পৌনঃপুনিকতার তালিকায় অনেকদিন আগে নাম লিখিয়ে ফেলা জীবনের এই ছোট্ট ঠিকানায় তাও আকাশ ছিলো, ছিলো জানলা খুলে দিলে ওপারে দাড়িয়ে থাকা কয়েকটা অচিন বৃক্ষ। আমার এই বসার জায়গাটুকুর পেছনে তাকালে দেখতাম কখনো আকাশ নীল, কখনো কালো। কখনো আকাশের মন ভালো, কখনো কটমটে রাগ করা মা মেঘেরা বাচ্চা মেঘেদের নিয়ে উড়ে যেতো ওই অচিন বৃক্ষের ওপর দিয়ে।
পাখি। টিয়া। ঝাঁকে ঝাঁকে, সন্ধ্যায় ওদের ডানা ঝাপটানি ওই অচিন বৃক্ষের পাতায়-ডালে।
সব হারিয়ে যাবে, খুব তাড়াতাড়ি হলে কাল, অথবা সামনের সপ্তায়। বাড়ছে কনক্রিটের কাঠামো, হয়ে গেছে একতলা। আমার বিদ্যালয় বানাচ্ছে নতুন ভবন, যেনো ফুঁড়ে উঠছে অশ্লীলভাবে। একেবারে আমার জানলা ঘেঁষে। পুরনো কিছু ভবন ভেঙে ফেলা হবে, তার প্রস্তুতি হিসেবে এখানে গড়ে উঠছে নতুন। আমাদের আকাশকে বিসর্জন দেবার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠান দেবে চকচকে নতুন ল্যাব, শ্রেনীকক্ষ এমনকি একতলায় কনভেনিয়েন্স স্টোর। বেচবে প্যাকেট লাঞ্চ থেকে শুরু করে স্লিপিং পিল।
আমি জানলা দিয়ে তাকালে আর আকাশ আমায় ডাকবে না। মায়াভরা বৃষ্টিমাখা আকাশ অথবা দুধ-সাদা মেঘ মাখানো আকাশ। দেখবো সেখানে কনক্রিটের কালো অথবা ধূসর দেয়াল। অথবা এয়ারকুলারের বেড়ে যাওয়া বাইরে থাকা অংশ। স্ট্রেসময় জীবনের বন্ধু এই ছোট্ট আকাশটুকু, তোমার সাথে বিদায়ের এই বেলায় নাগরিক মানুষ হবার দায় ও দুঃখে আমি বিব্রত। অসহায়।
বিদায় বন্ধু।
-
সেপ্টেম্বর ১২, ২০০৮
মন্তব্য
আহারে!!!
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
হু!
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বাহ চমৎকার থীম!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মনে দুঃখ!
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমি তীব্র ভয়ে থাকি আমার বাড়ির সামনের প্লটটায় কবে ডেভেলপারের সাইনবোর্ড লটকাবে। সেদিন এই লেখাটা একটু এদিক সেদিক করে আমার বলে চালিয়ে দেয়া যাবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এসো করো স্নান নবধারা জলে,
বলবে কে আর?
রিয়েল এস্টেট শোনে কি কখনো মেঘ-মল্লার?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বড় নস্টালজিক করে দিলেন...
হারায়া গ্যাসে
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- জানলার ইট্টুখানি ফাকার লাইগ্যা মাইনসে এমনে ফ্যাঁচফ্যাঁচ কইরা কান্দে?
মওলানা ঠিকই কইছে, বউয়ের পিডা খাইয়া নিঃশব্দে ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ কইরা কানবো স্যারে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জিফরান খালেদ, মহিব থ্যাংকু।
জম্মনদেশেররুম্মন ভাই,
আপনি জানেন, আমগো দেশের মাউলানারা যা বলে, তা হয় না।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
হে নগর সন্তান
আজ রাতে বাইরে তাকাও
মেঘ মুক্ত আকাশে সেরে নাও তোমার জোছনা বিহার
কারণ?
হয়ত বা কাল তোমার দৃষ্টি কে করবে আড়াল কোন কঙক্রিেটর দেয়াল।
নিবিড়
প্রিয় অতিথি, অশেষ কৃতজ্ঞতা এ বেদনার পাঠে অংশ নেবার জন্যে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
জানালা দিয়ে আকাশ দেখা আমার খুবই পছন্দের একটা কাজ। সচেতনভাবে করি না, কিন্তু আপনাআপনি চোখ চলে যায়। বুঝতে পারছি আপনার অবস্থাটা। কি আর করবেন বলেন, বাসাটা চেঞ্জ করে ফেলেন।
______________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
হুমম, বাসা তো নাহ। ল্যাবে।
বদলানো তো অসম্ভব।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সব দেশেই দেখি এক অবস্থা।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বরফ হোক সেরা সংগী। মাথায়, চিন্তায়।
এক ফালি ব্যক্তিগত আকাশটিও আর আপনার থাকছে না! হায় হায়!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কি আর করবা!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বুঝতেসিনা কি বলবো
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
শিমুল স্যার, আলবাব ভাই, মুমু, তারেক,
থ্যাংকু।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ব্যাবাকেই উত্তর পাইলো, থ্যাংকু পাইলো। আমি কী দোষ্কর্লাম? নাকি আমার উপ্রে আপনের কোনও কারণে রাগ?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আরে নাহ ভাইজান, চেয়ারের নিচে আশ্রয় নিছিলাম, সচলায়তন উড়ায় দেওয়ার হুমকি দেখে। সেই হৈচৈ এ নিজের কানাডা-জম্মনের গৃহী ভায়রাভাইদের খবর নেই নাই আর আপনি তো সন্ন্যাসী।
দরকার হইলে মুহিব এর আপডেট-পোস্ট দেখেন।
স্যরি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এমনই হয়। এ বড় মায়ারে দাদা। সবই মায়ার খেলা।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
মায়ার খেলা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
'অতল, তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারি নি বলে;
হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে...'
চমৎকার লেখা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন