স্টারবাক্স-এ কফি খেতে গিয়ে আগে একবার খুবই বেকুব হয়েছিলাম। অনার্য সঙ্গীতের ভাষায় বললে 'কুত্তামারা' কফি। ওদিকে অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে গেছে সেই কফি কিনতে। এত বড় এক মগে দিয়েছে যে খাবো না গোসল করব সেটাই বুঝতে পারছি না। অর্ডারের সময় সাইজের অপশন ছিলো তিনটা। সবচেয়ে বাম দিকে লেখা 'tall' মানে লম্বা। তাই সেদিকে না গিয়ে, আমি সবচেয়ে ডান দিকের অপশনটা অর্ডার দিলাম। ভাবলাম ওদিকে নিশ্চই 'শর্ট' বা ছোটোখাটো টাইপ কিছু হবে। কিন্তু বিধি বাম। কফি দিয়েছে এক গামলা। খাও।
চেক ইন করে বসে আছি সেই কখন থেকে। বোর্ডিং শুরু হতে তখনো ঘন্টাখানেক বাকি। স্টারবাকস-এ বসে নেট ব্রাউজ করতে করতে ভদ্রতা দেখাতে গিয়ে এই কফি ক্রয়। আশেপাশে সবাই সেই বিটকেলে কফি চুমুক দিয়ে 'উহু-আহা' টাইপ আওয়াজ তুলছে। আমিও কোথায় জানি দেখেছিলাম স্টারবাকসের কফিই নাকি বিশ্ব সেরা! এই হলো তার অবস্থা। সেই থেকে স্টারবাক এড়িয়ে চলি।
এসব তো গেল আগের কথা। নতুন কথা হচ্ছে, সেদিন আবার গিয়েছি স্টারবাকস-এ। উদ্দেশ্য মহৎ। পড়াশুনা। নিজের ডর্ম রুমেই পড়াশুনার দারুন ব্যবস্থা। কিন্তু সেখানে শয্যা মহাশয় বড়ই ঝামেলা করে। কোনো ধরনের শয্যাসঙ্গিনী না থাকা সত্ত্বেও একটু পরপর ডেকে ডুকে নিয়ে ঠিকই শুইএ ছাড়ে। ওদিকে সুপারভাইজারকে তুষ্ট করতে নানান জিনিস পড়া দরকার। এই স্টারবাকটাও বিশেষ ধরনের। নাম 'লার্নিং ক্যাফে'। মানে বসে বসে পড়াশুনা করার জন্যই স্পেশাল ভাবে বানানো। গ্রাজুয়েট রেসিডেন্সের পাশেই। সেদিন তাই বেশ রাত করে গিয়ে হাজির হলাম সেখানে।
যুতসই একটা সিট বেছে নিয়ে পড়তে বসে গেলাম। নিয়ত করেছি, কোনো কফি-টফি অর্ডার দেব না। ওদিকে রাত গভীর হচ্ছে। এক সময় ঘুম ঘুম পেতে লাগলো। আর কিছুটা লজ্জাও লাগতে শুরু করলো। তাই গিয়ে কফির অর্ডার দিয়ে ফেললাম। এবার আর ভুল নয়। দেখে শুনে 'tall' সাইজে কফি অর্ডার দিলাম। মনে মনে নিয়ত করেছি, চার-পাঁচ প্যাকেট চিনি দিয়ে কফি ব্যাটাকেকে বাগে নিয়ে আসবো। অর্ডার দিয়েছি Caffè latte। মেয়েটা যখন সার্ভ করলো, তখন তো আমি কফির প্রেমেই পড়ে গেলাম। উপরে কী সুন্দর একটা হার্ট বানিয়েছে। এই জিনিসের মধ্যে চিনি দিয়ে ঘুটাঘুটি করবো কেমনে! (জাতিগত ভাবে) গণধোলাইএ পারদর্শী হলেও এত বড় পাষাণ হৃদয় তো আর না। তাই সেবেলাও তিতকুটে কফিটাই উপরের হার্টটাকে ঠিক রাখার চেষ্টা ককরতে করতে একটু একটু করে খেয়ে ফেললাম। সিদ্ধান্ত নিলাম এর পর থেকে এই Caffè latteই খেতে হবে। কী দারুণ একটা শিল্প কর্ম!
আজ সকালেও তাই একই অর্ডার দিলাম। ধরেই নিয়েছি কফিতে চমৎকার একটা হার্ট থাকবে। কিন্তু সার্ভ করার পরে দেখি উপরে শুধুই ফেনা! সার্ভকারী বালিকার দিকে তাকিয়ে বুঝলাম, এ এখনো শিল্পি হয়ে ওঠেনি। আগেরদিনের মেয়েটার চেহারাও ঠিক মনে নাই। তাহলে অন্তত তাকে দেখলেই এসে কফির অর্ডার দেওয়া যেত। বুঝলাম কোনো কিছুই 'গ্রান্টেড' ধরে নেওয়া ঠিক না। তবে এই 'শিল্পহীনতায়' লাভ যেটা হয়েছে, তা হলো, কফিটাকে এক গাদা চিনি দিয়ে খুব করে ঘুটে নিয়েছি। কোনো অপরাধবোধ ছাড়াই।
মন্তব্য
কফি জিনিসটা এখনও খাওয়া শিখলাম না, কফির নামে যেটা খাই সেটা হল টিম হর্টনের ফ্রেঞ্চ ভ্যানিলা। আসলে ছোট থেকে মালাই চা খেয়ে যাদের অভ্যাস তাদের জন্যে লাটে ফাটে যাই কন, বেইল নাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কফি আমি সাধারণত খাই না...
একবার কয়েকজন কানাডিয়ানকে দেখেছিলাম, চায়ে যে দুধ-চিনি দেওয়া যায় সেটাই মানতে পারছে না!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হুম...।।
ওয়েল্কাম ব্যাক।
কফির নকশাখানা তো জব্বর!
তবে,পাশান >পাষাণ
হৃদয়ের মতো সংবেদনশীল অংশ নিয়ে ভুলচুক কি মানায়?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হৃদয় টাকে পাষাণ করে নিলাম। থ্যাঙ্কিউ...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইনিও ওই একই বালিকা ছিলেন বলে সন্দেহ করি। হার্ট না থাকার কারণ দুইটা হতে পারে,
হয়তো, তার একটাই হৃদয় সে আপনাকে দিয়েছে আর আপনি খেয়ে ফেলেছেন!
নয়তো, পরেরবার তার দ্বিতীয় হৃদয় কফিতে ডুবে ছিল বলে আপনি দেখেন নাই! ঘুটা দিয়ে দিছেন!
প্রথমবার বোধহয় এসপ্রেসো পড়েছিল আপনার কপালে। কিন্তু অতো বড় মগে কেন দেবে! সে যাই হোক, স্টারবাক ভালু পাইলাম। অন্তত স্টারবাকের বালিকার সৌজন্যে আপনার লেখা আসল!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হায় রে এ কি শুনাইলা...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আসলেই, আমারও আফসোস হচ্ছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
যাই বলুন, কফিকন্যার চেহারা ভুলে গিয়ে আপনি কিন্তু ক্ষমাহীন অপরাধ করেছেন।
অনেকদিন পর লেখা পড়ছি মনে হয়
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
হ্যা অনেকদিন পর...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্টারবাকসের কফি আসলেই "বিশ্বের সেরা"। তবে দুই নাম্বার পজিশনে আমি আছি।
আবজাব ভাল্লাগছে। বালিকার ছবি সংযুক্ত না করায় 'মাইনাচ'।
ছবি তোলা থাকলে কি আর আফসোস করি...
আপনার রেসিপি সিরাম!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কফি জিনিসটা এখন আমার সহ্য হয় না। তার চেয়ে কালো (এবং/অথবা সবুজ) চা ভালো। স্টারবাকসের কফি খেয়ে সেইরকম জুইতের মনে হয়নি। নামেই অনেক কিছু সেরা হয়ে যায়, কামে না। তবে, ডুসেলডর্ফ এয়ারপোর্টে দুই পদের কফি খেয়েছিলাম। এবার খেয়েছিলাম ট্রেন স্টেশন থেকে এয়ারপোর্ট টার্মিনালে যাওয়ার স্কাই ট্রেনের অপেক্ষায় থেকে। ভ্যান্ডিং মেশিন থেকে 'ভ্যানিলা' নাম দেখে ট্রাই করেছিলাম কফিটা। এইটা জোশ ছিলো। বেশিই জোশ। পরপর দুই কাপ মেরে দিয়েছিলাম। আরেকবার এয়ারপোর্ট টার্মিনালে, একটা ছোট্ট ক্যাফেতে। সেই কফির কাপে আবার একটা কিউই পাতার ডিজাইন করে দিয়েছিলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কফি আমারও তেমন ভাল্লাগে না। তার উপর ঘুম আসে না খেলে। তবে এখানে চৈনিক এবং ভিয়েতনামিজদের সংস্পর্শে এসে নানান রকম চা খাওয়া শিখেছি। একটা আছে রাইস টি। চাল ভেজে টি-ব্যাগে প্যাক করে দেওয়া। সঙ্গে কিছু চাপাতাও হয়তো আছে। গরম পানিতে ভেজাও... খাও। খারাপ না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আহ, কতদিন পর স্টারবাকসের কফি খেলাম... থুড়ি, আপনার লেখা পড়লাম।
...'আই এম স্যাম' ছবিটা দেখার পর থেকে স্টারবাকসের কথা আসলেই আমার সে বেচারার কথা মনে পড়ে।
ম্যালাদিন পর... আই অ্যাম স্যাম কয়েকবার হাতে এসে পড়ার পরেও দেখা হয়নি শেষ মেস...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখা ভালো লেগেছে। কফিকন্যারে খুঁজে নিয়ে তারপর অর্ডার দিবেন...............
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ। দেখি খুঁজে, অন্তত ডিজাইন করা খফি তো খাওয়া যাবে...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কফি ভাল্লাগেনা। লাটে তো নাই-ই
এখনো মনে ইস্মার্ট হতে পারি নাই
হুমম...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার শুধু কফির গন্ধ ভালো লাগে... আর কফি ক্যান্ডি মাঝে মাঝে চলে... আর খেতেই যদি হয় তবে মেলা দুধ-চিনি দেয়া শরবত-টাইপ কিছু হতে হবে সেটা, মগ/কাপের অর্ধেক ফেনা হলে ভালো হয়!
তুমি বালিকার চেহারা ঠিক করে মনে রাখতে পারছো না একথা মেনে নিতে বলো? অবশ্য তারমানে তুমি পড়ালেখায় খুবই ব্যস্ত হয়ে গেছ, এইটাই একমাত্র কারণ হবে। প্রথম দিন ঘুমাতে ঘুমাতে কফির ছবি তুলে রেখেছিলে কী? যাক, স্টারবাকস-এর সৌজন্যে লেখা পাওয়া গেল একটা। মাঝেমাঝেই তাহলে লার্নিং ক্যাফেতে যেও।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পড়তে বসলেই, নানান রকম ব্লগিং এর চিন্তা মাথায় আসে। সে থেকেই এই পোস্ট... ঐদিকে অনেক কিছু পড়ার বাকি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্যান হোসেতে এসে ফিলয ক্যাফেতে খেলাম। পোলিশ সার্ভার বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে বিশুদ্ধ বাংলায় বলল, কেমন আছ? আমি তো অবাক! পরে জানাল ওর গার্লফ্রেন্ড আসামের বাঙ্গালী। আমি জিজ্ঞেস করলাম কোন বাংলা শব্দ বাসায় সবচেয়ে বেশি শুন? বলল, 'হবে না!'।
'হবে না' ... হুমম, কী কী প্রসঙ্গে এটা বলেছে অনুমান করার চেষ্টা করছি...
আমার ভিয়েতনামিজ ল্যাবমেটরাও একবার বাংলায় কিছু কথা বলে আমাকে চমকে দিয়েছিলো। গতবছর ১৬ই ডিসেম্বরে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি ঘোরতর চা-সেবি তবুও স্টারবাকসের কফি দারুণ লাগে। ওদের কফির দাম দেখলে মাঝে মাঝে কফির দোকান দিতে ইচ্ছে করে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ্যা, এমন কি ২৫০ মিলি পানির দামই সাড়েতিন ডলার!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমাদের এখানে ৬০ ডলারে এক কাপ গু কফি পাওয়া যায়। এইটা কি ইস্পিশাল ধরণের Gourmet কফি। সিভেট জাতীয় এক ধরণের প্রাণি এই কফির বীজ খায়, খায়ে পুরা হজম করতে পারে না বলে গুয়ের সাথে একটু আস্ত বের হয়। সেই বীজ পরে আলাদা করে শুকাইলে পরে একটা হেভি নাকি ফ্লেভার আসে আপনে নক্সভিল, টেনেসি আসলে আপনারে খাওয়াব নে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খেয়ে দেখেছেন? সুস্বাদু?
এই কফির কথা শুনেছি। কখনো সুযোগ পেলে চেখে দেখার আগ্রহ আছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ব্যাপারটা পুরোপুরি এরকম নয়! আমার জানামতে ব্যাখ্যাটা এই:
এই প্রাণিটার বৈশিষ্ট হল এরা খুব বাছাই করে একেবারে পুষ্ট/পাকা কফি ফলটাই খায়। এদের পেটে কফির দানা হজম হয় না, হজম হয় কেবল বাইরের আবরণ। যেটা এমনিতেই কফির উপাদান নয়। কফির উপাদান কফি ফলের দানাটা এদের পেটে আস্তই থাকে। কফি হয় সেই দানা থেকে। যেহেতু এরা একেবারে বাছাই করে কফি ফল খায় তাই এদের মাধ্যমে সংগৃহীত কফি হয় সবসময়ই সেরা! (সংগ্রহের পদ্ধতিটা ঠিকই বলেছেন। বাগানে ঘুরে ঘুরে এদের ইয়ে সংগ্রহ করে...)
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কপি লুয়াক।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ঘ্যাচাং_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কফি পছন্দ করি না, কিন্তু এখানকার লোকজন দেখি চায়ে দুধ দিতে দেখলেও কেমন কেমন চেহারা করে।
টিম হর্টনসে দেখি লোকজন আচ্ছামত ডিক্যাফিনেটেড কফি খাচ্ছে, আমার গুরুও আমাকে খাওয়াতে চেয়েছিলেন কয়েকবার, কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনি, যে কফিতে ক্যাফেইন থাকে না সেটা খাওয়ার কারণ কী?
আমি চাখোর। তবে বাসার বাইরে কফি খাই। গরম পানিতে পাতি চুবায় বানানো চা আমার সুবিধা হয়না। যাই হোক, স্টারবাক্সের কফির বিশেষত্ব আমি ঠিক বুঝি না। আমার মনে হয় এই ক্ষেত্রে অনেকে ব্র্যান্ডের গুরুত্বটাই বেশি দেয়। "আমি স্টারবাক্স খাই" একটু আলগা ভাব নিতে দেখি অনেককে।
লেখা ভালো, কফির ছবি সুন্দর।
কথা সত্য। তবে ব্ল্যাক কফি জিন্দাবাদ। ফ্লেভারড কফি বিগ টাইম ফাউল লাগে।
-মেফিস্টো
আমি এমনিতেই বিরাট চা-কফিখোর। ঠান্ডার দেশে এসে নেশা আরো বেড়েছে। ব্ল্যাক ন ডেকারের একটা কফি মেকার সেকেন্ড হ্যান্ড কিনে এনে নানা রকম বিন্স দিয়ে পরীক্ষা করি। সকালে কফির ফ্রেশ গন্ধ না পেলে দিনটাই মাটি। স্টার বাকস আমার মানিব্যাগের স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ, তাই পারতপক্ষে এড়িয়ে চলি। আর ওদের কফিতেও নানা সিরাপ থাকে স্বাদের বারোটা বাজায় দেয়। Tazo বা Frappuccino অবশ্য মজাই।
আপনার ছবিতে হার্ট শেইপের ফোম দেখে মনটা উদাস হয়ে গেল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সার্ভকারী বালিকাদের ছবি না দেওয়ায় মাইনাস। লেখা আর কমেন্ট দুটোই মজার।
বলতে ভুলে গিয়েছি, লেখা খুব ভালো লেগেছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চা-কফি কোনটারই নেশা না থাকলেও দুটোই পছন্দ করি বলে একবার চরিত্রহীন উপাধি পেয়েছিলাম। যদিও কফি বেশি ভালো লাগে। আর লাটে তো ভীষণ রকম। আমার অফিসে সবার জন্য চা বরাদ্দ ছিল, আমি খেতাম না, আমার কফি চাই। সামনেই কফি ওয়ার্ল্ড, ওখান থেকে নিজের টাকাতেই আনিয়ে নিতাম। তাতেও বস খুব মাইন্ড খেয়েছিলেন। উনার ধারণা ছিল কর্মীরা সব নিচু শ্রেনির, ওরা শুধু চা খাবে, উনি মালিক এবং উঁচুশ্রেণীর বলে একাই শুধু কফি খাওয়ার যোগ্য। আমি কফি খেলে উনার নাকি অপমান হয় !!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
স্টারবাকস এর কফিতো আসলেই জোশ। নাহ সমস্যা আপনার!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আমি কফিখোর ! এবং দুধচিনি ছাড়া কফি। তবে ছবিটা দেখে দুধচিনিওয়ালা কফি খেতে ইচ্ছা করতেসে !
কফি ল্যাত্তে আমার খুব প্রিয়। প্রচুর দুধ চিনি দেওয়া, উমম। এদিক ফিনল্যান্ডের মানুষ গড়ে প্রতিদিন নয় কাপ কাফি খায়, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কফিখোর জাতি, বুঝেন কি রকম ক্যাফেইনের মধ্যে আছি
facebook
ঘরে শয্যাসঙ্গিনী নাই বলে কফিসঙ্গিনী খুঁজে নেওয়ার নামে কফি খাওয়া চলছে তাহলে?
খাড়ান জায়গামতো নালিশ করতেছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তানভীর নিশ্চয়ই তুমি...লেখা গূলো পেলাম অনেকদিন পর...আই লাইক ইট...
nawarid nur saba
দুধ-চিনি ছাড়া বিন গ্রাইন্ড করে সদ্য সদ্য করা আমেরিকানো খুব ভাল্লাগে। ভাল্লাগে এস্প্রেসো। চান্সপেলেই ডাবল মেরে দেই। অফিসে সারাদিনে কয় কাপ (আসলে কাপ না, মগ) যে সাবাড় করি তার কোন হিসাব থাকে না। ইদানিং আবার হেলথের লোকেরা শুনি ক্যাফেইন ইন্টেক কমাতে বলছে, সারা দিনে সর্বোচ্চ চার কাপের বেশি চলবে না। এইটা কোন কথা? বিড়ি খাওয়া যাবে না, বোতল খোলা মানা, এখন কফিতেও রেশন! ঘোর কলি!
আগে বাসায় বোতোলের ওই গুড়া কফি কিনে আনতাম, ইচ্ছামত চট করে গরম পানিতে গুলে খেতাম, ভালই লাগত। এখন বিনেরটা খেয়ে খেয়ে এমন অবস্থা পানিতে গোলা ওই জিনিস দেখলে থু করে ফেলে দিতে ইচ্ছা হয়। অভ্যাসে কি না হয়!
অভ্যাসের কথায় মনে পড়ল মোজাম্বিকে থাকতে কফি ল্যাত্তে খাওয়া অভ্যেস হয়েছিল যা এখন দুই চোখে দেখতে পারি না। ওখানে একটা ক্যাফেতে (ক্যাফের নাম ভুলে গেছি, রাস্তার নাম ২৪ ডে জুনিয়ো, ত্রাকাণুর মনে থাকতে পারে সে ওই রাস্তা থেকে বাসে উঠছিল) শুধু কফি খাওয়ার জন্যে যেতাম; ওরা কফি ল্যাত্তে চাইলে একটা বড় কাপে সিঙ্গেল এস্প্রেসো, একটা বিইইইশাল স্টেইনলেস স্টিলের পটে প্রচন্ড গরম দুধ আর একটা চিনামাটির পটে সাদা-বাদামী চিনি, স্যুইটেনার প্যাকসহ গাদা খানিক বস্তু ধরে দিত সামনে। ইচ্ছেমত খাওয়া যেত।
লেখা ভাল্লাগছে তাজা কফির মতই। কয়দিন আগে শুনলাম আমাদের এখানেও কে জানি স্টারবাকসের ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে আসতেছে। ওদের কফি খেয়ে দেখবনি কেমন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন