ফিরে আয়, দয়া কর, ফিরে আয় সোনা .....
লেবেঞ্চুস কাঠি লজেন্সেও হবেনা তোর বুঝতে পারছি
আচ্ছা সবচেয়ে দামি বেলজিয়ান ক্রীমে মোড়া চকোলটটাই দেবো তোকে, যেটা মুখের ভেতর গলে যাবে তোর .. তুই আমার কাছে একবার ধরা দে, আমি যেরকম করে রিশ এর কোলে গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকি নরম আদুরে বেড়াল ছানার মত। আর রিশ যেভাবে আদর করে আমাকে সারা গায়ে হাতড়ে, হাঁটুর নীচে কাফ মাসলটার ঠিক যেখানে ব্যথা সেখানে আ-স্তে করে চাপ দিয়ে -- উহ্ -- আমি একদম গলে যাই - আমি তোকে ঠিক ওইরকম করে আদর করবো সোনা, ঠিক ও ই রকম করে সারা গায়ে হাত বুলিয়ে দেবো।
আমার হলদে মলাটের শক্ত কাগজের খাতা তোর পছন্দ হয়নি, বেশ তো আজই অফিস থেকে এনেছি সুন্দর হালকা নীল মলাটের মাঝে বাঁধাই অনিয়ন স্কিন পেপারের নোটবুক ... কি- ই সুন্দর, দেখলে তুই খুশিতে লাফিয়ে উঠবি! তুই একটু কাছে আয়। আমি সবচেয়ে দামি কলমের মোটা কালো নিব দিয়ে গভীর করে লিখবো তোর কথা, গড়বো তোকে ...... কালো অক্ষর গুলো মুক্তোদানার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেবো নীল মেঘের দলের মাঝে, তুই একটা একটা করে পাঁপড়ি মেলার মতো আমার হাতের ভেতর পদ্মকোরক হয়ে ফুটবি, হ্যাঁ - ঠিক ও ই স্থলপদ্মের মতো, বহু বহু বছর আগে ছোট্ট মফঃস্বল শহরের বাড়িটায় শুধু আমার জন্য যে পুকুরটা ছিলো, যার পাড় আঁকড়ে আমার প্রথম সাঁতার কাটতে শেখা, আর যেটার জলের মাথায় প্রথম দেখেছিলাম সাপের ফণা উঁচোনো...... সেই বাড়িটার দেয়াল ঘেঁষে নিষিদ্ধ জংলার ধারে ওই গরবিনী পদ্মের সারি, কি এক অমোঘ আকর্ষণ ছিলো আমার - তোকে ঠিক ও ই রকম, সবাই ঘুমিয়ে যাওয়া ঝিম্ ধরানো দুপুর বেলায় বুনো ঝোপের ভেতরের জংলা গন্ধে স্থলপদ্মের সারির মধ্যে চাই আমি......
সোনা আমি জানি তুই সবার জন্য নোস্, আমি জানি তোর আত্মাভিমান, জানি আমার ওপর তোর অসহ্য রাগ ক্রোধ বেদনার কথা - আমি জানি তুই কেমন বেঁকেচুরে গেছিস্, প্রতিবার গভীর রাতে কাজ থেকে ফিরে আমি যতবার কাগজের ওপর খসখস করে লিখে গেছি নির্দয়ভাবে, তুই অভিমানে চেয়ে ছিলি আমার দিকে, তারপর নিজের ওপর অন্ধ ক্রোধে ছুঁড়ে ফেলেছি পাতাগুলো, টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দিয়েছি আমর ছোট্ট ব্যালনকিটা থেকে। কখনো বা ফিশ বোলের মাছেদের সঙ্গী হয়েছিস তুই কাগজের নৌকো ভাসিয়ে।
স্বার্থপর বেনিয়ার দু'পয়সা লোভের মত নির্লজ্জ আমি গভীর রাতে অচেতন ঘুম থেকে রিশ্ কে ডেকে তুলে ঠোঁটে মুখে গায়ে ওর আদর মাখতে মাখতে শরীরের উন্মাদনায় হারিয়ে যেতে যেতে, নাহ্ একবারও ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি তো তোর কথা! যখন আমার পিঠের ভেতর হাজারটা পিঁপড়ের সারির মত রিশের কুশলী আঙুলগুলো খেলা করে যাচ্ছিলো, যখন ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে চুমুক দিয়ে খবরের কাগজ আর বিজাতীয় ভাষার খবরে আয়েসী সকাল আমার, রাতের খাবারে ব্যারামুন্ডি নাকি স্যামন ফিলেট বেবি স্পিন্যাচ নাকি পেনফোল্ডস এর ক্লাব পোর্ট - এ সমস্ত অর্থহীন জিনিসেও কি ভীষণ রকম সময় নষ্ট করেছি রে লক্ষী!
তোর মুখে আওয়াজ নেই, কিন্তু আমার শত্রুও বোবা বলবে না তোকে। তুই যখনই পারিস্ উঁকি দিয়েছিস। বলেছিস্ তোর অভিমানী ফোলানো ঠোঁট আর তুলতুলে আঙুল তুলে, ছিঁড়ে খুঁড়ে ফালা ফালা করেছিস্ আমার দিনের শান্তি, রাতের ঘুম।
অবহেলা? এত করেও পারিনি। তীব্র পিঠ ব্যথায়, অফিসে সদা সতর্ক চাকরি হারাই হারাই ভয়ের মধ্যেও, ট্রামের দুর্গন্ধওয়ালা ভারতীয় ছেলেটার বগলের কটু গন্ধের কদর্যতায়, কিংবা সকালের দাঁত মাজার ছোট্ট অবকাশেও একটু করে চড়ুই পাখির মত দেখা দিয়েই তুই ফুড়ুত!! তুই জানিয়ে গেছিস্, তুই খুব মিষ্টি আর খুব প্রার্থিত একজনা, কিন্তু তুই অধরা।
মা ফোন করেছিলো সেদিন, ভাবতে পারিস্? কত্তদিন পর!! তোর কথা জিজ্ঞেস করলো। আমি বেভুল হয়ে এমন ভাবে রিশের কথা বলছিলাম, থতমত খেয়ে গেলাম। খুব লজ্জা পেলাম, জানিস? তুই, যে আমার সবচে' আপনার জন, আমার নিশীথ রাতের বাদলধারা, বেমালুম ভুল মেরে দিয়েছিলাম ক'মুহুর্তের জন্য। আমার ওপর তোর অভিমান তখন থেকেই শুরু তাইনা?
আচ্ছা বাবু, তোকে বেড়াতে নিয়ে যাই চল্ বোট্যানিক্যাল গার্ডেনে। ওই যে ঘনঘোর বর্ষার ওই দিনটা, আমি আমার প্রিয় কানবাজনা টা নিয়ে ছাতা বগলে চলে গেলাম আর ঝুম বৃষ্টির মধ্যেই ফার্নের সারি আর বুনো স্বাদের টক টক পাতা গুলো চিবুতে চিবুতে --উফ্ দারুণ একটা আ্যডভেঞ্চার হলো তোতে আর আমাতে। সেদিনটায় কিন্তু আমি একবারও তোর কাছ ছেড়ে যাইনি, বল্? কেমন কেমন করে আমাদের দু'জনের রাগ অভিমান সব গ-লে জল হয়ে গেলো, কালো রাজহাঁস গুলোকে রুটি খাইয়ে আর ওই বীভৎস কালো মাগুর মাছ গুলোকে জলের নীচে খোঁচাখুঁচি করেই হি হি হি। সেদিন তোর হাসিটা এত্তো মিষ্টি ছিলো, এত্তো মিষ্টি .. ইচ্ছে হচ্ছিলো টপাস্ করে জড়িয়ে ধরে তোকে একটা চুমো খাই। এটুক শুনেই চোখ গোল করলি? সত্যি সোনা, তোকে আমর আদর লাগে, সব সময়, সারাটা ক্ষণ। তুই আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেছিস বলেই ভাবিস না রিশ্ আমার সবটুকু নিয়ে নিয়েছে,চেষ্টা করেছে হয়তো, কিন্তু চুপিচুপি জানিয়ে রাখি তোকে ...পারেনি ।।
নিতে পারেনি।।
পরাণের গহীন ভিতর - তুই ই ছিলিস, তুই ই আছিস।
আমার নিষিদ্ধ সুখের মতো, আমার দুপুরবেলায় স্কুল পালিয়ে ছাদে গিয়ে সারি করা আচারে বয়ামের ভেতর জিভ ডুবিয়ে দেবার মতন, যখন রিশের চোখ এড়িয়ে বাথরুমের সুগন্ধী বাথটাবে বুদবুদের ভেতর আমি উজ্জ্বল একঝাঁক পায়রা খুঁজি, শীর্ষসুখের অতল স্পর্শ করে আমায়, আমি তোকে খুঁজে পাই। তুই না হলে শ্বাস নেবার কষ্ট হয় তো আমার, দম আটকানো খাঁচা বন্দি পাখি হয়ে যাচ্ছি দেখতে পাচ্ছিস্ না? ভাগ্যিস তুই ছিলি সোনা, নইলে আমি মরেই যেতাম।
তুই বার বার রাগ করে পালিয়ে চলে যাস্, এবার তো ভেবেছিলাম আর ফিরেই আসবিনা, তারপরও অদম্য একটা ইচ্ছে কেন ছটফট করে ভেতরে, তোকে জাপটে ধরে রাখি, কিছুতেই যেন তুই ছুটতে না পারিস্, তোকে হাতপা বেঁধে আঁকড়ে ধরে গুনে গুনে পঞ্চাশটা হামি দেবো, তোকে সাথে নিয়ে ড্যানডেনং পাহাড়ের চূড়োয় যাব (না, যাইনি, রিশ্ কে নিয়ে সত্যিই যাইনি, হিংসে করিস না ভূত কোথাকার!) ও ই শিশির মাখা টুকটুকে লাল ফুলটা পাঁপড়ি মেলে শুধুই যে পাহাড়ের হিমের আদরে, হ্যাঁ, শুধু তোকে দেব সোনা, লক্ষী মানিক আমার, শুধু তোকে, সুন্টুনি মুন্টুনি। রাগ করিস্ না আর মুখ ফিরিয়ে থাকিস্ না। অনেক পাওয়ার মাঝেও আমার সবচে' বড় না পাওয়া হয়ে যাস্ না তুই।
ভয় পাস্ না: রিশ্ কে নেবোনা; দেখিস্ তুই, যেভাবেই হোক্ ওর চোখ ফাঁকি দেবোই আমি এবার। শুধু তুই আর আমি নিশ্চিন্দিপুর ... অনেক দূর ...
কবিতা আমার, লেখা আমার, ফিরে আয় সোনা, প্লীজ!
(উৎসর্গ- সুহৃদবরেষু হাসান মোরশেদ)
ss ১৭ই মে,২০০৮: দুপুর ১টা ৫৯মি
মন্তব্য
পইড়া তাব্ধা হইয়া রইলাম।
এইরকম মাইনসে ক্যামনে ল্যাখে!
- 'ইসবগুলের ভূষি' লেখা হইছে, খালি আপনার না অন্য আরও অনেকের অনেক উপকার করে ফেলছেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূ গো - জানিনা ... ... লেখালেখি আমাকে ছেড়ে যাচ্ছে ... ... এটুকু জানি .. ..
পাঁচঘর লেখা। কোন কথা হবে না..
পুরা পাঙ্খা
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
কথাই হবেনা?
এটাই তো একটা কবিতার পূর্বরাগ!
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
অস্তরাগের ঘন্টাধ্বনি শুনতে পাই ... ... ভালো লাগেনা সেটা
স্বাভাবিক ভাবেই সচলায়তন যখন খুলে বসি, সতর্ক দৃষ্টি থাকে স্ক্রীনে, খুঁজতে থাকি কিছু নাম। সবার লেখাই ভালো লাগে, তবুও কিছু নাম মানেই যেন সুদে-আসলে সব ক্ষুধার নিবৃত্তি। গুটিকয়েক নামের সাথে, আপনার নামটাও সেই লিস্টে আছে s-s. আপনার লেখার মধ্যে অনুভূতির সেই গভীরতা খুঁজে পাই তা অবিশ্বাস্য। যদিও আমি মূলত একজন অলেখক ( কিংবা হুমায়ূন আজাদের ভাষা ধার করে বললে অপলেখক ) , তবুও আপনার সহজ কিন্তু সাবলীল লেখাগুলি আমাকে ঈর্ষাণ্বিত করে না। মন্ত্রমুগ্ধের মতোই আপনার লেখাগুলি পড়ি আমি।
এত চমৎকার লেখা আরো লিখুন, ভরিয়ে দিন সচলায়তনের সব সচল পাতা আপনার লেখনীর সবুজে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সহৃদয় কথনের জন্য সশঙ্ক কৃতজ্ঞতা, লিখতে পারছিনা,ব্লক এসে গ্যাছে একটা।অলেখক নন মোটেই, লেখার প্রতি অনুরাগই বলে দেয় সেটা। লেখা আসছে না, বহুদিন হলো। দুশ্চিন্তিত:, কিঞ্চিত।
অনেকদিন পরে পেলাম আপনার লেখা , অসাধারন ! পাখি ফিরে এসে পড়েছে আপনার ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
"ধরা সে যে দেয় নাই, দেয় নাই
যারে আমি আপনারে সঁপিতে চাই, কোথা সেযে আছে সঙ্গোপনে
প্রতিদিন শত তুচ্ছের আড়ালে আড়ালে আড়ালে ... ... ... "
'কে আর এমন কাকডাকা ভোরে একা ফিরে আসে?
আমি ফিরে আসি,আমি ফিরে আসি একা............'
কি অদ্ভূত অসামান্য প্রাপ্তি,একজন সামান্য মানুষের জন্য ।
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মোর্শেদ: ........
তারপরেও হয়তো কিছুই হলোনা..... একবুক হতাশা ছাড়া .... কেমন আছেন ?
কৃতজ্ঞতা, লেখাটা পড়ার জন্য।
অদ্ভুত সুন্দর মন-কাড়া ভাষা আপনার।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
শ্রদ্ধাস্পদেষু জুবায়ের ভাই, ধন্যবাদ। ভাষা আমাকে ভাসিয়ে দিলো শেষ পর্যন্ত।
আগেই কইসি, তাব্ধা হইসি। এবার লগইন করে পাঁচায়া গেলাম।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এই, তাব্ধা মানে কি?
অসাধারণ! অসাধারণ! এককথায়...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
কবিতাময় গদ্য। অতি চমত্কার লাগলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কবিতাময়তাই সার ..... ..... লেখালেখি আমাকে ছেড়ে গ্যাছে, যাচ্ছে ... ....
@ s-s ...... লেখা নিয়ে কিছু বলবো না - কিন্তু,
(let's go said he
not too far said she
what's too far said he
where you are said she)
...............
may i move said he
is it love said she)
if you're willing said he
(but you're killing said she ............
বোঝাতে পারলাম ?
"বিশ্ব চরাচর লুপ্ত হয়ে যায়
এ কী ঘোর প্রেম অন্ধ রাহু প্রায় - জীবন যৌবন গ্রাসে
তবু কেন মেটে না পিপাসা ............"
(ভালোবেসে যদি সুখ নাহি, তবে কেন ..... .... ?)
হায়রে !!! সেইতো ?
এইরকম ফাটাফাটি উপমা আর বর্ণনা পড়লে মন খারাপ হয়ে যায়।
কী সব লিখলেন, ধুর!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
জানিনা ... .... ... কী ই যে লিখলাম ... ... ...
আগে পড়িনি বলে ,এখন নিজেকেই দোষ দিচ্ছি। লেখা নিয়ে আর সবার মত আমি মুগ্ধ নই। বিমোহিতও নই।কেননা,
আপনিই তো এভাবে লিখবেন...এভাবে বলবেন। আপনিই তো...
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
কেন তা জানিনা ... ... ... লেখা এত দূরের কেন হলো আমার ?
ভালো লেগেছে ।
এমন লেখার পরে কবিতা তো কবিতা , কবিতার বাকী বোনগুলোও চলে আসবে নির্ঘাৎ ।
আসছে না যে ... ... ...
দারুন!!!
লেখাটা পড়লাম এক নিঃশাসে----
অদ্ভুত মন খারাপ করা ভালোলাগা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় ---
উহু লেখালেখি আপনাকে মোটেও ছাড়েনি।
লিখেযান অহরনিশ-----
কতকাল আগে এই সচলঘরে প্রথম এসে এই লেখাটা পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম তারা ফোটা সন্ধ্যার মতন স্তব্ধতায়। কাউকে তখন জানতাম না, লেখাটা কে লিখেছে তাও দেখিনি, শুধু অবাক হয়ে বসেছিলাম।
আবার এমন একটা লেখা দেখার জন্য কী আগ্রহে অপেক্ষা করছি!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন