বিক্ষিপ্ত গল্প, একঘেঁয়ে সুর, জীবনের সরলরেখা

সৌরভ এর ছবি
লিখেছেন সৌরভ (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৮/২০০৮ - ১:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।।
ইনসমনিয়া আবার এসে ভর করেছে। অনেকদিন পর। ঘরের পর্দা টেনে দিয়ে, আলো বন্ধ করে, টিভি ছেড়ে দিয়ে শুয়ে থাকি। ঘর ঠান্ডা করে, একেবারে ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে এনে, কাঁথা মুড়ি দিয়ে। বড় ধরনের বিলাসিতা। টিভিতে অলিম্পিক পদকজয়ীদের নিয়ে উচ্ছ্বাসভরা সব অনুষ্ঠান দেখি।

সাঁতার, জুডো, মেয়েদের রেসলিং এ জাপান কয়েকটা পদক জিতে বাকিসব ইভেন্টে ডাব্বা মেরেছে। এখনো ডাব্বা মেরেই যাচ্ছে। আমাদের ডলি আক্তার আর বিউটি নাজমুন নাহারকে এদের মতোন বেতন আর সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে নির্ঘাত কিছু না কিছু করেই ফেলতো।

চীনের জয়জয়কার দেখতে দেখতে বিরক্তি ধরে গেছে। তবে, এথলেটিকসে মজা পাচ্ছি। ১০০ মিটার দৌড়ে জ্যামাইকা র উসাইন বোল্ট এর দৌড় দেখে হাসবো, না কাঁদবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। সেই ভদ্রল‍োক অর্ধেক পথ দৌড়ে এসেই খুব একা একা বোধ করতে থাকে, ডানে তাকায়, বামে তাকায়, যখন দেখে তার সামনে কেউ নেই, ডানে-বামে তো নয়ই, সেই আনন্দে ফিনিশিং লাইন পার না হতেই নাচা শুরু করে দেয়।

২।।
সব অভিজ্ঞতাই কেমন যেন দেজাভ্যুঁ হয়ে যাচ্ছে আজকাল।
আন্ডারগ্রেডার ছিলাম যখন, তখনও লম্বা সময় শারীরিক অসুস্থতার জন্যে এইরকম টিভি ছেড়ে দিয়ে শুয়ে থাকতাম। পুরনো নাটক বা অনুষ্ঠান মাঝরাতে পুনঃপ্রচার করতো, মাঝেমধ্যে সেইগুলোতে মনোযোগ দিয়ে সব ভুলে থাকার চেষ্টা করতাম। সকালে অবশ্য তখন ক্লাস থাকতো। ওইরকমভাবেই সকাল হয়ে যেতো, সকালে দু-এক ঘন্টা ঘুম আসতো মাঝেসাঝে।

সেইটা পার করে ক্লাসে হাজির হয়ে যেতাম ঠিকই সময় মতো। সকালের ক্লাসে কদাচিত ঘুমিয়েছি। আমার পাশে বা সামনের জাপানি বন্ধু নাক ডেকে ঘুমিয়ে গেছে বোরিং টিচারের পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইডের দিকে মনোযোগ দিতে না পেরে। আমি পারতাম না। ঠিকই জেগে থাকতাম চোখ টানটান করে। আমার ঘুম আসতো দুপুরের পরের ক্লাসগুলোতে। বাঙালির ভাত-ঘুম।
ক্লাসে শেষের দিকে টেস্ট বা হোমওয়ার্কের কথা উঠতেই নাক ডাকতে থাকা বন্ধু ঠিকই জেগে উঠতো অবশ্য। এই গুণটা অবশ্য আমিও রপ্ত করে ফেলেছিলাম পরে।

৩।।
শরীরটা অন্যদিক দিয়ে বিট্রে করে বসছে। পাকস্থলী কথা শুনছে না। সোজা বাংলায় বললে, পেটের সমস্যা।
পরিপাকযন্ত্রের গোলযোগের ব্যাপারটার সাথে আমার সখ্যতা খুব বেশি ছিল একটা সময়ে, দেশে থাকতে। ইলিশ মাছ খেলে পেট বিট্রে করতো, বাইরে সিঙারা-পুরি হাবিজাবি খেলে পেট বিট্রে করতো। গরীব শরীরে রাজকীয় পরিপাকযন্ত্র। তবে ব্যাপারটা যে জীবাণুর সাথে আমার শত্রুতাঘটিত, সেটা আমি পরে নিশ্চিত হয়েছি। কিছু কিছু সহজ সরল জীবাণু আমাকে খুব সহজে আক্রমণ করে বসতো।
গত বছর সাতেক এরকম হয় নি। হঠাৎ করেই অনিয়ম। আপাতত উপায় হলো, খাবারে মসলা বা মসলাযুক্ত খাবার বাদ দেয়া। খুব সহজ ব্যাপার। জাপানী খাবারে মসলা থাকে না।

৪.১।।
গবেষণা নিয়ে ভেজালে আছি। কিছু ডেটা বের করতে ঘাম ছুটে যাচ্ছে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিম্যুলেশন জিনিষটা বড্ড ভেজালের। একটা ফ্রি-সোর্স সিম্যুলেটর আছে, সবাই ব্যবহার করে, এনএস২ নামে। একে টানাটানি করে বাগে আনা খুব কষ্টের কাজ। পুরো সিম্যুলেটরটাকে ঠিকমতো না বুঝে একে দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতোন কাজ করিয়ে নেয়া অসম্ভব। এই ভেজালে আটকে আছি কয়েকদিন।

৪.২।।
খুব খুঁতখুঁতে হয়ে গেছি। মন-মেজাজ খুব খারাপ থাকে।
ল্যাবে পিচ্চিপাচ্চি, মানে জুনিয়রগুলো রোজ রাতে বাসায় ফেরার সময়, কুলার বন্ধ করতে ভুলে যায়। সেজন্যে আল-গোর এর একটা খুব ভয়ংকর বড় ছবি খুঁজে বের করেছি ওয়েব ঘেঁটে। "মাঝরাতে ঘরে ফেরা বন্ধু, কুলার বন্ধ করতে নিশ্চয়ই ভুলে যাওনি" লিখে, পোস্টার আকারে প্রিন্ট করে ল্যাবের দরজায় সাঁটিয়ে দিয়েছি।

সত্যজিত রয় এর খুব ছোট ছোট গল্পের সংকলন ছোটবেলায় পড়তাম। এবারও বারো, একডজন গপ্প, এইরকম হতো নামগুলো। সেইরকম কোন একটা সংকলনে একটা মজার গল্প ছিলো, এক লোক মানুষের ভবিষ্যৎ ছবি এঁকে দিতে পারতো, সেই নিয়ে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছি। না, সিরিয়াস কোন চিন্তা নয়। নিজের ভবিষ্যৎ ছবি কেমন হতে পারে, সেই নিয়ে। চিন্তা করলে একটাই ছবি ভেসে ওঠে, একটা খুঁতখুঁতে নিয়মতান্ত্রিক, একগুঁয়ে বুড়ো। মাথায় নির্ঘাত একটা পৈতৃক টাক। তবে ভুঁড়ি নাও থাকতে পারে। কারণ, তেল-চর্বি বড় অপছন্দের জিনিষ।

৫।।
পৌনঃপুনিকতা বড্ড বাজে জিনিষ। জীবনে কোন গল্প নেই। এখনকার জীবনটাকে একটা সরলরেখা হিসেবে চিন্তা করে, সময়নিরপেক্ষ যে কোন একটা অংশ তুলে নিলেই পুরো জীবনের রেপ্লিকা পাওয়া যাবে।
কোন গল্প নেই, কোন বিশেষ ঘটনা নেই।
বড্ড খারাপ, বড্ড খারাপ।

-
অগাস্ট ১৮, সোমবার, ২০০৮


মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি

কয়েক সপ্তাহ ধরে ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছি। না, সিরিয়াস কোন চিন্তা নয়। নিজের ভবিষ্যৎ ছবি কেমন হতে পারে, সেই নিয়ে। চিন্তা করলে একটাই ছবি ভেসে ওঠে, একটা খুঁতখুঁতে নিয়মতান্ত্রিক, একগুঁয়ে বুড়ো। মাথায় নির্ঘাত একটা পৈতৃক টাক। তবে ভুঁড়ি নাও থাকতে পারে। কারণ, তেল-চর্বি বড় অপছন্দের জিনিষ।

এইটা ভাল চিন্তা, যতই তুমি বিষন্নতার প্রলেপ দিয়া উপস্থাপনের ট্রাই করনা কেন। গুড থিংকিং।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সৌরভ এর ছবি

ভুল সময়ে মর্মাহত হইতেসি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

১। ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে বার কাঁথামুড়ি! ২০ ডিগ্রীর পরেই তো ঘামতে শুরু করি। বোল্ট একটা জিনিস। তবে অলিম্পিকের আগেও সে একবার ৯.৭২ তে দৌড়িয়েছে।

২। আমার ঘুমাতে সকাল আর দুপুর লাগতো না। ফার্স্ট বেঞ্চে বসেই টীচারের দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ চোখ বন্ধ হয়ে আসতো। পুরা শ্রাবণ মাসের নদীর জোয়ারের মত। আপ্রাণ চেষ্টায়ও চোখ খুলে রাখতে পারতাম না। ক্লাস শেষে আবার ফুরফুরা।

৩। আমার পেটে একসময় লোহাও হজম হতো। বিয়ে বাড়িতে খাদক হিসেবে খুব সুনামও ছিলো। তখন লিকলিকে শুকনা ছিলাম। এখন মোটা হচ্ছি আর সেইসব দিন শুধু স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে।

৪। ভেজাল না থাকলে আর কিসের গবেষণা!

আবার ৪। ভবিষ্যত নিয়ে আসলে চিন্তার কিছু নেই। মানুষের জীবনটা এমন যে, বর্তমানই সব। বর্তমানই একমাত্র আপন। অথচ আমরা অতীত কিংবা ভবিষ্যত নিয়েই মেতে থাকি বেশি। যে সময়ে আমরা কখনোই ছিলাম না অথবা কখনোই থাকবো না, সেই সময় নিয়ে ভেবে বর্তমান সময়কে ভারী করাটা অর্থহীন।

৫। পৌণঃপুনিকতার প্যাটার্নে যে বৈচিত্র আছে, সেইটা খুঁজতে হইবো ভবে!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৌরভ এর ছবি

২৬ই অনেক ঠান্ডা। নতুন কুলার তো।
কাথার পুরুত্ব খুব কম।

বোল্ট এর মাথা খারাপ। এই লোক সিরিয়াস ভাবে দৌড়ায় না ক্যানো?



২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

রায়হান আবীর এর ছবি

জীবনটা আসলেই বড় বেশী সরলরেখার মতো...আমার কাছে প্রতিটা দিন একরকম। সপ্তাহান্তে নির্দিষ্ট কোন দিনে আমি আসলে কি করেছিলাম সেটা মনে করতে পারি না। সবি এক, সরলরেখা।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

সৌরভ এর ছবি

রাতে ঘুমানোর আগে মনে করতে পারি না, দুপুরের খাবারে কী ছিলো। মন খারাপ


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

রায়হান আবীর এর ছবি

هذا شيء جميل

=============================

সৌরভ এর ছবি

شكرا لك


২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সৌরভ এর ছবি

গোপন দেনা-পাওনার হিসাব। দেঁতো হাসি


২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

কীর্তিনাশা এর ছবি

পৌনঃপুনিকতা বড্ড বাজে জিনিষ। জীবনে কোন গল্প নেই। এখনকার জীবনটাকে একটা সরলরেখা হিসেবে চিন্তা করে, সময়নিরপেক্ষ যে কোন একটা অংশ তুলে নিলেই পুরো জীবনের রেপ্লিকা পাওয়া যাবে।
কোন গল্প নেই, কোন বিশেষ ঘটনা নেই।
বড্ড খারাপ, বড্ড খারাপ।

সবার জীবনই বোধহয় এরকম। মাঝে মাঝে কেবল কিছু ব্যতিক্রম ঘটনা সেখানে ঢেউ তোলে, আলোড়ন সৃষ্টি করে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৌরভ এর ছবি

হুমম। বৈচিত্র্য খুঁজি না খুব একটা। বৈচিত্র্য খুঁজলে ব্যাকপ্যাক বেঁধে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়তাম আগেই।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

স্বপ্নাহত এর ছবি

বোল্ট এর দৌড়ানি দেখে আমার মাথাতেও সেম চিন্তাটা জাগসিল।
বেক্কলডায় করসে কি। ডাইনে বায়ে এত বেশি না তাকায় যদি চোখ বন্ধ করে খিচ্যা দৌড় দিত তাইলে টাইমিং আরো ভাল হইতো।

সরলরেখাটা ভাল আঁকসেন। বুঝতে কষ্ট হয়নাই। হাসি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সৌরভ এর ছবি

বোল্ট কে নিয়ে করা নিউইয়র্ক টাইমস এর এই বিশ্লেষণটা চম‍‌ৎকার। দেখার অনুরোধ থাকলো।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

স্বপ্নাহত এর ছবি

লিংকটাতে খালি চোখে আমি তেমন কোন বিশ্লেষন দেখতে পাচ্ছিনা। লগ ইন করতে হবে? নাকি চশমা লাগবে? ইয়ে, মানে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সৌরভ এর ছবি

এই লিংকে পুরো লিস্টি। নিচের দিকে আছে বোল্ট কে নিয়ে।
ফ্ল্যাশ প্লেয়ার লাগবে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আ রে দাদা, জীবনে গল্প হারালে তো আমরা আপনার পোস্টের খরায় মরবো। তাড়াতাড়ি কোনো মেয়ের সাথে ইয়ে করে গল্প বানান। তারপর পোস্টান।

সৌরভ এর ছবি

ইয়ে মানে, আমার সিগনেচার দ্রষ্টব্য। মন খারাপ


২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আলমগীর এর ছবি

২৬শে কাথা দেন ক্যামনে?

ns2 এর বিকল্প হলো ওপনেট। কিন্তু আমি আমার জীবনে এই একটা সফটওয়ার ব্যবহার শিখতে ব্যর্থ হইছি। তিন মাসের মতো সময় ব্যয় করে ক্ষ্যান্ত দিছি। কয়েকদিন আগে দেখছি গুই আসছে একটা, দেখতে পারেন।

আমি এখন আর নেটলেয়ারে নাই, তাই বিশেষ কোন কাজে আসতে পারব না।

সৌরভ এর ছবি

থ্যাংকু ভাইয়া। ২৬ই ঠান্ডা।
opnetফ্রি তো নাহ। আর ইচ্ছেমতো কিছু করার উপায়ও কম।

এনএস২ ভালোই বুঝি। ঠিকমতো কথা শোনে না, সেইটাই সমস্যা।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আলমগীর এর ছবি

ns2 এর গুই দেখলাম, সেটাই বলছি।
আমার একটা সুপ্ত ইচ্ছা আছে, ভালো একটা গুই বানানোর। দেখা যাক কদদুর কী হয়।
ns2 পারলে আর কথা কী? ওয়ারলেস মডিউলগুলা নাকি একটু ভেজাল করে শুনছি।

সুরভি এর ছবি

সুরভি
মাঝে মাঝে মনে হতে পারে এমন॥এত হতাশ লাগবে কেন ?ভাল থাকুন ॥

সুরভি

সৌরভ এর ছবি

সেইটাইতো। হতাশ লাগবে ক্যানো?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বিষন্ন বালক
নামকরনের স্বার্থকতা প্রমানিত হইলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সৌরভ এর ছবি

হাসি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমিও তো জ্যামাইকান ঐ চিতার দৌড় দেখে খুব মজা পাই। অফিসে সুইমিং গুলি সবাই মিলে দেখলাম (যেহেতু Aus সুইমিং এ বেশি এক্সপার্ট) আর বাসায় আসার পর রাত ১২-১ টা পর্যন্ত এই অলিম্পিক দেখা, প্রায় সব গুলোই দেখছি। ইসস তোমার মত যদি আরাম করে সকালে ঘুমানো যেত মন খারাপ খুব ভাল লাগল।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সৌরভ এর ছবি

সকালের ঘুম তো আরামের নাহ। উপায় না বলে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সবজান্তা এর ছবি

০১

এই যে বিষণ্ণ ব্রাদার, কোথায় ডুব দিলেন বলেন তো !!
আপনার জন্য আমি অপেক্ষায় নাজির হয়ে বসে আছি। সময়মত মেসেঞ্জারে এসে অধমকে থিসিসদায়গ্রস্থতা থেকে উদ্ধার করবেন , আশা রাখি।

০২

আপনার কথা শুনে আমিও ns2 নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলাম আর একটা মজার সুবিধা পেয়েছিলাম। জীবনে অনেকগুলি বছর IRC নিয়ে সময় নষ্ট করেছিলাম - সে সময় এগড্রপ চ্যাটবট কনিফগার এবং কোডিং করতে হত TCL দিয়ে। ns2 খুলে দেখি কি তামশা !! এটার টেমপ্লেট ডিজাইন করতে হয় TCL দিয়ে। অবশ্য আনন্দ অতো দূরই। ওটা দিয়ে বড়সড় সিমুলেশন করতে গেলে পঞ্চত্বপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে তা ভালোই বুঝতে পারছি। সেই সাথে নতুন হার্ডডিস্কে লিনাক্স ইন্সটল করা হয় নি, CygWin ও ডাউনলোড করা হয় নি। কাজেই সিমুলেশন এর আশা অতো দূরই।

০৩

ভূড়ির কথা আর কি বলবো ভাই। আমাকে যারা দেখেছেন তাঁরা সবাই জানেন আমার স্বাস্থ্য কতটা সুপার মডেলের মত , লিনিয়ার অ্যাপ্রক্সিমেশন দিয়েই এঁকে ফেলা যায়। কোন শত্রুর অভিশাপেই কি না জানি না, আমার একটা উল্লেখযোগ্য ভূড়ি হচ্ছে। নিজের উন্নতিতে ভীষণ হতাশ।


অলমিতি বিস্তারেণ

সৌরভ এর ছবি

ঠিকাসে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আরিফ জেবতিক এর ছবি

পৌনঃপুনিকতা বড্ড বাজে জিনিষ। জীবনে কোন গল্প নেই। এখনকার জীবনটাকে একটা সরলরেখা হিসেবে চিন্তা করে, সময়নিরপেক্ষ যে কোন একটা অংশ তুলে নিলেই পুরো জীবনের রেপ্লিকা পাওয়া যাবে।
কোন গল্প নেই, কোন বিশেষ ঘটনা নেই।
বড্ড খারাপ, বড্ড খারাপ।

হ , বয়েস হয়েছে বুঝা যাচ্ছে ।

বাসায় কার সাথে কথা বলতে হবে , ফোন নাম্বারটা দেন ।
বাকীটা আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি ।

সৌরভ এর ছবি

মন খারাপ
সিগনেচার দ্রষ্টব্য।


২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বিষন্ন করে দিলেন। কারণ আমার নিজের জীবনও পুরো সরলরেখা! তেমন কোন চেঞ্জ-ই পাই না বলতে গেলে। সবদিনই একইরকম লাগে।

সৌরভ এর ছবি

গোমেন না।
মানে হৈলো, স্যরি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি

যতদূর বুঝতে পারছি, এইসব বিষন্নতা, পেটে ব্যথা, মেজাজখারাপ ইত্যাদির মহৌষধ হচ্ছে উদ্দাম শারীরিক কসরৎ। কাঁথার নিচে এক বা একাধিক ফুটফুটে জাপানি ললনাকে আমদানি করার ব্যবস্থা করা যায় কি না দেখো। মাসখানেক ওভাবে চলুক। তারপরও যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তাহলে বড় কোন ডাক্তার দেখাতে হবে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সৌরভ, আমি ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍হিমুর সাথে সম্পূর্ণ একমত। এটা অব্যর্থ থেরাপি। পরীক্ষা প্রার্থনীয়।

আপনার দেশের লেখক হারুকি মুরাকামির একটা উপন্যাসের নায়ক যমজ দুই বোনকে নিয়ে ঘুমতো এক শয্যায়। অনুকরণীয় উদাহরণ হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সৌরভ এর ছবি

নাউজুবিল্লাহ। নাউজুবিল্লাহ।
অযু কৈরা আসি। দেঁতো হাসি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

কনফুসিয়াস এর ছবি

২৬ এ কাঁথামুড়ির কথা শুনে হিংসা হচ্ছে। এখানে সারাদিনই এখন ১৩/১৪, রাতের বেলা ৭, সকালে উঠে আমি যখন বের
হই, তখন থাকে ২!
*
শিমুলকে বলবো নাকি ইত্তেফাকের ষষ্ঠ পাতায় উঁকি দেয়ার সময় তোমাকেও সাথে নিতে?

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সৌরভ এর ছবি

শিমুল পুলাটা আমার জন্যে দেখবে না, আমি জানি। স্বার্থপর পুলা! মন খারাপ


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৌরভ এর ছবি

সেই বিশেষ পাতা পড়া শুরুর পর থেকে শিমুলরে পাওয়া যাইতেসেনা। মিসিং।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এখানে আমাকে নিয়ে আলাপ জমছিলো? দেখি নাই তো...

তারেক এর ছবি

পৌনঃপুনিকতা বড্ড বাজে জিনিষ। জীবনে কোন গল্প নেই। এখনকার জীবনটাকে একটা সরলরেখা হিসেবে চিন্তা করে, সময়নিরপেক্ষ যে কোন একটা অংশ তুলে নিলেই পুরো জীবনের রেপ্লিকা পাওয়া যাবে।
কোন গল্প নেই, কোন বিশেষ ঘটনা নেই।
বড্ড খারাপ, বড্ড খারাপ।

-আমার মনের কথা, ভাল্লাগে না কিস্যু মন খারাপ
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সৌরভ এর ছবি

ভাল্লাগেনা কিস্যু, সাথে রাখো টিস্যু।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

দ্রোহী এর ছবি

হিমুর কথা শুনে আমার নিজেরই লোভ হচ্ছে। চীনা,জাপানী, কোরিয়ান সহ যাবতীয় বোঁচাদের আমার বড়ই অপছন্দ! তবে অন্য কোন জাতি হলে কী ক্ষতি!

কথাটা বউকে পেড়ে দেখবো নাকি?


কী ব্লগার? ডরাইলা?

সৌরভ এর ছবি

ক্যানো?
অপছন্দ ক্যানো? কোরিয়ান মেয়েগুলোনরে আমার বেশ লাগে। মোম দিয়ে বানানো।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

মাশীদ এর ছবি

পৌনঃপুনিকতা বড্ড বাজে জিনিষ। জীবনে কোন গল্প নেই। এখনকার জীবনটাকে একটা সরলরেখা হিসেবে চিন্তা করে, সময়নিরপেক্ষ যে কোন একটা অংশ তুলে নিলেই পুরো জীবনের রেপ্লিকা পাওয়া যাবে।
কোন গল্প নেই, কোন বিশেষ ঘটনা নেই।
বড্ড খারাপ, বড্ড খারাপ।

আসলেই। এরকম কিছু কথা আমার মাথায়ও ঘুরপাক খায় খুব। কেমন যেন ঘটনাবিহীন জীবন...nothing to look forward to...মাঝেমাঝে খালি হুট করে মনে হয়,'how did i end up here?' এই কি হবার কথা ছিল?

অবশ্য ইনসমনিয়া নেই। ছিলও না কোনদিন। শুধু রাতে যতক্ষণ জেগে থাকা যায় থাকি...ঘুমিয়ে গেলেই আবার নতুন করে সেই চার দেয়ালের যান্ত্রিকতা শুরু হবে...তাই সকালকে যতটা ঠেলে দূরে সরানো যায় সেই চেষ্টা করি।

লেখাটা ভাল লাগল।

ভাল কথা, পোস্টারে কাজ হয়েছে? কুলার কি এখন বন্ধ থাকে রাতে?


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

সৌরভ এর ছবি

কুলার বন্ধ থাকে।
তবে পোস্টারে নয়, আমি একটু রাগ-রাগ টাইপ, সেইজন্যে বোধহয়। দেঁতো হাসি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সৌরভ এর ছবি



২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

দৃশা এর ছবি

এই পোলাডার এইবার হনুফা বিবির সাথে বিবাহ দেওয়া জরুরী হইয়া গেছে... তাইলে জীবন ক্ষনকালের লাইগা সরলরেখা থেইকা বক্ররেখা হইব।
-----------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

সৌরভ এর ছবি

হ।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কে হায় হৃদয় খুঁড়ে, বেদনা জাগাতে...

সৌরভ এর ছবি

ঠিকাসে, স্যার। ভালো লাগে না এই সব।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আহা, এরকম লেখক কেনো অনিয়মিত?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।