খুব ছোটবেলায় কোন এক রাতে আমার ঘুম ভেঙে যায়, একা বাড়িতে নিজেকে আবিষ্কার করি, - সম্ভবত মামার বিয়েতে নানাবাড়িতে চলে গিয়েছিলো বাড়িশুদ্ধ সব মানুষ। নানাবাড়িটা ছিলো বাড়ির সামনে ভিটেজমিগুলোর ওপারে। আমি তখন চার কিংবা তিন।
চমকে উঠেছিলাম সে রাতে, সেই বোধটা মস্তিষ্কের কোন নিউরনসমষ্টি এখনো ধরে রেখেছে তাদের বুকে। কেনো; জানা নেই। জানতে ইচ্ছে করে এইসব জীবনরহস্য কখনো-সখনো অবশ্য।
পলাশী আর বকশীবাজার এর মাঝে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি আছে সেটিতে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো ছয় মাস, সেই সূত্রে হল যাপন করেছিলাম আটমাস মতোন।
আহসানউল্লাহ পশ্চিম ২৩৪।
থাকতাম একা একটা রুমে - তিনজনের রুমে একা - ছাত্রফ্রন্ট এর তারেক ভাই থাকতেন নিজের বাসায় আর অন্য একটা সিট কেমন যেন অবরাদ্দ গোছের। সেই রুমটায় আমি আসার বছর সাতেক আগে কে একজন বেছে নিয়েছিলো আত্মহনন - সেই মানুষটার ছেড়ে যাওয়া একটা ঘড়িও টিকটিক করতো অনেকদিন। তারেক ভাই মজা করে বলতেন, ব্যাটারি নাকি উনি কখনো বদলাননি , অশরীরী শক্তি দিয়ে চলে ঘড়িটা।
মাঝরাত্তিরে জেগে উঠতাম, বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কালো চাদর টা গাঁয়ে জড়িয়ে হাঁটাহাঁটি করতাম অনেকক্ষণ । ভয় পাইনি কখনো - অশরীরী অথবা শরীরী কোন কিছুর।
দেশ ছাড়ার পর এক বছর অনেকগুলো ভিন্নসংস্কৃতির মানুষের সাথে থাকতাম, মাঝরাত্তিরে উঠলে মাতালদের মজার সব কান্ড দেখতে হতো। নিজে ওই পানীয়-সম্পর্কিত বেড়াটা ভাঙতে পারিনি কখনো, তাই মজা দেখতাম।
এখনো মাঝরাত্তিরে ঘুম ভেঙে যায়, পেপারওয়ালা ছোকরাটা তার মোটরবাইক হাকিয়ে যখন গলি ছেড়ে যায়- বাইকের লাইসেন্স থাকলে আমিও যে পার্টটাইম টা করবো, অনেকদিন ভেবেছিলাম। গা ঘেমে ওঠে, আর ঘুমুতে পারিনা ।
এক সুহৃদ কিছুদিন আগে পর্যন্ত ইনসোমনিয়ায় ভুগতো - তাকে যে পরামর্শগুলো দিয়েছিলাম, সেগুলো নিজেই চেষ্টা করে দেখি।
কাজ হয়না অবশ্য।
রাগ হয় নিজের উপর।
দ্বিচক্রযান নিয়ে বেরিয়ে পড়ি মাঝরাতে।
ওই গানটা সুর ধরি, যেটা মাঝেমধ্যেই মনে আসে - হরি, দিনতো গেলো, সন্ধ্যে হলো, পার করো আমারে।
------
ছবি ব্যবহার, ক্রিয়েটিভ কমন্স এর আওতায় ফ্লিকার থেকে, কৃতজ্ঞতা
মন্তব্য
ধুর মিয়া, ডরের কি আছে? তিনবার কুলহুআল্লাহ সুরা পড়ে বুকে ফু দিয়া দিবেন। আর কিচ্ছুই আপনারে টাচ করবার পারবো না।
সৌরভ ভাই, কেমন যেন বিষন্ন। কি হইল আপনার?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
খুব ভাল লাগল লেখাটা - অনুভূতিময় । আরো আরো ভাল লেখা দিন।
এইবার ছবি পাল্টাইবেন তো খবর আছে, মিয়া!
দ্বিচক্রযান চালাতে খুব ইচ্ছা করে আমার...
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
সব্বাইকে থ্যাংকু।
তারেক, ভালো নেই রে ভাই।
আলভী, অনুভূতিগুলো সব মরে যাচ্ছে।
শিমুল, আপনি কোন ছবির কথা বললেন, সম্ভবত ক্যাশিং এর কোন সমস্যার কারণে পুরনো ছবিটা আবার দেখাচ্ছিল।
তিথি, দেশ থেকে বেরিয়ে শিখে নিও।
খুব কাজে দেয় আর অন্যরকম অনুভব পুরো ব্যাপারটায়।
------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সৌরভ, তোমার সময় হয়ে এল। দয়াল তোমারে পার করবে বলেই মনে হচ্ছে, শুধু তোমার পক্ষ থেকে সামান্য সদিচ্ছার দরকার।
গত বছরের শুরুর দিকে আমার ও এমন হতো। ফলাফল: এপ্রিলে এসে বিবাহিত!! হা হা হা
বিয়ে করে ফেলো। সমস্যা কেটে যাবে।
লেখার কথা কি বলবো? তোমাদের লেখা পড়ি আর ঈর্ষান্বিত হই এই ভেবে যে নিজের এমন লেখার ক্ষমতা নেই।
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
বিয়ার দিন কবে ধার্য করা হবে?
দৃশা
কইন্যা যেদিন মত দিবে।
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
কন্যা ভুল করিস না ...কন্যা ভুল করিস না...ভুল করা কইন্যার সাথে সৌরভ ভাইজান বিয়া বইব না...এইটা আমার গান না...ইমানে
দৃশা
ঘটনা কি? সৌরভ পোলাটা ভালোই! তাইলে কইন্যারে ডর দেখাও কেন?
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
হাসেন হাসেন।
হাসারই তো দিন আপনাদের।
@দৃশা, দ্রোহী
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
মন খারাপ কেন কলিগ?![চিন্তিত চিন্তিত](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/39.gif)
-------------------------------------------------
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা,
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা॥
মন খারাপের সবগুলি গল্প লেইখ্যা ফ্যালাও তারপরেই দেখা হইব মন ভালোর সাথে। গ্র্যন্টি![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
মন খারাপের সবগুলি গল্প লেইখ্যা ফ্যালান তারপরেই দেখা হইব মন ভালোর সাথে। গ্র্যন্টি
বিয়ায় যদি দাওয়াত না পাই, তাইলে...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
আমি হাসি না ইমানে...দ্রৌহী ভাই হাসে...ভদ্রলোকের বিয়া হইছে ...এর লাইজ্ঞা রঙ্গে আছে।
দৃশা
আমি ঠিক এ মন্তব্যটাই করতে যাচ্ছিলাম!
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
জাপানী ডল নাকি সৌরভের কপালে?
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
Ningyou
হায় হায়, এই লেখাটার শেষ পর্যন্ত এই পরিণতি!
দ্রোহীরে খাইছি।
খুঁটিতে মিষ্টি লাগানোর অপরাধে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমারে খাইয়া লাভ কি? আমার কাজ হচ্ছে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়া। তোমার মন খারাপ, তাই ভাবলাম ব্যাপারটা একটু ঘুরিয়ে দিলে কেমন হয়!
তাছাড়া আমি অভিজ্ঞ! জানি কি থেকে কি হয়। বিবাহ বিষয়ক কথাগুলো হালকা ভাবে নিও না। কারন, দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি--তোমার বিয়ে ফরজ হয়ে গেছে।
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
দ্রৌহী @জোস ১০০%
পোস্ট পড়ে বেশ একটা গভীর অনুভূতির মধ্যে ডুবে গেলাম।
মনে পড়ল আউলা (না না, ঐ হলে থাকা হয়নি কখনো, তবে চোথার খোঁজে গেছি বেশ ক'বার), মনে পড়ল দ্বিচক্রযান (আহা, এককালে বুয়েটের রাস্তার রানী ছিলাম আমরা সাইকেলওয়ালী ক'জন, বহুদিন চালাই না), মনে পড়ল রাত জাগা (যেটা এখনকার নিত্যদিনের ঘটনা, নতুন করে মনে পড়ার কিছু না)।
শেষে আবার কমেন্ট পড়ে হাসি পেল। ঝরাপাতার মত আমারো ধারণা একটা জাপানী ডলই তোমার সমস্যার সমাধান
।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
সৌরভ, অনেকদিন তোমার কোন লেখা পড়া হচ্ছে না।
কি মাঝি? ডরাইলা?
নতুন মন্তব্য করুন