ছোটোবেলায় আমরা নুডলসকে বলতাম নুডুস। প্রথম নুডুস খাওয়ার কথা মনে আছে। একবার বাসায় এই বস্তু কিনে এনেছে। কিন্তু কেউ জানে না এটা কেমনে রান্না করে। থাকতাম তখন মনিরামপুর অথবা ঝিকরগাছা ঠিক মনে নেই। উপজেলা কোয়ার্টার। যশোরে। উপোজেলা কোয়ার্টারে সরকারী অফিসাররা থাকতো। কেউ হয়তো ফিসারিজ অফিসার। কেউ হয়তো টিএন্ডটি কেউ ফুড ডিপার্টমেন্ট। ওখানে একটা মজার রীতি চালু ছিলো। মাকে দেখতাম অন্য আন্টিদের তাদের হাসবেণ্ডের পেশা অনুসারে ডাকতো। অন্যরাও তাই। যেমন কৃষি ভাবি, ম্যাজিস্ট্রেট ভাবি, ফিসারিজ ভাবি। মজা লাগতো টেলিফোন ভাবি নামটা। তবে সব চেয়ে মজার নাম ছিলো পশু ভাবি।
তো সেবার নুডলস কিনে আনার পরে এটা কীভাবে রান্না করবে সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারা যাচ্ছে না। পারবেই বা কী করে? আমাদের বাবারা সবাই সরকারি অফিসার হলেও মা’রা তো সেই কদিন আগেই ছিলো গ্রাম্য বালিকা। তো এবাড়ি ওবাড়ি খোঁজ খবর করার পরে জানা গেল ম্যাজিস্ট্রেট ভাবি (আন্টি) নুডলস রান্না করতে পারে। তো ম্যাজিস্ট্রেট ভাবিকে বলে-কয়ে নিয়ে আসা হলো বাসায়। বড়সড় একটা দক্ষ-যজ্ঞ শুরু হবে বলে মনে হতে লাগলো আমাদের। কারণ পশুভাবি, কৃষিভাবি, টেলিফোন ভাবি এবং অন্যান্য আরো কয়েক ভাবিও চলে এসেছে। সবাইই নুডলস রান্না করা শিখবে।
নুডলসগুলো থাকতো একদেড়ফুট লম্বা বাক্সে। এখনকার মতো প্যাচানো ম্যাগিনুডলস এর যুগ সেটা না। সবাই মনোযোগ দিয়ে দেখছে কী দিয়ে কী করে। জানা গেল ডিম লাগবে। নেভিন নামের টেলিফোন ভাবির ছেলেটাকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো ডিম আনতে। তারপর নুডল ভাঙ্গো রে... সিদ্ধকরো রে... চালুনি দিয়ে পানি ছেঁকে ফেল রে... আলুকুচি-পিঁয়াজকুচি-মরিচ-লবন-তেল আর ডিম দিয়ে ভাঁজোরে। বাড়ির কাজের মহিলাটা দেখে বলেছিলো কেঁচোর মতো। তখনো আমি কেঁচো দেখিনি।
আমার বাবা ব্যাডমিন্টন খেলতো। লম্বা হওয়ার কারণে এবং সবচেয়ে তরুণ অফিসার হওয়ার কারণে তার পার্ফর্মেন্স ছিলো ঈর্ষনীয়। প্রায়ই মাকে বলতে শুনতাম। ‘আজ আমরা তরুণরা বুড়োদের সবাইকে হারিয়ে দিয়েছি’! বাবা এখন ব্যাডমিন্টন খেলে না। কোনো একদিন অন্য একদল তরুণ তাদেরকেও হারিয়ে দিয়েছে। অথবা কে জানে? হারিয়ে দিয়েছে হয়তো বয়স।
উপজেলা কোয়ার্টারে যারা থাকতো তাদের মধ্যে একরকম সিমবায়োসিস ছিলো। হয়তো ফ্রীজ আছে একজনের মাত্র। রমজান মাসে সবাই তার বাসায় পানি রাখবে। তখন প্লাস্টিকের বোতলের যুগ ছিলো না। পানি রাখা হতো কাঁচের বোতলে। কী অদ্ভুত সুন্দর সব বোতল। মা ফিসফিস করে বলেছিলো, ‘এইগুলা মদের বোতল, বিদেশিরা খায়’। মদ কি জিনিশ জানতাম না। তবে কখনো কোনো দোকানে দেখিনি এমন বোতল। বিদেশিও দেখিনি। শুধু মনে আছে রমজান মাসে ইফতারের একটু আগে দৌড়ে চলে যেতাম ফ্রীজ ওয়ালা বাসায়। তারপর সেই ঠান্ডা মদের বোতলটা নিয়ে দৌড়ে ফিরে আসতে হতো। মসজিদ থেকে সাইরেন দিতো এর পরেই। আমি ভাবতাম মুয়াজ্জিন বুঝি মাইকের সামনে এসে ‘পুউউউ’ করে শব্দ করছে মুখে। এতবড় দম রাখতো কেমনে বুঝতে পারতাম না।
এখন অবশ্য প্রচুর বিদেশি দেখি। মদের বোতলওতো দেখেছি। সত্যি কথা বলতে প্রথম বিমান বন্দরের ডিউটিফ্রী শপে মদের বোতল দেখে অভিভুত হয়েছিলাম। সেই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেছিলো। ছোটো বোনকে ফোন করে সাথে সাথে বললাম। ‘কী সুন্দর দোকান, আর সারি সারি কী সুন্দর সব বোতল!’ দুয়েকটা নামও পড়ে শুনালাম, কগন্যাক... ভোদকা...। ওরা তখন আমাকে সি-অফ করে ফিরছে। রাস্তায়। আমাকে বললো, ‘ভাইয়া, খাবানা কিন্তু সবধান! তাইলে তোমারে ত্যাজ্যভাইয়া করব’। এদেশে আসার পরে মিনিস্কার্ট পরা শত শত বিদেশিনি দেখেও দারুণ অস্বস্তি লেগেছিলো শুরুতে। ছোটো বোনকে ফোন করে বলার পরে আবারো ও ‘ত্যাজ্যভাইয়া’ করার হুমকি দিয়ে দিলো। যদি আবার ওদের সাথে প্রেমট্রেম করি!
কদিন পরেই দেশে ফিরবো। তার আগে ‘ত্যাজ্যভাইয়া’ হয়ে নেব কিনা ভাবছি। তবে কাজের চাপ যাচ্ছে প্রচুর। আজ রাতের মধ্যেই একটা পেপারের ড্রাফট লিখে জমা দেওয়ার কথা। এক হরফও লেখা হয়নি। সারাটাদিন ল্যাপটপের সামনে বসে কেটে গেল। খাওয়াদাওয়াও হয়নি কিছু। হঠাৎ ইন্সটান্ট নুডলস এর উদ্ভাবক এর মারা যাওয়ার খবর পড়ে মনে পড়লো আমিও কিনে রেখেছিলাম কিছু। এ জিনিশ রান্নায় সেই ছোটোবেলার মতো ঝামেলা নেই। তার মধ্যে গরম পানি ঢেলে দিয়ে তাই এই ইন্সটান্ট ব্লগরব্লগর। হয়ে এলো বোধ হয়। যাই।
মন্তব্য
ভালো লেগেছে, অনেক কথা মনে পড়ল। লম্বা বাক্সের নুডলস এখন ঢাকায় পাওয়া যায় কি না সন্দেহ আছে। ওগুলো খেতে ম্যাগির চেয়ে বেটার ছিল। আম্মা রান্না করতেন, প্রথমে সবজি সহ সেদ্ধ, তারপর পেঁয়াজ দিয়ে ভাজা...বেশ মনে পড়ে, মনে হয় গন্ধসহ দেখতে পাই।
বানানটা "কগন্যাক" হলেও উচ্চারণটা হবে "কনিয়াক" সম্ভবত আপনি জানেন সেটা মজা করেই লিখেছেন।
‘ত্যাজ্যভাইয়া’ হচ্ছেন কবে?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইয়ে, কনিয়াক বলে নাকি!
উমম লম্বা বাক্সের নুডলফ পাওয়া যায় মনে হয়। হলে থাকতে ক্যান্টিনে দেখতাম। তাও অবশ্য বেশ কবছর আগের কথা।
তবে ত্যাজ্যভাইয়া হলেও সে বিষয়ক তথ্য 'কনফিডেনশিয়াল' রাখতে হবে
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরে ত্যাজ্যভাইয়া হইতে যাবেন কেন?? আসল ভাইয়া থাকেন।
নুডুলসের মতো মজার লেখা।
সপ্তাহ দুয়েক আগে ফ্রান্সে গিয়েছিলাম বলতে গেলে স্বপরিবারে(মা-বাবা ছাড়া। আর বউ তো নাই)। ওখানে বাড়ি ভাড়া করা ছিলো। রাতের খাবারে দেখা গেলো ভাবী, আপা (ভাবীর বড়ো বোন) ওরা নুডুলস সেদ্ধ করে ক্যাচাপ দিয়ে ম্যানু করেছে। ছোটবোন (এই দেশেই জন্ম) বেশ মজা করেই খাচ্ছে। আমি, বড়ভাই, দুলাভাই একজন আর একজনের মুখ চেয়ে আছি। কিভাবে এগুলো গলা দিয়ে নামাবো।
যদিও আমি একবেলা অল্প ভাই খাই। নুডুলস যদি সবজি, ডিম, পেয়াজ দিয়ে ভাজি না হয় তাহলে এগুলো খাওয়া সম্ভব না। কষ্ট সৃষ্টে কিছু খেয়ে ঘুমাইছি। বাংলাদেশী স্টাইলে নুডুলস তৈরি করলে মজাই লাগে। ইউরোপিয়ান স্টাইল পুরো ফাউল।
(ফ্রুলিক্স)
হ্যাঁ। পাস্তা একদম বিশ্রি লাগে।
আর ম্যাগিনুডলস ডিম পিয়াজ মরিচ দিয়ে ভেজে নিলে দারুণ লাগতো!
তবে মজার ব্যাপার হলো এখানে আমার চাইনিজ নুডলস গুলো দারুন লাগে!! প্রথম দিকে দুয়েকবার এক বাটি করে নিয়ে বেকুব হয়েছিলাম। পুরা বাটিতে সব মিলিয়ে বড়ো জোর চার পাচটা নুডলস। তাতেই বাটি ভরা। খেতে দেয় চপস্টিক দিয়ে। নুডলস আবার একরকম তৈলাক্ত মসলাদার তরলে ডোবানো। কোনোমতেই উঠাতে পারিনা। পরে এক ভিয়েতনামি ল্যাবমেট শিখিয়ে দিলো। এখন মাঝে মাঝেই খাওয়া হয় ওটা। নিয়ম হলো নুডলস এর এক কোনা তুলে সুরুক করে চুষে তুলে নিতে হবে যতটুকু পারা যায়। তারপর কেটে নিয়ে চিবিয়ে গিলে ফেল!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নুডলসকে আমি বলতাম নরুস। লম্বা বাক্সের নুডলস পাওয়া যায় এখনো। তবে কোয়ালিটি আগের মত নাই। এখন তো আবার মানুষজন পাস্তা খাওয়া ধরেছে।
কাচের বোতলের ঠান্ডা পানি কিন্তু অন্যরকম মজা ছিল। প্লাস্টিকের বোতলের গন্ধটা ছিল না।
অনেকে নুডলস কে বলত লুডুস!
আর কাঁচের বোতল পরিষ্কার করার জন্য এক রকম ব্রাস মত পাওয়া যেত। তারের মাথায় গোল আকারে ব্রেসন থাকে। বোতলে ঢুকিয়ে ঘোরালেই হলো।
আর এতে পানিও ঠান্ডা থাকে অনেকক্ষণ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
-ত্যাজ্যভাইয়া হওয়ার অনেক শখ দেখতাছি
-ভাল্লাগ্লো পড়ে
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে হতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো
মিনিস্কার্ট পরা না হোক অন্তত জিন্স-টিশার্ট পরা একটা গার্লফ্রেন্ডের কত শখ ছিলো
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই পোস্টের চুম্বক অংশ - "পশু ভাবি"
............................................................................................
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
তার হাসবেন্ড হচ্ছে লাইভস্টক অফিসার। মৎস ভাবিও ছিলো! (মৎস কন্যার মত ) লেখায় দেওয়া হয়নি। ফিসারিজ অফিসারের স্ত্রী হবে মৎস ভাবি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার এক ভারতীয় সহকর্মী ছিলেন নাম পশুপতি, ফোন তুলেই বলতেন "পশু ইজ হিয়ার..."।
একটা ব্যাপার বলতে ভুলে গেছি আমি যখন ক্লাস ওয়ানে পড়তাম, তখন প্রথম "নুডস" খেতে দেখি এক বন্ধুকে, বাসা থেকে আনা টিফিন। আমি সহ অনেকেই প্রথম নুডলস দেখি জীবনে, আমরা বলেছিলাম..."আসিফ কেঁচো খাচ্ছে"...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আর আমাদের গ্রামের বাড়িতে শুনেছিলাম পায়েসের মত করে রান্না করে ফেলেছিলো!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মজা পাইলাম খুব!! বুয়ার কেঁচো আর পশু ভাবি এই দুইটা জোওওওওওওওশশশ!!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মজা পাইলাম!
ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com
ভাবিদের নামের ব্যাপারটা কঠঠিন!!
আর পাস্তা ভাল লাগে না? আমার তো দিব্যি লাগে খেতে।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
অবশ্য এখানে যে ওয়েস্টার্ন দোকানের পাস্তা খাই সেটার দোষও হতে পারে।
আপনার ভালো লাগে বলছেন যখন তখন দেখি অন্য কয়েক যায়গায় চেষ্টা করতে হবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইটালিয়ান স্টাইলে মেরিনারা বা আলফ্রেদো পাস্তা তো খাইতে ভালই লাগে। ভার্সিটির ক্যাফেতে গেলেই খাই।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ইন্সটান্ট নুডলস এর আবিষ্কর্তা মোমোফুকু আন্দো অক্ষয় স্বর্গলাভ করুক। (উইকি ঘেটে বার করলাম, আরেকটা মজার জিনিসও দেখলাম- ওয়ার্ল্ড ইন্সটান্ট নুডলস এসোসিয়েশান বলে একটা ব্যপার আছে )
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ইন্সট্যান্ট নুডলস আপনিও খান বুঝি খুব?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সব ভাবি দেখে হতাশ... ধুগোর খাতিরে হলেও গোটাতিন শালি থাকলে মন্দ হতো না...
নুডুলুস আজকাল ভাল্লাগে না, বয়স হয়ে যাচ্ছে (সাইরেনশ্বাস ইমো)...
আর তাজ্যভাই হবার জন্যে পরিশ্রম করতে হয়, আপনি পারবেন না ওসব...
_________________________________________
সেরিওজা
(আরে! সেই কখন একটা রিপ্লাই দিলাম এখন দেখি হারিয়ে গেছে। আবার লিখি। )
ভাবি হলেও তো চলতো। এরা তো রীতিমত আন্টি!
আর ত্যজ্য ভাইয়া হওয়ার ব্যবস্থা সব (দুচারটা বিদেশিনি সহ) ব্যাগ ভরে নিয়ে আসবো দরকার হয়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হেহ সেইদিনের পোলা কয় বয়স হইতাছে! আরো কতকাল বুয়েটে ছাত্র থাকা লাগবো সেইটার খিয়াল আছেনি
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
মজা লাগছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সবার ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো একরকম কেন?
কি মাঝি, ডরাইলা?
আসলেই।
আজকাল বাচ্চাদের শৈশব কেমন কাটছে সেটা জানা যাবে ২০ বছর পরে। আমাদের থেকে আলাদা নিশ্চই। আর আমাদের মত করে 'ইউনিভার্সেল কন্সিস্টেন্সি' ও থাকবে না মনে হয়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কাল এই লেখাটা পড়েই একটা পট নুডলস খেয়ে ফেলেছিলাম।
এর থেকে ভালো আর কী আছে দুনিয়ায়?
পাসটা তো আমার অনেক মজা লাগে। শুধুমাত্র সেদ্ধ করে সস দিয়ে না অবশ্য। দেশের নুডলস এর মতো ডিম মরিচ পঁয়াজ দিয়ে ভাজি করা হলে। এক কাজ করবেন। দেশি স্টাইলে করতে না পারলে পাসটা সেদ্ধ করে ওপরে নিচে চিজ দিয়ে ওভেনে বেক করে নেবেন। হেভি হয় খেতে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হুম, পাস্তা অবশ্য কখনো রাঁধার চেষ্টা করিনি। দোকান থেকে রেডিমেইড খাই।
আপনি ব্লগ-ট্লগ পড়ছেন! সময় আছে নিশ্চই হাতে। একটা লেখা দেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এইখান থেকে যে কোন একটা টেরাই দিয়া দ্যাখেন। প্রথম দিকে তেমন ভাল হবে না। কিন্তু রানতে রানতে একদিন দেখবেন হাত পেকে গেছে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
- ক্যা? আমার "ম্যাকরনি আ'লা ক্যাটাস্ট্রফি" রেসিপি ট্রাই দিলে অসুবিধা কী? এই রেসিপি একেবারেই বিগিনারদের জন্য। কিন্তু স্বাদে ও মানে ফাইভস্টার পাস্তাহাউজকেও হার মানাতে পারে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুনলাম আপনে নাকি ধইন্যাপাতা আর কাঠাল পাতার মধ্যে পার্থক্য কী তাই জানেন না। তাইলে রানবেন ক্যামনে?
কি মাঝি, ডরাইলা?
- অইসব বিলাতি নামমুম আমি জানি না। আমার কী দোষ?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাইলে আলা ক্যাটাস্ট্রফি রানতে গিয়া ক্যাটাস্ট্রফি ঠ্যাকান ক্যামনে?
কি মাঝি, ডরাইলা?
- ঠেকাই কে কয়! আমি তো উষ্কায়া দেই আরো!
রেসিপির নামেই তো বুঝা যায়, খাওয়ার সময় খাইবেন। পস্তাইবেন পরের দিন সকালে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"পাস্তা খাইয়া পস্তা" নামে গল্প লেখা যায়। গল্পের নায়ক মনির হোসেন, নায়িকা আস্তাবানু যিনি কী না পাস্তা রেঁধে বিখ্যাত।
কি মাঝি, ডরাইলা?
দ্রোহীভাই! এইটাতো পুরা রেসিপির খনি!!! দেখি সহজ দেখে ট্রাই করতে হবে কিছু।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হায় স্মৃতি !! সময় কত দ্রুত যায়...
ছোট্ট বোনটার ''লক্ষ্মী আপন ভাইয়া'' থাকুন সব সময়... এই শুভ (নাকি অশুভ??) কামনা রইল...
''চৈত্রী''
সময়... আসলেই
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পশু ভাবী!!! বেশ ইন্টারেস্টিং
পাস্তা আমার খুবই প্রিয়... আনাম র্যাংসে যেই শর্মা প্যালেসটা আছে না, ওখানে ওটা ট্রাই করে দেখোতো ভিরু।
লেখা বরাবরের মতই দারুণ!
আমার কোকোলা নুডুলস এর চাইতে ভালো কোন নুডুলস ই লাগে না। ইন্সট্যান্ট গুলা ভুয়া লাগে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ঠিক আছে, দেশে আসলে শর্মা প্যালেসে খাওয়াবা। তখন দেখবো
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, আমি গত বছর খানেক যাবত বাসায় থাকলে রাতে নিজের রাঁধা নুডুলস খাই। ইন্সট্যান্টগুলো।
ক্লাস এইট পর্যন্ত কোকোলা নুডুলস ছিল আমার বাঁধা টিফিন। ডিম দিয়ে, পিঁয়াজ দিয়ে, সবজি দিয়ে। খেতে সেরকম হত। এখন নিজে রাধি, নিজেরটা টেস্ট লাগে না।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
আমার এক ফ্রেন্ডের কথাও শুনেছি, আম্রিকা পড়তে গিয়ে। সকাল বিকাল রাত এই পাস্তাই খেয়ে চলেছে বেচারা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ,
লেখাটা আমার খুব ভাল লেগেছে।
তোমার [তুমি বললাম, আশা করি মনে করবে না] ছোটবেলাটা কত আগের?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আরেহ তুমি করেই তো বলবেন।
উমম, সালটা তো ঠিক মনে নেই তবে হিসাব আর অনুমান মিলিয়ে বলা যায় ৮৭ থেকে ৯০ এর মধ্যে হবে।
আর আপনার শুভেচ্ছার জন্য ফুলচন্দন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখাটা পড়েই দুইজন মিলে একটা ইন্সট্যান্ট নুডলসই ভাইজা খাইলাম। অনেকদিন পরে খাইয়া "সিরাআআম" লাগলো। সাথে সসেজ, মটরশুঁটি টাইপ টপিং নিসি কিছু।
পাস্তা ভাল্লাগেনা? আমার তো ইটালিয়ান পাস্তা ভালই লাগে, আলফ্রেদো বা মেরিনারা। ভার্সিটির ক্যাফেতে গেলেই খাই। ঐটা অবশ্য সিদ্ধ পাস্তা সসে আরো টপিং সহ নিয়ে হালকা ভেজে ঘুটা দেয়। আমি এক্সট্রা মরিচগুঁড়া দিয়া নেই। তবে দেশের শর্মা হাউজগুলার ঝাল পাস্তার কাছে এইটা কিছুই না। আনাম র্যাংস এ পাবেন। হাতিরপুল বাজারেও একটা আছিল। ঐখানে আবার ভিনেগারে শুকনা মরিচ দিয়া কেমন জানি একটা জিনিস দেয় একটা বাটিতে। উরে মারে! খাসা ঝাল!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
সবাই যখন ভালো বলছে, তখন মনে হয় যে দোকান থেকে ট্রাই করেছি সেটাতেই গোণ্ডগোল। আর কয়েক রকম পাস্তা ট্রাই করেই ফেলব।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হলে থাকতে কত কতদিন এই নুডুলস-ই দুপুরের ক্ষুধা নিবারণ করেছে। লেখা ভালো পাইলাম!
হ্যা, আমারো। তিন টাকা ছিলো একসময় দাম। তারপর পাঁচটাকা। এখন কত জানিনা।
আমাদের হলের ক্যান্টিনে পাঁচটাকার ভাত সেটও পাওয়া যেত। তিন টাকার ভাত। দুটাকার আলু ভর্তা। আর পানিডাল ফ্রী। এই দিয়েই চলেছে কত মাসের পর মাস!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ওরে, ছোটবেলায় থ্রি কমরেড পড়েন নাই? তারপরো কনিয়াকরে কগন্যাক কন? দিক্কার। আহারে থ্রি কমরেড পড়েই খুব শখ ছিলো কনিয়াক খাওনের, কিন্তু দেশে এইটা তেমন পাওয়া যায় না। একদিন এক বড় ভাইরে বলার পর তিনি গিফট করছিলেন কনিয়াক... আহ্...
প্লাস্টিকের বোতলের পানি আমি পারতপক্ষে খাই না। গন্ধ লাগে। আর আমি চরম শীতের দিনেও চরম ঠাণ্ডা পানি খাই। সব কাঁচের বোতলে। যখন ব্যাচেলর ছিলাম, আমার এক ঘর ভর্তি ছিলো শুধু কাচের হরেক পদের বোতল। লোকজন আমার বাড়িতে আসতো বোতল নিতে। আর এখন
সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টের ডিউটি ফ্রি শপটা দারুণ সুন্দর।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পড়িনাই আবার!! কিন্তু এই 'কনিয়াক'ই যে 'কগন্যাক' সেইটা জানুম কেমনে। আমিতো আবার অভিজ্ঞ লোক
ঠিক আছে আপনার বাড়ি থেইকা বোতল নিয়ে আসতে হবে।
হ্যা সিঙ্গাপুর এয়ার্পোর্টটা সুন্দর। যারে বলে পার্ফেক্টো। তবে ডিউটী ফ্রী শপ থেকে এগুলা কিনলসে সেইটা আবার নিয়ে যাওয়ার উপায় জানি না। :-/
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সেইরম হইছে ভাই। পশু ভাবী...হা হা হা......আপনার আরো লেখা পড়ার আশা রাখছি। ভালো থাকবেন.........মানিক
এখন আর পানি কিনিনা। ধু-গো আশে পাশে না থাকলে চুপি চুপি বলি দুইটা ব্লাক লেবেল ছিলো। ভেতরের জিনিস ফেলে দিয়ে এখন পানি রাখি ফ্রিজে। ব্লাক লেবেলের বোতলে অনেক পানি ধরে আর খুব ভালো ভাবে ফিট করে ফ্রিজের তাকে।
--------------------------------------------------------------------------------
ব্যাপক মজার লেখা। পড়ে ছোটবেলার কথা মনে হচ্ছে। স্কুলে প্রথম নুডুলস রান্না করতে শিখি। তারপর একদিন সব আন্টিদের দেখাতে হয়েছিল কিভাবে রান্না করতে হয়। আর ইউনিভার্সিটির পুরো ৭বছর কাটিয়ে দিতে হয়েছে ম্যাগী আর ফুজি নুডুলস রান্না করে, খেয়ে এবং বন্ধুদের খাইয়ে।
আকাশনীলা
আমার কিন্তু পাস্তা ভালই লাগে। ঢাকায় এখন অনেক জায়গায় ভাল পাস্তা পাওয়া যায়। ভাল গুলির দামও ভাল অবশ্য, কিন্তু তাও শখ করে খেতে যাওয়া যায়। শর্মা হাউসেরটা বেশ জনপ্রিয় আসলেই, আমার এক বন্ধু নিয়ে গিয়েছিল আমাকে একবার, এমনিতে ওদিকে কম যাওয়া পরে।
কাঠি নুডলস পাওয়া যায় তো এখনো। মান নিম্নমুখী। আর ভাইরে ম্যাগী কিন্তু ঠান্ডা হয়ে গেলে খেতে জঘন্য লাগে। যদিও এই ম্যাগী জান বাঁচাতে অনেক হেল্পফুল, সেই গল্প বলবনি দেখা হলে।
আর ঐ যে ইন্সট্যান্ট কাপ গুলি পাওয়া যায় না? চাইনিজ, গরম পানি ঢেলে দিলেই হয়? আমার আবার ঐগুলি ভালই লাগে!
আর স্পর্শ দেশে আসছে নাকি?? তাইলে তো আয়োজন করতে হয়, বাড়িতে দাওয়াতের!
কিন্তু আমার তো বোতলের গল্পে অনেক পুরোনো কাচের রঙিন সুন্দর বোতলের ছেলেবেলার গল্প মনে পড়ে গেল হে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন