এক বৌদ্ধ উপাসনালয়ের প্রধান পুরোহিতের নাম ছিলো মায়ু কাগি। তার ছিলো এক পোষা বিড়াল। বিড়ালটা তার এতই প্রিয় যে এমনকি ধ্যান ক্লাসের সময়ও সে তাকে কাছ ছাড়া করতো না। এই বিড়ালের সঙ্গ সে যতটা সম্ভব উপভোগ করতে চাইতো।
তো একদিন সকালে দেখা গেল সেই বৃদ্ধ সাধক মারা গেছে। তার জ্যেষ্ঠতম অনুসারী এর পরে উপাসনালয় প্রধানের দায়িত্ব নিলো।
অন্য পুরোহিতরা জিজ্ঞেস করল, ‘এখন এই বিড়াল নিয়ে আমরা কী করব?’
পুরোনো শিক্ষকের স্মৃতিস্বরূপ নতুন প্রধান পুরোহিত বিড়ালটাকে জেন সাধনার ক্লাসে উপস্থিত রাখার অনুমতি দিলো। আশেপাশের উপাসনালয়ের অনুসারীরা যারা প্রায়ই অন্যান্য উপাসনালয়ে ভ্রমণ করত তারা একদিন দেখল তাদের এলাকার সব চেয়ে বিখ্যাত মন্দিরে জেন সাধনার ক্লাসে একটা বিড়াল অংশ নেয়। একসময় এই গল্প দিকে দিকে ছড়িয়ে যেতে লাগলো।
এভাবে কাটলো বেশ কিছু বছর। একদিন বিড়ালটা মারা গেল। কিন্তু সেই উপাসনালয়ের ছাত্ররা বিড়ালের উপস্থিতিতে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো যে তারা আরেকটা বিড়াল এনে সেই স্থান পূরণ করল। ততদিনে আশে পাশের মন্দিরেও অনুসারীরা তাদের ধ্যানের ক্লাসে বিড়াল রাখা শুরু করেছে। তারা ভাবল এই বিড়ালই মনে হয় মায়ু কাগির খ্যাতি আর শিক্ষার মানের মূল কারণ। তারা ভুলেই গেল যে সেই পুরোহিত ছিলো একজন মহান শিক্ষক।
এভাবে পেরিয়ে গেল এক প্রজন্ম। একসময় বিভিন্ন জায়গায় 'জেন সাধনায় বিড়ালের গুরুত্ব' শীর্ষক গবেষণা-নিবন্ধ প্রকাশিত হতে শুরু করল। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তো একটি অভিসন্দর্ভই লিখে ফেলল যে, মানুষের মনোযোগ বৃদ্ধিতে এবং ঋণাত্বক শক্তি হ্রাসে বিড়ালের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অ্যাকাডেমিক কমিটিও খুশিমনে সেই অভিসন্দর্ভ গ্রহণ করল।
এভাবেই প্রায় এক শতক ধরে সেই অঞ্চলে জেন সাধনায় বিড়াল একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে রইলো।
তারপর একদিন এক পুরোহিত এলো যার আবার বিড়ালের লোমে অ্যালার্জি। বাধ্য হয়েই সে সিদ্ধান্ত নিলো যে তার নিজের জেন ক্লাসে বিড়াল রাখবে না।
সবাই এর তীব্র প্রতিবাদ জানালো, কিন্তু তারপরও পুরোহিত বিড়ালটাকে সরিয়েই দিলো। কিন্তু সে যেহেতু একজন প্রতিভাবান শিক্ষক, তার ছাত্ররা বিড়ালের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও অনেক ভালো করতে লাগলো।
ততদিনে এভাবে সারাক্ষণ বিড়াল নিয়ে সাধনা করাটাও অন্যান্য উপাসনালয়ের কাছে বেশ একঘেয়ে মনে হচ্ছিলো। তার উপর এই শত শত বিড়ালের ভরণপোষণও আরেক ঝামেলা। তাই নতুন সাধকের দেখাদেখি তারাও ধীরে ধীরে তাদের ক্লাস থেকে বিড়াল সরিয়ে দিতে লাগলো। এরপরের বিশ বছরে আবারও যুগান্তকারী সব অভিসন্দর্ভ লেখা হতে লাগলো যাদের শিরোনাম ছিলো এমন, ‘জেন সাধনায় বিড়াল না থাকার গুরুত্ব’ বা ‘অন্য কোনো প্রাণীর সাহায্য ছাড়াই শুধু মাত্র মনের শক্তি ব্যবহার করে জেন জগতে ভারসাম্য রক্ষা’।
আরো এক শতক পেরিয়ে যাবার পরে, এক সময় ঐ এলাকার জেন সাধনার চর্চা থেকে বিড়াল জিনিশটাই উঠে গেল। এভাবে সবকিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে এলেও এরমাঝে প্রায় দুইশ বছর কেটে গেছে। এত সময় লাগার কারণ, পরের দিকে কেউ একবারও প্রশ্নই করেনি জেন সাধনার ক্লাসে কেন বিড়াল রাখা হয়েছে। একজন লেখক যিনি এই গল্পটা শুনেছিলেন কয়েকশ বছর পরে, তিনি তার নিজের ডায়েরিতে লেখেন,
‘আমরা কয়জন কখনো প্রশ্ন করি যে কেন আমি এই চিরায়ত আচারটা পালন করে চলেছি? আমাদের জীবনে এমন কতগুলো অর্থহীন ‘বিড়াল’ আমরা বয়ে চলেছি যেটাকে অপসারণ করার সাহসই আমরা পাইনা, কারণ আমাদের শেখানো হয়েছে এই ‘বিড়াল’গুলো সবকিছু সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য?’
মূল : পাউলো কোয়েলু
বানান কৃতজ্ঞতা: লাবণ্য,বুনোহাঁস
মন্তব্য
বাহ্!
সুন্দর অনুবাদ
ইয়ে...তবে, বৌদ্ধ ভিক্ষু বেড়াল নিয়ে এত মেতে ছি্লেন কেন, সেটা একটা ভাববার বিষয় বটে। হুমম॥
......................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এহেম, তুমি মহিলা দ্রোহী। [নিচে দ্রোহীর মন্তব্য দ্রষ্টব্য]
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনুবাদ ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এমনিতে ইশপের গল্প মার্কা গল্প আমার তেমন পছন্দ না। তারপরও এটা অনুবাদ করে ফেললাম। ব্লক কাটানোর অপচেষ্টা আরকি। আর জি এম তানিমকে ধন্যবাদ সুন্দর এই গল্পটার খোঁজ দেওয়ার জন্য।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইন্টারেস্টিং!
আমি খুবখ্রাপলুক। গল্প পড়ে একটা প্রচলিত কৌতুকের পাঞ্চ লাইন মনে পড়ে গেল - "আগে ক বিলাই ধইচ্চৎ কেম্নে?"
কি মাঝি, ডরাইলা?
হা হা হা! গতকালই এই কৌতুকটা পড়লাম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নেখা পইড়া এই কথাটাই লিখতাম গেছিলাম, কিন্তু দেখা গেল এই লাইন খালি আমার মাথাই ঘোরে না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বাহ
যাক! ভরসা পেলাম
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইন্টারেস্টিং!
আসলেই!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনুবাদ সুন্দর।
আমি লিখলে, "বাধ্য হয়েই সে সিদ্ধান্ত নিলো যে তার নিজের জেন ক্লাসে বিড়াল রাখবে না" - এই লাইনের পরেই গল্পটা ছেড়ে দিতাম ...
'মূলে'র উপর এই ধরণের এখনো-পর্যন্ত-অনুমোদিত আক্রমণ আনন্দময় হত।
গল্পের দার্শনিক শিক্ষাটা 'ইশারা' হিসেবেই থেকে যেত।
আকলমন্দকে লিয়ে ...
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হুমম, এরকম করলে "‘অন্য কোনো প্রাণির সাহায্য ছাড়াই শুধু মাত্র মনের শক্তি ব্যবহার করে জেন জগতে ভারসাম্য রক্ষা’।" এপর্যন্ত রাখতাম আমি। অবশ্য শেষ পর্যন্ত মূলানুগ থাকতে চেয়েছি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মূল কথাটা দারুণ লাগলো!
এইভাবে তো ভাবিইনা কখনো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমারো দারুণ লেগেছে। এ জন্যই অনুবাদ করা। পড়ার জন্য থ্যাঙ্কু
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কি দারুন একটা গল্প, অনুবাদও ...
মিয়া! তুমি ধর্মীয় গল্প ভালু পাইলা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধর্মীয় গল্পের অন্তর্নিহিত কথা বুঝতে পাইরা "ভালু" পাইলাম
এই গল্পের প্লটটাই এমন, ধার্মীকদের মনেও বেশ আবেদন রাখতে পারবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার মনে হয় কোয়েলহো-র লেখার আবেদনটাই অমন।
(আচ্ছা উচ্চারণ কোয়েলু হবে?!)
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঝরঝরে অনুবাদ। বিশেষ ভাল লাগলো মূল মেসেজটুকু।
বড় অনুবাদ করার আগে ছোটো ছোটো অনুবাদ করে একটু হাত পাকাচ্ছি। ঝরঝরে হয়েছে জেনে ভরসা পেলাম
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বড় অনুবাদও আসছে তাহলে। খুবই ভাল খবর। আমি তো একটি করে ফেলে রাখছি এক মাস ধরে। দেখি সময় করে নামিয়ে ফেলতে হবে।
শিগগিরি নামিয়ে ফেলেন!! আমার অনুবাদে অবশ্য হাতই দেওয়া হয়নি। দিল্লি এখনো অনেক দূর
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমিও একটা প্রশ্ন করতে চাইছিলাম, কিন্তু শালীনতার মানদণ্ড পার হতে পারবে কী না বুঝতে পারছি না, তাই নীরব থাকলেম।
গল্প ভালো লেগেছে। অনুবাদও
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কইরা ফালান কইরা ফালান! আমরা আমরাই তো।
অনুবাদ ভালো লাগছে শুনে খুশি
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
না, মানে বলতেছিলাম জেন গল্পের বিড়ালের নাহয় একটা বন্দোবস্ত হইলো, কিন্তু এ্যালান পো'র বিড়াল বা নেহায়েত 'বাসর রাতের বিড়াল' বিষয়ক চিন্তা ভাবনা কী?
(এ্যালান পো এখানে শুধুই উদাহরণ বাড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হইছে, আর কিছু না)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শ্রোডিঞ্জারের বিড়ালটাও তো বাদ দিয়ে গেলেন...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আমিতো ভাবতেসি 'বাসর রাতে বিড়াল' মারার একটা কোম্পানীই খুলে বসব। যারা বিড়াল মারার কনফিডেন্স পায় না, চুক্তি ভিত্তিতে তাদের বাসর রাতে গিয়ে বিড়াল মেরে দিয়ে আসবো
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমিও যাইতে চাই!!
অনুবাদ ভালো লাগল । চমৎকার গল্প ।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
নজরুল ভাই, মানদণ্ড পার হইল কি
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ফাটাফাটি
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সুন্দর সুন্দর !!
ধন্যবাদ হে অজানা অতিথি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
- আমি তো বিড়াল পালি না! আমি কোথায় শেষ করবো তাইলে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূগোদা,
আপনের লাইগা শূন্যস্থান পূরণ হইব ...
এক বৌদ্ধ উপাসনালয়ের প্রধান পুরোহিতের নাম ছিলো ধূসর গোধূলি। তার ছিলো এক পোষা X। X-টা তার এতই প্রিয় যে এমনকি ধ্যান ক্লাসের সময়ও সে তাকে কাছ ছাড়া করতো না। এই X-এর সঙ্গ সে যতটা সম্ভব উপভোগ করতে চাইতো।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
- ছিঃ, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা কি আমার মতো দুষ্টু নাকি যে অন্যের শালিকার ক্রোড়ে আরোহন করে ধ্যানমগ্ন হতে যাবে? তাই কোনো বৌদ্ধ ভিক্ষুর নাম ধূসর গোধূলি হৈতেই পারে না। এইটা সংবিধান বহির্ভূত ব্যাপার স্যাপার। হৈলে জগৎ থেকে জেন ধর্ম উঠে যাবে। নতুন ধর্ম হবে, "ধুগো ইন্টারন্যাশনাল"।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি তো হইবেন বৌদ্ধ 'ভিক্ষুক' শ্যালিকারা ভিক্ষা দেওয়ার পরে "বেচে থাকো আম্মামা..." বলে গায়ে হাত বুলিয়ে দেবেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সত্যই ইন্টারেস্টিং।
অনুবাদ ভালো লেগেছে, প্রথমে বুঝিই নাই যে অনুবাদ। বেশি বুঝলে যা হয় আরকি!!!
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
ভালো লেগেছে? যাক অনুবাদ প্রচেষ্টা সফল!
ভালোলাগাটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
রিচার্ড ডকিন্সের একটা কথা আমার খুব ভাল লাগে।সেটা তিনি ধর্ম প্রসংগে বলেছেন-
গল্পটা পড়ে এই কথাটাই আবার মনে পড়ে গেল। ঝরঝরে অনুবাদের জন্য লেখাটা ভাল লাগল বেশ।
পথিক রহমান
হ্যা, প্রশ্ন থেকেই জ্ঞানের শুরু। কবে যে আমরা এটা বুঝবো
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লাস্ট প্যারাটা বেশি জোস...
''চৈত্রী''
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দারুণ অনুবাদ করসো হে! ভালো লাগসে। মেসেজটা আসলেই ভাববার মতোই। এবং অবশ্যই লজিক্যাল
বড়ো অনুবাদের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার কোনো কাজের অপেক্ষায় থাকলে দাড়ি পেকে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আহা, কী গল্প !!!!!
সালাম গুরু !!!
অন্যকথাঃ কোয়েলহোর কোন ছোটগল্প সংকলন আছে নাকি-এরকম ?? আপনার সন্ধানে ??
_________________________________________
সেরিওজা
আমার কাছে কিছু আছে বোধহয়, ওঁর ছোটগল্প, একটা পিডিএফ। খুঁজে পেলে, মেইল করে দিবোনে।
গল্পটা আসলেই দারুণ। নরমাল জেন গল্পের মত না।
কোয়েলুর সঙ্কলন জিয়েমটির কাছে পাবা।
btw: ঐ লেখকের নামের উচ্চারণ নাকি পুর্তুগিজে 'কোয়েলু'!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কোয়েলহো-র একটা গল্প সংকলন ঢাকার ফুটপাথেও পাওয়া যায় দেখেছি - By the River Piedra I Sat Down & Wept. এটা পান কিনা দেখতে পারেন। তবে এটা আমার নিজের পড়া হয় নাই এখনো, আর এখানে বলছে এতা আসলে একটা ট্রিলোজীর অংশ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সুহান, মেইল চেক করো।
আর, আগ্রহী অন্যদের জন্য এখানে আপলোড করে দিলাম।
এই গল্পটা পাবেন ৫০ পৃষ্ঠায়, "দ্য ইম্পর্ট্যান্স অভ দ্য ক্যাট ইন মেডিটেশন" নামে।
শন্যবাদ বস !!!
_________________________________________
সেরিওজা
ওহ! ধন্যবাদ অপ্র।
আচ্ছা, 'Khalil Gibran' এর কোন কিছু দিতে পারেন কিনা সময় হলে একটু দেখবেন?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাসর রাতে বিড়াল মারার প্রচেষ্টা নিয়ে একখান গল্প লিখেছিলাম ২০০৭ সালে শিবরামের লেখার ভঙ্গী অনুকরণ করে।
এখন আর সাহস পাইতেছেন বিড়াল মারার?
কি মাঝি, ডরাইলা?
পাইতাসিনা মানে!! কোম্পানী খুলতাসি পুরা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বিয়েটা করে ন্যান খালি।
কি মাঝি, ডরাইলা?
অনুবাদ ভালো লাগলো। গল্পটাও। প্রায় কাছাকাছি ভাবের একটা গল্প পড়েছিলাম বেশ আগে। সেটা ছিলো বানর নিয়ে।
আচ্ছা, 'জেন' মানে কী?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ।
'জেন' বা 'Zen' হচ্ছে বুদ্ধিজম এর একটা ধারা, যেখানে 'ধ্যান'কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
তাহলে জেন সাধনা > জেনসাধনা হওয়া সঙ্গত (যোগসাধনা'র মতো)।
জেনের সাধনা=জেনসাধনা [সমাসবদ্ধ পদ]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কি জানি, 'জেনসাধনা' দেখতে ভালো লাগছে না।
আচ্ছা, 'বিজ্ঞান সাধনা' কি এক সাথে হয়?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হুম। বিজ্ঞানসাধনা।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আচ্ছা, কোনো একটা এক্সপ্রেশন সমাসবদ্ধ করব কি করব না এটাতে মনে হয় কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত না। কারণ ভেঙ্গে লিখলেও সেটা হয়তো কয়েকটা পদের সমাহার হলো, তারপরও শুদ্ধ তো? অবশ্য সে ক্ষেত্রে 'বিজ্ঞানের সাধনা' বা 'জেনের সাধনা' লিখতে হয়। হুমম
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এইটা ভুয়া কথা। স্পর্শ চাপা মারছে [চোখ টিপি ইমো]। জেন বা Zen হচ্ছে - জ্বিন। এ বিষয়ে বিশদ জানতে হলে এই লিংক ঘুড়ে আসুন। ব্যাপক মজা গ্যারান্টিড!
কি মাঝি, ডরাইলা?
জ্বিন নিয়ে ফাজলামি করলে কিন্তু ওরা ধর্মঘটে যাবে, তখন আর কারও চিকিৎসা হবেনা
হঠাৎ বিড়াল নিয়ে আগ্রহী হলেন কেন? অনুবাদ দারুন হয়েছে ঃ)
স্পর্শ মনে হয় বিয়ের কথা ভাবছে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
আমারও সেইটাই ধারণা। বিড়াল মারার টেকনিক খুঁজতে যেয়েই নিশ্চয়ই সেই অভিসন্দর্ভগুলো প্রথমে পায় আর সেখান থেকে ব্যাকট্র্যাক করে মূল গল্পে
ধুরো মিয়া, কখনো বিয়া করলে (যদি করি) দুই চাইরটা বাঘ-সিঙ্গি মারব। এইসব বিড়াল টিড়ালে আমার পোষায় না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দারুণ অনুবাদ, ব্যাপক মজা পাইলাম বস!
একটা জিজ্ঞাসা: জিনিস/জিনিশ/জিনিষ, কোনটা ঠিক, আমার মনে হয়, 'জিনিস' ঠিক? আপনাদের কি মতামত?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অভিধান বলে জিনিস।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
'বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান' দ্বাদশ পুনর্মুদ্রন: জানুয়ারি ২০১০ মতে-
তিনটাই ঠিক।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ঠিক তো? তাহলে আমিও "জিনিশ" লিখব।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সাইফ wrote: একটা জিজ্ঞাসা: জিনিস/জিনিশ/জিনিষ, কোনটা ঠিক, আমার মনে হয়, 'জিনিস' ঠিক? আপনাদের কি মতামত?
স্পর্শ wrote: 'বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান' দ্বাদশ পুনর্মুদ্রন: জানুয়ারি ২০১০ মতে-
তিনটাই ঠিক।
স্পর্শদার রেফারেন্স সঠিক। তবে-
১। আরবি-ফারসি শব্দে 'সে', 'সিন', 'সোয়াদ' বর্ণগুলির প্রতিবর্ণরূপে 'স' এবং 'শিন্'-এর প্রতিবর্ণরূপে 'শ' ব্যবহৃত হবে (সূত্র : বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান-এর পরিশিষ্ট)।
২। 'জিনিস' শব্দটি এসেছে আরবি 'জিনস' শব্দ থেকে যার বানানে 'সিন্' হরফটি রয়েছে (সূত্র : বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান)।
৩। ওই একই অভিধানের মুখবন্ধ ও ব্যবহারবিধিতে বলা হয়েছে- ভুক্তির শীর্ষপদ হিসেবে একই শব্দের জন্য একাধিক বানান থাকলে সেক্ষেত্রে প্রথম বানানটির বানান প্রমিত করা হয়েছে। জিনিস শব্দটির বানানের ক্ষেত্রে এ ভুক্তিক্রম দেখা যাচ্ছে এ রকম- জিনিস, জিনিশ, জিনিষ।
৪। ওই একই অভিধানে উদাহরণ হিসেবে 'জিনিস' ভুক্তিটিই ব্যবহার করা হয়েছে।
কাজেই সব দিক বিবেচনায়, 'জিনিস' ভুক্তিটি প্রমিত বানান বলে ধরে নেয়া যায়। তবে বাকি বানানগুলোও অশুদ্ধ নয়। কেউ প্রমিত বানান অনুসরণ করতে চাইলে 'জিনিস'- এই ভুক্তিটিই অনুসরণ করবেন বলে আশা করছি।
----------------------------------------------------
কুটুমবাড়ি
ধন্যবাদ কুটুমবাড়ি! এই সুন্দর মন্তব্যটির জন্য।
যাক, আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখ যাবে ভবিষ্যতে। ভাবতেই ভালো লাগছে।
আমি ভাষার ব্যাপারে, একেবারেই অশুদ্ধ না হলে, কিছুটা বৈচিত্রবাদী। মানে নিয়ম করে সব সংজ্ঞায়িত করলে হয়তো ব্যাকরণটা সুনির্দিষ্ট হয়। মেশিন লার্নিং/নেচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংএ সুবিধা হয়তো তাতে পাওয়াই যাবে। কিন্তু মানুষের ভাষায় কিছুটা বৈচিত্র/ফ্লেক্সিব্লিটি থাকাই উচিত। ওতে ভাষার প্রাণ বাড়ে। নইলে সংস্কৃত আর ল্যাটিন নিজেরা মরে আমাদের কী শেখাল?
তাই থাক না 'জিনিশ' বা 'জিনিষ'ও বেঁচে?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সুন্দর অনুবাদটির জন্য ধন্যবাদ। গল্পের মূল বক্তব্যটি সর্বজনীন... আমাদের জীবনে প্রত্যহ যে বিতর্ক, তার যে কোনটির উপরই বর্তায়।
একটি ছোট মন্তব্য। ভাষা নিয়ে আমার ধারনা একেবারেই ভাসা-ভাসা। কিন্তু আপনার এই মন্তব্যটি দেখে মনে একটি প্রশ্ন উদয় হলো-
ল্যাটিন আর সংস্কৃত-র মৃত্যুকে তো আসলে দুভাবেই দেখা যায়-
১. এ ভাষাগুলোর প্রমিত রীতি আসলে বৈচিত্র্যকে মেনে নেয়নি, তাই লোকে এদের ত্যাগ করে নতুন ভাষার জন্ম দিয়েছে, অথবা
২. এ ভাষাগুলোর প্রমিত রীতি বাদ দিয়ে লোকে বৈচিত্র্যকে বেশি চর্চা করেছে, তাই সময়ের বিবর্তনে মূল ভাষাই বিচিত্র ভাবে বদলে গিয়ে নতুন নতুন ভাষার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাও তো সংস্কৃত থেকেই। কিন্তু এখন আমাদের গন্তব্য কোনটা হবে- বর্তমান প্রমিত রীতিকে রক্ষা করা, না-কি বৈচিত্রের চলমান বিবর্তনের হাতে ছেড়ে দিয়ে নতুন নতুন ধারা/রীতি জন্মের পথ উন্মুক্ত রাখা?
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
সংস্কৃতের কাছে বাংলার ঋণ অনেক। তাই বলে বাংলা সংস্কৃত থেকে সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে হয় না।
আর 'রীতি রক্ষা' এসব শব্দ খুবই সেনসেটিভ। কাজটা যতটা না 'এক্সাক্ট সাইন্স' তার চেয়ে বেশি 'আর্ট' তাই অপাত্রে পড়ে 'প্রতিকৃয়াশীলতায়' রূপ নেয় অনেক সময়।
ল্যাটিন-সংস্কৃতের ক্ষেত্রে ১ নাম্বারই মনে হয় মুখ্য কারণ। আর দ্বিতীয় পয়েন্টে এসে বলা যায়, ঐ যে আমরা হয়তো, এফ এম ররেডিওর "আমি গান লিসেন করতে লাইক করি" টাইপের বাংলাকে ঠেকাব। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে 'গৎ বেঁধে' দিলে, শেষে কবিরা দম ফেটে মরবে।
আমার মতে একটা 'ডাইনামিক ব্যালান্স'ই সমাধান।
আর শেষমেষ 'জনগন' যদি তার ভাষা বদলেই নেয়। পন্ডিতদের তখন আর কিছুই করার থাকে না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সহমত। প্রতিক্রিয়াশীলতা তো আসলে পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে দুদিকেই হতে পারে।
তাই মিথস্ক্রিয়াই সমাধান। প্রাচীন কালে মিথস্ক্রিয়াটা কঠিন ছিল যোগাযোগের অভাবে, ফলে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভাষা ভিন্নতা নিয়েছে। এই বেতার তরঙ্গের যুগে বিষয়টা "সেই সত্য যা রচিবে তুমি" হয়ে যাবার সম্ভাবনা কতোটা জানি না... তবে "উত্তম-জাঝা" তো মেনে নিচ্ছি।
ভালো থাকবেন।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
ধন্যবাদ, স্পর্শদা। আপনি আমাকে কিছুটা লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন প্রশংসা করে।
আপনার দু-একটি কথায় আমার ভিন্নমত থাকায় উত্তর দিচ্ছি। আপনি বলেছেন-
কিন্তু মানুষের ভাষায় কিছুটা বৈচিত্র/ফ্লেক্সিব্লিটি থাকাই উচিত। ওতে ভাষার প্রাণ বাড়ে।
আমি প্রমিত বানানরীতি অনুসরণের কথা বলেছি, তাই বলে ভাষাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার কথা কিন্তু আমি বলিনি। উদাহরণ হিসেবে ইংরেজি ভাষার কথা বলতে পারি। ইংরেজি ভাষার বানানরীতিতে খুব একটা বৈচিত্র নেই, তাই বলে সে ভাষায় বৈচিত্র/ফ্লেক্সিব্লিটি-র কিছুমাত্র ঘাটতি আছে কি? আসলে বৈচিত্র প্রয়োজন ভাষারীতিতে, বানানরীতিতে নয়। বাংলা ভাষায় হয়তো শব্দভাণ্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ নয়। তবে বানানরীতিতে ভিন্নতা আনাটা কিছুতেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তাতে বিভ্রান্তি বাড়বে বৈ কমবে না।
আমি মনে করি বানানের বিষয়টা একান্তই ভাষাতত্ত্ববিদের কাজ, তবে তারা কিন্তু কিছুতেই ভাষার গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করেন না, সে এক্তিয়ারও তাদের নেই। ভাষা পরিবর্তিত হয় গণ-মানুষের হাতেই, লেখক-কবিরা তাতে আরও বেশি প্রাণ সঞ্চার করেন মাত্র। প্রমিত বানানরীতি লেখকের পায়ে বেড়ি পড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়নি, এটা করা হয়েছে ভাষার শুদ্ধতা রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই।
--------------------------------------------
কুটুমবাড়ি
হুমম, আছে ইংরেজী বানানেও কিছু বৈচিত্র আছে কিন্তু।
আর বানান বৈচিত্র থাকলে যে সুবিধাগুলো হতে পারে তার একটা হচ্ছে 'আম্বিগ্রাম' তৈরিতে। 'বৈচিত্রের' একটা দারুণ উপজাত হচ্ছে 'সম্ভাবনা'।
আর ডিকশনারিতে লিস্টেড থাকলে বিভ্রান্তির অবকাশ কমে যায়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ডরাইছি, এক বানান জিগায়া এইখানে দেখি পুরা গরম অবস্থা , যাউকগা, তাইলে 'জিনিস' ঠিক আছে, কিন্তু কেউ চাইলে জিনিশ/জিনিষ লিখলেও ভুল নাই। ভেজাল কমাইতে 'জিনিস' অনুসরণ করাটাই তাহলে ঠিক হবে। স্পর্শ, সাঈদ ভাই, কুটুমবাড়ি, বুনোহাস সবাইরে ধইন্যাপাতা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
স্পর্শ wrote: আর 'রীতি রক্ষা' এসব শব্দ খুবই সেনসেটিভ। কাজটা যতটা না 'এক্সাক্ট সাইন্স' তার চেয়ে বেশি 'আর্ট' তাই অপাত্রে পড়ে 'প্রতিকৃয়াশীলতায়' রূপ নেয় অনেক সময়।
সাঈদ আহমেদ wrote: প্রতিক্রিয়াশীলতা তো আসলে পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে দুদিকেই হতে পারে। তাই মিথস্ক্রিয়াই সমাধান।
স্পর্শদা, আমি জানি না আপনি 'রীতি রক্ষা' বলতে আসলে কোন রীতির কথা বুঝিয়েছেন, বানানরীতি না ভাষারীতি? আমি যতটুকু জানি বানানরীতি নির্ধারণ করাটা আর্ট নয়, এটা সায়েন্টিফিক উপায়েই হতে হবে। হতে হবে উচ্চারণ নির্দেশ ও ব্যাকরণের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। তবে, ভাষারীতিকে গণ্ডিবগ্ধ না করাই ভালো, কারণ এখানে 'এক্সাক্ট সাইন্স' বলে কিছু নেই। আর তা ভাষার জন্য স্বাস্থ্যকরও নয়।
আমার ভুলও হতে পারে, তবে বিশ্বের আর কোনো ভাষায় বানান নিয়ে এতটা জটিলতা আছে বলে আমার জানা নেই, যতটা আছে বাংলায়। এখনও একটি যথার্থ ও সর্বজনগ্রাহ্য বানানরীতি এই ভাষায় তৈরি হয়নি, এ লজ্জা আমরা কোথায় রাখি! প্রমিত বানানরীতি তৈরি করা এবং তা মেনে চলার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা হলেও উত্তরণ লাভ সম্ভব বলে মনে করি (এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমী অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে)। বানান সংশোধন ও প্রমিতকরণের কাজটি প্রতিক্রিয়াশীল তো বটেই, তাই অনেকেই হয়তো এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আশা করি এ প্রক্রিয়াটির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে পেরেছি।
স্পর্শদা, সাঈদ তাহসিন ভাই, সাইদ আহমেদ ভাই, বুনোহাঁস- সবাইকে ধন্যবাদ জানাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য। ভবিষ্যতে সময়-সুযোগমতো এ বিষয়ে একটি স্বতন্ত্র পোস্ট দিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনার ইচ্ছে রইল। যদিও আমি ভাষাতত্ত্ববিদ নই, তবুও বানান নিয়ে অনেককে এতটাই বিভ্রান্ত হতে দেখেছি যে এ বিষয়ে আমার যৎসামান্য জ্ঞানটুকু অনেকের কাজে লাগলেও লাগতে পারে।
-----------------------------------------------------
কুটুমবাড়ি
'রীতি রক্ষা' বলতে আমি, আপনি যে কাজে মন্তব্যে শ্রম ব্যয় করছেন সেটাকেই বুঝিয়েছি। প্রচলিত মানুষের ভাষার 'ব্যাকরণ' থেকে শুরু করে বানান হয়ে ভাষারীতি, গদ্যরীতি কাব্যরীতি এমন যত সম্ভব 'রীতি' আছে তার কোনোটাই গৎ বাধা 'এক্সাক্ট সাইন্স' না। এমন কি শুধু ভাষা না, একটু সাহস করে দুনিয়ার তাবৎ 'রীতি' নিয়েই এটা বলে ফেলা যায়। আর বৈচিত্র নিয়ে আপনি যেভাবে লজ্জা রাখার স্থান সঙ্কুলান করতে অপরাগ হচ্ছেন, সেটা রীতিমত আতঙ্কজনক। ভাষার ক্ষেত্রে কিছু জিনিশকে 'প্রমিত' ঘোষণার একটা বড় সমস্যা হচ্ছে একই সঙ্গে অনেক কিছুকে 'অপ্রমিত' ঘোষণা করার ভার। হ্যা, গবেষণা প্রয়োজন। তাহলে গবেষণা শুরু করলেই হয়। করুন না!
একটা জিনিশ খেয়াল করলাম, আমি 'প্রতিক্রিয়াশীল' বানান করে বসেছি ভুল! এটা কিন্তু বৈচিত্র নয়। ভুল।
আপনাকে একটা সুন্দর বইয়ের খোঁজ দিই, হুমায়ুন আজাদের কতো 'নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী'। বাংলা ভাষাচর্চার 'সাইন্স আর আর্টের' এত সুন্দর সমন্বয় আমার আর চোখে পড়েনি।
আমি আরেকটা জিনিশ খেয়াল করলাম। আমি রীতিমত একজন 'পুরোদস্তুর বৈচিত্রবাদী'!! জীববৈচিত্রপ্রীতি থেকে মনে হয় এটা এসেছে।:-?
এসব বিষয়ে আপনার বিস্তারিত আলোচনা পোস্টটির অপেক্ষায় রইলাম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ দু'দিন এদিকে আসি নাই মনে হয়! লেখাটা আগেই পড়তাম নইলে। লেখার শেষে এসে যখন ভাবছি, এই ইন্টারেস্টিং থীমটা কার মূল লেখায় হতে পারে, দেখি কোয়েলহো-র নাম!
এই ভদ্রলোকের সব লেখার সাথে একাত্ম হতে না পারলেও, ভাল লাগে অধিকাংশ লেখাই। আর প্রিয় লেখকের একটা দুর্দান্ত গল্পের ঝরঝরে অনুবাদের জন্যে ধন্যবাদ। (জিএমটিকেও ধন্যবাদ গল্পটা খুঁজে বের করার জন্যে)।
দেখি, আমার কিনে, কিন্তু না পড়ে জমিয়ে রাখা কোয়েলহো বইগুলি শেষ করে ফেলতে হবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তার 'দ্য আলকেমিস্ট'টাই সেরা। বাকিগুলো সেরা নয়। 'ইলেভেন মিনিটস'টাও একটু দাগ কাটতে পেরেছিলো অবশ্য মনে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আবারজিগেক্স!!
হুম, 'ইলেভেন মিনিটস' পড়া আছে তাইলে, বেশ বেশ, আমি নাম নিতে গিয়েও নেই নাই। 'নির্বাণ' লাভ কিছুটা হইলেও হয়েছেতো তাইলে বলতে হবে অপ্র আর জিয়ামটিকেও সাজেস্ট করে দেয়া যেতে পারে, অবশ্য ব্যাক্তিগত মেসেজে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কবিতাও তো কত পড়েছি, কিন্তু কবি হইনিতো
তাই পাঠেই নির্বাণ হয়না মনে হয়।
আর ঐ বই পড়লে অপ্র-জিয়েমটির বাসায় বকবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই বইটা পড়া উচিত যাই হোক। গল্পটা অত ভাল লেগেছে বলব না, কিন্তু কিছু জিনিস বোঝার আছে, অবশ্য কেউ যদি বুঝতে চায়!
হুম বাসায় বকবে নাকি?! মুশকিল হল দেখি! প্রাইভেট মেসেজ দিতে হবে যেন পিডিএফ পড়ে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দারুণ ঝরঝরে অনুবাদ!!! আরও করুন, পড়তে চাই
কয়দিন এইদিকে না আইসা দেখি খুব ভালো ভালো কয়েকটা লেখা মিস কর্ছি!
দারুণ অনুবাদ হইছে বস!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বালাইছে না খারাপ ঐছে আর কওনের পরজন নাই মুন অয়। মান্ষে তো আর এবেই এবেই বালা কয় না। আমি ল্যেকতে এলা দেরি কইরালাইছি। এডা কতা কওনই লাগে, খারাপ লেহেন্নাই।
সবই বুঝলাম, কিন্তু "জেন" জিনিস টা কী ভাই? "জেন" দিয়া গুগল করে দেখি "জেনিফার এনিস্টন" আর Perhaps the most important Confucian and by extension Chinese value is jen— ???!!!
শাফি।
Zen লিখে সার্চ করুন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন