গত পাঁচ বছরে সচলায়তনের চলার পথে যাঁরা সঙ্গী হয়েছেন, তাঁদের মাঝে তরুণ গবেষকদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই তরুণেরা নিজেদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ফাঁকে ফাঁকে সচলায়তনে সমবেত হয়েছেন, লিখেছেন নানা ধরনের লেখা।
সচলায়তন এই তরুণ গবেষকদের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব রাখতে চায়।
আমরা আপনাদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র সম্পর্কে লিখতে দেখতে চাই। জার্নাল পেপারের রুক্ষশুষ্ক চুলচেরা সূক্ষ্মমাপের ভাষায় লেখা কঠিন গুরুপাচ্য লেখা নয়, আবার পত্রিকায় সিনেমাকেলেঙ্কারি যে গৎবাঁধা দায়সারা অর্ধশিক্ষিত প্রস্তরযুগীয় ভাষায় প্রকাশিত হয় সেই একই ভাষায় লেখা নয়, সহজ সরল সুপাচ্য চটুল সরস ভঙ্গিতে আপনারা লিখুন আপনাদের গবেষণা নিয়ে, কী করেছিলেন, কী করছেন, কী করতে যাচ্ছেন, কিংবা আপনার সহকর্মীরা কী করছে, সেসব জানান সচলায়তনের পাঠকদের।
এ ধরনের লেখার প্রয়োজন বহুমাত্রিক। প্রথমত, আমরা জানতে পারবো, সারা পৃথিবীতে এই তরুণ বাংলাভাষীরা জ্ঞানসাধনায় কী ও কতটুকু অবদান রাখছেন, এবং তা জানতে পারবো তাঁদেরই ভাষ্যে। পত্রিকায় যে অর্ধশিক্ষিত প্রদায়ক সিনেমা ও বিজ্ঞানকে একই পাল্লায় ওজন করে শব্দ মেপে লিখে কৃতী স্কলারের কীর্তি ও অভিনেত্রী নাটকের শুটিঙে কয় বাটি হালিম খেলেন তা একই ভঙ্গিতে আমাদের জানায়, সেই বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে এসে আপনাদের কাজ নিয়ে আপনারা নিজেরা লিখুন। আপনাদের লেখা পড়ে পাঠকেরা একই সঙ্গে নতুন সব বিষয়ের সাথে পরিচিত হবেন, তাঁদের মনোদিগন্ত বিস্তৃত হবে, সেইসাথে যে গভীর গোপন হীনমন্যতাবোধে ভুগে আমরা তুচ্ছ স্বল্প ন্যূনকেই দেবতাজ্ঞানে ভক্তি করে চলি, সেই হীনমন্যতাবোধ আপনারা ধুয়ে মুছে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবেন। আপনাদের নিয়েই তো আমরা গর্ব করতে চাই, আপনারাই এগিয়ে এসে জানান নিজেদের কথা।
দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক সব গবেষণা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে না ধরলে সেই গবেষণার সাথে সমাজের বিপুল অংশের তথ্যগত যোগাযোগ আর হয়ে ওঠে না। এই যোগাযোগের অভাবেই ছত্রাকের মতো বেড়ে ওঠে অপজ্ঞান ও অজ্ঞানতা। হেমন্তের সকালের রোদের মতো এক একটি লেখা দিয়ে পাঠকের মনের জমির আবছায়াটুকু দূর করার দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে। আপনাদের অর্জিত ও চর্চিত জ্ঞান শুধু জ্ঞানীদের মহলে কূজিত না হয়ে ছড়িয়ে পড়ুক সাধারণের মাঝেও, তাদের বোধগম্য সরল সরস ভাষায়।
সচলায়তনে লিখতে ভরসা পাচ্ছেন না? ভাবছেন, আপনার লেখার হাত অত ভালো নয়? ভাবছেন, একটু খারাপ হলেই লোকজন এসে ধুয়ে দেবে আপনাকে? ভাবুন দেখি, পাঠক কি আপনার তত্ত্বাবধায়কের চেয়েও বিটকেল? পাঠক কি আপনার পেপারের রিভিউয়ারদের চেয়েও নির্দয়?
না। পাঠক আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে, যেভাবে জানালার পাশে রাখা আচারের বোতল অপেক্ষা করে রোদের জন্যে।
লিখুন, আজ থেকেই। একটু সমালোচনা হবে, সেটা ঠেলে লিখে চলার শক্তি আপনার আছে।
সচল হয়ে উঠুন। আমরা অপেক্ষায় আছি। ধন্যবাদ।
মন্তব্য
চমৎকার কথা।
খুব ভালো প্রস্তাব।
ব্যাপারটা আরেকটু এক্সটেন্ড করা যায়। শুধু তরুণ স্কলার নন, প্রফেশন্যালরাও তাঁদের কাজের ক্ষেত্র নিয়ে লিখতে পারেন। লেখাগুলোকে একটা কমন ট্যাগ দিয়ে রাখলে একত্রে দেখা যাবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একমত। কর্তৃপক্ষকে ভেবে দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
একমত।
আপনি আপনার কাজের ক্ষেত্র নিয়ে লেখা শুরু করে দিন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ইচ্ছেটা অনেক দিনের, অপেক্ষায় আছি সাহসের।
পহেলা বসন্তের শুভেচ্ছা, প্রথম দিন সকাল সকাল সন্দেশের দারুন সন্দেশ| ভালো থাকুক সচলায়তন, ভালো থাকুক সবাই|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি স্কলার হইলে লিখ্যা ফাডায়ালাইতাম । ভাগ্যের ফেরে হইছি কামলা। কি আর করা। তয় স্কলারদের লেখা পড়ার জন্য লুঙ্গি বাইন্ধা বসলাম।
সহমত।
শতভাগ সহমত।
গরীব-দুস্থ আন্ডারগ্র্যাডরা কি কোনভাবে অবদান রাখতে পারে?
পারবে নিশ্চয়ই। আন্ডারগ্র্যাডরাও তো কতো চমৎকার সব গবেষণার একটা ছোটো অংশ সম্পন্ন করে। সেটা নিয়েই তারা গুছিয়ে লিখতে পারে। শুধু তা-ই নয়, সেই লেখার আলোচনার সূত্র ধরে হয়তো আরেক তরুণ শিক্ষক তাঁর আন্ডারগ্র্যাড ছাত্রদের একটি নতুন গবেষণার খেই ধরিয়ে দিতে পারবেন।
অনুরোধ একটাই, গুছিয়ে লিখুন।
অবশ্যই, আপনি কতটা গবেষণা করেছেন সেটার থেকে বড় কথা কিভাবে উপস্থাপনা করেছেন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমি স্কলার হইলে লেইখ্যা ফাডায়ালাইতাম।
আম্মো।
আম্মো
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
খুব ভালা! খুব ভালা।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা।
চমৎকার পদক্ষেপ।
খুব ভাল প্রস্তাব। যদিও আমি স্কলার নই, কিন্তু তারপরেও মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, লিখব নাকি রিসার্চের বিষয়গুলোকে নিয়ে, সহজভাষায়। রেস্পন্স কেমন পাব ভেবে আর লেখা হয়নি। অনেকদিন আগে একটা সিরিজ শুরু করার ইচ্ছা নিয়ে লিখেছিলাম, সবজান্তা রেডিও।
আবার লিখব
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি তরুন স্কলার নই, তাই
অসাধারন প্রস্তাব ।
আমি বরং তরুণ স্কলারা কিভাবে আরো নির্ঝামেলায় কাজ করতে পারে সেই নিয়ে লিখবো। " How to irritate your professor/ কিভাবে আপনার প্রফেসরকে দৌড়ের উপর রাখবেন অথবা your ass is only yours/আপনার পুটু শুধু আপনারই (আপনার প্রফেসরের নয়)" শিরোনামে একটা লেখা শুরু করেছিলাম, ঐটা শেষ করার চেষ্টা করবো দ্রুত।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমি তো আপনার ভক্ত সেটা তো জানেনই, কিন্তু যেটা জানেননা সেটা হল আমি আছি প্রফেসরের বাশের নিচে । তাড়তাড়ই লিখে পথ দেখান
"" How to irritate your professor/ কিভাবে আপনার প্রফেসরকে দৌড়ের উপর রাখবেন অথবা your ass is only yours/আপনার পুটু শুধু আপনারই (আপনার প্রফেসরের নয়)""
হাস্তে হাস্তে শ্যাষ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
চমৎকার প্রস্তাব।
চমৎকার উদ্যোগ। সেই সাথে সচলের লেখক-পাঠক সবাইকে আরেকটা অনুরোধ করি, আপনি তো আপনার বিষয় নিয়ে লিখবেনই সাথে সাথে আপনার পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী যারাই এ'ধরনের কোন না কোন কাজ করেছেন/করছেন তাদেরকেও লিখতে অনুরোধ করুন, জ্বালাতন পর্যায়ের অনুরোধ করতে থাকুন। শেষে স্বপ্রণোদিত হয়ে হোক বা আপনার উপর বিরক্ত হয়ে হোক তিনিও কলম/কী-বোর্ড ধরবেন। সেটা আরো বড় একটা পাওয়া হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তাইলে পাণ্ডব রেডি হও, তোমারে দিয়েই জ্বালাতন শুরু করবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অসাধারণ প্রস্তাব। ঠিক যে ভাবনাগুলো মনের ভেতর উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল; কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না কি করা উচিত এবং কিভাবে- ঠিক সেটিই যেন সচলায়তন টর্চ জ্বালিয়ে বলে গেল- 'রাস্তা এদিকে'।
ভয় লাগে প্রফেসর জানলেতো মাইরা ফালাইব
খুব ভালো লাগল উদ্যোগ দেখে
ধন্যবাদ সচলায়তনকে। সচলায়তনের মত পাঠকের কাছাকাছি থাকা সাইটগুলো যখন এমন উদ্যগ নেয়, তখন আশা জাগে নৈরাশ্য নয়, এখন কাজের সময় হয়েছে।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
খুবি ভাল প্রস্তাব
সচলায়তনের মডারেটরদের প্রতি , লেখার বিষয়টিকে আরেকটু উন্মুক্ত করে ঐ সব স্কলারদের প্রতি বাড়তি অনুরোধ কী করা যায় না, তাঁদের পরিচিত কোন বাংলাদেশী যিনি কর্মক্ষেত্রে বা সমাজে বিশেষ অবদান রেখেছেন তাদের সম্পর্কেও আমাদেরকে জানাবার জন্য। তাহলে জাতি হিসাবে আমরা জানবো, পৃথিবীতে আমাদের অবদানও একেবারে কম নয়!
সবার প্রতি > ভেবে দেখবার অনুরোধ রইল।
সচলের বর্তমান লেখকদের অনেকেই গবেষণাকর্মে নিয়োজিত। যারা পড়ছে তাদেরও বিরাট একটা অংশ গবেষনাকর্মে নিয়োজিত। তারা চাইলে খুব সহজেই এখানে অংশগ্রহন করতে পারে। সংকোচের বিহবলতা কাটিয়ে উঠলে সহজ হয়ে যাবে পথ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
Can i write about medical science?
নিশ্চয়ই। তবে আগে ঠিক করুন, বাংলায় লিখবেন নাকি ইংরেজিতে। সচলায়তনে ইংরেজিতে ব্লগিঙের সুযোগও সদ্য সৃষ্ট হয়েছে, সেটা পাবেন en.sachalayatan.com এ গেলে। সচলায়তনের মূল অংশে লিখতে চাইলে বাংলায় লিখুন। কনট্রোল-অল্ট-পি চাপলে আপনি ফোনেটিক লেআউটে বাংলা লিখতে পারবেন।
লিখ্তে চাই, আসলে কয়েকবার লিখতে শুরুও করেছিলাম কিন্তু, পাঠক কিভাবে নেবে বুঝিনি।
'ভাব নিতেসে' টাইপ কিছু একটা মনে হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
আবার অনেক সময় মনে হয়, কি সব ছাই ছাতা করি, সেসব আবার সবাইকে বলার কি আছে!
সব মিলিয়ে আর লেখা হয় না|
এই পোস্টটা পড়এ মনে হচ্চে পরীক্ষামূলক ভাবে দুয়েকটা পোস্ট দিয়ে দেখা যেতে পারে
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চমৎকার প্রস্তাব। যারা লিখতে চায় না তারাও লিখতে অনুপ্রাণিত হবে।
আমরাও অপেক্ষা করে আছি।
_________________
[খোমাখাতা]
স্কলার হইয়া লই লেইখ্যা ফাডাইলবাম
তবে এখানে মন্তব্য অংশেই অনেক তরুণ স্কলারকেই দেখতে পাচ্ছি, নীল রোদ্দুর, স্পর্শ ভাই ইনাদের কাজে আগে থেকেই আগ্রহ ছিলো। জীবাণু ভায়া কই? নাম না জানা অনেকেই হয়তো আছেন যাদের আমরা চিনব।
একটা সত্য কথা বলি, বিল গেইটসকে দেইখ্যা না, ডকিন্সরে দেইখ্যা না, আশেপাশের সিনিয়র ভাই/আপুদের দেখেই বেশী অনুপ্রেরণা পাই, অন্তত আমি। মনে হয়, আররে হ্যাতে এইডা কইর্যা ফালাইসে, আমিও পার্তেই পারি
অসাধারন প্রস্তাব!! সহমত জানাচ্ছি।
অসাধরণ বলেছেন। এ প্রস্তাবের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। অন্য আর দশটা বাংলা ব্লগ থেকে কেন সচলায়তন ভিন্ন, তা এ ধরনের উদ্যোগ থেকেই বোঝা যায়। লেখার ইচ্ছে রয়েছে।
টুইটার
অনেক দিন ধরেই আমার কাজ নিয়ে লিখার ইচ্ছে ছিল। তবে স্কলার মানে কী ঠিক বুঝলাম না! নিজেকে এইভাবে স্কলার বলার মতন যথেষ্ঠ সাহস অর্জন করতে পারিনি এখনো
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
তরুণও না , স্কলারও না। একজন ধুঁকতে থাকা কামলা। নইলে এইবার লেখালেখি শুরু করেই দিতাম।
যাক , তরুণ স্কলারদের কাজ সম্পর্কে জানতে চোখ রাখলাম।
বাহ্ ! অসাধারণ একটা উদ্যোগ !
এতে করে বাংলা ব্লগ জগতে নতুন একটা মাত্রার সূচনা হবে !! নেমে পড়ুন নির্দ্বিধায় নিশ্চিন্তে। আগাম অভিনন্দন জানিয়ে রাখলাম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লিখতে লজ্জা লাগে।
তবে এটা কাটিয়ে উঠতে হবে, আর গুছিয়ে লেখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
চমৎকার প্রস্তাব
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
বেঁচে গেছি স্কলার নই বলে, আর তারুন্যও হয়তো যায় যায় (৪০ পেরিয়ে গেলে আর জানিনা কতটুকু তারুন্য অবশিষ্ঠ থাকে)
চমৎকার একটি উদ্যোগ এবং এর সাফল্য কামনা করছি। এই উদ্যোগের ফলে সচলে যেমন খটমটে বিষয়গুলো সহজপাচ্যরূপে পরিবেশিত হবে, তেমনই সচলায়তন আরও ডাইভার্সিফাইড কন্টেটে সমৃদ্ধ হবে। এটা লেখক এবং সচল- উভয়ের জন্যেই লাভজনক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চমৎকার উদ্যোগ। আশা করি লেখব।
একটা পরামর্শঃ এই ধরনের লেখার জন্য কোন নির্দীষ্ট ট্যাগ ব্যবহার করলে ভাল হতো এবং সেই ট্যাগটি যদি সচলে বিল্ট ইন থাকে সেক্ষেত্রে আরো ভালো।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভালো প্রস্তাব।
"গবেষনা" , " বাঙ্গালী গবেষক" বা " বাংলাদেশী গবেষক", "বাঙ্গালীর বিজ্ঞানচর্চা" ট্যাগ প্রস্তাব করছি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
চমৎকার উদ্যোগ। আশা করি অনেক স্কলাররা এখন লিখতে উৎসাহ পাবে। সেই সাথে পাঠকদেরকেও নুতন লেখকদেরকে উৎসাহ দিতে হবে উক্ত লেখাতে মন্তব্য করে। পাঠকেরাও যদি ভাবেন যে যেহেতু অন্য আরেকজনের গবেষণা ঠিক বুঝতে পারা সম্ভব না, কি বলতে কি বলে ফেলি, এইসব ভেবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলে নুতন লেখকেরা লেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। খটমট বিষয় নিয়েও সচলে লেখা যায় সেটা সচল জাহিদ, অনার্য, শিক্ষানবিশ সহ আরো অনেকেই দেখিয়েছে। সচলে শুধু নুতন লেখকেরা নয়, পুরোনো লেখকদের মধ্যেও অনেকে নানান গবেষণায় জড়িত, কিন্তু সেসব নিয়ে তারা লেখা দেয়নি, তারাও লিখবেন সেটাও কাম্য। ধন্যবাদ সচলকে এই ঘোষণার জন্যে।
আমি স্কলার নই। তবুও নিজের কাজের কথা লেখার চেষ্টা করব।
গবেষণার কথা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা আসলে সম্ভব নয়। সেটা ক্ষতিকর এবং কোনো ল্যাব/প্রফেসরই গবেষকদের সেই অনুমতি দেয়না! মূল গবেষণার বিষয় বিস্তারিত প্রকাশ না করে খানিকটা লেখা যেতে পারে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
গবেষণায় নতুন কোন অবদান রাখারও আগে প্রচুর পড়াশোনা করে ভিত্তি তৈরি করতে হয়,সেটার উপরেও লেখা আসুক। এতে লেখক পাঠক উভয় পক্ষের জন্য উপকারী হবে মনে করি। সহজ ভাষায় কিছু লিখতে গেলে আগে ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে বুঝতে হয় নিজেকে। আগ্রহী শ্রোতা/ পাঠক পেলে এই বোরিং কাজটার পেছনে সময় ব্যয় করার উৎসাহ পাওয়া যাবে। তাছাড়া খটমট পেপার লেখার আগে একটু গা গরম করা যাবে। মু,জা, ই / হু, আ র লেখা পেপার ডাউনলোড করে পড়েছিলাম কৌতুহলবশত, সেখানেও তাদের ভাষা তেমনটাই ঝরঝরে, আরামদায়ক। লেখালেখির চর্চা তাই বহুমাত্রায় উপকারী।
ইচ্ছা আছে কিছু লিখবার। দেখা যাক।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সত্য। যে ভালো লিখে সব "সি প্লাসে" লিখলেও সেটা সুস্বাদু হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঠিক কথা, লেখার চর্চা বাড়লে মান ও সেইসাথে বাড়ে।
অটঃ মু জা ই/হু আ এর পেপারগুলির লিঙ্কু দেওয়া যায়? একটু পড়তে ইচ্ছা করে!
http://www.sciencedirect.com/science/article/pii/0168900287908278
http://prd.aps.org/abstract/PRD/v48/i3/p1009_1
http://www.sciencedirect.com/science/article/pii/0168900286909800
হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত প্রফেসর গ্লাসের সঙ্গে পেপার
http://www.sciencedirect.com/science/article/pii/0166662286801020
http://www.onepetro.org/mslib/servlet/onepetropreview?id=00010101&soc=SPE
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এই লেখার শিরোনামটি একটু পরিবর্তন করা দরকার। "স্কলার" শব্দটি বাদ দিয়ে "গবেষক" দেওয়া হোক। কে "স্কলার" এটা নির্ধারণের মাপকাঠি প্রশ্নসাপেক্ষ, কিন্তু যারাই গবেষণার সাথে যুক্ত তাদেরকে গবেষক বলতে পারি। আমার ধারণা এই লেখাটির মূল লক্ষ্য তরুণ গবেষকরা, তাই শিরোনামটি পরিবর্তন করা হলে লেখাটির বার্তাটি পরিষ্কার হবে বলে মনে করি। সেই সাথে "স্কলার" শব্দটির প্রতি অনেকেরই রিজার্ভনেস লক্ষ্য করেছি এবং আমার নিজেরও রয়েছে। নিজেকে স্কলার মনে করি না, কিন্তু মনে প্রাণে নিজেকে একজন গবেষক হিসেবে দেখি।
না হইলাম স্কলার, না রইলাম তরুণ। হা কপাল।
তবে অনেক ইন্টারেস্টিং একটা উদ্যোগ। অপেক্ষায় রইলাম।
গবেষণা করতে প্রচুর পরিমানে পড়াশোনা করতে হয়। পড়তে আর ভালো লাগে না, অথচ জীবনে কিছুই পড়া হলো না, কত বই যে বাকি আছে এখনো। লেখার হাত খুবই খারাপ, তাতে কি? মনের ভাব প্রকাশ করার ক্ষমতা একেবারেই নেই বললেই চলে ; তো কি আর করা, অন্যরা লিখবে আমি পড়বো, অপেক্ষায় রইলাম।
যা পড়লেন সেটাই আমাদেরকে বলুন। ছোট ভাগনা ভাগ্নিকে গল্প শোনানোর মত করে বলুন। এখানে কেউ পিয়ার রিভিউ করতে আসবে না। খুটিনাটি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আপনি কি বুঝলেন বা কি মনে হল, সেটাই বলুন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
দারুন একটা উদ্যোগ। অনেক প্রত্যাশা রইলো।
ডাকঘর | ছবিঘর
চমৎকার কথা।
কোন বিশেষ নিয়ম কি আছে? যেমন, শিরোনামে লিখে দিতে হবে কি যে এটা একটা গবেষণাপত্র।
আবার, আমার নিজের গবেষণাটা ধরুন খুব আহমরি না, কিন্তু তার জন্য পড়াশোনা করতে গিয়ে অনেককিছু জেনেছি যেটা সবার সাথে শেয়ার করতে আমার খুব ভালো লাগবে [মানে, আমি বাংলায় একটা রিভিউ পেপার দাঁড় করিয়ে ফেললাম, যেটা আমার মৌলিক গবেষণা না] সেরকম কিছু কি প্রকাশের জন্য আমি দিতে পারি?
গবেষণাপত্রের মতো করে লিখলে পড়তে আরাম লাগবে কি? একটা গল্প বলার মতো করে লিখুন, যে লেখাটা পাঠক পড়তে শুরু করলে শেষ না করে ট্যাব ক্লোজ করবেন না।
দারূণ উদ্যোগ। সচলায়তনে বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা দেখতে চাই বেশি বেশি।
অনেক লেখাই সচলায়তনে পাওয়া যায় বিজ্ঞান নিয়ে, ওগুলাই হজম হইতে চায় না, আবার এর মধ্যে গবেষণা প্রবন্ধ কেন ভাই?
ভালো উদ্যোগ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন