হারানো বিজ্ঞপ্তি

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: সোম, ১৩/০৮/২০১২ - ১১:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে পেনসিলটা হারিয়ে যায়। এই খাতাটা উলটাই, ওই বইটা উলটাই, টেবিলের তলা, খাটের নীচ কোথাও নেই। কিন্তু একটু আগেই তো দিব্বি লিখছিলাম! নামিয়ে রেখে রাবার দিয়ে একটা ভুল বানান মুছতেই কোথায় যে গেল! তন্ন তন্ন করেও খুঁজে পাই না আর। খুব অসহায় লাগতে শুরু করে তখন। এক সময় না পেরে আম্মুকেই ডেকে বসি, "মা, আমার পেনসিলটা খুঁজে দাও তো!" রান্না ঘরের ভাজা পোড়ার ছ্যান-ছ্যান শব্দ পেরিয়ে মা'র গলা ভেসে আসে, "এখনই না লিখছিলি, আশে পাশেই আছে। দেখ ভালো করে খুঁজে।" পেনসিল হারানোর রাগটা গিয়ে পড়ে তখন আম্মুর উপর, "বন্ধ করো তো তোমার উচ্ছে ভাজি! আমার পেনসিল খুঁজে দাও।" মা এসে এক পলকে বের করে দিয়ে বলে, "এই যে, কানা নাকি! ডাকাডাকি করে দিলি তো আমার ভাজি পুঁড়িয়ে"। বলি, "তাতে কি? ও তো এমনিতেই তিতে"।... এসব অনেক আগের কথা।

আমার মা ওইসব ছাই পাশ এখনো ভেজে যাচ্ছেন। সেসব ভাজি তিতেও হচ্ছে, রান্নাঘরের সেই ছ্যান ছ্যান শব্দও কমেনি এতটুকু। এদিকে আমি হারিয়ে ফেলেছি আমাকেই! কি ভয়ানক, ভয়ানক অসহায় বোধ করছি যে… খুব ইচ্ছে হচ্ছে, মাকে বলি, "খুঁজে দাও"। কিন্তু বলা যাচ্ছে না। অগত্যা নিজেই খুঁজতে খুঁজতে পুরোনো একটা চিঠি খুঁজে পেলাম। অনুবাদযজ্ঞ নামক ভলেন্টিয়ারদের একটা গ্রুপে পরিচয় পর্বে লেখা। যাকে পাচ্ছি না, সেই আমিকে নিয়ে। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে এখানে দিলাম।... কেউ যদি খুঁজে পান।
----

আমি তানভীর, মোঃ তানভীরুল ইসলাম। বাবা ডাকে সৈকত, মা ডাকে গরু, আর ছোটো দুই বোন ডাকে ভাইয়া। কিন্তু নাম তো কারো পরিচয় নয়! আবার ঠিক কী বললে যে পরিচয় বলা হয় সেটাও জানিনা। তারচে নিজের সম্পর্কে আব্‌জাব যা মনে আসে বলতে থাকি।

বড় হয়েছি যশোরের আলো-হাওয়ায়। তবে জেনেটিক অরিজিন খুঁজতে হলে আমার পিতামহ(মহী)কে খুঁজতে হবে মাগুরায় আর মাতামহ(মহী)কে মানিকগঞ্জ। এবং আমার মনে হয় সেই মহ-মহীদের অরিজিন খুঁজতে গেলেও একই ভাবে দূরবর্তী সব আনাচে কানাচে যেতে হবে। সেই হিসেবে আমি আমার জেনেটিক ডাইভার্সিটি নিয়ে বেশ আশ্বস্ত বোধ করি। কোনো মহামারি-টহামারি হয়ে গেলেও আমার কিছুই হবে না। দেঁতো হাসি

আমার নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে তাই লিখে রেখেছি ‘An Über Philomath’। তবে আমার সবচেয়ে বড় স্কিল শেখায় নয়, ভুলে যাওয়ায়। এই বিষয়ে আমি রীতিমত ওস্তাদ। বাবা যখন প্রথম একটা টু-ইন-ওয়ান কিনে আনেন বাসায়। সেই সঙ্গে এনেছিলেন ১৩ টা ক্যাসেট। রবীন্দ্র সংগীত। একটা গান ছিলো, ‘আমার খেয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনি...’। ততদিনে স্কুলে ‘খেয়া’ শব্দটা শিখেছি। নৌকা। ভাবতাম কেউ বুঝি সাগর সেনের নৌকায় লুকিয়ে আছে। পরে জেনেছি শব্দটা ‘হিয়া’। নিজে কখনো গান শিখিনি। তবে খুব ছোটোবেলাতেই আমার কান দুটোকে গান শিখিয়েছিলো সেই ১৩টা ক্যাসেট। আমাদের বাড়ির পাশে ছিলো বিশাল এক ধানের ক্ষেত। সেই ক্ষেতে ধান ছাড়া আর হতো পাট, মসুরি, আর তামাক। রাজ্যের সব কাণ্ড ঘটত ধানক্ষেতের ঠিক ঐ পাড়ে। ঐপাড়ে প্রতিদিন সূর্য উঠতো, বিকালে মাঝে মাঝে উঠতো রঙধনু, রাতে বাদুড়ের ঝাক উড়ে যেত ওদিকে, আর দিনে বক। মাঝে মাঝে ওদিক থেকে শিয়াল আসতো মাঠ পেরিয়ে। তখন সবার কী যে হৈ চৈ! বড় হলে কিছু হতে হয় তা জানতাম না তখনো। শুধু চাইতাম বড় হলে ঐ মাঠটা পেরিয়ে গিয়ে দেখে আসবো বাদুড়গুলো কোথায় যায়, শিয়ালগুলোইবা থাকে কোথায়, সূর্য ওঠে কেমনে আর কিভাবে ওঠে রঙধনু? মাঠের এপাড়ে ছিলো টিউব ওয়েল। আমরা বলতাম কলপাড়। কলপাড়ের পাশে ছিলো শিয়াল-কাঁটা আর কচুর ঝোপ। আর খুব কাদা। কিন্তু সন্ধ্যা হলেই সেই শিয়াল-কাঁটার ঝোপ থেকেই বেড়িয়ে পড়ত রাশি রাশি জোনাকি। চাঁদের সাথে পাল্লা দিতো তারা। ছোটোবেলায় কোথা থেকে যেন মাথায় এসেছিলো, জোনাকি যেমন জ্বলে এমন কোনো ফুলও নিশ্চই আছে যেটা জ্বলবে রাতে। কত যে খঁজেছি এমন ফুল! এখনো খুঁজি।

আমার আছে ভালোলাগা ব্যাধি আর স্বপ্ন রোগ। এই দুই রোগ-ব্যাধি কাবু করে রেখেছে একদম। বন্ধুদের দেখেছি কত দ্রুত স্কুল-কলেজ থেকে পাওয়া টোটকা গিলে টপাটপ এইসব রোগ-ব্যাধি সারিয়ে কি দুর্দান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে! ওরা এখন হাওয়ার বেগে ছুটতে পারে। খুব পিছিয়ে পড়েছি তাই। মাঝে মাঝে ভাবি সেরে উঠি। জিআরইর বইটা নিয়ে বসি তখন। কিন্তু আমার ব্যাধিটা দুরারোগ্য।

খুব দেরীতে শিখেছি, ‘ইট ইজ নেভার ট্যু লেইট’। অনেক কিছুই করতে চেয়েও ‘দেরী হয়ে গেছে’ ভেবে করিনি আগে। যেমন ফ্রেঞ্চ শেখা, ছবি আঁকা, গিটার, আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স। এখন চেষ্টা করি।

নিজের স্বপ্নের কথাগুলো বলার সময় তালজ্ঞান থাকে না আমার। তখন যেভাবে কথা বলি, আমি নিশ্চিত আমার সামনে সেভাবে কেউ কথা বললে মনে মনে তাকে নিয়ে হাসাহাসিই করতাম। অথবা বিরক্ত হতাম। এই চিঠিটাও মনে হয় সেরকম বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

থাকি সিঙ্গাপুরে। কামলা খাটি। এখানে আসার পরে সব চেয়ে মন খারাপ হয়েছে যেদিন, সেদিন এখানে কোকিল ডেকেছিলো। আর সবচেয়ে ভালো লেগেছিলো যেদিন, সেদিন ক্লেমেন্টি স্টেশনে একটা ফ্রুটবক্সের উপর বসে এক চাইনিজ বৃদ্ধ বাজিয়েছিলো অজানা এক বাদ্যযন্ত্র। তার সুর ছিলো অপার্থিব। কখনো তাতে ঝড় ওঠে, কখনো বৃষ্টি নামে, কখনো নামে বিকেলের রোদ অথবা বয় সকালের বাতাস। তিনটা ট্রেন মিস করেছি সেদিন। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনের অনেক ট্রেনই আমার মিস হয়ে যাচ্ছে এভাবে। যাক না!

মাঝে মাঝে প্রাণহীন বোধ করি। তখন খারাপ লাগাটাও খারাপ লাগেনা, ভালো লাগাটাও ভালো লাগে না। এমনটা আগে হতো না। আমার কি বয়স হয়ে যাচ্ছে? এসবও ভাবি। আজকাল প্রাণহীন বোধ করলে উইকিপিডিয়াতে ইংরেজী নিবন্ধ বাংলায় অনুবাদ করার চেষ্টা করি। একরকম দাপ্তরিক কাজ। তবুও অনুবাদ হয়ে গেলে একটা অর্জনের অনুভুতি আসে। সেই সাথে প্রাণও ফিরে আসতে থাকে। আর যখন প্রাণবোধ করি তখন হাজারটা (অ)কাজ করি। যার একটা হচ্ছে লেখালেখি। সচলায়তনে লিখি স্পর্শ নামে।

আচ্ছা! আমার বক-বকির ট্রেনটা মনে হয় থামানো উচিৎ। বিরক্তি নামক অনুভুতিকে আমার দারুণ ভয়।

আমাদের সবার জীবন দীপান্বিত হোক,

-তানভীর
জুন, ২০১০


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

চমৎকার লাগলো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

বেশ লাগলো।

---------------------
আমার ফ্লিকার

স্যাম এর ছবি

চলুক

সত্যপীর এর ছবি

জোস।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

জনগণের ব্যক্তিগত চিঠি পড়া ঠিক না। কিন্তু ঘটনা সেইটা না। ঘটনা হইলো, রাস্তার ধারে, ফুটপাতে, শপিং মলের সামনে কিংবা কোনো জনাকীর্ণ এলাকাতে যে লোকগুলো বাদ্যযন্ত্র বাজায়, আমি কেবলই ভাবি, তাঁরা শুধু একটু সুযোগ পেলে কোথায় যে চলে যেতে পারতো...! তবে এইটাও ঘটনা না। ঘটনা হইলো, কোনো এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় কিংবা আস্তে আস্তে নামতে থাকা রাতের শুরুর সময়ে, ঝিরঝিরে বাতাসের মধ্যে হঠাৎ কোনো বাঁশি, সেক্সোফোন অথবা বেহালা বাদককে দেখে থমকে গিয়েছি আমিও। অবাধ্য সময়টা থমকায়নি কিন্তু মোটেও। ট্রেন, ট্রাম, বাস- সবই মিস হয়ে গিয়েছে তখন। তো, এইটাও ঘটনা না। ঘটনা হলো, যেটা বলতে চাচ্ছিলাম, মেম্বর এখানে এসে নির্ঘাৎ বলবে- 'আইছি ন্যাংটা যামু ন্যাংটা, দুই দিনের দুইন্যা...'

স্পর্শ এর ছবি

যত তাড়াই থাক, কাউকে লাইভ কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজাতে দেখলে আমি ঠিকই দাঁড়িয়ে যাই। কী আছে জীবনে!

কিন্তু আপনি লিখতেসেন না কেন? গুরুচন্ডালী সিরিজটা পুনরুজ্জীবিত করে ফেলেন হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজেকেও লেখার মধ্যে কোথায় খুঁজে পেলাম যেন চলুক

হিল্লোল

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কিছু সমস্যা আমার ব্যক্তিগত। ভাগ বসায়েন না! হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

হুমম আসলেই কিছু ব্যক্তিগত সমস্যায় ভাগ বসাইছেন!! দেঁতো হাসি

[খুব ভালো লাগলো দাদা, খুব চলুক চলুক চলুক ]


_____________________
Give Her Freedom!

ধুসর জলছবি এর ছবি

আমি হারানো বিজ্ঞপ্তি লিখতে গেলে একটা মহাভারত হয়ে যাবে। তাই আর কিছু না বলি। লেখা খুব ভাল লাগল।

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়) চমৎকার কিন্তু বিষাদময়, হায় বিষাদ।

মেঘা এর ছবি

আজকে অপরিসীম মন খারাপ। তাই মনে হয় এতো বেশী বিষাদময় মনে হলো। বড় হতে হতে কেন যে আমরা এভাবে হারিয়ে যাই মন খারাপ

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ক্লোন৯৯ এর ছবি

চলুক

সুমাদ্রী এর ছবি

লিখেন না কেন নিয়মিত। এরকম একেকটা লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে হয়।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

Muhammad_asaduzzaman এর ছবি

মন ছুয়ে যাওয়া লেখা ....কেমনে যে ঢুকান লেখার মধ্যে এত মমতা!!!!!
শুভকামনা রইলো

আসাদ

মন মাঝি এর ছবি

চলুক

****************************************

তারানা_শব্দ এর ছবি

ভিরুউউউউউ, মন খারাপ দেখি তোমার! মন খারাপ
তোমাকে ঐদিন দেশ বাংলা বাস এ দেখেছি, কিন্তু ঐদিন নাম্বারটা সেইভ করি নি তাই কল দিতে পারি নি!!! মন খারাপ
আবার কবে আসবা দেশে?

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

স্পর্শ এর ছবি

তোমার নাম্বারতো আমার কাছে ঠিকই ছিলো চিন্তিত
দেখি মাস দুই-তিন পরে আসবো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনি দেখি দুইতিনমাস পরপরই দেশে টইটই করতে যান, চরম ঈর্ষা...

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

শুরুটা খুব ভালো লাগলো!! হাসি পুরো চিঠিটা পড়া হলোনা, তুলে রাখলাম, রুমে ফিরেই পড়বো!!!

শাব্দিক এর ছবি

ভাবসিলাম কিছু কিছু অংশ কোট করে বলব চমৎকার। কিন্তু করতে গিয়ে দেখি পুরা লেখাটাই কোট করা হয়ে যাচ্ছে। তাই সবটুকুর জন্যি উত্তম জাঝা!

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

যুমার এর ছবি

চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মর্মভেদী একটি লেখা। জায়গামতো স্পর্শ করতে পেরেছে লেখাটা। চলুক
কোন এক কালে আমিও এরকম একটা লেখা লিখতে চাই। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

যে যার দপ্তরে ছুটির পরে একা।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

kibria এর ছবি

লেখা মন ছুয়ে গেছে


আর সবচেয়ে ভালো লেগেছিলো যেদিন, সেদিন ক্লেমেন্টি স্টেশনে একটা ফ্রুটবক্সের উপর বসে এক চাইনিজ বৃদ্ধ বাজিয়েছিলো অজানা এক বাদ্যযন্ত্র। তার সুর ছিলো অপার্থিব। কখনো তাতে ঝড় ওঠে, কখনো বৃষ্টি নামে, কখনো নামে বিকেলের রোদ অথবা বয় সকালের বাতাস।

আমি প্রায়ই কিছুক্ষণের জন্য হলেও শুনি - যেন হৃদয় থেকে উঠে আসা মায়াবী সুর
...মাঝে মাঝে বুন লে স্টেশনে ও দেখা যায়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ফিরে আসো, তানভীর... খুঁজে পাও নিজেকে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।