আ-দেখলেপনা (আব্জাব)
দ্বাররক্ষীদের মনে হয় কোনো ইউনিভার্সেল হ্যান্ডবুক আছে। যেখানে আমার চেহারার বর্ণনা দিয়ে লেখা- ‘এই যে, এই ধরণের ব্যক্তি হলো সন্দেহ ভাজন’। নইলে গেটম্যানওয়ালা কোনো দরজার সামনে গেলে তারা আমার দিকে চোখ সরু করে তাকাবেই বা কেন? আর প্রতি দশজনে আটজনই বা কেন আমাকে আটকাবে? বিভিন্ন রকম আইডি, নাম-ধাম, সিগনেচার দিয়ে তবেই নিস্তার। এ কারণেই গার্ডওয়ালা কোথাও যেতে হলেই আমার ‘প্যালপিটেশন’ শুরু হয়ে যায়। হাটার গতিও যায় বেড়ে। হলে থাকতে অন্য হলের ফ্রেন্ডদের কাছে যাওয়ার সময় এই সমস্যা হতো। সব চেয়ে বেশি সমস্যা করতো রশিদ হলের গার্ডরা। এমনিতেই রমরমা হল। শয়ে শয়ে পোলাপাইন যাচ্ছে আর আসছে। কিন্তু আমি গেলেই, কই যান, কার কাছে যান, কতক্ষণ থাকবেন, আপনি কে? এইসব হাজার প্রশ্নবান। তখন আমাদের আইডি কার্ড ছিলো মেরুন রঙের। অনেকটা পাসপোর্ট এর মতো। এই পাসপোর্ট কারো হাতে থাকলে অবশ্য কেউ কিছু জিজ্ঞেস করে না। কিন্তু ডেইলি ডেইলি এই পাসপোর্ট বের করতে বাধ্য হওয়াটা একটা বিরাট বেইজ্জতি। তাই এর পরে এক বুদ্ধি করলাম। রিক্সা থেকে নেমেই নিজের পকেটে টাকা খুঁজছি এমন ভান করে আমার মেরুন পাসপোর্ট বের করতাম। তার পর খেয়াল করতাম গার্ড-মামু জিনিশটা লক্ষ্য করেছে কিনা। তারপর অন্য পকেট থেকে টাকা বের করে ভাড়া পরিশোধ। কিন্তু এই সুখ বেশিদিন সইলো না। কিছুদিন পরে প্লাস্টিকের আইডিবের হলো। তাতে এসব কল কব্জা খাটেনা। সে এক অন্য কাহিনী।
এক কালে বিদেশে গিয়ে তাজমহল-টহল দেখে এসেছিলাম। তবে সে এতই ছোটো বেলায় যে তার বেশির ভাগই মনে পড়ে না। শুধু অম্বর দূর্গে একটা রেলিঙের দুই রডের মাঝখানে মাথা আটকে যাওয়ার পরে খাকি পোশাক পরা গার্ডরা এসে কী কী করে ছিলো সেইসব মনে পড়ে টুকটাক। তবে ওদেশ ভ্রমন করে ঠিক ‘বিদেশ ভ্রমন’এর ফিলিংক্স আসে না। সে অর্থে এবারই আমার প্রথম বিদেশ ভ্রমন। যাই হোক, ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে ফেলছি অনেক বেশি। আসল কথা বলি। এসেছি সিঙ্গাপুর। এন,ইউ,এস বা নাসএ। আমার মতো গেঁইয়ো ভূতের প্রথমবার ঢাকা শহর হজম করতেই ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। তো তারপরে এখানে এসে সিঙ্গাপুর হজম করার কাহিনীই আসলে লেখার ইচ্ছা। এখনো তো হজম হয়নি। কেবল মুঠো মুঠো গ্রাস গ্রহন করছি। কদিন পরে হয়তো এসব সাদামাটা মনে হবে। ইচ্ছা, তার আগেই এসব আবজাব লিখে রাখা। তাহলে শুরু করি।
বিটিভিতে একটা নাটক হতো। সে নাটকের নামধাম মনে পড়ে না। শুধু মনে পড়ে ওখানে অ্যান্টি হিরোর নাম ছিলো ‘লাটভাই’। মাফিয়া গোছের কিছু হবে। আর ছিলো ‘রায়হান সোবহান’, এক ডাক-সাইটের কাস্টম কর্মকর্তা। বিমান বন্দরে কাস্টম অফিসাররা যে আমার প্রিয় দ্বাররক্ষীদের চেয়ে নখে-দন্তে আরো কতোটা তীক্ষ্ণ সেটা শিখেছি ওই নাটক দেখে। বিদেশ যাবো, কোথায় থ্রীলট্রিল হবে, দেশের জন্য মায়া হবে, তা না এই নখোদন্তের ভয়েই আমি অস্থির। আমার প্রবাস গমনের কথা শুনে ইশতিয়াক রউফ বলেছে বদনা আর তুলার বালিশ নিয়ে যেতে। বদনা নেইনি। কিন্তু ব্যাগে একটা তুলার বালিশ প্যাক করেছি। আরো কী কী হাজারটা বস্তু আমার বাবা ভরে দিয়েছে কে জানে। আমি শুধু দুঃস্বপ্ন দেখছি। স্বপ্নে রায়হান সোবহান আমার সামনে একবার এসে বলছে, “আরে লাটভাই, তোমার হাতে এইটা কী? টাকার বালিশ? ব্লাক মানি!’। আরেকবার এসে বলছে, “ওরে কে আছিস, লাটভাইকে তিন বালতি পানি খাওয়া!”।
আবারো শিব বেটা আমার ধান ভানা পণ্ড করে দিচ্ছে। তাড়াতাড়ি মূল কথা বলে শেষ করি। কোথায় কাস্টমস কর্মকর্তারা তাদের তীক্ষ্ণ নখোদন্ত দিয়ে আমার বালিশ ছিড়ে তুলা-তুলা করে ফেলবে। তা না, এয়ারলাইন্সের একজন আমাকে একটা সবুজ রঙের বোর্ডিং পাস দিয়ে দিলো। আর আমার বোচকা ওজন করে পাঠিয়ে দিলো কোথায় কে যানে। এর পরে আরেকজন আমার পাসপোর্টে একটা সিল মেরে আমাকে পাঠিয়ে দিলো ডিউটি ফ্রী এলাকায়। বাবা-মা আর ছোটো বোন তখনো দাঁড়িয়ে আছে তাদের দেখা যাচ্ছে দূরে। আমি তাদের দিকে একবার হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে ঘোরাঘুরি শুরু করলাম। প্রথমেই একটা বইয়ের দোখান। সেটা বন্ধ। তার পাশে একটা ওয়াইনের দোকান। সেটা খোলা। ওয়াইন-টোয়াইন এর গল্প শুধু পড়েছি বইপুস্তক-সচলায়তনে, আর দেখেছি মুভিতে। ঝক ঝকে দোকানে তাদের দেখে একরকম থ্রীল শুরু হয়ে গেলো। আহারে কতো রঙবেরঙের বোতল। দেখলে মনে হয় হাত বুলিয়ে দেই। ছোটো বোনকে ফোন করে সেসব জানালাম। এর পরে আর কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলো না। একসময় হেটে গিয়ে প্লেনে চড়ে বসলাম।
এয়ার হোস্টেসদের রূপ-গুন নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। তাদের মধ্যে নাকি সেরা হচ্ছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের হোস্টেসরা। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। এয়ার হোস্টেস বেশির ভাগই ছিলো পুরুষ। নারী যারা ছিলো তারা সবাই আবার বেশ বয়স্ক। বয়স ঢাকতে নিজেদের চিনেপুতুল মার্কা চেহারায় আরো কয়েক পরত মেকআপ দিয়ে একটা বিদঘুটে অবস্থা। তবে প্লেন আকাশে উঠে গেলে যখন তারা একটা ট্রে-তে করে একটু আগে ডিউটি ফ্রী দোকানে দেখা বিবিধ পানীয় সাধাসাধি করতে লাগলো। তখন বেশ থ্রীল হয়ে গেলো! একবার ভাললাম দেখিই না কি এমন মহচ্ছব! তারপর একসময় ভাবলাম থাকগে, বমি টমি হয় যদি। এর চেয়ে অরেঞ্জ জুস খাই। তবে অরেঞ্জ জুস নিয়েই উলটা বমি হবার যোগাড়। এরা যে খোসা সহ জুস বানায় তা কে জানতো! তিতা।
তবে এ ভ্রমনের যে সব কথা মনে থাকবে তা হলো। আকাশ ভরা জোছনা। জানালা দিয়ে মেঘের সাগরের উপর জোছনা দেখলাম। মাঝে মাঝে এয়ার প্রেশার সক্রান্ত কারণে কানে সমস্যা হয়। সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে পোউছলাম যখন, তখনো আলো ফোটেনি। তবে পোর্টের আলোতেই তার বিশালত্ব আন্দাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে না। যত দূর চোখ যায় শুধু প্লেন আর প্লেন। এবারই প্রথম হণ্টন যন্ত্রে(এক ধরনের কনভেয়ার বেল্ট) উঠলাম। বাংলাদেশে এ বস্তু নেই। প্লেন যেখানে নামিয়ে দিলো সেখান থেকে এরকম চারটা সিকি মাইল সাইজের কনভেয়ার বেল্ট পার হয়ে এলাম দরজার কাছে। কোথাও কোনো গার্ট টার্ড নেই। ওয়াইনের দোকান গুলো বাদে বাকি ডিউটি ফ্রী শপ গুলোও বন্ধ। একসময় এক মহিলা পাসপোর্টে সিল মেরে, আমার হাতে একোটা ভলভোর টিকেট মার্কা কিছু একটা ধরিয়ে দিলো। সেটা নিয়ে এসে আমার বোচকা সংগ্রহ করলাম। কেউ মিলিয়েও দেখলো না। আমি অন্য কারো বোচকা নিয়ে ভাগছি কিনা! তারপর বোচকা ঠেলে এসময় দেখি আমি টার্মিনাল দুই এর বাইরে! পুরো ঘটনার সিম্পলিসিটি আমাকে অবাক করল দারুণ। এর চেয়ে বাসে ঢাকা টু যশোর যেতে ঝক্কি পোহাতে হয় অনেক বেশি।
বন্ধু রুবাইয়াত এসে ট্যাক্সিতে করে যখন খুব সাজানো একটা রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখন মাথার উপর ওভার ব্রিজ দিয়ে একটা প্রমান সাইজের বিমান কে হেটে হেটে পার হয়ে যেতে দেখে আরেকবার অবাক হলাম।
প্রথম যখন ঢাকায় আসি তখন একবার রমনা পার্কে হাটতে হাটতে শেরাটনের পিছনে গিয়ে হা করে তাকিয়ে ছিলাম। একটু পরে খেয়াল করি শুধু আমিই না, আমার আশে-পাশে আরো বেশ কয়েকজন তাকিয়ে আছে আমার মতই হা করে! পোশাকে আশাকেও তারা আমার মতই। সঙ্গের বন্ধুটি তখন বলে ছিলো, “একেই বলে ‘আ-দেখলেপনা’”। আমার এই বিদেশ যাত্রাও আসলে আদেখলেপনার একরকম ফিরিস্তি। আদেখলেপনা হোক বা নাই হোক। অনুভুতি তো। তাই লিখে রাখা। অনেকদিন পরে এসব পড়ে একটা মুচকি হাসি আসবেই। সেই সঞ্চয়ই এই লেখার উদ্দেশ্য।
(চলবে)
মন্তব্য
বাহ্ ভালোয় ভালোয় পৌছে গেছ দেখছি। তোমার মতো আমারও প্রথম বিদেশ ভ্রমণ ছিল সিঙ্গাপুর। তবে অনেক বছর আগে। তারপর আরও অনেকবার যাওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর নিয়ে অনেক মজার/কষ্টের স্মৃতি আছে, তুমি চালিয়ে যাও, আমারগুলো বলব কোন একদিন।
ভালো থেকো ভাইডি
আমি জীবনে প্রথমবারের মতো বাইরে যাই সাংহাইতে। যাওয়ার আগে আমিও ভাবছিলাম, আমি কি ঠিকমতো যেতে পারব? দুইবার প্লেন বদলাতে হবে। তার উপর আবার ওদের ইংরেজি ভালো না। কিছুটা নার্ভাস লাগছিল। কিন্তু যেদিন যাব, সেদিন সকাল থেকে কেন যেন কিছুই মনে হচ্ছিল না। এমনভাবে সবকিছু একের পর এক হয়ে গেল যে মনে হচ্ছিল আমি যেন এর আগেও বহুবার বাইরে গিয়েছি। এমনকি সাংহাই হুংচাও (Hongqiao) ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মাঝরাতের পর হোটেলে যাওয়াটা যে কী এক অসম্ভব অ্যাডভেঞ্চার ছিল! আমি মোটামুটি ধরেই নিয়েছিলাম কোনো দুষ্টু ট্যাক্সিওয়ালির খপ্পড়ে পড়েছি, যে আমাকে হাইজ্যাক করে কোনো অন্ধকার জায়গায় নিয়ে মেরে ফেলবে।
চলুক
চালিয়ে যান। প্রয়োজন হলে লেখার উপাদান তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরণের উল্টাপাল্টা কাজ করা শুরু করে দেন। তবু অর্জিত অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে বিনিময় করা বন্ধ করবেন না।
খেলারাম - খেলে যা । (চলবে লেখাটা দেখে বেশ উত্তেজনা বোধ করছি)।
------------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
নাটকের নাম ছিলো তথাপি, লাটভাই ছিলেন তারিক আনাম, আর হিরো মনে হয় ছিলো টনি ডায়েস...।
আপনার লেখা বরাবরের মতোই দুধুর্ষু !! এই লেখার সবচেয়ে ভালো জিনিস হচ্ছে এটা আপনার প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা- পরে হয়তো আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, আপনার সিঙ্গাপুর বর্ণনায় অন্যকিছু প্রাধান্য পাবে। কিন্তু এই লেখাটা দেখে আপনার প্রথম অভিজ্ঞতা ফিরে পাওয়া যাবে...
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
রায়হান সোবহান তো ছিল তারিক আনাম।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
তাইলে 'লাটভাই' ছিলো কেডা ??
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
লাটভাই তারিক আনাম ...
রায়হান আবীর হচ্ছে আলী যাকের , তার প্রেমিকা ডলি জহুর, আর নায়ক ছিল আজিজুল হাকিম যদ্দূর মনে পড়ে ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
চলুক!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সিরিজের শুরুটা চমৎকার হয়েছে
শেষটাও সেরকম হলেই হয়
সখ মিটেনাই। আরও লিখেন, দ্রুততার সহিত
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
পুরোই স্পর্শীয়
দৌড়ে দৌড়ে চলুক লেখা
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমার দৌড় গোটা সাতেক বার ভারত ভ্রমণ। এর বাইরে একবারই জীবনে সিঙ্গাপুর যাওয়া। প্লেনে উঠে সোজা হুইস্কির অর্ডার দিলাম। পুরো সাড়ে চাইর ঘন্টায় জমজমাট একটা পিনা হয়ে গেলো। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মেয়েগুলা বেশ সুন্দরীই ছিলো (অথবা আমার রঙিলা চোখে সুন্দরী লাগতেছিলো)। বেশ জম্পেশ ভ্রমণ। প্লেন থেকে নেমে টুকটাক কাগজপত্র কেম্নে কেম্নে পার করছিলাম ভুইলাই গেছি। তারপর হোটেলে গিয়া ঘুম।
তবে ঘুমানোর আগে একটা ঝামেলায় পড়ছিলাম। হোটেলে দেখি মিনারেল ওয়াটার নাই। ঢাকায় আমি টেপের পানি এখনো মাঝে মধ্যে খাই, কিন্তু বিদেশে এসে খাবো? পরে জানলাম এদের সব পানিই মিনারেল ওয়াটার। আর ওগো কোনো ঢাকা ওয়াসা নাই। পানির প্লান্ট বসাইতে যে টাকা আর জায়গা লাগবো, তারচে গোটা দেশের চাহিদার পানি তারা প্রতিদিন মালয়েশিয়া থেকে কিনে ফেলে।
সিঙ্গাপুর খুবই মজার শহর। ভালোই লাগছে আমার। আবার যামু দেখি কোনো একদিন। তবে সেখানকার ট্যাক্সি ড্রাইভারগুলারে ইংরেজি শেখানো বাধ্যতামূলক। এদের কথা আমি কিছু বুঝি না। এরা কিছু বোঝে না আমার কথা। আমি জানি যে ইংরেজিতে আমি বকলম। কিন্তু এরা দেখি আমার চাইতেও খ্রাপ।
তৃতীয়দিন গেলাম মোস্তফা মার্কেট সংলগ্ন এলাকায়। গিয়া তো আমার চক্ষু চড়কগাছ। বিদেশে বাঙলা সাইনবোর্ডের দোকান... কসকী মমিন!
দেখলাম রাধুনী নামের হোটেল আছে। সেখানে ঢুকে দেখি ভূণা গরুর মাংস আর ভাত। দেখে মনে হইলো অমৃত। দোকানদার বাঙ্গালী। বাংলায় অর্ডার দিমু না ইংলিশে দিমু তাই নিয়া দ্বন্ধে পইড়া খাড়ায়া থাকলাম। তখন সেই মুশকো ব্যাটাই আমারে কয় ভাত খাইবা নি বা? আমি কই খামু না মানে? জলদি দেন।
পেট ভইরা ভাত খাইলাম। এবং সেদিনই আমি অভিজাত অঞ্চলের হোটেল ছেড়ে সোজা বাংলা অঞ্চলে হোটেল নিলাম। আহ্...
লেখা চলুক। ভালো লাগছে... যদিও ভাবতেছি ধানমন্ডিতে এখন আড্ডা দিলে খাওয়াইবো কে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সবকিছু প্রথম দেখার একটা মজা আছে। আপনার লেখা পড়ে সেই মজাটা পাচ্ছি।
.............................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আদেখলেপনার পরের পার্ট গুলো চাই। এইটা ভালো লাগছে। আমারে কেনু যেনো ইমিগ্রেশন অফিসার গুলা বিকট পছন্দ করে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
তোমার লেখার মাঝে মায়া ধরানো একটা সারল্য আছে, সেটা যে বানানো না তা তোমার সাথে কথা বললেই বোঝা যায়। এই সারল্যটা অটুট থাকুক চিরদিন!
------------------------------------------
দুঃস্বপ্ন দেখি, সারারাত জেগে পাহারা দেই নিজের মনকে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দারুণ হচ্ছে, পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আসুক!
ভালো লেগেছে।
সিঙ্গাপুরে যেহেতু আপনার প্রথম সফর এটা, এই লেখাগুলো প্রথম কদিনের মধ্যে লিখে ফেললে ভালো। এমনিতেই আপনার দেখার চোখ আছে, তারপর নতুন চোখে অনেক কিছু ধরা পড়ে - যেটা কদিনের পুরনো হয়ে গেলে হয়তো আর নাও হতে পারে। যে কোন নতুন জায়গাতে গেলেই বিস্মিত হবার চোখটা প্রথম ক'দিনের পর আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকে - তার আগেই যে কয়েকটা পর্ব নামিয়ে ফেলা যায়।
নতুন মন্তব্য করুন