“তুই একটা অপদার্থ”। আমি নিশ্চিত, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশিবার এই কথা শুনেছি আমি। আর পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশিবার এই কথা বলেছেন আমার বাবা। পদার্থ বিজ্ঞান পড়েছি ক্লাস নাইনে উঠে। কিন্তু অপদার্থের সংজ্ঞা জেনে গেছি তার অনেক আগেই। আমার বাবা আমাকে শুধু অপদার্থ বলেই ক্ষান্ত হননি। আমি যাতে ঠিক মত অপদার্থ হয়ে বেড়ে উঠি তার উপযূক্ত ব্যবস্থাও করেছেন! যদিও তার ধারণা ছিল আসলে সে আমাকে মানুষ বানাচ্ছে!!
বাসায় নতুন কোন গৃহশিক্ষক নিয়োগ করার সময় বাবা একটা কথা সব সময়ই বলে, ‘স্যার, এই ছেলের খালি হাড্ডি গুড্ডি আমার, ছাল চামড়া মাংস সব আপনার!’ মফস্বল এলাকার স্যাররাও ছাল চামড়া আলাদা করার ওস্তাদ। পরের দিনই সেসব কাজের ইন্সট্রুমেন্ট, মানে বেত, নিয়ে হাজির। তার পর চলে ছাল চামড়া আলাদা করার ব্যপক কর্মকান্ড! রাতে বাবা বাড়ি এসে বলে, ‘দেখিতো, তোর পড়াশুনা কেমন হচ্ছে? এদিক আয়। জামা খোল!’ তখন জামা খুলে আমার গায়ের বিভিন্ন যায়গায় ‘পড়াশুনার’ চিহ্ন দেখাতে হয়। বাবা সন্তুষ্ট চিত্তে মার দিকে ফিরে বলে, ‘বুঝলে এইটা জাদরেল টিচার!’
মাঝে মাঝে গা দেখে বোঝা যায় যে, ‘পড়াশুনা’ আজ তেমন হয়নি। তখন আমাকে নিয়ে বসে ট্রানস্লেশন সেখাতে। তখন ‘ডাক্তার আসার আগে’ এমনকি ‘রোগী মরারও অনেক আগেই’ আমার ‘পড়াশুনা’ হয়ে যায়। এর পর বাবা বসে জেনেটিক্স নিয়ে। আমার মামারা কেন সব গাধা গরু। এবং কি ভাবে সেই জিন আমার মায়ের মাধ্যমে তার ছেলের জিন কে মডিফাই করে গাধাগরু বানিয়ে ফেলেছে, সেইসব এর বিশদ বর্ণনা!
এভাবে প্রতিটা দিন শেষ হয়। পরদিন সকালে যখন আমাদের মাস চুক্তির রিক্সাওয়ালা বাসার সামনে টুন টুন বেল বাজায়। স্কুলে নিয়ে যাবার জন্য। দেখা যায় আমি তখনো আমার জুতার ফিতা নিয়ে কসরত করছি। বাবা আবার ‘তুই একটা অপদার্থ’ বলে এসে আমার জুতার ফিতা বেধে দেয়। আর সাথে দেয় ফিতা বাধার ইন্সট্রাকশন। ঘটনাটা প্রায় প্রতিদিনই ঘটতে থাকে। তার পর কোন একদিন হুঠ করে ফিতা বাধা শিখে ফেলি আমি! অভ্যাস বসে আমার জুতার ফিতা বাধতে এসে ‘তুই একটা অপদার্থ’ বলার পর বাবা যখন দেখে ফিতা বেধে ফেলেছি তখন বাবা যেন একটু থমকেই যায়। হয়তো তার অপদার্থ ছেলেটা বড় হয়ে যাচ্ছে দেখেই! ততদিনে সকালে আমার জুতার ফিতে বেধে দেওয়া টা তার অভ্যাস হয়ে গেছে। বাবা বলে, ‘এহ হে! এভাবে বাধে নাকি!’ তার পর সেই গিট খুলে আবার বেধে দেয়।
