১.
খুব সাধারণ ব্যপারই মাঝে মাঝে মানুষকে এমন ভাবিয়ে তোলে ভাবলে অবাক লাগে! এই যেমন এখন সুমন বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আসলে একটু ভয় ভয়ই পাচ্ছে বুঝি। যে মামুলি ব্যপারটা এই অস্বস্তির সুচনা করেছে যেটা নিয়ে অন্য কোন পরিবেশে ভাবলে হয়তো নিজেই হেসে উঠতো। কিন্তু এখন এই ঝি ঝি নীরবতায় সব কিছু ঠিক ‘ভাল' লাগছে না।
এসেছে সে মনিরামপুর। যশোরের একটা থানাসদর। নামেই পৌরসভা। আসলে অজপাড়া গা। কয়েকটা দালান বাড়ি অবশ্য আছে। কোন হোটেল মোটেল নেই। পৌছতে পৌছতে পুরো রাত হয়ে গেছে। ঘড়িতে অবশ্য বাজে সাড়ে সাতটা। এখন দিন ছোট। অফিস থেকেই একটা ব্যবস্থা করেছে থাকার। অনেকটা পেইং গেস্ট এর মত। দুই দিনের ট্যুর। একটু আগে শিরিণ ফোন করেছিল। ঠিক মত পৌছেছে কিনা সেসব খোজ খবর নিল।
থাকার ব্যবস্থা ভালই। দক্ষিন মুখি একটা ঘর বরাদ্দ হয়েছে তার জন্য। ঘরের জানালা দিয়ে একটা জবা গাছ দেখা। গাছে অনেক গুলো জবা ফুটে আছে। রক্ত জবা। চাঁদের আলোয় মনে হচ্ছে কালো। সেদিকে তাকিয়ে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল সুমনের। তাদের নিজেদের বাড়িতেও এরকম একটা জবা গাছ ছিল। খুব ভোরে কখনো সুপ্রিয়াদি কখনো কাজলামাসি আসতো ফুল নিতে। পাঁচিলের ওপাশ থেকেই ফুল টেনে নিত। তার বাবা প্রতিদিন ফজরের নামাজে সময় বেগানা মেয়েছেলের ফুল নিয়ে টানা টানি দেখে বিরক্ত হত খুব। একদিন তো একটা দাঁ নিয়ে কুপিয়ে কেটেই ফেললো পুরো গাছ। তার বাড়ির গাছে উঠে হিন্দুমেয়েরা বেল্লেলা পনা করবে! আর গাছের ফুল নিয়ে সকাল বিকাল শীবের গাজন গাইবে! এইসব তার সহ্য হয়নি বেশিদিন...
এসব ভাবছিল সুমন। হঠাৎ করেই পাচিলের ওপাশ থেকে একটা হাত এসে টুক করে একটা ফুল ছিড়ে নিলো! ব্যপারটা ভাল করে দেখার জন্য কিছুটা এগিয়ে গেল সে। তখন সেই হাতটা উকি দিল আবার। এবার আর ফুল ছিড়লো না। কেমন যেন ইশারা করতে লাগলো। কিছু একটা বলতে চাইছে যেন! কমিউনিকেশনের ব্যপারে সুমন একটু কাঁচা। ইঙ্গিত-ইশারা এসব বোঝেনা তেমন। তারপরও চেষ্টা করতে লাগলো বোঝার। কয়েকবার ‘কে কে’ করে উঠলো। সাড়া এলনা কোন। তারপর এক সময় মনে হল কিছুটা যেন বুঝতে পারছে। হাতটা তাকে বলতে চাইছে। ‘এখানে থেকোনা। বেড়িয়ে পড় তাড়াতাড়ি’। অবশ্য মনের ভুলও হতে পারে। হাতটা হারিয়ে গেল এর পর। অন্ধকারে।
আর তখনই অস্বস্তি টা শুরু হল। অসংগতি গুলো চোখে পড়েছিল শুরুতেই। এবাড়িতে যখন সে ঢোকে, তখনই দরজা খুলে কেমন ঝুকে দাঁড়িয়ে ছিল বয়স্ক মহিলাটা। বুড়ো মানুষ অবশ্য এভাবেই দাঁড়ায়। বসার ঘরে টিভি। টিভি দেখছে এবাড়ির একটা মেয়ে। মেঝেতে মনে হয় কাজের মেয়ে বসে আছে। সেও টিভি দেখছে। তার অনাহুত উপস্থিতি তে যেন একটু বিরক্ত হল তারা। মেয়েটা টিভির সামনের সোফা ছেড়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলে গেল রুমের অন্যপাশে। আরেকটা চেয়ারে উঠে বসল। ফুটফুটে একটা মেয়ে। কিন্তু পায়ে কোন সমস্যা আছে মনে হয়। এসব ভাবতে ভাবতে সে ফিরলো সেই বুড়ি মহিলার দিকে। বুড়িও দরজা আটকিয়ে ফিরে আসছে এদিকে। ঝুকে হাত দিয়ে মাটি ছুয়ে ফেলেছে প্রায়। যেন হামাগুড়ি দিচ্ছে। এজন্যই এ বয়সে লাঠি ব্যবহার করা উচিৎ। বুড়ির লাঠি মনে হয় আছে অন্য কোথাও। তার সাথে চোখাচোখি হতেই আবার উঠে দাড়ালো বুড়ি। একটু কুজো হয়ে।
ফ্রেশ ট্রেশ হয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়েও একই রকম ব্যপার দেখলো সুমন। বুড়িটা হামাগুড়ি দিয়ে সুড়ুত করে চলে গেল রান্না ঘরের দিকে। একটা মধ্যবয়সী লোকও অবিশ্বাস্য দ্রুততায় এক রুম থেকে আরেক রুমে চলে গেল। হামাগুড়ি দিয়ে। সুমন একটু অবাক হল। এবাড়ির লোকদের সবারই কি পায়ে সমস্যা। দাড়াতে তো পারে ঠিকই। অবশ্য একটু ঝুকে দাড়ায়। আর পা ফেলতে গেলে টাল মাল করে। অস্বস্তিকর বিষয়। তাই রাতে খাবার সময় এই প্রসংগ তুললো না। অবশ্ টেবিলে কথাও হয়নি তেমন। আর তখন ব্যপারটা অত অস্বাভাবিকও মনে হয়নি। যতটা মনে হচ্ছে এখন।
রুমের বাইরে সর সর এক ধরনের শব্দ হল যেন। আবারো মনে হয় কেউ হামাগুড়ি দিচ্ছে। একটু তৃষ্ণা পায় তার। খাবার ঘরে পানি আনতে গিয়ে দেখে জগে পানি নেই। পিছন দিকে সরসর শব্দটা হয় এবার। চকিতে ফিরে দেখে মেঝের উপর দিয়ে ওপাশের রুমে ঢুকে গেল একটা লালচে শাড়ীর আচল। কোন ফাকে কাজের মেয়েটা হামাগুড়ি দিয়ে এসে টেবিলের ওপাশে হুট করে উঠে দাঁড়ায়। কুজো হয়ে। সুমন একটু চমকে উঠে। বলে, ‘জগে পানি নেই’। মেয়েটা নিঃশব্দে জগ নিয়ে চলে যায় পানি আনতে। প্রথমে একটু টালমাল হেটে এক সময় হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে পড়ে রান্না ঘরে। ওপাশের ঘরের দরজায় মেঝের দিক থেকে উকি দেয় সেই বুড়ির মুখ। সুমন দ্রুত নিজের ঘরে ফিরে যায়।
নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে এসব কোন ব্যপারই না। শুধু শুধুই উলটা পালটা ভাবছে সে। মশারি টানিয়ে খাটের উপর বসে। ডিমলাইট টা জ্বালিয়ে দিয়ে তাকায় জানালার দিকে। জানালার পাশের দেওয়ালে একটা টিকটিকি দাঁড়িয়ে আছে স্থির হয়ে। তাকিয়ে আছে তার দিকেই। আর তখনই পাচিলের ওপাশ থেকে জবা গাছটার কাছে উকি দেয় একটা হাত। তারপর আরেকটা, তারপর আরেকটা। অনেক গুলো হাত একসাথে তাকে সেই একই ইশারা করতে থাকে। এসময় বিছানাটা কেপে ওঠে একটু। তখন মশারির এপাশ থেকেও উকি দিয়েছে একটা হাত। কাজের মেয়েটা হামা গুড়ি দিয়ে এসে পানি ভরা একটা গ্লাস এগিয়ে ধরেছে মশারির ভিতরে। রুমের বাইরে সর সর শব্দ হচ্ছে। আরো কয়েকজন এগিয়ে আসছে মনেহয়। গ্লাসটা হাতে নেওয়ার পর মেয়েটা কেমন একটু কুজো হয়ে দাঁড়ায়। সেই সময় দরজায় উকি দেয় আরো কয়েকজন। হামা গুড়ি দিয়ে রুমে ঢুকে পড়তে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে জানালার দিকে সরে যায় সুমন। তখন খেয়াল করে। জানালার দিকের দেওয়ালে সেই টিক টিকির সাথে হামাগুড়ি দিচ্ছে সেই বুড়িটাও। একসময় তারা সবাই হামাগুড়ি দিয়ে এসে তার খাটটাকে ঘিরে ধরে। কিছু চতুষ্পদী জন্তুর যেন।
২.
দুই দিন পর। রাত বাজে সাড়ে এগারটা। শিরিণের প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। সুমনের আসার কথা। এখনো পৌছেনি। কত দেরি হবে কে জানে? ওকে রেখেই খেয়ে ফেলবে কিনা বুঝতে পারছে না। শুধু শুধু এতক্ষন বসে থাকাটা বোকামি হয়েছে। এসব ভাবছে সে। এমন সময় গেটে নক হল। পরিচিত নক। ঘুম জড়ানো একটা হাসি মুখ নিয়ে দরজা খুলতে যায় শিরিণ। ভিউয়ারে উকি দিয়ে ওপাশের পরিচিত মানুষ টাকে চিনতে পারে সে। সুমন তখন নিচু হয়ে কি যেন খুজছে সিড়ি ঘরের মেঝেতে। দরজা খুলে জিজ্ঞেস করে ‘কি খুজছো?’ কোন জবাব দেয়না সে। শুধু সর সর শব্দে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে পড়ে ঘরে।
মন্তব্য
স্পর্শ - খুব, খুব সম্ভাবনাময় একটা গল্প! কিন্তু পড়ার পর কেমন যেন একটু 'সব উত্তর পেলাম না' ধরনের ভাব রয়ে যাচ্ছে (না - শেষ হইয়াও হইলো না শেষের কথা বলছি না কিন্তু )
হাতগুলো আর চতুষ্পদীতে পরিণত হওয়াদের মধ্যে সম্পর্কটা আরেকটু পরিষ্কার হলে ভালো হতো।
এইটা হচ্ছে ফার্স্ট ট্রাই! লেখার পরে নিজেই অর্ধেক পড়ে বোরড হয়ে গেছিলাম !
এই টাইপের গল্প নিয়ে আরো প্রাক্টিস কতে হবে মনে হয়।
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ওরে বাপস্। সেই রকম একটা গল্প হয়েছে। ধৈর্য ধরে যে পুরোটা শেষ করেছেন এই জন্য ধন্যবাদ অনেক।
আর কি বলতাম। বিশাল ভালো লাগছে।
---------------------------------
আরে ধুরো মিয়া পুরা "বোরিং বোরিং বোরিং" টাইপ হইসে!!
এই টাইপের একটা গল্প আমি নিজেই পড়ে শেষ করতে পারবোনা!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হাত খানিকটা লম্বা হইসে লাগে? সুমনরে যেমন পেত্নীরা আসর করসে, আমরা লম্বা লেখোইন্যারা কি আপনেরে আসর করলাম নাকি? তাইলে বলতে হয় ভূত-পেত্নীইরাই মানুষরে আসর করে না...
অবশ্য একটু লম্বার কারণেই লেখাটা ফুটসে। ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
হা হা হা!!
আসলে এইটাইপের গল্প এইটাই প্রথম। প্রাকটিস ফেজ চলতেছে। দেখাযাক। আরো দুয়েকটা লেখা লাগবে। কিছু বিষয়ে ফাইনটিউনিং দরকার।
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাল বললে বাকি থেকে যাবে অনেক খানি, সুলিখিত বললাম। শুভেচ্ছা।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
অনেক ধন্যবাদ!! প্রথম গল্প (এইটাইপের) নিজের কাছেই তেমন ভাল লাগছেনা। আপনার কমেন্টে উৎসাহ পেলাম।
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
***** গা ছমছম করা, কিন্তু জোর করে ভয় দেখানো না। শেষটা এক্স ফাইলস ধরনের লাগল।
ধন্যবাদ! কিন্তু আমার কাছে তো বোরিং লাগলো!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ঠিক বুজতার্লাম্না
কল্পগল্প, অতিপ্রাকৃত গল্প পড়ার অভ্যেস নেই বলেই হয়তো...
ভাই স্পর্শ, আমার মন্তব্যকে গুরুত্ব না দেয়াটাই উচিত হবে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আসলে প্রতিবার যখন একটা গল্প লিখি, লেখা শেষ করে নিজে একবার পড়ি। পাঠক হিসেবে। এই গল্পটা পড়তে গিয়ে যখন শেষ করেছি তখন মাথায় তিনটা শব্দ আসলো! "বোরিং বোরিং বোরিং"
অবশ্য প্রাকটিস চলছে। গল্প এত বড় করতে ভাল লাগেনা। আরো দুয়েকটা লিখলে মনে হয় কিছুটা হাত আসবে।
পড়ার এবং কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ !
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গল্পটা সেইরকম ! থিমটা গা ছমছমে, দারুন লাগসে । ঠিক বোরিং না, কয়েকটা জায়গায় মনে হইসে বৈচিত্র থাকলে আরো ভাল হইত, একই টাইপ কয়েকটা ব্যাপার বারবার চলে আসছে ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আসলেই। ঠিক আপটু দ্য মার্ক হয়নি!
গল্প ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে আমারো!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আবাজাব ভাই, আপনে একটা কাজ করেন, এরকম একটা বা এই গল্পটাই রিমেক করেন, এক্কেরে ভাল কইরা, টাইম নিয়া, আপনের স্টাইলে ভয় পাওয়ার ব্যাপারটা আসে, ভাল হবে ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ঠিক্।
যদিও একটা গল্প আবার লেখা টা বেশ কষ্ট সাধ্য। তবে এই গল্পটা পরে রিমেক করার ইচ্ছা আছে। তার আগে আরো কয়েকটা 'অতিপ্রাকিত' টাইপের গল্প লিখে একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাত কিছুটা পাকাতে হবে!
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ !
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভালোইতো লাগলো। আমি অবশ্য সময় নিয়ে আস্তে আস্তে পড়লাম।
যাই আপনার অন্যান্য লেখাগুলোও পড়ি। আমি আবার যার লেখা ভালো লাগে তার সব পড়তে শুরু করি। তাকে জানার আগ্রহ হয়।
ধন্যবাদ।
পরশ পাথর
আপনার ভাল লেগেছে জেনে পরে এরকম গল্প এখার উৎসাহ পেলাম আরো!
অন্য লেখা গুলোও পড়বেন জেনে 'খুশি' লাগছে খুব। পরশ পাথরের স্পর্শে আমার লেখা গুলো ধন্য হোক!
কমেন্টে আপনার মতামত আশা করব।
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লোক গুলোর আরও ভয়ঙ্কর হওয়া দরকার ছিল...খালি হামাগুড়ি দেওয়াতে ঠিক ছমছমে ভাবটা আসতেছেনা।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ঠিক!
তবে খুব ভয়ঙ্কর গল্প আসলে লিখতে চাইনাই। একটু 'অতিপ্রাক্রৃত' গল্প লিখতে চাইছিলাম। তবে আসলে জমেনাই। দেখি আরো কয়েকটা লিখে প্রাকটিস করতে হবে।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ!
নতুন লেখা কোই তোর?
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গা ছমছমানো ভাব এর জায়গায় একটু টিউন করা দরকার মালুম হচ্ছে। আরেকট কথা, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে গল্পের দিকে মনোযোগ দেন। ঃ-)।
অনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
ভাইরে বাসা থেকে হুলিয়া জারি করছে! গল্প লিখতে বসলেই সবাই রে রে করে উঠে!!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন মন্তব্য করুন