না এই দর্শন মানে ফিলসফি না। দেখা। দুদিন আগের ঘটনা। ল্যাব থেকে বেরুতে একটু দেরী হয়ে গেছে। ৯৬ নাম্বার বাসে করে এসেছি ক্লেমেন্তি স্টেশনে। উপরে উঠলেই এম আর টির (নগর-রেল) প্লাটফর্ম। তবে সম্ভাবনা আছে লাস্ট ট্রেন মিস করার। তাই হেঁটে পাশেই বাস টার্মিনালে চলে গেলাম। ৯৯ নাম্বার বাসটা আমার বাসার ওদিক দিয়ে যায়। চলেও অনেক রাত অবধি। দেখি পাই কিনা। সামুয়েল বাটলারের প্রায়আত্মজীবনীমুলক উপন্যাস 'The Way of All Flesh' পড়ছিলাম। ল্যাব থেকে বেরিয়েই শুরু করেছি। কেবল শুরু অংশ। সেখানে বাটলার সাহেব এক ছেলের বর্ণনা দিচ্ছে। খুবই ভালো ছাত্র, সেকেন্ড টেকেন্ড নাকি মোটেই হয় না। বই আমার মোবাইল ফোনের মধ্যে। হাটতে হাটতে আমি ৯৯ নাম্বার বাসের লাইনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
লোহার বেড়া দিয়ে কিউ ফিক্স করা। সেখানে হেলান দিয়ে বসার সুবিধাও আছে। আমার সামনে লাইনে মাত্র দুইজন। দুজনই মেয়ে। ভার্সিটিপড়ুয়া মনে হলো। তো আমি গিয়ে দাঁড়াতেই(আসলে হেলান দিয়ে সেমিবসা) একটা মেয়ে আরেকটা মেয়েকে আলতো চুমু দিয়ে দিলো। আমি খেয়াল করলেও তেমন গুরুত্ব দিলাম না। মেয়েরা এমনিতেই আবেগপ্রবণ হয়। বান্ধবীর সাথে দেখা হলে জড়িয়ে ধরা, বা ধরে চুমু দিয়ে দেওয়াটা স্বাভাবিক। আমাদের দেশেও দেখেছি। আমি পড়ায় মন দিলাম। এখন যেহেতু গ্রীলের উপর হেলান দিয়ে বসে আছি। সামনের মেয়েদুটো এখন আমার বাম পাশে।
একটু পরেই দেখি পাশে কেমন যেন খচখচানি শব্দ হচ্ছে। আমি ঘুরে তাকালাম। মোবাইল ফোনে যারা বই পড়েছেন তারা জানবেন, যে এতে চোখের ফোকাস খুব কাছে চলে আসে। এবং কিছুক্ষণ পড়ার পর হঠাত চোখ তুললে সব কিছু অস্পষ্ট লাগে। আমার দৃষ্টিও তেমন অস্পষ্ট। ঘোলা। তো দৃষ্টি একটু পরিষ্কার হয়ে আসতেই যা দেখলাম তাতে আমার চক্ষু চড়কগাছ!
এদেশে আসার পরে ক্ষুদ্র পোষাক থেকে শুরু করে লোকারণ্যে চুম্বনদৃশ্য এসবই নরমাল হয়ে গেছে। এখানে বাসের লাইন, বা এটিএম-এর কিউ, বা যে কোনো জয়গাতেই দেখা যায় সময় যখন কাটতে চাচ্ছে না অমনি বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডরা চুম্বন শুরু করে। কেউ অবশ্য ফিরেও তাকায় না। তবে আমি আদেখলা টাইপ হওয়ায় মাঝে মাঝে তাকাই। ছেলেটার উপর ঈর্ষা বর্ষণ করি। কিন্তু এখানে দেখি এক তরুণী আরেক তরুণীকে প্রগাঢ় চুম্বনাবদ্ধ করে ফেলেছে। আমার থেকে দুই বিঘত দূরে। লাকি মি!
আশেপাশের কেউ যথারীতি কিছুই দেখছে না। এই বাসের কিউটাই ততক্ষণে বেশ বড় হয়েগেছে। ছেলে বুড়ো আর বুড়ি কয়েকজন। টার্মিনালে ড্রাইভার, গার্ড, ফোরম্যানরাও আছে। তবে কেউ তো আর আমার মত আদেখলা না। আমার ততক্ষণে ‘মন বসেনা পড়ার মোবাইলে’ অবস্থা। স্যামুয়েল বাটলার এইসব কী লিখেছে! ছাই মাথা, ব্লা ব্লা ব্লা... আমা পাশের মেয়েটা বেশ স্থির আছে। কিন্তু তার ওপাশের মেয়েটাকে বেশ অগ্রাসী মনে হচ্ছে।
অগ্রাসী মেয়েটার হাতে ধরা একটা মিনারেল ওয়াটারের বোতল। ‘আইস মাউন্টেইন’। এই ব্রান্ডটাই এখানে বেশি চলে। একটু পরে মেয়েটা তার বোতল খুলে পানি খেতে শুরু করলো। কিন্তু ঘটনা সেখানেই শেষ না। তারও একটু পরে সে স্থির মেয়েটাকে পানি খাইয়ে দিতে শুরু করলো। কিন্তু সেটাও তেমন কিছু হতো না, যদি না ব্যাপারটা পাখিমাতা যেভাবে পাখি ছানাদের খাইয়ে দেয় সেভাবে না হতো! আমি ভাবলাম আমার মনে হয় এভাবে বার বার ফিরে ফিরে তাকানো ঠিক হচ্ছে না। তাই পড়ায় মন দিলাম বেশি করে। কিন্তু তাতে রক্ষে নেই। একটু পরে পানি ট্রান্সফারের সময় তার কিছু এসে পড়লো আমার পায়ের পাতায়। আমি চমকে তাকালাম বামে। অগ্রাসী মেয়েটা আমাকে দুয়েকবার সরি বললো। স্থির মেয়েটা তখন খাবি খাচ্ছে।
আর তখনই বাস এসে গেলো। দোতালা বাস। স্থির মেয়েটা আর আমি গিয়ে উঠলাম বাসে। নিচ তলায়। অন্য মেয়েটা উঠলো না। ও মনে হয় প্রেমিকাকে বাসে উঠিয়ে দিতে এসেছে। বাস চলতে শুরু করার পরে দেখি বাইরের মেয়েটা জানালার ধারে। বাসের সাথে সাথে চলছে সেও। সিনেমাটিক স্টাইলে। তারা কাঁচের উপর হাত রেখে একে অপরকে শেষ বিদায় জানালো। বাসের গতি তখন বেড়ে গেছে বেশ।
তারও অনেক পরে আমার যখন প্রায় নামার সময় হলো। আমি উপন্যাস থেকে চোখ তুলে দেখি মেয়েটা কাঁদছে। আচ্ছা, একটা মানুষ কাঁদে কখন? মায়া লাগলো খুব।
হৃদয়ের ব্যাপার-স্যাপার। বুঝতে শিখবো যে কবে?
মন্তব্য
মেয়েদুটো কোন্ দেশী ছিল, কী রকম জামা-কাপড় পরে ছিল কিছুই লিখে নাই রে! স্পর্শের হইল কী? ইদানীং যেন একটু বেশি ভাব-ভালোবাসা নিয়ে ভাবা হচ্ছে?
আমি প্রথম চুম্বনই দেখেছিলাম এক শপিং মলে, এস্কেলেটরে, আমি চলমান সিঁড়ি বেয়ে উঠছিলাম, পাশেরটা দিয়ে তারা নামছিল। সে প্রায় দেড় যুগ আগে, ছোট ছিলাম, ঘাড় ঘুরিয়ে আবার দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছিলাম যুগলদ্বয়ের চোখে, তারা মুচকি হেসে সামলে নিয়েছিল। তা সে বটে, বৃটিশরা আবার তখনো যা দেখেছি বেশ রক্ষণশীল ছিল প্রকাশ্যে ইমোশোন শো-এর ব্যাপারে। তোমার লেখাটা পড়ে স্টেশনে দেখা অন্য এক যুগলকে মনে পড়ল, আমাদের ট্রেনটা ছেড়ে দিচ্ছিল, বিকেলের ফাঁকা স্টেশনে দূরের প্ল্যাটফর্মে বিদায় নিতে বা দিতে এসেছিল তারা...
মজা করলাম শুরুতে, কিন্তু ভালোবাসা কী আসলেই খুব একই রকম একটা জিনিস নয়? সবার জন্যে সবখানেই? হতে পারে তার প্রকাশটা খুব ভিন্ন ভিন্ন, একেকজনের কাছে তা একেক রকমভাবে গ্রহণযোগ্য। আসলেই কার কাকে কীভাবে ভালো লাগবে সেটা কেন অন্য কারো ঠিক করে দিতে হবে? দেয়া কী উচিত?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চায়নিজ অরিজিন, সিঙ্গাপুরিয়ান হতে পারে। জামাকাপড়ের বর্ণনা দিয়ে আর লেখা ভারি করিনি। এখানকার মেয়েদের যেটা 'জাতীয় পোশাক' টিশার্ট আর জিন্সের হাফ প্যান্ট।
তবে চুম্বন দৃশ্য প্রথম দেখেছি টিএসসি তে। সন্ধ্যায় রিকশায় করে যাওয়ার সময়। এখন নাকি টিএসসিতে সন্ধ্যায় চুম্বন এর ব্যবস্থা নাই। এক লোক সবাইরে তাড়ায়া দেয়। ভার্সিটি থেকেই নিয়োগ করসে মনে হয়।
আর ভালোবাসার ব্যাপারটা ভালো বলেছো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
প্লিজ অন্যভাবে নেবেন না। শিরোনামটা ভালো লাগছে না। এটা নিছক আমারই অনুভব।
আপনার লেখা পড়েছি আগে, মন্তব্য করা হয়নি। খুব ঝরঝরে লেখা।
'লেসবিয়ান' শব্দটার কারণেই কি? তাহলে তো মুশকিল।
পড়া আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মোটেই না। 'লেসবিয়ান দর্শন' - এই শব্দজুটির কারণে। জানিনা বোঝাতে পারলাম কিনা! যাইহোক, শব্দের/শব্দজোটের ভাব/টোন এক এক জনের কাছে এক এক ভাবে ধরা দিতেই পারে, যেটার সুযোগ কম যখন মুখোমুখি কথা বলা/শোনা হয়।
ঠিক আছে।
আব্জাব লেখা তো! ব্যাপার না। ভুলবোঝাবুঝি হয়ে আর কত দূর যাবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখা ভালো লাগল খুব। কিন্তু শিরোনামের সাথে যেন যাচ্ছে না ঠিক। শিরোনামে লঘু তাচ্ছিল্য আছে। কে জানে? হয়ত আমারই বোঝার ভুল।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
কি জানি! আমাদের দেশে এখনো 'তুইতো একটা লেসবিয়ান'। এ ধরণের কথা বলে কাউকে 'পচানি' দেওয়া প্রচলিত তো। সে কারণেই মনে হয় এমন মনে হচ্ছে।
কদিন পরে মনে হবে না।
শিরোনামটা একটা 'ওয়ার্ড প্লে'। প্রথম লেসবিয়ান জুটি দেখা। দেখার অনুভুতি। এবং সে সম্পর্কে আমার মনোভাব। এই নিয়ে এ লেখা। (বিশাল বড় ডিস্ক্লেইমার দিয়ে দিলাম দেখি!)
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধরণের > ধরনের
আর ছাড়াছাড়ি নাই
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হায়রে ধরন! :'(
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমারও এই বানানটা নিয়ে দ্বিধা ছিল। আচ্ছা এটার রেফারেন্সটা কি দিতে পারবেন?
ধন্যবাদ
বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান দ্বাদশ পুনমুদ্রণ জানুয়ারি ২০১০
অনুযায়ী 'ধরন' কে প্রমিত করা হয়েছে।
তবে 'ধারণ' করা বা 'ধারণা' করাতে। 'ণ' হবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই নিন লিঙ্ক।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
, দারুণ মজারু লেখা। আমার কাছে কিন্তু শিরোনাম পারফেক্ট মনে হয়েছে, অন্য কোন নামে মনে হয় না শিরোনামটা ঠিক ঘটনার সাথে যাইতো।
মিয়া, মোবাইলের ক্যামেরা আছে কি করতে? ২-১ মিনিট ভুডু কইরা আমাগো দেখাইলে পারতেন, আদেখলা কি আপনে কি একাই নাকি?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মনে করেণ আমি ইংল্যান্ডের রাণীমাতাকে দেখে আসলাম। তার ছবিও তুলে নিয়ে আসলাম। কিন্তু সেই ছবি আমার বন্ধুদের কাছে আলাদা কোনো আবেদন রাখবে কি? কারণ রাণীমাতার ছবি তারা কতোইতো দেখেছে। তারছে রাণীমাতাকে দেখে আসার গল্পই ভালো। তাই এই আব্জাব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এইভাবে চিন্তা করি নাইকা, মন্তব্যে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শিরোনাম ভালো লাগে নাই। কিঞ্চিত তাচ্ছিল্যসূচক একটা সুর কি পাওয়া যায়? ভুল বুঝলে আন্তরিকভাবে দুক্ষিত।
আপনার বর্ণনা সুন্দর।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কাঁদছিল?
আহারে...
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
হু
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখার শিরোনামটা "ডোডো/জিরাফ/জিব্রা" দর্শণের মতো শোনাচ্ছে লেখক, লঘু এবং তাচ্ছিল্যপূর্ণ । "আবজাব" ক্যাটিগোরিতে কি সত্যিই যা খুশি লেখা যায়?
-------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
"আমার জীবন দর্শন" মনে হচ্ছে না কেন? ব্রাকেটে 'আব্জাব' আছে বলে?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখার শিরোনামটা কমিকাল শোনানোর উদ্দেশ্যেই করা বলে মনে হয়। আর লেসবিয়ান্ দের ব্যাপারে মানবিকতা বোধ থেকেই যদি শিরোনামে আপত্তি আসে, তবে লেখার শেষে এসে সেই আপত্তিটা আর থাকে না।
তাচ্ছিল্ল্যপূর্ণভাবে লেসবিয়ান শব্দটা আমরা অনেকেই বলে থাকি, কিন্তু ওদের হৃদয়ের খোঁজ তো নিই না। আবজাবে সেটাই নাহয় বোঝা গেল।
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সহমত।
শিরোনাম আপত্তিকর লাগে নি, দর্শন শব্দটা pun করে বলা।
শেষটা দারুণ
----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
নামটা...হুম, ঠিক আছে আবজাব কিন্তু...যেহেতু এটা ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার...এভাবে না লিখলেও হতো হয়তো...কেমন জানি চিড়িয়া দর্শনের মতো হয়ে গেল। যদিও আপনার লেখায় যথেষ্ট সহানুভুতি ফুটে উঠেছে এবং এ কারণেই আমি মন্তব্য করছি। ভাবনাগুলো যেহেতু আপনার, নামটাও আপনিই দিতে পারতেন। লেসবিয়ান না বলে সমকামীও বলা যেত।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
কিন্তু 'সমকামী'তে তো জেন্ডার আলাদা করা যায় না। আর 'আমার সমকামী দর্শন' এই নাম দিলে আমার বালিকাভাগ্যের কী হাল হবে বুঝেছেন?
বোঝার জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
তুমি কোন ছেলেকে চুম্বন দিয়েছো সেইটা আগে বলো ভিরু!! :D হিহিহিহিহি। কিছুই তো শিখতে পারলা না!
লেখা ভালৈচে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
সুন্দর ছেলে দেখে বিয়ে করো। তারপর তোমার জামাইকে... পিটুনি দেব।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
তুমি কোন ছেলেকে চুম্বন দিয়েছো সেইটা আগে বলো ভিরু!! :D হিহিহিহিহি। কিছুই তো শিখতে পারলা না!
লেখা ভালৈচে!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
লেখাটা ভালো লেগেছে।
২০০৪-এর দিককার ঘটনা, সকাল ৬টার দিকে অফিসের পথে, সায়দাবাদ বাসস্ট্যন্ডের কিছু আগে দু'টো ছেলেকে দেখলাম চুম্বনরত অবস্থায়। হালকা ঘুম-ঘুম ভাব নিয়ে ছিলাম, তড়াক করে চোখ মেলে দেখলাম ঘটনা সত্য। সারাদিন মাথায় ওটা ঘুর-পাক খেয়েছিলো ... ... ...
===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মজা পাইলাম । থেঙ্কু ।
আপনাকেও থেঙ্কু।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ঠিক এই ঘটনাটায় একজন যদি ছেলে হত তাহলে কি এরকম একটা পোস্ট লেখা হত? মনে হয় হত না।
দুজন মানুষ একজন আরেকজনকে ভালো বাসছে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আপনি শকড কিংবা এনোয়েড। কিন্তু কেন?
আমাদের মধ্যে এই বিষয়ে আরেকটু সহনশীলতা বাড়াতে হবে। এই পোস্ট সে হিসেবে সাহায্য করে না। সে কারনে পোস্টটা তেমন ভালো লাগল না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একই সূত্র ধরে বলি, যদি দু'জনই ছেলে হতো, তাহলে কী আপনি এই ব্লগটা লিখতেন?
আপনার লেখায় সহানুভূতি আছে ঠিকই, কিন্তু আপনি এই দুইজনকে "মানুষ" হিসাবে না দেখে "মেয়ে মানুষ" হিসাবে দেখেছেন। ব্যাপারটা একটু চিড়িয়াখানা দর্শনের মত হয়ে গেছে।
আমাদের কাছে স্বাভাবিক বা অ-স্বাভাবিক নির্ভর করে যেটা আমরা সচরাচর দেখি। হয়ত সেই ভাবনা থেকেই আপনি লিখেছেন এটা...যদিও আপনি নিশ্চিত জানেন যে সমকামিতা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জেন্ডার পলিটীক্স এর মধ্যে না গিয়ে সোজা উত্তরটাই বলি। আমার দুই বিঘত দুরে দাঁড়িয়ে দুইটিমেয়ে ভালোবাসাবাসিরত ছিলো। দৃশ্যটা আমার জন্য (কারণ আমি আদেখলা) উত্তেজক ছিলো। একজন ছেলে একজন মেয়ে হলেও উত্তেজকই হতো। তবে সেটা আমার জন্য 'নতুন' অভিজ্ঞতা হতো না। তখন হয়তো লিখতাম না। আবার হয়তো লিখতাম।
আর এই লেখায় জাজমেন্টাল কোনো লাইন নেই। বরং আমার মনোভাব আমি স্পষ্ট করেই প্রকাশ করেছি বলেই মনে করি।
আপনার মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে যে আপনি সেটা বুঝেছেন। সেজন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই উপসংহারে কেন পৌছালেন? লেখার ঠিক কোন অংশে এমন মনে হলো?
লেখার কারণ হিসাবে 'ব্যাপারটা আমার কাছে নতুন'। এটা কি যথেষ্ট মনে হয় না?
আপনি নিজেও 'আজুবাহ্' নামক একটা পোস্ট লিখেছিলেন। সেটা হয়তো কালচারাল ডিফারেন্স আপনাকে 'এনয়েড বা শকড' করেছিলো বলেই। তাই সেই উপসংহার এখন এই লেখাটার উপরও চাপিয়ে দিলেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখার কোনো অংশ এটা সাজেস্ট করে না এটা মানছি। লেখার শিরোনামটা যদিও খানিকটা সেরকমটাই ইঙ্গিত করে (ব্যক্তিগত মত)। তবু এরকম উপসংহারে পৌছানোটা ভুল হয়েছে। দুঃখিত।
লেখার কারণ হিসাবে 'ব্যাপারটা আমার কাছে নতুন'- এটা যথেষ্ট। কিন্তু বিষয়টা অত্যন্ত সেনসিটিভ। তাই শুধুমাত্র দুজন মানুষের অন্তরঙ্গ অবস্থার বিবরন না হয়ে লেখাটাকে আরেকটু 'হিউমার' যুক্ত করলে আরো গ্রহণযোগ্য হত।
লেখাটা কিন্তু মজারই হয়েছে। কিন্তু সেনসিটিভ বিষয়বস্তুর তুলনায় যতটা মনোযোগ দেয়া দরকার ছিল ততটা দেয়া হয়নি বলে মনে হয়েছে।
আমার 'আজুবাহ'র বিষয় বস্তু সেনসিটিভ ছিল না। উপরন্তু খানিকটা রং চড়িয়ে পুরো বিষয়টাকে খুব হালকা করা হয়েছিল। লেখাটির শেষে বিষয়টি কালচার নির্বিশেষে অকওয়ার্ড সেটার কিছু নিদর্শনও ছিল।
তবে আমার দৃষ্টি ভঙ্গীও বদলেছে এবং বদলাচ্ছে। দু বছর আগে হয়ত আমি এই মন্তব্যটা করতাম না। এখন করি।
মোদ্দাকথা হচ্ছে এই সেনসিটিভ বিষয়টাতে আমাদেরই অ্যাওয়ারনেস গড়ে তুলতে হবে। আপনি বিভিন্ন বিষয়ে যথেষ্ট উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলেই আমি আপনার কাছে আমার দাবী বেড়ে গেছে। আশা করি আমার কথা ভুলভাবে ইন্টারপ্রেট করবেন না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মানুষই কাঁদে, মানুষের কান্না দেখে মানুষেরই মন ভেজে।
তারপর কি আর বলা যায়,
স্পর্শের লেখাগুলো দেখলে একটা জিনিস খেয়াল করার কথা, অনেক কষ্টের ব্যাপারই স্পর্শ এমন ভাবে লেখে যে তাতে কষ্ট হাহাকার না তুলে অপার্থিব সৌন্দর্য তুলে ধরে। এই লেখায় সে সেই অপার্থিব সৌন্দর্যও তুলে ধরার চেষ্টা করে নি। সে চেষ্টা করলে ব্যাপারটা হয়ে যেত লেখার সৌন্দর্য, মেয়েটির হৃদয়ের বা কান্নার নয়। ব্যাপারটা সত্যি সত্যি স্পর্শকে স্পর্শ না করলে স্পর্শ এমন অবলীলায় কান্না এবং মায়া শব্দ দুটো লিখে ফেলতো না মনে হয়। শিরোনামে আপত্তি হতে পারে, মেয়েদুটোর ব্যাপার ব্যাখ্যা করায় আপত্তি থাকতে পারে(আমার কাছে মনে হয়নি, পাখিমাতা, পাখির ছানা, এই ব্যাপারগুলো হৃদয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলেই মনে হয়েছে) ... কিন্তু শেষটাই মানুষের জন্য এই মায়া কিভাবে চোখ এড়িয়ে গেলো বুঝলাম না।.
--------------------------------------------------------
দেখা হবে সত্য, সুন্দর আর মুক্তচিন্তার আলোকে;
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দেখা হবে বিজয়ে।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
লেখার টোন খুব কন্ডিসেন্ডিং লাগলো। সেকারণেই হয়তো লেখাটা ভালো লাগে নাই তেমন..
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
পাঠক হিসাবে আপনি যখন লেখাটির সাথে একাত্ম হয়েছেন তখন নিজেকে একটা কন্ডিসেন্ডিং পজিশনে বসিয়েছেন বলেই এটা ঘটেছে।
আপনার মন্তব্যের টোনে আমার মনে হয়েছে লেখার শিরোনামে বড় ফন্টে 'লেসবিয়ান' শব্দটা দেখেই আপনি লেখাটি আর স্বাভাবিক ভাবে পড়তে পারেন নি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
শিরোনাম আপত্তিকর। আব্জাব লেখা থাকা সত্ত্বেও।
-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ব্যাখ্যা করে বললে কিছু শিখি।
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে শিরোনামটা 'ঋণাত্বক' (যদিও আমার সেটা মনে হচ্ছে না) তাহলেও আপত্তিকর ভাবার কারণ দেখিনা। কারণ রচনার শুরুতে ঋণাত্বক শিরোনাম দেওয়াটাও একটা খুবই ক্লিসে টেকনিক। ক্লিসে কেন আপত্তিকর হবে?
অবশ্য 'লেসবিয়ান' শব্দটাতে আপনার আপত্তি থাকলে কিছু বলার নাই।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
শিরোনাম আপত্তিকর বললাম। শিখানোর কিছু নাই।
লেসবিয়ান শব্দে আপত্তি আছে -এই ধারনা কেন হলো?
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
মনে হয় নাই।
আমি জাস্ট বলেছি 'থাকলে আমার কিছু বলার নাই'।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
পরেরবার শিরোনাম নির্বাচনে সতর্ক হবো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
শিরোনাম আপত্তিকর লাগে নাই। বংগসন্তানের কাছে লেসবিয়ান দর্শন আসলেই একটা উত্তেজক ব্যাপার। সবাই তো আর একরকম স্মার্ট হয় না।
ধন্যবাদ। তুমি বুঝলা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি যেখানে কাজ করি সেখানে গে/লেসবিয়ান খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের ডাইভারসিটি ফেয়ারে বাংলাদেশী, ইন্ডিয়ান, কোরিয়ান স্টলের পাশাপাশি গে/লেসবিয়ানদের স্টলও থাকে। প্রায় প্রতিটি ডিপার্টমেন্টেই একজন/ দুইজন গে বা লেসবিয়ান আছে। সেই আমার কী হয়েছে শোন -------
গত মাসে খুব জরুরী কাজে আমাকে নিউ ইউর্কে যেতে হয়েছিলো, আমার প্রাথমিক কাজগুলি করে দিলো একজন ভদ্রলোক এবং পেপার গুলি সাবমিট করতে বল্লো আর একজনের কছে। দ্বিতীয়জন জিজ্ঞেস করলো আমাকে কে পাঠিয়েছে? বল্লাম মিঃ ব্রানডেস। আমার উত্তর শুনে ভদ্রমহিলা কতক্ষণ ভ্রু কুচকিয়ে তাকিয়ে থেকে বল্লো ও মিস ব্রানডেস? আমি অবাক চোখে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম, নিজের অজান্তে মুখ দিয়ে বের হয়ে গেলো, ইউ কিডিং মি? ওর উত্তর, নো - সী ইজ মাই গার্ল ফ্রেন্ড! এবার আমার চোয়াল ঝুলে গেলো, চেষ্টা করেও আর নিজের মনোভাব গোপন করতে পারলাম না। আসলে যত যাই বলি না কেন দিন শেষে আমরা যে লাউ সেই কদু।
তোমার প্রথম অভিজ্ঞতা হিসেবে তোমার প্রতিক্রিয়া খুবই স্বাভাবিক লেগেছে আমার কাছে সেই সংগে পোষ্টের নামকরণ ও ।
--------------------------------------------------------------------------------
কয়দিন আগে ক্যাম্পাসেই আমার এই সৌভাগ্য (মানে তাদেরকে দেখার) হইছিল।
-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
আমার কাছে আপত্তিকর লাগে নি। বরং বেশ মজা লাগলো পোস্টটা পড়ে। মানে, এমনটাই স্বাভাবিক মনে হয়েছে, প্রথম অভিজ্ঞতা হিসাবে।
লেখাটা ভাল লেগেছে, বেশ ঝরঝরে.......। নামকরনের ক্ষেএে আরেকটু উদার হলে ভাল হত। অবশ্য প্রথম অভিজ্ঞতা হিসাবে এই আগ্রহটা মানিয়ে যায়।
উপরে মুর্শেদের বলা এই কথাটা
লেখা মজা লেগেছে।
শিরোনাম নিয়ে দেখি হৈচৈ। 'আমার লেসবিয়ান দর্শন' যেন অনেকটা 'আমার এলসেশিয়ান দর্শন'য়ের সেইম টোনের মত লাগলো। যেন মনে হলো- এলসেশিয়ান যেমন কুকুরের একটা প্রকার, লেসবিয়ানও মানুষের একটা প্রকার। এই মেসেজ পাওয়াটা কিন্তু আপত্তিকর। সেক্ষেত্রে 'আমার লেসবিয়ান জুটি দর্শন' লিখলে বোধহয় সেটা হতো না।
আসেন এইবার আপনার মনোবিশ্লেষণ করি।
আমি আমার এতদিনকার জীবনে কখনো কাউকে 'কুকুর/বিড়াল/জিব্রা/ডোডো/গণ্ডার' দেখে এসে 'আমার জিব্রা দর্শন' বা আমি 'জিব্রা দর্শন করে আসলাম' ধরণের বাক্য বলতেও শুনিনি। লিখতেও দেখিনি।
সবচেয়ে কাছাকাছি হচ্ছে ষষ্ঠপাণ্ডবের 'পাণ্ডবের চীন দর্শন'। চীনের অনেক কিছু আলাদা হলেও সেটা তো আরো অনেক দেশের মতই একটা দেশ। পাণ্ডবদা সেটা নিয়ে লিখেছেন ঠিকই। আমরা কিন্তু চীনকে 'ডোডো বা এলসেশিয়ান' ভাবছিনা এখানে।
কিন্তু এই শিরোনামের সাথে সবচেয়ে মেলে যেটা সেটা হলো 'আমার জীবন দর্শন'। এছাড়া 'প্রতীমা দর্শন' টাইপের কিছুও শুনে থাকতে পারি।
কিন্তু আপনার 'আমার লেসবিয়ান দর্শন' শোনার পরেই 'লেসবিয়ান' এর যায়গায় 'এলসেশিয়ান' মনে হইলো কেন? (এখানেই মনোবিশ্লেষণ )
আর 'লেসবিয়ান' নিয়ে ঢাক ঢাক গুড় গুড়ের কিছু নাই। স্বাভাবিক ভাবেই যেকোনো যায়গাতেই এ শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে। যে লেসবিয়ান তার নিজেরও যেমন সেটা বলতে দ্বিধা থাকা উচিত না। তেমনি আমাদেরও না। কোনো বৈষম্য বা অবজ্ঞাসূচক কিছু না বললেই হলো।
'লেসবিয়ানের' যায়গায় 'লেসবিয়ান জুটি' দিলে সেটাকেও যে 'এলসেশিয়ান জুটি' দেখার সাথে কষ্টতুলোনা করা হতোনা তা কে জানে?
লেখা মজার লেগেছে জেনে খুশি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখার বিষয়বস্তু চমৎকার। ঠিক মজা দেবার জন্য ব্লগটা লিখলেন বলে মনে হলোনা। তবে লেখাটা ভালো লেগেছে। তীব্র ভালোবাসা কেবল মাত্র ছেলে মেয়ের মধ্যে না, অন্যভাবেও হতে পারে সমান তীব্রতায় সেই মেসেজটা পেলাম।
পাঁচতারা।
লেখার মূল যে ভাবটা - সেটা আমি আমার মত করে বুঝে নিয়েছি, কোথাও আপত্তিকর বলে মনে হয় নাই।
রায়হান আবীর এবং সাবিহ ওমর ভাইয়ার সঙ্গে একমত।
_________________________________________
সেরিওজা
ঠিকাসে
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমার কৌতুহল থেকে একটা প্রশ্ন আছে। আমি অনেক গে/লেসবিয়ান দেখেছি, এমন কি আমার পরিচিত দু'তিনজন কলিগও আছেন/ছিলেন। কিন্তু আমি প্রকাশ্যে তাদের এরকম একটিভিটি কখনো দেখি নি। আপনার লেখা ও শিরোনাম পড়ে অনেকের মনে এরকম ধারণা জাগা স্বাভাবিক যে লেসবিয়ানরা হয়তো সবাই এমন করে থাকে। শিরোনামে 'আমার লেসবিয়ান দর্শন' বলতে কি আপনি বুঝিয়েছেন যে এই প্রথম আপনি লেসবিয়ান দেখেছেন এবং তারা এই রকম; নাকি সেই বিশেষ জুটির কার্যক্রমকে হাইলাইট করতে চেয়েছেন? যদি সেই জুটি হয় (যেটা আমি ধরে নিচ্ছি) তবে শিরোনামটা অন্যভাবে দিলেই শোভন হতো কারণ ব্যক্তিমাত্রই ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতা ও রুচিসম্পন্ন এবং তার প্রকাশ ভিন্ন; এটার সাথে গে/লেসবিয়ান হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
এখানে আপনি ভুল করছেন। 'প্রকাশ্যে আকটিভিটী'টা লেসবিয়ান বা গে বা স্ট্রেইট হওয়ার সাথে সম্পর্কিত না। মূলত অংশগ্রহনকারীদের ইচ্ছা এবং ঐ এলাকায় অন্যরা এটাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয় কিনা তার উপর নির্ভরশীল। এখানে প্রকাশ্য-চুম্বন বা প্রকাশ্য-প্রগাঢ়-চুম্বন সবই চোখে পড়ে। হয়তো গে লেসবিয়ানদের প্রকাশ্য চুম্বনও চোখে পড়ে প্রায়ই। যেমন আমার পড়েছে আগেরদিন। আগে পড়েনি। ভবিষ্যতে হয়তো আবার পড়বে।
কিন্তু আপনি আশঙ্কা করছেন, হয়তো কেউ ভাববে, যে আমি বুঝি ''লেসবিয়ান মাত্রই রাস্তাঘাটে ভালোবাসাবাসি (যদিও প্রকাশ্যে ভালোবাসাবাসি খারাপ কিছু মনে করিনা আমি) করে" এমন কিছু একটা স্টাবলিশ করতে চাচ্ছি। সেটা ভুল।
এটা যেহেতু জনগুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ না, আবজাব, এবং এখানে কাওকে ছোটো করা হচ্ছেনা। একটা অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে স্রেফ। আমার প্রথম লেসবিয়ান কাওকে দেখার অভিজ্ঞতা এমন। এই হলো প্লেন মেসেজ। এর মানে যে সারাজীবন সব সমকামীকে আমি ঠিক এমন দেখবো। সেটা আমি ভাবিওনা। আমি সেই ধরণের মেসেজ দিতে চাচ্ছি সেটা ভাবাও ভুল।
মানুষ অনেক সময় পিথাগোরাসের উপপাদ্যের জ্যামিতিক প্রমাণ, সব রকম গাণিতিক রিগর সহ লিখলেও ভুল ইন্টারপ্রেট করে। আর এটাতো আবজাব লেখা। ভুল কেউ ভাবতেই পারে। যেটা যার মানসিক গঠনের সাথে যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এখানে আপনি ভুল করছেন। 'প্রকাশ্যে আকটিভিটী'টা লেসবিয়ান বা গে বা স্ট্রেইট হওয়ার সাথে সম্পর্কিত না। মূলত অংশগ্রহনকারীদের ইচ্ছা..
আমি তো তাই বললাম। আমার মন্তব্যটা আবার পড়ে দেখুন-
"...কারণ ব্যক্তিমাত্রই ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতা ও রুচিসম্পন্ন এবং তার প্রকাশ ভিন্ন; এটার সাথে গে/লেসবিয়ান হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।" - তাই কারো 'প্রকাশ্য একটিভিটির' বিবরণ দিয়ে সেটাকে 'লেসবিয়ান' ট্যাগিং করা শোভন নয় তাই বলেছি।
আপনাকেও ধন্যবাদ
লেখা মজার লাগল।
আমার আপত্তিকর মনে হয় নি লেখার টোন বা শিরোনাম। দেশের মানুষ হিসাবে আপনার অবাক লাগাটা আমার ধারণামতে পোস্টের মূল থীম, এবং তেমন কোনো প্রেজুডিস ছাড়াই সহানুভূতির সঙ্গে আপনি লিখেছেন। এই অনুভূতিগুলোয় আপত্তিকর আমি কিছু দেখছি না, নতুন নতুন হতেই পারে।
সেই অবাক লাগা থেকেই শিরোনামটা আসা; আমি ডিসি গিয়ে সাদাবাড়ির বারান্দায় ওবামাকে দেখলে তো 'আমার প্রেসিডেন্ট দর্শন' বলতেই পারতাম। লেসবিয়ানকে অ্যালসেশিয়ান করে দেখার পক্ষপাতী আমি নই।
ঠিক বুঝলাম না, কেন শিরোনামের ওপর এতো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শ্রীমান হাসিবেরও কিন্তু 'মার্ক্স দর্শন' নামে একটা ছবিব্লগ ছিলো, যে-নামকরণটা তিনি ইচ্ছে করেই পানিঙের জন্যেই করেন বলে প্রতীয়মান হয়। তবে, শিরোনামে হালকা হয়তো এট্টুস এরম ভাব এসে পড়েছে যে, ওরা বোধহয় কিছুটা 'অপর/আদার'গোত্রীয়, তাই অনেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
যাগগে, শেষদিকে এসে তো ভালোই লাগলো, আগুনে ঝুপ্পুস করে জল ঢেলে আমার অন্ধকার অংশটাকে লজ্জাই দিলেন কিছুটা।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আমার কাছে শিরোনাম বা লেখা কিছুই আপত্তিকর বলে মনে হয় নি। আপনার যতগুলো লেখা পড়েছি বলতে গেলে সব গুলোই খুব ভাল লেগেছে। এর একটা কারণ মনে হয় আপনি অবাস্তব, মেকি বা আরোপিত কিছু ব্যবহার না করেই খুব সাধারণ কিছুকে অসাধারণ বানিয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখেন।
"চৈত্রী"
শিরোনাম ঠিকাছে।
এই লেখায় পলিটিক্যাল কারেক্টনেস থাকলে গেলে লেখার আসল সৌন্দর্য হারিয়ে যেত। স্পর্শ যেমন দেখেছে, তেমনই লিখেছে। আর এজন্যই লেখাটা মজার হয়েছে।
আহা..জেন্ডার নির্বিশেষে ভালুবাসা ভালুবাসাই..(কপালে জুটলোনা)
নতুন মন্তব্য করুন