আসলেই বাবার বেধে দেওয়া গিটে যে ভালবাসা টুকু থাকে সেটা তো আর আমার গিটে থাকেনা। তাই সেই সুযোগটা আমিও দেই তাকে। তারপর আবারো বরাবরের মতই আরেকটা দিন। আবারো সেই ‘পড়াশুনা’ আরো দু-দশবার অপদার্থ পরিগনিত হওয়া...। এভাবেই দিন গুলো কাটে। আমি বড় হই। বড় হতেই থাকি। সকাল বেলায় এই ফিতে বেধে দেওয়ার ছোট্ট নাটিকাও টি অভিনিত হতেই প্রতিদিনই।
এভাবেই কাটে অনেক অনেক দিন। একসময় আমার এইচ, এস, সি, পরীক্ষা। সেই ফিতা বেধে দেওয়ার খেলাটা তখনো চলছে। সকালে বাবা যথারীতি আমার জুতার ফিতা বেধে দিচ্ছে। এসময় পাশের বাসার আঙ্কেল এসেছে পরীক্ষার্থি কে একটু অভয় টভয় জানাতে। এসে দেখে এই অবস্থা! সে চক্ষু ছানাবড়া করে তাকিয়ে আছে। তার চোখে তখন বড় হরফে লেখা ‘কত্ত বড় অপদার্থ!’ তাকে দেখে আমি যারপরনাই লজ্জা পেয়ে গেছি। বাবা তখন জুতা থেকে চোখ উঠিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘বুঝলেন ভাই। আমার ছেলেটা একটা অপদার্থ!’
তার পর আমি পরীক্ষা দিতে যাই। পদার্থবিজ্ঞান!
[বাবা দিবসে আব্বুকে অনেক ভালবাসা]
মন্তব্য
Very interesting.
আসলেই ইন্টারেস্টিং। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নিজের কথা মনে পড়ল। শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি করছি, এখনো বাবা মা মাঝে মাঝে মুখে তুলে খাইয়ে দেন, আর বলেন একটা কাজ যদি ছেলেটা নিজে করতে পারত...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
তুইও তাইলে একটা 'অপদার্থ' !!!
ব্যাপার না! পরে তোর বউ খাওয়ায়ে দিবে। অবশ্য যদি আরেকটা অপদার্থ বিয়ে না করিস! নাইলে বর বউ দুই জন রেই খাওয়ায়ে দিতে হবে আন্টির !!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আহেম...এইটা আমার পিতামাতার ও ধারণা।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এই লেখাটা নিয়ে আপাতত কিছু বলবনা। রেটিং দিয়ে ফুটলাম।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পাঠকপ্রিয় লেখক (পাক্ষিক)
স্পর্শ [অতিথি] (৪.৮২ভোট, ৫পোস্ট)
পুতুল (৪.৭৭ভোট, ৬পোস্ট)
তীরন্দাজ (৪.৭১ভোট, ৮পোস্ট)
ধুসর গোধূলি (৪.৬৭ভোট, ৩পোস্ট)
শাহীন হাসান (৪.৬৪ভোট, ৭পোস্ট)
স্পর্শ-কে সচল করার দাবী'র যথার্থতা বোধ'য় আরেকটু স্পষ্ট হলো ।
অভিনন্দন স্পর্শ !
মডারেটর রা মনে হয় একটু ব্যস্ত অথবা... কে জানে কি
প্রিয় ছড়াকারের কমেন্টে আশাবাদী হয়ে উঠছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গল্পের মত বাস্তবতা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ধন্যবাদ!
তোমার গান শুনতে চাই। বুঝলা?
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পরিবর্তনশীলের ভোকাল অডিশন নিলেতো আমাদের ভিক্ষা কল্যান সমিতির লাইনআপে বিরাট সমস্যা দেখা দিবে জনাব।
আমি তো লাইন আপ ঠিক করছি এমনে- যেহেতু আপনি আমার চাইতে ভালো গান তাই আপনি সেকেন্ড ভোকাল আর সমিতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমি মেইন ভোকাল।
পরিবর্তনশীলের গীটার নিয়ে টুংটাং করার অভ্যাস আছে বলে তার হাতে একটা কানা বাসন আর একটা চিকন দেখে বাঁশের কঞ্চি ধরিয়ে দেওয়া হবে আমাদের কণ্ঠের সঙ্গে একতলা বাদ্য পরিবেশন করার জন্য।
রায়হান আবীর থাকবে কালেকশন ডিপার্টমেন্টে। তার কাজ হবে খালি কালেকশন করা। টাকাপয়সাগয়নাগাটিবাড়িগাড়ি ইত্যাদি।
স্বপ্নাহত আমাদের সমতিতে যোগ দিছে কিনা মনে নাই। যোগ দিয়ে থাকলে তাকেও তো একটা পোস্ট দিতে হয়!
না মানে বলা তো যায়না আমি যেই ফাকিবাজ প্রায়ই দেখা যাবে বাদ্য কারকেও গলাকার হয়ে যেতে হবে। তাই এই প্রস্তুতি পর্ব!
প্রধান ভোকাল হিসেবে আপনার কন্ঠও শোনা দরকার! আর কিছু জিঙ্গেল 'দ্বীনের নবী মোস্তোফা' টাইপ ও লিখতে হবে।
আসেন এইসব নিয়ে একটা সিডিউল দাড়া করাই!
শোনো মোমিন মোসলমানো,
যতো খুশী গাঞ্জা টানো,
মইরা গেলে তুমি তো আর গাঞ্জা পাইবা না।
আজরাইল যখন আইবো,
হাতে একখান বোতল থাকবো-
দমে দমে ঢোক গিলিবো তোমায় দিবো না।
এইটারে আপনার উল্লেখিত জিঙ্গেলে গুল্লি মাইরা সমবেত সঙ্গীত হিসাবে বানাইয়া আমাদের সমিতির উদ্বোধনী সঙ্গীত করা যায়। এবং যথারীতি সচলের পাঠকদের জোর করে গেলানো হবে এই কুইনাইন।
কিন্তু গাঞ্জাই তো খাইনাই এখনো!! জানমু ক্যামনে কি নিয়া গান গাইতাসি??
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভিক্ষা জিঙ্গেল গাইতে হইলে গাঞ্জা টানার অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলে। আর যদি নেহায়েৎই টানতেই চান তাইলে আর কী করা? আইসা পড়েন, একলগেহল্যাণ্ড যামু নে। ঐখানে গিয়া নাহয় দুইজনে বাবা ভোলানাথের সিদ্ধিতে বুঁদ হইয়া সঙ্গীত চর্চা শুরু কইরা দিবো নে!
ইয়া হাবিবি
এই কামে হল্যান্ড যাইতেওইবো !!!!
টাকা নাই !
টাকা থাকলেকি আর ভিক্কুক সমিতি দেই??
......................................... ...........................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পিতৃস্নেহটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিপরীতধর্মী। যে কারণে বাবার প্রতি ভালবাসার প্রকাশটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অশ্রুসজল হয়ে উঠে না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে বয়ে যায়। যেতেই থাকে।
ধন্যবাদ স্পর্শ।
তবে বাবা হলেই কেবল বুঝতে পারা যায় নিজের বাবাকে। কিন্তু ততদিনে পেরিয়ে যায় অনেক অনেক সময়।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
বাবা হবার আগে হয়তো আমিও বুঝবো না।
তবে নিজেও নিজের ছেলেমেয়েদের অপদার্থ বানিয়ে ফেলব
জুতার ফিতা বেধে দিতে দিতে!
সুন্দর কমেন্টের জন্য অসংখ ধন্যবাদ!!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এখনো কি পদার্থ হতে পেরেছেন স্পর্শ ভাই ?
আমি হলে হয়ত হতেই চাইতাম না আপনার মতই।
ভাল থাকবেন।ভাল লেগেছে লেখাটি।
অনেক ধন্যবাদ অতিথি !
লেখা ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগছে!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনার সব লেখাই পড়ি। কিন্তু ঠিকঠাক কমেন্ট দেয়া হয়ে ওঠেনা আলসেমির জন্য।
পদার্থ বানাতে গিয়ে অপদার্থ টাইপ পদ্ধতি এপ্লাই করার ব্যাপারটা আসলেই খুব খারাপ লাগে ভাবতে। যদিও একথা বলার কোনই অবকাশ নেই যে বাবা মা কখনো তার ছেলের খারাপ চান।
এরকম কিছু দেখলে বা শুনলে আমার প্রমথ চৌধুরীর বলে যাওয়া ইনফ্যান্টাইল লিভারে গতাসু হবার কথা মনে পড়ে যায়...
আপনার বাবাকেও বাবা দিবসের শুভেচ্ছা। যদিও জানি ঠিক জায়গায় পৌছানোর আগেই তা' টাইম আউট হয়ে যাবে
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আসলেই। আমার বাবার এখনো ধারনা ছোটবেলায় অই মাইর গুলা না দিলে আমি নাকি কম্পুপ্রকৌশলী হইতে পারতাম না !!
মানে মানুষ করছে আমারে এই ভাবে !!
লেখা পড় শুনে খুব ভাল লাগলো! (তুমি করে বললাম)
মাঝে মাঝে কমেন্ট দিও। কমেন্ট পেলে ভাল লাগে।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পাঠকপ্রিয় লেখক হয়েও এই অপদার্থ ছেলেটা এখনো কেন যে সচল হচ্ছে না , কে জানে। আপনার বাবার মতোই মডুরাও আপনাকে অপদার্থ ভাবছে না তো !
আপনার বাবার জুতোর ফিতে বেঁধে দেবার ব্যাপারটা খুব সুইট লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভাবাভাবির কিছু নাই।
আমি আসলেই একটা অপদার্থ
শুধু আপনারা উৎসাহ দেন বলেই টিকে আছি এই আসরে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। কমেন্টের জন্য!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইসস খুব টাচি, খুব সুইট
আমার আব্বু মাঝে মাঝে চা, কফি বা সুপ, এমনকি সকালের নাস্তাও আমার জন্য বানায়ে এনে হাজির, আমি না করলেও করে ফেলে ভাবি কোথায় আমার করে খাওয়ানোর কথা সেখানে এত বড় মেয়ের জন্য করছে আমি যে করিনা তা না তবে আব্বু করলে লজ্জা পেলেও কিছু করার থাকেনা
যাইহোক আচ্ছা আজকে কোথায় বাবা দিবস বুঝলাম না? এই নিয়ে ২টা বাবা দিবসের পোষ্ট দেখলাম। সিডনিতেতো আরো পরে সেপটেমবর এ। আমার আব্বুকে নিয়ে তখন কিছু লিখব
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হা হা হা! কিছু গৃহ কর্ম শিখে ফেলেন তাড়াতাড়ি!! বাবাকে দিয়ে এসব কাজ করানো ভারি অন্যায় ! তবে বিয়ের পর আপনার খবর আছে। 'দি ফাদার' নামের একটা বাংলা সিনেমা আছে।
'আয়... খুকু আয়... ' এরকম একটা গান ও আছে সেখানে। সেইটা দেখতে পারেন। আমি নিজে অবশ্য দেখিনি। গল্প শুনেছি শুধু।
ইয়ে মানে আমিতো সচলায়তনের ব্যানার দেখে এই পোস্ট টা লিখে ফেললাম সকালে। দিবস টিবস ব্যপার না। বাবাকে ভালবাসাই আসল।
কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খুব মজা লাগল লেখাটা পড়ে। একটা জায়গায় নিজের সাথেও মিল পেলাম। "অপদার্থ" ছেলেকে "পদার্থ" বানাবার ক্ষেত্রে পিতার "কৃতিত্বের" কথা বলছি
এইবার আপনার সচল হওয়ার ক্ষণ এলো বলে। মনে মনে প্রস্তুত হয়ে যান আর সচল হওয়ার অনুভূতি নিয়ে কি লিখবেন তা ঠিক করে ফেলেন
যাক আমার মত আরেকজন পেয়ে ভাল লাগলো !!
হা হা! সচল হওয়ার কথা আর কইএন না রে ভাই...
আমি হইলাম আদুভাই অতিথি।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ও... এইটা তো দেখি আবজাব না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি যা লিখি তাই ই আসলে আব্জাব।
তবে এইটা মনে হয় একটু পাশ দিয়ে চলে গেছে শেষের দিকে!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হুমম....
পড়ে গেলাম।
সচলে ইদানিং নিয়মিত আসছি।
কিন্তু অতিথি একাউন্টে কোন লেখা লিখতে ইচ্ছে করে না।
জানই তো আমি লেখার ক্ষেত্রে কত অলস। আর সেই লেখা অতিথি একাউন্টে দিতে বাধে...
(রন্টি)
হুম। আমিতো এখানে বেশ কিছুদিন থেকেই অতিথি হিসেবে আছি। অতিথি হিসেবে লেখা দিতে আসলেই একটু খারাপ লাগে। কি করব? এই যায়গা টা ভাল লাগে বেশ। অনেক লেখক এখানে। আগে শুধুই পড়তাম। এখন লিখিও।
আমিও লেখি। দেখছেন আমাদের মধ্যে কত্তো মিল!
মডুদের রিকয়েষ্ট করে দেখা যায় আমাদের ভিক্ষা কল্যান সমিতির নামে আমাদের সদস্যদের জন্য একটা আইডি বরাদ্দ দিতে পারবে কিনা! তাইলে প্রাণখুলে মনের কথাগুলি লিখতে পারতাম। কী যে দিনকাল কাটাইছি আর কাটাইতাছি...
গেয়ো যোগী ভিখ পায় না !!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
- এই জগী ঠাকুরীয় কমেন্টের মানে কি?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যখন কমেন্ট টা করছিলাম তখন তো বেশ অর্থবহ মনে হইসিল !
ইয়ে মানে! কি যে অর্থ... এখন গেছিগা ভুইল্লা।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অসাধারন।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ !!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কবে যে মডুদের যাদুর কাঠির স্পর্শে স্পর্শ সচল হবে!
আচ্ছা, আপনি তো, মনে হয়, রেনেটের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন, তাই না?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হা হা হা !
যাদুর কাঠিটা হারিয়ে গেছে হয়তো!!
হুম আমিই এখন নতুন বিশ্বরেকর্ড ধারী !
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
জানি, আমার রেকর্ডটা গর্ব করার মত কিছু ছিল না, তারপরও যে কোন রেকর্ডই হাতছাড়া হলে খারাপ লাগে।
স্পর্শ মিয়া, কাজটা কিন্তু আপনি ঠিক করেন নাই
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মু হা হা হা হা !!!
মজা লাগতেছে। কমেন্ট পোস্ট করলেই পোস্ট হয়ে যায় !!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনার লিখাগুলি পড়তে খুব ভাল লাগে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
যে কোন সাধারণ বিষয় অসাধারণভাবে বলার ক্ষমতা আছে আপনার।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আরে না! আমি সাধারণ ভাবেই লিখি। অন্যরা সবাই অসাধারণ লেখেতো। মনে হয় তাই এইটা আলাদা লাগে।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এটা আমার গল্প।
আপনি লিখে ফেলেছেন বলে তীব্র ধিক্কার!
এইচএসসি পর্যন্ত অন্যরাই বেঁধে দিতো। কারা সেইটা বলা যাবে না।
আমার এখনো ফিতে বাঁধতে গিয়ে উল্টাপাল্টা হয়- তাই জুতাই পড়ি না!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ওডিনদার এখন আরেকটা গল্প লেখার সময় আসতেসে। উল্টো দিক থেকে অবশ্য।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন