আমাদের সময়ে পরীক্ষায় এ, বি, সি, ডি না দিয়ে নাম্বার দেবার নিয়ম ছিলো। বোর্ডের পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভিন্ন বিষয়ের এসব নাম্বার যোগ করে একটা মেধাতালিকা করা হতো। সেই তালিকার প্রথম ২০ জনকে বলা হতো, ওরা স্ট্যান্ড করেছে। তো তেমনই এক ফলাফল ঘোষণার দিনে আমার এক বন্ধুর বাড়ীতে থম থমে অবস্থা। চুলায় হাঁড়ি চড়ছে না। বেচারা নাকি কয়েক মার্ক্সের জন্য প্রথম হতে পারেনি। শুধু বাড়ির লোকই না, এলাকাবাসীও হতাশ। ওদিক
আপনি হয়তো এই মাত্র ফিরলেন শাহবাগ থেকে। আপনার উচ্চারিত স্লোগান এখনো ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে লক্ষ কন্ঠে, শাহবাগে, সারা দেশ জুড়ে। টুইটারের মাধ্যমে আপনি হয়তো জানিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীকে আমাদের প্রাণের দাবীর কথা। ফেসবুকে শেয়ার করছেন নিজের প্রত্যয়, আশা আর উৎকন্ঠার বাণী। অনলাইনে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নাশকতার, খণ্ডণ করছেন প্রজন্মের এই আন্দোলন নিয়ে সকল অপপ্রচারের। কিংবা হয়তো, আপনি পারিবারিক বা পেশাগত
আমি আমার ছাত্রজীবনে, ধর্মান্ধ, ধূর্ত, লোভী, খুনে, ধর্ষক বা বিভ্রান্ত ছাড়া কাউকে ছাত্ররাজনীতি করতে দেখিনি। আমি জানি ছাত্ররাজনীতি মানে এসব নয়। আমি জানি, আমার ভাষা, আমার স্বাধীনতা, আমার দেশের ইতিহাস কিভাবে রক্তের অক্ষরে লিখেছে ছাত্ররাই, ছাত্ররাজনীতিই। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য সেই সময়ে আমি জন্মিনি। স্বৈরাচার হঠিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছিলো যে ছাত্ররা, তারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের মূল্যবোধ, ধ্যান ধারণা, দেশপ্রে
কত কম কম লিখি আজকাল, বিশ্বাস হতে চায় না। এই সেদিনও তো এমন ছিলো না। মধ্যদুপুরে প্রচন্ড জ্যামে আটকা পড়েছি মিরপুর রোডে। একটা গণগণে চুলার মধ্যে বসে আছি। মাথার উপর ফ্যানটাও ঘুরছে না এতটুকু। জানালার ওপারেই একজন রিকশা ওয়ালা পুড়ছে। মাঝে মাঝে গামছা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে পোড়া ছাই। আর আমার সামনের সিট থেকে উকি দিচ্ছে একজোড়া অবাক চোখ। কিভাবে যেন মায়ের কোলে দাঁড়িয়ে পড়েছে সে। আমাকে দেখছে। একটু হাসি বিনিম
না না, আপনারা বিচলিত হবেন না। আপনারা বসুন। আপনারা শান্ত হোন। আপনাদের কাপড়ের দাম বেড়ে যাবে না। শুধু লাল রংগুলো খানিকটা ক্রিমসন হয়ে যেতে পারে কিছু দিন। পুড়লে যা হয় আরকি। ওসব আমরা সামলে নেব ঠিক। ক’টাই তো মোটে মানুষ মরেছে। এখনো অ-নেক উদ্ধৃত আছে।
অংক শেখ বালক। তোমার যদি ড্রোন না থাকে, তোমার কথার অর্থ নেই। তুমি যদি না জানো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম কীভাবে কাজ করে, যদি না জানো কিভাবে স্যাটেলাইট ইমেজের উপর মাউসের দুয়েক ক্লিকে মুছে ফেলা যায় পুরো একটা জনপদ। তাহলেও তোমার কথার অর্থ নেই।
মাঝে মাঝে পেনসিলটা হারিয়ে যায়। এই খাতাটা উলটাই, ওই বইটা উলটাই, টেবিলের তলা, খাটের নীচ কোথাও নেই। কিন্তু একটু আগেই তো দিব্বি লিখছিলাম! নামিয়ে রেখে রাবার দিয়ে একটা ভুল বানান মুছতেই কোথায় যে গেল!
টিউবওয়েল এর ব্যবহার নিয়ে প্রচার প্রচারণা হয়েছে, কারণ কেউ না কেউ এ থেকে টাকা বানাতে পেরেছে। সেখানে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট রাখলেই পানি ডাইরিয়াটাইপ জীবানু মুক্ত হয়ে যায়, এই কথাটি প্রচারিত হচ্ছে না। কারণ, এ থেকে টাকা বানানোর উপায় নেই[১]। ওদিকে টিউওয়েলের পানি ব্যবহার করতে গিয়ে আর্সেনিক সমস্যায় ভুগছে বিশাল জনপদ। একটা প্রযুক্তি আবিষ্কারের সাথে সাথে 'বাজারজাত' করাও কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা
আমি ভাবতাম মেয়েরা বড় হলে এমনিতেই তাদের বাচ্চা হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় দুই অপু ছিল। তাদের বড় বোনের বিয়ে হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। যদিও বড় বোন বেশি বড় তার পরেও তার বাচ্চা হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। বাচ্চা বড় করতে তো বাবার সাহায্যও লাগবে। তাই বোধ হয় বিয়ে না হলে বাচ্চা হয় না। টিভিতে হিন্দু আর মুসলিম বিয়ে দেখেছি তত দিনে। হিন্দু বিয়ের সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট অংশ হলো মালাবদল, আর মুসলিম বিয়ের 'কবুল কবুল কবুল' বলা। এইটাই জানতাম। এই ঘটনা ঘটলেই মেয়েটার শরীরে এমন পরিবর্তন এসে যাবে ভেবে দারুণ ভয় হতো। কারণ ততদিনে 'জামাই-বউ' খেলতে গিয়ে কয়েকবার এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছি। আমার দোষ না। অন্যদের দোষ। এই খেলায় জামাই হলে চুপ করে বসে থাকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। শশুর-শাশুড়ি শালা-শালী হওয়া বেশি মজা। মাঝখান থেকে আমার পাওনা হলো বাবা হয়ে যাবার বাড়তি টেনশন! যদিও বাবা হইনি শেষ-মেশ। কিন্তু তাতে টেনশনে নতুন মাত্র যোগ হয়েছে। কারণ আটকুরে রাজার গল্পও শুনে ফেলেছি ততো দিনে।
সবই তো বুঝলাম, কিন্তু...