পাশ করার পরেই একটা চাকরি পেয়ে গেছিলাম। খুব বড় কোনো চাকরি নয়। তবে ও চাকরি করতে থাকলে নিজেকে মধ্যবিত্ত বলা যেত হয়তো। সাত-সকালে উঠেই নাকে মুখে কিছু দিয়ে একটা ঝোলাব্যাগ কাধে বেরিয়ে পড়তাম। তারপর কিছুটা হাটা, বাসের হ্যান্ডেলে ঝোলাঝুলি, রিকশা, তারপর অফিস।
আমাদের বাড়ির পাশে কিছুটা ফাঁকা জায়গা ছিলো। সেখানে দুটো নারিকেল গাছ, কিছু জঞ্জাল, একটা কবর, আর বেশ কিছু মানুষ। সেই মানুষদের যে বাড়ি, সেগুলোকে বাড়ির মর্যাদা দিতাম না বলেই আমরা বলতাম ‘ফাঁকা যায়গা’।
সকালে আমার সাথে সাথে সেই মানুষগুলোও কাজে বের হতো। আমার হাতে ব্যাগ, ব্যাগে টিফিন বাটি, ওদের হাতে টিফিন ক্যারিয়ার। হাঁটতে হাঁটতে সেই মানুষগুলো কিশোরী হয়ে যেত, তরুণী হয়ে যেত, যুবতী হয়ে যেত, রমণী হয়ে যেত... ওদের কেউ কেউ নুপূর পরতো পায়ে।
রাতে সেই দশটা এগারোটায় এই ক্লান্ত-বিধ্বস্ত-অকালবৃদ্ধ জম্বি শরীরটা ঠেলে ঠুলে নিয়ে ফিরতাম যখন। শুরুর সেই হাটা পথটুকু হয়ে যেত, শেষের হাটা পথ। তখন কোথাকার কোন জেলখানার দরজা খুলে সেই মেয়েগুলোও সেখানে ফিরতি পথ ধরত। ওদের পায়ের নুপূরে তখন নিক্কণ হতো না। ঝন-ঝনিয়ে ডান্ডাবেড়ীর ঘষটে যাবার শব্দ হতো।
একধরণের নীরব সখ্য হয়ে গেছিলো ওদের সাথে। তবে রোমান্টিক কিছু হয়নি। ওভাবে তো কখনো কিছু মাথায়ই আসেনি। এখন এই লেখার সময় কীভাবে যে ভাবলাম এসব। ছিহ্! আমি না উঁচু তলার?
আমার জীবন নিস্তরঙ্গ ছিলো। যাও-আসো, যাও-আসো, যাও-আসো...। তবে ওদের জীবন নিস্তরঙ্গ ছিলো না। মাঝে মাঝে সেখানে ঝড় উঠতো। সে ঝড়ের ঝাপটায় দুয়েকটা গাড়ি ভাঙ্গতো, পুরো শহর জ্যামে আটকে যেত। কিন্তু রোকেয়া সরণি হয়ে যেত ফাকা। সেখানে পড়ে থাকতো ইটের টুকরা, কাগজ, পুলিশ ভ্যান, আর জটলা ধরা মানুষ। আমাকে তখন সেই জম্বি শরীরটা নিয়ে হেঁটে-হেঁটে ফিরতে হতো সারাটা পথ।
একসময় ঐ আসা-যাওয়ার চক্র ভেঙ্গে পাড়ি জমালাম এই দূর বিদেশে। এখনো তো সেখানেই আছি। মাঝে মাঝে বাড়ির পাশের নারিকেলগাছ দুটোর জন্য মায়া হয়। শুনেছি ওগুলো কেটে সেই ফাকা যায়গা ভরাট করেছে উচু একটা দালান। সেই মানুষগুলো আসা-যাওয়ার জোয়ার ভাটায়, আর সেইসব ক্ষণিকের ঝড়ে, ভেসে গেছে কোথায় কে জানে।
ভেসে গেলেও হারিয়ে যায়নি মনে হয়। ওদের কেউ কেউ কীভাবে যেন এসে গেছে এখানে, এই বিদেশেও। প্রচন্ড রোদের মধ্যে ওরা মাটি খোঁড়ে, লোহা কাটে, প্রাসাদ বানায়। একদিন কথাও বলেছিলো একজন। ভয়ে ভয়ে। সাতক্ষীরার রকিবুল। এখানেও রাতে দোতালা বাসে করে যখন ফিরি। বাসের উপর তলায় বসে। ছোটো ছোটো পিক আপ ভ্যানে করে, তখন পাশ দিয়ে সাই করে চলে যায়, গাদাগাদি করে বসা জনাত্রিশেক সাতক্ষীরার রকিবুল। তারপর ভ্যানের পর ভ্যান যেতেই থাকে। ওদের সেই তিরিশ জোড়া চোখ আমার দিকে তাকায়। আমি কীভাবে উপর তলার বাসে?
এখানে আসার আগে ভেবেছিলাম শিখে নেব, সব শিখে নেব। কীভাবে এরা দালান বানায়, পাহাড় বানায়, আকাশ বানায়... সব। এদের ইতিহাস ঘাটলাম, লাইব্রেরী ঘাটলাম, মিউজিয়াম, জাদুঘর সবই। শেষে পেয়েছি সাতক্ষীরার রকিবুলদের। আমার দেশেও ওরা কতো আছে!
সেই ছোটো বেলায় কারা যেন বলেছিলো, চাইলেই নাকি সব পারবো। বিশ্বাস করেছিলাম খুব। সুকান্তের সেই দুঃসহ ‘আঠারো বছর বয়স’এর অপেক্ষা করতাম সেই থেকে। অপেক্ষা ফুরিয়েছে। সুকান্ত বলেছিলো ‘আঠরো বছর বয়স ভয়ঙ্কর/তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,’। সেই যন্ত্রণা আর সেই বিশ্বাস কীভাবে যেন এখনো জিইয়ে রেখেছি বুকে। তবে ওসব ছাপিয়ে ভর করেছে ভয়ানক এক গ্লানি। পালিয়ে আসার, কিছু না করার গ্লানি।
শুনেছিলাম চাতক পাখিরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। কী দারুণ তৃষ্ণা নিয়ে, কী দারুণ আকুতি নিয়ে অপেক্ষা করে, দুফোঁটা বৃষ্টির। স্বপ্ন-লজ্জা-গ্লানি-যন্ত্রণা বুকে, তার চেয়ে বেশি তৃষ্ণা নিয়ে তাকিয়ে থাকি দেশটার দিকে। দুয়েকটা হাসি মুখই দেখতে চাই হয়তো। তবে ওখানে শুধু পাহাড় ধ্বসে, আগুন জ্বলে, মানুষ পোড়ে। ওখানে এখনো আটকে যায় শহর। সরণিতে-সরণিতে মানুষের জটলা হয়। একদল অনাহারী মানুষের উপর লাঠি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজপোশাক পরা আরেকদল বঞ্চিত মানুষ...
আমার তো এখনো রক্ত আছে বুকে। দুয়েক সাগর ভাসাতেও পারি তাতে। কিন্তু, কই! টগবগ করে ফোটে তো না...
Photo credit: Munir Uz Zaman / AFP - Getty Images, খবর কৃতজ্ঞতা- সিয়াম বানান কৃতজ্ঞতা- দুষ্ট বালিকা
মন্তব্য
লেখাটা রীতিমতো ধাক্কা দিলো- তার চেয়েও বেশি খারাপ লাগলো ছবিগুলি দেখতে।
যে সমাজে এতোটুকু একটা শিশুকে যে অবলীলায়, নিষ্ঠুরভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা মারতে পারা যায়- সেই সমাজের সবারই নিজেদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে ভাবার দরকার আছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার যখন এই ছেলেটার মত বয়স তখন ঠিক এই লাল হেলমেট ওয়ালার লাঠিটার মত একটা লাঠি দিয়ে পেটাতো স্কুলের হুজুর স্যার। সবার জন্য বেত। আমার জন্য মোটা লাঠি। দোষ একটাই। চুপ করে থাকি। লাঠি দিয়ে নাকি আমার গলার আওয়াজ ফেরাবে...
এই ছেলেটার জন্য এত খারাপ লাগছে। খারাপ লাগাটা কাটিয়ে উঠতে পারছি না কোনো ভাবেই...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনার লেখাটা দেরিতে পড়লাম। স্কুলে ধর্ম স্যার মোটা একটা ইলেক্ট্রিকের তার দিয়ে চাবুক বানিয়ে পেটাতেন। আরেকজন অংক স্যার পিটিয়ে এক ছাত্রের হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। পিটিয়ে বেত ভেঙ্গে ফেলা খুব অসাধারণ ঘটনা ছিল না।
এই বর্বরতাগুলো ঘটেছে কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে নয়, ঢাকা শহরের নামকরা স্কুল গভঃ ল্যাবরেটরি স্কুলে, আমাদের শৈশবে। আমাদের স্কুলে অনেক নামি দামি লোকের সন্তান পড়তেন তারপরও স্যারের মারতেন ভয়াবহ নির্মম ভাবে। স্কুল ছাড়ার অনেক বছর পরে আমার সেই প্রিয় স্কুলের একজন শিক্ষক নিহত হয়েছিলেন ক্লাস সেভেনের ছাত্রের ভাড়া করা খুনির হাতে।
মনে হয় বর্বরতা শুধু বর্বরতারই জন্ম দেয়। আমরা যে বর্বরতার মধ্যে আমরা বড় হই, মনে হয় জীবনভর সেটাই ফেরত দেই। বিডিআর হত্যাকান্ড বা মায়ের হাতে শিশুসন্তান হত্যা, পুলিশি নির্যাতন, ফতোয়াবাজদের দৌরাত্ম্য সবই সেই অস্থির সমাজের চিত্রটাই তুলে ধরে। জাতি হিসাবে আমরা গোপনীয়তায় বিশ্বাস করি, তাই সমস্যাগুলো অপ্রকাশিতই থেকে যায়।
পৃথিবীর ১০ ভাগ মানুষ নাকি মানসিক রোগি, আমার ধারনা এই পরিসংখ্যানটা বাংলাদেশে আরো বেশি হবে। আমাদের রোগ সারাবে সেই ডাক্তার কই?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কি বলবো।
............................................................................................
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
অসাধারণ অনুভুতির প্রকাশ! কষ্টটা বেড়ে গেল খুব।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পাশবিক। এতটুকু শিশুকে এইভাবে আঘাত করছে! মানুষ না পিশাচ?
সবাই মানুষ হয়ে বেড়ে উঠেনা ভিরু... কেউ কেউ পাশবিকতার সীমা অতিক্রম করতে পারে না আবার কেউ পারেনা তার মানুষ জন্ম টাকে মর্যাদা দিতে! এই গ্লানি আমাদেরও যারা শুধু বসে দেখে যাই!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নির্বাক বিষন্নতায় পড়লাম!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
.....................
_________________________________________
সেরিওজা
ভাষা নেই!
সাহাদাত উদরাজী
মন খারাপ হয়ে গেলো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমাদের মন খারাপ হবে। বেদনায় নীল হয়ে যাব। ফুঁসে উঠতে মন চাইবে। তারপর ভুলেও যাব। আর এমনটাই চলতে থাকবে।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
দুঃখিত, সবার মতন দুঃখ প্রকাশ করতে পারছি না বলে।
আমার কাছে খুব একটা অবাক লাগলো না ব্যাপারটা। মানুষ সবই পারে।
আমি সব এখন সহজ ভাবেই নেই। সব সহজ ভাবে নিতে পারাটা সব চাইতে কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটাই আমি এখন অবলীলায় করে যাই!!
এমন করে কেউ কাউকে মেরে ফেলবে, শারীরিক কিংবা মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে, এটাতে এতো কষ্ট পাওয়ার কী আছে? সবাই এতো দুঃখবিলাসি কেন ?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
- একজন শিশুকে ধরে পশুর মতো পেটানোর এই ছবিটা যেকোনো সুস্থ মানুষের হৃৎপিণ্ডকে অসুস্থ বানিয়ে দিতে যথেষ্ট! কিন্তু আমি এই ছবিটার পেছনের কাহিনি জানতে আগ্রহী! যে লোকটি পুলিশের পোশাক পরে পশুর মতো আচরণ করছে, হতে পারে পোশাকের আড়ালে সে 'বাবা' চরিত্রের কুশীলব। কিন্তু তারপরেও কেনো তার এই আচরণ! সে কি কোনো কারণে বাধ্য এই আচরণে! আমি জানতে ইচ্ছুক।
তবে, কারণ যা-ই হোক, এই বর্বরতাকে কিছুতেই কিছু দিয়ে সমর্থন করা যায় না। এটা রাস্ট্রের দায়। একজন শিশু কেনো রাস্তায় নেমে পুলিশের হাতে অমানুষিক পিটুনি খাবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একই রকম আরেকটা ছবি-- ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াতে মোটামুটি প্রচারিত হয়েছে। এই ছবি ছোট্র শহরে বসে এর ততোধিক ছোট্ট একটা পত্রিকাতে দেখেছি।
- এই ছবিটার ঠিক আগের ছবিটা দেখুন পিপিদা। জুতো নিয়ে পুলিশকে পিটাতে গিয়েছিলেন এই মহিলা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা.. ইন্টারেস্টিং। বিদেশী মিডিয়াতে তো এটা আসেনি। রয়টার্স শুধু পরের সীনটাই বাজারে ছেড়েছে। এটাকে কি হলুদ সাংবাদিকতা বলা যায় তাহলে?
- হলুদ সাংবাদিকতা জানি না পিপিদা। তবে এইটা বুঝি, আমাদের দেশ নিয়ে বিদেশীরা এমনি এমনি নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে না! তাদের মিডিয়ারও একটা অবদান আছে এতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুমম, সেটা ঠিক। তবে পুলিশকে জুতা নিয়ে পেটাতে গেলেও পুলিশের ঐ মেয়েকে এভাবে পেটানো জাস্টিফাইড হয়না। অবশ্য এত সুশীল ভাবনা-চিন্তার মতো পরিস্থিতি আমাদের নেই বা এখনো হয়নি।
- অবশ্যই হয় না পিপিদা। ঠিক যেমনটা হয় না একটি শিশুকে পশুর মতো পেটানো।
আমি ঘটনাগুলোর মূলে যাওয়ার পক্ষপাতি। কেনো মানুষগুলো রাস্তায় নেমে এলো আর কেনোই বা পুলিশ তাদেরকে অমানুষের মতো পেটালো! এই দুই পক্ষ তো কেবল একটি নাটকের কুশীলব। আমি এই নাটকের পরিচালকদের মুখোশ খোলার পক্ষে। তাদেরকে রাস্তায় ফেলে পাছার কাপড় তুলে গজারী কাঠ দিয়ে পেটানো হোক আচ্ছা মতো। দেখবেন ছয় মাস, মোটে ছয় মাস পিপিদা। বাংলাদেশেও পশ্চিমের মতো ক্ষয়ক্ষতিহীন প্রতিবাদ হবে। ইট-পাটকেল-লাঠি-বোমা নিয়ে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
............................
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিছু বলার নেই।
জানিনা এই বালকটিকে এই শসস্ত্র পুলিশ কেন এত ভয় পায়?
লেখাটি, ছবিগুলো হৃদয় ছুয়ে গেল। আমরা শুধু পড়ে যাই, দেখে যাই, কিছু করতে পারি না। আবার মার খেতে খেতে এই শিশুরাই কখনো কখনো অসম্ভব কিছুও করে ফেলে। আপনার জন্য সহানুভূতি রইলো।
নতুন মন্তব্য করুন