ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী কে তার
ত্রয়োদশ জন্মদিনে
কেন্দ্রীয় কারাগার, নাইনী
২৬ অক্টোবর, ১৯৩০১
তোমার প্রতি জন্মদিনেই বিভিন্ন উপহার আর শুভকামনা তুমি পাও। আশাকরি এবারও সেসবের অন্যথা হবে না। কিন্তু এই নাইনী কারাগার থেকে আমি তোমাকে কী দিতে পারি? বস্তুগত কোনো উপহার দেওয়ার উপায় আমার নেই। তাই আমার উপহার হতে পারে শুধুই বায়বীয়, হতে পারে শুধুই আত্মা ও মননের। রূপকথার কোনো একটা ফেইরির উপহারের মত, কারাগারের উচু দেওয়াল যাদের আটকাতে পারে না।
তুমিতো জানোই, আম্মু, যে আমি নীতিবাক্য আওড়ানো আর ভালো ভালো উপদেশ দেওয়া অপছন্দ করি। এধরণের কোনো ইচ্ছা জাগলেই, আমার অনেক আগে পড়া একটা গল্পের কথা মনে পড়ে যায়। গল্পটা ছিলো “একজন অতিজ্ঞানী মানুষের”। হয়তো একদিন তুমি নিজেও সেই বইটা পড়বে যেখানে এই গল্পটা আছে। তেরশো বছর আগে চায়না থেকে একজন মহান পর্যটক এসেছিলেন ভারতবর্ষে জ্ঞান আর প্রজ্ঞার খোঁজে। তার নাম ছিলো
হিউএন সাং, তার জ্ঞান-
তৃষ্ণা এতো ছিলো, যে তিনি অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে, দুর্গম মরুভূমি আর উত্তরের পাহাড়-পর্বত পাড়ি দিয়ে এখানে এসে পৌছান। এরপর তিনি অনেক বছর ভারতে কাটান নিজে শিখে এবং অপরকে শিখিয়ে। মূলত তিনি ছিলেন প্রাচীন নালান্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেটা ছিলো পাটালিপুত্র নগরের কাছে, এখন যার নাম পাটনা। হিউএন সাং নিজেও অনেক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, এবং তাকে “আইন এর অধিশ্বর” (Master of the Law) –বুদ্ধের আইন- উপাধি দেওয়া হয়েছিলো। সেই অত দিন আগে তিনি পুরো ভারতবর্ষ ঘুরে দেখেছিলেন এবং এই মহান দেশের সেই সময়কার অধিবাসীদের নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা করেছিলেন। এর পরে তিনি একটা বই লেখেন, এখন আমার মনে যে গল্পটা এসেছে তা এই বইএর। গল্পটা একজন মানুষকে নিয়ে যে দক্ষিণ ভারত থেকে কর্ণসুবর্ণ – যেটা ছিলো এখনকার বিহারের ভাগলপুরের কাছাকাছি একটা নগর- এসে পৌছায়। হিউ এন সাং লিখেছেন যে এই লোক তার বুকে-পেটে জড়ানো একটা তামার পাত আর মাথার উপরে একটা জলন্ত মশাল নিয়ে ঘুরতো। তার হাতে থাকতো একটা লাঠি, আর এরকম অদ্ভুত বেশভুষা নিয়ে সে দর্পের সাথে শহরে হেটে বেড়াতো। যখন কেউ তাকে জিজ্ঞেস করতো তার এই অদ্ভুত পোশাকের ব্যাপারে, সে উত্তর দিতো যে তার জ্ঞান এতো বেশি, যে সে ভয়পাচ্ছে তামার পাত পরিধান না করলে তার পেট ফেটে যাবে; এবং যেহেতু সে তার আশেপাশের মুর্খ লোকজনের জন্য করুণা বোধ করে তাই সে মাথায় তাদের জন্য আলোকবর্তিকা নিয়ে ঘুরছে।
যাই হোক, আমি নিশ্চিত যে আমার নিজের অতি-জ্ঞানে ফেটে পড়ার কোন আশংকা নেই, তাই তামার পাত বা বর্ম পরারও কোন প্রয়োজন নেই। আর তার উপর আমি আশাকরি আমার জ্ঞান –যতটুকুই বা আছে- নিশ্চই আমার পেটের মধ্যে জমা হয়নি। এটা যেখানেই জমা হোকনা কেনো, এখনো সেখানে এর জন্য আরো অনেক যায়গা খালি আছে এবং কোনোক্রমেই এটা পুরোপুরি ভরে যাবার কোনো আশঙ্কা নেই। তারমানে দেখা যাচ্ছে আমার জ্ঞান খুব একটা বেশি না! এখন এরকম সীমিত জ্ঞানের অধিকারী হয়ে আমি কিভাবে একজন জ্ঞানী লোকের ভুমিকা নেবো, আর অন্যদের সদোপদেশ দিয়ে বেড়াবো? তাই আমি সবসময় ভেবে এসেছি, কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল, কোনটা করা যাবে আর কোনটা করা যাবেনা, এসব সিদ্ধান্ত কোন নীতিবাক্যের আসর থেকে পাওয়া যাবে না, বরং পাওয়া যাবে কথা ও আলোচনার মাধ্যমে। এবং আলোচনার মধ্যেই সবসময় একটু হলেও সত্য বেরিয়ে আসে। তোমার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মুহুর্তগুলো আমার প্রিয় ছিলো। কিন্তু এই বিশ্ব অনেক বড়, এবং আমাদের জগৎ ছাড়াও এখানে আরো অনেক বিষ্ময়কর আর রহস্যময় জগৎ রয়েছে। তাই আমাদের কখনোই একঘেঁয়েমিতে ভোগার কোনো কারণ নেই, অথবা হিউএন সাং এর বর্ণিত সেই বোকা অহংকারী ব্যক্তির মত ভাবার কারণ নেই, যে জানার মত সবকিছুই আমরা জেনে ফেলেছি এবং আমরা প্রচন্ড জ্ঞানী হয়ে গেছি। এবং হয়তো এটাই ভালো যে আমরা কখনোই ‘প্রচন্ড জ্ঞানী’ হতে পারবো না। কারণ প্রচন্ড জ্ঞানী ব্যক্তিরা, এরকম কেউ যদি থেকে থাকে, নিশ্চই খুব কষ্টে থাকে এই ভেবে, যে তাদের আর কিছুই শেখার বাকি নেই! তারা নিশ্চই নতুন কিছু আবিষ্কার করা অথবা নতুন কিছু শেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। কিন্তু এটাতো সেই চমৎকার অভিযাত্রা, যা থেকে আমাদের ভালোবাসার কেউ বঞ্চিত হোক তা আমরা চাইনা।
তাই আমাকে নীতিবাক্য আওড়ালে চলবে না। কিন্তু আমি তাহলে কি করব? একটা চিঠি কখনোই সামনাসামনি আলোচনার পরিপূরক হতে পারে না; কারণ এটাতো শেষমেষ একটা একমুখী প্রকৃয়া। তাই আমার কোন কথায় তোমার যদি মনে হয় যে তোমাকে আমি কোন ‘ভালো উপদেশ’ দিচ্ছি সাথে সাথেই সেটাকে একটা তিক্ত ওষুধের মত করে গিলে নিয়ো না। বরং মনে করো যে তোমাকে আমি চিন্তা করার জন্য একটা বিষয় দিলাম, যেমনটা আমরা সামনা-সামনি আলোচনার সময় করি।
আমরা ইতিহাসে অনেক মহান জাতির কথা পড়ি, অনেক মহান মানব-মানবীর কথা পড়ি, এবং কখনো কখনো স্বপ্নে অথবা কল্পনায় আমরা সেই পুরানো সময়ে চলে যাই এবং সেইসব নায়ক-নায়িকাদের মত আমরাও দুঃসাহসিক কর্মকান্ডে জড়াই। তোমার কি মনে পড়ে, কি প্রচন্ড অভিভুত হয়েছিলে তুমি
জোয়ান অফ আর্ক এর গল্প পড়ে, এবং তুমি নিজেও তার মতো কিছু হতে চেয়েছিলে? আটপৌরে পুরুষ এবং মহিলারা সাধারণত অতটা নায়কোচিত নয়। তারা তাদের দৈনন্দিন নুনভাতের চিন্তা, সন্তান ও সংসারের চিন্তায় মগ্ন থাকে। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু সময় আসে, যখন পুরোপুরি একজন মানুষ মহৎ কোন উদ্দেশ্যে এতটা বিশ্বাস করে, যে সেই এমনকি খুব সাধারণ মানব অথবা মানবীই হয়ে যায় ইতিহাসের নায়ক এবং তারা চালকের আসনে আসীন হয়ে যুগান্তর ঘটায়। মহান নেতাদের মধ্যে এমন কিছু থাকে যা একটা পুরো জনগোষ্টিকেই উৎসাহিত করে এবং তাদের সবাইকে মহান কিছু করার দিকে চালিত করে।
তোমার জন্মের বছর – ১৯১৭ – হচ্ছে ইতিহাসের একটা অন্যতম স্মরণীয় বছর, যখন দরিদ্র এবং কষ্টপীড়িত মানুষের জন্য একবুক ভালোবাসা নিয়ে এক মহান নেতা, তার জনগনকে সঙ্গীকরে ইতিহাসের অভূতপূর্ব এবং কখনো-ভুলবার-নয় এমন এক অধ্যায় রচনা করেছেন। ঠিক যে মাসে তুমি জন্মালে সে মাসেই
লেনিন তার মহান বিপ্লব শুরু করেন যেটা পুরো রাশিয়া এবং সাইবেরিয়ার রূপই বদলে দেয়। এবং আজ এই সময়ে, এই ভারতেই, সকল নিপীড়িত মানুষের জন্য ভালোবাসা-পূর্ণ একটা হৃদয় আর বুকে তাদের সাহায্য করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আরেকজন মহান নেতা তার জনগনকে অভূতপূর্ব আত্মত্যাগে উৎসাহিত করেছেন, যেন তারা আবারো স্বাধীন হতে পারে, অনাহারী দরিত্র এবং নিপীড়িত মানুষের বোঝা যেন দূর হয়। বাপুজী
২ এখন জেলে, কিন্তু তার বাণীর জাদু এখন ভারতবর্ষের লক্ষ-কোটি পুরুষ এবং মহিলার হৃদয়ে, এমনকি শিশুরাও তাদের ছোট্ট গন্ডি থেকে বেরিয়ে এসেছে, তারাও এখন ভারতের মুক্তিযোদ্ধা। ভারতে আজ আমরা ইতিহাস তৈরি করতে চলেছি, এবং আমি-তুমি আমরা ভাগ্যবান যে আমরা এই ঘটনা নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছি, এবং এই মহান নাটকে অংশ গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছি।
এই মহান আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা কি? কোন চরিত্রে আমরা অংশগ্রহণ করব? আমি জানিনা আমাদের উপর কি দায়িত্ব পড়বে; কিন্তু সেটা যে দায়িত্বই হোক, আমাদের ভুললে চলবে না, যে আমরা এমন কিছুই করবো না, যা আমাদের উদ্দেশ্যের মর্যাদাহানী ঘটায় বা আমাদের মানুষ কে অসম্মান করে। আমরা যদি ভারতের যোদ্ধা হই, তাহলে ভারতের সম্মানও এই আমাদের হাতেই, এবং এই সম্মান-রক্ষা একটা পবিত্র দায়িত্ব। কী করতে হবে, এটা নিয়ে আমরা হয়তো অনেক সময় দ্বিধায় পড়ে যাবো। কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল সে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ব্যাপার নয়। এ ধরণের দ্বিধায় পড়ে গেলে তোমাকে ছোট্ট একটা পরীক্ষা করে নিতে বলবো। এটা হয়তো তোমাকে সাহায্য করবে। কখনোই গোপনে কোনকিছু করবে না, অথবা এমন কিছু করবে না যেটা তুমি গোপন রাখতে চাও। কারণ গোপন করার চিন্তা আসা মানেই হলো তুমি ভীত, আর ভয় তোমার জন্য নয়। সাহসী হও, বাকি সব এর থেকেই হবে। তুমি যদি সাহসী হও তাহলে তুমি ভয় পাবে না, এবং এমন কিছু করবে না যার জন্য তুমি লজ্জিত। তুমি জানো বাপুজীর নেতৃত্বে আমাদের এই মহান আন্দোলনে গোপনীয়তা বা লুকোছাপার কোন অবকাশ নেই। আমাদের লুকানোর কিছু নেই। আমরা যা করি এবং আমরা যা বলি তার জন্য আমরা ভীত নই। আমরা কাজ করি সূর্যে এবং আলোতে। একান্ত(প্রাইভেসি), অবশ্যই আমাদের থাকবে, কিন্তু সেটা গোপনীয়তার(সেক্রেসি) থেকে অনেক আলাদা একটা বিষয়। এবং তুমি যদি এরকম করো, তাহলে তুমি বেড়ে উঠবে আলোকের সন্তান হিসেবে, যা কিছু ঘটুক না কেন তুমি থাকবে নির্ভীক, মেঘহীন, এবং অবিচল।
এই দেখ, কত দীর্ঘ্য একটা চিঠি লেখে ফেলেছি তোমাকে, তার পরও আরো কত কিছু বলার রয়ে গেলো। একটা চিঠিতে কিভাবে ধরবে সব?
তুমি ভাগ্যবান, আগেই বলেছি; এই মহান সংগ্রামের সাক্ষী হতে পেরে। তুমি এজন্যও ভাগ্যবান যে তোমার মাম্মি একজন সাহসী এবং চমৎকার মহিলা। তুমি যদি কখনো কোন দ্বিধায় বা সমস্যায় পড়ো তার চেয়ে ভালো বন্ধু আর পাবে না।
বিদায় ছোট্টবন্ধু, ভারতের সেবায় একজন সাহসী যোদ্ধা হয়ে বেড়ে ওঠো।
আমার সব দোয়া এবং ভালোবাসা তোমার জন্য।
টীকাঃ
১। ইন্দিরার জন্মদিন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নভেম্বরের ১৯ তারিখে। কিন্তু এটা ২৬ অক্টোবর পালিত হয়
সম্ভাত যুগ(Samvat era)
অনুযায়ী।
সূত্রঃ
অনুবাদ শেষ। এবার আমার নিজের কিছু কথা। নীলক্ষেতের ফ্রেন্ডস লাইব্রেরী আমার প্রিয় দোকানগুলোর একটা। এখানে বই কিনি, বই দেখি। দোকানে একবার ঢুকলে বেরোতে মন চায়না। এত এত বই! আমার পড়াশুনা কম। এখানে তাই যে বইই দেখি আমার কাছে নতুন মনে হয়। আগে পড়িনি-আগে দেখিনি এমন বইএর ভান্ডার যেন। এখানেই ঘাটাঘাটি করতে করতে নেহেরুর ‘গ্লিম্পস ওফ ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি’ বইটা হাতে পেলাম। এই নেহেরু যে সেই নেহেরু এটা দেখে আমি হতবাক। হতবাক হবার জন্য অবশ্য বইএর আকারই যথেষ্ট। আর এই বইটা যে জেল থেকে তার সদ্য টিনেজ মেয়েকে লেখা ১৯৬ টা চিঠি, ব্যাপারটা জানার পরে তার প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেল। সন্তানের সাথে এমন ইন্টেলেকচুয়াল এবং ফ্রেইন্ডলি আলোচনা অবশ্যই শ্রদ্ধা যোগ্য।
ছোটবেলায় আমার বাবাও আমাকে পড়তে বলতো। নিজের অনেক আশা আকাঙ্ক্ষার কথা বলত। শুন্য থেকে যে স্ট্রাগল সে করেছে এবং তার বিনিময়ে যে স্টেজ সে আমার জন্য বানাতে পেরেছে তার উপর দাঁড়িয়ে আমি যেন থেমে না যাই সেসব কথা বলেতো। কিন্তু কথা এক কান দিয়ে ঢুকতো আর অন্যটা দিয়ে বেরুতো। ভাবতাম, ‘বড়দের শুধু বড় বড় কথা। এরা শুধু শুধুই এসব বলে ছোটদের। যাতে আমরা মানুষ হই।’
না, ছোট বেলায় মানুষ হতে ভালো লাগতো না। তার উপর বাবাকে একটু ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধাকরতাম। আলোচনার সময় সে আমাকে ঠিক কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে বুঝে উঠতে পারতাম না।
একদিন আমি দূরে গেলে, বাবা আমাকি চিঠি দিলো। গোছানো সুন্দর হরফে লেখা। লেখা ছিলো স্বপ্নের কথা, লেখা ছিলো সংগ্রামের কথা। এগিয়ে যাবার উৎসাহ ছিলো তাতে। এই পোড়ার দেশে আমার পড়ার অর্থ যে কত লোকের নিরক্ষর থকে যাওয়া সেই কথা ছিলো। সেই কিশোর বয়সে প্রথম বুঝলাম। আমিও গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত আমার বাবার কাছেতো বটেই। চিঠিটা পড়েছিলাম অনেক বার।
‘কিভাবে এবং কেন’ নামক দুটি রোগ আমার অনেক আগে থেকেই ছিলো। এই প্রথম জানলাম আমার বাবার স্বপ্নও ছিলো আমি যেন প্রশ্ন করতে শিখি। আর শিখি ভালোবাসতে। আমাদের গ্রামে এখনো বিদ্যুত নেই, আমার বাবারা ম্যাট্রিক দিয়েছিলো মোট ৯ জন। যাদের ভিতরে ২ জন ছিলো মেয়ে। আর এই গত বছর আমাদের গ্রামে এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে ৭ জন! যারা সবাই ছেলে। হ্যা, এই বেদনা আমি অনুভব করি।
কষ্ট-বেদনা এগুলো মানুষের মধ্যে থাকেই। আর আমার মত অভাগার দেশের মানুষের তো থাকে আরো বেশী। আমার বাবার চিঠিগুলো তার সাথে যোগ করেছিলো ‘দহন’। এই দহনটা আছে বলেই আমি আরো একটা দিন বাঁচার তাগিদ অনুভব করি।
যাই হোক এইসব ব্যক্তিগত ঘটনা উল্লেখ করার কারণ একটাই। আসেন আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য কিছু লিখি। না শিশুতোষ কিছু না। চিন্তাশীল শিশুরা শিশুতোষ সবকিছু ঘৃণা করে। তারা ভাবে তাদের ছোটো করা হলো। পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে তাদের বলি। যে তুমি যা ভাবো সেটাই আমার কাছে আর সব কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। নিজেদের মধ্যে যে দহন আমরা লালন করি সেটারও উত্তরসুরিতো তারাই।
পরিশিষ্টঃ- শেষের এই কথাগুলো অবশ্যই নীতিবাক্য বা জ্ঞানের কথা হিসেবে নেবেন না। এটা শুধুই আপনার জন্য চিন্তার খোরাক। এই পুরো পরিশ্রম স্বার্থক হবে যদি একজন পাঠকও ব্যাপারটা নিয়ে একটু ভাবে।
মন্তব্য
যে গুটিকয়েক লেখকের লেখার জন্য হাঁ করে বসে থাকি, তারমধ্যে আপনি একজন। লেখা সম্পর্কে আর কি বলব!
আপনার ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলোই ছুয়ে গেল বেশী। আমরা সবাই মনে হয় ছোটবেলা পার করে এসে বড় হয়ে যাই।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
খাইসে ! লেখক বললেন নাকি!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম, স্পর্শ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
দুই বছর আগে জন্মদিনে আব্বু আমাকে এই বইটা উপহার দিয়েছিল। বাংলা অনুবাদ। চিঠিগুলো পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বিশাল বই। পড়তে সময় লেগেছিল অবশ্য।
এই পোস্টে সবচে ভালো লাগলো যেটা সেটা হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত কথা। একদম অন্তরে বসে গেলো।
=============================
হুম, তোমার বইটার নাম মনে হয় 'বাবার চিঠি' বইটা বইমেলাতে দেখেছিলাম।
'Glimpes of World History' টা আলাদা বই। ইয়া মোটকা ডিকশনারী মার্কা। অবশ্য এটাও হতে পারে।
ব্যক্তিগত কথা ভালো লাগলে অবিলম্বে নিজের ছেলেমেয়ের জন্য চিঠি লেখা স্টার্ট কর।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমারটা Glimpes of World History .
=============================
মিয়া তুমিতো পন্ডিত নেহেরুর বই পইরা পন্ডিত রায়হান আবীর হয়া গেসো!! এই বই আমার জীবনে পড়ে শেষ করতে পারবো না। হোতকা মোটা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখাটির জন্য আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাবো তার ভাষা জানা নেই । একটি খুব জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য লেখাটিকে আপনি যে জায়গা থেকে শুরু করে বোঝাতে চেয়েছেন ও একটি প্রয়োজনীয় বার্তা বহন করেছেন এই লেখায়, যে আজকের প্রতিটি সন্তানের পিতা ও মাতার জানা অবশ্যই প্রয়োজন । সন্তানের কাছে চিঠি লেখার কার্যকারিতা যে কী অসীম তা আমিও নিজে বহুক্ষেত্রে অনুভব করেছি। এ বিষয়ে অনেক কথাই মনে পড়ছে কিন্তু মন্তব্যের স্থানে তা দীর্ঘায়িত হবে তাই সে কথার উল্লেখে বিরত থাকলাম ।
একটি অত্যন্ত ভাল বিষয় লেখার জন্য পুনরায় আমার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।
না দীর্ঘ্য মন্তব্যে কোনো সমস্যা নেই। বরং সেটাই কাম্য।
লেখাটা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে জেনে নিজ প্রচেষ্টা স্বার্থক মনে হচ্ছে।
লিখে ফেলুন আপনার নিজের অনুভুতি গুলো। ব্লগের সুবিধা হচ্ছে ব্যপারটা চিঠির মত একমুখী নয়। আবার মুখোমুখি আলোচনার মত অযৌক্তিক তর্কে মোড় নেওয়ার আশঙ্কাও থাকেনা। তাই একটা যৌক্তিক আলোচনা পর্যালোচনার অবকাশ থাকে। অবকাশ থাকে নিজের অনুভুতিগুলো গুছিয়ে বলার।
এখানে মন্তব্যে অথবা নতুন পোস্টে বলে ফেলুন নিজের কথাগুলোও।
শুভেচ্ছা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অসাধারণ সুন্দর।
বড়পোস্ট দেখলে নিজেই পড়তে চাই না।
এই দীর্ঘ্য পোস্ট পড়ার জন্য এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য, রেনেট, আবীর, পান্থদা, ইব্রাহীম ফয়সল, এনকিদু, কীর্তিনাশা সবাইকে ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অসম্ভব ভাল লাগল
আপনি সত্যিই একজন পূর্ণাঙ্গ লেখক। অনুবাদ তো দুর্দান্ত হয়েছেই, তবে সবচেয়ে ভাল লাগল ব্যক্তিগত অংশটুকু। একদম ছুঁয়ে গেল।
বিঃ দ্রঃ এতদিন তো শুধু বিয়ে কেন হয় না, সেই নিয়ে দুঃখ করে পোস্ট পাওয়া যেত, এখন তো দেখি সরাসরি বাবা হওয়ার জন্য...
আমারে আপনি না বলিয়া তুমি বলতে পারেন। আফটারওল আমরা দোস্ত লোগ।
আর মন ছুঁয়ে গেলে মেয়ে পটানো লেখা লিখি বাদ দিয়ে শিগগিরি নিজের বাচ্চাদের জন্য কিছু লিখতে বসেন/বসো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি মেয়ে পটানো লেখা লিখি!
আমার ঘোর শত্রুও এই দাবি করতে পারবে না
কিন্তু তুমি মিয়া যেম্নে সব মেয়ে পটানো, বিয়া না হওয়ায় আক্ষেপ, বাবা হওয়ার বাসনা... নিয়া লেখালেখি শুরু করসো, তোমারে খুব তাড়াতাড়ি বিয়া দিতে হবে। অনেকদিন কোনো বিয়া খাই না
আমি আগেই সন্দেহ করছিলাম এই লোক মেয়ে পটানো লেখা লেখে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ক্যান ভাই দেশে অন্য আর কিছু কি খাবার নেই? এত কিছু ফেলে আমার বিয়াটা কেন খাইতে চাও?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরে বুঝলেন না?
দাওয়াত খাইতে গিয়া মানুষ নিজের প্লেটের কথা সরাসরি না কইয়া, চেঁচাইয়া কয়, আরে পাশের প্লেটে মাংস দাও।
প্রহরীর ইশারাটা বুইঝেন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইজন্যই আপনি মাস্টারমশাই
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বইটার বাংলা অনুবাদ অনেক আগে পড়েছিলাম কিন্তু এখনো পড়লে সমান ভাবেই ভাল লাগে।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
নেহেরুর চিঠিটা যে অসামান্য ছিল তাতে সন্দেহ নেই পুরো বইটাই পড়তে এখন ইচ্ছে করছে। আর আপনার লেখার কথা কিছু বললাম না তানভীর ভাই। এমনিতেই আপনার লেখা ভাল লাগে আমার। আর এ ধরনের লেখা আপনার কাছে থেকে আগে পাইনি আমরা। আরো নিয়মিত লিখবেন। কথাগুলো আসলেই ভেবে দেখবার মতন !
--------------------------------
--------------------------------------------------------
ঠিক, ভেবে দেখলেই সবচেয়ে ভালো হয়। বইটা যোগাড় করে ফেলেন। জীবনকে দীপান্বিত করার ক্ষমতা আছে চিঠিগুলোর।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এখন পড়তে ইচ্ছা করতেছে না। না পইড়াই কমেন্ট করলাম ঝাড়ি দেয়ার জন্য। না লিইখা কই থাকেন?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এখন কমেন্ট করতে ইচ্ছা হচ্ছে না। কিন্তু না পড়ে কমেন্ট করার জন্য ঝাড়ি দিতে ইচ্ছা হল।
নারে ভাই ক্রিয়েটিভিটি নাই হয়ে গেছে। আজকাল ফিকশন লিখতে পারছিনা
তোমার গল্পগুলো অবাক হয়ে পড়ি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনেক ভাল লাগলো।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ইন্দিরা গান্ধীকে জওহরলাল নেহেরু যে চিঠিগুলো লিখেছিলেন সেগুলো নিয়ে তিনটি বই আছে। তার একটা হল 'গ্লিম্পসেস অফ ওয়ার্ল্ড হিস্টরি'। অন্য দুটো বইয়ের নাম হল 'ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া'- যেটা আহমেদনগর জেলে বসে লেখা এবং 'লেটার ফ্রম এ ফাদার টু হিজ ডটার'- ইন্দিরার দশ বছর বয়সে লেখা। তিনটি বই-ই অনব্দ্য। আমিও সেদিন পুরনো বইয়ের দোকান থেকে 'ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া' কিনেছি। যারা দাবী করে ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্ম গায়ের জোরে ঢুকেছে, তাদের সবারই বইটা পড়া উচিত। অন্তত নিজের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরী হবে।
ভারতকে শুধু একটি কারণেই ঈর্ষা করি- আমাদের জন্য একটা জওহরলাল নেহেরু এখনো এলো না- সে প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টিও কারো মধ্যে দেখি না।
অনুবাদ ঝরঝরে হয়েছে
আমাদের দেশকে একজন নেহেরু আমরাই দিতে পারি। দুর্ভাগ্য যে কেউ তা চাইলো না। একজন নেহেরু হতে গেলে শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চার যে অধ্যাবসায়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় কয়জন সেটা করছে? শিক্ষা আমাদের জন্য চাকরি পাবার হাতিয়ারবই তো কিছু নয়।
আসেন আমরা আমাদের সন্তান দের মধ্যে এমন কাওকে গড়ে তুলি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
জানি না কী বললে যথাযথ হবে।
অনুবাদ অসাধারণ।
বর্ণনা জাদুকরী।
পড়ে গেছি একটানা।
একদম শেষে বলতে বাধ্য হয়েছি " ওয়াও..."।
একটা প্রশ্ন। মূল বইটা আর অনুবাদ কোথায় পাওয়া যাবে ?? পড়তে মঞ্চায়।
অনুবাদ কোথায় পাওয়া যাবে ঠিক জানিনা। তবে নীলক্ষেতের ফ্রেন্ডস লাইব্রেরীতে মূল বইটা পাওয়া যাবে। অবশ্য পাইরেটেড কপি। নিউমার্কেটের দোকানগুলোতে আসল বই খোজা যেতে পারে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্স করে গেল পত্র এবং আপনার নিজের কথা স্পর্স ভাই।
আরো কয়েকটা পত্র পড়তে চাই।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুতুল ভাই, আপনি নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন এই লেখার একজন টার্গেট আপনি। পত্র তো আপনিই লিখবেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনেক ছোটবেলায় পড়েছিলাম 'বাবার চিঠি'। অবাক হয়ে ভাবতাম, বাবারা বুঝি এমন চিঠি লিখে?!
স্পর্শ, আপনার ব্যক্তিগত কথন পরে নিজের বাবার ই-চিঠিগুলো আবার পরে দেখতে ইচ্ছা করছে! অসাধারণ অনুবাদ হয়ছে।
শুধু পড়লে চলবে না। লিখুন, অথবা লেখার প্রস্তুতি নিন। যাতে আপনার সন্তানও নিজের মায়ের চিঠি পড়তে পারে। আর আমার মনে হয় বাবার চেয়ে মায়ের চিঠি বেশি কার্যকর।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনার কথা গুলো মনে থাকবে। ধন্যবাদ!
লেখা নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। আমি আপনার ফ্যান ছিলাম, আছি , থাকবো!
---------------------------------
তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
এই প্রতিশ্রুতির জন্য তোমাকেও ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অতীব চমত্কার। আপনার ব্যক্তিগত অনুভূতিটিও।
শুধু "ওয়েল" শব্দটির ব্যবহার দৃষ্টিকটু লাগলো।
সচলায়তন কয়েকজন ভালো অনুবাদকে সমৃদ্ধ হতে চলেছে।
পুনশ্চ. জওহরলাল নেহেরুর লেখা "মা-মণিকে – বাবা" নামের একটা বই আছে আমার কাছে। ১৯২৮ সালের গ্রীষ্মকালে – ইন্দিরা গান্ধীর বয়স যখন দশ – লেখা কিছু চিঠির সংকলন। খুবই উপাদেয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
'ওয়েল' শব্দটার যে কী করি! কোনভাবেই বাংলায় ধরতে পারলাম না। চরম দৃষ্টিকটু লেগেছে নিজের কাছেও। দেখি আবার সংশোধণী দিতে হবে একটা।
নিজের বায়োলজিক্যাল সন্তানকে কিভাবে নিজের মানসের সন্তান হিসাবে গড়ে তোলা যায় তার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ নেহেরুর চিঠি গুলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি এই জায়গাটায় হয়তো "যাইহোক" বসিয়ে দিতাম। 'ওয়েল' শব্দটা আমারও চোখে লেগেছে।
--------------------------------------------------------
হুম, পরিবর্তন করে দিলাম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অসাধারণ !
একবার পড়লাম, আবার পড়বো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলে একটু বড়ো (হাতিমার্কা) পোস্ট দেওয়ার উৎসাহ পাওয়া মুশকিল। আপনার কমেন্টে সেই উৎসাহ পেলাম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি ইচ্ছার আগুনেই জ্বলছি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন