****এইমাত্র নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদনটি পড়লাম। চুম্বক অংশ পাঠকের সাথে ভাগ করে নেয়ার ইচ্ছে থেকে কিছুটা অনুবাদ করলাম। বিশ্বমন্দা পরবর্তী পরিস্থিতিতে চীনের পরিবর্তনের দিকে নজর রাখা জরুরী,সেটি অনুধাবন করেই।****
নিউইয়র্ক টাইমস এর প্রতিবেদন লিখেছেন ডেভিড বারবোজা (সংক্ষেপিত) ৭ই জুন,২০১০
উপকূলীয় কারখানাগুলো বেতন বাড়াচ্ছে, স্থানীয় সরকার ন্যূনতম মজুরি বাড়াচ্ছে, আর বহু অর্থনীতিবিদ যেমনটা ভাবছেন,তেমন হলে চীন তার মুদ্রা রেমিনবি(য়ুয়ান)ইউএস ডলারের বিপরীতে বাড়িয়ে দিতে যাচ্ছে, তার মানে মোটের ওপর চীনের উৎপাদন খরচ অতি অবশ্য বাড়ছে। ইউরোপ আর অ্যামেরিকার তুলনায় যদিও চীনের মজুরি অনেক কম(দক্ষিণ চায়নায় মাসিক ন্যূন-মজুরি ১২৫ ডলার),কিন্তু এই বৃদ্ধির রিপ্ল এফেক্ট টিশার্ট থেকে শুরু করে স্নিকার্স, কম্পিউটার সার্ভার, স্মার্ট ফোন সবকিছুরই দাম বাড়িয়ে দেবে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।
ক্রেডিট সুইসের অ্যানালিস্ট ড্যাং টাও গত দু’দশকের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য চীনমুখী হবার প্রবণতাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। যে “ডিসইনফ্লেশন”তৈরী করে এরা দাম কমিয়ে রাখত, তাতে বড়সড় একটা ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে শিগগীর,এমনটাই তাঁর মত। এই পরিবর্তনের পালে দম্কা হাওয়া হয়ে এসেছে ফক্সকন টেকনোলজির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, যেখানে তারা ঘোষণা করেছে আগামী তিনমাসের মধ্যে তাদের সব অ্যাসেম্বলি লাইন ওয়ার্কারদের মজুরি দ্বিগুণ করা হবে। ফক্সকন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইলেক্ট্রনিক্স ম্যনুফ্যাকচারার,যারা অ্যাপ্ল কমপিউটার থেকে ডেল এর পার্টস সবই তৈরী করে। এমন সময়ে এই ঘোষণা এলো, যখন দু’টো ফক্সকনের কারখানায় শ্রমিক আত্মহত্যার ঘটনায় কোম্পানিটির লেবার প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। তাইওয়ানে মূল কারখানা হলেও দক্ষিণ চায়নায় প্রায় ৮ লাখ কর্মী আছে তাদের;ফক্সকনের ভাষ্যানুযায়ী, সেইসব শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান বাড়াতেই এই বৃদ্ধি।
একই পথে হাঁটছে জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারক হোন্ডা। দক্ষিণ চীনের কারখানায় ১৯০০ শ্রমিকের ২৪ থেকে ৩২ শতাংশ মজুরি বাড়াচ্ছে কোম্পানিটি এই আশায় যে,হয়তো এতে গত দু’সপ্তাহ যাবত চলা কর্মবিরতি আর শ্রমিক আন্দোলনের সুরাহা হবে।
এর পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন চায়নার অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান শ্রমিক-প্রভাব আর দ্রুত বর্ধনশীল আহার-বাসস্থানের খরচকে যা অভিবাসী শ্রমিকদের ক্রয়ক্ষমতাকে সঙ্কুচিত করছে। বিশ্লেষকরা আরো বলছেন,সরকার আশাবাদী এতে করে কিছু রপ্তানিমুখী কোম্পানি বাধ্য হবে পুরনো প্রডাক্টগুলোর সংস্কার করে নতুন কিছু বানাতে, যে প্রডাক্টগুলো কমদামী(cheap goods)না হয়ে উকৃষ্ট পণ্য(high value goods)হবে। তাতে দেশের সস্তা রপ্তানিদ্রব্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। চাইনিজ নীতিনির্ধারকরা আরেকটা কারণে বেতন বাড়ানোকে সমর্থন করছেন, চীনে ধনী-দরিদ্রের আয়ের যে ব্যাপক তারতম্য সেটা কমাতে এই বৃদ্ধি সহায়ক হবে বলে তারা ভাবছেন। গত বৃহস্পতিবার চাইনিজ পুরসভা কর্মীদের ন্যূন-মজুরি ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৪০ ডলার স্থির করেছে।
জনসংখ্যার পরিবর্তন একটি প্রাকৃতিক চলক হিসেবে পুরো ব্যাপারটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে, ইউপেনের চায়না স্পেশ্যালিস্ট মার্শাল মেয়ার বলছেন। কোম্পানিগুলোর জন্য আরও বেশি অস্বঃস্তিকর হচ্ছে চাইনিজ মুদ্রার মুদ্রামান বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা,যার ফলে বহির্বিশ্বে তাদের রপ্তানি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যাবে। বেইজিং অনেকদিন ধরেই তাদের মুদ্রাকে ফ্রি-ফ্লোট করার কথা বলে আসলেও বিশ্বমন্দায় ধুঁকতে থাকা চীনা কোম্পানিগুলোকে বাঁচানোর জন্য রেমিনবিকে ডলারের বিপরীতে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিলো। রপ্তানিকারকদের সুরক্ষিত করার একমাত্র উপায় ছিলো সেটা।
শ্রমিক খাতে ব্যয় যদিও পণ্যের মূল্যের খুব ছোট একটা অংশ, কিন্তু এতে করে পুরো সাপ্লাই চেইনে যে প্রভাব পড়বে তাতে পণ্য উৎপাদক কোম্পানি দাম বাড়াতে বাধ্য হবে। অনেক ব্যবসায়ীর জন্য ইতোমধ্যেই লাভের পরিমাণ ক্ষীয়মান,এবং দাম আরো বাড়ালে ব্যবসা ভীষণ বড় ধরনের মার খেতে পারে। তখন ভোক্তাদের কাছ থেকে সেই অতিরিক্ত খরচটা উঠিয়ে আনবার জন্য তাদের কোনো একটা উপায় খুঁজে বের করতে হবে। তারপরেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন চীন নিশ্চিতভাবেই একটা অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে এগুচ্ছে যাতে করে এর বিরাট “ফ্লোটিং পপুলেশন”বা অভিবাসী জনগোষ্ঠী এই ঋদ্ধির ভাগীদার হতে পারে,যাতে আভ্যন্তরীণ ভোক্তাগোষ্ঠী তৈরী হবে। শ্রমিক খরচ বৃদ্ধি কোনোভাবেই চীনের সস্তা উৎপাদন খরচের সমাধি রচনা করবে না,তবে দেশটির উৎপাদন ব্যবস্থায় একটা বড় পরিবরতন আনবে সেটা নিশ্চিত। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের সেন্টার অফ চাইনিজ স্টাডিজের পরিচালক ম্যারি গ্যালাগারের মতে বিশাল দেশীয় বাজারের উপস্থিতির কারণে চীনের উৎপাদন ব্যবস্থা ধাক্কা খাবেনা। কিন্তু চীন স্বল্পমূল্যের দ্রব্য ছেড়ে বেশি দামী জিনিস বানানোর দিকে এগোবে। তারা আর পৃথিবীর ওয়ার্কশপ হয়ে থাকতে চাইছে না।এবার তাদের লক্ষ্য প্রাযুক্তিক উৎকর্ষসম্পন্ন পণ্য।
মন্তব্য
ভারত বা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটা আপাত দৃষ্টিতে ভাল খবর মনে হতে পারে যে প্রতিযোগীর উৎপাদন খরচা বাড়ছে - সুতরাং আমাদের কিছু ব্যবসা বাড়বে। অথচ, চিন সামাজিক সাম্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে - এটা দেখে আমাদের শেখারও অনেক কিছু আছে। আজ প্রথম আলোতে এসেছে পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের বেতন সবথেকে কম। পোশাক রপ্তানী বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের মাইনে বা সুযোগসুবিধা দেখা দরকার যাতে শ্রমিক অসন্তোষে রপ্তানী যখন তখন অনিশ্চিত না হয়ে পড়ে।
একটা অংশ পড়ে দেখলাম -
এটা পড়ে কার কি প্রতিক্রিয়া জানতে ইচ্ছা করে। (হিন্ট - এর সাথে চিনের ন্যূনতম মজুরীর তুলনা করুন।)
