অফলোড এর গল্প
দিনগুলো বড্ড তাড়াতাড়ি যায়। এইতো সেদিন এপ্রিল এলো, দেখতে না দেখতেই আগস্ট কড়া নাড়ছে। আগে আন্ডারগ্রেডে থাকতে অপেক্ষায় থাকতাম, কবে আগস্ট আসবে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর দেশে থাকতাম পুরোটা সময়। শেষ দেশে গেছি গত ডিসেম্বরে, সেটাকে অবশ্য যাওয়া বলে না। সেই অর্থে দেশে গেছি দুই বছর আগে। দেশের স্মৃতি সেখানেই থেমে আছে। আস্ত একটা দেশকে কোথাও স্টিলশটে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে যেনো।
ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম জনকের অসুস্থতায় হাজিরা দিতে, দিন চারেকের জন্যে। একটা ঘোরের মাঝে ছিলাম। দেশে যতটা সময় ছিলাম, তার চেয়ে বেশি ছিলাম বোধহয় যানবাহনের উপরে। ফেরার পথে ঘোরটা আরো বড্ড পেয়ে বসেছিল, এক ঘন্টা ধরে আমার নাম ডাকাডাকি হয়েছে জিয়া বিমানবন্দরে, আমি শুনতে পাই নি। সেই ফলাফল, প্লেন মিস। অফলোড।
অফলোড মানে ইমিগ্রেশন এর চেকিং এর দরজা আবার উল্টো দিকে বেরিয়ে আসা। অফলোড জিনিষটা বড্ড ঘোলাটে আর বিরক্তিকর। একটা সাদা কাগজে দরখাস্ত লিখতে হয়, মিথ্যে কথা বলতে হয়। যেমন, আমার পেট ব্যথা করছে। তাই আমার প্লেনে উঠতে ইচ্ছে করছে না। যেনো, স্কুলে টিফিন পিরিয়ডে ছুটি চাহিয়া প্রধান শিক্ষক বরাবর দরখাস্ত। উহু, এতো সহজ নয়। বড্ড ভেজালের । জিয়া বিমানবন্দরে যেসব খালামনিরা থাকেন, তাঁরা বড্ড রাগী। একবার শখ করে অফলোড করেই দেখুন নাহ!
তারপরও ভেজাল ছিলো, যে প্লেনটা মিস করেছিলাম, তার টিকেটটা অচল হয়ে যাওয়ায় আরেকটা টিকেট কিনতে হয়েছিল। একা গুলশান-কারওয়ানবাজার ছুটোছুটি। ঢাকা শহরে আমি এক অচল মানুষ। রাস্তাঘাট চিনি না। আমার দৌড় পলাশী-শাহবাগ-নীলক্ষেত বড়োজোর। কীভাবে পেরেছিলাম, জানি না।
পঁচা সময়
রোজ রাতে যে পঁচা নদীটার তীর ধরে দৌড়োই, তার পানিতে ভেসে গেছে এক নির্মাণ-কর্মী। গত সপ্তায়। হঠাৎ প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝেও কাজ করতে গিয়ে। সেই জায়গাটায় গিয়ে মনে পড়ে, আহা এভাবেও "মানুষ" মুহূর্তেই নাই-মানুষ হয়ে যায়। হাসিকান্নায় মুখর কোন প্রাণ মুহূর্তেই টিভিতে দেখানো প্রাণহানির খবরে পরিণত হয়। সেইসব খবরের সাথে আরো শোনা যায় কোন এক হাইস্কুল পড়ুয়া মেয়ে তার বাবাকে মেরে ফেলেছে, অথবা অসুস্থ স্ত্রীর সেবায় বিরক্ত কোন বুড়োর স্ত্রীকে মেরে ফেলাটাও নিউজের একেবারে উপরের সারিতে থাকে। সেইসব কাহিনী নিয়ে স্মার্ট মিডিয়ার কাটাছেঁড়া দেখি। ভাবি, আহ, মৃত্যু! তুমি বড্ড হেডলাইনে থাকো।
লাট্টু
একটা লাট্টুতে আটকে গিয়েছিলাম বছর খানেক আগে। অনেকদিন পরেও সেই লাট্টু থেকে বেরুতে পারি নি। আসলে বেরুবার উপায় জানা নেই, সত্যি কথা বলতে।
তবে, এখন আর দুঃখ জাগে না অসময়ে। শুনতে ইচ্ছে করে না দুঃখজাগানিয়া কোন গান বারবার। সব কষ্ট জমে ওঠে, নিজের উপরে ক্রোধে পরিণত হয়, ক্ষোভের আশ্রয় নেয় দুঃখেরা। দম বন্ধ হয়ে আসে। মনে হয়, কোন এক মেঘেঢাকা ঘোলাটে চাঁদের রাতে উড়িয়ে দেই সবকিছু। তাও যদি মুক্তি মেলে। বলতে ইচ্ছে করে, মহারাজ, এবার ছুটি দাও। আমি আর অফলোড হতে চাই না। অফলোড হওয়ার বড্ড ঝামেলা। আমি জানি।
বলি, আমি দিনভিখারি, নাইকো কড়ি, তবু পার করো আমারে।
-
গান- হরি দিন তো গেলো, সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে
কণ্ঠ- পরীক্ষিত বালা
জুলাই ২৫, ২০০৮
মন্তব্য
গানের কথায় সত্যজিত কে মনে পড়ল।
হায় প্রতিভা................
---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
হ্যা, পথের পাঁচালি তে শুনেই এই গানের প্রেমে পড়ে যাওয়া।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- এই শুরু হৈছে আবার বিষণ্ণকথন! দিবোনে বাউলে আইসা দৌড়ানি।
তয় অফলোডের মজা কৈতে পারুম না, লোডিং পর্যন্ত না গিয়াই ফিরা আইতে হৈছে দুই-দুইবার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এরে আর দৌড়ানি দিয়া লাভ নাই। ডাইরেক্ট এ্যাকশনের সময় আইসা গেছে। মাইরের উপরে কোন ওষুধ নাই।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কী আর বলি। কেউ কথা রাখে না।
সবাই খালি বলেই, মাইর তো দেয় না।
আইজকাল মাইরও দেওনেরও লোক নাই।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
তোমার বাসার কাছের পচা নদীর নাম কি??
--- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- ---
মন, সহজে কি সই হবা?
চিরদিন ইচ্ছা মনে আল ডাঙ্গায়ে ঘাস খাবা।
--- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- ---
মন, সহজে কি সই হবা?
চিরদিন ইচ্ছা মনে আল ডাঙ্গায়ে ঘাস খাবা।
পঁচা নদীর নাম পঁচা নদী।
নদীদের নাম থাকে না। নদীদের নাম থাকতে নেই।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
গান , লেখা সব মিলিয়ে এমন বিহ্বল-বিষন্নতা ছড়িয়ে দিলে সৌরভ !! (নি)দারুণ বাও ও বাতাসে আমারো অফলোডের গল্প এখানে , এইক্ষণে দিলাম ছেড়ে.......
---------------------------------------------------------
আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আহা, সুপান্থদা এখানে।
বেঁচে থাকি এইসব বিষন্নতা আর ফ্লাশব্যাক নিয়ে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
পড়লাম রে ভাই, পড়লাম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
কীভাবে আপ্যায়ন করি বলেন।
পরীক্ষাদেন ঠিকমতো। মাস্টরদের পেট-ব্যথা হোক। তারা যেন পরীক্ষায় সব জলবত-তরলং প্রশ্ন দেয়।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বড্ড ভালো লাগে আপনার লেখা পড়তে...
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
আমি না হয় লিখতে পারি না। তাই লিখি না।
তোমরা অনিয়মিত কেনো? শুনি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
প্রতি সপ্তাহে তো অন্তত একটা ব্লগ লিখি...তাছাড়া নিয়মিত তো পড়ছিই...
পরিবর্তনশীল এর কথা আর কইয়েন্না...সে ক্ষণে ক্ষণে বদলায়...এখন সে লাগছে মুভি দেখার পেছনে...সারাদিন সাদাকালো মুভি দেখে বোদ্ধা হইতেছে।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
- সামাজিক ছবি দেহেনাতো!
কওন যায় না আইজকাইলকার পুলাপাইন তো আবার হুরুব্বিমুরুব্বি মানে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সবাই কি আর আপনার মতো? খালি ইউটিউবে দুষ্টু গান খুঁজে বেড়ায়।
পরিবর্তনশীল আসলেই পরিবর্তনশীল দেখি। তবে ভালো, সাদা-কালো ছবির বোদ্ধা হয়ে গেলে তখন এই নিয়ে আমরা সেইরকম কিছু লেখা আশা করতেই পারি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- হ যতো দোষ এই গরীবের। যারা দেয় তাগো কোনো দোষ নাই!
আমি কী দেই তা বিবেচনায় রাখবেন না আব্বাহুজুর স্যার? নীরেট কোবতে, সেইরমের এট্টা মিউজিক সহ দিছি। কোনো সামাজিক জিনিষপাতি দেখছেন আমারে দিতে? আমারে কৈতে দ্যাখচেন সামাজিক কথাবার্তা? আমারে কোনোদিন কোনো মহিলার দিকে কু-দৃষ্টি দিতে দ্যাখছেন? জানি সব উত্তরই না। তারপরেও কৈবেন আমিই খারাপ।
যামুগা হালায়, জংলায়ই যামুগা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মিলা আফার সংগীতের অধিকতর দুষ্টু ভার্সনটা কে খুঁজে বের করেছে, শুনি।
তীব্র পেতিবাদ জানাইলাম। মিলাসংগীতের অবমাননা করা হইসে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- পরমান ছাড়া এই গরীবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হৈতাছে কৈলাম। দিমু কৈলাম গ্রাম সরকারে মকদ্দমা ঠুকে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার লিখা পড়তে বেশ লাগে...
থ্যাংকু ভাই। কবিতা লিখতে পারি না তো, তারেক আর আপনার মতো। তারেক রহিম কই গেছে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
যাক সৌরভ ভাই তাইলে লেখালেখি ছাইড়া নির্বাসনে যান নাই পুরাপুরি !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
যাবার জায়গা থাকলে তো।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
অসাধারণ লেখা! সঙ্গে গানটিও..
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
থ্যাংকু বড় ভাই।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ভালো লাগলো লেখাটা। আচ্ছা, লেখায় আরেকটু নিয়মিত হলে কী হয়?
গানটা শুনলাম অনেক অনেকদিন পর। ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার ওই হালখাতার হিসেব টা দেখেছি। ভয়ে ভয়ে আছি। দেনা অনেক জমে আছে দেখি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- বিষণ্ণ বালক ওরফে আমাদের তিন সদস্য বিশিষ্ট মজলিশে সুরার স্যার (মওলানার হুমুক আছে তিন সদস্য বিশিষ্ট এই সুরার সবার নাম জানি না নেই সবার সামনে, তাই নিলাম না), ওরফে আমার 'অতি সম্মানিত সালাম-আদাবীয় ব্যক্তি'র ইদানিং ভাবধারা বেশি সুবিধার না। গোঁপন সূত্রে জানা গেছে তিনি নাকি আমার জন্য একখানা শ্বাশুড়ি নিকাহ করিতে মনপ্রাণ উভয়ই সঁপিয়াছেন।
তাই তেনার তরে নিম্নোক্ত সঙ্গীতখানা রাখিয়া গেলাম। বিশেষতঃ উল্লেখ্য যে এই সঙ্গীতখানা এককালে হাসান মোরশেদ দাদার বড়ই প্রিয়া আছিলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখনো পাসপোর্ট হয়নি। তাই অফলোড হইবার ভয় নাই। তবে দারুন লিখেছেন আপনি। নিয়মিত লেখেন না ক্যান?
আপনার লেখাগুলো খুব ভেতরে কোথাও টাচ করে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
না, আপনার লেখা থেকে একশ হাত দূরে থাকতে হবে। খালি মন খারাপ কইরা দেয়, যদিএ জানি এমন লেখা থেকে দূরে থাকা সম্ভব না।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
"মুসকিলে আসান" দরবারের ঠিকানাটা কই জানি দেখলাম। মুশিমুশিতে পাঠানো দরকার । সিবাগিইগীর ব্যবসা লাটে উঠছে । দরবারই ভরসা ।
গানটা শোনার সময় লেখাটাও খুঁজে বের করে পড়ি মাঝে মাঝে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন