খাঁচায় ভাই-বেরাদরদের সাথে ভালোই ছিলাম। হঠাৎ এক পুঁচকা এসে বিছরাতে বিছরাতে আমার পা ধরে হ্যাঁচকা টান। ডানা টানা ঝাঁপটিয়ে কোনোমতে সিধা হয়ে দাঁড়াই একেবারে ঘরের মধ্যেখানে। চারিদিকে কেমন পেঁয়াজ- আলুর গন্ধ আর চাপাতির রোশনাই। মরণ যে এতো তাড়াতাড়ি চলে আসবে বুঝতে পারি নাই। ভাই-বেরাদরদের দিকে তাকিয়ে দেখি- তারা আড়চোখে দেখেও না দেখার ভান করছে। আরেক পুঁচকা ঘরের দরজা খুলে বেরোতে গেলে জান হাতে নিয়ে দিলা
ফিশট্যাঙ্ক দেখে চিন্তাভাবনা
[justify]কথাসাহিত্যিক রবিশংকর বলের উপন্যাস ‘দোজখ্নামা’। উপন্যাসে প্রধান চরিত্র দুইজন। একজন ফারসি কবি মির্জা গালিব (১৭৯৭-১৮৬৯), অন্যজন উর্দু সাহিত্যের অন্যতম ছোটোগল্পকার সাদাত হাসান মান্টো (১৯১২-১৯৫৫)। উপন্যাসে দুইজনেই মৃত হিসেবেই হাজির হয় আর কবরের মধ্যে বসেই একে অন্যকে নিজেদের কাহিনী বলতে শুরু করে। অনেকটা পরাবাস্তব কি জাদুবাস্তব মনে হলেও রবিশংকর বল সেখানে জাদুবাস্তবতা না ঢেলে স্বাভাবিকভাবেই দুইজন
[justify]দুপুরে ভাত খাওয়ার পর থেকে মাথায় কেমন জানি একটা চিনচিন করে ব্যথা করে। গত দুইদিন ধরে একনাগারে বাসায় শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছি। একবার ভাবি, একটু বাইরে গিয়ে ঘুরে আসি। পরে আবার ভাবি, থাক। এরপর বেরোই। নিচে নামার সময় দেখি বাইরের কলাপসেবল গেটটা তালা দেয়া। নীচতলায় এক নতুন ভাড়াটে এসেছে। কলাপ্সেবল গেট খোলা-বন্ধের ব্যাপারে সে খুব সিরিয়াস। গেট খুলে তালা না লাগিয়ে বেরিয়ে যাই। পেছন থেকে গেট বন্ধ করার আওয়াজ
নানা ধরনের পুনর্মিত্রতার জ্ঞানচর্চা চালু হচ্ছে চারিদিকে। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানী গুণী গবেষকেরা সহজ সরল কথা না বলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধকে হালকা করানোর নানান আজগুবি তত্ত্ব তথ্য হাজির করছেন একের পর এক। তারা নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখতে গিয়ে নৃশংসতা, ধর্ষণ, গণহত্যার পেছনের লোকজনদের দিকে জমে থাকা ঘৃণার ভার হালকা করতে চান। এই জ্ঞানী গবেষকেরা কখনো যুদ্ধাপরাধের শাস্তির পক্ষে সোচ্চার থাকেন না। যুদ্ধের দামামায় রক্তলিপ্সু হয়ে ওঠা অমানুষদের মধ্যে সামান্য মানবিক বিচ্যুতির বেশি কিছু এরা টের পান না। তারা নিজেদের মানবিকতা সরিয়ে রেখে আমাদেরকে তাদের মাপের মানবিকতার জামায় ঢোকাতে চান। আর এই গোত্রের একজন নতুন সংযোজন গবেষক ইয়াসমিন সাইকিয়া।
[justify]পৃথিবীর সব কিছুই স্বল্প বা দীর্ঘদৈর্ঘ্যে মিথ্যার নবায়ন। এই লাইনটা পাই আমার পুরানো ডায়েরিতে। এই এন্ট্রির ওপর সন তারিখ আছে। সেই হিসেবে আমার বয়স এখন গুণে দেখলাম দুইশত বছরের ওপরে। আচ্ছা, উন্মাদ হলে কি দিন তারিখ গুলিয়ে আসে?
[justify]
[justify]নিওলিবারেল (নয়া উদারতন্ত্র) ধারণার প্রবর্তন হয় ১৯৩০ সালের দিকে। জার্মান অর্থনীতিবিদদের একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী এই ধারণা প্রথম চালু করেন। এরা যুক্ত ছিলেন ‘ফয়েরবাগ স্কুল’-এর সাথে। আর নিওলিবারেলিজম শব্দটি প্রথম চালু করেন লুইস রোগেয়ার। এই তত্ত্বে প্রাচীন লিবারেলিজম মতবাদকে কিছুটা ঢেলে সাজিয়ে নতুন একটা চেহারা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। রিকার্ডোর মুক্ত বাজার অর্থনীতি তাঁর সময়ে ভালো প্রচারণা না পেলেও স
[justify] অতো চিন্তাভাবনা করে ব্যবসাটা শুরু করিনি। প্রথমে ছোটোই ছিল। গাড়ির পার্টসের ব্যবসা। তারপর নানা কিছু শিখে ফেলি। লোক ঠকানো একদমই নিতান্ত প্রত্যন্ত একটা সাদামাঠা ব্যাপার। তাই ঠকানো শুরু করি। আচ্ছা, কেবল যে আমি একাই ঠকাই সেটা না। আপনারাও ঠকান। এমনকি আপনিও। স্যরি। রাগ করবেন না। নিজের কথাই বলি বরং। আমার খুব শীঘ্রি আরেকটা পার্টসের দোকান হয়। তারপরে আরো একটা। পরে গাড়ির ডিলারশীপ। গাড়ি বলতে মোটর-সাইক
[justify]ব্রিটিশ লেখক জুলিয়ান প্যাট্রিক বার্নসের নতুন বই ‘দা সেন্স অব এন এন্ডিং’ ২০১১ সালের ম্যানবুকার পুরস্কার জিতেছে। এবারের বিচারক প্যানেল রিডেবল বা পাঠযোগ্য একটি বইকে পুরস্কার দেয়ার ব্যাপারে কিছুটা জোর দিয়েছেন। ‘দা সেন্স অব এন এন্ডিং’’কে ম্যানবুকারে ঘোষিত করার পেছনে এর স্বল্প আয়তন (মাত্র ১৭৬ পৃষ্ঠার বই। অনেকে সমালোচক একে উপন্যাস না বলে নভেলা কিংবা বড়ো আকারের ছোটোগল্প হিসেবে বিচার করছেন) আর সহজ