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাংলাদেশে কখনোই কিন্তু আন্তর্জাতিক মান/রেট অনু্যায়ী শ্রমিক মজুরি নির্ধারিত হয়না,হলেও সেটি প্রয়োগ হয়না।শিশুশ্রম বন্ধে যখন গার্মেন্টসগুলোর ওপর চাপ এলো,সে সময় আইবিএ থেকে আমরা অনেকগুলো গার্মেন্টসের মালিকদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে গিয়ে যা তথ্য পেয়েছিলাম তাতে বোঝা যায়, এত বেশি মানুষ(সাপ্লাই ওভারলোড)কাজ করতে চায়,এবং আনস্পেশ্যালাইজড(মানে লো স্কিল্ড কাজে লাগবে যে,মেশিন ধোয়া,কাপড় স্ট্যাক করা ইত্যাদি)লেবার হলে ছোটদেরকে কম বেতন দিয়ে সহজেই রাখা যায়,সেখানে বড়/পূর্ণবয়স্ক একজনকে রাখতে গেলে খরচ দ্বিগুণ হয়।ফলে যোগান-চাহিদার স্বাভাবিক নিয়মেই বাজার নির্ধারণ করে শ্রমিক মজুরি কী হবে। আর আপাতঃ খুশির খবর মনে হলেও,আসলে বাংলাদেশ চীনের প্রতিযোগিতায় ভাগ বসাতে পারবে বলে মনে হয়না,অবকাঠামো ও দক্ষ জনশক্তির পাল্লায় এখনো চীনের বেস্ট কম্পিটিটর তাইওয়ান বা ভিয়েতনাম। পোশাক শিল্পে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পেতে পারে বাংলাদেশের শ্রমিকরা,কিন্তু চায়নার অন্যান্য হেভি মেশিনারিজ ইন্ডাস্ট্রিতে বা হাইটেক প্রডাক্টগুলোর কারখানায় কিছুটা সেমি স্কিল্ড লেবারদের আধিপত্য থাকাটা স্বাভাবিক বোধ হয়।
প্রথম আলো যেহেতু শ্রমিক শব্দটা উল্লেখ করেছে, সেই হিসেবে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম মজুরি পায় চা-শ্রমিকরা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যেখানে চীনে পুরসভা কর্মীদের ন্যূন-মজুরি ১৪০ ডলার, সেখানে আমাদের গার্মেন্টস মালিকদের মানসিক দীনতা তাদের ২৯ ডলার এর মাঝে এ আটকে রেখেছে। অনেক মালিক অনেক ধরনের খরচ এর হিসেব নিয়ে হাজির হবেন, কিন্তু ওনাদের BMW কেনার সময় টাকার অভাব হয় না।
২০০৬ এর সাথে ২০১০ এর জীবনযাত্রার খরচ এর কোনও তুলনাই হতে পারে না। এইবার দেশে গিয়ে সব চাইতে অবাক হয়েছি ১০ টাকার নীচে কোনও রিক্সা ভাড়া দিতে না পেরে। পাড়ার গলির চায়ের দাম ও এখন ৪ টাকা। সেখানে ২০০০ টাকার নিচের মাসিক বেতনে একটা মানুষ কীভাবে বাচবে সেটা বুঝার জন্যে তো অর্থনীতিবিদ হবার দরকার নেই।
এরপরও আমরা বেচে থাকি, কিন্তু টিকে থাকাটাই কী বেচে থাকা?
জীবনযাত্রার মান,সিপিআই ইনডেক্স দেখলে আসলে বলা যেতো এ ব্যাপারে আরো স্পষ্ট করে। বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতির হার এবং জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে,সেটা বিশ্বমন্দার কতটা প্রভাব আর কতটা সিন্ডিকেশনের/দুর্নীতির/ব্যাড মানি ম্যানেজমেন্টের প্রভাব সেটা আসলে তথ্য- উপাত্ত না থাকলে বলা কঠিন।আর চীনের পুরসভা কর্মীর মজুরির সাথে বাংলাদেশের তুলনা কিছুটা অ্যাপেলস টু অরেঞ্জেস হয়ে যাচ্ছে বোধহয়,চীন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত ভীষণ অমিল রয়েছে,তাই ১৪০ বনাম ২৯ এর হিসেবটা অতটা সোজাসাপটা নয়। চীনের পক্ষে যে মজুরি কাঠামো অ্যাডাপ্ট করা সম্ভব,তা বাংলাদেশে আদৌ সম্ভব কী'না সেটিও ভেবে দেখবার বিষয়।কিন্তু মানসিক দৈন্য বা অপরিসীম লোভের ব্যাপারে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই,একেবারেই। সেটা চীনেও যে নেই তা বলি কী করে? তারপরেও আমার মনে হয়,এটা একেবারেই "মনে হওয়া" কোন তত্ত্ব বা উপাত্ত নয়,আমাদের ব্যবসায়ীদের লোভ সীমাহীন। কীভাবে যে টিকে আছি,ঈশ্বর জানেন!
s-s কে ধন্যবাদ চমৎকার একটা বিষয়ে লেখার জন্য।
চীনের এই মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারটা প্রথমে মনে করেছিলাম ‘শুধুমাত্র’ ফক্সকম, হোন্ডা কিংবা অন্যান্য অজানা কারখানার শ্রমিক আসন্তোস কিংবা আত্মহত্যার ঘটনায় পশ্চিমের চাপে সরকার কিছুটা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। কিন্তু ডেইলি স্টারের এই রিপোর্টটা দেখে বলতেই হয় আমি কিছুটা চমৎকৃত হয়েছি। NY Times এর রিপোর্ট বৈশ্বিক ইম্পেক্টের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু স্টারের রিপোর্টটা কিছুটা ইনসাইড স্টোরিও দিয়েছে।
কেনা-কাটার আকর্ষণ বাড়ানো জন্য সরকারের ইনসেন্টিভ স্কিম কিংবা সোশাল সেফটি নেটের ব্যাপারটায় প্রমান করে সরকার কিছুটা পরিকল্পিত উপায়েই এটা করছে। আপাত দৃষ্টিতে আমি ইম্প্রেসড (এ ব্যাপারে আরও পড়ার চেষ্টা করছি)। চীনের এই উন্নয়নের ব্যাপারে আমি নিজে কিছুটা স্কেপ্টিক ছিলাম কারণ আমার মনে হয়েছিল এটা অসম উন্নয়নের একটা মডেল। আপাত দৃষ্টিতে এখন মনে হচ্ছে বেশ পরিকল্পিত উপায়ে এগোচ্ছিল চীন সরকার – প্রথমে বৈশ্বিক বাজার দখল, তারপর জনগনের দিকে দৃষ্টি ফেরানো...।
মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারের মজুরিও কিন্তু বেড়েছে, এবং ভবিষ্যতে এই মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কারের চাহিদাও বাড়বে। আমাদের দেশে জন্য ভাল খবর!
ধন্যবাদ আপনাকে।
মাইগ্র্যাণ্ট ওয়ার্কারদের ব্যাপারে ওপরে বলছিলাম,খুব আশাবাদী হচ্ছি না ঃ)-- একটু কিছু হয়তো হবে,আর দক্ষিণ চীনে অনেক স্কিল্ড লেবাররা আসলে চলে যাচ্ছিলো,তাদেরকে অ্যাট্রাক্ট করতেও কোম্পানিগুলোকে বেতন বাড়াতে হয়েছে। আল্টিমেটলি চাপ সেই এন্ড ইউজার আমার আপনার ওপরেই পড়বে,জিনিসের দাম বাড়বে,তবুও শ্রমিকের কিছু লাভ হ'লে তাও সই!
কর্মসংস্থানে কর্মীর প্রতি সুনজরের বাত্যয় ঘটলে যেকোন সংস্থারই টিকে থাকা খুব দুরুহ। কারন কর্মীর অসন্তোষ সমাজের উর্দ্ধমান ব্যায়ের সাথে মানিয়ে চলতে না পারার। চীন সরকারকে সাধুবাদ না জানিয়ে উপায় নেই, সাথে আমাদের সরকারের উচিত পোষাক শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখা, অবকাঠামোর উন্নয়ন করা যাতে ভবিষ্যতে পশ্চিমা বিশ্ব কম খরচে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে মাথায় রাখে।সময়োপযোগী লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
--শফকত মোর্শেদ
আপনি হিউম্যান রিসোর্সে ম্যানেজমেন্টের গোড়ার কথাটা বললেন,কিন্তু হিউম্যান যেখানে অ্যানাদার নাম্বার মাত্র,সেখানে এইসব এতদিনকার ইউনিভার্সিটিতে পড়া বুলি একদম ফাঁকা মনে হয়,বিশ্বাস করুন। দিনের শেষে লাভ করাটাই ব্যবসার লক্ষ্য,যত কম ইনপুটে যত বেশি আউটপুট বের করা যায়। অনেক সফিস্টিকেটেড মডেলিং,ভুং ভাং,একাডেমিকদের অনেক রিসার্চ পেপার,গাদাগুচ্ছের থিয়োরি আর গবেষণার পরেও শ্রমিকদের জীবন সেই দোয়েলের ফড়িংয়ের - মানুষের সাথে তার হয়নাকো দেখা। সিম্প্যাথি নয় এম্প্যাথি,আইকিউ নয় ইকিউ অনেক বড় বড় কথা পড়ি, যেগুলো আমার আপনার মতো শিক্ষিত মানুষদের জীবনকে সহজ করে। কিন্তু ওদের জন্য আজ পর্যন্ত কিছুই সহজ হলোনা---
আচ্ছা, এই যে আমরা নানা ধরনের কম দামের চায়নার জিনিসপত্র ব্যবহার করছি, সেই স্বর্ণযুগ তাহলে শেষ হয়ে যাচ্ছে? এটা হলে কিন্তু মুশকিলে পড়ব আমরাই। আজকে দেশে যে মোবাইল বিপ্লব, তার একটা বড় কারণ কিন্তু চায়নার সস্তা সেট। রেডিও কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স জিনিসের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। পোশাকের ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
যা হোক, এই মধ্যবিত্তীয় উদ্বেগের চেয়েও জরুরি হচ্ছে, চায়নার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার শ্রমিকদের মজুরি কেমন। উৎপাদন খরচ কমের নামে শ্রমিক শোষণ খুব খারাপ ব্যাপার। খোলা জানালার সমাজতান্ত্রিক দেশ হলেও চায়নাতেও নাকি শ্রমিক শোষণ হয় বলে শুনেছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম,স্যরি আপনার মন্তব্যটি দেখিনি। হ্যাঁ চায়নার মোবাইলে সেটের বাজার অবশ্যই প্রভাবিত হতে পারে। আর চায়নাতে শ্রমিক শোষ্ণ খুব ভালোমতই হয়। কিছু জিনিসপত্র খুঁজছি এ ব্যাপারে। পেলে জানাবো।
আপনি আজকে যে দৃঢ়তা আর সাহস দেখালেন, সেটা একটা উদাহরন হয়ে থাকবে। আপনাকে অগুণতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ক্ষমা করবেন সুবিনয়- আপনার এই মন্তব্যটি এই পোষ্টের সাথে কেবল অপ্রাসংগিকই নয় বরং একটি অনভিপ্রেত ও অস্বাস্থ্যকর ঘটনার রেশ টানতে থাকা।
গতকাল সম্ভবতঃ আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখলাম- সচলায়তন এর 'তামশা' দেখতে দেখতে আপনি ক্লান্ত( কিংবা এরকম কিছু)।
এটাকে 'ব্লগিং প্লাটফর্ম' কিংবা ' রাইটার্স কমিউনিটি' যাই বলি না কেনো- আমরা সচলরা এর অংশ। সচলরা কেউ পিউরিটান না, সচলায়তন ও ইউটোপিয়া নয়। অনভিপ্রেত কিছু ঘটলে সচলায়তনকে 'own' করে এমন কোন সচলের রাগ হতে পারে, খারাপ লাগতে পারে, সচলায়তনে এসে ঝগড়া করতে পারে- কিন্তু একে 'তামশা ভাবতে পারেনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ,সুবিনয়।আমি গত দু'দিন খুব ডিসটারবড ছিলাম,এখন এটি ভুলে এগিয়ে যাওয়াটাকেই শ্রেয় মনে করছি।ভালো থাকবেন।
s-s,
চীনের সস্তাশ্রম বাজার যদি ব্যয়বহুল হয়ে উঠে ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের কাছে তাহলে কি চীনের বদলে নতুন শ্রমবাজারের সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে?
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আরো অনেকগুলো ডিসাইসিভ ফ্যাক্টর থাকতে হবে।
পোষ্টে ৫ তারা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হ্যাঁ, সেটা তো হবেই। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের জন্য আসলে কোনো ফল বয়ে আনবে কী'না সেটি ভাববার বিষয়।
(তারা দিয়ে কী করবো রে ?)
নতুন মন্তব্য করুন