অভীক একটা দুরন্ত সাত বছরের বাচ্চা। পাজল মিলায়, ফুটবল খেলে, অঙ্ক করে। মাঝেমাঝে ছবি আঁকে। আঁকটোবর উপলক্ষে অভীকের আঁকিঝুঁকি থেকে একটা পোস্ট।
বড্ড খারাপ একটা দিন
ভূমিকম্পের পরে প্রায় ত্রিশ ঘন্টা পার হয়ে গেছে।
সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটা হয়েছে গতকাল ভর দুপুরে। একটা ব্যাংকের আইটি তে কাজ করি। লাঞ্চ থেকে অফিসে ফিরে এসে ডেস্কে বসে আছি। আমার ম্যানেজার গেছে ছুটিতে, নিজের বাড়ি আয়ারল্যান্ডে। নিজের ক্যালেন্ডারে যে কয়টা মিটিং, কনফারেন্স কল ছিল, সকালেই সব চুকে গেছে। কাজেই কত তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে বাংলাদেশের খেলা ধরা যায় তাই চিন্তা করছিলাম।
।।পাথর-সময়।।
এখন পুরোদস্তুর দ্বিপদ চাকুরিজীবীতে পরিণত হওয়ার পর জীবন হয়ে গেছে অনেক সংক্ষিপ্ত, বাহুল্য অথবা অনিয়ম এখন অনেক দূরের ব্যাপার। সকালে নিয়ম করে উঠতে হয়, দাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, দুটো পা ফেলার জায়গা থাকে না এমন ভীড়ের ট্রেনে ঢোকার জন্যে প্রায় শারীরিক কসরত করতে হয়। রাত হলে বাসায় ফিরে মোটামুটি পর্যাপ্ত ঘুমানোর সময় পাই অবশ্য।
তারপর আছে কাজের ঝামেলা, সিঙ্গাপুর থেকে বসেরা ভিড...
দেখতে দেখতে সাত বছর চলে গেলো। অথবা অনেক লম্বা সময় পাড়ি দেবার পর মনে হলো, সাত বছর পেরিয়েছে। ঘর ছাড়ার, বাড়ি ছাড়ার। মানে, জীবনকে পেছনে ফেলে আসার। এখনকার দাড়িয়ে থাকা বিন্দু থেকে দেখলে সাত বছর আগের সময়গুলোকে স্পষ্ট মনে পড়ে না। ভালোমতোন মনে করার চেষ্টা করে দেখলেও নয়। অনেক কাল আগে পড়ে বইয়ের তাকে রেখে দেয়া কোন সাদামাটা বইয়ের বিস্মৃতপ্রায় পাতায় লেখা ছাপার হরফের মতো মনে হয়। অক্ষরগুলো সাম...
স্টেডিয়ামে উপস্থিত শ্রীলংকার সুদর্শনা তরুণীদের সৌজন্যে এবারের মতোন আমরা শ্রীলংকাকে সৌজন্য বিজয় দিয়ে দিলাম।
পরেরবার আর এইরকম সৌজন্য দেখানো হবে না।
আপডেট-৩
দশটা পড়লো। শেষেরটা রানআউট। কী আর করা।
আপডেট-২
ভেউ ভেউ। মাশরাফি গেলো। ইনসুইং বলে হালকা টাচ কইরা দিয়া কট বিহাইন্ড।
যাইগা, আর দেখপো না খেলা।
আপডেট-১
পোস্ট ডিলিইট দিমু। সাকিব বোল্ড হৈসে। মাশরাফি আসলো।
৪০৩/৭
ভেউ ভেউ... ...
তারপর আমি এই শহরে আবার ফিরে আসি। অনেক দূর পথ পেরিয়ে। ততোদিনে আমি ক্লান্ত। আমার শহর প্রবীণ মহাকায় বৃদ্ধ। আমাকে আলিঙ্গনের জন্যে কোন বাহুল্য করার মতোন সুযোগ তার নেই। আমার শেকড় অবশিষ্ট নেই খুব বেশি। অলস সন্ধ্যেতে আমি এই শহরে ঠাণ্ডা পায়ে হেঁটে যাই, পরিচিত মুখ খুঁজি। ভাবি, হৃদ্যতার বোধে কেউ হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলবে, আরে তুই..।
অনুভব করি, আমার স্মৃতিবইয়ের পৃষ্ঠা গুলোতে ততোদিনে অনেক জায়...
ভালো আছি?
পাতা ঝরে গেছে সব। স্কুলের রাস্তাগুলো ঝরা পাতায় জমাট হয়ে থাকে। ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়, মাঝেমাঝে বৃষ্টিও। ঠান্ডা বৃষ্টি নেমে আসে রাত ভর। ব্যস্ত একেকটা দিনশেষে প্রায় মাঝরাতে যখন ১২ বর্গমিটারের ছোট্ট আবাসে ফিরে আসার জন্যে সাইকেলে প্যাডেল ঘুরাই, তখন সকালে কীভাবে দিনটা শুরু করেছিলাম, সেটা আর মনে থাকে না। মনে করার মতোন শক্তি পাই না আসলে। বাসায় ফিরে আর একটা দৌড় দিয়ে আসার মতো প...
১.
বছর দুয়েক আগে আমি এই বিদেশ বিভুঁইয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম সপ্তাহ দুয়েক। পিঠের একটা মাঝারি ধরনের সার্জারির জন্যে। কী হয়েছিলো, সেইসবের গল্পে যাবো না। শুধু, অভিজ্ঞতার কথা বলে নেই। হাসপাতালে ভর্তির আগের সপ্তাহে একগাদা মেডিক্যাল টেস্ট করাতে হয়। সব টেস্টে নাম, কিংবা হাসপাতালের কার্ডের আইডি চাইলো। কিন্তু, একটা চেকআপে কোন কিছুই লাগলো না। একটা লম্বা নম্বর দিয়ে আমাকে, আমার পরিচিত...
সংসারী মানুষ, কিন্তু বাউল। গাওয়ার কথা গান, কিন্তু লেখে গল্প আর কবিতা। আলবাব ভাই। বাবাই র বাবা। দুনিয়ার সব জায়গায় বাপ-বেটা আঙুল ধরে হাঁটার ছবিটা মিস করছেন, কেউ নাই নিশ্চয়ই?
ল্যাবে আমার ডেস্কে একটা বই সাজানো, বউ, বাটা, বলসাবান। বহুবার পড়া। তারপরও পড়ি। সেই বইয়েরও জনক।
আজকে আলবাব ভাইর জন্মদিন। অনেক শুভেচ্ছা পাঠানো হইলো। কেক-কুক কিনে খাইয়েন, আলবাব ভাই। বিল মালয়েশিয়ার দিকে পাঠায় দ...
পৌনঃপুনিকতার তালিকায় অনেকদিন আগে নাম লিখিয়ে ফেলা জীবনের এই ছোট্ট ঠিকানায় তাও আকাশ ছিলো, ছিলো জানলা খুলে দিলে ওপারে দাড়িয়ে থাকা কয়েকটা অচিন বৃক্ষ। আমার...