সুবর্ণভূমে

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: শুক্র, ০৫/০৩/২০১০ - ১:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘আপনিও কি সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন?’, অবশেষে প্রশ্নটা করেই ফেললাম। মেয়েটা মনে হয় শুনতে পায়নি। অবশ্য শুনতে না পেলেও দেখতে পেয়েছে। কান থেকে এয়ারপিস দুটো খুলে সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকালো আমার দিকে। ততক্ষণে আমি বেশ বিব্রত বোধ করছি। আর কিছুই কি মাথায় এলো না! গত দু-ঘন্টা ধরে ভাবনা চিন্তা করছি কী বলা যায় তাই নিয়ে। কোথায় যেন পড়েছিলাম যাত্রা পথে অপরিচিত সহযাত্রীকে তার গন্তব্য সংক্রান্ত প্রশ্ন করা এটিকেটের আইনে রীতিমত ফার্স্ট ডিগ্রি ক্রাইম। কিন্তু কী আর করা। আবারো ক্রাইমটা করতে হলো। তবে অবাক ব্যাপার। কোনো ফৌজদারি মামলা হলো না। মেয়েটা মিষ্টি করে হেসে বলল, ‘না, আমি যাচ্ছি জাপান। আপনি সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বুঝি?’ ততক্ষণে প্লেন ল্যান্ডিং গিয়ার নামিয়ে দিয়েছে। মৃদু ঝাকি বোঝা যাচ্ছে। শব্দও বেড়ে গেল বেশ। ক্যাপ্টেন আনাউন্স করল। আমরা থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি এয়ার্পোটে ল্যান্ড করতে চলেছি।

যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম, ঢাকা থেকে যশোর ফিরতে জার্নি ছিলো প্রায় ছ’ঘন্টার। কতবার মনে মনে চেয়েছি সুন্দরী, বা সুন্দরী না হোক অন্তত বন্ধুবৎসল, কোন তরুণী এসে বসুক পাশের সিটে। সে আশা কখনো পূরণ হয়নি। পরে একসময় বাসে উঠতাম অনেকটা বংলাদেশ ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে ম্যাচ দেখতে বসার মতো একটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে। সে অভ্যাসটাই রয়ে গেছে। এবার সিঙ্গাপুর ফেরার সময়ও তাই ও’চিন্তা ঘূর্ণাক্ষরেও মাথায় আসেনি। সঙ্গে হার্পার লী’র ‘টু কিল এ মকিং বার্ড’ বইটা রয়েছে। পুলিৎজার পাওয়া উপন্যাস। এর কাহিনী নিয়ে বানানো মুভিও অস্কার পেয়েছে। প্লেনে উঠে হ্যান্ডলাগেজ বাঙ্কারে পুরেই আমি ডুব দিয়েছি সেটাতে। তবে ডুব দিয়েই হাবুডুবু খাচ্ছি। প্রথম চ্যাপ্টারটা বেশ কনফিউজিং। অন্তত বিশজন ক্যারেকটার আর আরো বিশটা যায়গার নাম, কে কই থাকে, কী করে, কী খায় টাইপের বিবরণ দিয়ে গল্প শুরু। ট্র্যাক রাখাই মুশকিল। তবে আমি ছাড়ার পাত্র না। কচ্ছপের মত কামড়ে ধরে আছি। তবে সঙ্গত কারণে কামড় একটু ঢিলা করা লাগল। নারী কন্ঠের ‘এক্সকিউজ মি’ তে। বইয়ের দিকে তাকিয়ে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে আমি একটা হোচট খেলাম। সীটবেল্ট। সাদার মধ্যে কালো চেক শার্ট আর কালো জিন্স পরা মেয়েটা গিয়ে বসল আমার আর জানালার মাঝের সিটটাতে।

বইয়ের মধ্যে কালপুর্ণিয়া নামক এক মহিলা ততক্ষণে রান্না-বান্না শুরু করেছে। আমি তার হাড়িপাতিলে আবারও জোরেশোরে কচ্ছপ-কামড় দিলাম। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাবার ফ্লাইং টাইম চার ঘন্টার কিছু বেশি। তবে মাঝে ট্রানজিটে ঘন্টা তিনেক অপেক্ষা করতে হবে। বাকি সব বই মেইন লাগেজে। এই সাত ঘন্টা হাতের এই বইই সম্বল। কামড় ঢিলা করার তাই কোনো উপায় নেই। সবে তখন গল্পের একটা আবছা ছবি ফুটে উঠতে শুরু করেছে। প্লেনটাও গড়াতে শুরু করেছে টার্মিনাল থেকে রানওয়ের দিকে। চোখের কোন দিয়ে খেয়াল করলাম সহযাত্রীও একটা বই বের করে পড়তে শুরু করেছে। ‘উতল হাওয়া’, তসলিমা নাসরিন। বই পড়ে, এমন মানুষের প্রতি আমি সব সময় বেশ আগ্রহ বোধ করি। ভালো করে খেয়াল করলাম এবার। বিশ-একুশ বছর বয়সের তরুণী। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। চুল দীঘল, রেশমি। ঝুঁকে বই পড়ছে। কিছু চুল এসে পড়ছে বইয়ের উপর। চুলের ব্যান্ডটা খুলে পরা ডান হাতে। বা হাতের নিচে ভাঁজ করে রাখা একটা লেদার জ্যাকেট।

এরপর প্লেনে খাওয়াদাওয়া শুরু হলো। পানি-পানীয়দেরও আনাগোনা হলো বেশ। কয়েকবার ভাবলাম টুকটাক আলাপচারিতা শুরু করি। কিন্তু কী বলব ভেবেই পেলাম না। বই নিয়ে কিছু বলা যায়। কিন্তু ‘উতল হাওয়া’ পড়া নেই। যেটা পড়া আছে সেটা হলো ‘মাতাল হাওয়া’, হুমায়ুন আহমেদের। ততক্ষণে হাতের বইটা একটু একটু টানতে শুরু করেছে। তবে তার চেয়ে পাশের সহযাত্রী টানছে একটু বেশি। ছোটো বেলায় সবচেয়ে অপছন্দের সাবজেক্ট ছিলো সামাজিক বিজ্ঞান। এই বিষয়ের সাথে ‘বিজ্ঞান’ শব্দটা ব্যবহার করাটা কত বড় ব্লাসফেমি হয়েছে সেটা ছিলো একটা বিরাট আক্ষেপের বিষয়। তার প্রতিশোধ নিতেই বুঝি ‘সামাজিক দেবতা’ আমাকে সামাজিকতা ব্যাপারটা শেখাননি। এখন তার ক্রুর হাসি দেখতে পাচ্ছি যেন। প্লেন তখন থাইল্যান্ড পৌছে গেছে প্রায়। দু’ঘন্টার যাত্রা শেষের পথে। যারা থাইল্যান্ডে যেতে চায় বিমানবালারা এসে তাদেরকে ইমিগ্রেশন কার্ড দিয়ে গেলো। সহযাত্রী নিলো না। বুঝলাম, সেও আমার মত ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার।

‘কয়েকদিনের ঝটিকা সফর শেষে ফিরে যাচ্ছি সিঙ্গাপুরে’, বললাম আমি।
‘ঝটিকা কেন?’
‘এক সপ্তাহের বেশি ছুটি পেলামনা যে!’
‘আমি অবশ্য এসেছিলাম ডিসেম্বর চারে। এখন আবার যাচ্ছি ফিরে।’
‘কেমন লাগে ও’দেশে থাকতে?’
‘তা প্রায় বছর চারেক তো হয়েই গেল। অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে এক রকম। ভালো লাগে না অবশ্য।’
‘আমি সিঙ্গাপুরে আছি এই মাস চারেক। উম, না। এক্সাক্ট হিসাবে পাঁচ মাসের চেয়ে এক সপ্তাহ কম। খারাপ লাগে খুব। আপনি ওখানে এতদিন আছেন কীভাবে?’ বাঙ্কার থেকে ব্যাগ নামাতে নামাতে জিজ্ঞেস করি আমি।
‘হাসবেন্ডের সাথে থাকি যে।’

প্লেনের দরজা খুলে গেছে। যাত্রীরা সব এগোতে শুরু করেছে আইল ধরে। একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করলাম। আমার আর মেয়েটার শার্টের চেক একই। আমারো কালো জিন্স। নিয়তি যেন একেবারে ম্যাচ করে কাকতালটা সাজিয়েছে। এক সুযোগে আইল ধরে এগোতে থাকলাম। সুবর্ণভূমি এয়ার্পোর্টটা সুন্দর। শুধু সুন্দর বললে অবশ্য কম বলা হয়ে যাবে। রীতিমত অসাধারণ। কিছুটা স্বপ্ন আর কিছুটা কল্পবিজ্ঞানের সাথে থাই হেরিটেজের এক দারুণ মিশেল। অবশ্য সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি এয়ারপোর্টের মতো অতটা এফিশিয়েন্ট না। সঠিক ডাইরেকশন খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যায় অনেক সময়। ট্রানজিটের জন্য টার্মিনালের কোন দিকে যেতে হবে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। খুঁজতে খুঁজতে যেখানে হাজির হয়েছি সেখানে মনে হয় ডমেস্টিক ফ্লাইটের ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু কোথাও লেখা নেই যে এটা ডমেস্টিক ফ্লাইট। সহযাত্রী মেয়েটিও দেখি সেখানে দাঁড়িয়ে। কিছুটা কনফিউজড। এগিয়ে গেলাম আমি।

‘এই এলাকা মনে হয় ডমেস্টিক ফ্লাইটের। দেখছেন না কেমন সব দেশি চেহারার লোকজন। বিদেশি নেই বললেই চলে।’
‘তাই তো মনে হচ্ছে। চলেন ওদিকে গিয়ে দেখি’।
এক দল বিদেশিকে হাটতে দেখে সেই দলের সাথে এগিয়ে যেতে থাকি আমরা।
‘আমার নেক্সট ফ্লাইট ঘন্টা তিনেক পরে। ট্রান্সফার যাত্রীদের ওয়েটিং এর ব্যবস্থা কোথায় কে জানে। এসব ব্যাপারে সিঙ্গাপুর সেরা। সব যায়গায় কোনো না কোনো দিকনির্দেশনা সিম্বল থাকবেই। আপনার ফ্লাইট কখন?’
‘আমার ফ্লাইট প্রায় আট ঘন্টা পরে। এতক্ষণ যে কী করব। কোনো ইন্টারনেট কিয়স্কও তো চোখে পড়ছে না। কোন গেটে যেতে হবে তারও ঠিক নেই। দাঁড়ান সামনের এনকয়েরিতে জিজ্ঞেস করি।’

এরপর এগিয়ে যায় সে। আমিও সঙ্গে এগুই। জানা যায় তার ফ্লাইটের জন্য এখনো কোনো গেট নির্ধারণ হয়নি। তবে আমার গেট সি ফাইভ। ওয়েটিং এর ব্যবস্থা তিন তলায়। দুজনে মিলে সেদিকে রওনা দেই।

থাই এয়ারপোর্টের এই ব্যাপারটা অদ্ভুত। মাজার বেল্টও খুলে দিতে হয় সিকিওরিটি চেকিংএর সময়। পাশে এক বাংলাদেশি যুবক কে বাংলায় হইচই করতে দেখি। সিকিওরিটির মহিলাটি নাকি টান দিয়ে শুধু তার বেল্টই না। জীপারও খুলে নিয়েছে। ইজ্জত এর নাকি কিছুই আর বাকি থাকলো না তার। আমাদের অবশ্য কোনো ঝামেলা হয় না।

সিকিউরিটি চেকিং পার হয়ে তিনতলায় ওঠার সময় মেয়েটা বলে, ‘আমি কিন্তু আপনার বেশ জুনিয়র হবো। কেবল বি বি এ পড়ছি।’
‘আমি বুয়েট থেকে পাশ করেছি তা বছর দুয়েক হতে চলল। কিন্তু আপনি যে বললেন জাপানে আছেন প্রায় চার বছর?’
‘প্রথম দুবছর ওদের ভাষার কোর্স করতে হলো যে।’
‘আপনার হাসবেন্ড কী ওখানে পি এইচ ডি স্টুডেন্ট? নাকি চাকরি?’
‘ও কাজ করে একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে’
‘কত দিন ধরে আছে সে জাপানে?’
‘আমার হাসবেন্ড তো জন্ম থেকেই জাপানে!’
‘মানে? বাংলাদেশি বংশদ্ভুত জাপানি?’
‘না। জাপানি বংশোদ্ভুত জাপানি। মানে একেবারে খাঁটি জাপানি আরকি’
‘ইন্টারেস্টিং ব্যাপার মনে হচ্ছে!’, আগ্রহ দেখাই আমি। ‘এত অল্প বয়সে বিয়ে করেছেন। তাতে মনে হচ্ছে পালিয়ে। আবার জাপানি ভদ্রলোকের সাথে পালাবেনই বা কী করে? দারুণ কোনো গল্প আছে নিশ্চই। এবার তবে পেখম মেলুন’।

হেসে ওঠে মেয়েটা। তার দাঁত সুন্দর, খেয়াল করি আমি। হাতের ব্যান্ড খুলে চুল গুলো আটকে ফেলে সে। হাটতে হাটতে প্রায় সি ফাইভ গেটের কাছেই চলে এসেছি আমরা। এখানেই আমার বোর্ডিং হবার কথা। ১৮৪৫ আওয়ারে। চলমান ট্রাভেলেটরের(চলমান রাস্তা) শেষ মাথায় পোউছে গেছি তখন। একটা যান্ত্রিক কন্ঠ আনাউন্স করে যাচ্ছে ‘আটেনশন প্লিজ, এন্ড অফ দ্য ওয়াক ওয়ে’। ট্রাভেলেটর থেকে নেমে পড়ি।

‘আসলে তেমন মজার কোনো গল্প না। অনেকটা হুঠ করেই হয়ে গেল বিয়েটা। মা তখন পি এইচ ডি করছিলো জাপানে। এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ করে আমি গিয়েছিলাম তার কাছে বেড়াতে। এক সময় কীভাবে কীভাবে যেন ওখানকার একটা ইউনিভার্সিটিতে ফুল-ফ্রী স্কলারশীপও পেয়ে গেলাম। মা বলল, থেকে যা। ব্যাস, থেকে গেলাম। তখন আমার দু’ভাইও জাপানেই থাকতো।’

‘আর বিয়ে?’
‘বিয়ের ব্যাপারটাও অমনই। তখন সিডর হলো বাংলাদেশে। আমরা একটা চ্যারিটি প্রোগ্রাম করেছিলাম। সেই অনুষ্ঠানে নেচেছিলাম আমি। আমার হাসবেন্ড যে, সে গাইলো। সেখানেই প্রথম দেখা’
‘ইউরেকা! আর প্রথম দেখাতেই প্রেম।’, বলেই একটা দাঁত কেলানো হাসি দিই আমি।
‘নাহ্‌। ওসব নাটকীয় ব্যাপার স্যাপার নেই। তবে ছেলেটা হয়তো পছন্দই করেছিলো আমাকে। পরে এক সময় মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে ওরা’
‘আপনার মা রাজি হলো?’
‘এ দেশেই তো পড়াশুনা করব। থাকতে হবে অনেক দিন। মাও তাই রাজী হয়ে গেল’
‘আর আপনি? আমার ছোটো বোনদের তো আগামী পাঁচ বছরও বিয়ের কথা বললে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসবে। চাই কি দু-চারটা নারীবাদি বইও লিখে বসতে পারে’
‘উম, আসলে আমাদের তো বাবা নেই। মা কে আমরা কষ্ট দিতে চাই না কেউ। সে কিছু বললে তাই রাজি হয়ে যাই।’

সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্টের এ’দিকের টার্মিনালটা ইউ শেপড একটা টিউবের মত যেন। পুরো টিউবটা কাঁচের ছোটো ছোটো ডোম দিয়ে ঢাকা। যাকে বলে গ্লাস এন্ড স্টীল এর স্ট্রাকচার। ফ্লোর গুলোতে হাটার সময় কখনো মনে হবে না যে আপনি একটা বিল্ডিঙ্গের মধ্যে। অনেকটা যেন তিনতলা ব্রীজ। ডোমটা ব্রীজকে ঘিরে রাখে অনেক দূর দিয়ে। চারিদিকে প্রচুর ফুলবতী অর্কিড। কখনো বাঁশ বা কাঠের কোনো স্ট্রাকচার ওদের সংস্কৃতির চিহ্ন বহন করছে। তাল গাছও চোখে পড়ে এই ব্রীজ এর উপরই। নাম না জানা আরো অনেক কিছু। ব্রীজের কিনারা ঘেসে সার ধরে রাখা চেয়ার। এগুলোতেই যাত্রীরা অপেক্ষা করে। বোর্ডিং গেটএ ঢোকার আগ পর্যন্ত। সেরকম দুটো চেয়ারেই ঠাই হয়েছে আমাদের। সূর্য হেলে আসছে। ডোমের বাইরে বিমানগুলোর আনাগোনা নজরে পড়ে। নজরে পড়ে কার্গো ওঠানামা আর মেইন্টেন্যান্স ক্রুদের ছুটোছুটি।
Suvarnabhumi
‘সিঙ্গাপুরে অবশ্য ওরা বিয়ে করতে চায় না সহজে। হয়তো সারাজীবন এক সাথেই থাকবে। কিন্তু বিয়ে? উহু। জাপানেওতো তেমনই হবার কথা। উন্নত দেশ। তার উপর একই টাইপ। এশিয়ান’, বলি আমি।
‘হুম, সেরকমই। তবে আমার হাসবেন্ডদের পরিবারের বন্ডটা একটু বেশি। এমনিতে তো অন্যরা বয়স আঠারো হলেই বাড়ি ছেড়ে যায়। ওরা অমনটা করেনি।’
‘বাড়ি ছেড়ে যায় নাকি? আমি তো ভাবতাম চীনা আর জাপানিরা পারিবারিক ব্যাপারগুলো ধরেই রেখেছে।’
‘নাহ, জাপানিরা ওয়েস্টার্নদের রীতিমত অন্ধ অনুকরণ করে। এমনিতে বাইরের লোকদের তেমন পাত্তা দিতে চায় না। কিন্তু আপনি আমেরিকান হলেই শুরু করবে হুজুর হুজুর’
‘ওখানে বন্ধু নেই আপনার?’
‘আছে তো। তবে কোথায় যেন একটা বাধা কাজ করে। ওদের মধ্যেই। ব্যাপারটা ঠিক স্বতস্ফুর্ত না।’
‘আর আপনার হাজবেন্ড? আচ্ছা নাম কী ভদ্রলোকের?’
‘ওর নাম জুন। মে, জুন, জুলাই এর জুন। একে তো ভাষার গ্যাপ। তার উপর ওর সাথে দেখাই হয়না মাঝে মাঝে। দুজনেরই অফিস থাকে। কখনো দেখা যাবে ওর অফিস সারাদিন। আমার অফিস সারারাত। দিনের পর দিন।’
‘আপনার অফিস কেন? স্কলারশিপ?’
‘বিয়ের পরে ওই ইউনিভার্সিটিতে আর পড়া হয়নি। জুনের চাকরি অন্য শহরে। সেখানে পড়ার খরচ চালাতে নিজেই কাজ করি।’
‘এখন কোন শহরে থাকেন?’
‘হিরোশিমা।’
‘বাহ, একেবারে হিরোশিমা! কেমন ও শহরটা?’
‘টোকিওর মতো না। এমনিতে বড় শহর। তবে মানুষগুলো কেমন যেন। আত্মকেন্দ্রিক। মানে নিজেরা নিজেরা হয়তো মিশবে কিন্তু ভিনদেশিদের সাথে মিশতে পারে না। পুরো জাপানেই এমন। অবশ্য টোকিওতে হয়ত একটু অন্যরকম হবে। সিঙ্গাপুরে?’
‘সিঙ্গাপুর এদিক দিয়ে ভালো। ট্রু কসমোপলিটান বলা যেতে পারে। যেকোনো যায়গায় জনাত্রিশেক মানুষের জটলা মানেই অন্তত দশটা ভিন্য দেশ/কালচারের মানুষ থাকবে। আর ওরা বিদেশিদের বিদেশি মনে করে না। অন্তত আচার আচরনে কখনোই প্রকাশ পাবে না। আমাদের দেশেই তো বিদেশি কেউ এসে পড়লে আমরা ভীড় জমিয়ে ফেলি। ইউরোপেও শুনেছি ওরা অন্য কিছু না করলেও। মৃদু ভ্রুকুঞ্চন নাকি লক্ষ করা যায়। সিঙ্গাপুরে ওসব নেই। সব নরমাল। দেশি হোন কিংবা বিদেশি। তবে হ্যা। মানুষ গুলো রোবটিক। সারাক্ষণ কাজ আর কাজ। এত সুন্দর শহর, পার্ক, বেঞ্চ। কিন্তু কোথাও কেউ বসে নেই।’
‘জাপানেও এমনই। হিরোশিমা শহরটাই ধরেন। ইট, কাঠ, বালির, শহর। তার মধ্যে রোবটিক সব মানুষ।’
‘সিঙ্গাপুর শহরটা কিন্তু খুব সুন্দর। ইট-কাট-বালির আগে যেটা চোখ পড়বে সেটা হলো সবুজ। চারিদিকে শুধু গাছ আর গাছ। প্রতিটা রাস্তা যেন একেকটা পার্ক। প্রতিটা ফুটওভার যেন একেকটা ফুলদানি। এটাই মনে হয় গ্রীনেস্ট সিটি অন আর্থ। আর আছে হেরন। ছোটো ছোটো সাদা বক। মাঠে চড়ে বেড়ায়। ঘাসের বীজ/পোকা ওসব খায়। আর সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো। কোকিল আছে। সারাবছরই তারা ডাকাটাকি করে। তবে কোনো কাক নেই। আর আমাদের ঢাকার কথা ভাবুন।’
‘আসলেই ঢাকার কথা ভাবলে কষ্ট হয়। কোথায় থাকতেন আপনি’
‘আমি, মিরপুরে। আপনি?’
‘ধানমন্ডি। তবে আমাদের দেশটাও কিন্তু সুন্দর। এবার ছুটিতে এসে সেন্ট মার্টিন গেলাম। এত সুন্দর। পানি বালি আর জোছনার মিশেল। জাপান যাবার আগে কখনো যাইনি। গেলে হয়তো ওদেশে যেতামই না। দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছা হয় খুব। মা আর ভাইরা আমাকে ওখানে রেখে ফিরে এসেছে।’
‘গত পরশুদিনও জানেন পূর্ণিমা ছিলো।’
‘তাই নাকি? অনেক বড় চাঁদ দেখলাম আকাশে।’

এবার আমরা কিছুক্ষণ চুপ হয়ে যাই। স্মৃতির সেইসব চাঁদ আর জোছনারাই হয়তো একটু নীরবতা দাবি করে। বন্ধুদের কথা মনে পড়ে। ভরা পূর্ণিমায় ছাঁদে টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখলাম। এত আলোয় তেমন বোঝা যাচ্ছিলোনা ডিটেইল। জোছনা। সিঙ্গাপুরে এত কিছু সুন্দর হলেও এখানে জোছনা নেই। শত শত বাতি জ্বলে রাত হলেই। আকাশ হলদে হয়ে থাকে সারা রাত। তারাদের ঠিকুজি মেলেনা। চাঁদকে মলিন মুখে আকাশে উকি দিতে দেখা যায় মাঝে মাঝে। তার টানে জোয়ার ভাটাও হয় এখানে। তবে মানুষকে সে টানে না।

‘আপনার পড়ার কতদুর?’
‘কেবল এক বছর হলো।’
‘এক বছর কেন? আছেনতো প্রায় চার বছর’
‘প্রথম দুবছর ওদের ভাষা শিখলাম। কানজি।’
‘কানজিতে শুনেছি প্রতিটা শব্দ আলাদা আলাদা ছবির মত মনে রাখতে হয়?’
‘হ্যা। আর ওদের প্রতিটা সিম্বলের সঙ্গেই একটা গল্প আছে। ওগুলো শুধু কোনো শব্দ না। একেকটার একেক রকম ইতিহাস।’
‘বাব্বাহ, এই জিনিস শিখে ফেলেছেন! আমি সহজ বাংলা বানানই মনে রাখতে পারিনা। তার উপর যদি এতসব ইতিহাস মনে রাখা লাগতো তাহলেই আমি শেষ।’
‘পুরোপুরি তো শিখতে পারিনি। এখনো ভাসা ভাসা। কাজ চালিয়ে নিতে পারি কোনো রকমে’
‘চাইনিজদের ম্যান্ডারিনও তো এমনই। আমার ল্যাবের চাইনিজ বন্ধুটিকে একবার বললাম আমার নামটা চাইনিজ ভাষায় লিখে দিতে। সে বলে সেটা নাকি সম্ভব না। আমার নামের কোনো সিম্বল কেউ বানিয়ে দিলে কেবল মাত্র তখন তারা সেটা লিখতে পারবে। মানে আমি যদি খুনও করে ফেলি। খবরের কাগজে আমার নাম ছাপাতে পারবে না। হা হা হা’
‘জাপানিরা অবশ্য কাতাকানা নামের আরেকটা রাইটিং সিস্টেম ব্যাবহার করে। বিদেশি ভাষার শব্দ লেখার জন্য। ওটাতে বানান করার উপায় আছে। চীনাদের এমন কিছু আছে কিনা জানিনা।’

কথা এভাবেই এগুতে থাকে। সে তার অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড যাবার ইচ্ছা জানায়। আমি ইউরোপ। ফ্রান্স-জার্মানি। সূর্যটা হেলে পড়তে থাকে। বেলা শেষের আলো সূবর্ণভুমির সেই কাঁচের দেয়াল ভেদ করে ভাসিয়ে নিতে থাকে ভিতরটা। মেয়েটা তার চুলের ব্যান্ড খুলে ফেলে। সেগুলো আবার ঝর-ঝর করে ছড়িয়ে যেতে থাকে। হলদে আলোয় অদ্ভুত দেখায়। এক সময় আমি বলি,
‘আপনার চুলগুলো কিন্তু জাপানিদের মতই। এমন কি আগে থেকেই, নাকি জাপান গিয়ে কিছু করেছেন?’
‘আগে থেকেই আমি কেমন যেন জাপানিদের মত। দেখেন না। নাকও কেমন বোঁচা’
‘হ্যা জাপানি একটা ভাব আছে’, হাসতে হাসতে বলি আমি। ‘তবে নাক বোঁচা না। আর আপনার চোখ বাঙালী’
চশমাটা খুলে ভাজ করে গলার কাছে ঝুলিয়ে দেয় সে। বলে, ‘আপনি তো চলে যাবেন একটু পরেই। আমাকে আরো প্রায় ছ’ঘন্টা থাকতে হবে। কী যে করব।’
‘কেন বই আছেতো কাছে। বই পড়বেন।’
‘এই বইটা তেমন একটা টানছে না।’
‘গল্পের বই আনতেন সঙ্গে। হুমায়ুন আহমেদ। টানাটানির গ্যারান্টিসহ বই।’
‘ওরে বাবা। আমি আসলে গল্পের বই তেমন পড়ি না। শুধু তসলিমা নাসরিনের বইগুলো মোটামুটি সব পড়া। দুয়েকটা বাদে।’
‘সেরেছে। মুশকিলে পড়বেন কিন্তু।’
‘কেন তসলিমার সমস্যা কী?’
‘না সমস্যা নেই। তবে তার সব ধারণাতো তার নিজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। সবার জীবনতো এক রকম না। অন্যদেরগুলোও দেখা উচিত। যেমন তার হাসবেন্ড ছিলো রুদ্র। ঐযে ‘ভালোই আছি ভালো থেকো’ গানটার লেখক। শুধু তসলিমার বই পড়ে রুদ্রকে জানলে একটা পশু মনে হতে পারে তাকে। এদিকে আমি তার কবিতার দারুণ ফ্যান।’
‘কবিতা পড়েন বুঝি?’
‘না তেমন কোনো নিয়মিত কাব্যানুরাগী আমি না। তবে মাঝে মাঝে কিছু কবিতা ভালো লেগে যায়। কিছু কবিকেও ভালো লেগে যায়। যেমন রুদ্রকে ভালো লেগেছিলো তার কবিতার একটা লাইন শুনেই। এ কেমন ভ্রান্তি আমার? এলে মনে হয়, দূরে সরে আছো, বহুদূরে... দারুণ না?’
‘আসলেই দারুণ’
‘অনেকে বলে তসলিমার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়েই বেচারা মারা পড়ল। কবি মানুষ তো। অনুভুতিগুলো কেমনে কাজ করে কে জানে। দেখেন দেখেন। সূর্যটা। দারুণ না?’

সূর্যটা তখন অস্ত যাই যাই করছে। পুরো একটা হলদে গোলক যেন। আসে পাশের আকাশটাকে রাঙিয়ে দিচ্ছে। সুবর্ণভূমির প্রতিটা কাচের দেয়ালে সেই রঙ। আসে পাশের মানুষ। সাদা মেঝে। বিমানের ফিউজিলাজ। সবাই তখন একই রঙে সাজছে যেন। হঠাৎ মেয়েটার একটা দীর্ঘ্যশ্বাস কানে আসে। সে বলে,
‘এই যে দেখেন। আমরা দুজন অপরিচিত মানুষ। নিজ দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে এখানে বসে আছি। তারপরো এই সূর্যাস্ত দেখে আমাদের অনুভুতিগুলো কতটা এক রকম। জাপানিরা এমন না। জুন হয়ত সূর্যাস্ত দেখবে। এটা ওর কাছে যাস্ট আরেকটা গুরুত্বহীন ঘটনা’
মেয়েটার জন্য মায়া হয়। জীবনের শুরুতেই কোন ভিনদেশে গিয়ে পড়েছে। বলি,
‘সূর্যাস্তের এই ব্যাপারটা বেশ মজার। ধরেন আপনার সমুদ্র দেখতে ইচ্ছা হলো। কিন্তু চাইলেই পাচ্ছেন কোথায়? কিন্তু প্রতিদিনই চাইলে শেষ বিকালে পশ্চিমের জানালা খুলে সূর্যাস্ত দেখে নেওয়া যায়। সে তার সব রঙ-রূপ নিয়ে ওখানে আসবেই। চাই শুধু দেখে নেওয়ার অবকাশ।’
‘আসলেই, দেখেন কী অদ্ভুত রঙ হয়েছে!’
‘এই রঙের একটা চমৎকার ইংরেজী নাম আছে। এমেথিস্ট। কোনো একটা ইংরেজী কবিতা পড়তে গিয়ে শিখেছি। এইতো আর পাঁচ মিনিট। দেখবেন এর মধ্যেই সব শেষ। ক্ষণস্থায়ী বলেই ব্যাপারটা এত সুন্দর।’
একসময় সূর্যটা লাল টকটকে তপ্ত লোহার রঙ নেয়। এমেথিস্ট মিলিয়ে যেতে থাকে। মেয়েটা বলে,
‘ওই দেখেন ঘড়িতে ১৮৪৫। আপনার সময় হয়ে গেল’
বোর্ডিং পাসটা মিলিয়ে নিই আমি। ১৮৪৫ই লেখা।
‘হায় হায়। তাইতো দেখছি। এবার দৌড় দিব’ বলতে বলতে ব্যস্ত ভাবে উঠে দাঁড়াই।
‘আপনার সাথে পরিচয় হলো না’
‘ঠিকুজি হয়তো নেওয়া হলোনা। পরিচয় কিন্তু হলই এক রকম। এরপর যতবার সুবর্ণভূমে আসব। আপনাকে মনে পড়বে।’
‘আপনাকেও মনে পড়বে।’
ব্যাকপ্যাকটা কাঁধে আর ল্যাপটপের ব্যাগটা হাতে নিয়ে এক দোউড়ে উঠেপড়ি আমি সিকি মাইল দীর্ঘ্য একটা ট্রাভেলটর এর উপর। দ্রুত পায়ে হাটতে থাকি। সূর্যটা ততক্ষণে ক্ষীণ একটা চিলতে হয়ে গেছে। আলো জ্বলে উঠতে শুরু করেছে এদিকে ওদিকে। পিছন ফিরে একবার বিদায়ী হাত নাড়ি। হাত নাড়ে মেয়েটাও। একটা বিষাদ ভর করে যেন। এর সঙ্গে আর কখনো দেখা হবে না। জেমস জয়েসের সেই কবিতাটা মনে পড়ে...

The twilight turns from amethyst
To deep and deeper blue,
The lamp fills with a pale green glow
The trees of the avenue.

The old piano plays an air,
Sedate and slow and gay;
She bends upon the yellow keys,
Her head inclines this way.

Shy thought and grave wide eyes and hands
That wander as they list -- -
The twilight turns to darker blue
With lights of amethyst.


মন্তব্য

নাশতারান এর ছবি

অদ্ভুত একটা ভালো লাগা গন্ধ ছড়ানো পুরো লেখায়।
বিদঘুটে কিছু টাইপো আছে। লেখনী দিয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন সেটুকু।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্পর্শ এর ছবি

ভালো লেগেছে নাকি? তাইলে খুশি। হাসি

যতটা না টাইপো তারচে বেশি অজ্ঞতা। ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কনফুসিয়াস এর ছবি

বাহ, ছয় বছরের বাস জার্নির ক্ষতিপূরণ একবারেই মিটে গেছে আশা করি! হাসি
খুব চমৎকার লাগলো লেখাটা, পাঁচ তারা।
*
বইয়ের নামটা জানি না, তবে শব্দটা উতল হবার কথা, উতাল নয়। আর মাঝে কোথায় যেন পড়লাম "ভাষা ভাষা"... দন্ত্য স হবে।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

স্পর্শ এর ছবি

মিটলো আর কই। মন খারাপ
লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি। হাসি

*
ভাসিয়ে দিলাম দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নীল রোদ্দুর এর ছবি

প্রথম কথা, স্পর্শর ব্লগে ঢুকে দীর্ঘদিন ধরে কামিনী চা দেখতে দেখতে মনের ক্লান্তি না এলেও চোখের ক্লান্তি এসে গিয়েছিল। ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য এক চিলতে হাসি... হাসি

মেয়েটার বর্ণনার ভঙ্গি কথাশিল্পির লেখার চেয়ে সুন্দর... আপনার সংলাপ গুলো সেই তুলনায় ম্লান লাগছে পরপর।

মেয়েটার পরিচয় আমি জানিয়ে দিচ্ছি, নাম: সুকেশা (অথবা সুবচনা, অর্থটা মানায় ভালো), জনভূমি: বাংলাদেশ, মাতৃভাষা: বাংলা... হাসি.
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

স্পর্শ এর ছবি

পরিচয় তো খুঁজিনি। ব্যাপারটা আসলে এমেথিস্টের মতই। দ্রুত মিলিয়ে যায় বলেই ভালো লাগাটা থাকে।
কিন্তু একটা জিনিশ বুঝতে পারছি না। বর্ণনা ভঙ্গি লেখার চেয়ে সুন্দর হলো কেমনে। মানে লিখেলিখেই তো বর্ণিত হলো। :-/

চিলতে হাসির জন্য ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নীল রোদ্দুর এর ছবি

মানে ব্যাপারটা হল, সুকেশা আর কথক, দুইজন এখানে চরিত্র। আমি বুঝাতে চেয়েছি, সুকেশার সংলাপগুলো কথকের চেয়ে সুন্দর। কথকের সংলাপগুলো পড়লে মনে হচ্ছে, নিত্য আপনি যেভাবে কথা বলেন, সেরকমই। আসলে কমেন্টটা পজিটিভ নেগেটিভ দুইভাবেই দেখতে পারেন। সুকেশার সংলাপ যদি স্ট্যান্ডার্ড হয়, তাহলে কথকের সংলাপ সেই মাপের না। তবে সুকেশার সংলাপ স্ট্যান্ডার্ডের জন্য বেশী উঁচু।

পরিচয় খুঁজেছেন সেটা বলিনি, যেই পরিচয় আমি দিয়েছি, সেটার মানে হল, তার পরিচয় জানার দরকার নেই, মেয়েটি জন্মভূমি, মাতৃভাষা, গড়নে, বচনে স্বপরিচয়ে পরিচিত। তবে, সুকেশা নামটা আমার কাজে লাগলো, বারবার সেই মেয়েটি বলতে হলনা।

আমাকে কমেন্ট বুঝিয়ে বলতে হল। আমার কথা ঠিক বুঝতে পারেন না... :-/
কষ্ট পাইলাম। মন খারাপ
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

স্পর্শ এর ছবি

বুঝতে পেরেছি। আমি হঠাৎ নাটকীয় বাণী দিলে পরিচিতদের কানে লাগবে। কিন্তু মেয়েটার কথায় ঘষামাজা করা স্বাধীনতাটুকু আমার ছিলো। এই হল ব্যাখ্যা। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মামুন হক এর ছবি

মুগ্ধতা রাখার জায়গা পাচ্ছিনা।
স্পর্শের সাথে আরও অনেক বালিকার দহরম মহরম হোক, আমরাও এমন সুখপাঠ্য অনেক লেখা পাই।

স্পর্শ এর ছবি

আমিন, সুম্মামিন। হাসি
কিন্তু আপনার ত এমন ঘটনার ছড়াছড়ি। লিখেননা দুয়েকটা। আমরাও মুগ্ধতানিয়ে পড়ি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মামুন হক এর ছবি

আমি এখন হ্যাপিলি রিটায়ার্ড। পুরান কথাবার্তা মনে করিয়ে দিলটারে আর টায়ার্ড বানাইতে চাইনা হাসি

নৈষাদ এর ছবি

বাহ্‌। চমৎকার লাগল।

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

বোহেমিয়ান এর ছবি

জার্নি হলে এমনটাই হওয়া উচিত!! খাইছে
চমৎকার লাগলো, তরতর করে এগিয়েছে লেখাটা ।
ঘরকুনো এই আমি, অনেক কিছুই জানলাম ।
ভ্রমণকাহিনী পড়ার ভালো দিকগুলোর একটা ।
খারাপ দিক হচ্ছে যেতে ইচ্ছে করে!
যাব নিশ্চয়! কোন এক সময় !
চলুক
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

স্পর্শ এর ছবি

হায় হায়! ঘরকুনো লোকের নাম বোহেমিয়ান! তাইলে তো মুশকিল। বেড়িয়ে পড়েন তাড়াতাড়ি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কাকুল কায়েশ এর ছবি

মুগ্ধতা জাগানিয়া গল্প। কত কিছু আছে, কিন্তু কি যেন হারিয়ে গেল জাতীয় গল্প। দীর্ঘ হলেও একটানে পড়ে ফেলেছি। জোশশ্।

তবে মেয়েটা কেন জাপানী ছেলেকে বিয়ে করল এই ব্যাপারটা এখনো মানতে (বা বুঝতে) পারছিনা। এতই সোজা-সাপ্টা ব্যাপার?

======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

স্পর্শ এর ছবি

আমিও একটু অবাক হয়েছি। না জাপানি নাকি ইরানি বিয়ে করল সেটা ব্যাপার না। ব্যাপার হল বয়স।

আপনার যে অনুভুতিটা হয়েছে সেটাই লেখায় ধরতে চেয়েছি। নিজে পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো পুরোপুরি আসেনি। যাক, আপনার মন্তব্যে ভরসা হলো। অনেক ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুরঞ্জনা এর ছবি

কবিতার মান রেখেছেন।
মিলে মিশে গেলো লেখার সাথে।
.....................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

স্পর্শ এর ছবি

যাক্ আল্লাহ বাঁচাইছে।
'স্পেশাল' ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মুস্তাফিজ এর ছবি

পড়ে ভালো পাইছি।

...........................
Every Picture Tells a Story

স্পর্শ এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো খুব। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগ্লো। ভ্রমনকালীন সময়ে নিরাপত্তা, আরাম এবং সুন্দরীরা আপনার সংগী হোক। আমরাও চান্সে কিছু ভালো লেখা পড়ি। বানানগুলো একটু খেয়াল করে...
ভাষা ভাষা> ভাসা ভাসা
সাঁজিয়েছে> সাজিয়েছে
সাঁজছে> সাজছে

---- মনজুর এলাহী ----

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
ভাষাটা টাইপো ছিলো। কিন্তু চন্দ্রবিন্দুগুলো রীতিমতো অভ্র খুঁজে খুঁজে দিয়েছি। খাইছে
ঠিক করে নিচ্ছি। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কাকুল কায়েশ এর ছবি

কিন্তু চন্দ্রবিন্দুগুলো রীতিমতো অভ্র খুঁজে খুঁজে দিয়েছি।

খুব মজার কমেন্ট। হাসি হাসি হাসি

আমিও তাই করি সবসময়। আচ্ছা, কিবোর্ড থেকে ডাইরেক্ট চন্দ্রবিন্দু দেয়ার সিস্টেম আছে নাকি?

=====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অভ্র কীবোর্ডে? শিফট চেপে ৬ নম্বর বোতাম ওরফে & (আংরেজী কী বোর্ডে '^' চিহ্ন) বোতাম চেপে দেখেন তো!

আর যদি সচলে ফোনেটিকে টাইপান, তাহলে শিফট চেপে দুইবার n চাপলেই আগের অক্ষরের মাথায় চন্দ্রবিন্দু গিয়ে বসে যাবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কাকুল কায়েশ এর ছবি

চাঁপা মাঁরা চঁলিবে
কিঁন্তু চাঁপায় মাঁরা বিঁপজ্জনক।

আরে হচ্ছে তো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

=====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

রায়হান আবীর এর ছবি

একবার তো মনে হলো, মেয়েটাকে চিনি খাইছে পরে জামাই জাপানী-জাপানী দেখে ভুল ভাংগলো দেঁতো হাসি

লেখা অতীব চমৎকার।

স্পর্শ এর ছবি

কেন জামাই জাপানী হলে কি চেনা যাবে না?
তোমার লেখা কই??


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

অতি চমৎকার! খুব ভালো লাগলো!!
---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। বড় লেখাটা পড়ার জন্য। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

বর্ষা এর ছবি

অনেকদিন পর স্পর্শের লেখা। আচ্ছা, মেয়েটা কি সুখী না কি বোঝা গেলো না লেখা পড়ে আর ভালো করেছো তসলিমা নাসরিন এর লেখার সম্পর্কে এই কথা বলে। এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে ওনার লেখা পড়া উচিত নইলে জীবন সম্পর্কে একটা একপেশে বাজে ধারণা জাগে মনে।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

স্পর্শ এর ছবি

হা হা হা লেখার মধ্যে একটু জ্ঞান ঢুকিয়ে দিলাম আরকি। দেঁতো হাসি

হুম, হঠাৎ সাক্ষাতে তো সুখ দুঃখের আলাপ হয়না অতটা। বাচ্চা মেয়ে। দূর দেশ। জাপানি জামাই। ভাষা। এসব দিয়ে একটা হিসাব করেই নেওয়া যায়। তবে ওসব হিসাব করিনি। এই আরকি। হাসি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনুপ্রাস এর ছবি

ভ্রমনবিষয়ক ব্লগরব্লগর অসাধারণ লাগল। আর আমার একটু বেশি ভাল লাগার কারন আছে। আমি আর মেয়েটি একই শহরে থাকি খাইছে

স্পর্শ এর ছবি

খাইসে! তাইলে আপনি হয়তো চিনবেন। ইয়ে, মানে...
ওখানে নাকি এখনো তেজস্ক্রিয়তায় প্রবলেম হয়?? :-/


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

amar o valo laglo. karon ami o aki shohore thaki

স্পর্শ এর ছবি

বাহ্‌, একই শহরে তো অনেক বাঙালী থাকেন!
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তিথীডোর এর ছবি

প্রতি লাইনেই টাইপো থাকে থাকুক, তবু কম বিরতিতে নিয়মিত লিখুন!

লেখা যথারীতি স্পর্শ করে যাওয়া... হাসি

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ তিথীডোর।

টাইপো একটু ধরিয়ে দিলেই কিন্তু ঠিক করে ফেলি। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কবিতা মিলিয়ে অসাধারণ লাগলো। অনুভূতির খেলা।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফারুক হাসান এর ছবি

ওয়েল্কামব্যাক!

স্পর্শ এর ছবি

হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগল বেশ। দরদ দিয়ে বর্ণনা করেছেন আপনি। আর অনেক ধন্যবাদ এইজন্য যে এই লেখাকেও আবার টুকরো টুকরো করে দেন নি। হাসি

কৌস্তুভ

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্যের জন্য। হাসি
আমি আসলে টুকরো করে কিছু লিখিনা। হয় একবারে। নইলে নাই। টুকরো প্রোজেক্ট আমার কেন যেন হয়ে ওঠে না। কয়েকবার অনুবাদের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাবিহ ওমর এর ছবি

"কালো চেক শার্ট আর কালো জিন্স" -এটা পড়ে আমি রীতিমত আঁতকে উঠেছিলাম। কারণ গত ডিসেম্বরে সিঙ্গাপুর-টোকিও ফ্লাইটে আমার সহযাত্রি(নী) হুবুহু এই পোশাকেই ছিলেন এবং তিনিও ছিলেন সুকেশা! আমি তো ভাবতে শুরু করেছিলাম ইনিই তিনি। কিন্তু না, (আমারই দুর্ভাগ্য বা আপনার সুভাগ্য), আমার জন ছিলেন নিখাদ চাঙ্কুললনা, বাঙ্গালি না। সাত ঘণ্টার জার্নি শেষে যখন প্লেন টোকিও নামল, সহযাত্রিনীর সুকেশের গন্ধে আমি তখন আধমরা। এরা মাথায় কি দেয়?

স্পর্শ এর ছবি

তাহলে এটা মনে হয় জাপানের চলতি ফ্যাশন। সেই সহযাত্রীর সাথে কথা বলেননি? চুলের এক ধরনের 'স্পা' টাইপের কিছু করে শুনেছি পার্লারে। চিন্তিত সেখান থেকে সুবাস আনয়ন হয়।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারানা_শব্দ এর ছবি

এমন স্মৃতি-কাহিনী কেউ কেউ উপলব্ধি করতে পারলেও লিখতে হয়তো পারে না। এক টানে পড়লাম। লেখা যে ভালো হইসে এইটা তো তুমি নিজেই জানো! তাই জানা কথা আর জানালাম না। খাইছে

আমার কোন প্লেন জার্নিতেও যদি সুদর্শন, মুগ্ধকর কোন যুবকের দেখা পেতাম! হায়! মন খারাপ

কবিতা ভালো লাগলো। নতুন শব্দ শিখলুম- এমেথিস্ট......ধইন্যা পাতা!!

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

স্পর্শ এর ছবি

থেঙ্কু থেঙ্কু। হাসি
হবে হবে তোমারো হবে। অবশ্য সুন্দর ছেলে দেখলে তো তুমি ভয়ে কথাই বলতে পারবা না। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তারু, এমেথিস্ট শুধু একটা রঙ না, এক জাতের কোয়ার্টজ পাথরের নামও এমেথিস্ট। আমার ছোট্টবেলা কেটেছে এরকম চার আনার সাইজের এক এমেথিস্ট পাথরকে অতীন্দ্রীয় ক্ষমতার জোগান দিত পারে এমন এক জাদু পাথর বানিয়ে। দুই বোন [আমি এমেথিস্ট আর দোলা ওপাল] দুইটা পাথর নিয়ে জাদুমন্ত্র বানিয়ে বেশ ঘিড়িঙ্গিবাজী করতাম! দেঁতো হাসি

http://en.wikipedia.org/wiki/Amethist

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মুন [অতিথি] এর ছবি

খুব ই ভাল লাগল : )

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

বাহ, চমৎকার লাগলো লেখাটা।

তুমি কি গল্প-টল্প আর লিখবে না ঠিক করেছো নাকি?

স্পর্শ এর ছবি

আসলে এবার বই মেলা ঘুরে এসে আবার লেখার উতসাহ পেলাম। এখন গল্প মাথায় এলেই লিখে ফেলব। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তানভীর এর ছবি

সুন্দর লেখা।

শুরুতে যেমন একটু উত্তেজনার আভাস পাচ্ছিলাম; ‘হাসবেন্ডের সাথে থাকি যে।’- লাইনে এসে তাতে সব জল ঢেলে দিলো। তবে আমাদের হয়তো সেজন্যেই গল্পটা শোনালেন হাসি । বেটার লাক নেক্সট টাইম চোখ টিপি

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ।
কিছুটা জল তো পড়েছেই ওখানে। তবে সব মিলিয়ে ভালোই কাটলো বিকেলটা। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

আশায় থাকি!! ভবিষ্যতে বিদেশে যাবো, আর তখন এইরকম কারো পাশে বসতে পারবো!!
প্রতিবার বুয়েট বন্ধ হলে ঢাকা-চিটাং যাই, আর বাইছা বাইছা দু'জনের সিটে একটা সিঙ্গেল টিকেট কাটি, কিন্তু, আফসুস!!
সর্বোচ্চ সৌভাগ্য যেটা হইছিল, এক ভদ্রলোক পাশে বসছিলেন, যার দুই কন্যা, তাও তারা সহযাত্রী না, তারা বাসায়!!

লেখা বড়ই উমদা হইছে। হাসি
সূর্যাস্তের ঐ সময়টা আসলেই অসাধারণ।

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

সর্বোচ্চ সৌভাগ্য যেটা হইছিল, এক ভদ্রলোক পাশে বসছিলেন, যার দুই কন্যা, তাও তারা সহযাত্রী না, তারা বাসায়!!

হা হা। দারুণ মজার কমেন্ট। আর বাকি সময়ে কি পাশে কেবল নববিবাহিত যুবকেরাই বসে তাদের নবলব্ধ সৌভাগ্যের গল্প শোনাতে শোনাতে গেছে? খাইছে

কৌস্তুভ

অতিথি লেখক এর ছবি

নব্য সৌভাগ্যবানরা তো যান এসি কোচে চড়ে!! তারা পাশাপাশি বসে, একজনের কাঁধে আরেকজন মাথা রেখে রোমান্টিকতা ছড়াতে ছড়াতে যান!! আমাদের গল্প শোনানোর সময় তাদের কোথায়!! অ্যাঁ
বেশিরভাগ সময় যেটা হয়, কোন বয়:বৃদ্ধ পাশে বসেন, কিংবা, আমারই মত কোন হতভাগা বসে। দুইজনে ঘুমাইতে ঘুমাইতে যাই গা!! মন খারাপ

আপনের অবস্থা কি?? চোখ টিপি ;)
সৌভাগ্য হইছে কখনো?? চোখ টিপি

- মুক্ত বয়ান

স্পর্শ এর ছবি

হবে হবে আপনারও হবে। তবে আশায় থাকলে হবে না। যেদিন আশাটা ছাড়তে পারবেন সেদিন হবে। হাসি
আমি কিন্তু লক্ষণ দেখেই সেয়ানা কন্যার পিতা-মাতাদের চিনতে পারি। আমাদের মত যুবাপুরুষদের প্রতি তাদের চাহনিই থাকে আলাদা। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনের থেইকা টিপস নিতে হইবে!!! চোখ টিপি ;)

- মুক্ত বয়ান

ওডিন এর ছবি

আমি কিন্তু লক্ষণ দেখেই সেয়ানা কন্যার পিতা-মাতাদের চিনতে পারি। আমাদের মত যুবাপুরুষদের প্রতি তাদের চাহনিই থাকে আলাদা।

এক্কেবারে নির্ভুল লক্ষনবিচার! দেঁতো হাসি

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

টিনা এর ছবি

ভাই মুক্ত বয়ান,স্পর্শ আমার কাহিনীটা একটু শোনেন।আমিও প্রতিবার ডাবল সীটে সিংগেল টিকেট করি।আগের দিন রাতে তিন বার আয়তাল কুরসি পরে ফু দেই পাশে যেনো কেউ না বসে।ফু বাতাসে চলে যায়।
একেকবার একেক জিনিস বসে।এরা কেউ বুয়েট মেডিকেলের ডাক্তার ইনজিনিয়ার হয় না।একবার তো স্যান্ডো গেঞ্জি পরা এক লোক বসে সারা রাস্তা নাটক দেখে চিৎকার করে হাসতে থাকল।

আরেকবার খুব হ্যান্ডসাম একটা ছেলে বসলো।কিছুক্ষন কথা বলার জন্য উশখুস করে ঘুমায় গেলো।ব্যাটা ঘুমাবি ঘুমা।ঘুমায় আমার গায়ের উপর এসে পরা শুরু করলো।হিন্দি সিনেমায় এ অবস্থায় নায়ক নায়িকার প্রেম হয়ে যায়।আমার কিছু হইলো না।ভলভোর কাচ ভেঙ্গে লাফায় পরতে ইচ্ছা করলো!

আমার গ্র্যাডুয়েশন করে সব চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর বাসে করে কোথাও যাওয়া লাগবে না।বিদেশ গেলে প্লেনে নিশ্চয় এতো খারাপ অবস্থা হবে না।

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে মানে, আগের রাতে আয়তাল কুসরি পড়ার বদলে যদি ছোট্টো করে এদিকে একটা খবর দিয়ে রাখতেন সিট নাম্বার সহ, তাহলেই কিন্তু সব ল্যাঠা চুকিয়ে ফেলা যেত। দেঁতো হাসি
তবে গায়ের উপর এসে পড়া ব্যাটা মনে হয় আসলে বাঁদরামি করেছে। চিন্তিত

আর আপনার জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে প্লেনের ইকনমি ক্লাসের সীটগুলো ভলভো বা অন্য লাক্সারীবাসের চেয়ে অনেক বেশি চিপা। ইয়ে, মানে... খাওয়াদাওয়ার সময় কুনুইতে ঠোকাঠুকি লাগবেই।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে, মানে.. কি যে বলি? কিভাবে যে বলি??..
স্পর্ষ ভাইয়া তো বলেই দিলেন কি করতে হবে.. ভবিষ্যতে একটু ভেবে দেখবেন আর্কি.. হাসি
[বড়ই শরমিন্দা হ্ওয়ার ইমো হবে!!! :-p]

- মুক্ত বয়ান

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে, মানে.. কি যে বলি? কিভাবে যে বলি??..
স্পর্ষ ভাইয়া তো বলেই দিলেন কি করতে হবে.. ভবিষ্যতে একটু ভেবে দেখবেন আর্কি.. হাসি
[বড়ই শরমিন্দা হ্ওয়ার ইমো হবে!!! :-p]

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

‘সামাজিক দেবতা’ আমাকে সামাজিকতা ব্যাপারটা শেখাননি।

গল্পটা শেষ পর্যন্ত পড়ে মনে হল লেখক একজন ডাহা মিথ্যেবাদী। চোখ টিপি দেঁতো হাসি

লেখাটা "লেখক" করে গেল। হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্পর্শ এর ছবি

কই সামাজিকতা আর শিখলাম কই? মন খারাপ কিছুই তো হলো না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মৃত্তিকা এর ছবি

অনেকদিন পর পর লেখা দিলেও তা ক্ষমা করে দেয়া যায় লেখা যদি হয় এরকম সুন্দর। খুব ভালো লেগেছে। বর্ণনা, আলাপ সবকিছু পর্যাপ্ত লেগেছে। আবেগের বাড়াবাড়ি নেই, ঠিক ক্ষণিকের একটি ঘটনার সুন্দর প্রকাশ।
চলুক চলুক
ভালো থাকুন।

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে খুব। পরিমিতি ঠিকঠাক করতে অনেক চিন্তা করতে হলো। শেষমেষ মূল ঘটনাটাই লিখে দিয়েছি। ভালো লেগেছে জেনে খুশি। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তোমার সব লেখাই আমার জানিনা কেন ভালোলাগে এই দাবী করে এসেছি চিরটা কাল! কিন্তু স্পর্শ ডিয়ার, এই লেখাটাতে আমি তোমাকে খুঁজে পেলাম না। মনে হলো এটা আমাদের জন্য লেখা, তোমার নিজের জন্যে না... তোমার সারল্য কোথায় গেলো?... আমি দুঃখিত, তবে হতে পারে এটা শুধু আমারই আউলা মাথার বাউলা কথা! আমার হেজিমোনিতে কান দিওনা! দেঁতো হাসি

-------
সুখী হও!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্পর্শ এর ছবি

ওহে দুষ্ট বালিকা, পরনারীর চুল-নখ-দন্তের প্রশংসা শুনলে মাঝে মাঝে এটা হয় চোখ টিপি

তবে হ্যাঁ। যেভাবে লিখতে চেয়েছিলাম সেভাবে ঠিক পারিনি শেষমেষ। পড়ার জন্য থ্যাঙ্কু। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

জনাব, তুমি আমার নর হলে নাহয় পরনারীর কথাটা সত্যি হলেও হতে পারতো... এটাতো সেই কেইস না... দেঁতো হাসি

যাহোক ব্যাপার্না...আমি নষ্ট মাথার দুষ্ট বালিকা, কী বলতে কী বলে ফেলেছি... দেঁতো হাসি খাইছে

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

অনেকদিন পর স্পর্শের লেখা পড়লাম।
খুব ভাল লাগল। কোথায় যেন ভীষণ ছুঁয়ে গেল।

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দিতা। লেখাটা আপনাকে ছুঁয়েছে জেনে ভালো লাগলো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জি.এম.তানিম এর ছবি

বিশাল পোস্ট হলেও পড়া গেল একবারেই। ভালো লেগেছে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

স্পর্শ এর ছবি

হাসি
থ্যাঙ্কু।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বেশ ভালো লেগেছে বলন ভঙ্গি। চলুক

মাঝে অবশ্য হারিয়ে যাচ্ছিলাম কথোপকথনে। কোনটা কার কথা, ধরতে বেগ পেতে হচ্ছিলো কিছুটা। দু'জনের বলা কথার মাঝখানে একটু ফাকা জায়গা রাখলে হয়তো এই সমস্যাটায় পড়তাম না!

মেয়েটার মধ্যে এক ধরণের বিষাদের উপস্থিতি টের পেলাম। বাবা নেই বলে, মাকে কষ্ট না দিতে চাওয়ার কারণে বিয়ে করতে হলো এমন একজনকে যে মেয়েটার নিজের মতো করে সূর্যাস্তও দেখতে জানে না! হয়তো বৃষ্টিও অনুভব করতে চায় না। কিংবা সকালের এক ফালি মিষ্টো রোদ যখন গাছের মগডালে ঝিলমিল করে ওঠে, তখনও সেদিকে তাকানোর ফুরসৎ পায় না। অথচ মেয়েটি এইগুলো সব দেখে। তার কক্সবাজারের অব্যবস্থাপনার সৈকত ভালো লাগে। সুবর্ণভূমে বিমানবন্দরের কনে দেখা আলোয় একই রকম করে এ্যামেথিস্টকে ধারণ করা কোনো যুবকের সান্নিধ্যে মেয়েটি হয়তো তার জীবনের করা সবচেয়ে বড় ভুলটা চোখের সামনে দেখতে পায়। কিন্তু ফেরার উপায় নেই। ভুল শোধরানোরও উপায় নেই। তার সামনে কেবল একটাই পথ খোলা— বিষাদ নাটকের প্রতিটা দৃশ্যে হাসিমুখে অভিনয় করে যাওয়া! এবং তাকে সেটাই করে যেতে হবে, তার মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে, তার না ফেরা পথের দিকে তাকিয়ে।

আমি হয়তো আপনার জায়গায় হলে ফ্লাইট মিস করতাম। জীবনে একাধিকবার ফ্লাইট মিস করার অভিজ্ঞতা আছে। হলোই নাহয় আরেকবার মিস। কী আছে জীবনে! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

প্লেন মিস করার কথা যে মাথায় আসেনি তা না। আর হ্যা, শেষ মুহুর্তে মেয়েটা মনে করিয়ে না দিলে প্লেন হয়তো মিস হয়েই যেত।

মন্তব্যটা খুব সুন্দর করে করেছেন। এত এত লাইন লিখে আসলে এই কথাটুকুই বলতে চেয়েছিলাম।

আর এই ডায়লগের কে কোন জন এইটা নিয়ে আবছায়া সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলাম আমি নিজেও। যাক, শেষমেষ টেনেটুনে উৎরে গেল।
অনেক ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দুগো'দা খ্রাপ। দুগো'দা লুল খাইছে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

অনেকদিন পর একটা স্মৃতিকথা এভাবে ছুঁয়ে গেলো .... মুগ্ধের মতো পড়লাম ... হয়তো নিজে জাপানে থাকি বলে জাপানের সাথে সামহাউ রিলেটেড এই লেখাটি বেশী ভালো লেগেছে, অথবা হয়তো লেখকের বাচনভঙ্গি ... যেটাই হোক, ভালো লাগাটা জানালাম

মেয়েটির কথাবার্তায় এক ধরনের মেলানকোলি টের পেলাম ... বাস্তবেও কি এটা ছিলো, নাকি লেখকের অনুমানের ফলাফল হিসেবে এটা উঠে আসলো -- সেই কৌতুহলটা থেকে গেলো
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

স্পর্শ এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে খুব।

হুম বাস্তবেও ছিলো এই টোনটা। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সবজান্তা এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ সবজান্তা। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সবজান্তা এর ছবি

আচ্ছা আরেকটা প্রশ্ন মাথায় আসলো। প্লিজ কিছু মনে টনে কইরেন না...

ইয়ে মানে, কোন এক আড্ডায় আপনি বলছিলেন, আপনি কবিতা বিশেষ পড়েন টড়েন না... এখন দেখতেসি জয়েসের কবিতার উদ্ধৃতি দিতেসেন...

আপনি তো ভাই ব্যাপক বিনয়ী লোক, নাম পাল্টায়া বিনয় মজুমদার রাইখা ফ্যালেন চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

স্পর্শ এর ছবি

আরে নাহ্‌, আসল কথা হলো জয়েসের কবিতা জানিই মাত্র ওই একটাই। অনেকটা 'যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া'র মত ব্যাপার। মিলে গেলে ঐ একটা দুইটা দিয়েই টেনে নিই। আগে রবিবাবুদের উপন্যাস পড়ার সময় মনে হতো, 'ঘটনা কী, কথায় কথায় মানুষের কবিতা মনে পড়ে নাকি!' এখন বুঝি, প্রভাবকের কল্যানে ভাঙ্গাচোরা মাথাও অনেক কিছু মনে করতে পারে। হাসি

আর কবিতা পড়া সম্পর্কে

না তেমন কোনো নিয়মিত কাব্যানুরাগী আমি না। তবে মাঝে মাঝে কিছু কবিতা ভালো লেগে যায়। কিছু কবিকেও ভালো লেগে যায়।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই লোকটা যে ক্যাম্নে এতো অলস হৈসে ...

মিয়া, আপনের মত লিক্তারলে দিনে একটা কইরা পোস্ট দিতাম...

জলদি আরেকটি পাঁচতারা দাগানোর মতন পোস্ট চাই- হেজিমোণি চইলতো ন...

আর ইয়ে, বর্ণনা পড়ে প্রীতি জিনতার কথা মনে পড়লো ক্যান জানি... খাইছে

_________________________________________

সেরিওজা

স্পর্শ এর ছবি

জলদি যদি আবার এমন কিছু ঘটে তবেই না পোস্ট হবে। মন খারাপ
তারার জন্য থ্যাঙ্কু। আর হ্যা, প্রীতি জিনতার কথা মনে করা ঠিক আছে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারানা_শব্দ এর ছবি

ভিরু, ছবিতে যে একটা মেয়ের কোলে একটা ছেলে কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছে...ঐটা কি তুমি ছিলা? চোখ টিপি

আর ছাইকা কে ধইন্যা পাতা...বিশাল গেয়ান অর্জন করলাম!! দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

স্পর্শ এর ছবি

তুমি কি আগের দিন প্রথমালুর গল্পটা পড়নি? ব্লগে 'হিট খাইসি ৪১০' এর মত ছদ্দ নাম ব্যহার করতে হয়। খাইছে ভিরু ছাইখা ওসব এখানে অচল।

আমার তো মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে ছবির তিনটা ছেলেই আসলে আমি। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ওডিন এর ছবি

অনেকদিন পর লিখলেন ভাই। অপেক্ষায় থাকলাম। আর সুহানের কথা কোট করে বলি- আপনার মতো লিখতে পারলে দিনে না- ঘন্টায় একটা করে পোস্ট দিতাম! হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

স্পর্শ এর ছবি

আপনি আর সুহান, দুজনেই এইসব চাপাবাজি বন্ধ করে লিখতে বসেন তো! আপনাদের লেখা পেলেই পাঁচতারা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি রীতিমত।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বহুদিন পর লিখলা। এবং নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলা, বরাবরের মতোই। ভীষণ মুগ্ধতাজাগানিয়া একটা লেখা। পড়ার সময় বারবার মনে হচ্ছিল যেন লেখাটা না ফুরিয়ে যায়। সবকিছু মিলায়া ভীষণ ভালো লাগলো। হাসি

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি
আমার নিজেরও মনে হচ্ছিলো সময়গুলো যেন ফুরিয়ে না যায়। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনিকেত এর ছবি

স্পর্শ,
এই রকম একটা লেখায় তারা দেবার জন্যে এক রাতের আকাশ যথেষ্ট নয়!
তোমার লেখনী ক্ষমতার সাথে অপরিচিত নই। কিন্তু তুমি এত দেরী করে করে লেখা দাও যে প্রতিটাবার লেখা পড়েই মনে আফসোসটা ফেরৎ আসে---এই ছেলেটা আরো বেশি বেশি কেন লেখে না?

তোমার লেখার ভক্ত ছিলাম আগে।
এখন আমি মহাভক্ত!

শুভেচ্ছা নিরন্তর!

স্পর্শ এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ অনিকেত দা। হাসি

তবে এভাবে বললে এক্সপেকটেশনের চাপে ভেঙে পড়ার দশা হয় কিন্তু ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষজন তো সবই বলে ফেলল, আর কি বলব! একটাই বলি- ভাল্লাগছে।

আচ্ছা একটা বোকা প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে- এত বড় বড় লেখা কি সবাই এখানে লিখে দেয়, নাকি আগেই ওয়ার্ডে টাইপ করে কপি করে দেয়? আমি একটা এইভাবে দিছিলাম, ক্যান জানি আসে নাই।

ফারাবী

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ ফারাবী!

প্রথমে ওয়ার্ডেই টাইপ করে নিই। অভ্র ব্যবহার করি আমি। আপনি চাইলে ডাইরেক্ট টাইপও করতে পারেন। তবে পোস্ট করার আগে সেভ করে নিবেন সেটা ওয়ার্ড বা টেক্সট ফাইলে। নাহলে অনেক সময় হারাতে হতে পারে লেখা।
লিখতে থাকুন দুহাত খুলে। শুভকামনা রইলো। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চাংকি এর ছবি

বাডি, অসাধারণ লেখা হইছে!! লেখাটা পড়তে পড়তে সুবর্ণভূম এ আমার এক্সপেরিয়েন্স এর কথা মনে পড়ে গেল!! (তখন অবশ্য রাত্রি ছিল, তাই এক্সপেরিয়েন্সটাও একটু অন্য রকম ছিল। ঃপি )

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্কু বাডি। তুই তো ০০৭, প্রাইভেটে বলিস ডিটেইল চোখ টিপি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

যান। সেঞ্চুরি কইরা দিলাম। দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্বপ্নাহত এর ছবি

অনেক দিন পর স্পর্শীয় লেখা পড়লাম একখান। প্রাণ জুড়ায় গেল হাসি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ স্বপ্নাহত। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কি বলব, লেখাটা পড়ে মুগ্ধ হয়ে শব্দ হারিয়ে মাথা চুল্কাচ্ছি, আর আসলে আমার ভান্ডারে ভালো শব্দের বড়ই অভাব, তাই খালি এটুকু বলে যাই, লেখাটা অসাধারণ শব্দটাকে রি-ডিফাইন করে। আর কথোপকথন পড়ে মনে হচ্ছিল একদম পাশের সিটে বসে কেউ গল্প করছে, আর সেটা একদম স্পর্শ করে যাচ্ছে, লেখাটা পড়তে এত দেরী হওয়া ব্যাপক শরমিন্দা বোধ করছি।

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সাইফ ভাই। লেখাটা ছুঁয়েছে জেনে ভালো লাগছে খুব। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ ক'দিন ধরে পড়ব পড়ব করে পড়া হয়ে উঠছিলো না। আজকে পড়লাম। আমি দুষ্টু বালিকার সাথে একমত। আপনি খালি মেয়েটার কথাই বলে গেলেন। আমার কেন জানি মনে হয় আপনি ফ্লাইট মিস করে থেকে যেতেন, এমনকি মেয়েটা মনে করিয়ে দেওয়ার পরেও। শুধু পারিপার্শ্বিকতার বিচারে করেননি। এবং নিজের মধ্যেকার আজন্ম লালিত সংস্কারও এর পেছনে কিছুটা দায়ী।

আমরা অনেকসময় অনেক কিছু চেয়েও পাই না। আবার কখনও কখনও পেয়েও বুঝে উঠতে পারি না কী পেলাম, বা আদৌ পেলাম কী না। এটা সেই গোধূলী মুহুর্ত, যখন রোদ এসে জানান দিচ্ছিলো সবুজ বেদনার কথা (গল্পের এমেথিস্ট আলো), যখন সহযাত্রীর অনুচ্চারিত চাপা বেদনা আপনি ঠিকই অনুভব করতে পারছিলেন, কিন্তু হয়তো নিজের ভেতর থেকে উঠে আশা সমব্যথী মনটাকে শক্ত করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন কারণ আপনাদের গন্তব্য ভিন্ন, জীবনদর্শনও এখন। আপনার কেমন লেগেছিলো তখন? সেজন্যই কি আপনার পরবর্তিতে যোগাযোগের কোন চেষ্টার উদযোগ আমরা দেখি না?

আমাদের জীবন একটা বহমান নদীর মতো। বাঁক খেয়ে, গতিরোধ করে মাঝে সাঝে বন্দরগুলো আমাদের চলার উদ্দেশ্য, অনেকসময় পরিণতি মনে করিয়ে দেয়। আপনার গল্প, যেটা আসলে জীবনেরই এক টুকরো, সে চলার পথের যেন এক জেগে ওঠা এক পলি বদ্বীপ। পাড়ে এসে একদন্ড জিরানো হলো ঠিকই কিন্তু যাবার পথে একরাশ সবুজ বেদনার দ্যুতি যেন ঝিলিক দিয়ে গেলো। চলে গেলেন ঠিকই, কিন্তু রয়ে গেল একটুকরো অম্লমধুর স্মৃতি। সারাটা ফিরতি পথ হয়তো তা করে গেছেন রোমন্থন।

আমি এসব মুহুর্ত, যদিও তা অনেকসময় বুকে কষ্ট নিয়ে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়, বারবার পেতে রাজি। কেননা, এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহুর্তগুলোই আমাদের জীবনকে অনেক সমৃদ্ধ করে তোলে। সব স্মৃতিগুলো যদি আনন্দের হয়, তাহলে জীবনের নিগূঢ় সত্যপাঠগুলো হবে কি করে!

সুন্দর, সহজপাঠ্য লেখা। আরও লেখবেন, কিন্তু হুড়োহুড়ি করে নয়। আমি বরঞ্চ সময় নিয়ে লেখতেই আপনাকে বলবো। শুধু ছোট একটা অনুযোগ, আপনার এক্সপেরিমেন্টাল যতিচিহ্ন (থেকে থেকে 'দাঁড়ি' দেওয়া) কাজ করছে না, বরং তা পড়ার সাবলীল গতি ছেদ করে দেয় বারবার।

জেইমস্‌ জয়েসের কবিতা দেখে ভাল লাগলো। যদি অনুমতি দেন, তবে জার্নির এই গানটা শেয়ার করি। ভাল থাকবেন।

http://www.youtube.com/watch?v=nR4vi0q19lc

Why Can't This Night Go On Forever

Lost in twilight, the memories
Precious moments, you and me
We've been old friends, all through the years
Picture postcards, sharing tears

What's in our hearts, there's never time, to say
Need you tonight, lover don't fade away
I've seen your city lights
As I walk away

Why can't this night...go on forever

Without love, we won't survive
Run together, we rule the night
Tell me secrets, oh that make you cry
Where's the laughter, we gotta try

What's in our hearts, there's never time to say
Need you tonight, lover don't fade away
Like a photograph
That time won't erase
Why can't this night...go on forever

- শরতশিশির -

স্পর্শ এর ছবি

প্রথমেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। অসাধারণ মন্তব্যটার জন্য।

সেদিনের এমেথিস্ট ভালো লেগেছিলো। ভালোলেগেছিলো আর সব মুহুর্তও। সেই টুকটাক কথোপকথন। আর অস্ফুট কিছু বেদনা। এ সবই তো আমাদের জীবনেরই রঙ। সেই সময় আর অনুভুতিগুলোকে ধরে রাখার চেষ্টাতেই এই লেখা।

না প্লেন মিস না করার পিছনে আসলে কোনো 'সংস্কার' কাজ করেনি। ঐ যে বললেন "আমাদের জীবন একটা বহমান নদীর মতো"। এই যেমন ধরেন এই এমেথিস্টই কেমন ক্ষণস্থায়ী। জীবনের অভিভুত হয়ে যাবার মত ঘটনাগুলোও কি এমন ক্ষণস্থায়ী নয়? সে সব অনুভুতিকে তাই স্মৃতির বাক্সে যত্নকরে রাখতেই ভালো লাগে। কোনো কিছু ভালো লেগে গেলেই আমার মধ্যে তাই 'পালাই পালাই' শুরু হয়ে যায়। মনে হয় একটু পরেই হয়তো এই ভালোলাগাটা কেটে যাবে। তারচে থাক না কিছু সুখস্মৃতি।

যতি চিহ্নের ব্যাপারে বন্ধুরা আগেও বলেছে। এটা আসলে অবচেতন ভাবেই হয়ে যায়। কোনো এক্সপেরিমেন্ট না। লেখার সময় থামলেই দাঁড়ি। অনেকটা এরকম। বড় বাক্যও লিখতে পারিনা। হাঁফিয়ে যাই। তার উপর যতি কখন কোনটা দিব তাই নিয়ে দ্বিধায় ভুগি। সব মিলিয়ে দাঁড়িই সই।

অনেকটা যেন ছোটো ছোটো স্ট্রোকে ছবি আঁকার চেষ্টা। মাঝে মাঝে নিজেই খেয়াল করি কেমন একটা 'হয়নি-হয়নি' ভাব। যেমন আপনি বলার পরে এই লেখাটাতেই বেশ কয়েক যায়গায় মনে হলো দাঁড়ি না দিলেই হতো।

গানটা সুন্দর।
এমন যত্ন নিয়ে করা মন্তব্য পেলে নিজে লেখা স্বার্থক মনে হয়। আবারো অনেক ধন্যবাদ।

কদিন নিজের ব্লগে ঢুকিনি। তাই রিপ্লাই দিতে এই বিলম্ব। সরি।
ভালো থাকুন।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শরতশিশির এর ছবি

আমি তো তাই ভাবলাম যে কি হলো! হাসি

সেই, 'পালাই পালাই' ভাব। একটা সময় সেটার আর উপায় থাকবে না (এটা মানে বিয়ে বা কোনো সম্পর্ক নয়), যখন আপনি জানবেন যে যেকোনো অন্যরকম পরিস্থিতি আপনি সামাল দিতে পারবেন। হয়তো সেই আত্মবিশ্বাসটা এখনও গড়ে ওঠেনি। আমি খালি আপনার মনস্তাত্বিক দিকটা বোঝার চেষ্টা করছি, আর কিছু নয়। সেটাও তো অনেক ইন্টারেস্টিং, না?

জয়েস পছন্দ হলো কারণ আমি নিজে সাহিত্যে পড়েছি। হাসি

আবারও গল্প পড়ব পরে। হাতে একটু শুধু সময় নিয়ে লেখবেন। আমিও নিজে কালকে প্রথম লেখলাম। পড়ে জানাবেন। শিরোনাম 'খ্যাপা ...' দিয়ে শুরু। চোখ টিপি

ভাল থাকবেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

স্পর্শ এর ছবি

সামাল তো দিতেই পারব। কিন্তু 'ভালো লাগা' না থাকলে কোনো কিছু সামাল দিতেও ইচ্ছা করে না।
সাহিত্যে পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো। কী দারুণ মজার পড়াশুনা। আমাকে তো রীতিমত কাজে ফাঁকি দিয়ে সাহিত্য পড়তে হয়। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শরতশিশির এর ছবি

হ্যাঁ, ওই পর্যন্তই। পয়সাপাতি নাই। চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

জনৈক আরাফাত এর ছবি

অনেকদিন পর তোমার লেখা পড়লাম।
ভালো!

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ আরাফাত ভাই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তাসনীম এর ছবি

দারুন, পড়ে মুগ্ধ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

এক টানে পড়লাম। এক কথায় অসাধারণ! আবার পড়তে হবে ধীরে ধীরে।
তবে একটা কথা না বলে পারছিনা, মেয়েটার সাথে ঠিকানা, ফোন নাম্বার বিনিময় করা উচিত ছিলো। আর কিছু না হোক তোমরা ভালো বন্ধু হতে পারতে। ( তোমার যদি বালিকা বন্ধু/বউ থাকে তাহলে এইটা তোমার জন্য প্রযোজ্য নয়।:-D

--------------------------------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লেখা ভাইয়া

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।