বাংলাদেশের ইতিহাসের কুৎসিততম দিনটি পার করছে গোটা জাতি। গোলাম আযমের বিরূদ্ধে আজকে প্রকাশিত হওয়া রায়ের সংবাদ জানেন না এমন কোনো বাংলাদেশীর অস্তিত্ব থাকবার কথা নয়। এই অপমানজনক রায়ে স্তম্ভিত নন, স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তির এমন কেউও আছেন বলে আমরা মনে করি না। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশের জনসাধারণ, মানবতার পক্ষশক্তি ও বাংলা ব্লগস্ফিয়ারের যে দীর্ঘ সংগ্রাম, ব্লগারদের যে ব্যক্তিগত ত্যাগ ও প্রচেষ্টা, তার সবকিছুর মুখে এই রায় একটি নোংরা চপেটাঘাত।
৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লক্ষ নির্যাতিতার যন্ত্রণা, গ্লানি আর অপমানের দায়ভার কাঁধে নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরোধিতাকারী পশুর শাস্তি কেবলমাত্র ৯০ বৎসরের কারাদণ্ড হতে পারেনা। বরং ৯২ বৎসর বয়স্ক মানবতাবিরোধী অপরাধীর ৯০ বৎসরের কারাদণ্ড দেয়াটা এক নির্মম রসিকতা ছাড়া কিছুই হতে পারেনা। গুরুতর সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে হাস্যকর 'বয়স বিবেচনা'র গাঁজনকে আমরা কেবল গোলাম আযমের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা বিধান করবার একটি আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া আর কিছু হিসেবেই বিবেচনা করতে পারছিনা। আমাদের দেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে, আমাদেরই দেশের মানুষের হত্যাকারীর প্রমোদ কানন তৈরি করতে আমাদের তীব্র আপত্তি আছে। এই রায় আমরা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের পক্ষ থেকে এবং স্বাধীনতার সপক্ষের প্রতিটি ব্লগিং প্লাটফর্মের পক্ষ থেকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। সেই সাথে রায় পরবর্তীতে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের রায় সম্পর্কে 'সন্তুষ্টি' প্রকাশ করে আসা নোংরা বক্তব্যেরও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তাছাড়া, এই রায় ঘোষিত হবার পূর্বেই জামাত নিয়ন্ত্রিত ফেসবুক পেইজ থেকে রায় সম্পর্কিত সঠিক ভবিষ্যত বাণী প্রচারিত হওয়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনের অবহেলা, বহিরাগত চাপে নতিস্বীকার এবং ট্রাইবুনালকে ঘিরে ঘৃণ্য রাজনৈতিক চক্রান্তের প্রমাণ বহন করে। এই ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল এবং স্বাধীনতার সপক্ষের ব্লগিং প্লাটফর্মের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। এবং সেই সাথে দাবি জানাচ্ছি এই রায়ের বিরূদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো নয় বরং, জোরালো ও কার্যকরী আপিল আবেদন করা হোক। পৌনপুনিক গ্লানিমুক্তি ঘটুক জাতির।
জয় বাংলা।
মন্তব্য
গোলাম আজমের ফাঁসি চাই।
facebook
এই রায় মানি না
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
গোলাম আজমের ফাঁসি চাই।
[img][/img]
'কেউ যদি নিজেকে বেজন্মা ভাবতে শুরু করে,
কথিত পিতা-মাতা সন্তানের নিয়ন্ত্রণ ও আনুগত্য হারায় !'-
গোলামের রায় শোনার পর থেকেই কেন যেন নিজেকে আজ খুব বেজন্মা-নাগরিক বলেই মনে হচ্ছে ! মনে হচ্ছে প্রতারিত খুব, ভীষণভাবে !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
গোলাম আজমের ফাঁসি চাই।
এই রায় মানি না!!
'গো আ' এর ফাঁসি চাই।
-----------------------
সুবোধ অবোধ
এ কী অসহ্য ব্যাপার! একটা জঘন্য অপরাধী, সবকয়টা অপরাধ প্রমাণিত, তাকে বাঁচিয়ে রাখা হলো-কোনো মানে হয় না।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এ রায় ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ বীরাঙ্গনার প্রতি অবিচার...
ফাঁসি ছাড়া অন্য কোন শাস্তির প্রশ্নই ওঠে না ---
এই রায় মানি না।
এই রায় মানি না
অজ্ঞাতবাস
এই রায় মানি না... গোলাম আজমের ফাঁসি চাই।
এই রায় মানি না।
এই রায় মানি না।
এই রায় মানি না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি এই রায় মেনে নিয়েছি।
যষ্মিন দেশে যদাচার।
"If you can't beat them, join them."
[ছবিসূত্র]
এই রায় মানি না।
প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে...
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
১৯৭১ সনে আমার বৃদ্ধ প্র-পিতামহকে নিজ বাড়ির উঠানে হাত এবং চোখ বেঁধে পাক বাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকাররা হত্যা করেছিল। বৃদ্ধের অপরাধ ছিল তার নাতিরা দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করছে। সেদিন তাঁকে হত্যা করার সময় তাঁর বয়স বিবেচনরা করা হয় নি। তাঁর মত ওমন আরো ৩০ লক্ষ মানুষকে মারার সময় বয়স বিবেচনা করা হয় নি। অথচ আজ ৪২ বছর পর দেখতে পেলাম বয়সের কারণে সব ধরনের মানবতা বিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও মহান মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধীর কেবল জেল হলো। হায় সেলুকাস!
১৫ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটা কালো দিন হয়ে থাকলো ক্যালেন্ডারের পাতায়। আজ আমি প্রতারিত, লাঞ্চিত, আশাহত, হাস্যাস্পদ!
এই রায় মানি না, মানবো না।
টুইটার
........................
(আজ চাইছিনা, কোন একদিন উনাকে নিয়ে একটু লিখবেন আমাদের জন্য?)
এই রায় মানি না ।
এই রায় মানি না।
এই রায় মানি না।
কীভাবে এই রায় মানা যায়?
গোলাম আযমের ফাঁসি চাই
এই রায় মানি না...
এই রায় মানি না। গোলাম আজম বেজন্মার ফাঁসি চাই।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মানি না!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
লাভ নাই। সব কিছুই তো আমরা মেনে নেই। ওরা ঠিক, আমাদের এটাও মেনে নিব ।
এই বিচার হওয়ার চেয়ে না হওয়া ভাল ছিল। এই রায় জাতির মুখে কালিমা লেপন করল।
শহীদদের রক্তের ঋণ আমরা বেঈমানী দিয়ে শোধ করলাম। বীরান্গনাদের আরও অপমানিত করলাম।
ধিক্কার জানাই। ধিক্কার সবাইকে যারা এই রায়ের প্রতিবাদ করে না। ধিক্কার সব দেশপ্রেমিক বাংলাদেশিকে।
ফাঁসি ছাড়া আর কোনও রায় মানি না।
মানি না, মানবোনা।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এই রায় মানি না।
আদালতকে জনগনের ঊর্ধ্বে ভাবার কোন কারণ নেই। কারণ আইনসভার নির্বাচক এই জনতাই। খুবই হতাশ লাগছে। সারা রাত জেগে বসেছিলাম -নিশ্চয়ই এই প্রহসনমূলক রায়ের প্রত্যাশায় নয়!
মন্ত্রী বলেছেন, এটা দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল এবং দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
রায় ঘোষণার পর মঞ্চের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছে মঞ্চ।
আমার প্রশ্ন তাইলে জনগনটা কে? সরকার নাকি মন্ত্রী নিজেই।
শুনুন মন্ত্রী মসাই। এসরকার আপনারও না আওয়ামিলিগেরও না। এই সরকার জনগনের। আর জনগন এ রায়ে খুশী না।
এই রায় মানি না
এই রায় মানি না
এই রায় মানি না........
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এই রায় মানি না।
হায়, আমরা কি বেঁচে আছি অন্যদের সময়ে!
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
যে আওয়ামী লীগের উপর আস্থা রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো, সেই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই স্বাধীনতার চেতনা চিরতরে ভুলুণ্ঠিত হলো।
আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্বের সবার ঘরে আয়না আছে কিনা জানতে খুব ইচ্ছে করে। যদি থাকে, তাহলে সেই আয়নার সামনে দাঁড়াতে তাদের বিন্দুমাত্র লজ্জা হয় কিনা, সেটাও জানতে ইচ্ছে করে...।
যদি লজ্জা নাই করে, তাহলে সনির্বন্ধ অনুরোধ করি, দেশকে, দেশের মানুষকে, দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে উপুর্যপরী ধর্ষণের আগে দয়াকরে দলটার নাম পরিবর্তন করে ফেলুন। এই নামটার সঙ্গে একজন বঙ্গবন্ধু, একজন তাজউদ্দীন, একজন নজরুল ইসলাম, একজন মনসুর আলী আর একজন কামারুজ্জামানের নাম জড়িয়ে আছে। আপনাদের নিজেদের আত্মসম্মান না থাকতে পারে, এই নামগুলোকে আপনারা অসম্মানিত করবেন না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একদম মনের কথাটি বলেছেন। ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বেচে খাচ্ছে এতদিন ধরে আর আমরা চুপ করে বসে আছি আশায় বুক বেধেঁ।
মানি না, মানি না, মানি না এই প্রহসনের রায়।
[ভাবছি চাকরী থেকে অবসর নেবার পর পেশাদার খুনি হিসেবে পার্ট টাইম জব শুরু করবো কিনা। তখন তো আমার ফাসিঁ দিতে পারবে না বয়স বিবেচনায়। হা: হা: হা: ]
জন্মের সময় উম্বিলিক্যাল কর্ডের সাথে সাথে যাদের বিবেকবোধও পুরোপুরি কাটা পড়ে শুধুমাত্র তারাই এ যুগে রাজনীতি করে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
@ধুসর গোধূলিঃ মনের কথা বলে দিছেন ভাই...
কিছুই বলার নেই, "মানি না" বলবো কার কাছে?
এই রায় চাওয়া গিয়েছিলো বুঝি!
এবার পরম শান্তির ভারে
ঘুম যাওয়া যাক তবে
ঘাড় গুঁজে
"রক্তফেনামাখা মুখে মড়কের ইঁদুরের মতো ...
আঁধার ঘুঁজির বুকে ... "
কি হবে জাগিয়া আর!
সাধ করে সহিবার
"গাঢ় বেদনার
অবিরাম অবিরাম ভার"!
তবু জেনো
এ গ্লানি, এ কান্না, এ বিষাদ
শেষ কথা নয়।
মানুষের বিদীর্ণ হৃদয়
বজ্রের নির্মম স্বাদ
আনিবারে করে যাবে প্রত্যয়!
- একলহমা
'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'ধারীরা নকি সন্তুষ্ট হয়েছেন!
আমরা তাহলে কারা?
এই রায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রভাবিত এতে কোন সন্দেহ নেই। যারা রায় দিয়েছেন তারা আইন এবং বিশ্বাস দুটোই ভঙ্গ করেছেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায় যদি আইন নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারে তবে সাধারণ মানুষ সেই খেলায় যোগ দিলে কোন ক্ষতিবৃদ্ধি দেখছি না।
গোলাম আযমকে জেল ভেঙে বের করে নিয়ে এসে পায়ের তলায় পিষে মেরে ফেলার পক্ষে জনমত তৈরী করার আহ্বান জানাই সবাইকে। জয় বাংলা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এ রায় মানি না।
এই রায় মানি না।
এই রায় মানি না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সর্বোচ্চ শাস্তি চাই ।।। এই জানোয়ারের নাম মুখে আনতে চাই না।
নতুন মন্তব্য করুন