‘ফরেনার’

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: শনি, ২৯/০৮/২০০৯ - ৪:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
এইতো সেদিন যখন ঢাকায় এলাম, তার আগেও আমার দেখা সব চেয়ে উঁচু বিল্ডিংটা ছিলো তিন তলা। আমরা বলতাম, ‘খলিল সাহেবের দালান’। যেবার দালানের তিন নম্বর তলার ছাদ কমপ্লিট হলো, খলিল সাহেব সেখানে জলছাদ দিবেন বলে মনস্থির করলেন। জলছাদ কেমনে দেয় তা আমরা জানতাম না। তবে একদিন কোথা থেকে অনেক সুড়কি চলে এলো। আর এলো জনাবিশেক মহিলা। সুড়কিগুলোকে জোগালেরা বলতো চিপ। তারা সিঁড়ি বেয়ে সেইসব চিপ ছাদে নিয়ে ফেলতো। তারপর মহিলারা ছাদের উপর সেগুলো পিটিয়ে পিটিয়ে বসিয়ে দিতো। এভাবেই হতো জলছাদ। পেটানোর আগে আরো কী কী মশলা দিয়ে নিতো জানিনা। শুধু একটা জিনিশ জানি। পেটানোর সময় অদ্ভুত একটা গানও মিশিয়ে দিতো তারা সেই চিপের সাথে। বাবা বলেছিলো, গানটাই আসল। সেই গানের কথাগুলো বোঝা যেতো না। সুরটাও এতোদিনে কোথায় হারিয়ে গেছে কে জানে। শুধু সেই তালে তালে ধুপ-ধুপ বাড়িটা কিভাবে যেন বুকের মধ্যে জমা হয়ে গেছে। আজো, কান পাতলে শোনা যায়।

তারপর একটু বড় হলাম। আমার খুব ছোটো একটা বোনও হয়ে গেলো একসময়। আমি তখন একটা বাটারফ্লাই সাইকেল চালিয়ে কলেজে যাই। কলেজে ক্রিকেট-ফুটবল খেলি। আর খেলি বাস্কেটবল। বাস্কেটবল আসলে খেলতে পারিনা। শুধু ঠাঠা রোদ্দুরে শানবাধাই গ্রাউন্ডে গিয়ে বলটা লোফালুফি করি কয়েকজন মিলে। তবে আমার প্রিয় খেলা আমার ছোটো বোনকে উপরে ছুড়ে দিয়ে ক্যাচ ধরা। বাবার কাছ থেকে শিখেছি। সকালে সাইকেল স্টার্ট দেওয়ার আগে কয়েকবার লোফালুফি করি। বিকালে বাড়িতে ফিরে সাইলেকটা স্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়েই আবার ছুটে যাই ছোটো বোনটার কাছে। অদ্ভুত এই খেলাটা পুরনো হতে চায় না। আসলে পুরনো হতে চায়না ছুড়ে দেওয়ার পরে তার সেই মিষ্টি হাসিটা।

এরপর একটু বড় হই আমি। একটু বড় হয় আমার ছোটো বোন। মেঝ বোন। সেই বাটারফ্লাই সাইকেলটাও আরেকটু পুরাতন হয়। আর ঠিক পাশেই আরেকটা বাড়ি ধীরে ধীরে উচু একটা তিনতলা দালান হয়ে যেতে থাকে। একদিন সেই বাড়িটাতেও জলছাদ দেওয়ার সময় হয়। আর আমারো সময় হয় সেখানকার পাট চুকানোর।

একদিন প্রিয় বাটারফ্লাই সাইকেলটাতে শেষবারের মতো ক্রিং ক্রিং দিয়ে। ছোটো বোনটাকে শেষবারের মতো উপরে ছুড়ে দিয়ে। কিছুক্ষণ সেই ছাদপেটানো গানটা শেষবারের মতো বোঝার চেষ্টা করি। তারপর মাকে সালাম করে একটা ব্যাগ হাতে উঠে পড়ি রিক্‌শায়। তারপর বাসস্ট্যান্ড। তারপর ঢাকা। মা রাস্তার ধারে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। ছোটো বোনটা মায়ের পা জড়িয়ে আঁচলের পিছন থেকে উকি দেয়। মেঝ বোনটা গেটের কাছে এসে দাঁড়ায়। আর কোনো এক অদ্ভুত কারণে। বাড়িতে কাজ করতো যে মরজিনা বু- সে হাউহাউ করে বুক চাপড়ে কাঁদতে থাকে। ক’দিন আগেই তার ছেলেটাকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময়ও, যে কিনা আমার মায়ের মতোই পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো! পুত্র শোকের কান্নাটাই তখন কেঁদে নেয় বুঝি।

রিক্‌শা অনেকটা দূরে চলে আসলেও সেই কান্নাটা ওই ছাদ পেটানোর শব্দে ভর করে বুকে এসে লাগে। নাকি সেই বিশজন মহিলার সমবেত স্বর কান্না বলে ভ্রম হয়। কে জানে! এইসব শব্দ-কান্নারাও বুঝি আমার সাথে যেতে চায়। ঢাকা।

২.
নতুন যারা ঢাকায় আসে তারা ঢাকাকে বলে ‘ঢাকা শহর’। তখন সিএনজির যুগ না। মোবাইলফোনও বিদেশি সাদা m-মেম বউ এর মতো দুর্লভ। ঢাকা শহরে পৌছে একটা স্কুটারে করে ছোট্টো এক ঘুপচি ঘরে এসে উঠি। সে ঘরে আমার জায়গা হলেও আমার স্বপ্নগুলো ঠিক আটতে চায় না। তারা জানালায় আকাশ খোঁজে। আর তখন, সেই প্রথম দিনেই জেনে যাই। এ শহরে আকাশ নেই!

ঢাকা শহরে আমি আসি। আমার মতো হাজার ছেলে আসে। আর আসে মেয়েরাও। আর এদের বুকে ভর করে একরাশ স্বপ্নও এসে ভিড় করে। একবার ‘ইত্যাদি’ নামের এক অনুষ্ঠানে বহুতল ভবনের ‘তালা’ গোনা নিয়ে একটা রম্যনাটিকা দেখিয়েছিলো। ঢাকা শহরে নতুন আসা একজন লোক অবাক হয়ে তালা গুনতে থাকে। তাকে নিয়েই হাসির কিছু ব্যাপার হয়। সেই নাটিকা দেখে পেট ফাটিয়ে হাসতে থাকা এই আমি তখন ঢাকা শহরে এসে অবাক চোখে ‘তালা’ গুনি। আট তালা! বারো তালা!! চোদ্দো তালা!!! আর প্রাণপনে রাস্তাঘাট মনে রাখার চেষ্টা করি। ভূতের গলি। গ্রীনরোড। কাঁঠালবাগান। তালা গোনার ঘোরে রাস্তাঘাট ভুল হয়ে যায়।

একদিন ফার্মগেটে ভর্তি কোচিংএ ভর্তি হই। গুনে গুনে আটতলার একটা চিলেকোঠা মতো রুমে উঠিয়ে দেয় ওরা। আমরা হলাম ‘ফরেনার’ব্যাচ- ‘এফ’। সেই প্রথম নিজ দেশে ফরেইনার হই। ফরেনার ব্যাচে আমরা বিভিন্ন দেশে মানুষ পরিচিত হই। তোমার দেশ কোথায়? রংপুর। তোমার দেশ কোথায়? মাগুরা। আর তোমার দেশ? বাগেরহাট! আমাদের কেউ কেউ নিজের এলাকাকে নিজের ‘দেশ’ বলে। এইসব ভিনদেশিদের শুধু একটাই মিল। সবাই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা তখন স্বপ্নের দেশের মানুষ।

সপ্তাহে তিনদিন এক দুই করে তালা গুনে আটতলায় উঠে আসার সময় আমরা অনেক ছেলে-মেয়ে দেখি। চকচকে ঝকঝকে। তারা প্রাণখুলে হাসে। গল্প করে। পরীক্ষায় হাইএস্ট পায়। তারা অদ্ভুত ঢাকাইয়া টানে কথা বলে। বাস-টেম্পুতে লাফ মেরে উঠে পড়ে। কেউকেউ চকচকে গাড়িতেও ওঠে। আর আমরা শুধুই ভয়ে ভয়ে চলি- এই বুঝি ক্ষ্যাত কিছু করে ফেললাম।... এই বাসটা অন্য কোথাও নিয়ে যাবে নাতো!... ওরা কি সব আমাকে দেখে হাসছে? শার্টটা মনেহয় ইন করা ঠিক হয়নি।... জীপার...

ফরেনার ব্যাচে কেউ ক্লাস নিতে চায়না। আটতলায় উঠা এক ঝক্কি। তার উপর বেশিরভাগই গরুগাধা। এদেরকে ভয়টয় দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়াটাই নিয়ম। ভর্তির সময় সম্পূর্ণ ফী কেটে রাখা হয়। তাই যতো আগে কেউ হাল ছেড়ে দেয় ততো লাভ। আমাদের যারা ক্লাস নিতে আসে কেউ কম্পিউটারে পড়ে না। অনেকে এমনকি বুয়েটেও পড়েনা। তারপরও এইসব ভাইয়াদের পড়ানোর সময় আমাদের স্কুল-কলেজের মহিতোশ স্যারের কথা মনে পড়ে। শাহজামাল স্যারের কথা মনে পড়ে। আমরা অবাক হয়ে দেখি। এই ভাইয়ারা সেই স্যারদের চেয়েও কতো ভালো পারে সব কিছু!

একসময় এই তালাগোনা শেষ হয়। আর সব ফরেনাররা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন ভার্সিটিতে। আমি কেমনে কেমনে যেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংএই ভর্তি হয়ে যাই। হয়ে যাই আমার সেই স্বপ্নের মানুষদের একজন। তারপরও আমার কথার সেই ‘ফরেন’ টানটা যায়না। চকচকে ছেলেমেয়েদের সাথে হাটি। ‘খাতি গিছিলাম’কে প্রাণপনে ঘষেমেজে ‘খাইতে গ্যাসিলাম’ করার চেষ্টা করি। তবে সব সময় এতকিছু মনে থাকে না। মাঝে মাঝে সেই বুনো ফরেন চেহারাটা বেরিয়ে পড়ে।
তখন, সবাই খুব হাসে...


মন্তব্য

পরী [অতিথি] এর ছবি

খুবি অদ্ভুত সুন্দর লেখা। হাসি
আজ থেকে ৯বছর আগে আমিও এরকম ফরেইনার হয়ে ঢাকায় এসেছিলাম। দেঁতো হাসি
সময়ে জেনেছি ঢাকার ছেলেমেয়েরা নাকি এইসব ফরেইনারকে "ডিএনএ" বলে! মানে হচ্ছে "ঢাকায় নতুন আইছি" চোখ টিপি

স্পর্শ এর ছবি

ডিএনএটা তো শুনিনি আগে! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পেন্সিলে আঁকা পরী এর ছবি

এইটা বলতেও কিন্তু একটু ভাবাছে চোখ টিপি "ঢ্যাক্কায় নয়াইছি/নতুন্যাইছি"

-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।

স্পর্শ এর ছবি

হা হা, ঠিক তাই! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ইউনিভার্সিটিতে আমার এক বন্ধু ভাইভাকে বলতো ডিএনএ-- ডেকে নিয়ে অপমান।

স্পর্শ এর ছবি

আর আমাদের বায়োলজী স্যার বলতো। 'ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড' খাইছে


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রানা মেহের এর ছবি

একদম স্পর্শের মতোই লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্কু আপু। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মৃত্তিকা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ স্পর্শ।
কষ্ট মাখানো মধুরতা আছে লেখাটিতে।
______________________________
সামনে যদি যাবি ওরে, থাক-না পিছন পিছে পড়ে।

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। পড়া ও মন্তব্য করার জন্য। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কনফুসিয়াস এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা, কেমন করে কষ্টগুলোকে মিশিয়ে দিয়েছেন লেখার প্রতিটা শব্দে।
খুবই ভাল লাগলো।
অনেক আগে, আমিও এমন করে ঢাকায় এসে উঠেছিলাম রাজাবাজের একটা মেসে, ফরেনারদের একজন হয়ে। ব্লগে লিখেছিলাম অনেক আগে এই নিয়ে। আপনার লেখাটা অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

স্পর্শ এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়লাম।
ব্যাচেলর ছেলে আর বাড়িওয়ালার সুন্দরী মেয়ের অংশটা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ! খুব মজা করে লিখেছেন। mmমন্তব্য এবংmonm লিঙ্কটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ একটা লেখা... অনেকদিন পর এসেই ফাটায়ে দিলেন... আরেকটু মাঝে মধ্যে লেখা যায় না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে, লিখতে তো চাই। লেখা যে আসেনা। মন খারাপ
লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মামুন হক এর ছবি

লেখাটা আমাকে স্পর্শ করে গেল!

স্পর্শ এর ছবি

হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আকতার আহমেদ এর ছবি

একটা মানুষ কীভাবে অনেকগুলা মানুষরে এক লগে বোকা বানাইতে পারে, মাথার ঠিক মাঝখানে ধাম করে বাড়ি দিয়া ধপ করে বসায়া দিতে পারে... তার জলজ্যান্ত উদাহরণ আপনি। "আবজাব" লেখা "স্পর্শ" যখন তার নিজের খোলস থেকে বাইর হয়া আসছিল ধীরে ধীরে, তখন নিজেরে কিরুম ভুদাই মনে হইতেছিল বুঝায়া বলতে পারবো না! খোদার কসম, যারপরনাই বিস্মিত এবং মুগ্ধ হইছিলাম আপনার এই পরিবর্তনে। সেই মুগ্ধতা আজকে আবারও টের পাইলাম।
আলাদা কইরা আর কিছু কইলাম না। তয়, আপ্নে মিয়া আরেকটু নিয়মিত হইলেই পারেন!

স্পর্শ এর ছবি

হায় হায় এইসব কী বললেন!! দিলেনতো লজ্জা পাইয়ে। প্রেশারটাও দিলেন বাড়িয়ে।
এরকম করলে কি ...

ও হ্যা!
অনেক অনেক অনেক থ্যাঙ্কু। সুন্দর কমেন্টটার জন্য। হাসি

BTW: আপনিও মিয়া নিয়মিত হন! আগে সকাল বেলা ঘুম ভাংতো আপনার ছড়ায়। রাতে ঘুমাতে যেতাম আপনার ছড়ায়। সেই 'বেক্কল ছড়াকার' কে আমরা ফেরত চাই। আইলসা আকতার কে চাইনা। খাইছে


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্বপ্নাহত এর ছবি

ঈমানে কই, আপনার লেখা একেবারে বুকের মধ্যে স্পর্শ করতে দুই সেকেন্ডের বেশি টাইম নেয়না। হাসি

ভালো কথা, আমি কিন্তু ব্লগে আপনার সেই ফরেনার আমল থেকেই পুরা পাঙ্খা চোখ টিপি

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

স্পর্শ এর ছবি

ধুরো মিয়া, কী যে বলো না! তুমি, রায়হান আবীর, পরিবর্তনশীল তোমাদের এই কয়েকজন আমার জন্য কী পরিমান যে উৎসাহের উৎস তোমরা ভাবতেই পারবানা। হাসি

সেই ৩৬০'র আমলে আমারে চিনতা নাকি?? !

আমিও তোমার ছড়ার পাঙ্খা!

বেঁচে থাকো বাবা। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সমুদ্র এর ছবি

ভালো লাগলো লেখা।
তবে "ঢাকার" ছেলে-মেয়েদের স্বভাব চরিত্রের এইরকম সাধারণীকরণ করা মনে হয় ঠিক হইতেছে না। আমি কোচিং/ইউনিতে ক্লাস করার সময় অনেক ঢাকার বাইরের ছেলের সাথে আমার এবং আমার ঢাকার বন্ধুদের চেনা-পরিচয়, কথাবার্তা হইছে - এইরকম কোন ব্যাপার তখন মাথায় ছিলোনা।
"ঢাকার বাইরের" ছেলেদের সহজেই মিশে যাবার ক্ষমতা, চিন্তার সরলতা আর বন্ধুত্বের আন্তরিকতায় আমি বরাবরই ঈর্ষান্বিত।

"Life happens while we are busy planning it"

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি
না আসলে কোনো সাধারণীকরণ করিনি। একটু স্ম্ৃতীচারণ আরকি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

প্রিয় লেখকের লেখা অনেক দিন পর পড়লাম। আমি পুরোপুরিই ঐ চকচকে শহুরে গ্রুপের মানুষ। সেই সময়গুলো মনে হলে খুব অপরাধবোধ হয়। তবে, আমার সেরা বন্ধুদের অনেকেই "ফরেনার"। প্রিয় মানুষেরাও। এদের মধ্যে অন্য রকম একটা আন্তরিকতা থাকে, যা আমি ঢাকার বন্ধুদের মধ্যে কম দেখেছি।

দেশ কি উত্তরের দিকে নাকি?

স্পর্শ এর ছবি

প্রিয় 'লেখক' !! কী বলে না বলে!!

পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
না উত্তরে না। দক্ষিণেও না। মাঝামাঝি। মাগুরা-যশোর।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভালোই তো। যশোইরা লোকজন পরিবেষ্টিত অবস্থায় বসে আছি এখন। সবাই দারুণ বন্ধু। দেখা হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।

হুঁ, স্পর্শ অনেক দিন ধরেই আমার প্রিয় লেখকদের একজন। এই লেখকের সব লেখা কোনো একদিন একটানা পড়বো। হয়ে উঠছে না সময়ের অভাবে। এই যে ইবুকের কথা হয়... মনের কোণে ইচ্ছা আছে কোনোদিন স্পর্শ যত্ন নিয়ে লিখবে, নতুন কোনো কথাশিল্পী পাবো।

বলে দিলাম গোপন কথা, যাও!

স্পর্শ এর ছবি

খাইসে!
এই বইমেলায় একটা বানান ডিকশনারি কিনেছি। আমার আগের সব লেখা একেকটা বানান ডিজাস্টার! ওসব পড়তে গেলে কোনটা ভুল আর কোনটা ভূল সব গুলিয়ে যাবে!

'কথাশিল্পী' ! ইয়ে, মানে... হায় হায় এগুলো না বলে কশে দুচারটা গালি দিলে আরো জোস পাই। লেখার জিদ আসে। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তামীম এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা !!

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ তামীম। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মুস্তাফিজ এর ছবি

স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।
এখানে মজার একটা তথ্য দিই। ঢাকায় যারা বাইরে থেকে আসেন তারা প্রথমে যেমন ফরেনার থাকেন তেমনি মফস্বল শহরে যারা উপজেলা থেকে পড়তে আসে তারাও ফরেনার থাকে।
.........

আমি যখন ময়মনসিংহে আনন্দমোহনে ইন্টার পড়ি সেসময় ক্লাসে হালুয়াঘাট থেকে আসা এক ছেলেকে স্যার নাম ধাম জিজ্ঞেস করাতে সে থতমত খেয়ে চুপ করে থাকাতে অন্য একজন বলে উঠেছিলো "স্যার উডা পরেনার"

সেই পরেনার এখন উপজেলা চেয়ারম্যান।

...........................
Every Picture Tells a Story

স্পর্শ এর ছবি

এইটাই আসল কথা। আমরা ভিন্নতাকে সহজে মেনে নিতে পারিনা। আমাদের এলাকায় অন্যএলাকার কেউ এসে অন্য আক্সেন্টে কথা বললে সেও হাসির পাত্র হতো। ব্যাপারটাই এমন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

ঠিক। ঢাকার ছেলিরা খুব-ই খ্রাপ!

স্পর্শ এর ছবি

ঞ্যাঁ! ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার লেখা দীর্ঘদিন পরে পড়লাম। পড়ে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে, এবং নিজের অতীতে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা এইসব অগণিত ঘটনা রিওয়াইন্ড করতে মন চাচ্ছে....।

আশার কথা, আমার সেরা বন্ধুগুলার অনেকেই প্রথমে ফরেনার ছিলো- এখন গলায় গলায় ভাব ! ! আমি আসলে ভালো মানুষ দেঁতো হাসি

ট্যাগে রম্যরচনা কেনো ??
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

স্পর্শ এর ছবি

হায় হায়! অপরাধী মনে হবে কেন! এসব তো বাচ্চাকালে এমনিতেই হয়।

ট্যাগটা একটা যাকে বলে স্যাটায়ার। ইয়ে, মানে...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নিবিড় এর ছবি

কিছু কিছু লেখা পড়ে লগ ইন না করা অন্যায় তাই ভাল লাগাটা জানিয়ে গেলাম স্পর্শ ভাই


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্ক ইয়ু নিবিড়। ko (hug)


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কিছু কিছু লেখা আছে, যেগুলো অনুভূতির গভীরতম স্থান স্পর্শ করে যায়। আর এমন লেখায় যে তুমি বরাবরই সিদ্ধহস্ত, তা তো আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন মায়াভরা লেখা কি কেউ লেখে? নাকি লিখতে হয়? হাসি

অদ্ভুত লাগল একটা ব্যাপার... বিদায় নেয়ার সময় তোমার বাবার কথা লিখলে না যে? হাসি

স্পর্শ এর ছবি

বাবার সাথেই তো ঢাকায় আসলাম! দেঁতো হাসি
আর কমেন্টের জন্য অনেক থ্যাঙ্কু হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা [অতিথি] এর ছবি

কিছুই বলার নাই! তোমার লেখা পড়তে চিরটাকালই ভালু লাগে এইবারেও ভালুই লাগিলো... তুমি এত কোম লিখিলে কিন্তু তুমাকে আর ভালু লুক বলা যাইতেছেনা, এইবার তুমিই বিবেচনা করে দেখ!

স্পর্শ এর ছবি

কিছুই বলার নাই। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

লেখাটা পড়ে মনে হল আপনার স্পর্শ নামটা সার্থক। আমি ঢাকাতেই বড় হয়েছিলাম, কিন্তু কোন কারনে আমার ওপর ঢাকার প্রলেপটা কেন যেন পড়েনি। এখন থাকি আমেরিকাতে, এর প্রলেপও তেমন ফেলতে পারিনি গায়ে। একটা কথা মনে পড়ল।

প্রথমবার সামারের ছুটিতে যখন দেশে বেড়াতে গেলাম এক আত্মীয় আমাকে বললেন তোকে দেখেত মনেই হয়না তুই আমেরিকার থেকে আসছিস। স্বভাবতই অবাক হয়ে জানতে চাইলাম এই ব্যপারটা দেখে বোঝা যায় নাকি?

তিনি বললেন এয়ারপোর্টে প্লেন থেকে নামলেই বলে দেয়া যায় ...।

এই ভোলের ব্যপারটা আমার কাছে বেশ গোলমেলে ঠেকে। যাই হোক আবার বলছি লেখা খুব ভাল লাগল। আমি একটা কথা বলতে পারি। আমার বন্ধুদের মধ্যে ফরেনাররাই ঢাকাইয়াদের চেয়ে সবসময় সংখ্যায় বেশি ছিল। কেন জানিনা।

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। হাসি

আসলেই, কোথাও গিয়ে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া এক জিনিশ আর ভোল পাল্টানো আরেক জিনিশ। "বৈরাগী আর অন্নের" বাগধারাটার মতো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

এইসব না লিখলে হয় না?
ঘা তো একেবারে বুকের মাঝখানে গিয়ে লাগে!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

স্পর্শ এর ছবি

বুকের মাঝখানে! ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো..খুব সুন্দর একটি লেখা। নিজেও ফরেনার আছিলাম কিনা...
------------
শিকড়ের টান

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ শিকড় ভাই। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অর্ঘ্য এর ছবি

খুব ভাল লাগলো লেখা ... হাসি
আমিও মোটামুটি একই পথের যাত্রি ...
তবে একটু বেশিই যেন 'ফরেনার', সবসময়, সবখানে ... ইয়ে, মানে...

------------------------------------------
যাহা চাই যেন জয় করে পাই ... গ্রহণ না করি দান ...

------------------------------------------------------
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক ... খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ ...

স্পর্শ এর ছবি

হ্যা কথা সত্য।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নিঘাত তিথি এর ছবি

খুব সুন্দর একটা লেখা, সমস্তটাই।
মজা লাগছিলো আবার মন কেমন করেও উঠলো...
কতকিছু হাবিজাবি মনে হচ্ছে...মফস্বল থেকে ঢাকায় যেতেই এক সময় মন চাইতো না, তবু কোন স্বপ্নের তোড়ে দৌড়ে চলা সেখানেই...একটু একটু করে সেই ঢাকাও আপন হলো অনেক...প্রিয় ক্যাম্পাস, প্রিয় পরিবেশ। অনেক দিন ধরে একটু একটু করে মানিয়ে নেয়া। আর আজ প্রিয় দেশটাও ছেড়ে সত্যি সত্যি "ফরেনার" হয়ে গেছি...
মানুষ নিজের সাথে কখনও কখনও বড় প্রতারণা করে ফেলে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

স্পর্শ এর ছবি

ঠিক বলেছেন।
সেই ক্যাম্পাস! কতো যে আপন! কতো যে স্ম্রৃতি! জীবনের সেরা সময়।
বাকি জীবন শুধু ক্যাম্পাসের কথা ভেবেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। হাসি
মন্তব্যের জন্য ধনব্যাদ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জি.এম.তানিম এর ছবি

অবশেষে তুই ফেরত আসলি। অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা লেখার জন্যে। এমন ক্ষুরধার লেখার হাত থাকার পরেও যে চুপচাপ বসে থাকে তার শাস্তি হওয়া উচিত।

আয় দোস্ত বুকে আয়! কোলাকুলি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

স্পর্শ এর ছবি

কী করবো বল। জোর করে তো আর লেখা যায় না। ওৎ পেতে বসে থাকি। কখন লেখা আসে। ইয়ে, মানে...
তুই লিখিসনা ক্যান আরামি?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নৈষাদ এর ছবি

লেখাটা বেশ স্পর্শ করে গেল। ভাললাগাটা না জানিয়ে পারলাম না।
নিজের 'দেশের' বাইরে 'ফরেনার' হয়ে চিটাগাং এ ছিলাম প্রথম দু'বছর। 'বইঙ্গা'বলে আলাদা করার একটা চেষ্টা ছিল, কিন্তু তা শুধুই কৌতুকের ছলে। এমন অভিজ্ঞতা সৌভাগ্যক্রমে হয়নি। ভাল থাকুন।

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। স্পর্শ করেছে জেনে হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কীর্তিনাশা এর ছবি

ওয়েল্কাম্ব্যাক স্পর্শ। হাসি

এইবার আবার দুই হাতে লেখা আবজাব সিরিজ শুরু করেন।

আর এই লেখা সম্বন্ধে কী বলা যায় ! পুরো প্রানের গহীন ভিতরে স্পর্শ করে গেল। চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্কু কীর্তিনাশা ভাই। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রাফি এর ছবি

লেখাটা খুব খুব ভালো হয়েছে। নিজের সাথে মিলে গেল অনেকটাই; তবে আমি ঢাকাইয়াদের খুব পাত্তা দিতাম না; ফরেনার ফরেনার গ্রুপ করে থাকতাম।
এইটা ঠিক আমার দেখা অধিকাংশ ঢাকাইয়া পোলাই আলগা ভাব লয় প্রথম প্রথম...

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

স্পর্শ এর ছবি

আসলে 'ঢাকাইয়া পোলা' বলে কথা না। যেকোনো নতুন যায়গাতেই নতুন আর 'অন্যরকম'দের এই সমস্যায় পড়তে হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তাইলে আমিও ফরেনার। কোচিং-এ ভর্তি হই নাই। তাও ক্যামনে ক্যামনে জানি ঢাবিতে চান্স পাইলাম। আর ফরেনার রয়ে গেলাম।
................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

স্পর্শ এর ছবি

হা হা হা! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

আটতলা বিল্ডিংটা কি ওমেকার হোস্টেল নাকি? সেখানে আমাদের ব্যাচেরও কয়েকজন ফরেনার থাকতো। তারা শেখ সিগ্রেট খাইতো। কী বলিস জিহাদ!!!

লেখা তো ফাটাফাটি।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

স্পর্শ এর ছবি

সানরাইজ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

অনভ্যাসে তারা দিতে ভুলে গেছিলাম। দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

স্পর্শ এর ছবি

অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস খাইছে
তোমার লেখা কই?? লেখা দাও মিয়া। আর আইইউটি তে যাওয়ার খায়েস হইসে আমার।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দময়ন্তী এর ছবি

লেখাটা কেমন মনকেমনকরা৷ যেকোন নতুন জায়গায় গেলেই এরকম কিছু না কিছু হয়৷ তারমধ্যে বড় শহরে গেলে তো আরো বেশী৷ কলকাতার ছেলেমেয়েরাও শুনেছি এরকমই করে বাইরের জেলাগুলো থেকে আসা লোকেদের সাথে৷ আমি অবশ্য কলকাতায় গিয়ে কখনও থাকিনি, তাই সেভাবে মুখোমুখী হতে হয় নি৷
------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্পর্শ এর ছবি

কোলকাতায় থাকেন না! এখানে যে সব সচল বাংলাদেশে থাকেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকার ভাত খেয়েছে অথবা খাচ্ছে এখনো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কয়টা বানান ভুল ধরি খাইছে

উচু --> উঁচু
ছাঁদ --> ছাদ
কম্পলিট --> কমপ্লিট
রদ্দুরে --> রোদ্দুরে
পুরোনো - পুরনো
পৌছে - পৌঁছে

স্পর্শ এর ছবি

খাইসে! আমিতো আরো ইচ্ছা করে করে সব ছাদে চন্দ্রবিন্দু দিলাম ইয়ে, মানে...
থেঙ্কু থেঙ্কু হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমম, খালি "জলছাদ কেমনে দেয় তা আমরা জানতাম না।" আর "কিছুক্ষণ সেই ছাদপেটানো গানটা শেষবারের মতো বোঝার চেষ্টা করি।" এই লাইন দুইটাতে বাদ গেসে খাইছে

কয়েক জায়গায় কমা দিতে গিয়ে ভুল করে দাঁড়ি দিসো। বাড়ি ছেড়ে তোমার ঢাকায় যাওয়ার প্যারার শুরুর লাইনগুলা দেখ। আর, 'হাইএস্ট'-কে আমি হয়ত 'হাইয়েস্ট' লিখতাম। বিদেশি শব্দ তো, তাই বানান ভুল বলা যায় না সেভাবে। হাসি

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে সব দোষ জহির রায়হানের। দাঁড়িগুলো ইচ্ছাকৃত। ইয়ে, মানে...
আর বইলো না। অভ্রফনেটিক বেটাই আমার ছাদে অটো চন্দ্রবিন্দু দিয়ে দিসে দুই একবার। বাকি গুলো আমি খুঁজে খুঁজে দিসি। খাইছে

তোমারে বুকিং দিয়ে রাখলাম। এর পর থেকে তোমারে এক দফা দেখিয়ে নেব। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আসলে দাঁড়িগুলো দেখে মনে হইসিল যে পুরা বাক্য শেষ হয় নাই, তাই.. হাসি

এমনি এমনি দেখব না। কবে খাওয়াবা, আগে সেইটা বলো। দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

দাড়ি গুলো আসলে 'দীর্ঘ্য বিরতি' অর্থে। বাক্য শেষ অর্থে না। ইয়ে, মানে... ( পন্ডিতি করছি আরকি)

আগে বিয়ে করি বউ এর হাতে রান্না খাওয়াবো। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

মন্তব্য করতে বহুত দেড়ি হয়ে গেলো। তার উপর এ্যাতো এ্যাতো মন্তব্যের পর আর কী লেখা যায় তাই-ই ভাবছি।

আপনার লেখা অনেক অনেক ভালো হচ্ছে। দয়া করে আমার মতো লেখালেখি আবার ছেড়ে দেবেন না যেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আখতার ভাই।
লেখালেখি তো ছাড়তে চাইনা কখনোই কিন্তু লেখালেখিই ছেড়ে যায় আমাকে।

আপনি বন্ধ করলেন কেন? আপনার লেখা মিস করি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনিকেত এর ছবি

খুব খুব চমৎকার একটা লেখা----!!!
লেখায় দিলাম বিশ লক্ষ তারা------

স্পর্শ এর ছবি

অনেক অনেক... (বিশ লক্ষ অনেক) ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাবরিনা মোস্তফা রিমি [অতিথি] এর ছবি

খুব ভাল লাগল।

স্পর্শ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ে যেমন ভালো লাগলো তেমনি খারাপও লাগলো। ভালো থাকবেন।

- অঘটনঘটনপটীয়সী

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

হিমু এর ছবি

লেখাটা খুব স্পৃষ্ট করলো আমাকে। আরো ঘন ঘন লেখা চাই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

স্পর্শ এর ছবি

আপনাকে স্পর্শ করেছে জেনে আত্মবিশ্বাস বাড়লো। হাসি
বেশি বেশি লেখার চেষ্টা করি খুব।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

বাপরে দারুণ হিট লিখা!

আসলেই খুব ভালো লাগল। খুব গুছিয়ে লিখেছেন। শুভেচ্ছা।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...

স্পর্শ এর ছবি

হিট! ইয়ে, মানে...
মন্তব্যের জন্য থ্যাঙ্কু হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

বেদনার সাথে আবেগ মিশে আছে.... কষ্টগুলো লাইনে লাইনে গাথা...
নি:সন্দেহে চমৎকার!

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই। নিজের অনুভুতি গুলো কিছুটা হলেও লেখায় ধরতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

বর্ষা [অতিথি] এর ছবি

অনুভূতির প্রকাশ খুব সুন্দর। ঢাকায় এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি, কিন্তু কানাডায় পড়তে হয়েছে। আমি যেটা করি ----কোনো পাত্তা দেই না। কোনো পাট নিলে মুখের উপর হেসে দেই।

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। এরকম আসলে কম-বেশি সবারই হয়। নতুন-বড় যায়গায় গেলে।
এখন আমিও হেসে দিই। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার একটা সিগনেচার ছিলো না, ঐ যে! বুদবুদ ফেটে যাওয়ার আগ মুহূর্তে কী যেনো ভাবলো...! সেটা মনে হচ্ছিলো তারার ফুল আর এই লেখাটা পড়ার সময়।

মাঝের অল্প কিছু সময় ঢাকা বা অন্যান্য শহরকে বাদ দিলে আগাগোড়া গ্রামেই মানুষ আমি। কথা বার্তায় পুরোপুরি গাঁইয়া টান আছে। চলনে, পরনেও। ফরেনার খেতাবটা মুছে ফেলতে পারিনি আজোবধি। পারবো বলেও মনে হয় না। এখন নিজের গ্রামেই নিজেকে ফরেনার লাগে। নিজের মানুষের মধ্যেও নিজেকে বল্গাহীন দলছুট মনে হয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

কোলাকুলি
বুকে আসেন ভাই। এই খেতাব আসলে ব্যাপার না। অবশ্য প্রথম দিকে খারাপ লাগে। তবে কদিন কাউকে কেয়ার না করে নিজের মতো কথা বলে গেলেই হলো।
ও হ্যাঁ! পড়ার ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

অনেকদিন পর দারুন একটা লেখা পড়লাম।
আরেকটু নিয়মিত লেখা যায়না ?
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

সুরঞ্জনা [অতিথি] এর ছবি

দুষ্টু বালিকার কানপড়ায় আপনার ব্লগ পড়তে হল...
খুব ভালো লাগলো, আপনার লেখা পড়ার সময় চোখে দেখা যায়, এটা একটা বড় গুণ।
আপনার মঙ্গল কামনা করি।

এনকিদু এর ছবি

খুব ভাল একটা লেখা, কিভাবে জানি আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল । আজকে র‌্যান্ডম ঘুরাঘুরি করতে করতে আবার খুঁজে পেলাম ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

এই লেখা কেমনে মিস করলাম!!
অসাধারন লেখা!!
------------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সুন্দর একটা লেখা ভাইয়া ।

সে ঘরে আমার জায়গা হলেও আমার স্বপ্নগুলো ঠিক আটতে চায় না। তারা জানালায় আকাশ খোঁজে। আর তখন, সেই প্রথম দিনেই জেনে যাই। এ শহরে আকাশ নেই!

আপনি কোন ব্যাচ?
আমি ০৫ ব্যাচ।
আমিও CSE । সচলে নতুন যাত্রা শুরু করলাম ।

বোহেমিয়ান ।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লেখা।

মানুষের এই ধরনের স্বভাবের পিছনে হীনমন্যতা কাজ করে।
হতে পারে বাংলাদেশীদের মধ্যে এটা বেশী -- তবে পাশ্চাত্যেও এটা একটু দেখেছি -- ওরা অবশ্য খেল্লাচ্ছে এমনকরে ।

একটা ঘটনা মনে পড়লো -- আমার ম্যানেজার বলছিলো সে আলবার্টা থাকে ঐ খানে উইন্টার টায়ার ছিলো না আগে -- তো লোক জন বরফের মাঝে ঘসতে ঘসতে গাড়ী ব্রেক করতো --
সেটা শুনে আরেক কলিগ বলছে -- ইউ ওয়েষ্টার্নাস -- মানে ক্ষ্যাত টাইপের আর কি । হাসি
---------
চকমকে চেহারার মানুষদের কে দেখলে বুকে খোঁচা লাগতো একসময় -- এখন লাগে না -- বরং যেখান থেকে এসেছি -- সেটা প্রিজার্ভ করাটাই বিরাট ব্যাপার ।

---

ইমতিয়াজ মির্জা

তানভীর [অতিথি] এর ছবি

অনুভূতিগুলি শব্দের মধ্যে অসাধারণভাবে মিশে আছে, আওয়াজ করে পড়লাম, উচ্চারণ করে এবং শুনেও অনেক ভালোলাগা আরো বাড়লো... হাসি

আব্দুর রহমান এর ছবি

"তখন, সবাই খুব হাসে......."
আমার খুব ভালো লাগা লেখাগুলোর মধ্যে এই লেখাটা জায়গা করে নিলো।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অতিথি লেখক এর ছবি

জানিনা কেন জানি আপনার লেখাটা পড়ে মনটা ভার হয়ে গেল। মা'রা যখন পাথর হয়ে যায় সন্তানের জন্য, তখন চোখে সবসময়ই মেঘ জমে, বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকে। আপনার লেখায় অসাধারনত্ব হয়তো সেখানে। ভাল থাকুন, ভাল লিখুন।
- শফকত মোর্শেদ

আবুল হায়াত শিবলু [অতিথি] এর ছবি

খুব ভাল লাগল।নিজের সাথে কোথায় যেন একটা মিল খুঁজে পেলাম।লেখক কে
অসংখ্য ধন্যবাদ হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।