প্রশ্নভার অনিবার করতো যদি জ্ঞানী
কোনো চোখে চোখ আর পড়তো না জানি
কথা সব হলে বলা কথকতা দিয়ে
মুখ পাশে উন্মুখ গুঞ্জন হতো প্রিয়ে?
নশ্বর জাল ছিঁড়ে অতিজাগতিক
প্রেম বাঁধা হৃদপিন্ডে, তাও প্রাকৃতিক
যন্ত্রণায় বুক তবে হতো না আকুল
ফিরে পেতে তীব্র সেই আকাঙ্ক্ষার কূল
কে আছে এমন যে বাঁচে আর জানে
গোপন ক্ষমতা বলে বর্ধনের মানে
বিদ্যা সর্বস্ব হলে কি'বা প্রয়োজন
জ্ঞানহীন মধুর রক্তাক্ত শিহরণ?
তাহলে খুঁজোনা প্রিয় "যদি" আর "কেন"
আমরণ তোমাতেই ডুবে আছি জেনো।
জীবিত, আবশ্যকতায় তাই ভালোবেসে যাই
বেঁচে থাকা মানে "তুমি যা দিয়েছো তাই"।
১৮ই আগস্ট, ২০০৮ সোমবার - বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিট
উৎসর্গ: হাসান মুরশেদ সুপ্রিয় সুহৃদ, সুমধুর উদ্দীপনার জন্য, ব হু কাল পর।
মন্তব্য
কবিতাটি পড়ে ভাল লাগলো। কেমন যেন সুফিবাদী গন্ধ আছে......
নির্বাক
আমার কিন্তু পড়ে ভীষণই প্রেমবাদী মনে হয়েছিলো - মূল কবিতাটি।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
বাহ বেশ।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
বেশ.. ...
ভালো লাগলো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মনে পড়লো আবার।
মূল কবিতায় যে-প্যারাগুলি আছে সেগুলি নাই করে দিছেন ক্যানো!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
একটু অনুবাদকের স্বাধীনতা চর্চা করলাম আর কি!
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
'আমি জানি কোন লাভ নেই অকারন কথা বাড়িয়ে,
বরং বুঝে নেয়া সম্ভব কথাহীনতায় হারিয়ে............'
[সুমন চট্রোপাধ্যয়]
অনুবাদটুকু স্নিগ্ধ এবং সুবর্ণ ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অথবা সুবর্ণা- ?
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
এত চমৎকার অনুবাদের জন্য আমার অভিবাদন গ্রহণ করুন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কৃতজ্ঞতা,সবজান্তা। আছেন কেমন?
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
সামগ্রিক অর্থে খারাপ না। তবে তাৎক্ষণিক অর্থে ভালো না। জ্বরাক্রান্ত।
আপনি লেখায় বড়ই অনিয়মিত। আপনার অভ্যাসটি দূরীভূত হলে বিশেষ প্রীত হতাম।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন