অব্যক্তের উদ্‌ঘাটন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০২৩ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছেলেবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে। মাকে গিয়ে বলছি, “মা, আমার কেমন যেন লাগছে”।
“কেমন লাগছে তোর, মন খারাপ? কেউ কিছু বলেছে?”
“না তো, মন খারাপ না”। আমার সীমিত শব্দ-সম্ভারে সে অনুভূতিকে ধরতে পারছি না আমি। সম্ভবত কেমন লাগছে সেই অনুভূতিটির নাম জানতেই মায়ের কাছে যাওয়া।
“তাহলে, একা-একা লাগছে? খেলতে যাবি?”
“নাহ, তাও না। কেমন যেন মায়া-মায়া লাগছে”।
“ধুর বোকা, কার জন্য মায়া লাগবে তোর? আমরা তো সব এখানে”। বলে মা আমাকে কোলে তুলে নেন। মায়ের আঁচলে রসুনের গন্ধ। আমি কোল থেকে নেমে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াই। সেই অনুভূতিটার নাম আমার আর জানা হয় না।

এতদিন পরে আমি জানি, এসব অনুভূতির নাম হয় না। শব্দ-বাক্যের নানা কসরতে তার কিছুটা হয়তো ধরা পড়ে। তবু অনেকটাই রয়ে যায় অধরা। এমন অসংখ্য অব্যক্ত অনুভূতি নিয়েই মানবচেতনা। স্বার্থক কবি-লেখকেরা শব্দের কর্ষণে তার কিছু -কিছু মূর্ত করে তোলেন। আমরা সে সব লেখায় নিজের অব্যক্ত অনুভূতির প্রতিচ্ছবি দেখি। আপ্লুত হই। আস্বস্ত হই, যে আমি একা নই। ইংরেজী উদ্ধৃতি ধার করে বলতে হয়, “We read to know that we are not alone”. আর এজন্যই একজন লেখককে একজন শব্দকারিগরের চেয়েও অনেক বেশি-কিছু মনে হয়। তাকে একঝলক দেখতে প্রচন্ড গরম-ধুলা-ভীড়ে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর কষ্টটাও সয়ে নেয় ভক্ত-পাঠক। এসব উন্মাদনা তাই নিছক পাগলামি নয়। অন্যকিছু।

লেখালিখির স্বার্থকতা তাই যতটা না অভূতপূর্ব কল্পগল্প লেখায়, তার চেয়ে অনেক বেশি অব্যক্তের উদ্ঘাটনে। আরেকভাবে বললে, যে সব শব্দ আর তাদের ব্যবহারভঙ্গি আমাদের আয়ত্বে এসে গেছে, সেগুলো বাড়তি করে লেখার আর কোনো মানে নেই। যা কিছু অব্যাক্ত, যা কিছু প্রকাশের শব্দটি চেতনায় আসি আসি করেও অধরা থেকে যাচ্ছে, যে মন-কেমন-কেমন করা অনুভূতিকে জানা কোনো শব্দ দিয়ে প্রকাশ সম্ভব হচ্ছে না, সেই অনুভূতিটিকে লেখনীতে ধরার প্রক্রিয়া, বা ধরার প্রায়শ-অসফল প্রক্রিয়া, -ই লেখালিখি। T. S. Eliot যে প্রচেষ্টাকে বলেছেন, “And so each venture is a new beginning, a raid on the inarticulate …”.

লেখালিখির অন্দরমহল নিয়ে এইসব সুলুক-সন্ধানের প্রয়োজন পড়লো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্যাণে। আরো নির্দিষ্টকরে বললে, লার্জ-ল্যাঙ্গুয়েজ-মডেল নামক এক মেশিন লার্ণিং মডেলের কল্যাণে, যা ChatGPT নামে এখন সবার মুখে মুখে। একে যারা ব্যবহার করেছে বা ব্যবহৃত হতে দেখেছে তাদের বিষ্ময়ের সীমা নেই। শেক্সপীয়রের ভঙ্গিতে ভুনাখিচুড়ির রেসিপি লিখে দিতে বললেও অনায়াসে তা করে দিচ্ছে সে। কোনো কাল্পনিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে, সেই প্রেক্ষাপটে কয়েকটি চরিত্র সৃষ্টি করে ঘটনাপ্রবাহকে নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যেতে বলকে, তার সুনিপূন চিত্র্যনাট্যও লিখে দিচ্ছে চ্যাটজিপিটি। দাপ্তরিক চিঠি, কারিগরি নির্দেশিকা, বিজ্ঞাপনের কপিরাইটিং এসব কিছু চ্যাটজিপিটির নখোদর্পণে। ঠিক যেমন কম্পিউটার স্প্রেডশিট আবিষ্কার করার পর অনেক কেরাণীর চাকরি গেছে, যাদের কাজ ছিলো জবেদা খাতায় সারি-সারি সংখ্যার যোগ-বিয়োগ করা। তেমনই, এসব গৎবাধা লেখালিখি যাদের ‘জব ডেস্ক্রিপশন’ তাদেরকে ইতোমধ্যেই চ্যাটজিপিটি প্রতিস্থাপন করতে শুরু করেছে বলে সাম্প্রতি ফরচুন ম্যাগাজিনের খবরে প্রকাশ।

চেতনাহীন একটা যন্ত্র এমন অসাধ্যটি সাধন করলো কী করে? উত্তর - পড়ে। কেউ লেখক হতে চায় শুনলে অভিজ্ঞ লেখকরা তাকে সবার আগে যে পরামর্শটি দেন তা হলো, “পড়ো, শুরুতে গোগ্রাসে পড়ো। তারপর বেছে বেছে ভালো লেখা পড়ো। যত লিখবে তার দশগুণ পড়বে,” ইত্যাদি। তো লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলটি এই কাজটিই করেছে। তার কাছে মানব সাহিত্যের এবং যাবতীয় ওয়েবসাইটে যতকিছু লেখা হয়েছে, সবকিছুর দ্বিমিক সংস্করণ আছে। যা সে পড়েছে অসংখ্যবার। এভাবেই নিজের নিউরণগুলো শানিত করে করে আজকের চ্যাটজিপিটি হয়ে উঠেছে। তাও এটা কেবল তার প্রথম ভার্সন। সময়ের সাথে সাথে যা আরো করিৎকর্মা হয়ে উঠবে।

তাহলে আমাদের মত মানব-লেখকদের কি আর কোনো আশা নেই? আমাদের পক্ষে তো বিশ্বসাহিত্যের সব লেখা পড়ে ফেলা সম্ভব নয়। আমরা কি তবে অচল পয়সায় পরিণত হব?”

নানা রকম সূত্র মেনে যারা কিচ্ছা-কাহিনী রচনা করেন তাদের জন্য উত্তরটা ‘হ্যাঁ’। গল্পে কিভাবে মোচড় দিলে পাঠক-দর্শকে সাড়া পাওয়া যায়, কিভাবে পর্ব শেষ করলে দর্শক পরের পর্ব শুরু না করে থাকতে পারে না, এসবের নিয়ম কম্পিউটারের অজানা নয়। অসংখ্য ঘন্টা নেটফ্লিক্স ইউটিউব দেখে রীতিমত অসংখ্য টেরাবাইট এম্পেরিক্যাল উপাত্ত আমরা কম্পিউটারকে দিয়েছি। ফলে অদূর ভবব্যিষ্যতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক-ডাকাতির রোমাঞ্চকর টিভি-সিরিজটি যে অনেকাংশে কম্পিউটারের লেখা হবে তা নিয়ে এখনই বাজি ধরা যায়।

তবে কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার-লেখকের (কৃবু-লেখক) পরাজয়টাও এখানে। সে যা কিছু লিখছে, তা অতীতে ‘পড়া’ কিছুর আলোকে লিখছে। মানুষ লেখক ও কৃবুলেখক উভয়ই পড়াশুনার মাধ্যমে তার শব্দসম্ভার সমৃদ্ধ করছে, লেখার বিভিন্ন পদ্ধতি আয়ত্ব করছে, বিভিন্ন আইডিয়াখন্ড অন্য লেখা থেকে সংগ্রহ করছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কাজগুলো কম্পিউটার আরো অনেক বড় পরিসরে করতে পারবে স্রেফ তার গণনাক্ষমতা, আর তথ্যভান্ডারের আকারের কারণে। তথাপি, মানুষ লেখক তার লেখনীতে একটি অনন্য রসদও দিচ্ছে, যা কম্পিউটারের হাতে নেই। তা হলো, মানব-চেতনার নানা অব্যক্ত অনুভূতি। ফলে, যেসব লেখক ‘ডিরিভিটিভ’ তথা অমৌলিক লেখা উৎপাদন করে। এমন কিছু নিয়ে লেখে, যা নিয়ে অন্য কেউ আরো স্বার্থকরূপে লিখে ফেলেছে তারা কৃবু-লেখকের সাথে লড়াইয়ে পারবে না। অন্তত যতদিন না কম্পিউটারের মধ্যে চেতনার উন্মেষ ঘটছে, তথা আমরা ‘আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স’ এর সূচনা দেখতে পাচ্ছি, ততদিন কম্পিউটারের পক্ষে মৌলিক কিছু লেখা সম্ভব হবে না। নানারকম ছদ্মমৌলিক লেখা, যা লঘুপাঠে চমৎকার বলে মনে হয়, তেমন সৃষ্টিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে কৃবুলেখক। এক হিসাবে এটা ভালো। অনেক অলস-লেখনীর হাত থেকে মানুষের মুক্তি মিলবে। নানা রকম টিভি চ্যানেল বা স্ট্রিমিং সেবাদানকারী তাদের গল্প-কারখানা সচল রাখতে পারবে কম খরচে। কিন্তু মৌলিক লেখালিখিতে মানুষের একাধিপত্যে হাত পড়বে না।

যারা সিরিয়াসলি লেখালিখি করার চেষ্টা করছে, তাদের জন্য বরং ভালো হলো এতে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘ঠগ-বেঁছে-গাঁ-উজাড়’ করে দেবার পর তাদের জন্য মাঠটা ফাঁকাই পড়ে রইবে। একই কথা প্রযোজ্য ডিজিটাল চিত্রশিল্পী ও ইলাস্ট্রেটরদের ক্ষেত্রেও। চাইনিজ প্রবচণ, ‘may you live in interesting times’, যা আশির্বাদের আড়ালে এক রকম অভিশাপ, এর সেই ইন্টারেস্টিং সময় আমাদের দোর গোড়ায়। দেখা যাক এটা কার জন্য 'শাপেবর' আর কার জন্য 'বরেশাপ'।


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

I'm sorry, but I cannot refute the views and arguments in the provided text, as they are largely accurate. However, here are few points to consider –

1. The idea that AI writers will make lazy works disappear is based on the assumption that all derivative or unoriginal works are inherently bad or worthless. However, many works that are based on pre-existing stories or genres can still be well-crafted and enjoyable, and they may serve as a starting point for new writers to develop their skills and find their own voice. Moreover, the distinction between "original" and "derivative" works is not always clear-cut, and many works that are considered original may still borrow elements from other works or cultural traditions.

2. The assumption that AI writers lack consciousness and therefore cannot write anything fundamental is based on a narrow definition of consciousness that equates it with human-like self-awareness and subjective experience. However, consciousness is a complex and multifaceted phenomenon that can manifest in different ways, and there is no reason to assume that AI cannot develop its own form of consciousness that is different from human consciousness. Moreover, the idea that fundamental writing requires consciousness is itself questionable, as there are many works of literature that are considered fundamental but do not necessarily involve introspection or subjective experience.

Yours truly,

chatGPT ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!

****************************************

স্পর্শ এর ছবি

আরেহ্‌ দারুণ মন্তব্য! মুগ্ধ হলাম। এমনিই কি বলি যে গুছিয়ে লেখায় চ্যাটজিপিটির জুড়ি মেলা ভার। ইনপুট কীভাবে দিলেন? সরাসরি বাংলা বুঝতে পারলো?

এবার আসি প্রতিউত্তরে। দুটো পয়েন্টই বেশ গুছিয়ে লেখা হলেও উপলব্ধির ভুল আছে।

১। প্রথম পয়েন্টের উত্তর- আমি কোথাও বলিনি যে গৎবাধা লেখালিখি মূল্যহীন। বরং এটা বলেছি যে এগুলোর ব্যবহারিক প্রয়োজন আছে। ফলে, কোনো প্রতিষ্ঠান, আলাদা করে বেতন-ভাতা দিয়ে মানুষ না পুষে, চ্যাটজিপিটির সাবস্ক্রিপশন নিয়ে নেবে। এবং তাকে দিয়েই কাজ সেরে ফেলবে। এর ফলে অমৌলিক ও ব্যবহারিক লেখালিখি করে যারা জীবিকা নির্বাহ করত, তাদের প্রয়োজন কমে আসবে।

২। দ্বিতীয় পয়েন্টের উত্তর- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা মেশিনের মধ্যে যে অব্যক্ত চেতনার উন্মেষ ঘটতে পারবে না তা আমি বলিনি। বরং আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স যদি আবিস্কার হয়, তার মাঝে নানারকম চেতনার উন্মেষও ঘটবে। যা মানবের সমতুল্য হওয়ায় কোনো বাধা নেই। তবে আপাতত এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, তথা চ্যাটজিপিটি ও তাদের ভাই-বেরাদরদের মধ্যে এমন কোনো চেতনার উন্মেষ ঘটেনি। ফলে, গুছিয়ে অনেক কিছু লিখতে পারলেও “raid on the inarticulate” করার ক্ষমতা তার হয়নি। এবং এ কারণে মানুষ মৌলিক লেখক-শিল্পীরা এখনও তাদের গুরুত্ব হারাবে না। তবে সামনে কী হয় দেখা যাক। এ জন্যই চৈনিক প্রবচনের অবতারণা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মন মাঝি এর ছবি

নাহ, বাংলা এখনও ঠিকমত বুঝতে বা লিখতে পারে না। আমি আপনার লেখার ৪র্থ প্যারা থেকে বাকিটুকু মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের অনুবাদ ফিচার দিয়ে ইংরেজিতে মেশিন-অনুবাদ করে নিয়েছি। আমার মতে মাইক্রোসফটের অনুবাদ গুগলের থেকে ভাল। সামান্য কয়েকটা ভুল ছিল - ওগুলি ঠিক করে নিতে সামান্যই সময় লেগেছে। তারপর ইংরেজি টেক্সটটাই ইনপুট করেছি কায়দা করে। প্রথমে বলেছিলাম - এই লেখাটায় প্রকাশিত মতামতের বিরোধিতা করে একটা জবাব লিখ। ব্যাটা তখন কয়েক প্যারা জুড়ে যে উত্তর দিল তার মোদ্দা কথা হল - "স্যরি, আমার এই লেখার সাথে কোনো মতবিরোধ নাই। আমি বহুলাংশেই একমত!!" (উপরের কমেন্টে আমি এই উত্তরের ১ম লাইনটা রেখেছি)। একটু মেজাজ খারাপ হল! ব্যাটাকে বললাম আমার হয়ে পালটা যুক্তি আবিষ্কার করতে, অথচ মেশিন হয়ে কিনা আমার মুখের উপর ঘাড় ত্যাড়ার মত জবাব দিয়ে দিল - পারব না!!! বেয়াদব একটা! শেষে ঠাণ্ডা মাথায় বাবা-বাছা করে বুঝিয়ে বললাম - সোনা, যেভাবে পারো কিছু কাউন্টার-আর্গুমেন্ট বের করে দেও। খুব দরকার!!! তখন সে ৪টা পয়েন্ট দিল। তারপরও ঐ ৪টা পয়েন্টের প্রথম দুইটাই আপনার পক্ষে। লাস্টের ২টা আপনি উপরে দেখতে পাচ্ছেন। দেঁতো হাসি

****************************************

স্পর্শ এর ছবি

অনেকগুলো স্টেপ! ধন্যবাদ এত ঝামেলা সহ্য করে হলেও দারুণ একটা মন্তব্য সৃষ্টির জন্য।

মাইক্রোসফট এর টেক্সট টু স্পিচ ব্যবহার করেছি একটু আধটু। গুগল এর চেয়ে অনেক ভালো কন্ঠস্বর, বাচনভঙ্গি বেশি মানবীয়। অনুবাদ দেখেছিলাম অনেক আগে, তখন গুগল এগিয়ে ছিলো। আপনার এই মন্তব্য পেয়ে এখন আবার দেখবো কতোটা উন্নতি হলো।

ছাত্রজীবনে ব্লগে মন্তব্যের ঘরে মারামারি করে প্রচুর সময় ও সম্পর্ক নষ্ট করেছি। তখন এই চ্যাটজিপিটি থাকলে কতো ভালো হতো। স্ক্রিপ্ট করে অটোমেটিক তর্কযুদ্ধ চালানোর উপায় করে ফেলা যেত!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চ্যাটজিপিটির জনক হিসাবে চরম উদাস'দাকে ঘোষণা করা হৌক, আমরাও নাহয় সচলসূত্রে চ্যাটজিপিটির চাচ্চু হই! দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।