১.
মাঝে মাঝে আমার দুপুরগুলো আটকে যেত। শুধু আমার না, আমাদের সবারই। হয়তো টেনিস বলটা হারিয়ে গেছে, টেপির বাড়ির পেয়ারাগুলোও শেষ। কিছুই করার পাচ্ছি না। রোদ-বৃষ্টি তো গায়ে মাখিনি কখনো। লাগতো না। তারপরও এইসব দামাল ছেলেরাই দুপুর জালে আটকা পড়তাম। আটকা পড়লে বুঝি কথা বলাও মানা। পাঁচিল ঘেঁষা সুপারি গাছে হেলান দিয়ে, নিয়ামুল ভাইদের ছাদ থেকে উঁকি দেওয়া, ডালিয়ার সারি দেখতাম। মাঝে মাঝে এক পশলা বাতাসে সেই সুপারি গাছটা কেমন দুলে উঠত। দুলুনিটা মনে আছে খুব। এইতো সেদিন। ভর দুপুর। সুপারি গাছে হেলান দিয়ে বসে আছি পাঁচিলের উপর। সামনে দিয়ে নিঃশব্দে ফেরীওয়ালা চলে গেল দুজন। ঠাঠা রোদ বোধহয় তাদেরও কন্ঠরোধ করেছে। আস্তে আস্তে চিরুনি কলের বাঁক ঘুরে হারিয়ে যাচ্ছে তারা। আমাদের কেউ তাকিয়ে আছে সেদিকে। কেউ পাঁচিলের গায়ে পিঁপড়ার সারির দিকে। আমার চোখ আটকা পড়েছে ছাদের ডালিয়ায়। এত কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকলে কী হবে? দেখছি আমরা একটা জিনিশই। স্বপ্ন। বাজারে সাইকেলের নতুন হর্ন এসেছে, দারুণ মিউজিক, কিছু টাকা হলেই বেলটা খুলে হর্ন লাগাতে হবে।... আগামীকাল পাশের পাড়ার সাথে ক্রিকেট ম্যাচ, সেঞ্চুরি করেই ফেলব এবার!... একটা মাছের হ্যাচারি থাকলে কেমন ভালো হতো!... এমন সময় দমকা একটা হাওয়া হয়। আচ্ছা, এটা কি লু হাওয়া? কি জানি! পিঠ ঘেষা সুপারি গাছটা দুলে ওঠে খুব। দুলে উঠি আমিও। আর কোথেকে একটা বিদেশি কন্ঠ ঘোষণা করে, ‘চাইনিজ গার্ডেন’। কিচ কিচ করে ধাতব শব্দ হয়। ব্রেক। একসময় শব্দটা থেমে গেলে ঘটাস করে দরজা খুলে। আমি আমার মাছের হ্যাচারি, থেকে বেরিয়ে পড়ি চাইনিজ গার্ডেন স্টেশনে। পিছনে বিদেশি কন্ঠটা এক ঘেয়ে সুরে বলতেই থাকে, ‘ফর ইওর সেফটি, প্লিজ স্ট্যান্ড বিহাইন্ড দ্য ইয়েলো লাইন...’
২.
সেদিন ল্যাবে বসে গুন গুন করছি, ‘এ পারে মুখর হল কেকা ওই, ও পারে নীরব কেন কুহু হায়...’। ল্যাবের চাইনিজ ছেলেটা বলে, “ডুড, কী হইসে? কান্দো ক্যান? ” আমি বললাম, "কান্দিনারে ব্যাটা, গান গাই"। আমাদের সুর করা গান নাকি ওর কাছে কান্না মনে হয়! পরে ভেবে দেখলাম, আসলেই কি তাই? কান্নাগুলোই কি সুর হয়ে আটকা পড়ে? ছোটো বেলায় আবদুল্লাহ ভাইয়ের বাবা মারা গেলে তার মাকে দেখেছিলাম গলা ছেড়ে কাঁদতে। সেই কান্নায় সুর ছিলো, কথা ছিলো, সুরের ওঠা-নামাও ছিলো! আর ছিলো একটা সর্বগ্রাসী হাহাকার। কথা-সুর মনে নেই, হাহাকারটা বুকে বাসা বেঁধেছে ঠিকই। আজকাল ওভাবে কাঁদে না বোধহয় কেউ। তারপরও কিছু অনুভূতিই বোধ হয় আছে এমন। সুর ছাড়া প্রকাশ করা যায় না। কোনো গল্প, কোনো কবিতা- ছবি কিছুতেই না। তাই সুর বাঁধতে জানিনা বলে মাঝে মাঝে নিজেকে বোবা মনে হয়। এই অক্ষমতার যে দুঃখ সেটা লিখে কিছুটা বোঝানো গেলেও, এজন্য যে হাহাকার বুকে বাজে তা প্রকাশ করতেও সেই সুরই লাগবে। কী অদ্ভুত দ্বৈত!
৩.
ছেলেবেলাটাই বা কেমন প্রতারক। কত খেললাম-ধুললাম। গল্প-আড্ডা হইচই করলাম। সেসব না, সব চেয়ে একঘেয়ে যে দুপুর, যখন এমন কি কারো বলারও কিছু থাকতো না। সেই ভ্যাপসা গরম দুপুরের কথা মনে পড়েই কিনা বুকটা কেমন করে উঠলো! এখানেও তখন সূর্যটা ঠিক মাথার উপরে। বিষূবীয় দেশ। পিচ ঢালা পথ তেতে উঠেছে। চাইনিজ গার্ডেনের মাঠ পেরিয়ে দূরের বহুতল ভবনগুলোও সেই রোদের হল্কায় কাঁপছে যেন। শৈশবের লাশটা কাঁধে চেপে কতদূর চলে এসেছি! আবদুল্লাহ ভাইয়ের মায়ের মতো করে কাঁদতে পারলে ভালো হতো। চেষ্টা করা যাক না...
|
কতকাল, ঠাঠা রোদ্দুরে পাঁচিলের পরে বসে
কেটে যেত সারা দুপুর
কতকাল, এই মন আঙিনায় মৌমাছিরা এসে
গেয়ে যেত ভালো লাগা সুর
কতকাল, ঝুম বৃষ্টিতে সাইকেলে চেপে ছুটে
চলে যেতাম অচিন পুর
কতকাল, বুক পকেটে স্বপ্নগুলো নিয়ে
স্কুল পালিয়ে যেতে চেতাম দূর
সেই রাস্তা পাঁচিল ঘর, সেই আটকে পড়া দুপুর,
সেই মন আঙিনা, সেই দূরের অচিনপুর
সেই কৃষ্ণচূড়া রোদ, সেই খেলার সমুদ্দুর
সেই মৌমাছিদের গান, সেই ছেলে বেলার সুর।।
(সেই ছেলে বেলার সুর)
মন্তব্য
চমৎকার!
বলেন তো... দুপুর মানেই কেনো খাঁ খাঁ দুপুর?
দুপুর মানেই কেন নির্জন সময়?
দুপুর মানেই কেন বুকের ভেতর ফাঁকা ফাঁকা অনুভূতি?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আসলেই,
ছোটোবেলায় বড়দের দেখতাম দুপুরে ঘুমাতে। আর জোরাজুরি করত 'ঘুমা... ঘুমা'। দুপুরে ঘুমানো শিখতে আমার ক্লাস টেন পাশ দেওয়া লেগেছে। এখনতো একটা বিস্কুট খেলেও মনে হয় একটু গড়িয়ে নিই।
ঐ দুপুরে তেমন করার কিছুও থাকতো না। কল্পনা ছাড়া। বিটিভিও শুরুহতো সেই বিকেলে... সব মিলিয়ে পুরো শৈশবই বেশ বড় একটা নিঃসঙ্গ দুপুরের গল্প।
মন্তব্যের জন্য থাঙ্কু।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
একদম খাঁটি কথা কয়েছেন। দুপুরবেলায় 'ঘুমা... ঘুমা'-র অত্যাচার আমারো ভাল লাগত না... আর এখন...
সুন্দর লিখেছেন...
কৌস্তুভ
ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনার লেখা সবসময় ভাল লাগে, আজও তার ব্যতীক্রম হলোনা।
অ:ট: গানটা কি আপনার গাওয়া?
-শুকনো পাতা
হায় হায়, আমি লিখিইতো প্রায় ছয় মাসে একবার। মনে যে রাখেন এটাই অনেক বড় পাওয়া।
অ.ট: হুমম
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চমৎকার চমৎকার চমৎকার চমৎকার
অনেক ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখা, সুর মাখা- সবই অসাধারণ!
কী ভীষণভাবে মনে পড়লো নিজের দুপুরগুলোও! সেই জমাট মুহূর্ত মুহূর্ত বিমূর্ত একাকী স্তব্ধতা! সেই ফাঁদ, সেই কাঁদা, সেই বিপন্ন বিষণ্নতা, দুপুরের পর দুপুর, বছরের পর বছর ...
ইন্সপায়ারড হয়ে আমিও লিখলাম-
নূপুর থেমে যায়, উপুড় ফেলে যায় নীরবতা!
দুপুর জুড়ে হায় উপুড় রয়ে যায় কথকতা!!
সুদূর উড়ে যাওয়া চিলের ডানা ছাওয়া বিষাদভার;
রোদের তাপে হাওয়া বুকের উত্লা ধোঁয়া ওঠায় কার?
ঘামতে ঘামতে মনও ভিজতে ভিজতে তবু জ্বালায় ধূপ!
চিম্নি চিম্নি বুকে আগুন আটকে রেখে বাইরে চুপ!!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সাইফুল ভাই, খুব খুশি হলাম। দাঁড়ান এর পর থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করব। আমি মাঝে মাঝেই এরকম 'গান' বানাতে গিয়ে আটকে যাই। অনেক হাতড়েও লাইন পাই না। কবি নই তো।
শূন্যস্থান সহ আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব। দারুণ হবে!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনি তো সুর বেঁধেই ফেলেছেন! ওটা যে আমি একদমই পারি না। আমি যে আপনার থেকে বেজায় বোবা!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
"জনশুন্য পল্লীপথে ধূলি উড়ি যায়/
মধ্যাহ্ন বাতাসে স্নিগ্দ্ধ অশ্বথের ছায়/
ক্লান্ত বৃদ্ধা ভিখারিনী.. জীর্ণ বস্ত্র পাতি/
ঘুমায়ে পড়েছে; যেন রৌদ্রময় রাতি/
ঝাঁ ঝাঁ করে চারিদিকে... নিস্তব্ধ নিঝুম!!"
আজ অন্য কোন কবিকে মনেই পড়ছে না...
স্পর্শ করে যাওয়া লেখা, বরাবরের মতই!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এটা কোন কবিতার অংশ? কেমন যেন ছবির মতো। ভাগ্যিস এই মানুষটা ছিলো। নইলে কী বিপদই না হতো!
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো খুব।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গান গাওয়াও শুরু হলো!!!
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
হা হা হা, গান হলে তো!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নীরবে যত কথা বলা যায়, সরবে কি এতোটা যায়? .
--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আসলেই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মিউকিজ ছাড়া কোন গান যে সুন্দর লাগতে পারে- এটা বুঝলাম!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
মিউজিক পারিনা। গানও পারিনা । কিচ্ছু পারিনা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মাঝখানে কিছুদিন তোমার লেখা পড়তে ভালো লাগছিলো না... যে তোমাকে চিনি তাকে খুঁজে পাইনি শেষ কিছু লেখায়... অনেক দিন পরে আজ আবার সেইই স্পর্শকে পেলাম বলে মনে হলো! যার লেখায় একটা স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা ছেলের অবাক সারল্য আছে, যার লেখা পড়লে একটা টান তৈরী হয়... ওয়েল্কাম ব্যাক স্পর্শ!
গানটাতে সুরারোপ করে আবার দিও!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দাড়াও কিছু মোক্ষম 'বড়দের ম্যাচিওরড গল্প' লিখতে হইবেক।
কমেন্টের জন্য থ্যাঙ্কু।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
উফফ! সব পঁচা the rotten!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এতো ভালো লিখেন কি করে? দুপুরের ঠিক এই ছবি টাই কতো ভাবেই না বলতে চেয়েছি কিন্তু ভাষাতে ফেলতে পারিনি কখনো
অজস্র আর অসংখ্য ধন্যবাদ
যা বলতে চেয়েছি তার কিছুটা বুঝাতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এক কথায় - চমৎকার! খুব ভাল লাগল!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গানটে শুনলুম না (নেট স্পিড তো জানেনি...)
লেখায় কোপা শামসু ভাব প্রবল ম্যান।
-এই একটা কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে, ভর করেছে সাতটা অমরাবতী...
_________________________________________
সেরিওজা
বাইচা গেছ। আয়ু কমেনাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভালো লাগলো... বেশ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার ভালো লাগছে!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
- হুমম।
স্পর্শীয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
... ভাল লাগল...।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দুপুরস্পর্শী লেখা।
চমত্কার। অনবদ্য।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ মর্ম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হেলান দেয়া সুপুরী গাছ বাতাসে দুলে উঠলে ভারি অদ্ভূত লাগবার কথা... লেখা পড়বার সময় আমিও যেন একদম ঠিক ঠিক টের পেলাম ...
এত সুন্দর গান তো অনেক দিন শুনি নাই মনে হচ্ছে!
শুধু গানটার জন্যেই লগ-ইন করা...
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
আসলেই ট্রেনের দুলুনিতে ঝিম ধরে গেলে আমার প্রায়ই এই ভুলটা হয়ে যায়। হুঠ করে বাস্তবে ফিরে আসতে খারাপ লাগে খুব। আপনাকে সে অনুভুতির কিছূটা বোঝাতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে।
যাক গানটা ভালো লেগেছে তাহলে। অনেক খুশি হলাম জেনে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
" আমার অনেক গ্রীষ্মছুটির দুপুর ছিলো
দুপুর জুড়ে রোদের ঝুড়ি উপুড় ছিলো-
আম-কাঠালের ছায়ায় ছায়ায়
বনসবুজের স্নিগ্ধ মায়ায়
লুকিয়ে কোথায় গল্প টাপুর টুপুর ছিলো।
আমার অনেক গ্রীষ্মছুটির দুপুর ছিলো----"
দুপুরের স্মৃতি বলতেই মনে পড়ে রোদে ঝাঁ ঝা গরম দুপুর, অদ্ভুত ঝিমঝিমে সুরে ঘুঘুর ডাক, সূর্যপাখি ঐ লঙ্কাজবা গাছের কলি কলি ফুলের কাছে উড়ছে, ডানায় আর গায়ে রোদ পড়ে কেমন কত রঙের ঝিলিক! জানালা বন্ধ ঘরে ফ্যান চালিয়ে মা ঘুমায় জলন্যাতা বুলিয়ে ঠান্ডা করা মেঝেতে শীতলপাটি পেতে, আর না ঘুমিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বারান্দা থেকে আমি দেখছি দুপুরের ম্যাজিক। বিকেল হয়ে লোকজন উঠে পড়তে থাকলেই ম্যাজিকটা মিলিয়ে যেত।
লেখা ভারী চমৎকার হয়েছে। এমন আরো চাই।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুব সুন্দর এই মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বাঃ! "আটকে পড়া দূপুর", খুব ভালো লাগলো এক্সপ্রেশনটা, লেখাটা। ছেলেবেলার দূপুরগুলির কথা মনে হলো, প্রায়-বন্ধ চোখে মা'র মুখে গল্প শুনতে শুনতে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়া। আহ্!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ধন্যবাদ অহির ভৈরব।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ছোটদের দুপুর আর বড়দের দুপুর কত আলাদা হয়।
ছোটদের দুপুরে একা থাকলেও কখনো একাকিত্ব সঙ্গী হয় না।
গানের সুরটা ভারি ভাল। এবার এটাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতেই হবে।
.................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারলে কি আর...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনি এত ভালো লিখেন কেন? আমাদের মনে এত হিংসা জাগান কেন?
খ্রিস্টপূর্ব গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, অহিংসা পরম ধর্ম।
খ্রিস্টাব্দ গৌতম রায় বলছেন, অন্যের মনে হিংসা না জাগানো পরম ধর্ম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধুর মিয়া, কী যে বলেন এইসব!!
লেখা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দুপুর গুলো আসলেই আটকে যেত মাঝে মাঝে। নস্টালজিক হলাম।
ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দুপুর শব্দটির পেছনে পেছনে কৈশোর ছুটে আসে নাকি। আমার সকল কৈশোর স্মৃতি যেন দুপুরে আটকে আছে। অসম্ভব সুন্দর লেগেছে লেখাটা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খুব ছুঁয়ে গেলো লেখাটা।
শৈশবের লাশ কেন বলছেন? শৈশবের কি মৃত্যু হয় নাকি তাকে মরতে দিতে আছে কখনো?
গানটা শুনতে পারলাম না। নেটের করুণ গতি!
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হুম এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন, শৈশব মনে হয় কাটেনি আমার। তারপরও মাঝে মাঝে বিষণ্ণতার অ্যাটাক হয়...
আপনাকে স্পেশাল থ্যাঙ্কক্স
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আহা যেমন লেখা, তেমন গান৷ অপুর্ব!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ভালো লেগেছে তাহলে! খুশি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনার পৃথিবী দেখার চোখটা খুব সুন্দর।ছোট ছোট লাইনে কাউকে নিজের অনুভূতি গুলো ফুটিয়ে তুলতে দেখলে খুব ভালো লাগে।দুপুরের চিত্রকল্প আর তার সাথে মিলিয়ে গান,অসাধারণ।
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
অনেক ধন্যবাদ বিষণ্ণ বাউণ্ডুলে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আটকা পড়ে গেলাম, সেই শৈশবের দুপুরে!
আমার সবসময় দুপুরে স্কুল ছিলো- তাই নিঃসঙ্গতা এতটা ঝামেলা করতে পারে নি, কিন্তু সমস্যা হতো ছুটির দুপুরগুলোতে। মা'র কাছে পড়াশোনার জন্য পিটুনি খেয়েছি বলে মনে পড়ে না, কিন্তু দুপুরে না ঘুমোলেই দিতেন দুই একটা লাগিয়ে, কিন্তু সেই ঘুমের অভ্যাস আর এখনও হলো না।
কিন্তু কি মায়াবী ছিলো গৃহবন্দি দুপুরগুলো! কিং সলোমনস মাইনস থেকে শুরু করে সুন উখোং, অথবা ঘনাদার গল্পগুলো! আহ শৈশব।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আসলেই দুপুর গুলো কেমন যেন ছিলো। সেই একটু বোঝা আর অনেক খানি না বোঝা জগতটা নিয়ে কত চিন্তাই না ভর করতো মনে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দারুণ!!! সবার দুপুর আটকে ফেললেন এই গানটায়!!! বাজনা ছাড়া গানই বেশি ভাল লাগে আমার, অন্যমনে, একমনে গাওয়া
বাজনা ছাড়া গান আমারো ভালো লাগে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো খুব।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই প্রশ্ন আর বুনোহাঁসের মন্তব্যটা আমিও করতে গিয়েছিলাম।
গানটায় নচিকেতার সুরের প্রভাব যেন, কিন্তু ঐযে বললাম, খুব ভাল লেগেছে। ডাউনলোডের কোন ব্যবস্থা আছে কি?
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...
'শৈশবের লাশ' কথাটা অনিকেত দা কে ব্যবহার করতে দেখেছি প্রথম। এই লেখায় চলে এল একদম স্বাভাবিক ভাবেই। যতই অস্বীকার করি। সবার শৈশব কি বেঁচে থাকে?
ডাউনলোডের জন্য এই লিঙ্ক টা দেখতে পারেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
উরে!!!!!!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাল্লাগলো, গান লেখা দুটাই
আমার বান্দর কালের দুপুর গুলোর কথা মনে পরে গেল! মর্নিং সিফ্টের স্কুল ছিল বলে প্রতিটা দুপুরই হতো আমার দুপুর! স্কুল থেকে ফিরে এক দৌড়ে নেমে পরতাম বাসার পাশের দীঘিতে, ওটাতে ঘণ্টা দুই ঝাপা ঝাপির পর চোখ লাল করে আর গায়ে শেওলার স্তর ফেলে যখন বাসায় আসতাম তখন আর একবার গোছল করতে হত মা জননীর খিস্তিখেউড়ে! তারপর খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমাতে যাওয়ার আদেশ আসতো, কিন্তু আমি কোন দিনই ঘুমাতাম না, চোখ বুজে ঘুমের অভিনয় করতাম ৭-: আর সুযোগ পাওয়া মাত্রই উধাও হয়ে যেতাম!
সময়টা যেন চোখের পলকে পার করে ফেলেছি
আজকাল একটু পিছন ফিরলেই মনে হয়, সময় এত দ্রুত যাচ্ছে!!
এইতো কদিন আগেও 'থান্দার ক্যাটস' দেখার জন্য দুপুরে টিভির কাছে ঘুরঘুর করতাম...
'দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলো না... সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি...'
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কত চমৎকার একটা লেখা। গানের কথা নাইবা বললাম ...
দারুণ হে! লেখাটা অসম্ভব দারুণ। গানের কথা তো আগেই বলেছি। ভালো লেগেছে। চালিয়ে যাও।
নেট বাবাজির কৃপায় আজ ফের শুনিতেছি গানখানা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন