শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর প্রাণঘাতী, বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাঁর আশু আরোগ্য কামনার পাশাপাশি আমাদের নিম্নলিখিত পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শগুলো প্রশাসন ও সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।
১. অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ঘটনার সময় পেশাদারিত্বের পরিচয় না দিয়ে ব্যক্তিগত কাজে অন্যমনস্ক ছিলেন বলে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শুধু এদের দায়সারা শাস্তি দিয়ে ব্যাপারটিকে ধামাচাপা না দিয়ে পরবর্তীতে এ ধরনের দায়িত্বে হামলা পরিস্থিতি ঠেকানোর মতো প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্বসম্পন্ন সদস্য নিয়োগ জরুরি।
২. অধ্যাপক জাফর ইকবালের চিকিৎসার আগে ও পরে হাসপাতালে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভিড় জমিয়েছেন এবং তাঁর আক্রান্ত অবস্থার সাথে নিজের ছবি তুলেছেন বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকের ভাষ্য ফেসবুকে এসেছে। শল্যোপচারের পর রোগীর প্রয়োজন বিশ্রাম। হাসপাতালে আহত/শল্যোপচারিত রোগীর সাথে কী ধরনের আচরণ করা উচিত নয়, তা নিয়ে এই তথাকথিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্যে গণমাধ্যমে শিক্ষামূলক প্রচারণা চালানো হোক।
৩. সংবাদমাধ্যম এখন আন্তর্জালেও একটি শাখা খুলে রাখে। শুরু থেকেই নানা প্রসঙ্গে সেখানে প্রকাশের অযোগ্য সব মন্তব্য প্রকাশের সুযোগ দিয়ে রাখা হয়েছে, কোনো ধরনের সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ এ মন্তব্যগুলোর ওপর নেই। এসব মন্তব্যকে জনমানসের প্রতিফলন দাবি করার কোনো সুযোগ নেই, কারণ অনলাইনে এক ব্যক্তিই একশ ছদ্মনাম ব্যবহার করে জনতার অভিনয় করতে পারে। অবিলম্বে সংবাদমাধ্যমগুলোকে এ সুযোগ রহিত করে আক্রান্তের প্রতি ঘৃণা ছড়ানোর যে ব্যবস্থা তারা খুলে রেখেছেন, তা বন্ধ করতে হবে। নইলে এ সুযোগ কেবল আততায়ীর মনোবলই বাড়াবে। আন্তর্জালে দেখা এই উগ্রতা নয়, বরং সহনশীল ও বিবেকবান অগণিত মানুষই বাংলাদেশের প্রকৃত প্রতিফলন বলে আমাদের বিশ্বাস।
মন্তব্য
মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর প্রাণঘাতী, বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন সে কামনা।
পোস্টের প্রতিটা লাইনের সাথে সহমত।
"পোস্টের প্রতিটা লাইনের সাথে সহমত।"
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পোস্টের সাথে সহমত।
১। ক্লোজ করা কোন সমাধান না, সামনে সাবধানতা বাড়াতে হবে। ড। ইয়াসমিনের বরাতে প্রথম আলো বলছে, " আমরা খবর পেয়েছি, পুলিশের এসবির একজন হামলাকারীকে ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন।" আসলে গাফেলতি না অপ্রতুল প্রস্তুতি, সেটা দেখা যাক।
২। "তাঁর আক্রান্ত অবস্থার সাথে নিজের ছবি তুলেছেন" -মানুষের সমস্যা কী? 'আমি এত গুরুত্বপূর্ণ যে আমি উনার সাথে ছবি তুলছি' -এই মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার।
৩। সংবাদমাধ্যম তো মানুষকে আলোকিত করার কথা ভাবে না, তাদের দরকার কাটতি, ক্লিকবেইট। দরকার হলে আজেবাজে কথা প্রকাশ করতে দিতেও তাদের আপত্তি নাই (দুর্ভাগ্যবশত)।
তাঁর দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি। আলো ছড়ানোর মত মানুষ খুব একটা নেই আমাদের
এই পোস্টের প্রতিটি লাইনের সাতে সহমত। এই দাবী গুলোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
তৃতীয় দাবিটি কার্যকর করা গেলেও আন্তর্জালে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করা সম্ভব নয়। এই ঘটনাতেই দেখেছি আন্তর্জালের সামাজিক মাধ্যমগুলোতে গ্রুপ/পেজ ইত্যাদি খুলে নিষ্ঠার সাথে ঘৃণা ছড়ানোর কাজ চলছে। এটি হয়তো বন্ধ করা যাবে না, তবে এটি হ্রাসের উপায় বের করতে হবে। কারণ, বেশিরভাগ মানুষ ভেরিফিকেশনের ধার না ধরে ঐসব গ্রুপ/পেজের গালগল্পগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস করে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন