লাল-সবুজ মুরগি (রেসিপি)

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: শুক্র, ১১/০৩/২০১১ - ১:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হলে থাকতে প্রতি মিলেই কমন আইটেম ছিলো মুরগি- একটুকরো মাংস, একটুকরো আলু, আর কিছুটা ঝোল। ঝোল মানে হলুদ গোলানো পানি আরকি। বছরের পর বছর সেই মুরগি খেতে খেতে আরেকটু হলেই আমার মুরগির মত পাখনা গজিয়ে যাচ্ছিলো। তবে সে যাত্রা রক্ষা হয়েছে। পাখনা গজায়নি। কিন্তু শেষ রক্ষাও হয়নি পুরোপুরি। বাসায় বলুন, চাঙ্খারপুলের রেস্তোরাতেই বলুন, বা অন্য কোথাও- মুরগির মাংসের সেই হলুদগোলানো ঝোলের সাথে আদা, জিরা আর বিভিন্ন গরম মশলা যোগ হলেও সেটা সেই জন্মের পরে যেমন খেয়েছিলাম তেমনই রয়ে গেছে। বিদেশি রান্নার অনুষ্ঠানে বা চাইনিজ/থাই খাবারের দোকানে যদিও মুরগির ভিন্ন ধরনের রান্নার খোঁজ পাওয়া যায়। তবে সেগুলো বাসায় করা আরেক ঝামেলা। কখন লাগবে কর্ণ ফ্লাওয়ার কখন লাগবে টেস্টিং সল্ট বা উস্টার সস কে জানে? তাই সেই একই, একঘেয়ে মুরগিই খেয়ে যাচ্ছিলাম বছরের পর বছর।

একদিন দুষ্ট বালিকা খোঁজ দিলো সংসারে এক সন্ন্যাসী নাকি মুরগির অভুতপূর্ব এক রেসিপি জানে। শুধু টমেটো দিয়ে নাকি মুরগি রান্না। আদা-হলুদের কোনো কারবারই নেই! খেতেও নাকি অমিত্তি। শুনতেই আমি আমার দুয়েকটা নাসার (নাসারন্ধ্রে তেলদিয়ে...) প্রজেক্ট ফেলে, এই রান্নার তোড়জোড় করতে উঠে পড়ে লাগলাম। সন্ন্যাসীর দরবারে ধর্ণা দিয়ে রেসিপি উদ্ধার করা হলো। এই রান্নার কী নাম তা কেউ জানে না। সন্ন্যাসী বললো সে এটা শিখেছে তার ভাবির কাছ থেকে। আমাদের শ্রদ্ধেয় সহসচল মেহেবুবা জুবায়ের। তবে এই রেসিপির উৎস এর চেয়ে বেশি ব্যাকট্রাক করা সম্ভব হয়নি এখনো।

একটু পরেই রেসিপিটা বিশদে লিখবো। তার আগে একটু গুণগান করি। এই রেসিপির মজা হলো। মশলাপাতির তেমন কোনো ঝামেলা নাই। তাই বেশ সহজ। ফলে নতুন কেউ রাঁধতে পারবে অনায়াসে। আর স্বাদটা ভিন্ন ধরনের। গতানুগতিক মুরগি রান্না থেকে তাই মুক্তি মেলে। অবশ্য রান্নাটি হয় অতি মৃদু আঁচে, তাই সময় লাগে একটু বেশি। সব মিলিয়ে চমৎকার একটা রান্না। এখন আর কথা না বাড়িয়ে মূল রেসিপিতে চলে যাই...

উপকরণ ও পরিমাণ

১. মুরগি ব্রয়লার বা কক। ১ কেজি।
২. পেকে প্রায় নরম টাইপের টমেটো ৪ বা ৫ টি।
৩. জিরারগুড়া।
৪. কাঁচামরিচ বেশি করে। দশপনেরটি (আসলে আপনার রুচিমত। তবে বেশির দিকে রাখতে হবে।)
৫. ধনিয়াপাতা কুচি বেশি করে।
৬. পিয়াজ। মেগা সাইজের পিয়াজ একটা বা দেড়টা দিলেই হবে। (এইটা বেশি হয়ে গেলেও ক্ষতি নাই)
৭. সয়াবিন তেল।
৮. লবণ।

পদ্ধতি

১. মুরগি ছোটো করে কেটে ধুতে হবে।
২. এরপর টমেটোগুলো ছোটোছোটো করে কিউব করে কাটতে হবে হবে। লুডুর ছক্কাগুটির চেয়ে ছোটো কিউব। কাটার সময় টমেটোর পেটের পানি যেন সব অপচয় না হয় সেই চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ পুরো টমেটোটাই কাটিং বোর্ডে কুচিকুচি করে সবকিছু একটা পাত্রে ঢেলে ফেলতে পারলে ভালো।
৩. পেয়াজ কুচি করতে হবে।
৪. রান্নার পাত্রে প্রথমে তেল নিতে হবে। তেলের পরিমান ইচ্ছা মত। রেফারেন্সের জন্য ডালের চামচের এক চামচ বা দেড়চামচ নিলেই হয়। চাইকি দুই চামচ।
৫. মৃদু আঁচে জলন্ত চুলায় পাত্রে তেল গরম করার পর তার মধ্যে পিয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে। ইন ফ্যাক্ট পুরো রান্নাটাই হবে অতি মৃদু আঁচে। যখন পিয়াজগুলো তেলের মধ্যে নরম হয়ে আসবে, (খেয়াল করুণ ভেজে বাদামি করতে বলিনি কিন্তু) তখন আগের কুচি করা টমেটো সবটুকু দিয়ে দিতে হবে। অল্প একটু লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে। এই লবণের ফলে টমেটো থেকে তাড়াতাড়ি পানি বের হবে। মৃদু আচে নাড়াচাড়া করতে থাকলে একটু পরেই গলে কাদা কাদা হয়ে যাবে।
৬. তখন দিতে হবে জিরা। খেয়াল করুন এই রান্নায় হলুদ, বা গরম মসলা কিছুই নেই। তাই গুড়া জিরা দিতে হবে বেশি করে। বেশি মানে কতটুকু? রাস্তার ধারে চটপটি যদি খেয়ে থাকেন, তাহলে তার ফ্লেভার নিশ্চই মনে আছে? জিরা দিয়ে মৃদু নাড়াচাড়া করলে যদি সেই চটপটির মত ফ্লেভার আসে তাহলে বুঝবেন জিরার পরিমাণ ঠিক আছে।
৭. তো জিরা দিয়ে নাড়াচাড়া করার পরপরই জিরা আর টমেটোর মিশ্র একটা মধুর ঘ্রাণ যখন নাসিকাগ্রে প্রেষণা দেবে তখনই বুঝতে হবে এখন মাংস দেওয়ার সময়। সবটুকু মাংস ঢেলে সঙ্গে পরিমান মতো লবণ (লিঙ্ক) দিন। পরিমান নিয়ে সন্দেহে থাকলে একটু কম কমই দিন। পরে এইটা ব্যালান্স করা হবে। খেয়াল করুন পুরো রান্নায় কোথাও পানি দিতে বলা হয়নি। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। ঈমান ঠিক রাখুন। একটু পরেই টমেটো আর মাংস থেকে এত পানি বের হবে, যে মনে হবে রান্নার পাত্রে নূহের প্লাবন বয়ে যাচ্ছে বুঝি!
৮. তবে চুলায় দুমদুমিয়ে জ্বাল দিলে হবে না। এতক্ষণ যে মৃদু জ্বালের কথা বলছিলাম, সেটাকে এখন মৃদু থেকে ক্ষীণে উত্তীর্ণ করতে হবে। অর্থাৎ চুলার জ্বাল এতটাই কমিয়ে দিতে হবে যেন তার চেয়ে কমালে চুলা নিভেই যায়! তারপর একটু নাড়াচাড়া করে একটা ঢাকনি দিয়ে ভালো করে পাত্রটি ঢেকে দিতে হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনি উঠিয়ে নেড়ে চেড়ে দিতে হবে।
৯. এভাবে চলতে থাকলে একসময় দেখবেন পাত্রে প্লাবন শুরু হয়েছে। মানে পানি উঠেছে। এর পর সেই পানি কমতে শুরু করলে দিতে হবে কাঁচা মরিচ। মরিচগুলো দেওয়ার আগে খাসি করে নিতে হবে। মানে বিচি ফেলে দিতে হবে আরকি। যেহেতু অনেক মরিচ দেওয়া হচ্ছে। বিচি না ফেললে ঝাল বেশি হয়ে যাবে। ওদিকে মরিচের সুমধুর সুবাসটা থাকে মরিচের গায়ে। বিচিতে না। তাই লম্বা ফালি করে কেটে মরিচের মাঝ থেকে বিচিগুলো খাবলে ছিঁড়ে ফেলে দিন। সেই মরিচ দিন রান্নায়। তারপর একটু নাড়াচাড়া করে আবার ঢেকে দিন।
১০. লবণ পরখ করুন। যদি মনে হয় আরো একটু লবণ লাগবে তাহলে দিন। লবণ বেশি হয়ে গেলে আরেকটু টমেটো দিয়ে গ্যাটিস দিতে পারেন। তবে এই রেসিপি নিয়ে সেসব গ্যাটিসের দিকে আমি যাচ্ছি না।
১১. রান্না শেষ করার দশমিনিট আগে। ধনিয়াপাতা কুচি দিন। বেশি করে দেবেন। এতক্ষণ যে রান্না টমেটোর উপস্থিতিতে লালচে ছিলো, ধনিয়াপাতারা যেন তাকে সবুজ করে ফেলতে পারে, সেইরকম ঈমানি জোস নিয়ে ধনিয়া পাতা দিন। নাড়াচাড়া করতে ভুলবেন না। পাতা দেওয়ার সময় স্থলের বদলে জলে ফেলার চেষ্টা করুন। মানে ঝোলের মধ্যে দিয়ে নেড়ে চেড়ে চারিদিকে মিশিয়ে দিন।
১২. চুলা যে ক্ষীণ ভাবে জ্বালাতে হবে তা মনে আছে তো? রান্না শেষে মুরগীর কোনো ঝোল থাকবে না। মানে পুরো এন্ড রেজাল্টটা হতে হবে মাখামাখা। আর খুনতি দিয়ে সারি মাংসগুলোতে চাপ দিলেই বোঝা যাবে সেগুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে।
১৩. এ সময় মৌমৌ গন্ধে ভরে যাবে চারিপাশ। মনে হবে মুরগি ব্যাটাকে এক্ষুণি খেয়ে ফেলি। কিন্তু সেটা করলে হবে না। এই রান্নায় তাড়াহুড়া একদম বর্জনীয়। আল্লাহপাক তো বলেছেনই, “নিশ্চয়ই আল্লাহপাক ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন” তাই রান্না শেষেও ঘন্টাখানেক সংযম পালন করতে হবে। এই সময় টমেটোর রস, কাঁচা মরিচের রস আর ধনিয়াপাতার রস, পরস্পর বিক্রিয়া করতে করতে ঢুকে যাবে মাংসের ভিতরে। আর তখনই পাওয়া যাবে আসল স্বাদ।
১৪. এবার মজা করে নিজে খান। প্রিয়জনকে খাওয়ান। শুভেচ্ছা...


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

ছবি তোলার আগেই খেয়ে ফেলসি! মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সাব্বাশ! এইটা এইবার ট্রাই করতে হবে। দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

তোমার ওছিলাতেই লেখা হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ফটুক কো?

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

স্পর্শ এর ছবি

১ নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ফটুক নাই! মন খারাপ
দর্শনেই অর্দ্ধভোজন না হলে আর কী? প্রথমে ছবি নাই দেখেই রঙীন ভাইয়ের কমেন্ট কপি-পেস্ট মেরেছিলাম। এখন পড়লাম, পড়ে মন্তব্য করতে আসলাম।

মন্তব্য হলো, তোমাকে বাড়িতে দাওয়াত দেয়া হলো, খাওয়ার না, রাঁধবার!! এসে রেন্ধে খাওয়ালে মার্ক্স পাবা, তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। রান্না যদি লেখার মতো সুস্বাদু হয়ে থাকে তো ভালো, নাইলে জরিমানা করা হবে, কী জরিমানা, সেটা চা খেয়ে এসে জানাবোনি।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

স্পর্শ এর ছবি

দর্শনে অর্ধ আর ঘ্রাণে বাকি অর্ধ। আর ভোজন আমার দেঁতো হাসি
কাটাধোয়াকরে সব রেডি করে রাখলে রাঁধতে আপত্তি নেই। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভালো কথা, মুরগি কি হাড়গোর সহ, নাকি হাড্ডিগুড্ডি বাদে টুকরো? লেখ নাই কিন্তু! আজকে একবার অ্যাটেম্পট নিতে পারি।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

স্পর্শ এর ছবি

হাড্ডি তো ছাড়াইতে বলি নাই! অ্যাটেম্পট নিয়ে ফেল। শুধু মুরগীর পরিমান অনুযায়ী টমেটো আর অন্যসবও কমিয়ে বাড়িয়ে নিতে হবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অদ্রোহ এর ছবি

আমরা মজা করে বলি, মুরগি ডিম না পাড়লে আমাদের মত হলবাসীকে অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হত। ইণ্টিগ্রেট করা মাইক্রোস্কোপিক মুরগির টুকরো আর ওই মুরগিরই রান্না করা আন্ডাই আমাদের নিত্যদিনের আহার্য। এই পোস্টকে ও এর রন্ধনপটু লেখককে তাই তীব্র ধিক্কার!!!

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

স্পর্শ এর ছবি

দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পাগল মন এর ছবি

আমিও কয়েকদিন থেকে একই টাইপ মুরগী খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে এখন মুরগী বেইক করা শুরু করেছি।
এরপরে আপনার রেসিপিটা ট্রাই মারতে হবে। আমি অবশ্য আগে টমেটো দিয়ে মুরগী রান্না করেছিলাম কিন্তু বাকি মসলাগুলো একই ছিল। আর এটাতো শুধু জিড়ার উপরে। অবশ্যি ট্রাই করবো।
তবে রান্না খারাপ হলে কিন্তুক আপনার দোষ আর ভালো হলে আমার রান্নার স্কিল। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

স্পর্শ এর ছবি

শুধু জিরা না, ধনিয়াপাতাটাও খুবই ইম্পর্টান্ট। সঙ্গে অবশ্যই শুধু কাচা মরিচ। আর কোনো পানি নয়। এসব মসলায় অরুচি না থাকলে ভালো লাগবেই! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ferioala33 এর ছবি

শুধু কী হল? মেসেও সেইম কাহিনী। আকাইম্মা (!) পোলাপান সব বাজারে যাইতো আর রোজ রোজ 'প্যাকেজ বাজার' (মুরগী-আলু) কইরা নিয়া আসতো। তাও যদি দেশী মুরগী (অথবা মোরগ) হইতো! ফার্মের মুরগীর এহেন পুনঃপুনঃ গলাধরণে অতিষ্ঠ হয়ে একদিন আরেক বন্ধুর কাছে আক্ষেপ করতেছিলাম "দোস্ত, মুরগী খাইতে খাইতে তো গা দিয়া মুরগীর গন্ধ বের হইতেছে! একই তরকারী আর কত?"। কথাটা বোধহয় আমাদের পঞ্চাশোর্ধা খালার কানে গেছে। ঐ দিন রাতেই দেখি নতুন রেসিপি - মুরগী আর বেগুন! খাওয়ার পর অবশ্য দুইটার কোনোটার অস্তিত্বই ঠিকমত টের পাই নাই।

ফেরীওয়ালা৩৩
----------------------------------------------
“কাষ্ঠ এখন মানুষে খায়, মানষরে খায় ঘুনে!”

স্পর্শ এর ছবি

এটাই হয়। তবে এই রান্নাটা ট্রাই করতে পারেন। খালাকে বলবেন সব কিছু রেডী করে দিতে। নিজে স্রেফ আপ্লাই করলেই হবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ট্রাই করুম নাকি আপনেই রাইন্ধা খাওয়াবেন?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্পর্শ এর ছবি

রাইন্ধা খাওয়াইতে পারি। তবে আপনাকে পান-সুপারির ব্যবস্থা করতে হবে। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

এটা চেষ্টা করে দেখেন। নতুন কিছু খাওয়া হবে তাইলে হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অপছন্দনীয় এর ছবি

সবেমাত্র সর্ষেযুক্ত স্যান্ডউইচ খাওয়া শেষ করে একটা ঢেঁকুর তুলবো ভাবছিলাম, এমন সময় এই জিনিস, পুরো তৃপ্তিটাই নষ্ট হয়ে গেলো মন খারাপ যতক্ষণ এটা খেতে না পারবো ততক্ষণ আর কোন খাবারে স্বাদ ফিরে আসবে না মন খারাপ

দিফিও-১ এর ছবি

বাহ বাহ, বেশ কাজের একটা রেসিপি মনে হচ্ছে, ট্রাই দিতে হবে। টমেটোর কোয়ালিটির সাথে সোয়াদটাও মনে হয় কম বেশী হবে। এই দেশে স্বাদবিহীন কিছু টমেটো পাই, তার থেকে একটু টকমিষ্টি টমেটো মনে হয় অনেক ভাল খুলবে।

আমি বাংলাদেশে হলে থাকি নাই, কিন্তু মুরগা তার প্রতিশোধ ঠিকই নিয়েছে। এইখানে মুরগীর দাম গরু-ছাগল-মাছের তুলনায় অনেক কম, মুরগীই তাই কেনা হয় বেশী। মুরগার নতুন রেসিপি খুঁজে খুঁজে হয়রান, এর মধ্যে আপনারটা যেন মরুভূমিতে এক পশলা বৃষ্টি!

স্পর্শ এর ছবি

এই রেসিপিটা যখন পেয়েছি, রান্নার পরে খেয়ে দেখে মনে হল সত্যিই মরুভূমিতে এক পশলা বৃষ্টি। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

জার্মানিতে মাছের দাম বীভৎস রকমের বেশি। টিনের কৌটোর মাছ ছাড়া তাই কেনা হয়না। তারপরও গতদিন আস্ত একখান কিনলাম জীবন বাঁচানোর জন্য। মুরগী আর সহ্য করতে পারতেছি না মন খারাপ ইয়েমেনি দোকানে খুঁজে জিরা আর ধনেপাতা পেলে এই রেসিপিটা ট্রাই করে দেখব।

আরেকটা কথা "আন্দাজ মত" লবন ব্যাপারটা খুবই জটিল। দুবার হাঁড়িসুদ্ধ মাংস ফেলে দিয়েছি লবনের চোটে মন খারাপ সেই দুঃখে কয়েকদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ফেসবুকে। এখানে কপি মেরে দিলাম:

জানি ঠিক বটে দুটি ক্যাসকেডে কতখানি লাগে অ্যাগারোজ
ঠিকঠিক জানি খায় কতখানি ছত্রাকে সেলুলোজ রোজ
কিন্তু যখন রান্নার ক্ষণ কেঁদে কুল নাহি পাই রে
জিভ-পেট বলে, "দেখ, হরতালে, শোধ নেবো বলে দেই রে!"
অশ্রু চক্ষে "রক্ষে রক্ষে" বলে, নেট ঘেঁটে হই সার
জার্নাল ঘাটি প্রবন্ধ চাটি আঁতিপাতি করি ছারখার
শত চেষ্টাতে পারিনে মেলাতে গোসে কতটুকু নুন দেয়
"আন্দাজ মত" মানে ঠিক কত কোনো পাষণ্ড লেখে নাই মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তুলিরেখা এর ছবি

লবণ বেশী হলে ফেলে দেন কেন? আলাদা পাত্রে তেল গরম করে আলু টোমাটো মুগডাল বাদাম এইসব দিয়ে ফুটিয়ে ফুটিয়ে একেবারে ঘন একটা লবণহীন গ্রেভি বানিয়ে মা‌ংসে মিশিয়ে দিলেই পারেন। আমি এইভাবেই করি নিত্যতা সূত্র পালনের সময়। হাসি

আর রাঁধবার সময় অল্প লবণ দিবেন, কারণ পরে খাওয়ার সময় লবণ মিশিয়ে নিতে পারবেন সবসময়। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্পর্শ এর ছবি

লবণ বা অন্যান্য মশলার 'পরিমান মতো' বা 'আন্দাজ মতো' মানে কতটা সেটা নিয়ে একবার সচলেই একটা লেখা দিয়েছিলাম। এখানে লিঙ্ক দিচ্ছি। মূল লেখাতেও লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি। 'কাটিয়ে উঠুন মসলাভীতি'


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তুলিরেখা এর ছবি

এইধরনের চিকেন আম্মো করি, তবে রঙের অর্ডার রিভার্স। আগে সবুজ পরে লাল। গোছা গোছা ধনিয়াপাতা দিয়ে মাঝারি ঢিমা আঁচে আগে চিকেন রান্না, পরে টোমাটোর টুকরা ( কুচি করি না, দুফাল্টা দুফাল্টা করে দিয়ে দিই, রান্নার তাপে সেগুলো গলে গিয়ে নিরাকার হয়ে যায় হাসি ) যোগ করি যাতে তলা ধরে না যায়, মশলা বলতে কারি পাউডার। আর চেরা চেরা ঘন সবুজ ঝাল হ্যালোপিনো, আহা বেহেস্ত হমিনস্ত ( হ্যালোপিনো থাকলে আর আমার কিছু চাই না )।
গরম ভাতের সাথে চমৎকার। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্পর্শ এর ছবি

সবুজ, মানে ধনিয়া পাতা বা কাঁচামরিচের ফ্লেভারটা মনে হয় রাসায়নিক ভাবেই উদ্দ্বায়ী ধরণের। রান্নার শুরুতে দিলে তাই বেশিরভাগ অংশই উড়ে যাওয়ার কথা। চিন্তিত ওদিকে টমেটোর টক টক ভাবটা শুরুতে দিলেও থাকে। আর কারিপাওডার দিলে তো রান্নার সব কারুকাজই ঢাকা পড়ে যাওয়ার কথা ইয়ে, মানে... । লাল-সবুজ অর্ডারে এই ডিশটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। এর মজা হলো মশলা নেই বললেই চলে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পল্লব এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি কবিতা ব্যাপক পছন্দ হইসে!

"আন্দাজ মত" মানে ঠিক কত কোনো পাষণ্ড লেখে নাই

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আমারও একই দশা। পুরাই কনফিউজড। কিছুতেই কিছু মিলাইতে পারিনা। বাকি সব মশলা কোনমতে পার হইতে পারলেও বউরে ঠিকই ঘুম থেইকা ঠেইলা উঠায়া কাচুমাচু মুখে জিগাইতে হয়, "লবণ কত্থানি দিয়াম?" মন খারাপ

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

পল্লব এর ছবি

ফটুক ছাড়া রেসিপি দেওয়াটা খুবই বজ্জাতি হইসে আপনের। লবণ বাদ দিয়া বাকিটা তো সোজাই মনে হইল। লবণটা দেখি কি করা যায়। নরমাল আম্রিকান মুরগার কোন স্বাদ পাইনা। খালি স্তরীভূত মেদকলা। মন খারাপ রক কর্নিশ কিনা ট্রাই দিয়াম নে।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

স্পর্শ এর ছবি

নেক্সট টাইম রাঁধলে সেই ফটূক এখানে আপলোড করে দিতে হবে দেখতেসি। চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

গল্প, আবজাব... সব বাদ দিয়ে এইসব উরাধুরা লেখা দিয়ে আর কতদিন ফাঁকিবাজী করবা?

স্পর্শ এর ছবি

হাতে জং পড়েছে মনে হয়..... রান্নাবান্না করে সেই জং ওঠানোর চেষ্টা করছি দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তাসনীম এর ছবি

ট্রাই করতে হবে, আশাকরি লেখার মতই সুস্বাদু হবে এটা।

এই সুযোগে নিজের লেখার বিজ্ঞাপন দেই একটু।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্পর্শ এর ছবি

আপনার রেসিপিটাও ট্রাই করতে হবে তাইলে। আর সিদ্দিকা কবীরের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ভালো করেছেন। আমিও মাথায় রাখলাম। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

(ডুপ্লি)


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কৌস্তুভ এর ছবি

রেসিপিতে একটা জিনিস ই বাদ গেছে - (গুড়) হাসি

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্কু হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার তো ইলেকট্রিক হিটার, অল্প আঁচ দেবার কোন ব্যবস্থা নাই; সব সময়ই পরিমিত আঁচ। তবুও একটা ট্রাই মারমুনে। টমেটো না দিয়ে টমেটো পেস্ট দিলে কি হবে?
লেখা জোশিলা হইছে।

অনন্ত আত্মা

স্পর্শ এর ছবি

পানি ছাড়া রান্না তাই পেস্ট দিলে নাও হতে পারে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মুস্তাফিজ এর ছবি

ধুর মিয়া পরে কমেন্টাইমু, মাত্র একটা গেলো

...........................
Every Picture Tells a Story

স্পর্শ এর ছবি

জিতবে দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জিইতবে এবাআর জিইইতবেএএ ক্রিইকেএএএট! খাইছে

মেঘলা 2011 এর ছবি

মাছ রান্নার মতো মুরগি রাঁধা....হুমম..রাঁধতে হবে একদিন হাসি

- মেঘলা

স্পর্শ এর ছবি

মাছ এভাবে রাঁধলে আশটে গন্ধ হবার কথা চিন্তিত তবে কাছাকাছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

গিন্নী বাপের বাড়ী গেলে চেষ্টা নেয়া যাবে। হাসি

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

স্পর্শ এর ছবি

গিন্নিকেও বলতে পারেন হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

খাওয়ার জন্য ঢাকায় যামু, না ইউক্রেন...? চিন্তিত

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্পর্শ এর ছবি

যেটা কাছে। আবার নিজের রান্না ঘরে গেলেও পারেন হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

ভালোছবি তোলা হয়নি মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সংসপ্তক এর ছবি

ছবি নাই কেন?

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

স্পর্শ এর ছবি

আপডেটের অপেক্ষায় রইলাম হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফাহিম হাসান এর ছবি

ছবি না দিয় খ্রাপ কাজ করসেন।

পরের উইকএন্ডে রান্না কইরা আপডেট দিমু নে।

আপাতত আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্পর্শ এর ছবি

আপডেটের অপেক্ষায় রইলাম হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মলিকিউল এর ছবি

সেরকম রেসিপি।

কাল রাতে ট্রাই করলাম, সুপার্ব। তবে খাওয়ার পর মনে হলো ডিশটার নাম "চাটনী চিকেন" হলেও মানাবে।

এখনো আঙ্গুল চাটছি, ব্রেকফাস্টেও ওটা দিয়ে কাজ চালিয়েছি কিনা।

স্পর্শ এর ছবি

বাহ! আমারও এই অবস্থাই হয়। এই রান্নাটা খুবই ভালো লাগছে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

(ডুপ্লি)


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

স্পর্শ, খবরে পেলাম, তুমি একটা লেখা দিয়েছো আমার রেসিপি নিয়ে। পড়ে এখনো তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলচ্ছি। লেখাটা বড় সুস্বাদু হয়েছে। আমার রেসিপিটা ছিলো একরকম কিন্তু তোমার লেখার গুনে ওটা এক্কেবারে শিল্পের পর্যায়ে উঠে গেছে।

--------------------------------------------------------------------------------

স্পর্শ এর ছবি

অসাধারণ রেসিপি! খুব ভালো লেগেছে। হাসি রান্নাবান্না করা হচ্ছে আমার অন্যতম একটা হবি। আপনার কাছ থেকে এরকম আরো রেসিপি সংগ্রহ করতে হবে চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কৌস্তুভ এর ছবি

পরখ করে দেখলুম। টাঙ্গাইলিয়ান ভাষায় 'সুন্দর' হয়েছে। ধন্যবাদটা উপরেই কমেন্ট করা ভাবীকেও দিয়ে গেলাম। হাসি

স্পর্শ এর ছবি

বাহ! রেসিপিটা আসলেই চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লাগছে হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া, একবারে রান্না করেই লিখলাম। অ অ অ অসাধারণ।ধন্যবাদ।

আব্দুর রহমান এর ছবি

রান্না করলাম, ভালোই লাগলো, কিন্তু কেমন যেন বাইলা মাছ রান্না করলে যেমন ঘ্রাণ আসে, ঐ রকম।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

আমার দায়িত্ব পালন করলাম, মানে প্রিন্ট করে বাসায় লেখাটা দিয়ে এলাম। এবার ওপ্রান্তের দায়িত্ব পালনের অপেক্ষায়। ইয়ে..মানে..ভালো হবে তো?

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

সাফি এর ছবি

তোমাকে ফেসবুকে ফিডব্যাক দিয়েছি, এখানে ভবিষ্যতের পাঠকদের ফিডব্যাক দিয়ে যাই। রেসিপি আসলেই "ঈমানের সাথে' মেনে চলতে হবে। এত সহজে এত সুস্বাদু খাদ্য রান্না সম্ভব সে ধারনা আগে ছিলনা।

দিফিও-1 এর ছবি

আজকে রাতে ট্রাই করব। আরো মশলা দিতে হাত নিশপিশ করতেছে (অন্তত আদাটা!!) কিন্তু আজ ঈমান ঠিক রেখেই বানাবো, এক্সপেরিমেন্ট আরেকদিন।

আরেকটা মজার কথা বলি, আপনার পোস্টের হেডিংটা দেখে কিঞ্চিত বিরক্ত হইছিলাম, ভাবলাম, মার্চ মাস দেইখা আপনেও কেকা ফেরদৌসীর মত খাবারে দাবারে বাংলাদেশের পতাকা ঢোকানোর তালে আছেন কিনা খাইছে পরে দেখলাম, নাহ ব্যাপার সেইটা না হাসি

টিউলিপ (শুয়ে আছি) এর ছবি

আমি রান্না করে খেয়ে শেষ করেছি দুইদিন আগে। আজকে জানিয়ে গেলাম রেসিপিটা আসলেই জটিল। আজকে আবার মুরগি নিয়ে এসেছি দেঁতো হাসি

guest_writer এর ছবি

ভালো রেসিপি দিয়েছেন তবে ছবি দিলে ভালো হত ।
nawarid nur saba

ইমন এর ছবি

লেখক কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক দিন ধরে মনে মনে এইরকম একটা রেসিপি খুঁজছিলাম। বাঙালি রান্নার বাইবেল সিদ্দিকা কবির এর বই তে এরকম কোন রান্না নাই। এই রেসিপিটা জটিল হয়েছে। জিরাকে এইবার নতুন করে চিনলাম। সাথে আর একটু ফ্লেভার যোগ করতে চাইলে parsley, rosemary, thyme দিয়ে দেখা যায়।

ইমন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।