কসাই কাদেরের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল ঢাকা থেকে বই-দেশিকের এবারের পর্বে যোগ দিয়েছেন রায়হান আবীর। এই বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞানভাবনা বিষয়ক বই, "মানুষিকতা"। বইটি নিয়ে আড্ডায় রায়হান আবীরের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হিমু, সুরঞ্জনা ও পৃথ্বী শামস।
বই-দেশিকের পরবর্তী পর্বে একে একে আসবেন রণদীপম বসু, লুৎফর রহমান রিটন, আকতার আহমেদ ও মৃদুল আহমেদ, শওকত হোসেন মাসুম, ও আরো অনেকে।
পাঠকও আড্ডার একজন হয়ে যোগ দিতে পারেন আমাদের সাথে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন বই-দেশিকের পাতায়।
মন্তব্য
নিয়মিত বিরতিতে বই-দেশিকে পোস্টগুলো আসছে দেখে ভালো লাগলো। আগামী বইমেলাগুলোতেও সচলায়তনের এই আয়োজনের দিকে তাকিয়ে থাকবো।
হিমুভাই, সুরঞ্জনা, পৃথ্বী তিনজন সঞ্চালকই দারুণ সামলেছেন। আড্ডার ভঙ্গিতে আলোচনা জমে উঠেছে। তবে একটা প্রস্তাব থাকবে। আলোচনায় “চিন্তা ভাবনা করে উত্তর দিতে হবে” এমন দু-তিনটি প্রশ্ন আগে থেকে লেখককে জানিয়ে রাখা যেতে পারে। যেটা আলোচনার একটা ফ্রেমওয়ার্ক হিসাবে কাজ করবে। আর আড্ডার গতিতে যে সব তাৎক্ষণিক প্রসঙ্গ আসে সেগুলো তো থাকবেই। এতে সাবলিলতাও বাড়বে।
"মানুষিকতা" বইটার প্রাথমিক ভার্সন পড়ার সুযোগ হয়েছে। সম্পাদনা, অলংকরণের পর কেমন হলো জানার জন্য মুখিয়ে আছি।
আজকাল দেশ নিয়ে খুব আশাবাদী হয়ে উঠছি। তরুণরা নিজেরাই এখন নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে নিচ্ছে। লিখে নিচ্ছে নিজেদের চিন্তা-দর্শনের বই, গণিত, বিজ্ঞান, সাহিত্যের বই। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শূন্যস্থানে যেসব আসিফনজরুল, ফরহাদমাজহাররা চড়ে বসেছিলো তাদের দিন শেষ। জামাত-শিবির-রাজাকারদের দল সহ সকল সাম্প্রদায়ীক শক্তির বিষদাত গুড়িয়ে দিতে যে আমরা একটুও পিছপা নই, তা প্রমাণিত হচ্ছে রাজপথে। নতুন প্রজন্মের এই জাগরণের পিছনে রায়হান আবীর এবং তার মত আরো অগণিত ব্লগার-লেখকের অবদান রয়েছে।
সব শেষে একটা চিন্তার কথা শেয়ার করি। বিবিসি রেডিওতে বিজ্ঞান বিষয়ক চমৎকার কিছু আড্ডা ঘরনার অনুষ্ঠান হয়। (যেমন এইটা)। আমাদের দেশেও এখন রেডিও কম নয়। আর এই প্রজন্মে সফল তরুণ বিজ্ঞাণী, মুক্তচিন্তক ও কম নয়। আমরা কি পারি না এমন আড্ডার ভঙ্গিতে কিছু অনুষ্ঠান বানাতে। আজকের সঞ্চালকদের পারফর্মেন্সে মনে হলো খুব সহজেই সেটা সম্ভব। একঘেয়ে টক শো, আর এফ এম রেডিওর ভেজা গান তো কম বাজলো না। এমন একটা কিছু তৈরি করার কথা কি ভাবা যায়? শুরুতে না হয় পডকাস্ট আকারেই থাকলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মানুষিকতা পড়ার আশায় থাকলাম। কিছু লেখকের সাথে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতকার না হয়ে ঘরোয়া আড্ডাবাজির আদলে করতে পারেন কিন্তু।
বেশ প্রাণবন্ত লাগলো। সন্দেশ ভাইকে আবারো অনুরোধ করি বই এর প্রচ্ছদ খানা যদি তুলে দেওয়া যায় তাহলে খুব ভাল হয়।
কয়েকটা ফিডব্যাক -
হয়রান আবীর ভাই একটু দ্রুত কথা বলছিলেন, পৃথ্বী শামস ভাই ইংরেজী শব্দের ব্যাবহার একটু কমালে হত মনে হয়, সুরঞ্জনা আপার তুই/তুমি গন্ডগোল, আর হিমু ভাই তো দেখি উটপোঁদ বলতে অজ্ঞান।
আর কে বসে বসে চ্যাট করছিলেন? খালি পুট পুট করে...
পোস্টে আলোচিত বইয়ের দাম, প্রাপ্তিস্থান, মূল্য ও কভার পেজের একটা ছবি সংযুক্ত করে দিলে আরো ভাল হইত।
সুরঞ্জনা রকস্! পরবর্তী ইন্টারভিউয়ে ইন্টারভিউয়ার হিসেবে সুরঞ্জনাকে চাই। পৃথ্বী শামস ও ভালো করেছেন।
রায়হানকে একটু অপ্রস্তুত মনে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্নের উত্তর অনেক দীর্ঘ মনে হয়েছে।
আলোচনা শুনলাম। বেশ ভালো লাগল।
এবারের বই-দেশিতে ''সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ' এর গল্প শুনতে চাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আঁই হেলমেটের লগে কি কইচ্চি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই ব্যাটা সাক্ষী, সবখানে নাক গলায় কেনু কেনু কেনু
দুঃখিত, লিঙ্কটা আগে খেয়াল করি নি
আমি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি
সুহান ভাইয়ের বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তিথীর সাথে সহমত।
উদাসদার কথা শোনার আগ্রহ আছে। তাকেও লাইনে আনা হোক।
হ, লাইনে আসার শিরোনামঃ
বই-দেশিকে চরম উদাসঃ এসো নিজে বলি-০১
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন