আমাকে একবার কেউ একজন প্রশ্ন করেছিলো, ‘খুব সুন্দর কিছু দেখলে কী ইচ্ছা হয়?’ সেদিন লোকলজ্জায় উত্তরটা দিতে পারিনি। কিন্তু কিছু একটা তো হয়ই। যেমন আমার আসলে মনে হয় ‘খেয়ে ফেলি’! সুন্দর একটা কবিতা পড়লাম, মনে হল ‘খেয়ে ফেলি’! যে কারনে আমার প্রিয় ফুল শাপলা! কারণ এইটা খেয়ে ফেলা যায়। ফুলকপিও প্রিয় হতে পারত। কিন্তু ফুলকপির চেয়ে শাপলা খেতে বেশি মজা। তো হয়েছে কি, সব সুন্দর জিনিশ তো আর খেয়ে ফেলা যায় না। তখন এক ধরণের অস্বস্তি হয়। ‘হায় রে, এত সুন্দর!...এত্ত সুন্দর! কী করি... কী করি!’ এরকম হাহাকার কাজ করে বুকের মধ্যে। এমন একটা হাহাকার বুকে নিয়ে ঘুরছি সেই ছোট্টো বেলা থেকে। আমার ঘরের সামনে ছিলো কামিনী আর দোলনচাঁপা গাছ। বর্ষা কালে এরা যুদ্ধ শুরু করত। ফুল ফোটানোর। সন্ধ্যা হতেই সে যুদ্ধের বার্তা নিয়ে চারিদিকে গন্ধ ছুটত। জানালা গলে সেই বার্তা আমার কাছে পৌছানর পরে, পড়ার টেবিলে বসে আকাশের ঝলসানো রুটিটার দিকে তাকিয়ে পেনসিল কামড়ানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকত না। বুকের মধ্যে খালি বাজত ‘কী করি... কী করি...’। তো আজকে সেই হাহাকার কিছুটা হলেও প্রশমিত হল। সেই গল্পই করি-
অ্যাভাটার(Avatar) নামক কার্টুন সিরিজটা যারা দেখেছেন তাদের সবারই নিশ্চই ‘জেসমিন টি’ খেতে ইচ্ছা হয়েছে একবার হলেও। আমার নিজের অন্তত হয়েছে বেশ কয়েকবারই। আমার আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্বভাব। কদিন আগেই একবার প্রবল তৃষ্ণা নিয়ে প্রায় আধালিটার আইসড ‘ওলং টি’ কিনে ফেলেছিলাম। ইয়াক থুহ্! চুমুক দিয়ে বুঝলাম এইটা আমাদের বাংলাদেশের ‘চিরতা’। ভয়ঙ্কর তিতা। চিরতা বাবাজি চীনদেশে গিয়ে নাম নিয়েছে ওলং টি! অবশ্য হবেই বা না কেন। চীনেদের সবকিছুরই একটা নিজস্ব নাম দেওয়া চাইই চাই। এই তো সেদিন এক রিসার্স ফেলোকে যখন বললাম আমি বাংলাদেশের। ব্যাটা চিনে না। তারপর উইকিপিডিয়ার পেজ দেখানোর পরে সে চাইনিজ লিঙ্কে গিয়ে হাসি মুখে বলে, ‘ওও... মুনজ্বালা।’ আরে জ্বালা!! বাংলাদেশের নাম নাকি ‘মুনজ্বালা’! আরেকটু হলেই ব্যাটার গলা টিপে ধরতাম। তখন সে বলে, তোমাদের দেশে অনেক বাঘ তাই না?’। আমি বলি, ‘ক্যান? আমারে দেখে বুঝো না? আমিই তো একটা বাঘ’। উল্লেখ্য ‘মুনজ্বালা’ অর্থ ‘বাঘের দেশ’। যাই হোক সে দিন চিরতা খাবার পর থেকে চাইনিজদের চা-চু হতে বেশ ভয়ে ভয়ে আছি ক’দিন ধরেই।
তরপরও একটা কথা আছে না? “স্বভাব যায়না ম’লে।” একদিন চিরতা খেয়েছি বলে কি আর পরীক্ষা নিরীক্ষা থেমে থাকবে নাকি? তাই আজ বুকে সাহস নিয়ে এক ক্যান জেসমিন টি কিনেই ফেললাম। খেতে কেমন লাগলো সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মত শব্দ খুঁজে পাচ্ছিনা। তবে হ্যাঁ। আমার শৈশবের স্মৃতির সাথে প্রতারণা করেনি এই অভিজ্ঞতা। হঠাৎ করে মনে হল গলা দিয়ে নেমে গেল একরাশ শৈশব। সেই দোলন চাপা, আর সেই কামিনী! চায়ের সুবাস যে এমন হৃদয়গ্রাহী হতে পারে, কে জানত? স্বাদটাও মন কাড়া।
তাই যাদের সুযোগ আছে জেসমিন টি খাবার তারা আর দেরী নয়। শিগ্গিরি সংগ্রহ করুণ আপনার পাশের দোকান থেকে। আর যাদের রেডিমেড জেসমিনটী পাবার সুযোগ নেই তাদের জন্য লেখার বাকি অংশটুকু। মানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জেসমিনটী বানানোর একটা এক্সপেরিমেন্টাল সেট-আপ উল্লেখ করব এখন। আমার কয়েকজন বন্ধু অন্তত এটা চেষ্টা করবে সেটা আমি জানি। তো শুরু করলাম-
উপকরণ-
সবুজ চা, (নরমাল চা দিয়ে চেষ্টা করা যেতে পারে অবশ্য)
ফুলবতী কামিনী গাছ,
চিনি,
পানি
যন্ত্রপাতি-
থার্মোমিটার, (অন্তত ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সাপোর্ট করে। বা ২০০ ডিগ্রি ফারেণহাইট সাপোর্ট করে এমন)
চা বানানোর পাত্র।
ছাঁকনি,
চা চামচ,
বুনসেন বার্ণার। (অথবা চুলা, হিটার, ওভেন, গরম করার যা কিছু আছে)
প্রক্রিয়া-
১. সবুজ চা কে জেসমিন টী তে পরিণত করণ-
কামিনী ফুল সন্ধ্যায় ফোটে আর সকালেই ঝরে যায়। ফুলের সুবাস সবচেয়ে বেশি থাকে ফোটার পরপরই। এ সময়ই গাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করতে হবে। তারপর শুকনা সবুজ চায়ের পাতার সাথে, ফুলগুলো আলগা ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। যাতে ফুলের সুবাস চায়ের মধ্যে চলে যায়। এভাবে রাখতে হবে চার ঘন্টা। মানে ফুল ফোটার পরে চায়ের সাথে মিশিয়ে সকালে আবার ফুল গুলো বেছে আলাদা করে ফেললেই হবে। এভাবে দুএক দিন করলেই চায়ের মধ্যে কামিনীর সুবাস চলে আসবে। তবে সব চেয়ে ভালো রেসাল্ট পাওয়া যাবে যদি পরপর ৭ দিন এ প্রকৃয়া চালানো হয়। ফ্লেভার ট্রান্সফারের পরে ফুল/ফুলের পাপড়ি গুলো সরিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন!
২. পানীয় প্রস্তুত করণ-
এই অংশটা বেশ সুক্ষ। মানে যাকে বলে ‘ডেলিকেট’। সবুজ চা খাওয়ার অভিজ্ঞতা যাদের হয়েছে তাদের প্রায় আশি শতাংশেরই অভিজ্ঞতা তেমন ভালো না। কারণ সবুজ চা বানানো শুধু আর্টই না, রীতিমত সুক্ষ বিজ্ঞান! পানির তাপমাত্রা হতে হবে ঠিক আশি থেকে বিরাশি ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বা প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। থার্মো মিটার দিয়ে এই তাপমাত্রা দেখে নিতে হবে। তাপমাত্রা এর চেয়ে বেশি হলে চায়ের ‘ট্যানিন’ পানির মধ্যে চলে যাবে। চা হয়ে যাবে তিক্ত। শুনেছি এই ট্যানিনই মহাশয়ই সেই বস্তু যার কারণে রেডওয়াইন তিতা লাগে। এমনি চা আমরা পানিতে দিয়ে ইচ্ছা মত ফুটাই। কারন সেগুলো কারখানায় প্রিপ্রোসেস করা হয়। সে সময়ই ট্যানিন এর ব্যাপারটা ট্যাকেল দিয়ে দেয় ওরা। কিন্তু সবুজ চা হচ্ছে চায়ের ডাইরেক্ট শুকনা পাতা। তাই একটু এদিক ওদিক হলেই চা হয়ে যেতে পারে চিরতা! তো সবুজ চায়ের বদলে আমরা আমাদের প্রস্তুতকৃত জেসমিন টি ছেড়ে দিবো সেই অপটিমাল তাপমাত্রার পানিতে। এক কাপ চায়ের জন্য এক চা চামচ পাতা। ভিজিয়ে রাখতে হবে চার মিনিট। এর পর পাতা ছাঁকনি দিয়ে ছেকে ফেলতে হবে। নইলে তিতা হয়ে যেতে পারে।
৩. পরিবেশন-
এরপর ইচ্ছা মতো চিনি দিয়ে পরিবেশন করুণ। সবুজ চা টগবগিয়ে ফুটিয়ে ফুটিয়ে জিহবা পুড়িয়ে খাওয়ার নিয়ম নেই। কামিনী চায়েরও সেই একই নিয়ম। চাইতো ফ্রীজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে পারেন। আইসড টী জিনিশটা দারুণ।
৪. (অতি আগ্রহীদের জন্য) থার্মমিটার ছাড়াই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের টিপ্স্-
আপনার যদি পদার্থবিজ্ঞান পড়া থাকে তাহলে নিজেই তাপমাত্রা ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আনার অনেক উপায় বের করতে পারবেন, থার্মো মিটার ছাড়াই। যেমন, বাসার ফ্রীজের একটি আইস কিউবের আয়তন বের করুন। এরপর আপনি যতটুকু কামিনী চা বানাতে চান, ততটুকু ফুটন্ত পানি নিন পাত্রে। পাত্রটি চুলা বা হীটার থেকে নামিয়ে সাধারণ স্থানে রাখুন। আগে থেকেই হিসাব করে রাখুন জিরো ডিগ্রি সেলসিয়াসের কয়টি আইস কিউব আপনার প্রয়োজনিয় পানির মধ্যে সম্পূর্ণ রুপে গলতে দিলে তাপমাতারা ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। আইস কিউব পূর্ণ গুনিতক রাখার জন্য ফুটন্ত পানির পরিমান ক্যালিব্রেট করুন। হিসাব টা না পারলে আপনার ছোটো ভাই-বোন বা সন্তান সন্ততি যারা নাইন-টেনে পড়ছে তাদের দিয়ে হিসাব করিয়ে নিন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় এই সুবাদে বেসিক থার্মোডাইনামিক্সে যদি আবার চোখ বুলিয়ে নেন। সত্যি বলছি। কামিনী চায়ের জন্য এটুকু করলে ঠকবেন না।
পরিশিষ্ট-
মূল লক্ষ্য হলো, আদা চা, লেবু চা এর মত করে, চায়ে কামিনীর গন্ধ নিয়ে আসা। স্বাদ গুবলেট করে না ফেলে সেটা যদি করতে পারেন তাহলেই চলবে। তাই চা আর কামিনী ফুল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষায় নেমে যেতে পারেন। হয়তো এর চেয়ে সহজ এবং শর্টকাট কোনো বুদ্ধি বের করে ফেলবেন আপিনিই। তবে বলে রাখি শুকনা ফুল দিয়ে হবে না। বকুল, গোলাপ, এদের দিয়েও চেষ্টা করতে পারেন।
তথ্য সূত্র- উইকিহাউ এবং গুগল করলে আরো যা যা পেজ আসে সেসব
মন্তব্য
প্রথম প্যারা পড়ার পরের অনুভূতিঃ
শিশুদের 'স্পর্শ' থেকে দূরে রাখুন
শেষ পর্যন্ত পড়ার পরের অনুভূতিঃ
বাজারে রেডিমেড জেসমিন টি পাওয়া যায়, দামটাও কম আর জেসমিন টি গরম ও খাওয়া যায় কিন্তু
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হা হা হা!
পাওয়া গেলে দ্বিতীয় অংশ আপনার জন্য প্রযোজ্য না।
ইয়ে, শাহেনশা ভাই। আপনার ডীপির এই আপু কি আপনি?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চশমা'র পাওয়ার বাড়াও আর অতীতের গান-বাজনার ভিডিও দ্যাখো। জিম মরিসনের লুক-অ্যালাইক চিন্তে পারবা।
তার আগে পোলাদের মাঝে নারীত্ব খোঁজার প্রচেষ্টা বাদ্দেও
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ববকাট বিউটি লাগছে।
আমার এক বান্ধবির চেহারা প্রায় এরকমই। চশমাটাও এক! আমি ভাবলাম আপনার বুঝি কিছু হয়। নাইলে তার ছবি ডীপিতে! এখন দেখি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমিও চা খেতে মারাত্বক পছন্দ করি।
এর্ল গ্রে খেয়ে দেখতে পারেন যদি ল্যাভেন্ডার ভাল লাগে।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
দেখতে হবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই রকম বিজ্ঞান মনষ্ক পোস্ট আরো চাই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ঠিকাছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
"সুন্দর কিছু দেখলেই মনে হয় কচকচ করে খেয়ে ফেলি" - আপনার "অনুরণ গোলক" বাইর কইরা ফেললে খবর আছে!
রেসিপি পড়তে ভালো লাগলো, কিন্তু বেশ জটিলও। বানায় খাওয়াইতে চাইলে রাজি আছি!
"Life happens while we are busy planning it"
আসলে সবুজ চায়ের জন্য জটিল হয়ে গেছে ব্যাপারটা। সবুজ চা ঠিক মত বানাতে পারা যাইতাই কথা না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কামিনী চা তৈরী তো দেখি কুটিরশিল্প জাতীয় একটা ব্যাপার। তাও আবার একবার প্রক্রিয়াজাত করনের পর (সবুজ চা হবার পর)। (যদিও আমার তো তেমন আহামরী কিছু বলে মনে হয়নি।)। যাক আপানার পছন্দ হয় জেনে ভাল লাগল।
বাংলাদেশের লোকজন তো দেখলাম চা খাওয়া প্রচুর বাড়িয়ে দিয়েছে। পত্রিকায় দেখলাম আমাদের দেশের উৎপন্ন চায়ের ৯০% ই দেশে ব্যাবহার করা হয় এখন। (মাত্র ১০% রপ্তানী হয়, যা এক দশক আগের হিসাবের ঠিক উল্টো)
চায়ের স্বাদের ব্যাপারে আমার একটা মজার অভিজ্ঞতা আছে। একবার এক ভদ্রলোক একটা স্পেশাল জিনিস খাওয়ানোর জন্য আমন্ত্রণ করেছিল। খাওয়াদাওয়ার পর (আমি বোঝতে পারছিলাম না বিশেষ জিনিসটা কী) চা খাওয়ার পালা। যখন চা খাচ্ছিলাম, উনি খুব মন দিয়ে দেখছিলেন। খাবার পর জানতে চাইল, 'কেমন লাগল'? (আমি আসলে সাধারন খাবার পর চা হিসাবেই খেয়েছি, কোন বিশেষ কিছু মনে হয়নি।) পরে উনি ব্যাখ্যা করলেন... হ্যান্ড পিক্ড অরেঞ্জ পিকো, অর্থডোক্স মেশিনে প্রসেস করা...... ৪০০০ রূপি কেজি...।
আরে! আপনার ডিসপ্লে পিকচারটাইতো 'দুটিপাতা একটি কুড়ি' !!
কামিনী চা সেইরকম পছন্দ হয়েছে!
খাইসে এত দামি চা যে আছে তার গুজব শুনেছিলাম আগে। এখন বাস্তব একজনকে পাওয়া গেল সাক্ষী।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ও আইচ্ছা ! আমাদের স্পর্শ তাইলে জেসমিন টি'র গবেষণা করতে দেশ ছাড়ছে ! ভালো, ভালো ।
তাই তো বলি, ছেলেটা হাসলে এমন গালে টোল পড়ে কেন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অ্যাঁ টোল পড়াপড়ির সাথে জেসমিন টি! ক্যাম্নেকি?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
জেনমিন টি'র আরেক নাম 'কামিনী চা' না ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই চা তো দেখছি খালিবাড়িতে খালি গায়ে কোনো খালিগা সুন্দরীর সাথে মিলেমিশে প্রস্তুত করার জিনিস!
ঠিক্কইছেন
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আসলেই! চুম্বন পূর্ববর্তী পানীয় হতে পারে এই কামিনী চা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেহাডা পইড়া কীরাম য্যান লাগ্লো। ... অহনো কিলিয়ার আইবার পার্লাম না।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
কেমন লাগলো?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
যত্ন করে চা বানিয়ে খাওয়া ব্যাপারটাই আজকাল এতো কম চোখে পড়ে যে এই লেখা পড়ে প্রচুর আরাম পেলাম। আপনি অবশ্য যত্নের ঠাকুদ্দা করেছেন, এতোদূর ভাবাই যায় না! কয়েকটা কথা:
আমেরিকাতে জেসমিন টি কিনতে পাওয়া যায়, দেশেও হয়তো যায়। কলকাতায় পার্ক স্ট্রীটের চিনে রেস্তোরাঁয় খাবারের সাথে দিতো, খেয়ে ভালোই লেগেছিলো।
আমেরিকায় আমি দু ধরনের জেসমিন টি দেখেছি। আমেরিকান গ্রসারির চা'গুলোতে অনেক সময়ই জেসমিন ছাড়া আর সব কিছুর গন্ধ থাকে। তার চেয়ে চিনা / ভিয়েতনামি দোকানের জুঁইফুল চায়ে সত্যি জুঁইফুলের গন্ধ পাবেন। আপনি পাপড়ি ফেলে দিতে বলেছেন, এই চায়ে কিন্তু পাপড়ি থাকে। টাটকা কামিনীর পাপড়িতে অবশ্য অনেক বেশি গন্ধ থাকবে, সে ক্ষেত্রে তাদের এসেন্সিয়াল তেল খানিকটা চায়ে মিশলেই কাজ হয়ে যাবে বলেই মনে হয়, কাজেই ফেলে দিলেও খোশবুর অভাব হবে না বলেই মনে হয়।
চা ফোটানোর ব্যাপারটা সিটিসি চায়েই করা উচিত, পাতা চা ফোটালে তার গন্ধটাই চলে যায়। বাঙালি ছাড়া চা ভিজিয়ে খাওয়ার ব্যাপারটা ভারতীয়দের মধ্যে কমন নয়। উত্তর ভারতে "মালাই চায়ে" বলে সে জিনিসটা বানানো হয় তাতে স্নেহময় দুধে সিটিসি চা দিয়ে ফোটানো হয় চিনি গোটা ছোটো এলাচ তেজপাতা ইত্যাদি সমেত। সেটা স্বাদু গরম পানীয় হলেও তাকে চা বলতে আমার আপত্তি আছে। তবে উত্তরের লস্যিটা আমাদের চেয়ে ভালো হয়। তার ফর্মুলাটা দিয়ে দিই, বানিয়ে দেখতে পারেন।
দই, ফ্যাটযুক্ত
দুধ (রাইস/সয়ামিল্ক বাদে যেটা খুশি): দইয়ের এক-তৃতীয়াংশ
চিনি, "সোয়াদ অনুসার"
গোলাপ জল: গ্লাসে এক চামচ মতো
বরফের কিউব (গ্লাস প্রতি একখানা দিলেই হয়)
মিক্সিতে সব কিছু দিয়ে ফেটালেই তৈরি। দেশি দোকানে আমের পাল্প টিনে পাওয়া যায়, সস্তা মোটামুটি ও খুবই সুস্বাদু। সেটা দিলে ম্যাংগো লস্যি হয়ে যায়।
আহ! আমার প্রিয় পানীয়। ঋষিকেশে যেটা খেয়েছিলাম তাতে যদ্দুর মনে হয় ভাং জাতীয় কিছু মিশিয়েছিলো! আমি অবশ্যি আমাদের চকবাজারের নুরানী'র লস্যিকেই এগিয়ে রাখবো- যাকে আমরা ঢাকাইয়া ভাষায় বলি লাসসি (এন্ড/অর) লাচ্ছি!
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ম্যাঙ্গো পাল্প না দিয়ে, যদি একটা চকলেট বার ভেতরে ছেড়ে দিই তাহলে চকলেট লাচ্ছি ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
নিশ্চয়ই, যেমন উচ্ছেবাটা মেশালে উচ্ছেলস্যি হবে।
ম্যাঙ্গো টি পাওয়াযায় এখানে দেখেছি। এখনো চেষ্টা করে দেখা হয়নি। আপনার রেসিপিটা ট্রাই দিবো!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বিয়াফক আনন্দ পেলুম পোস্টখানা পড়ে, জেসমিন চায়ের মতই সুপেয় হয়েছে। তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় কাশ্মিরি চা, যেমন ফ্লেভার, তেমনি স্বাদ, আরে সাথে পেশতা বাদাম সহ রকমারি মশলা থাকায় প্রতি চুমুকে আমার ইয়ের মত অসাধারন অনুভূতি হয়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হা হা হা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাই চা খাবেনতো জাপান আসেন, এরা যে কতোরকম চা খায় ইয়াত্তা নাই.....আপেল চা, কমলা চা আর সবুজ চা, নীল চা, লাল চাতো আছেই....ঠান্ডা না গরম, ক্যান না বোতল, এখন খাবেন না পরে...
ভেজা নক্ষত্র
কে যেন একবার লিখেছিলো। জানালা দিয়ে দুইচারটা পাতা ছিঁড়ে নিয়ে এসে চা বানিয়ে দেয় ওরা!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনেকটা তাই, আর যা তা খায় বলেই শ বছর বাঁচে।
চা এর উপরেই বেঁচে আছি, আর লাচ্ছি ভাল লাগতো, বিউটির লাচ্ছি
বিউটি লাচ্ছি নাকি বোরহানি?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লাচ্ছি । নাজিমুদ্দিন রোডে অথবা নাজারিবাজারে দোকানটা।
ক্যান, গ্রিণ টি বানায়ে তাতে একটু পারফিউম ছিটায়ে দিলে হবে না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হবে, তবে খাওয়া কি যাবে?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি অবশ্য একেবারেই চা খাই না৷ তবে রজনীগন্ধা-চা করলে হবে না? কিম্বা হাসনুহানা-চা?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হতে পারে, তবে এডিবল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। চিনেরা তো সবকিছুই ট্রাই দিয়েছে মনে হয়!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
- দারুণ রেসিপি। কামিনী ফুলের গন্ধ পাইনা বহুবছর হয়। ছোট বেলায় পেতাম, ঘরের সামনেই একটা গাছ ছিলো। কখনো সতেজ কামিনী ফুল পেলে রেসিপি কাজে লাগানো যাবে। তার আগ পর্যন্ত জাপানি সবুজ চা, ক্যামেলিয়া কিংবা পেপারমিন্স জিন্দাবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছোটো বেলার পরে অনেক দিন কামিনীর ঘ্রাণ পাইনি আমিও। গত বৃক্ষ মেলায় একটা গাছ কিনে বারান্দায় রেখেছিলাম। দারুণ ফুল ফুটেছিলো। কামিনী আর হাসনাহেনা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চা একটা খাবার জিনিস?
এই অখাদ্য মানুষ কীকরে খায়?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বলেন কি!! নিশ্চই সবুজ চায়ের প্রস্তুত প্রনালীতে ভুন্ডূল হয়েছে কিছু।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাই, আপনার কথাই ঠিক,,,চা খাবার জিনিস না ওটা পানীয় আর মানুষতো খায়না পান করে।
ভেজা নক্ষত্র
প্রথম তিন প্যারা স্পর্শীয়। তারপরে বাকিটা ঐনকিদিক!
চা-রে বিজ্ঞান বানায়া আপনেও রসায়নাগারে নিয়ে গ্যালেন!
বৈজ্ঞানিকদের কবল থেকে আমাদের মতো লে-ম্যান-দেরকে কে যে বাঁচাবে!
কামিনী-চা খাইছি, রেডিমেড, ব্র্যাক-ইন-এ। সৌন্দর্য।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কুত্তে-'কামিনী', ম্যায় তেরা 'চা' পিয়ুঙ্গা!
ছোটবেলায় একটা কামিনী গাছের পাশে বাসা ছিল আমাদের। কি চমৎকার সুগন্ধ! তবে চা মনে হয় খেতে পারব না।
মনে পড়ে গেলো এক বন্ধুর হুজুগে অ্যাস্টারিক্স কমিক্স গিলেছিলাম কিছুদিন। তখন ঝলসানো বনবরাহ (wild boar) খেতে ইচ্ছে হতো খুব।
চায়ের ভীষণ নেশা আমার। তবে নিজের হাতের চা খেতে পারি না। আমার হাতের তৈরি সাধারণ চা ই বিষতুল্য। কামিনী চা করার সাহস পাই কোত্থেকে?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আহাহাহাহা..মনটা যে কেমন আনচান করছে এখন কামিনী চা এর জন্য..এম্নিতেই আমি চা-পাগল ছেলে(বাসায় সবসময় ৪/৫ জাতের চা রাখি,যখন যেটা মন চায় খাই!) তার উপর এমন বর্ণনা...আহাহাহাহা...!
বি:দ্র: এতো ঝামেলা না করে আলমাস সুপার শপ থেকে জেসমিন টি-ব্যাগ এর প্যাকেট কিনে নেওয়াটাই কি ভালো হবেনা?
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
নতুন মন্তব্য করুন