সবই তো বুঝলাম, কিন্তু...
- জাফর ইকবাল স্যারের গত দশ বছরে কোনো বৈজ্ঞানিক পাবলিকেশন নেই কেন?
- জাফর ইকবাল স্যার ভার্সিটি বন্ধ করিয়ে ছেলেমেয়েদের দুর্বিষহ সেশন জটের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। এ অধিকার কি তিনি রাখেন?
- জাফর স্যার কেন অমুক বিষয়ে লিখলেন না, কেন পরিমলকে নিয়ে লিখলেন না? নিশ্চয়ই তিনি ওসব সাপোর্ট করেন।
- জাফর ইকবাল স্যার নিজের লেখা গণিতের বইয়ের বিক্রি বাড়ানোর জন্য গণিত অলিম্পিয়াড করে বেড়ান।
- জাফর স্যার তো আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে!
- তিনি কেন নিজের ছেলেমেয়েরে বিদেশে/ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ালেন?
- জাফর স্যারের সাইন্স ফিকশনে নায়করা নাস্তিক। এসব দিয়ে তিনি নাস্তিকতার প্রচার করছেন।
- আমেরিকায় ভাত না পেয়ে দেশে চলে আসছে।
- ফিজিক্সে পিএইচডি করে কম্পিউটার শেখাবে কীভাবে?
- বুয়েট-মেডিকেলের মতো জায়গার কত ছেলেমেয়ে এবার এই লিঙ্ক শেয়ার করেছে জানেন? তার শঠতার বিরুদ্ধে একটি গণজাগরণ সংগঠিত হয়েছে!
- জাফর ইকবাল স্যার বাংলা ভাইয়ের চেয়ে কোনো অংশেই কম নন। তিনিও অগণিত শিশু-কিশোরের ব্রেইন ওয়াশ করছেন প্রতিনিয়ত। তাদের বুকে ঘৃণার বীজ বপণ করছেন।
নারী-পর্দা-হিজাব-বুরখা-নিকাব:
- কলা আল্লাহ প্যাকেট করে দিয়েছেন, চকলেটও ফ্যাক্টরি থেকে প্যাকেট হয়েই বের হয়, কিন্তু তাদের চেয়েও অমূল্য যে নারী, তাকে কীভাবে প্যাকেট না করার কথা ভাবি?
- ইরান ও মালয়েশিয়ায় মেয়েরা হিজাব পরে, ওরা কত উন্নত!
- পর্দা প্রথা উন্নয়নের পথে অন্তরায় নহে। পর্দা করেও বহু মেয়ে পিএইচডি করছে, স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করছে -কীভাবে হল এইটা?
- কতো মেয়ে স্বেচ্ছায় বোরখা পরে জানেন?
- যারা হিজাব করে না, তারা তো ইভটিজিং এর শিকার হবেই!
- একজন মেয়ে যদি নিজেকে সামলিয়ে চলতে না পারে, পুরুষকে প্রলুব্ধ করে, ঐ দুর্বল-কাতর মুমিন যদি নিজেকে সামলাতে না পারে - তাহলে কি সব দোষ ঐ পুরুষের? টাইট জিন্স আর ফতুয়া পড়া মেয়েটার কোনো দোষ নাই?
- বোরখা না পরলে সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যাবে।
- বোরখা একটি প্রতিরক্ষা বর্ম।
- আপনি কি চান, আপনার মা-বোনরাও বিদেশিদের মতো খুল্লাম খুল্লা হয়ে ঘুরুক?
- সৌদি আরবে যখন বিদেশিনীরা যাবে, তখন তাদের তো বোরখা পরতেই হবে। ওদের দেশে যাবা আবার ওদের আইন মানবা না?
- ফ্রান্স বোরখা/নিকাব নিষিদ্ধ্ব করলো কেন? এ কেমন ধৃষ্ঠতা! ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
- বাংলাদেশ বা পাকিস্থানের তুলনায় আমেরিকায় কত বেশি রেইপ হয় জানেন?
যুদ্ধাপরাধ:
- এখন সবাই মিলে সামনে এগিয়ে যাবার সময়, তবুও অতীত নিয়ে কেন পড়ে আছি আমরা?
- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে ঐ আধপেটা খেয়ে থাকা বরগা চাষী কি পেট ভরে খেতে পারবে?
- ওরা তো যা করেছে দেশপ্রেম থেকেই করেছে, ওরা চায়নি ৪৭ তে অনেক সংগ্রাম করে পাওয়া তাদের প্রিয় স্বদেশভুমিটা ভেঙে যাক। এমন চাওয়া কি ভুল? পাহাড়িদের ব্যাপারে আমরাও কি তাই করছি না?
- ছাগু ছাগু করে যারা হাউকাউ করে তারা উগ্র জাতীয়তাবাদী। নিশ্চই জানেন উগ্র জাতীয়তাবাদ ঘৃণ্য ব্যাপার?
- তুমি একজনকে ঘৃণা করো, তাই বলে আমাকেও কি তাকে ঘৃণা করতে হবে?
- আমরা যুদ্ধে জিতেছি বলে ইতিহাস আমাদের মতো করেই রচিত হয়েছে। পাকিস্থানি সেনাদের কাঁধে তাই চাপিয়ে দিচ্ছি যুদ্ধাপরাধের দায়।
- ঘৃণার বীজ আর কত বুকে নিয়ে ঘুরবো? একসময় তো মানবতার জয় হতেই হবে। মিলে মিশেই এগিয়ে যেতে হবে তাই।
- নিরস্ত্র বিহারিদের কি মারা হয় নি?
- তাহলে বঙ্গবন্ধু এদের বিচার না করে মাফ করে দিলেন কেন?
- আওয়ামীলীগ নিজেই তো জামাতের সাথে জোট করেছিলো। এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের নাটক করছে। আপনি কি মনে করেন আওয়ামীলীগ সত্যিই এ ব্যাপারে আন্তরিক?
- যারা জামাত-শিবির করে তারা সবাই কি খারাপ? অনেকের তো জন্মই হয়েছে ‘গন্ডগোলের’ অনেকপরে। তাদের কী অপরাধ?
- নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযম, এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনোই প্রমাণ নেই! নাহলে এতদিনে তাদে সাজা হয়েই যেত। সব আওয়ামী ষড়যন্ত্র।
- পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক, এসব নিয়েই লাখো সমস্যায় হিমসিম খাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে সেই কোন অতীতের ঘটনার বিচারের মতো বাড়তি ঝামেলা করার কোনো মানে আছে? ওতে কি বর্তমানের সমস্যাগুলো কাটবে?
- শর্মিলা বসু অক্সফোর্ডের মাস্টার, তিনি কি শুধু শুধু মিথ্যা কথা বলবেন? তাছাড়া তিনি পাকিস্তানের না, তিনি একজন বাঙালি।
- আমাকে ছাগু ছাগু করছেন, জানেন আমার বাবা কত বড় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?
এমন সব তীক্ষ্ণ-লক্ষ্যভেদী আকাশ থেকে আমদানি করা যুক্তি/প্রশ্নের সম্মুখীন হই আমরা প্রতিনিয়ত। কখনো ইনি করেন, কখনও উনি করেন। দুদিন পরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করেন অন্য কেউ। ধৈর্য ধরে উত্তর দিয়ে যাই আমরা অনেকেই। যেমন নিজের কথা বলতে পারি, এখানে উল্লেখিত প্রতিটা প্রশ্ন নিয়েই বিভিন্ন উপলক্ষ্যে কত শত ঘন্টা, কত শত কী-স্ট্রোক যে অপচয় করেছি তার ইয়ত্তা নেই। ছাগুদের মস্তকে কিছু ঢুকবে না জেনেও তাহলে কেন এই অপচয়ে লিপ্ত হই? হই অন্যদের কথা ভেবে- নতুন কেউ যেন আগপিছু না ভেবেই এসব কুযুক্তির ফাঁদে না পড়েন। আবার কখনও নিজের মতামত ব্যাখ্যা করার দায়িত্ববোধ থেকে। এভাবে কত চিন্তাঘন্টা, কত শ্রমঘন্টা, যে ফেসবুকের আনাচে কানাচে, ব্লগের কোনো গহীন পাতায় পড়ে রইলো! ছাগু নন এমন সবারই নিশ্চই এমনটা হয়েছে।
এবার এসেছে এ নিয়ে কিছু করার। তাই, একটা সম্মিলিত FAQ পাতা তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে এই পোস্টের অবতারণা। ঘুরেফিরে যেসব প্রশ্ন ছাগু, ছাগুবান্ধব, আর তাদের কুটচালে বিভ্রান্তরা আপনাদের করছেন সেগুলো শেয়ার করুন। এখানে উদাহরণ হিসাবে, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, নারী-বুরখা, আর যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক কিছু স্যাম্পল প্রশ্ন দেওয়া হলো। এই লিস্ট এখানেই সীমিত নয়। এগুলো বা অন্য আরো বিষয়ে (যেমন- আদিবাসী, মেহেরজান, শর্মিলাবসু, ক্ষুদ্রঋণ, মৌলবাদ, আর্মি,... ইত্যাদি ) যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন সেগুলোও তুলে ধরুন। নিজের মনে যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলেও নির্দ্বিধায় করুন। এসব প্রশ্নের যদি চমৎকার উত্তর আপনার কাছে থাকে, বা কাউকে কোথাও চমৎকার কোনো উত্তর দিতে দেখে থাকেন, তাহলেও কৃতজ্ঞতাস্বীকারসহ শেয়ার করুন।
FAQ পাতায়, নবীন কিশোর-তরুণদের বোঝার উপযোগী, সহজ আর সংক্ষিপ্ত উত্তর, ও সেই সঙ্গে বিস্তারিত তথ্যের/আলোচনার জন্য সে সম্পর্কিত খবর/বই/ব্লগ/ডকুমেন্টারি/উইকিপেজ ইত্যাদি উৎসের লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। উদাহরণ হিসাবে হিমু ভাইয়ের এই পোস্টটা দেখা যেতে পারে। একদিনে, বা একার পক্ষে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু ধরুন কখনও আপনি একটি, বুঝে বা না বুঝে করা, ছাগুপ্রশ্নের সম্মুখীন হলেন, বা তার উত্তর দিলেন। সাথে সাথে এসে যদি এখানে সেটা শেয়ার করেন, দেখবেন খুব দ্রুতই পুনর্ব্যবহারোপযোগী একটা বিশাল আর্কাইভ দাঁড়িয়ে গেছে।
এই শ্রম বিচ্ছিন্নভাবে আমরা প্রতিনিয়তই দিচ্ছি। এখন সময় এসেছে সেটাকে একত্র ও অক্ষয় করার।
কৃতজ্ঞতা- শিরোনাম সহ, অনেকগুলো প্রশ্ন, আর উৎসাহ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন কয়েকজন সহসচল/হাচল(হিমু, অকুতোভয় বিপ্লবী, অনার্য সঙ্গীত, ফাহিম হাসান, টিউলিপ,ইশতিয়াক রউফ, শাহেনশাহ সিমন,শুভাশীষ দাশ, সাফি, তানভীর, নজরুল ইসলাম,... প্রমুখ)। তাদের সহ, আরো যারা এখানে প্রশ্ন ও উত্তর দিয়ে অবদান রাখবেন প্রত্যেককে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মন্তব্য
জাফর ইকবাল স্যারের গল্পে ভিলেনরা মোল্লা বা রাজাকার এবং তারা সবাই দাঁড়িওয়ালা। গল্পের কিশোর নায়কেরা প্রায়ই দাঁড়ি টেনে ছিড়ে ফেলার কথা বলে।
আমি জাফর ইকবাল স্যারের একজন ফ্যান, কিন্তু উনি যে এই কাজটা করলেন ...(উপরের যেকোন একটা অপপ্রচার)
বোরখা
দুইটা দোকানে একখানে খোলা খাবার বিক্রি হচ্ছে আরেক খানে ঢেকে রাখা খাবার। মাছি তো খোলা খাবারেই বসবে নাকি?
মুমিন ভাইদের মাছির সাথে তুলনা দিতে পাল্লেন?
এক্কেরে যারে বলে দুধের মাছি
হ
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ভাই আপনারা কিভাবে এত সুন্দর ভাবে লিখেন??? সহমত।
জাফর ইকবাল স্যারকে অসম্ভব পছন্দ করার পরও তার কিছু কিছু কথা শুনলে ওনার প্রতি respect totally চলে যায় ।
সহমত। উনি যাকে বলে এক্টা যা তা রকমের খারাপ লুক। আপনে উনারে পছন্দ করেন কেন? রেস্পেক্ট টোটালি যাবার পরে কি আবার পার্শিয়ালি ব্যাক করে নাকি টোটালি ফিরে আসে?
একটা ওয়েবসাইট খুলে ফেলা যায়।
অলস সময়
বুলেট পয়েন্ট আকারে দিলে ভাল হইতো!
বুলেট পয়েন্ট (নাম্বারিং সহ দেখায় যেটা) সেরকম দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। সিনট্যাক্স টা মনে নেই। আর সচলের অক্ষরবিন্যাস বিষয়ক FAQ পাতাটিতেও কী যেন গড়বড় হয়েছে। কী করতে হবে তা দেখা যাচ্ছে না।
জানা থাকলে শিখিয়ে দিন প্লিজ।
আর মজার মজার প্রশ্ন সাপ্লাই দিতে ভুলবেন না
EDIT: বুলেট নাম্বার দিতে পেরেছি অবশেষে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বুলেট লিস্ট [লিস্ট]
নাম্বারড লিস্ট [লিস্ট=1]
অ্যালফ্যাবেটিক্যাল লিস্ট [লিস্ট=a]
প্রতি পয়েন্টের শুরুতে [*]
বিবিকোড ক্লোজ করতে [/লিস্ট] দিতে ভুইলেন না।
এইবার আমারে থ্যাংকু দেন।
থ্যাংকু হে দুলুনিবিজ্ঞানী।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি কিন্তু দুলুনিবিজ্ঞানী না, অন্য কিছু।
হ। এই সব প্রশ্নের উত্তর যে কতোবার দিতে হলো তার কোনো হিসাব নাই। একটা faq পাতা থাকলে বিরাট সুবিধে হবে, প্রয়োজন হলে লিংকও ধরিয়ে দেয়া যাবে।
আমি সাথে আছি।
_________________
[খোমাখাতা]
গাছে বরই থাকলে তো ঢিল পড়বেই [বরই পেড়ে নেয়া হোক, সম্ভব হলে না পাকতেই :P]
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
আমার কাছে একটা বিশাল ছাগুযুক্তির ফেসবুক থ্রেড আছে ... একবার বাংলায় অনুবাদ করে পোস্ট করতে চেয়েছিলাম সচলে ... নাম ধাম চেঞ্জ করে পোস্টাবো? নাকি মন্তব্যে শুধু পয়েন্ট আকারে প্রশ্ন চাচ্ছেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পাকিস্তান সাপোর্ট করা একটা বড় ইস্যু ...
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এক বুয়েট জুনিয়র "নাস্তিকদের সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত কি না?"-এই ফেসবুক question-এ বলেছিলো "কখনোই না"। এরপর আমি তাকে ব্লক করে দেই। ধর্মীয় চরমপন্থা ছাপগুপনার লক্ষণ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ছাগুমিথ ১: ইরান ও মালয়েশিয়ায় মেয়েরা হিজাব পরে, ওরা কত উন্নত, আর আমরা হিজাব পরতে চাইলে বলা হয় আমরা পিছিয়ে পড়বো।
উত্তর:
নিচের গ্রাফটিতে ইরান আর মালয়েশিয়ার মাথাপিছু জিডিপি (মার্কিন ডলারে) দেখা যাচ্ছে, সময়সীমা ১৯৬৫-২০১০।
ইরান বা মালয়েশিয়ার উন্নতির পেছনে মেয়েদের পর্দার কোনো ভূমিকা নেই। ভূমিকা আছে তেলের, এবং মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বের। ১৯৮১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মাহাথির মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এবং এ সময়ের ভেতরে ১৯৯৭ সালের এশিয়ান ইকোনমিক ক্রাইসিসে ছাড়া মালয়েশিয়ার মাথাপিছু জিডিপি একটানা বেড়েছে।
যদি পর্দার কারণে ইরান বা মালয়েশিয়ার উন্নতি হতো, তাহলে আমরা আশা করতে পারি যে ইয়েমেন ও মৌরিতানিয়া, যেখানে কঠোরভাবে পর্দাপ্রথা মেনে চলা হয়, সে দেশেও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। কিন্তু একই গ্রাফে আমরা যদি ইরান, ইয়েমেন ও মৌরিতানিয়াকে রেখে দেখি,
আমরা দেখতে পাই, ইরানের তুলনায় ইয়েমেন বা মৌরিতানিয়ার মাথাপিছু জিডিপি অনেক কম। কাজেই এটা পরিষ্কার যে তিনটি দেশেই মেয়েরা বাধ্যতামূলক পর্দা করলেও, সেই পর্দার প্রভাব তিন অর্থনীতিতে ভিন্ন হচ্ছে। এর কারণ, ইরানের প্রচুর তেল মজুদ রয়েছে, যা ইয়েমেন বা মৌরিতানিয়ার নেই।
তাই হিজাব বা বোরখা পরলে আমরা ইরান বা মালয়েশিয়া হয়ে যাবো, এমন আশা দুষ্কর, কারণ আমাদেরও তেল নেই। বরং ইয়েমেন বা মৌরিতানিয়ার মতো পরিণতি হতে পারে আমাদের।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হিমু ভাই, উত্তরটা জোস হইসে।
ভাই আমি ছাগু নই , তবে আপনার যুক্তি ধরেই বলি ,পর্দা না করলেই কি আমাদের GDP আকাশ্চুম্বি হইয়ে যাবে??আমি মনে করি না যে পোশাক আশাক দিয়েই একজন নারির স্বাধীনতা মাপা সম্ভব! সৌদির নারিরা পর্দা করে তারা কি স্বাধীন? না আমেরিকার মেয়েরা নিষ্পেশিত হয় না পুরুষদের দারা!!! তবে পর্দা করার মাধ্যমে যৌন অযাচার কিছুটা হলেও কম করা সম্ভব।
ভাই, সবইতো ভাল বললেন, শেষে এসে তো নিজের সিদ্ধান্তটা ঠিকই চাপায়ে দিলেন - তবে পর্দা করার মাধ্যমে যৌন অযাচার কিছুটা হলেও কম করা সম্ভব। কী তথ্যের ভিত্তিতে কথাটা বললেন তা বুঝতে পারলাম না।
আপনার কি ধারণা যে যৌন অযাচার করতে চায় সে বোরকা খুলতে জানে না? যে লোক নেংটো মেয়ে দেখলে রেপ করতে ছুটবে সে বোরকা পরা মেয়ে দেখলেও রেপ করতে ছুটবে।
সহমত, দ্রোহী ভাই।
লোহিত শুভ ভাই, এটাই তো বলছি, দেশের উন্নতির সাথে পর্দার কোনো সম্পর্ক নাই। জিডিপি বাড়াতে গেলে কাজ করতে হবে। সেই কাজ নারী পুরুষ দুইজনকেই করতে হবে।
তা আপনি বোরখা পরবেন কবে থেকে? যৌন অজাচার কিছুটা হলেও কম করুন ভাই।
মেয়েরা পর্দা না করলে ইভ-টিজিং হবেই। সমাধান- মেয়েরা পর্দা করো।
টুপি-দাড়ি নিয়ে চললে পাকি, রাজাকার, টাওয়েলহেড শুনতে হবে, মারধোরও করা হয়ে থাকে পশ্চিমা দেশ গুলোতে। সমাধান- টুপি, দাড়ি বন্ধ করো(আর আল্লার ওয়াস্তে গোসল করো)
আহারে এত সোজা সরল কইরা কেন যে কেউ কয় না
সউদী শেখরা আশে পাশে পর্দানশীন রমণী দেখতে দেখতে কেমন করে কখন যে দাসীদের ওপর অনাচার করে ফেলে! এইটা মনে হয় যৌন অযাচার না। কারন দাসীর ওপর মালিকের হক আছে, কি বলেন? মারহাবা মারহাবা ... লম্পটদের মার থাবা।
অনেক দিন আগে একটা বই পড়েছিলাম। এক আরব রাজকন্যার আত্নজীবনী ''দ্য প্রিন্সেস''। এখন বইটা আমার সংগ্রহে নেই, কার লেখা সেটাও মনে পড়ছে না। কেউ আমার কাছে রেফারেন্স চেয়ে বিপদে ফেলবেন না।
বইটাতে রাজকন্যা তার নিজের এবং তার আশেপাশে দেখা নারীদের কথা বলেছেন। সেদেশে রজঃস্বলা হবার দিনেই নারীদের বোরখা পরা শুরু করতে হয়। আর সেখানকার পুরুষদের চোখে বোরখা পরা নারীটি বেশি আবেদনময়ী। যে মেয়েটি গতকাল বোরখা ছাড়া মার্কেটে ঘুরে বেড়িয়েছে, কেউ তার দিকে তাকায় নি। সাবালিকা হবার পরের দিনে বোরখা পরে বের হবার পরেই সবার দৃষ্টি কেড়ে নিল। যস্মিন দেশে যদাচার।
বাহ বাহ! World Bank বলল আর আমরা মেনে নিলাম....... আর তুলনা তো same level এর দেশের মধ্যে হয় তাই না?
ছাগুসনাক্তকরণে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো "জাকির নায়েক"।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হ
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
এই লোক্টা কে, গুগল করে কিছু ভিডিও পেলাম (বড়ই কষ্টের এক্সেন্টে কথা বলেন, বুঝতে গিয়ে দাঁত ভাঙার জোগাড়), বিগ শট পীর নাকি?
শাফি।
চমৎকার উদ্যোগ। সাধুবাদ।
হিজাব অংশের ১১ নং প্রশ্নের এর উত্তর ১০
এত বছর পর এইসমস্ত পুরাতন প্যাঁচালে কান দিয়ে সময় নষ্ট না করে আমাদের আসলে এগিয়ে যাওয়া উচিত। সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নতির জন্য চেষ্টা করা উচিত। বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশ ও জাতিকে কিভাবে রক্ষা করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
সবাই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। আগ্রহ পড়ে যাবার আগেই বিষয়টা দাঁড়ায়ে যাক। খুবই কাজে লাগবে ভবিষ্যতে। মুক্তমনার বিবর্তন আর্কাইভের মতো।
ব্যাপক একটা পোস্ট।
এইটা একটা ভালো কাজ হচ্ছে। সাথে আছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ছাগুবাবা জোকার নায়েক ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যুদ্ধাপরাধ অংশের ৯ নাম্বার উত্তরঃ
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দালালীর জন্য ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আটক হয় - ৩৭ হাজার ৪ শত ৯১ জন
ট্রাইবুনাল গঠিত হয়- ৭৩ টি ( সারা বাংলাদেশে )
১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত উক্ত ট্রাইবুনাল গুলোতে দায়ের করা মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় মোট ২ হাজার ৮ শত ৪৮ টি মামলা ।
দোষী প্রমাণিত হয় - মোট ৭৫২ জন
মামলায় খালাশ পায় - ২ হাজার ৯৬ জন ।
আইনগত ব্যাবস্থায় দ্রুততা আনার জন্য সে সময় ৭৩ টি ট্রাইবুনালের ব্যাবস্থা করা হলেও প্রতিদিন ৩-৪ টির বেশী মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি এবং মাসে যার পরিমাণ ছিলো ১৩০ টির মত মামলা ।
সাধারন ক্ষমা সংক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর একটি ভিডিও লিঙ্কঃ
http://www.youtube.com/watch?v=HJNJOf7EJuI&feature=player_embedded
যারা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা কে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করতে চায় বরাবর-ই তাদের উদ্দেশ্য ছিলো এই ক্ষমা'র কথা বলে নিজেদের ঘৃণ্য অপরাধকে আড়াল করা । কিন্তু বাস্তব বড় নির্মম । যা সত্য , তা সত্যই । একে লুকোনো বা আড়াল করবার ক্ষমতা কারো নেই ।
এই সাধারণ ক্ষমা বিষয়ক প্রপাগান্ডার কয়েকটি জলজ্যান্ত উদাহরণ আপনাদের আজ দেখাচ্ছি ।পাঠকরা দয়া করে সময়কাল গুলো লক্ষ্য করবেন ভালো করে । সাধারণ ক্ষমা ঘোষিত হয়েছিলো ১৯৭৩ সালের ৩০ শে নভেম্বর । রাজাকার-আলবদর আর তার দোসররা এই ক্ষমাকে যে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে তা আপনাদের আগেই বলেছি । লক্ষ্য করুন নীচের লেখাগুলো-
১) ইত্তেফাকের একটি রিপোর্টঃ ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখে,
দুইজন আলবদরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
“ঢাকার ৩য় স্পেশাল ট্রাইবুনাল জজ জনাব এস এম মাহমুদ গত শনিবার হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করার দায়ে আল বদর মকবুল হোসেন , আয়ুব আলী ও আতিয়ার রহমানকে দোষী সাব্যাস্ত করিয়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন । আসামী আতিয়ার রহমান পলাতক বিধায় তাহার গ্রেফতারের দিন হইতে রায় কার্যকরী হইবে” (সংক্ষেপিত)
২) দৈনিক পূর্বদেশের একটি রিপোর্টঃ ১৯৭৪ সালের ২-এপ্রিল
দালালীর দায়ে বরিশালে ১৪ জনের মৃত্যুদন্ড
“বরিশাল জেলার সেশন জজ জনাব আর কে বিশ্বাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনীর সাথে সহযোগিতা ও হত্যার অভিযোগে আব্দুল মালেক বেগ সহ আরো ১৪ ব্যাক্তিকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছেন । আদালতের কার্যবিধিতে বলা হয়েছে ১৯৭১ সালের ২২ শে আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অভিযুক্তরা মেহেদীগঞ্জ থানার ভাষাঞ্চর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ততকালীন কোষাধ্যক্ষ জবনাব আব্দুল বারী মোল্লার দোকানে চড়াও হয় । তারা আব্দুল বারী মোল্লাকে হত্যা করে ও দোকান লুট করে ।
৩) দৈনিক সংবাদের একটি রিপোর্টঃ ১৯৭৫ সালের ২০ শে এপ্রিল
পাক দালালীর দায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
“কুমিল্লা জেলার দায়রা জজ এবং ১ নং বিশেষ আদালতের সভাপতি জনাব কায়সার আলী সম্প্রতি দালালীর দায়ে দু;ব্যাক্তিকে যাবজ্জেবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন । মামলার বিবরণে প্রকাশ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদ তদানীন্তন পাকিস্তান আর্মির হাবিলদার এবং ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন । ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী বাঙ্গালীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে তিনি পালিয়ে এসে কিছু কাল বুড়িচং থানার আরাম আনন্দপুরস্থ তার নিজ বাড়ীতে অবস্থান করেন । পরে তিনি ভারতে চলে যান এবং মুক্তিযুদ্ধের যোগ দেন । কিন্তু দৈহিক অপারগতার দরুণ তিনি আবার নিজ বাড়ীতে ফিরে লুকিয়ে থাকেন । ১৯৭১ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর কথিত বিবাদীদ্বয় কয়েকজন রাজাকার নিয়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর লোকেরা রফিক উদ্দিনের বাড়ী ঘেরাও করে এই বাড়ীর আব্দুর রশিদকে তার ঘর থেকে বের করে আনে । পরে বিবাদী দু’জন সহ পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরেরা রফিক উদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে বের করে এনে বিবাদী আব্দুল হামিদের সম্মুখে একত্রিত করে উক্ত মামলার সরকার পক্ষের মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এবং সরাক্র পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন সরকারী উকিল কাজী হাচিবুর রহমান । আদালত বিবাদীদেরকে বাংলাদেশ ফৌজদারী দন্ড বিধির ৩৬৪/৩৪ ধারার সাথে রাষ্ট্রপতির আদেশ ৮ এর ১১(এ) মতে দোষী সাব্যাস্ত করেন এবং উপোরোক্ত কারাদন্ডের নির্দেশ দেন” (আসামী দ্বয় হচ্ছেন- আব্দুল হামিদ আজিজুল্লাহ ও আব্দুস সোবাহান । উল্লেক্ষ্য মামলা চলাকালীন সময়ে আব্দুস সোবাহানের মৃত্যু হয় )
উপরের তিনটি পত্রিকার রিপোর্ট দেয়ার মানে হচ্ছে এই , যদি ৩০ শে নভেম্বর ১৯৭৩ সালের সাধারণ ক্ষমাতে সব রাজাকার রা মাফ-ই পেয়ে যেতো , তবে সেই তারিখের পর দুই বছর পর্যন্ত কিভাবে জাজ সাহেব রায় দিলেন বা মামলা চলেছিলো?
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার ৫নং ধারার (ক) অনুচ্ছেদে যে বিধান রাখা হয় তাতে সত্যিকার অর্থে কোন যুদ্ধাপরাধী মুক্তি পাওয়ার কথা নয়। কারণ ঘোষণার ৫ নং ধারায় বলা হয়েছে - ( এই অংশটি সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ব্লগার একরামুল হক শামীম ভাই)
" যারা বর্ণিত আদেশের নিচের বর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরোদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরোদ্ধে নিম্নোক্ত ধরা মোতাবেক কোনটি অথবা সবকটি অভিযোগ থাকবে
"(১) ১২১ (বাংলাদেশের বিরোদ্ধে যুদ্ধ চালানো অথবা চালানোর চেষ্টা), (২) ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরোদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র), (৩) ১২৮ ক (রাষ্ট্রদ্রোহিতা), (৪) ৩০২ (হত্য), (৫) ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা), (৬) ৩৬৩ (অপহরণ), (৭) ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ) (৮) ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ), (৯) ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা), (১০) ৩৭৬ (ধর্ষণ), (১১) ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি), (১২) ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তিকালে আঘাত), (১৩) ৩৯৫ (ডাকাতি), (১৪) ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি), (১৫) ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্বক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি), (১৬) ৪৩৫ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধণ), (১৭) ৪৩৬ (বাড়িঘর ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার), (১৮) ফৌজদারী দন্ডবিধির ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন) অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান। এসব অপরাধী কোনভাবেই ক্ষমার যোগ্য নন।"
এখন প্রশ্ন হলো সুনির্দিষ্টভাবে এই ১৮টি ধারা উল্লেখ করার পরও কি কেই বলতে পারে যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের ছাড়া পেয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে ? সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও ১১ হাজারের বেশি ব্যক্তি এ সকল অপরাধের দায়ে কারাগারে আটক ছিল এবং তাদের বিচার কার্যক্রম চলতে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই প্রসঙ্গে এই রচনায় আলোচনা না করে ফিরে যাই সাধারণ ক্ষমা প্রসঙ্গে। এই সাধারণ ক্ষমা নিয়ে একটা বিতর্ক থেকেই যায়। শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন কিসের ভিত্তিতে ? সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি কি শুধুই সহানুভুতিতার বিষয় নাকি সেখানে সাংবিধানিক কোন বৈধতা রয়েছে ? বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমা প্রদর্শনের সুযোগ রয়েছে। লক্ষ করি বর্তমান সংবিধানের ৪৯ নং অনুচ্ছেদ (১৯৭২ সালের সংবিধানের ৫৭ নং অনুচ্ছেদ)
" The President shall have power to grant pardons, reprieves and respites and to remit, suspend or commute any sentence passed by any court, tribunal or other authority."
অর্থাৎ " কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন দন্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোন দন্ড মওকুফ স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।"
সুতরাং বলা যায়, শুধুমাত্র শাস্তি এবং দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার আছে রাষ্ট্রপ্রধানের। কিন্তু যারা শাস্তি কিংবা দন্ড পাননি তাদেরকে কি সাধারণ ক্ষমা করা যাবে?
আরেকটি কথা এখানে বলে রাখা ভালো যে সাধারণ ক্ষমার এমন নিদর্শন কম্বোডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রেও দেখা যায় । ১৯৯৬ সালে রাজা নরোদম সিহানুক রেভ্যুলুশনারী ট্রাইবুনালে খেমাররুজ নেতা মানে পলপট সরকারের বিদেশ মন্ত্রী ইয়েং স্যারির দন্ডের মার্জনা ঘোষনা করেন । তবে এই ক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে , কম্বোডিয়ায় দন্ড পাওয়ার পর যুদ্ধাপরাধী স্যারির দন্ড মওকুফ করা হয়েছে কিন্তু ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী ৫৭ নং অনুচ্ছেদে শুধু মাত্র দন্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা ঘোষনার এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির থাকলেও , বঙ্গবন্ধু দন্ডিত হননি এমন ব্যাক্তিদের সাধারণ ক্ষমা করেছেন । এই যুক্তিতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনাটিকেও বাদ করা যেতে পারে অসংবিধানিক সূচিত করে ।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার প্রাক্কালে কিছু জাতীয় ঘটনার দিকে তাকাইঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন “স্বাধীনতাত্তোর দালালদের বিচার প্রক্রিয়াঃ একটি পর্যালোচনা” শীর্ষক তাঁর লেখা একটি প্রবন্ধে লিখেন – “যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনে আওয়ামীলীগ সরকারের দূর্বলতার সুযোগে পাকিস্থান আমলই ভালো ছিলো এই প্রচার চালানো হয় এবং এ পর্যায়ে “মুসলিম বাংলা আন্দোলন” বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশ-বিরোধী ততপরতায় লিপ্ত হয় । ধর্ম ভিত্তিক দলগুলো পিকিংপন্থী দলগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে দালালদের মুক্তির দাবী তোলে । ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনের প্রাক্কালে দালাল ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থন পেতে ন্যাপ (ভাসানী) এবং আতাউর রহমানের জাতীয় লীগসহ আওয়ামী বিরোধী পিকিংপন্থী জোট নির্বাচনের আগেই দালালদের মুক্তি দাবী করে । এ সময় মাওলানা ভাসানী হুমকি দেন যে, ১৯৭২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে দালাল আইন বাতিল না করলে তিনি দূর্বার আন্দলোন গড়ে তুলবেন”
এইদিকে ১৯৭৩ সালের ৩০ শে নভেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার পর ১৯৭৪ সালের ৯ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক “ত্রিপক্ষীয় চুক্তি”সাক্ষরিত হয় । যেই চুক্তির কারনে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে “An Act of Clemency” এর মাধ্যমে ভারতের কারাগার থেকে পাকিস্তানের সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয় । এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে জানতে হলে যে কোনো পাঠকদের জন্য জনপ্রিয় ব্লগার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিরাজুর রহমানের "যে কারনে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ব্যার্থ হলাম" শীর্ষক লেখাটি-ই যথেষ্ঠ । এই বিষয়ে আরেকজন ব্লগার সাঈদ আহমেদের আরেকটি লেখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । এই দুইটি লেখাতেই বিস্তারিত ভাবে লেখা হয়েছে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তরের রাজণৈতিক , অর্থনৈতিক , সামাজিক বিভিন্ন কারণ ও তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের সকল কাহিনী । আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এই দুই লেখকের এই বিষয়ক লেখা গুলো পড়লে আপনিও বুঝতে পারবেন কেন ছেড়ে দিতে হয়েছিলো এই ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে ।
ডঃ কামাল সে সময়কার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি-ই বাংলাদেশের পক্ষে ওই চুক্তিটি সাক্ষর করেন । তার ভাষ্যমতে , পাকিস্তান ১৯৫ জন পাকিস্তানী আর্মিকে তাদের দেশের আইন অনুযায়ী বিচার করবে বলে কথা দিয়েছিলো । জন্ম থেকেই বেঈমান জাতি পাকিস্তান অবশ্য তা কখনোই করেনি ।
পড়ুন মিরাজুর রহমানের ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেবার বিষয়ক লেখা " যে কারনে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ব্যার্থ হলাম" । পড়ুন সাঈদ আহমেদের ঐ একই বিষয়ক "সেই ১৯৫ পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী" শীর্ষক সিরিজটি । (http://dpwriters.wordpress.com/2010/05/03/the-curious-case-of-the-195-war-criminals/)
আবার এই ১৯৫ জন পাকি যুদ্ধাপরাধীদের পাকিদের হাতে তুলে দেবার ব্যাপারটি আইনসম্মত কি না , কিংবা এখনো এই ১৯৫ জনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি না সেই সম্পর্কেও আইনের চমতকার একটি ব্যখ্যা দিয়েছেন বিশিষ্ট আইন আইনজীবি , মানবাধিকার কর্মী ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ডঃ তুরিন আফরোজ । তিনি বলেন-
১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি (International Treaty)। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘বিদেশের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে, এবং রাষ্ট্রপতি তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।’ এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন করা হলো একটি executive act এবং এরূপ চুক্তির validity প্রশ্নে সংসদের সম্মতি গ্রহণ করা আবশ্যক নয়। তবে যদি কোন আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের প্রচলিত কোন আইনের পরিপন্থী হয়, তবে সেই আন্তর্জাতিক চুক্তিকে অবশ্যই আইন রূপে সংসদে পাস করিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের আদালত দেশীয় আইনকেই প্রয়োগ করতে বাধ্য থাকবে। ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি কখনই বাংলাদশের সংসদে আলোচিত হয়নি। আবার এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর পরিপন্থী। সুতরাং বাংলাদেশের কোন আদালত ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি প্রয়োগে বাধ্য নয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর অধীনে ফেরত পাঠানো ১৯৫ পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দীদেরও বিচার করা সম্ভব।
বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার পর ১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে দালাল আইন কে বাতিল করা হয় জিয়ার নির্দেশে। ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে কিন্তু এখানে সংযুক্ত করতে পারছি না।
অসাধারণ ^:)^ ^:)^
দাঁড়িয়ে স্যালুট দিলাম ভাই!!!
_____________________
Give Her Freedom!
অসাধারণ। ইতিহাস অনেকটাই জানা হয়ে গেলো।
নিঝুম মজুমদার,
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য এবং অসংখ্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নিঝুম মজুমদার, আপনাকে স্যালুট!
যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক ১ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনবিদ এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ডক্টর মিজানুর রহমান "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারঃ একটি আইনী অনুসন্ধান বইতে" আমি বইটির দুইটি পৃষ্ঠা স্ক্যান করে দিলাম-
অসাধারণ ^:)^ ^:)^
তৎকালীন আর্মি চিফ জিয়ার নির্দেশে দালাল আইন বাতিল করা হয়। সেই বাতিল করন একটি গেজেট নোটি ফিকেশনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় জাস্টিস মুনিমের সাক্ষর সহ। তার দলিল নীচে দেয়া হলো-
নিঝুম মজুমদার শ্রম সাধ্য এই কন্ট্রিবিউশনের জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে এমন আরো অবদান পাবো নিশ্চয়ই।
শুভেচ্ছা...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অসাধারণ ^:)^ ^:)^
নিঝুম, আপনি কি রেজিস্ট্রেশন করেছেন সচলে? আপনার একাউন্ট থাকলে আপনাকে খুঁজে পেতে সুবিধা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অসাধারণ! আমি আজকাল এইসব বিতর্ক নিয়ে এতো টায়ার্ড হয়ে গেছি যে এইসব প্রশ্ন শুনলে আর উত্তর দিতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় যে ছাগল সে জেনেশুনেই ছাগল। কিছু বলে লাভ নেই। এখন থেকে এই প্রস্নগুলার উত্তর সহ প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখবো। কেউ কিছু বললে এক কপি হাতে ধরায়ে দিবো।
চরম উদাস ভাই এখানে কিছু প্রশ্ন বা উত্তর কন্ট্রিবিউট করুন
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমি খেলার সাথে রাজনীতির কথাটা বলতে যাচ্ছিলাম, এর মধ্যে দেখি দ্রোহী ভায়া সেইটা বলে ফেলেছে।
আপনি তো বলার আগে দেখেছেন। আমি দেখেছি বলার পরে।
সবকিছুই প্রায় বলা হয়ে গেছে। তাও দুইটা বলি,
- জাফর ইকবাল (এবং তার ভাই হুমায়ুন আহমেদ) কেন যুদ্ধে যান নাই?
-১৯৪৭-১৯৭১= ২৪ বছরে পাকিস্তান আমাদের বড়ই ভুগিয়েছে। কিন্তু ১৯৭১-২০১১= ৪০ বছেরে ভারত আমাদের কতই না ভুগইতাছে তা নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা নেই। মানুষ কে এখন দেশ নিয়ে ভাবা উচিত।
খেলার সাথে এখনো রাজনীতি মিশান নাই দেখে অবাক হলাম!!!!!!!!!
আরেহ! ভালো জিনিস বাদ পড়েছে তো!
আরো কিছু ইনপুট দেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আরেকটা প্রশ্ন মনে পড়লো, এইটা এক মেয়ে জিজ্ঞেস করেছিল। "বাংগালী মেয়েরা এখন ধর্ষিত হয়না? তাহলে ৭১'এর ঘটনা নিয়ে এত কথা কেন?"
সত্যি বলি ভাই, আমি এই প্রশ্ন শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম।
দারুণ! দারুণ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার একটি উদ্যোগ। সাথে আছি সব সময়। চলুক।
১। টুটসি, হুটুদের থেকে আমাদের কী শেখার কিছু নেই?
২। রাজনীতি আর খেলা এক করবেন না, প্লিজ।
আমার ব্লগের ব্লগারেরা ছাগুদের অপ্রচারের জবাব দিয়ে যাচ্ছে অনবরত সাম্প্রতিক একটা অপ্রচারের চমৎকার জবাব পড়ে দেখতে পারেন
৭১ সালের বাংলাদেশ-ভারত গোপন গোলামি চুক্তির কিছু গোপন কথা-১
মাথামোটা এক শিবির কর্মীর প্রশ্ন:
কোথাকার কোন হিন্দু রবীন্দ্রনাথের একটা গান বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসাবে নির্বাচন করেছিল ভারতের দালাল আওয়ামী বাকশালী সরকার '৭১ এর পরে। এতেই প্রমানিত হয় যে '৭১ এর যুদ্ধটি ছিল আসলে ইসলামকে নির্মুল করার ভারতের একটি ষড়যন্ত্র যেটিকে ঠেকানোর চেষ্টা করার জন্যই গোলাম আযম, নিজামী 'সাহেবদের' আজকে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী বল হচ্ছে। এতে ভুল কি ছিল, ইসলামের বিপর্যয়ে এগিয়ে আসা তো আপনার আমার সবার কর্তব্য, তাই না?
প্রশ্ন নতুন কিছু মনে পড়লে জানাবো, তবে একটা জিনিস খেয়াল হলো। 'ছাগু' টার্মটা যখন প্রচলিত হয় সেই সময়টায় আমরা এখনকার অনেকেই না থাকলেও কিছু জিনিস আমার নিজের বিবেচনা বোধ, পুরাতন পোস্ট, তাতে কমেন্টসমূহ ইত্যাদি দিয়ে সামগ্রিকভাবে বুঝেছি। যেটা এখানে শেয়ার করে রাখতে চাই নতুনদের সুবিধার্থে -
এটা বুঝতে হবে যে জামাতের নিজের বেতনভূক ব্লগার/লেখক আছে। আমরা যারা এই যে এইরকম একটা পোস্ট দিচ্ছি, অন্যান্য পোস্টে প্রতিবাদ করছি, যুক্তিদিয়ে কুতর্ক খণ্ডন করছি, তারা কিন্তু স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে কোন পুরস্কারের আশা বাদ দিয়ে এই কাজগুলো করছি। আমাদেরকে কিন্তু এর জন্যে কেউ অর্থকরি দিচ্ছে না। তুলনামূলক নতুন ব্লগারদেরকে বাদ দিলেও, এইযে দিনের পর দিন ধরে নিজের খেয়ে, নিজেদের ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের ফাঁকে সময় খরচ করে পাকিস্তানপ্রেমীছাগু তাড়াচ্ছেন পুরাতন সচলেরা, তার একটা কারণ এখনো যাতে নতুন আরও যারা আসছেন অনলাইন জগতে তারা এই বেতনভুক্ত ছাগুদের ব্রেইনওয়াশের স্বীকার না হন।
ব্রেইন-ওয়াশ? হুম, হচ্ছে। অনলাইন জগতেই বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাই হচ্ছে, প্রতিদিন। ব্যাপারটা আমার নিজের কাছেও হেসে উড়ায়ে দেবার মতন ছিলো বছরখানেক আগেও। কিন্তু খেয়াল করতে শুরু করলাম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় (প্রাইভেট ও পাবলিক) পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা এখন যেসব অনলাইন ফোরামে অ্যাক্টিভ (ব্লগ টু ফেসবুক ধরা যাক), কাজ করছে, পড়ছে, লিখছে, এদের মাঝে এমন অনেক লুকানো ছাগু আছে যারা অতি সূক্ষ্মভাবে, যত্ন করে ইতিহাস বিকৃতি ঘটাচ্ছে, তথ্যের বিকৃতির মাধ্যমে। যেমন হিমু ভাইয়ের যেই পোস্টটার লিংক এখানে দেয়া হয়েছে, সেই মিথগুলো ছড়ানো, নিজেদের নোট/ব্লগ/পোস্টের মাধ্যমে। অন্যদেরকে কনফিউজড করে দেয়া, সুস্পষ্ট সাদা আর কালোর মধ্যে গ্রে-এরিয়া তৈরি করা। এরা কিন্তু নিজেরা পড়ালেখা করে, যুক্তি-তর্কে পারদর্শী, এবং বাকপটু। আমার ব্যক্তিগত ধারণা এদেরকে বেশ ভালোমত ট্রেইনিং বা গ্রুমিং-ও করা হয়। এরা ইনফিল্ট্রেট করছে আমাদের নতুন জেনারেশনকে, এবং তাদেরকে বিভ্রান্ত করছে।
যারা পুরাতন ছাগু, তাদেরকে পরিবর্তন করা সহজ না (আসলে আমার মনে হয় সেটা সম্ভবই না!)। কিন্তু নতুন প্রজন্ম যাতে বিভ্রান্ত না হয়, তারা যেন নিজেরা প্রশ্ন করতে শেখে, অন্য একজন ভালো ইংরেজীতে, অনেক চমৎকার করে, কিছু গাঁজাখুঁড়ি রেফারেন্স দিয়ে একটা কথা বলেছে বলেই, আর তা কোথাও প্রকাশিত হয়েছে তাই তার রেফারেন্স দেয়া হয়েছে বলেই (উদাহরণ শর্মিলা বসুর এক বই), তা বিশ্বাস না করে, যেন নিজেরা পড়তে আগ্রহী হয়, জানতে আগ্রহী হয়, শিখতে আগ্রহী হয়, সেটা অনেক বেশি জরুরি, আমাদের জন্যে, বাংলাদেশের জন্যে, ভবিষ্যতের জন্যে।
ছাগু হয়ে যাওয়া কিন্তু খুব সহজ। বড় হতে হতে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ ছেলে-মেয়েকে ছাগু হয়ে যেতে দেখলাম। ছাগুরা নতুন কোন প্রশ্ন করে না, নতুন ধারণা নিয়ে ভাবতে চায় না, জানতে চায় না, পড়ার আগ্রহ কম, কোনকিছু তাদের মনের কোন একটা অন্ধকার-কালো-কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধারণার সাথে মিলে গেলেই সেটাকেই আঁকড়ে ধরে। নিজের ধারণার সাথে না মিললেই সেটা ভুল মেনে নেয়। এইরকম অন্ধকূপবাসী আমরা যে কেউ চট করেই হয়ে যেতে পারি। "কী যায় আসে! দুনিয়ায় আমি টিকে থাকতে পারলেই হলো, কারো কিছু নিয়ে ভাবা দরকারটা কী? দেশ-দশ, ছোঃ!" - এইখানেই ছাগু হওয়া আর না হওয়ার পার্থক্য।
আমার পর্যবেক্ষণ বলে
ছাগুরা নিজেরা কুযুক্তি দিলেও, অন্যের সাথে যুক্তিপূর্ণ তর্ক করবে না।
একই কথা ইনায়ে বিনায়ে বলতে থাকবে, খানিক আগেই তার ঐ কথাটারই যুক্তিখণ্ডন করা হলেও এড়িয়ে যাবে।
সরাসরি প্রশ্নের জবাব দেবে না। আপনার করা জরুরি প্রশ্নটা বাদ দিয়ে তার আশে-পাশের কথা নিয়ে পালটা প্রশ্ন করতে থাকবে।
সহজ ভাষায় এগুলাকে বলা হয় তেনা পেঁচানি।
অন্যপক্ষের সাথে যুক্তিতে হেরে গেলেও তেনা পেঁচাতে থাকা, তালগাছটা সবসময়ে নিজের মনে করা, কারো বলা সহজ কথাকে টুইস্ট করে অন্যদিকে কথা ঘোরানো, এগুলা ছাগুপনার লক্ষণ। তবে এই ছাগুতা জামাতিওনব্যজামাতিমনোভাবাপন্ন শুধু না, ইন জেনেরাল 'ছাগল'দেরও লক্ষণ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
facebook
আমার একটা প্রশ্ন আছিলো। উপরে যে প্রশ্নগুলা কোলেট করা হইতাছে, যে কেউ, যে কোন কনটেক্স্ট এ উপরের এই লিস্ট এর যে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করলেই সে ছাগু হিসাবে চিহ্নিত হইবো? তারে এই লিস্ট থেইকা আ্যনসার দেয়া হইবো? মানে এই লিস্ট কি ছাগাইডেন্টিফিকেশন এর লিটমাস টেস্টার? সব ছাগুই কি একই কালার বিশিস্ট? নাকি পরবরতীতে ছাগুস্পেকট্রাম ও বাজারে আসবে?
-মেফিস্টো
না মনে হয়। এটা সহজসরল মানুষের মনের সহজসরল প্রশ্নের সহজসরল উত্তরমালা মাত্র। ছাগু কি ছাগু না তা তর্কের মাঠে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
অসাধারণ উদ্যোগ। চরম উদাস ভাইয়ের ভাষাতেই বলি, এখন থেকে আর বাক্যব্যয় করব না; সচলের একটা প্রিন্ট আউট ধরিয়ে দেব। সত্যি এইসব লোকের জন্য সময় ব্যয় করার মানে হয় না; কারণ এদের ভিতর কোন দ্বন্দ্ব নেই; এরা যা জানে, তাই সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ! তাই এরা একপ্রকার মৃতই বলা যায়। প্রায় সবই লিস্টে আছে; তবু আমার পাওয়া আরও কিছু FAQ:
(১) দেলোয়ার হোসেন সাইদির একজন দিলিপ বড়ুয়ার চেয়ে মন্ত্রী হওয়ার বেশী রাইট আছে; অন্তত 'রিপ্রেজেন্টেটিভ ডেমোক্রেসি' তাই বলে না কি!
(২) ইন্ডিয়ান চ্যানেলগুলোর দিকে তাকান; ওরা পঁচিশে বৈশাখে কয়টা অনুষ্ঠান করে? আর আমাদের দেশের চ্যানেলগুলি প্রায় সারাদিন একজন ভারতীয় কবিকে নিয়ে অনুষ্ঠান করে!
(৩) নজরুল আমাদের জাতীয় কবি; অথচ নজরুলের গানের অনুষ্ঠানে কোন স্পন্সর পাওয়া যায় না; অন্যদিকে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য লাইন দিয়ে স্পন্সররা দাঁড়িয়ে থাকে; ভিন দেশি ও ভিন সংস্কৃতির কবিকে নিয়ে আমাদের এত মাতামাতি কেন?
(৪) আওয়ামী লিগ আসলে যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় না; শুধু এদের রাজনৈতিক কারণে সাময়িকভাবে কারাগারে ঢুকাইছে; এদের ক্লিন কইরা বাইর করার জন্যই যে কারাগারে ঢোকান হয় নাই, তার নিশ্চয়তা কি?
(৫) শেখ মুজিব যদি 'জাতির পিতা' হয়, মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ হলেন 'জাতির দাদা'। এখন দাদাকে বাদ দিয়ে তো পিতা হয় না; তাই পিতার পাশাপাশি দাদাকেও সমান (এবং যদি সম্ভব হয় বেশি) শ্রদ্ধা করা উচিত নয় কি?
সবচেয়ে ক্লাসিকটা এখনো কেউ বলেন নাই দেখা যায়:
"মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা যা বলা হয়, আসলে তার থেকে অনেক কম"।
চমৎকার এবং দরকারী একটা উদ্যোগ। যেগুলো এখন পর্যন্ত উপস্থাপিত হয়েছে তার বাইরে আপাতত কিছু মনে আসছে না। এরপর থেকে কিছু চোখে পড়লে/মনে আসলেই মন্তব্যে জানিয়ে যাবো।
অনেক ধন্যবাদ, স্পর্শদা।
_____________________
Give Her Freedom!
প্রশ্ন বেশ ভালোই জমেছে। এখন সেগুলোর জবাব প্রস্তুত করে একটা আর্কাইভ করে নীড়পাতায় কোথাও লটকানো হোক। বেশ দারুণ উদ্যোগ।
আমাকে একজন প্রশ্ন করেছেঃ
গত ১/১১ এর সময় যখন সব নেতা কর্মীদের ধরে ধরে জেলে ভরা হচ্ছিলো দুর্নীতির অভিযোগে তখন জোট সরকারের মন্ত্রি মতিউর রহমান নিজামীর নামে কোন দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায় নি। কিন্তু অনেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রির বাড়ি থেকে রিলিফের মালামাল পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন হলো দুর্নীতিবাজ মুক্তিযোদ্ধা ভালো নাকি ন্যায় নীতিবান RAZAKAR (স্যরি আমি RAZAKAR বাংলাতে লিখি না)।
গরু ছাগল তো কাপড় পরে না। ওরা ও তো রেপ করে না। রেপ বন্ধ করার জন্য মানুষের কেন বোরখা পড়তে হবে? মোল্লারা কি তবে ফ্রয়েডিও মনোবিকলন সমস্যায় ভোগে?
ধুগোর কথাঃ আমি এই জিনিসটাই বুঝি না। সব ছাগুরাই কেনো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়! কেনো উক্ত ছাগুর চাচা নাইলে মামা নাইলে খালু মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়ে থাকে! এইটা কী মুজাহিদ শুয়োরের বাচ্চার সেই অমর বাণীর প্রতিধ্বনী, "স্বাধীনতা আমরাই এনেছি, আমরাই রক্ষা করবো!"
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
@ ধুসর গোধূলি; কি আশ্চর্য ব্যাপার দেখুন, আপনি যেমনটি বললেন, প্রথম আলোর এই খবরটির সাথে হুবহু মিলে গেলো; আপনাকে স্যালুট, হেইল ধুসর গোধূলি!
"স্বাধীনতার ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে এক নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংসদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শওকত মোমেন শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকী একজন যুদ্ধাপরাধী। আমি তাঁর বিচার দাবি করছি।’ ...
যুদ্ধাপরাধীর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে শওকত মোমেন শাহজাহান বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় লুণ্ঠন, ডাকাতি, ধর্ষণ ও মানুষ খুন করেছে তারাই যুদ্ধাপরাধী। যেহেতু কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংক থেকে ১৯ লাখ টাকা লুণ্ঠন করেছেন, ব্যাংকে রক্ষিত ২০ কেজি স্বর্ণ ডাকাতি করেছেন, করটিয়া ও দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি লুণ্ঠন করেছেন এবং যুদ্ধের সময় নিরপরাধ লোকজনকে হত্যা করেছেন—এ জন্য তিনিও একজন যুদ্ধাপরাধী। তাই তাঁর বিচার হওয়া উচিত।’ "
দৈনিক প্রথম আলো; ১৬-১১-২০১১ ইং
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-11-16/news/201371
বোরখা পরাটা ইসলামিক বিধান। এটা এর সমর্থনে কেউ কথা বললেই ছাগু হয়ে যায় না। তবে, জামাতে ইসলামী এর মত ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ী দলকে সমর্থন ও কোন মুমিন মুসলিম এর পক্ষে সমীচীন নয়।
আল্লাহ নাকি পুরুষকেও "লজ্জাস্থানসমূহ হিফাযত" করতে বলেছেন। তাহলে পুরুষ বোরখা পড়ে না কেন? নারীর লজ্জা যদি বোরখা দিয়ে ঢাকতে হয়, পুরুষের লজ্জাস্থানগুলি এইরাম উদাম থাকা কি ঠিক?
মনোয়ার ভাই
এই ধরনের কথাতেই কিন্তু ইসলাম বিকৃত হচ্ছে। ইসলাম ধর্মে পুরুষ ও নারীকে পর্দা করতে বলা হয়েছে। এখন কিভাবে পর্দা করবেন জানা না থাকলে বইপত্র পড়েন, আর একটা সহজ উপায় হচ্ছে "গুগল"। গুগল এ সার্চ মারেন সব পাবেন। তবে জামাত নিয়ন্ত্রিত সাইট থেকে সাবধান।
হিমু ভাই। পুরুষ দের কেও এমন বস্ত্র পরিধান করতে বলা হয়েছে ইসলামিক বিধানে, যাতে করে তাদের দেহ অবয়ব বোঝা না যায়। টাইট/ বডি ফিটিং কোন বস্ত্রই ইসলামিক বিধানে পরা ঠিক নয়।
তাহলে মনোয়ার ভাই, এই যে হাটেমাঠেঘাটেনেটে সব জায়গায় দেহ অবয়ব বাগিয়ে বের করে ছেলেরা তর্ক করে মেয়েদের বোরখা পরা নিয়ে, এ্ইটা নিয়ে কোনো মুমিন মুসলমান কোনো কথা বলে না কেন?
হিমু ভাই 'প্রচারেই প্রসার' কথাটা তো আমাদের সবারই জানা। ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জন যদি কোন ভুল কাজ করে আর ১ জন মাত্র ঠিক কাজ করে, তাহলে ৯৯ জন যেটা করে সেটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, কিন্তু যেটা ভুল সেটা ভুল, আর যেটা ঠিক সেটা ঠিক।
তাহলে ভাইডি, মেয়েদের টাইট জামা নিয়ে ওয়াজ খয়রাত না করে এই ঠিকপথের মোয়াজ্জিনদের কি উচিত না আগে নিজেরা ক্যান বোরখা পরে না, ক্যান ঢিলাঢালা জামা পরে না সেইটা নিয়া চিগলানো?
সেটাই তো!! কিন্তু যারা চিল্লাফাল্লা করে তাদের বেশিরভাগই সুবিধাবাদী/ভন্ড/ধর্মব্যবসায়ী বলে আমি মনে করি। যেনারা ঠিকপথে আছেন তারা আবার চিল্লাফাল্লা কম করেন।
"আজকে দুই পাকিস্তান এক থাকলে টাকায় দুইসের চাল খেতে পারতাম"
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হিমু ভাই, আসলেই, আজকাল কেউ সমালোচনা করার আগে পড়াশোনা করে না। আর একতরফা সমালোচনা হওয়ায় ধর্ম নিয়ে ভ্রান্ত ধারনার উদ্ভব হচ্ছে। অথচ, নারী-পুরুষ সবাইকে শালীন ভাবে থাকতে বলা হয়েছে, এবং পুরুষ দের কে তার দৃষ্টি সংবরন করতে বলা হয়েছে।
আপসোস, যেসব ছাগুরা এক ট্যাবে ফেসবুক অন্য ট্যাবে পর্ন খুলে ফেসবুকে নোট লিখতে বসে, তাদের লেখায় এই দৃষ্টি সংবরণের কোনো নমুনা দেখি না। বরং কোথায় কোন বেলাল্লা তরুণী কীভাবে টাইট জামা পরেছে, কীভাবে তার সুডৌল বক্ষ ও পুরুষ্টু পশ্চাদ্দেশ সেই টাইট জামার কারণে সুস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পড়তে গেলে মনের মমিন দেহের মমিন উভয়ই দাঁড়িয়ে যায়।
''আপনারা জানেন? মুক্তিযুদ্ধের সময় সব নেতারা (তাজউদ্দিন আহমেদও) ইন্ডিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। দেশের মানুষ যখন মরছিল, তখন তারা ইন্ডিয়ায় নাচ-গান করছিল।''
যে রাজাকার, সে আসলে জেনে শুনেই রাজাকার।
তসলিমা নাসরিন ও হুমায়ুন আজাদ প্রসঙ্গ এখনো আসেনি ।
নাউজুবিল্লাহ।
পেপারে পড়ি প্রতি দুই-তিন দিনে একটা করে শিশু ধর্ষণ হয় ৬ বছর ৮ বছর ১০ বছর ১২ বছর। গৃহী বাবারা ধর্ষণ করে স্কুলে প্রিন্সিপালরা ধর্ষণ করে কোরআনে হাফেজরা ধর্ষণ করে পাড়ার ভাইয়েরা ধর্ষণ করে; করে করে অভিনব সব উপায়ে মারে মেরে ফেলে রাখে পুকুর-ডোবা-নালা-সেপটিক ট্যাংকে।
বুক-পাছা কিছুই হয় নাই ওদের। ওরা কি পর্দা করবে? কি ঢাকবে?
সেই সাথে এটাও জানা দরকার ছেলে শিশু যারা এইরাম ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের জন্যে পর্দাটা কেমন হবে? আমি কি আমার মেয়েটার পাশাপাশি পোলাটারেও প্যাকেট কইরা রাখমু!!!
একটা প্রাসঙ্গিক ছাগু নোট। আমার "শিক্ষিত" দুইজন বন্ধু শেয়ার দেয়ায় চোখে পড়লো। ওদের ওয়ালে কমেন্ট করতে করতে এক সময় মনে হইলো পন্ডশ্রম। এখান থেকে কিছু প্রশ্ন পাওয়া যেতে পারে।
প্রাসঙ্গিক প্রশ্নঃ
১। পাকিস্থানের সবাই তো একাত্তরে যুদ্ধ করেনি, আর যারা একাত্তরের পরে জন্মেছে, তাদেরই বা কী দোষ? ওদের সেনাবাহিনী ৭১ এ কী করেছিলো তার জন্য নির্দোষ পাকিস্তানীদেরও ঘৃণা করতে হবে!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এইটা তো নিরাময়ের অযোগ্য ছাগু। 'মানারত' থেকেই ছাগুইজমের ইমারতটা পাকাপোক্ত হৈছে।
লাইনে লাইনে ম্যাৎকার সম্বলিত লেখার বাকি অংশ নিয়ে কিছু বলার নাই। কিন্তু আপনার যেইসব বন্ধু এই লাইনগুলো পড়ার পরেও এই নোটে লাইক/শেয়ার মারছে, সেই বন্ধুদের বন্ধত্ব থেকে বের হয়ে আসার সময় হইছে আপনার।
বিদ্র: আমি দেখলাম এই জনৈক নিরাময়হীন ছাগুর সাথে আমার ৫জন ফেসবুক বন্ধু সম্পর্কিত। তাঁদেরকে উইথ ডিউ রিসপেক্ট অনুরোধ করবো এই ছাগুকে নিজের বন্ধু তালিকা থেকে গদাম দিতে। আর নয়তো আপনাদের বন্ধু তালিকা থেকে আমি নিজেকে মুক্ত করে নিবো। ছাগুদের সাথে তো বটেই, তাদের বন্ধুত্বকারীদের সাথে বন্ধুত্ব রাখতেও আমি ইচ্ছুক নই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি এই ধরণের কিছু কোট তুলে ধরে এরপরও তারা কীভাবে শেয়ার করলো জানতে চাইলাম। দেখা যাক কী বলে। দিন দিন চেনা মানুষদের চেনা কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আপনার লিংকে যেয়ে খুব ইন্টারেস্টিং একটা প্রশ্ন পেলামঃ
একবার এক বান্ধবীর ফেসবুক প্রোফাইলে আফ্রিদির ছবি দেয়া নিয়ে আর সেই ছবি দেখে তার অর্গাজম হচ্ছে এই তাইপের একটা কমেন্ট দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাকে কয়েকটা লিঙ্ক দিলাম তো তার একটা ছাগু প্রশ্ন ছিল এরকমঃ
@শান্তঃ তোমার কি ধারণা আমি এগুলা জানিনা????আমি পাকিস্তান দলকে কেন সাপোর্ট করি তার জন্যে আমার কাছে যথেষ্ট যুক্তি আছে। তোমার কাছে আমার শুধু একটাই প্রশ্ন, তুমি কি শুধু পাকিস্তানি সাপোর্টারদেরই এধরণের ব্লগ পরাও নাকি যারা ইন্ডিয়া বা ইংল্যান্ডকে সাপোর্ট করে তাদেরকেও পড়াও?
আমার জবাব ছিল এরকমঃ
একটা শয়তানকে সমর্থন করার জন্যে যুক্তি হিসাবে, অন্যদের আর এক শয়তানকে সমর্থন করাটাকে উদাহরণ হিসাবে দেয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত? যদিও আমার কমেন্টের কোথাও আমি ইন্ডিয়া বা ইংল্যান্ডকে সমর্থন করার কথা বলিনি। তবে শয়তানের মধ্যে, বড় শয়তান কোনটা সেটা আশা করি বুঝতে পার।
আবার একটা ছাগুপ্রশ্নঃ
@শান্তঃ তোমার কাছে কাকে সবচেয়ে বড় শয়তান মনে হয় সেটা তোমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আর এটাও মনে করা ঠিক না যে তোমার আর আমার পরিমাপের একক একি হবে। আমি উদাহরণগুলা এই কারণে দিসিলাম যে, তোমার সমস্যা কি পাকিস্তানকে নিয়ে নাকি ১৯৭১ এ যেটা করসে সেটা নিয়ে? যদি শুধু ওদের কাজগুলো ঘৃণা কর তাহলে ওদের ক্রিকেট খেলা সমর্থন করতে সমস্যা কোথায়? আর যদি পাকিস্তানকে ঘৃণা কর, তাহলে আমার কিছু বলার নাই, এটা তোমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
এর মধ্যে একজন জারজ এসে শান্ত ভাইয়ের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে, ৩০ লাখ বাংলাদেশী কি আসলেই মারা গেছিল ১৯৭১ এ? তাহলে তাদের ডাটাবেজ কোথায়? আমি সেই ডাটাবেজ দেখতে চাই। আমার আরও একটা প্রশ্ন, শেখ মুজিবর রহমান কেন তখন পাকিস্তানিদের ক্ষমা করে দিল, তাহলেই তো সব শেষ হয়ে যেত, আমাদের এখন আর পাকিস্তান সাপোর্ট করা লাগত না। আর বর্তমান সরকার কেন চুপ আছে যখন ইন্ডিয়া আমাদের বর্ডারে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করতেছে?।
আমার জবাব ছিল অনেকটা এরকমঃ
১। ৩০ লাখ লোকের ডাটাবেজ কি করা সম্ভব? আর কেনই বা করা লাগবে? সংখ্যাটা ২৫ লাখ যদি হয় বা ৩৫ লাখ তাতে কি তথ্যের গুণগত কোন পরিবর্তন আসে? আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, যেহেতু ডাটাবেজ নাই, তারমানে পাকিস্তান আসলে গণহত্যা করে নাই? আপনার পয়েন্টটা ধরতে পারলাম না, একটু ক্লিয়ার করবেন?
২। এই মন্তব্যের কোথাও কি আমি শেখ মুজিবর রহমানকে ফেরেশ্তা দাবী করছি? আপনাদের সমস্যা কি জানেন? নিজেদের এভিল কাজ বৈধ করার জন্যে, অন্যরা যে আরো এভিল কাজ করতেছে বা করছে সেটার উদাহরণ টানতে হয়।
৩। ইন্ডিয়া আমাদের বর্ডারে লোক মারতেছে প্রতিদিন, সরকার কোন ব্যবস্থা নিছে না, আপনি প্রতিবাদ করতেছেন, আমি প্রতিবাদ করতেছি - এই যুক্তি থেকে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়ার যুক্তিতে কিভাবে গেলেন, ঠিক বুঝলাম না!
এরপরে জারজ ভাই আরেকটু অন্য লাইনে খেলার চেষ্টা করলঃ
প্রিয় ভাইয়েরা, (১) আমি আসলে পাকিস্তানের সাপোর্টার না, আসলে আমি ক্রিকেটই দেখি না আমি শুধু নিজে খেলি। পাকিস্তান হারুক বা জিতুক তাতে আমার কিছু আসে যায় না। (২) আমার প্রশ্ন হল তিরিশ লাখ নিয়ে, আমি জানতে চাই কোন ডাটাবেজ কেন করা হচ্ছে না? (৩) এখন তো যুদ্ধাপরাধী ইস্যু শুধু পলিটিক্যাল অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। (৪) সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এর মধ্যে ওদের ক্ষমা করে দেয়া। ইতিহাসে কি প্রমাণ আছে এখন চল্লিশ বছর পরে তাদের শাস্তি দেয়ার? (৫) আপনি কি জানেন সাঈদীর বিরুদ্ধে ইনভেস্টিগেশান টিম কোন প্রমাণ পায় নাই?
আরেক জারজ ছাগু এসে প্রশ্ন করলঃ
ক্যান এনিওয়ান মেক মি আ থিং ক্লিয়ার? আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এমনকি ইংল্যান্ডকে সাপোর্ট করলে যেখানে সমস্যা নাই, পাকিস্তানকে সাপোর্ট করলে কি সমিস্যা? আমি তো দেখি যারা পাকিস্তানের সাপোর্টার না তারা ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ম্যাচের সময় ইন্ডিয়ার পতাকা নিয়ে যায়। কিন্তু সেইসব ম্যাচের পর এইসব সমালোচকদের কোন স্ট্যাটাস পাওয়া যায় না। শেম ... শেম ... শেম ...
আতিফের কস্নার্টে আমি কাউকে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে যেতে দেখি নাই কারণ তারা আতিফের ফ্যান ... কিন্তু শাহরুখকে খুশি করতে আমরা কেন ইন্ডিয়ার পতাকা জড়িয়ে যাই ... তখন তোমার মত দেশপ্রেমিক একটা আওয়াজও করল না কেন?
আমার জবাব ছিল এরকমঃ
১ ব্রাজিল/আর্জেন্টিনা আর পাকিস্তানকে এক কাতারে নিয়ে এসে তুমি তোমার নিজের যুক্তির দৌড়ের পরিচয় দিলা।
২। আমি যখন বললাম পাকিস্তেন বিরুদ্ধে তুমি তখন অটোমেটিক্যালি ধরে নিলা আমি ইন্ডিয়ার পক্ষে কথা বলতেছি, এটা তোমাদের একটা কমন স্টাইল, এগুলা খুব ভালই জানি আমি। আমার আগের লজিকগুলা দেখ আর দেখে বল পাকিস্তাঙ্কে (ডেফিনিট ইভিল) সাপোর্ট করার যুক্তি দেয়ার জন্যে আমাকে তোমার জোর করে ইন্ডিয়ার সাপোর্টার বানাতে হল?
৩। পাকিস্তান যে আমাদের জন্যে ইন্ডীয়ার চেয়ে অনেক বড় এভিল, এ ব্যাপারে কি তোমার কোন সন্দেহ আছে? যদি থাকে তো কেন?
৪। আমি বা আমাদের মত যারা পাকিস্তান সাপোর্ট করার বিপক্ষে তুমি একটা প্রমাণ দেখাও কে ইন্ডিয়ার পতাকা উড়নোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করলাম কিভাবে? পকেট থেকে কথা বের কর কেন? প্লিজ যখন লজিক দিচ্ছ তখন মনগড়া কথা পকেট থেকে বের না করে লজিক্যাল কথা বল।
৫। তোমার প্রিয় গায়ক আতিফ সাহেব যদি তোমার মাকে খুন করে তোমার কি তার কন্সার্টে গিয়ে নাচতে ইচ্ছা করবে? সরাসরি উত্তর দিও। হ্যা বা না বল। যদি উত্তর হ্যা হয় তাহলে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করলে আমার কিছু বলার নাই।
এরপর প্রথম নারী ছাগুর প্ররবর্তী ছাগুপ্রশ্নঃ [যুক্তিতে না জিততে পেরে এখন ধর্মের আশ্রয় নিবে]
@শান্তঃ তুমি একটা উদাহরণ দিচ্ছ যে "মা বাবাকে যে খুন করছে তাকে সাপোর্ট করবা কিনা?" আমি যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করি "যিনি তোমাকে বানাইছেন, তোমার মাকে বানাইছেন, তোমার থাকার জন্যে একটা পৃতিবী বানাইছেন সব ফ্যাসিলিটি দিছেন ... একদল মানুষ তাঁকে মানে না আর একদল মানুষ তাঁকে মানে ... তুমি কাদের সাপোর্ট করবা?" [দেখেন এতক্ষণ বলা হচ্ছিল খেলা ভাল থেকে সাপোর্ট করে এখানে রাজনীতি আসে না ধর্ম আসে না :D] আমি অ্যাট এনি কস্ট বিলিভারদের সাপোর্ট করব ... আমি বিশ্বাস করি পাকিস্তানিরা আমার ভাই ... [হুম ভাই তার যৌন সুখের জন্যে বোনকে ধর্ষণ করতেই পারে, বোনের উচিৎ ভাইকে সাপোর্ট দিয়ে পা ছড়িয়ে বসে থাকা।] আমার আইডেন্টিটি শুধু বাংলাদেশী না আমি বাংলাদেশী মুস্লিম তাই আমি প্রথমে বাংলাদেশ তারপর যে কোন মুস্লিম কে সাপোর্ট করব [হ্যা আমাকে বা আমার মাকে ধর্ষণ করলেও, আমরা আম্রাই তো ভাই এর সুখের জন্যে এইটুকু করতে পারব না??]
আমার জবাব ছিল অনেকটা এরকমঃ
শান্তঃ
@বদবুঃ
১ কেমন ভাই তোমার পাকিস্তানি মুস্লিমরা? ৩০ লাখ ভাইকে হত্যা করল? ২ লাক বোনকে ধর্ষণ করল? এরকম ভাই আমার দরকার নাই।
২ আমি তো তোমার মুস্লিম ভাই, আমি এই কাজগুলা করলেও কি তুমি যেকোন কাজে আমাকে সাপোর্ট দিবা? ইভেন যদি আমি ক্ষমাও চাই? প্লিজ হ্যা বা না দিয়ে উত্তর দিও, ত্যানা প্যাঁচাইও না।
৩ বিতর্ক ধর্মের দিকে নিয়ে যাচ্ছ। ইন দ্যাট কেস এই বিতর্ক আসলে চলে না। তুমি যদি ধর্মের লাইনে যেতে চাও আমার কোন আপত্তি নাই
[বাকিটা বাংলায় অনুবাদ করে দিতেছি]
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার কাছে করা উপরের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমাকেও দিতে হয়েছে গত বিশ্বকাপের সময়। চলুক!
এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হবে কানের নীচে একটা বনচটকানা আর তারপর পাছায় একটা কষে লাথি।
যুক্তিতর্ক কেবল মানুষের অধিকার ছাগলের না।
"মুক্তিযোদ্ধারা কি সার্টিফিকেটের লোভে যুদ্ধ করসিল? তাহলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বা মুক্তিযোদ্ধাদের এত সুবিধা দেওয়ার মানে কি?"
"আমরা যে ইংরেজি ব্যবহার করি, তাতে সমস্যা নাই? তাইলে হিন্দি বললে কি অসু্বিধা?"
বাল্যকালে শোনা... "লাল পিপড়ারা কামড়ায় কারণ ওরা হিন্দু আর ইন্দিয়া থেকে আসে, কালো পিপড়ারা ভালো ওরা কামড়ায় না সুরসুরি দেয় কারণ ওরা মুসলিম"
ভাই আপনি কলা এবং চকলেটের সাথে মানুষের তুলনা দিয়ে কি এই প্রমান করতে চান য আপনি নারীকে মানুষের মর্যাদা দেন না খাবার জিনিস মনে করেন আর আপনার খাওার প্যাকেট শুধু আপনিই খুলবেন...... joey no share food....
নতুন মন্তব্য করুন