মেনিনজাইটিস রোগীর সুষুম্না-তরলের (Spinal Fluid) ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেঁজুতি আবিষ্কার করলেন যে রোগীদের বেশ কয়েকজনের সংক্রমণের মূল কারণ চিকনগুনিয়া ভাইরাস। চিকনগুনিয়া ভাইরাস মেনিনজাইটিসের কারণ হতে পারেনা - এই ধারণাই ছিলো প্রচলিত। অথচ সেঁজুতির আবিষ্কার প্রচলিত ধারণাটিকে ভেঙে দেয়। আইডি সেক নামক একটি বিনামূল্য অনলাইন তথ্যসম্ভার ব্যবহার করে সেঁজুতি এ আবিষ্কারটি করেন। আর সে কারণেই তাঁর কাজের ওপর আলোকপাত করে প্রকাশিত হয় এ প্রবন্ধটি। আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুপরিচিত অণুজীববিজ্ঞানী ডঃ সেঁজুতি সাহা আসছেন বেতারায়তনের সাক্ষাৎকারে, সরাসরি সম্প্রচারে।
সময়
ঢাকা নভেম্বর ১৯, ২০১৮ ভোর ৬ টা
নিউ ইয়র্ক নভেম্বর ১৮, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭ টা
প্যাসিফিক নভেম্বর ১৮, ২০১৮ বিকাল ৪ টা
প্রচারের লিংক এই পোস্টে যোগ করা হবে।
মন্তব্য
অভিনন্দন, ড: সেঁজুতি সাহাকে।
স্নেহাশিস রায়।
অসাধারন আবিস্কার। বিজ্ঞানী ডঃ সাহা-কে অভিনন্দন। সাক্ষাৎকার শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
এখানে কি প্রশ্ন পোস্ট করা যাবে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অবশ্যই যেতো। কিন্তু সম্প্রচার আজকের মতো শেষ।
কথাটা আগে বললেই হতো!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ! অভিনন্দন অণুজীববিজ্ঞানী ডঃ সেঁজুতি সাহা।
সেঁজুতি সাহা কে আগে দেখার সৌভাগ্য না হওয়ায় ভেবেছিলাম বেশ গুরুগম্ভীর একজন মহিলা হবেন। ইনি তো রীতিমত হাসিখুশি এক শিশু! খুব ভালো লেগেছে পুরো অনুষ্ঠানটা। সচলায়তনকে সময় দেবার জন্য সেঁজুতি সাহাকে ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা তার জন্য। সঞ্চালক হিসেবে মুর্শেদভাই, সজীবভাই কে ধন্যবাদ
ব্রাভো, বাংলাদেশের বায়োলজিস্টরা, বিশেষ করে মলিকুলার বায়োলজিস্টরা, বেশ ভালো কাজ করছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁরা কতকগুলো বড় সাফল্য দেখালেন। বিজ্ঞানে সাফল্য পেতে বিনিয়োগ করতে হয় প্রচুর। আমাদের সামর্থ্য কম। বিজ্ঞানীদের তাই অন্য দেশে গিয়ে কাজ করতে হয়। তবু তাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ফল আমাদের গর্ব জাগায়। আর যারা পরিশ্রমের পরেও চোখ ধাঁধানো সাফল্য দেখাতে পারেন নি তাদের জন্যেও আমাদের ভালোবাসা।
আচ্ছা, সেঁজুতি সাহা কি ডঃ সমীরকুমার সাহার মেয়ে?
সাক্ষাৎকার খুবই ভালো লেগেছে।বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা কে অভিনন্দন আর শুভকামনা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
১। ভিডিওটা দেখার সময় বার বার থেমে যাচ্ছিল, আবার শুরু করলে সেকেন্ড দশেক আগে থেকে শুরু হচ্ছিল। বুঝতে পারছি না সমস্যাটা আমার এন্ডের কিনা।
২। সেঁজুতি সাহা এবং সচলের অন্যান্য জীববিজ্ঞানীদের প্রতি প্রশ্নঃ
(ক) মেনিনজাইটিস রোগটি মূলত শিশুদের হয় কেন, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বলে?
(খ) মেনিনজাইটিস রোগটি মূলত নিম্নবিত্ত শ্রেণীর শিশুদের হবার পেছনে অস্বাস্থ্যকর বাসস্থান-খাদ্য-পানীয়-জীবনাচরণ হতে উদ্ভূত 'কোন কিছু'কে দায়ী বলে ধারণা করা যেতে পারে। এই 'কোন কিছু'টার পরিচয় উদ্ধারের গবেষণার অবস্থা কী? এই সংক্রান্ত অনুকল্পগুলো (hypothesis) কী কী?
(গ) যে সকল মেনিনজাইটিসের কারণ ব্যাক্টেরিয়াজনিত বা ভাইরাসজনিত বলে চিহ্নিত করা যায় না, সেগুলো উদ্ভবের কারণসংক্রান্ত অনুকল্পগুলো (hypothesis) কী কী? এই ক্ষেত্রে ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস ভিন্ন অন্য কোন অণুজীবকে কি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে?
(গ) চিকুনগুনিয়া এবং মেনিনজাইটিস কি একইসাথে হতে পারে, নাকি আগে চিকুনগুনিয়া ও পরে মেনিনজাইটিস হয়? চিকুনগুনিয়ার জীবাণু শরীরের কোন যন্ত্র/অঙ্গ/তন্ত্রকে আশ্রয় করে মেনিনজাইটিস সৃষ্টি করে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১. আমার বেলায় ভিডিও থেমে যায়নি।
২.ক. মেনিনজাইটিস শিশুদের বেশি হওয়ার একটা কারণ তাদের অপরিপক্ক রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা হতে পারে। কোন নিশ্চিত কারণ থাকলে সেটা আমার জানা নেই।
খ. অস্বাস্থ্যকর জীবনাচরণ একটা কারণ হয়তো। যেসব ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মেনিনজাইটিস হয় সেসব ব্যবকটেরিয়ার সংক্রমণ হলেই যে মেনিনজাইটিস হবে, তেমন কিন্তু নয়। এসব ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মেনিনজাইটিস না হয়ে অন্য রোগ হতে পারে। অনেকের যেমন সংকমণের পরেও রোগ হয়না। অনেকে ব্যাকটেরিয়া বয়ে বেড়ান, রোগ হয়না।
অসাস্থ্যকর জীবনাচরণে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবণা বেশি। সাধারণ হোঁচট খেলে যেমন হাত-পা ছিলবে। কিন্তু হোঁচট খেতেই থাকলে দুয়েকবার মাথাও ফাটতে পারে। সেরকম একাধিক সংক্রমণে রোগের সম্ভাবণাও বেশি। এটা আমার ধারণা। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কোন কারণ নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকলে সে আমার জানা নেই।
গ. ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের বাইরে অন্য অণুজীব মাথায় সংক্রমণ করে মেনিনজাইটিসের কারণ হওয়া 'সাধারণ' নয়। অন্য অণুজীব মাথায় সংক্রামিত হতে পারে (যেমন ক্রিমির ডিম) কিন্তু মাথার যে অংশে সংক্রমণ এবং রোগপ্রতিরোধী সংকেত সৃষ্টি করলে সেটাকে মেনিনজাইটিস বলা হবে সেই অংশে ওরকম সংক্রমণ অন্য জীবাণু করে বলে জানা নেই।
সংক্রমণের সাধারণ নিয়ম হচ্ছে, শরীরের কোথাও জীবাণু সংক্রামিত হয়ে সংবহনতন্ত্রের মাধ্যমে মূল সংক্রমণ/রোগসৃষ্টির জায়গাতে পৌঁছায়। সংবহনতন্ত্র এবং মস্তিস্কের মধ্যে একটা 'প্রতিরোধক পর্দা' আছে ব্লাড-ব্রেইন ব্যারিয়ার নামে। এটা পার করে বেশিরভাগ জীবাণু (পদার্থ/প্রোটিন/যেকোনকিছুই) সংবহনতন্ত্র থেকে মস্তিস্কে পৌঁছাতে পারেনা। যে অল্পকিছু জীবাণু পারে, তারাই সাধারণত মস্তিস্কের রোগের কারণ হয়।
অণুজীবের বাইরে প্রিয়ন নামের একধরণের "লক্ষ্যভ্রস্ট/বিকৃত" প্রোটিন কণা মস্তিস্কের খুব খারাপ রোগের কারণ হতে পারে।
অন্যরা নিশ্চয়ই আরো অনেক ভালো বলতে পারবেন। আমি মেনিনজাইটিস সম্পর্কে কিছুই জানিনা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দেরি হয়ে গেল দেখতে।
চমৎকার সাক্ষাৎকার। অভিনন্দন ড. সেঁজুতি।
সাক্ষাৎকার দেখে শরীরে হরমোনের পরিমাণ বেড়েছে। মনে হচ্ছে কালকেই দেশে গিয়ে অনেক গবেষণা করে ফেলি!
আফসোস
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যেখানে আছো সেখানে থেকেও অনেক গবেষণা করতে পারো। তাতে আখেরে বাংলাদেশের মানুষও উপকৃত হবে। বিজ্ঞানের কোন দেশ নেই, বিজ্ঞানীদেরও কোন দেশ নেই। গবেষণাপাত্র বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেক গবেষণার জন্য একেবারে 'তৈরি' ক্ষেত্র বটে তবে এখানে গবেষণা চালানোর জন্য শুধু মনের জোর থাকাটা যথেষ্ট নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেক বিলম্বে শোনা হলো চমৎকার এবং প্রয়োজনীয় সাক্ষাতকারটি। বাংলাদেশের জন্য এমন গবেষণার মূল্য কত তা বলার অপেক্ষা করে না। অভিনন্দন বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহাকে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সেঁজুতি সাহাকে সচলায়তনে তাঁর নিজস্ব গবেষণাক্ষেত্রসহ অণুজীববিদ্যার সাম্প্রতিক গবেষণাসমূহ নিয়ে লিখতে অনুরোধ করি।
নতুন মন্তব্য করুন