযোগটি সকল অসদস্যদে গ্রহণ করার অনুরোধ করা হচ্ছে।
অসদস্য ও পাঠকদের কাছ থেকে আমরা বরাবরই স্বতস্ফূর্ত, পরিচ্ছন্ন ও যুক্তিসিদ্ধ অংশগ্রহণ চাই, আর তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপটি উপযোগী হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সচল থাকুন, সচল রাখুন।
মন্তব্য
ভালো উদ্যোগ
...........................
Every Picture Tells a Story
বেশ ভালো ব্যাপার। নাম ছাড়া লেখা/মন্তব্য দেখতে ভালো লাগত না।
ধন্যবাদ সন্দেশকে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগের জন্য।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ভালো উদ্যোগ।
সাথে সাধুবাদও
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
বোধকরি বুয়েটিয়ানদের আচরনের কারনেই সচল এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে । কিন্তু একটা কথা বলতে চাই,আসলে বুয়েটিয়ানদের জন্য তর্ক বিতর্ক আলোচনা করার জন্য বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া আর কোন মাধ্যম নেই । ফেসবুকেও আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না নানা কারনে । এই কারনেই হয়তো তারা বাধ্য হয়ে সচলে এসে কথা বলে ।
নতুন নিয়মে আমি আমার লেখার উপর করা মন্তব্যের জবাব দিতে পারছি না। আপনার পরামর্শমত লগ আউট করে চেষ্টা করলাম, বলছে আপনি একজন রেজিষ্টার্ড নাম ব্যবহার করছেন।
উপায় বাৎলে দিন ভাই। ধন্যবাদ।
উপরে দেখুন। এখানেও নাম খানিক কমিয়ে রেহাই পেলাম।
খন্দকার আলমগীর হোসেন
একটু খটমটে হয়ে গেলো কি ??
মন্তব্য/পোষ্ট করা না গেলে সচল হওয়ার উপায় কি? মনে হয় কিছু একটা ভুল বুঝছি...
আমার নামে মন্তব্য করতে গেলে বলেঃ "The name you used belongs to a registered user." কি করব?
লগিন করলে মন্তব্য করা যায় না
-
বঙ্গসন্তান
আমি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করি এটা একটা সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
সচলের সাথে এতদিন আছি বলে যখন কেউ বলে তার বা তাদের বন্ধুদের মন্তব্য প্রকাশিত হয়না-- সেটা শুনতে আমার খুবই খারাপ লাগে। ইতোপূর্বে কাউকে কাউকে আমি সরাসরি জানতে চেয়েছি তাদের কোন্ মন্তব্য প্রকাশিত হয়নি সেটা আমাকে জানাতে। কিন্তু কেউ তার জবাব দিয়েছেন বলে মনে করতে পারছি না।
এর সাথে একটি বিষয় আমি প্রস্তাব করছি (যদি ইতোমধ্যেই সেটি না থেকে থাকে)
- সচল নন এমন কেউ মন্তব্য করার সময় তাদের নাম এবং ইমেইল ঠিকানা দিয়ে থাকেন। সেই নাম/ইমেইল/আইপি কারা কারা দেখতে পায় (অর্থাৎ সচল/হাচল/মডু/অন্যকেউ) বা সেগুলো দিয়ে সেই মন্তব্যকারীকে সনাক্ত করা যাবে কি-না সে বিষয়টি পরিস্কার ভাবে লিপিবদ্ধ থাকা দরকার। সনাক্ত করা গেলে সচল/হাচল/মডু-দের মধ্যে কারা কারা সেটি করতে পারে সেটিও স্পষ্ট করে জানানো ভালো।
-সচলায়তন যেহেতু আন্তর্জালে একটি অবস্থান করে নিয়েছে তাই এই দিকটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার। প্রয়োজনে আইনজ্ঞের সাথেও পরামর্শ করা যেতে পারে (অর্থনৈতিক বিষয় জড়িত)।
উদ্যোগ ঠিকাছে। কিন্তু সমস্যার পুরো সমাধান এতে হবে না (আংশিক হলেও হতে পারে)। কেনো হবে না বলছি এইজন্য যে উপরে একটা মন্তব্য এসেছে "জনৈক বুয়েটিয়ান" নিকে। আমি এই নিকের বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। তবে এই নিকটা "অতিথি লেখক" নিকের চেয়ে কোনো দিক দিয়ে বেশি পরিচয় বহন করে না। অতিথি লেখক নিকে যেমন একশ জন মন্তব্য করতে পারতো, এখন জনৈক বুয়েটিয়ান, জনৈক এনএসইউয়ান, জনৈক ঢাবিয়ান, জনৈক জাবিয়ান নিকেও পাইকারী দরে মন্তব্য আসতে পারে। টেকনিক্যালি এই নিকগুলোতে আপত্তি জানানোরও কিছু নেই। কিন্তু আড়ালে থেকে মন্তব্য করার সমস্যাটা যেটা আগে ছিলো, সেটা থেকেই যায় এতে।
শুধু অতিথি লেখক একাউন্ট রহিত করে অত্যুৎসাহী আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। মন্তব্যকারীদের আরেকটু দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করতে হবে। সেটা হতে পারে ইমেল এ্যাড্রেস প্রকাশ করে, হতে পারে ফেসবুক আইডির লিংকের অপশন রেখে। পাবলিকলি সেগুলো প্রকাশিত করতে সমস্যা থাকলে সেটা কেবল মডুদের জন্য দৃশ্যমান হলেও চলবে। মন্তব্যকারী যেই হোন, সচলায়তনের কাছে তাঁর পরিচয় শতভাগ ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে। এটাই মূলকথা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জনসম্মুখে প্রকাশ করা ঠিক হবে না। আর মডুদের কাছে তো অবশ্যই প্রকাশিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে আমার উপরের মন্তব্যে উল্লিখিত বিষয়টাতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকুকেই হাইলাইট করছি পিপিদা। মন্তব্যে একজন অতিথি'র আতাপাতা'র খুব বেশি অংশ বোধ'য় প্রকাশিত থাকে না। কেউ যদি মন্তব্যে নিজের ইমেইল যোগ করে দেয়, তাহলেই কেবল সেটা আমাদের (সচল, হাচল এবং অন্যান্য অতিথি) নজরে আসে। আইপি এড্রেস দেখার এখতিয়ার (যদি থাকে) খুব সম্ভবত কেবল মডু আর ডেভুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। হাচল তো নয়ই, পূর্ণ সচলেরাও এমনকি নিজের আইপি-ও দেখতে পান না।
তো এমনই কিছু একটা'র কথা বলছিলাম আমার মন্তব্যে। যেখানে বাধ্যতামূলক পরিচয় হিসেবে ফেসবুকের ঠিকানা দিতে হবে (এই জিনিস সচলে মন্তব্যেচ্ছুক কারো নাই, এটা বিশ্বাস করা একটু কষ্টকরই বটে!) যেটা দৃশ্যমান থাকবে কেবল মডু এবং ডেভুদের কাছে। অন্যকারো সেই তথ্যে এক্সেস থাকার দরকার নেই। শুধু মন্তব্যকারীর পরিচয়টা সচলের টপ লেভেলে খোলাসা থাকলেই হলো।
সবকিছুই চলবে আগের মতো। মিথষ্ক্রিয়াও থাকবে। সচলত্ব প্রাপ্তিতেও কোনো ঝামেলা থাকবে না নতুন কারো। শুধু একটা তথ্য 'অবশ্যই' দিতে হবে সচলায়তনকে। সচলায়তনের সাথে যিনি নিজেকে জড়াতে চাইছেন, সচলায়তনের অংশ হিসেবে নিজেকে ভাবতে চাইছেন, এইটুকু নিশ্চয়ই আশা করা যায় তাঁর কাছে।
কিন্তু, শুধু অতিথি একাউন্ট অকার্যকর করে দিয়ে কোনো লাভ হবে না। অতিথি একাউন্ট খোলা রেখেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দ্রুপালে অল্পকিছু অভিজ্ঞতার আলোকে আমি জানি অতিথি একাউন্ট খোলা রেখে মন্তব্যে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। কারণ অতিথি লেখক হিসেবে মন্তব্য করলে সেখানে ইমেইল ঠিকানা দেয়া (সম্ভবত) বাধ্যতামূলক করা যায় না। সেক্ষেত্রে মহামান্য অতিথির ইচ্ছার উপর নির্ভর করে উনি তার নিক-পরিচয় এবং ইমেইল দিবেন কি-না।
তাই উদ্যোগে আমি সমর্থন করছি। তবে একটা কথা অনস্বীকার্য যে কেউ যদি ফেইক ইমেইল আইডি দেয় সেক্ষেত্রে কিছু করার নাই। সেক্ষেত্রে মডুরা যেটা করতে পারে মন্তব্য ছাড়ার আগে ইমেইল আইডিকে ভিজুয়ালি ভেরিফাই করে নেয়া। অর্থাৎ কেউ যদি
ঠিকানা দেয় তারটা নিশ্চয়ই ফেক, এবং এরকম মন্তব্যকারীর মন্তব্যের ইন্টেনশনই সম্ভবত এই পোস্টের উদ্দেশ্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
এটা করলেই চলবে। তবে অতিথিদের অবশ্যই একটা ইমেইল ঠিকানার বিপরীতে আসতে হবে। আমার মনে হয় সচলের স্বার্থেই এমনটা করা দরকার। কারণ, আমি সচল হিসেবে মন্তব্য করে দার দায় নিচ্ছি, অন্যে যে কেউ ইচ্ছামত মন্তব্য করলে তার দায় নেয়ার কেউ থাকা দরকার
তবে অন্যদের মতামতও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও পোস্ট পড়ে মডুরা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন মনে হচ্ছে।
এ ব্যপারে আমি আগেও একবার বলেছিলাম, আরেকবার বলি। নন-মডু একাউন্ট থেকে আইপি/পরিচয় সংক্রান্ত কথাবার্তা আসা অস্বস্তিকর। এ ব্যপারটা সচল/হাচলদের উদ্দেশ্য মডুদের খোলাসা করা উচিত
কথাবার্তা মানে যদি হয় আলোচনা, সেটা তো নন-মডু একাউন্ট থেকে চলতেই পারে সাফি। কিন্তু কথাবার্তা মানে যদি সিদ্ধান্ত হয়, সেটা অবশ্যই নন-মডু একাউন্ট থেকে আসা কাম্য না। উপরের মন্তব্যগুলোতে কোনো সিদ্ধান্ত আসে নি। যতটুকু কথা উঠেছে সেটা আলোচনার স্বার্থে। এটাতে অস্বস্তিতে ভোগার কোনো কারণ আছে কি! সবকিছুতে মডুদের ডাকলে কেমনে? তঁদেরও তো বউপোলাপান আছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার অস্বস্তির কারণ হলে আমি দু:খিত। তবে ভবিষ্যতেও আমি এরকম মন্তব্য করতে পারি। আমার কাছে অস্বস্তিকর লাগে না। আমি ঠিক বুঝতেও পারছি না, আইপি/ইমেইল এসব নিয়ে আপনি ঠিক কেন অস্বস্তি পেলেন।
এটা ওপেন প্ল্যাটফরম হেতু আমার মতামত দেয়ার সুযোগের সদ্ববহার করেছি মাত্র মডুরা নিষেধ করলে অবশ্য এই আলোচনা করতে পারবোনা।
আমি আসলে বোঝাতে পারিনাই। ধরা যাক ক একজন মডু, এবং আমি একজন অতিথি(খ)। এখন ক যদি কোন মন্তব্যের জবাবে বলেন যে তুমি তো মোকলেস এখন কেন নাম ভাঁড়িয়ে খ নামে মন্তব্য করছ? তখন আমার কাছে মনে হবে, (আমি মোকলেস হই বা না হই এবং থিওরিটিক্যালি/প্র্যাকটিক্যালি প্রমাণের উপায়ও নেই যে আমি মোকলেস) ক আমার আইপি দেখল কিভাবে? যেহেতু সচলে রঙিলা মডু প্যানেল রয়েছে, আমি আশা করব আমার আইপি বা এ সংক্রান্ত তথ্য যে মডু বাদে অন্যরা না পায়। অন্যরা যদি পেয়ে থাকে সেটা সচলের প্রাইভেস পলিসির সাথে কিভাবে যায় - সেটা আমার অস্বস্তির কারণ। আর আমার মন্তব্য থেকে যদি কোন সদস্যের মনেই হয় আমি সকপাপেট তাহলে তার জন্য contact এ যোগাযোগ করে অভিযোগ জানানোর রাস্তাতো খোলাই আছে।
আরেকটা ব্যপার হল অতিথির মন্তব্য মডারেশন পার হয়েই আসে। সুতরাং এই অভিযোগ মন্তব্যে করার আগে, মডারেটর মন্তব্য ঘ্যাচাং করে দিলেই পারেন।
আমার মনে হয় এ কারণে একটা সুস্পষ্ঠ প্রাইভেসি পলিসির প্রয়োজন
আগের মন্তব্যের
অংশটুকু আরো কয়েকবার পড়ে আমার মনে হচ্ছে সচল হিসেবে আসলেই এসব বিষয় নিয়ে আমার আলোচনা করা ঠিক নয়। আমি এর আগেও এরকম আলো্চনার অবতারণা করেছি, কিন্তু এখন থেকে হয়তো আর করবো না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
পিপিদার মন্তব্যের জবাবে বলেছি বস।
একজন "অসদস্য" হিসেবে মন্তব্য করি
অতিথি নিকে মন্তব্য বন্ধ করা এক দিক দিয়ে ভালই, অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত (এবং কাঙ্ক্ষিত) ভুলবোঝাবুঝি এড়ানো যায়। আর রেজিস্টার করে নিলে যদি সেই নিক দিয়ে লেখা যায়, তাহলে আর অসদস্যদের আপাতত অভিযোগ করার কিছু নেই বলেই মনে হয়।
তবে এতে মূল সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হচ্ছেনা, আর যদ্দুর মনে পড়ে, ডেভুরা একবার ফেসবুক ফিচারের কথা ভেবে তারপর সেটা আবার স্হগিত করেন।
"মডুর কাছে কিছু গোপন তথ্য উন্মুক্ত থাকবে (যেমন: ফেসবুক আইডি)" --এটা করার আগে আরেকবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই। যদিও জানিনা যে এখনইবা কতটুকু উন্মুক্ত থাকে
আর নিবন্ধিত যারা মন্তব্য করতে পারছেন না, তার মনে হয় আপাতত নামের শেষে একটা ১ বা এই জাতীয় কিছু লাগিয়ে মন্তব্য করতে পারেন, শেষবার সচলায়তন আপগ্রেডের পর থেকে এটাই করছি। এক "প্রখ্যাত ডেভু"কে জিজ্ঞেস করে নিছি, তাই কিছু হইলে উনার দোষ।
সময়োপযোগী উদ্যোগ।
এতেও কিছু সমস্যা থেকে যাবে - ধুগো'দার মন্তব্যে এবং তাঁর প্রস্তাবনায় সহমত।
ঠিকাছে।
ঠিকাছে।
ভালো উদ্যোগ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
উদ্যোগ পছন্দ হয়েছে। আরেকটা উদ্যোগ নেয়া যায়- কোনো রোমান হরফে লেখা বাংলা কমেন্ট পাবলিশ না করা
সহমত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
'ভট' দিলাম
কিন্তু আমরা যারা অতিথি তাদের এখন "Captcha" পার হয়ে আসতে হয়। আর এটা খুবই বিরক্তিকর একটা ব্যাপার। এ ব্যাপারে মডুরা একটু চিন্তা করে দেখবেন বলে আশা করছি।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ফেইসবুক লগইনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল একসময়। সেটা চালু করা যেতে পারে।
ভালো উদ্যোগ
অনেক কারনেই নাম প্রকাশ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। এমন কোন কিছু কি করা যায়, যাতে আমার পরিচয় শুধু মডারেটরদের কাছেই প্রকাশিত হবে। আর অন্য কেউ সেটা অ্যানোনিমাস হিসেবেই দেখবে
আচ্ছা, ঠিকাছে।
****************************************
সুপ্রিয় দেব শান্ত ভাইয়া ও guest_writer (যাচাই করা হয়নি) এর সাথে একমত।
ঠিক আছে।
ধুগোদার মন্তব্যের প্রস্তাবনাও ভালো। তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় যে ফেসবুক বা এমন সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের উপর বেশি নির্ভরশীলতা না আনাই উত্তম, ১০ বছর পরের ভবিষ্যতেও অন্যান্য আরো সোশাল সাইটের ভিড়ে 'ফেসবুক' এমনই এফেক্টিভ থাকবে তা নাও হতে পারে, কিন্তু সচলায়তন অনেকদূর এগিয়ে যাবে সন্দেহ নেই। আমার মনে হয় নন-রেজিস্টার্ড ব্যক্তিরা মন্তবের সময়ে ই-মেইল আইডি দেয়া বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে, যদি সেটা করা যায় আরকি, যেটা শুধুমাত্র মডারেশন টিম বা তাঁরা ও সচল-হাচলেরা দেখতে পাবেন, বা এমন কিছু। যিনি সচলায়তন পড়ছেন, তাঁর অন্তত একটা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট আছে আছে এইটা আমরা ধরে নিতেই পারি (প্রসঙ্গত, অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার পছন্দ করেন না, কিন্তু জরুরি বা সমসাময়িক বিষয়ের উপরে কোনপোস্ট শেয়ার করলে তা পড়ে দেখেন, তাঁরা যদি নতুন তথ্য বা মতামত যোগ করতে চান, সেক্ষেত্রে ফেসবুক না থাকলে সমসা)।
তবে সব সময়ে কেউ একই আইডি ব্যবহার করবেন কিনা সেটা একটা ব্যাপার, কিন্তু ভুয়া আইডি (মানে তার পেছনে কোন তথ্য না পেলেও) সেটা একরকমের আইডেন্টিফিকেশন, মডারেটরদের ট্র্যাক রাখারও হয়তো একটা ব্যবস্থা থাকে যে ঐ আইডিটা থেকে কবে কখন কোথায় কোন্ কোন্ মন্তব্য হয়েছে, জানি না এরকম কিছু করা যায় কিনা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হয়তো কয়েকটা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে লগিন করার ব্যবস্থা থাকবে। অনেক সাইটে সে ব্যবস্থাই থাকে। ফলে এটা ঠিক নির্ভর করা না, সুবিধা নেয়া। তবে ইংরেজি বহু সাইট আছে, যেখানে তারা সচলায়তনের মতো করেই এখনো মন্তব্য নিচ্ছে।
এই পোস্টে যে ধরনের সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সচলায়তনের মন্তব্য নেয়ার ধরনটা কোনোভাবেই তার সমাধানের জন্য সহায়ক না। ঠিক এ ধরনের সমস্যার জন্যই সাইটগুলো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সুবিধা নেয়। বেনামী মন্তব্য আর উপরের guest_writer নিকের পার্থক্য কতটা? যে আগে বেনামে জ্বালাতো, সে এখন এরকম একটা সাধারণ নামে একটা বৈধ ইমেইল আইডি ব্যবহার করে জ্বালালে অন্তত বেনামে করা মন্তব্যের বিধিতে তো তাকে ঠেকানো যাবে না।
আগে ব্লগ লিখতে পারতাম না, বাংলা লিখতে পারতাম না তাই। এখন যাও টুকটাক লিখি বা মন্তব্য করি অনেক সময় লাগে টাইপ করতে। বেপক স্লো টাইপ স্পিড আমার। তার উপর আবার CAPTCHA পার হতে হয় নিজেকে মানুষ প্রমান করার জন্য। মানুষ প্রমানের জন্য যেই ধরনের পেচানো অক্ষর থাকে তা পার হতে হতে অনেক সময়ই মূল লেখাটা ডিলিট হয়ে যায়। এই যেমন, ইদানিং পুরো মন্তব্যটা কপি পেষ্ট করে তারপর সংরক্ষন বাটনে চাপ দেই। এর আগে কয়েকদিন আমার মন্তব্যগুলো আর ঠিক মত প্রকাশিত হয়নি। কারন, রেসেন্ড করলে ততক্ষনে মূল লেখাটা হারিয়ে যায়। বুঝতে পারছেন ভাই কত্ত কষ্ট?
তো এত্ত কষ্ট করেও যদি মন্তব্য প্রকাশিত না হয় তাহলে একটাই কাজ করা যায়। আর সেটা হল কমেন্ট করা বন্ধ করে শুধু পোষ্টগুলো পড়া।
নিয়মকানুন এত্ত কড়াকড়ি হলে লেখালেখির আগ্রহই তো হারিয়ে যাবে। আমাদের মত যারা অলস, তাদের জন্য কি কোনো শর্টকাট সিস্টেম আছে...এই মানে "সহজ উপায়"???
এই তথ্যপ্রবাহের অবাধ যুগে নাম লুকিয়ে মন্তব্য করাটা অবশ্যই ঠিক না। বৃহত্তর স্বার্থে সচলায়তনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
কিন্তু একটা জিনিস না বলে পারছিনা, কারো যদি মনে হয় সে তার আসল নাম দিয়ে লিখতে চাইছেনা এতে কি আসলেই বিরাট ক্ষতি? "বনফুল" বেঁচে থাকলে আজ বড় কষ্ট পেতেন। আমার নিজের ও মাঝে মাঝে আড়াল থেকে মন্তব্য করতে ইচ্ছা করে। প্রাইভেসি ব্যাপারটা তো যার যার নিজের মৌলিক অধিকার তাইনা???
আর ঘোষনাগুলো আমাদের প্রানপ্রিয় মডারেটর সচলেরা একটু নরম সরম ভাবে লিখলে আমাদের মত অতিথিরা সচলকে আপন আপন ভাববে।
এই ঘোষনাটা অনেক কাঠখোট্টা। পড়ে কেমন যানি পর পর মনে হয়।
পুনশ্চঃ "ভাই, আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত দিলাম, কেউ আবার বেনামে গালাগালি দিয়েন না প্লিজ!"
সচলায়তনের একজন সদস্য আর দ্রুপালের কাঠামো সম্পর্কে কিছু ধারণাসম্পন্ন একজন হিসেবে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সুযোগ নিতে চাই।
ক্যাপচা না দিলে সচলায়তনে বিপুল পরিমাণ স্প্যামের মোকাবেলা করতে হবে মডারেটরদের। সেগুলোর ভিড় হটিয়ে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করতে মডারেটরদের জনপ্রতি দেড় দুই ঘন্টা সময় লেগে যেতে পারে। সচলায়তনের মডারেশন স্বেচ্ছাসেবাভিত্তিক বলে শেষপর্যন্ত কষ্টটা পাঠকের ওপরেই গিয়ে চাপে। কারণ মডারেটররা অলস পাঠকের সুবিধার কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগত জীবনের দুই ঘন্টা সময় স্প্যাম কমেন্টের স্তুপ হটানোর কাজে ব্যয় করতে কেন যেন রাজি না।
আপনি যদি কোনো একটা ব্যাপারে সাগ্রহ অংশগ্রহণ করেন, নিশ্চয়ই আপনার মন্তব্যের মান এমনই হবে, যা মডারেশনে আটকা পড়বে না। বিপুল কষ্টসাধন করে আপনি যদি এমন কিছু লেখেন, যা প্রকাশযোগ্য নয়, বেলা শেষে তো হতাশাটা আপনারই বাড়বে, তাই না?
প্রসঙ্গটা ঠিক "আসল নাম"-এর নয়। একটা পরিচয়, যে পরিচয়ের সূত্র ধরে সচলায়তনে আপনার একটা স্টেইক থাকবে। সচলের সদস্যরা তো একটা পরিচয়ের সূত্রে স্টেইকহোল্ডার। ধরা যাক একজনের নিক "পরমকল্যাণবরেষু", যাঁর আসল নাম সচলে প্রকাশিত নয়। কিন্তু তিনি এই নিকের মাধ্যমে একটা পরিচয় অর্জন করেছেন, এবং এই নিকে প্রকাশিত লেখার আর মন্তব্যের দায় নিচ্ছেন। একটা স্থায়ী অংশীদারিত্ব এবং জবাবদিহিতাও তৈরি করেছেন। সচলায়তনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে এই দায়টুকু নেয়ার জন্যে আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সচলায়তনের পাঠকদের একটা অংশ পরিচয় লুকিয়ে ফোড়ন কেটে যাচ্ছেন অনেকদিন ধরে, যেখানে সচলের সদস্যরা নিজ পরিচয় এবং লেখার দায়ের ভার নিয়ে লিখে যাচ্ছেন। এই হানিমুন পিরিয়ড এখন শেষ। স্টেইকহোল্ডার হতে না পারলে বা না চাইলে সচলায়তনে লেখার তো কোনো দরকার নেই। যদি নিজেকে আড়াল করতে চান, এর একটাই অর্থ, মন্তব্যের দায় নিতে আপনি অনিচ্ছুক বা অসমর্থ। সেক্ষেত্রে সেই মন্তব্য করার সুযোগ হারালে ক্ষতি কী?
সচলায়তনের মডারেটরদের কথা আর বলবেন না। মিষ্টি কথা ব্যাটাদের মুখ দিয়েই আসে না। ইচ্ছা করে ব্যাটাদের ধইরা ... যাই হোক। তবে হ্যাঁ, সচলায়তনের বিচারে আপনি কিন্তু পরই। নিবন্ধন করেছেন কি? কোনো লেখা পোস্ট করেছেন? এর আগে মন্তব্য করেছেন? এসব করে না থাকলে আপনি একজন যথার্থ পর। নিবন্ধন করুন, লেখা দিন, নিয়মিত মন্তব্য করুন, আপন হয়ে উঠুন, সচল হিসেবে আহ্বান ও অনুরোধ।
আমি কিন্তু একটি কার্যক্ষম ই-মেইল আইডি থেকেই নিবন্ধন করেছিলাম গত বছরে। মন্তব্যে নাম/নিক প্রকাশে লুকোছাপার আশ্রয় নেইনা ভাই! তবে অনেক সময়ই নিজের নামটা উল্লেখ করতে ভুল হয়ে যায় স্বীকার করছি( ভীষণ লজ্জার ইমু হবে) কিন্তু ই-মেইল আইডি সবার জন্য প্রকাশের ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। এখন আমি যদি ই-মেইল এড্রেস না দেই তবে কী আমার মন্তব্য প্রকাশ করা হবেনা? বলে রাখা ভালো, একদিনের জন্য একটা ফেসবুক একাউন্ট খুলেছিলাম, এখন তার আতাপাতা কিছুই মনে নেই এরকম অবস্হায় আমার কী হবে মা তারা? আমাদের বেনোজল ভেবে আঁটকানোর মনোভাব থেকে যে সচল এমন উদ্যোগ নেয়নি এটা স্পষ্ট। তাই আমরা যারা রেজি: কৃত সদস্য( আমাদের পরিচয় কী সদস্য?) তাদের এই CAPTCHA কবল থেকে মুক্ত হবার পথ বাতলে দিলে আনন্দিত, সুখী এবং আহ্লাদিত হই। সচলের জন্য শুভকামনা।
আপনাকে একটা সমাধান দিতে চাই গায়ে পড়ে। পোস্ট লিখুন। তখন আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেটেড হয়ে যাবে। ক্যাপচার হাঙ্গামাও ফুরাবে। তবে এইটা আর কাউকে বলবেন না কিন্তু। একদম গুপ্পন ব্যাপার।
সবার সামনে বলে দিয়ে কওয়া হচ্ছে গুপ্পন ব্যাপার তবে আপনার পরামর্শ মেনে নিলাম, মনেও। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। নিজের গরিবি কেম্নে হটাই সেটা নিয়ে ভাবি এখন
মজা পাইলাম
নতুন মন্তব্য করুন